ঈশ্বরের ক্ষুধার্ত দাঁতে
স্বর্গের স্তন ছিঁড়ে গেলে
অবারিত আলো এসে এঁকে রাখে
নক্ষত্রের ছবি;

জ্বলন্ত সূর্যের পাপড়িগুলো
খসে পড়ে বলে
অংকুরিত হয় নীলাভ পৃথিবী।

গাঢ় অন্ধকারের গহ্বর থেকে
উঠে এলে আলোর ছোবল
কেঁপে ওঠে ভয়ার্ত রাত্রির বুক

আর স্তরিত ছায়ার মধ্যে
মেঘ ও মাটির অসহ্য স্পন্দনে
জেগে ওঠে রঙের উদ্ভাস।

অন্ধ ঈশ্বরের অসাড় জিহ্বায়
তখনো ছিল না ভাষা,
শুধু ছিল তাঁর জান্তব চিৎকার;

মানুষেরা তাই স্তব্ধতার স্তব করে
আদিম গুহায়,
তখন ঝর্ণারা ভাষার আল্পনা আঁকে
মানুষের সুনিবিড় স্নায়ুকোষে।

-মঈনুল হক কাজী