সংকট অনেক সময় একটা সমাজের জন্য একটা টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। আমরা এখন কোনদিকে টার্ন নেবো? প্রফেসর ইয়ুভাল নোয়াহ হারারি, ব্যাখ্যা করছেন কিভাবে করোনা ভাইরাস নিয়ে আজকের সিদ্ধান্তগুলো আমাদের ভবিষ্যৎ বদলে দেবে। প্রসঙ্গত হারারি’র কোম্পানি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ১ মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা প্রদান করেছে।
সম্প্রতি তিনি জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলেকে একটি সাক্ষাতকার দিয়েছেন। সাক্ষাত্কারটি মুক্তমনার পাঠকদের জন্য ইংরেজি থেকে অনুবাদ করা।

 

ডয়চে ভেলে: প্রফেসর হারারি। আমরা একটা বৈশ্বিক মহামারীর মাঝে আছি, এতে বিশ্ব যেভাবে বদলাচ্ছে তাতে কোন ব্যাপারগুলো আপনাকে বেশি চিন্তিত করছে?

ইয়ুভাল নোয়াহ হারারিঃ আমি মনে করিনা ভাইরাসটি বড় সমস্যা। ভাইরাসটিকে নির্মূল করার মত যথেষ্ট বৈজ্ঞানিক জ্ঞান, এবং প্রযুক্তি আমাদের রয়েছে। সত্যিকারের বড় সমস্যা হচ্ছে আমাদের ভিতরকার দৈত্য, আমাদের ভিতরকার ঘৃণা, লোভ আর অজ্ঞানতা। এই বিপদে মানুষ যেভাবে রিয়েক্ট করছে তাতে আমি ভয় পাচ্ছি। বৈশ্বিক সংহতির বদলে আমি দেখছি ঘৃণা, অন্য দেশকে দোষ দেয়া, জাতিগত আর ধর্মীয় বিদ্বেষ।

আমি আশা করি যে আমরা ঘৃণার বদলে সমবেদনার মাধ্যমে একটা বৈশ্বিক সংহতিতে পৌছাতে পারবো। আমরা এমন একটা জায়গায় পৌছাতে পারবো যেখানে আমরা কন্সপিরেসি থিওরি আর সত্যের মাঝে পার্থক্যটাকে উপলব্ধি করতে পারবো। যদি আমরা সেটি করতে পারি তাহলে আমার কোন সন্দেহ নাই খুব সহজেই আমরা এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো।

ডয়চে ভেলে: আপনি যেমনটা বলছিলেন, আমাদের এখন দুইটা চয়েস একটা হচ্ছে টোটালিটারিয়ান সারভেইলেন্স (সর্বগ্রাসী নজরদারি) এবং জনতার ক্ষমতায়ন। আমরা যদি সতর্ক না থাকি, তাহলে এই মহামারী সারভেইলেন্সের ইতিহাসে একটা সন্ধিক্ষণ সৃষ্টি করবে। কিন্তু এমন একটা কিছু যেটার উপর আমার কোন নিয়ন্ত্রন নাই সেখান থেকে আমি নিজেকে কিভাবে সাবধান রাখতে পারি?

ইয়ুভাল নোয়াহ হারারিঃ এটা একেবারে পুরোপুরি আপনার নিয়ন্ত্রনে নাই ব্যাপারটা সত্যি না, অন্তত একটা গনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায়। আপনি আপনার পছন্দের রাজনৈতিক ব্যক্তি আর রাজনৈতিক দলকে ভোট দিচ্ছেন, যারা আপনার জন্য পলিসি তৈরি করবে। এতে পলিটিকাল সিস্টেমটার প্রতি আপনার নিজের একধরনের নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠিত হয়। এখন যদি কোন ইলেকশন নাও থাকে, তবুও পলিটিসিয়ানরা এক ধরনের পাবলিক প্রেসারে থাকে।

জনগন যদি এই মহামারীর ভয়ে এমনটা চায় যে একজন শক্ত নেতা ক্ষমতা অধিগ্রহন করুক, তাহলে একজন স্বৈরশাসক সৃষ্টি হবে এবং সে ক্ষমতা অধিগ্রহন করবে। আর যদি জনগন সঠিকভাবে ধাক্কা দিতে পারে যখন কোন পলিটিশিয়ান অতিরিক্ত দুর্নীতিবাজ হয়ে যায়, তাহলে তারা খুব খারাপ কিছু ঘটে যাওয়া থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারবে।

ডয়চে ভেলে: আমি কিভাবে জানবো কাকে বিশ্বাস করতে হবে? বা কিভাবে জানবো যে এটাকে বিশ্বাস করা যায়?

ইয়ুভাল নোয়াহ হারারিঃ প্রথমত, আপনার অতীত অভিজ্ঞতা থেকে। যদি এমন পলিটিশিয়ান থাকে যে বিগত কয়েক বছর ধরেই আপনাদের মিথ্যা বলছে, তাহলে খুব কম কারণই আছে এই জরুরি অবস্থায় আপনার থাকে বিশ্বাস করার। দ্বিতীয়ত, আপনি মানুষকে প্রশ্ন করতে পারেন যারা আপনাকে এই কভিড সংক্রান্ত বিভিন্ন থিওরি দিচ্ছে। যদি করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি আর ছড়ানো নিয়ে কেউ আপনাকে কোন কন্সপিরেসি থিওরি (ষড়যন্ত্র তত্ত্ব) দিতে আসে, তাহলে তাকে ব্যাখ্যা করতে বলুন ভাইরাস কি, এবং এটা কিভাবে রোগ ছড়ায়। যদি লোকটা এ সমন্ধে কিছুই বলতে না পারে, তাহলে এর মানে দাড়ায় লোকটির এমনকি প্রাথমিক বৈজ্ঞানিক ধারনাও নাই। তাহলে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে এই লোকটির কোন কথা আপনি কেন বিশ্বাস করবেন? ভাইরাস সমন্ধে জানার জন্য আপনাকে জীববিজ্ঞানে পিএইচডি তো লাগছেনা। কিন্তু আপনার একটা বেসিক বৈজ্ঞানিক জ্ঞান দরকার এই পুরো বিষয়টা অনুধাবন করার জন্য।
বিগত কয়েক বছরে, আমরা অনেক জনপ্রিয় পলিটিশিয়ান বিজ্ঞানকে এটাক করেছে, এটা বলে যে বিজ্ঞানীরা একটা অভিজাত শ্রেণী যারা সাধারণ মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন, এটা বলে যে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন আসলে ধাপ্পাবাজি, এতে বিশ্বাস করা ঠিক না। কিন্তু এই রকম একটা বৈশ্বিক মহামারীর সময়ে আমরা আসলেই দেখছি যে বেশিরভাগ মানুষ বিজ্ঞানকেই বিশ্বাস করছে অন্য কিছুর চাইতে।
আমি আশা করবো শুধুমাত্র এই সঙ্কটের সময়েই মানুষ এটা মনে রাখবে না বরঞ্চ এই সংকট কেটে গেলেও মনে রাখবে। যাতে তারা যখন তাদের বাচ্চাদের স্কুলে দেবে তখন চাইবে বাচ্চারা সঠিক বৈজ্ঞানিক শিক্ষাটা পাক, যাতে ভাইরাস সমন্ধে তারা জানতে পারে, এবং বিবর্তনবাদ সমন্ধে জানতে পারে। যখন বৈজ্ঞানিকরা আমাদের এই মহামারী ছাড়াও যখন বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন বা অন্য কোন ক্রাইসিস নিয়ে সতর্ক করে তখন যাতে আমরা সেগুলোকেও এই করোনা ভাইরাস মহামারীর মত সমান গুরুত্ব দিতে পারি।

ডয়চে ভেলে: অনেক দেশই ডিজিটাল সার্ভেইলেন্স সিস্টেম প্রয়োগ করে ভাইরাস ছড়ানো প্রতিরোধ করছে। এই সিস্টেম গুলোকে কিভাবে নিয়ন্ত্রন করা যায়?

ইয়ুভাল নোয়াহ হারারিঃ সাধারন জনগনের সার্ভেইলেন্সর পাশাপাশি সরকারের সার্ভেইলেন্সও জরুরি। সরকারগুলো এই সংকটে জলের মত টাকা খরচ করছে। এমেরিকা দুই ট্রিলিয়ন ডলার, জার্মানি শত শত বিলিয়ন ইউরো, এরকম আরও অনেকেই। নাগরিক হিসেবে আমি জানতে চাই টাকা গুলো কোথায় যাচ্ছে এবং কে এই ডিসিশনগুলো নিচ্ছে যে টাকাগুলো কিভাবে খরচ হবে। টাকাগুলো কি সেই সব কোম্পানি বেইল আউট করতে যাচ্ছে যেগুলো তাদের মালিকদের ভুল পরিচালনার কারনে এই মহামারীর আগে থেকেই সমস্যায় ছিলো? নাকি টাকাগুলো ছোট বেবসা প্রতিষ্ঠান, রেস্টুরেন্ট বা দোকান এই সমস্ত ব্যবসাকে সাহায্য করায় ব্যাবহার করা হচ্ছে।

সরকার যদি চায় আরও বেশি বেশি নজরদারি বাড়াতে, তাহলে সেটা দু-দিকেই হতে হবে। তখন যদি সরকার বলে যে, আরেহ এটা অনেক জটিল একটা ব্যাপার, আমরা চাইলেই সব আর্থিক লেনদেনের তথ্য প্রকাশ করে দিতে পারিনা, তখন আমরা বলবোঃ ”না এটা মোটেই জটিল না। যেই পদ্ধতি দিয়ে আপনারা আমাদের চলাচলের উপর নজরদারি করেন, একি রকম ভাবে এইরকম একটা পদ্ধতি খুব সহজেই তৈরি করা যায় যেটা দিয়ে খুব সহজেই আমার ট্যাক্সের টাকা কোথায় কিভাবে খরচ হচ্ছে সেটা মনিটর করা যাবে।“

ডয়চে ভেলে: এটা তখনি ভালো কাজ করবে যখন ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ হবে এবং একজনের বা এক দলের একচ্ছত্র অধিকার থাকবেনা, তাইনা?
ইয়ুভাল নোয়াহ হারারিঃ আসলেই। একটা আইডিয়া নিয়ে কাজ হচ্ছে যে যদি আপনি কোন করোনা ভাইরাস এফেক্টেড কোন রোগীর কাছাকাছি আসেন তাহলে একটা সংকেত পেয়ে যাবেন। কাজটা দুইভাবে করা যায়ঃ একটা সেন্ট্রাল অথরিটি থাকবে যার কাছে সকলের তথ্য থাকবে, এই অথরিটি জানতে পারবে যে আপনি একজন কভিড-১৯ এ আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন। আরেকটা পদ্ধতি হচ্ছে আমাদের ফোনগুলা যাতে সরাসরি আরেকটা ফোনের সাথে যোগাযোগ করতে পারে, কোন সেন্ট্রাল অথরিটি ছাড়াই। আমি যখনি কোন কভিড-১৯ রোগীর কাছাকাছি আসবো তখনি আমাদের ফোন দুইটা, তার ফোন এবং আমার ফোন, নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে ফেলবে এবং আমাকে সংকেত দিয়ে দেবে। এতে কোন সেন্ট্রাল অথরিটির প্রয়োজন হচ্ছেনা প্রতিদিন সবাইকে ফলো করার।

ডয়চে ভেলে: সম্ভাব্য সার্ভেইলেন্স সিস্টেমের কথা আমরা বলছি বর্তমান সঙ্কট কাটানোর জন্য, সেটাতো আরও একধাপ এগোনো, যেটাকে আপনি বলতে পারেন আন্ডার-দা-স্কিন সার্ভেইলেন্স। মানে আমাদের শরীরের যেই চামড়ার নিচের অংশ যেটি স্পর্শের বাইরে, সেটি ভেঙ্গে যাচ্ছে। কিভাবে আমরা এটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি?

ইয়ুভাল নোয়াহ হারারিঃ এই বেপারটতে আমাদের খুবই, খুবই সতর্ক থাকতে হবে। ওভার-দা-স্কিন মানে চামড়ার বাইরের সার্ভেইলেন্স হচ্ছে সেটি যা আপনি বাইরের পৃথিবীর সাথে করেন, আপনি কোথায় যাচ্ছেন, কার সাথে দেখা করছেন, আপনি টিভিতে কি দেখছেন অথবা অনলাইনে কোন কোন ওয়েব সাইট আপনি ভিজিট করছেন। এটা আপনার শরীরে প্রবেশ করেনা। আন্ডার-দা-স্কিন মানে আপনার চামড়ার ভিতরের সার্ভেইলেন্স মানে আপনার শরীরের ভেতরে কি ঘটছে। আপনার শরীরের তাপমাত্রা থেকে শুরু করে আপনার ব্লাড প্রেসার, হার্ট রেইট, মস্তিস্কের কার্যকলাপ পর্যন্ত। যখন এই ধরনের ডাটা আপনার কাছে থাকবে তখন আপনি একটা মানুষ সমন্ধে অনেক অনেক বেশি কিছু জানবেন।

আপনি এমন একটা টোটালিটারিয়ান সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন যা এর আগে কখনই ছিলোনা। আপনি যদি জানতে পারেন আমি কি পড়ছি বা আমি টিভিতে কি দেখছি, এটা আপনাকে আমার ব্যক্তিত্ব, আমার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বা আমার সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল সমন্ধে একটা ধারনা দেবে। যদিও সেটা অনেকটাই সীমিত। এবার ভাবুন আমি যখন একটা বই/রিপোর্ট পড়ছি, বা টিভি কিংবা ইউটিউবে একটা অনুষ্ঠান দেখছি তখন আপনি আমার শরীরের তাপমাত্রা বা আমার ব্লাড প্রেসার বা হার্ট রেইট জানতে পারবেন। তারমানে আপনি জেনে যাবেন আমি প্রতি মুহূর্তে কেমন ফিল করছি। এটা খুব সহজেই একটা ডিস্টপিয়ান টোটালিটারিয়ান সাম্রাজ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে আমাদের।

এটা হতেই হবে এমন না। আমরা চাইলেই এটাকে রোধ করতে পারি। কিন্তু সেটাকে রোধ করতে চাইলে, সর্বপ্রথম আমাদের বুঝতে হবে এটার বিপদগুলো, এবং দ্বিতীয়ত, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এইরকম একটা জরুরি অবস্থায় আমরা কোন কোন ব্যাপারগুলোকে অনুমতি দেবো।

ডয়চে ভেলে: এই করোনার সংকট কি ২১ শতাব্দীর মানুষদের নিয়ে আপনি যে একটা ইমেজ দিয়েছিলেন সেটিকে পরিবর্তিত করবে কিছুটা?

ইয়ুভাল নোয়াহ হারারিঃ আমরা জানিনা, কারন সেটা অনেকটাই নির্ভর করে এখন আমরা কোন সিদ্ধান্তগুলো নেই তার উপর। একটা অপ্রয়োজনীয় শ্রেণী সত্ত্বার বিপদজনক আবির্ভাব দেখতে পাচ্ছি বর্তমান অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারনে। আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি অটোমাইজেসন বেড়ে যাচ্ছে, রোবট আর কম্পিউটার মানুষকে প্রতিস্থাপন করছে এতে অনেকের চাকুরী চলে যাচ্ছে। কারন মানুষ তার বাড়ীতে লকড ডাউনে, কারন মানুষ সংক্রমিত হতে পারে কিন্তু রোবটরা না। আমরা হয়তো এমনটা দেখবো দেশগুলো তাদের কারখানাগুলোকে তাদের দেশে ফিরিয়ে নেবে অন্য দেশের উপর নির্ভর করার চাইতে। এটা হতে পারে অটোমাইজেসন এবং বিশ্বায়নের উলটো ধারার জন্য। এতে অনুন্নত বিশ্ব যারা সস্তা শ্রমের উপর নির্ভর করে, হঠাত করে একটা বিশাল অপ্রয়োজনীয় শ্রেণী সত্ত্বাকে নিয়ে বিপদে পড়ে যাবে, কারন এই কাজগুলো তখন অটোমেটেড হয়ে যাবে বা অন্য কোথাও চলে যাবে। এটা অবশ্য ধনী রাষ্ট্রগুলোতেও হতে পারে। অলরেডি এই করোনা সংকট চাকুরীর বাজারেও অনেক পরিবর্তন এনে ফেলেছে। মানুষ এখন বাসায় বসে কাজ করছে, অনলাইনে কাজ করছে। আমরা যদি সতর্ক না থাকি তাহলে এটা হয়তো সংগঠিত শ্রমিকদের ধ্বংস ডেকে আনবে, অন্তত শিল্পের কিছু সেক্টরে। এমনটা হতেই হবে এমন কোন কথা নেই। এটা একটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। আমরা শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় অনেক সিদ্ধান্ত নিতে পারি সেটা হতে পারে আমাদের দেশে বা পুরো বিশ্বব্যাপী। সরকার অনেক শিল্পকে বা কর্পোরেশনকে বেইল আউট দিচ্ছে। তারা চাইলেই শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার শর্ত প্রয়োগ করে দিতে পারে। তারমানে আমরা এখন কি সিদ্ধান্ত নিলাম সেটার উপর আসলেই অনেক কিছু নির্ভর করে।

ডয়চে ভেলে: ভবিষ্যতের ইতিহাসবিদরা এখনকার সঙ্কটের সময় নিয়ে কি বলতে পারে?

ইয়ুভাল নোয়াহ হারারিঃ আমার মনে হয় ভবিষ্যতের ইতিহাসবিদরা এই সময়টাকে ২১ শতকের একটা টারনিং পয়েন্ট হিসেবে দেখবে। কিন্তু কোনদিকে আমরা ঘুরবো বা টার্ন নেবো সেটা আমাদের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে। এটা একেবারেই অনিবার্য কিছু না।

প্রফেসর ইয়ুভাল নোয়াহ হারারি “সেপিয়েন্সঃ আ ব্রিফ হিস্টোরি অফ ম্যানকাইনড” এবং “হোমো ডিউস অ্যান্ড টুয়েন্টি ওয়ান লেসন ফর টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি” গ্রন্থের লেখক। তার সামাজিক প্রভাব বিস্তারকারি প্রতিষ্ঠান “সেপিয়েন্শিপ” ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনকে ১ মিলিয়ন ডলার ডোনেশন প্রদান করে যখন এমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ফান্ডিং দিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে।

ডয়চে ভেলে তে প্রকাশিত ইন্টারভিউ অবলম্বনে।