(১)
লেখাটা না লিখিলেও চলিত! একটা আস্ত খোরাকের পেছনে সময় দেওয়া আদৌ বুদ্ধিমানের কাজ কি না এই সব নিয়ে যখন ভাবছি –দেখলাম, উনি এতসব মণিমাণিক্য ছড়িয়েছেন-এগুলি নিজের ভাষায় না লিখলে, পাঠক এক বিশুদ্ধ হাস্যরস থেকে বঞ্চিত হবে!
আমার দাদু ছিলেন অনুকুল ঠাকুরের শিষ্য! তখনই প্রথম এই শব্দগুলির সাথে পরিচিত হই –
যজন,যাজন ও ইষ্টভৃতি
তখন দেখতাম এক অদ্ভুত কেরামতি। দাদু হাগতে গেলেও এক পয়সা গুরুর নামে একটা ভাঁড়ে জমা দিয়ে হাগতে বসত! এটি শ্রী শ্রী ঠাকুরে দীক্ষিত শিষ্যদের অবশ্য কর্তব্য-সর্বদা গুরুকে স্মরণ করিবে! হাগতে গেলেও করিবে! কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে আমাশায় সর্বত্র গুরুকে স্বরণ করা এই কূলের ( যা সৎসঙ্গ) নিয়ম! গুরুদেব ঠাকুরকে এক পয়সা ভাঁড়ে দিলে , উনি কোষ্টকাঠিন্যে পায়খানা তরল করিবেন, আমাশায় আঁটি বাঁধিবেন! অহ ! এমন জগৎগুরুর সন্ধান কভি কেও দেখিয়াছেন?
উনার সর্বাধিক বিখ্যাত শিষ্য লেখক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। সারা বাংলায় মেরেকেটে কোটি খানেক সৎসঙ্গী আছে বলে উনারা দাবী করেন!
(২)
তবে শ্রী শ্রী ঠাকুর বিখ্যাত অন্যকারনে। এই ডাইনামিক হিন্দুধর্মে ইউজেনিক্স নামে ডিনামাইট ঢোকানোর পেটেন্টটি উনার । যারা ইউজেনিক্স নিয়ে পরিচিত নন -তাদের জন্য দুই লাইন জানিয়ে রাখি। এটি একটি খরতরনাক অপবিজ্ঞান যা নিয়ে হিটলার অবসেসড ছিলেন বিশুদ্ধ জার্মান জাতির সৃষ্টিতে। বিবাহে নরনারীর নির্বাচনের বিশুদ্ধতা উৎকৃষ্টতর সন্তানের জন্ম দেয়-এই হচ্ছে উনাদের “বিজ্ঞান সম্মত ” বিশ্বাস!!
অনুকুল চক্রবর্ত্তীর (14 September 1888 – 27 January 1969) অবশ্য হিটলারে ঠাঙারে বাহিনী ছিল না। তাই হিন্দু ধর্মের বর্ণবাদকে আশ্রয় এবং সাশ্রয় করেই উনি, হিন্দু ধর্মে ইউজেনিক্স ঢোকাতে উৎসাহী হোন।
উনার দর্শনের মূল থিওরী এই রকম –
হিন্দু ধর্মের বর্ণবাদ ভাল! কারন তা বংশ গৌরব এবং বংশ দক্ষতা ( স্কিল) রক্ষা করে! রক্তের বিশুদ্ধতা রক্ষা করে!
এই ঠাকুর কোন এক কালে ডাক্তারী পাশ করেছিলেন। কোন বায়োলজি গ্রন্থে শুদ্র রক্তের সাথ ব্রাহ্মন রক্তের পার্থক্যর পরীক্ষালদ্ধ ফল পাওয়া যায়, তা আমাদের কারুর জানা নেই । তবে উনিত আবার ঈশ্বরের সাথে কথা বলতেন-হয়ত কানে কানে ইশ্বর এসে এসব বৈজ্ঞানিক অমৃতবানী উনার কানে ঢেলেছিল!
তবে এই বর্ণবাদ টেকাতে এবং উৎকৃষ্ট হিন্দু সন্তান প্রসব করিতে, উনার বিবাহের ফর্মুলা হচ্ছে এই রকম –
প্রতিটা হিন্দু পুরুষের দুইটি বিবাহ করা উচিত ! প্রথমটা সবর্ণ, পরেরটা অনুলোম অসবর্ণ । অনুলোম অসবর্ণ বিবাহ মানে উচ্চকাস্টের হিন্দু পুরুষের সাথে নিম্ন বর্ণের মহিলার বিবাহ। ব্রাহ্মন পুরুষের সাথে শুদ্রকন্যার বিবাহ। উচ্চবর্নের মহিলার সাথে নিম্ন বর্নের পুরুষের বিবাহে তিনি নারাজ। কারন তার বায়োলজি “গবেষণা” । নিম্নবর্নের স্পার্ম নাকি উচ্চবর্নের ডিম্বানুকে নষ্ট করে। প্রথমত উচ্চবর্নের আর নিম্ন বর্নের লোকেদের স্পার্ম আলাদা হয়-এই অতি মুল্যবান বৈজ্ঞানিক তথ্যর জন্য, উনাকে নোবেল বা নিদেন পক্ষে একটি গোবেল প্রাইজ দেওয়া উচিত ছিল!
সর্বর্নে বিবাহটা করার পর কিন্ত আপনি অসবর্ণ বিবাহটা করিবেন! কেন? কারন আপনার সবর্ন স্ত্রীর গর্ভে আসিবে বিশুদ্ধ সন্তান! আর অসবর্ন বিবাহে আসিবে অশুদ্ধ সন্তান! অশুদ্ধ সন্তান কেন? এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে শ্রী শ্রী ঠাকুর বিজ্ঞানে একেবারে “নিরক্ষর ” ছিলেন না । উনার মতে বায়োডাইভারসিটি বাড়াইতে দ্বিতীয় বিবাহটি অসবর্ণ করিতে হইবে!
মোদ্দা কথা উনার এই স্বরচিত ” বৈজ্ঞানিক ” ইউজেনিক্স ভারতে খুব বেশী চলে নি-কারন নেহেরু। যিনি হিন্দুদের বহুবিবাহ আইন করে রদ করেন । তবে শ্রীঠাকুর, থিওরী অনুয়ায়ী দুটি বিয়ে করেছিলেন। এতে সমাজে বিশুদ্ধ এবং ডাইভার্স সন্তান এসেছিল কিনা আমার জানা নেই – তবে সতীন ও সতীনপুত্রের ঝগড়ায়, তার সৎসঙ্গ আশ্রম উঠে যাবার উপায় হয় একসময়। শিষ্যরাও বিরক্ত হয়েছিল। আমার দাদু তার সন্তানদের ওপর খাপ্পা ছিলেন-এটুকু মনে আছে।
(৩)
কেও যদি জোকার নায়েকের বৈজ্ঞানিক আবিস্কারে পুলকিত হৌন-তাহলে অনুকুল চক্রবর্ত্তীর বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের উদ্ভাবনী শক্তিতে তূরীয় অবস্থা পেতে পারেন! উনার পুনঃজন্মের তত্ত্বটি এখানে হুবহু দিলাম –
।। পুণর্জন্ম কিভাবে হয় ।।
“সম্বেগ জীবের বা মানুষের মধ্যে gene-এর (জনির) ভিতর-দিয়ে যে pitch-এ
(স্তরে) ওঠে, মরে যাওয়ার সময় psycho-plasm-এ (মানস দেহে) engraved (মুদ্রিত)
হ’য়ে থাকে সেই pitch-এ wave-এর (তরঙ্গের) আকারে । মিলনেচ্ছু sperm-এর
(শুক্রকীটের) ভিতর সেই জাতীয় সম্বেগ সৃষ্টি হ’লে tunining (সঙ্গতি) হয় এবং মৃত
ব্যক্তি পুনরায় শরীর গ্রহণ করার সুযোগ পায় । জন্ম ও মৃত্যুর এটাই revolving process
(ঘূর্ণায়মান পদ্ধতি) ।”
আঃ প্রঃ ২১।১০৭ থেকে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের বাণী ।
শ্রী শ্রী ঠাকুরের মাথায় কতটা উর্বরা ফসফেট ছিল ভেবে দেখুন ত? ব্যাপারটা জাস্ট ভাবুন
আপনি মারা যাচ্ছেন-যাওয়ার সময় আস্তে আস্তে তড়িৎ চুম্বক তরঙ্গে বিলীন হচ্ছেন! সেই তরঙ্গের একটা ফ্রিকোয়েন্সি আছে? রাইট!
এবার ধরুন আপনি যে সময় মৃত্যুর কারনে তরঙ্গে পরিনত, একজাক্টলি সেই সময়, অনেক পুরুষ, অনেক নারীর সাথে সঙ্গমে রত এবং তাদের যোনীদ্বারে কোটি কোটি স্পার্ম সবে ঢুকতে শুরু করেছে ! এই সব স্পার্মও তরঙ্গায়িত! নীলস বোর বা হাইজেনবার্গ স্পার্মের ওয়েভ পপার্টি বার করতে ব্যর্থ হলেও, শ্রী শ্রী ঠাকুর ঠিক জানেন, স্পার্মের ওয়েভ পার্টিকল ডুয়ালিটি!
এবার আপনার মৃত আত্মার একটা ফ্রিকোয়েন্সি আছে এবং স্পার্মদেরও নিজস্ব ফ্রিকোয়েন্সি আছে! এবার আপনার আত্মার ফ্রিয়োয়েন্সির সাথে স্পার্মের ফ্রিকোয়েন্সি মিলে গেলেই আপনি খাঁটি “রেজোনান্স” পদ্ধতিতে স্পার্মের মধ্যে ঢুকে গেলেন!! তারপরে সেই মহিলার পেট হইতে সন্তান হিসাবে বাহির হইবেন।
তবে গুরুর তত্ত্বে অসম্পূর্নতা আছে যা তার শিষ্য বা পুত্ররা সম্পূর্ন করেন নি! প্রথমত কন্ডোম থাকিলে কি হইবে? তাহলে ত সবই গেল!! আর ওই কোটি কোটি স্পার্মের মধ্যে মাত্র একটিই ডিম্বানুর প্রাচীর ভেদ করতে পারে! ভেবে দেখুন-আপনি একটি স্পার্মের মধ্যে ঢুকে গেলেন রেজোনান্সের মাধ্যমে কিন্ত সেটি প্রাচীর ভেদ করিতে পারিল না !
তাহা হইলে কি হইবে? আপনি আবার সেই জন্মাতে জন্মাতে মারা পড়িলেন! রাইট? সেক্ষেত্রে আপনি –সেই স্পার্ম হইতে বাহির হইয়া, নতুন যোনির সন্ধান করিতে লাগিলেন না পুনজন্ম হইলনা বলিয়া, মহাবিশ্বে তরঙ্গায়িত হইয়া ভাসিতে লাগিলেন, এসবের সমাধান কিন্ত গুরুদেব দিয়ে যান নি!!
ভেবে দেখুন। মৃত্যর পর আবার জন্ম নেওয়ার চেষ্টাটা কিন্ত বেশ চাপের! ওই তরঙ্গের ফর্মে আপনি শুধুই যোনি খুঁজে বেড়াচ্ছেন যেখানে লিঙ্গ সবে ঢুকেছে আর স্পার্ম ফেলার তালে আছে! যোনিতে স্পার্ম পড়তেই আপনি ফ্রিকোয়েন্সি স্ক্যানার দিয়ে স্পার্ম খুঁজতে লাগলেন যদি ম্যাচিং ফ্রিকোয়েন্সি পেয়ে যান! তারপরেও যদিও নিস্তার নেই -কন্ডোম থেকে প্রতিযোগী স্পার্মদের কাছে হেরে যাওয়ার ট্রাবলটা এক্সট্রা! আমি বাপু মরে যাওয়ার পর এত ঝামেলার মধ্যে যেতাম না !
তবে এই সুমহান তত্ত্বটার জন্য উনাকে গোবেল প্রাইজ অবশ্যই দেওয়া উচিত ছিল!
ভাবতে অবাক লাগে জাকির নায়েক, অনুকুল ঠাকুর টাইপের লোকগুলো ধর্মীয় বাঙালী মধ্যবিত্তের মধ্যে জনপ্রিয় গুরুস্থানীয় চরিত্র। এই ব্যপারটা বোঝার জন্য যথেষ্ট আসলেই সংখ্যাগরিষ্ট বাঙালী কতটা অশিক্ষিত এবং অজ্ঞানের অন্ধকারে ডুবে আছে!
(৪)
কেও যদি ভাবেন শরিয়া এবং ইসলাম ভয়ংকর নারী বিরোধি-তারা অনুকুল ঠাকুরের “নারী” জাতির প্রতি উপদেশ পড়ে দেখতে পারেন! আমি দুয়েকটা মণিমানিক্য তুলে দিচ্ছি —মন্তব্য নেই কারন আমি সত্যই বাকরুদ্ধ!
”
এক মা জিজ্ঞাসা করলেন, স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে ভাল ব্যবহার করা সত্ত্বেও
স্বামী যেখানে স্ত্রীর সঙ্গে দূর্ব্যবহার করে, সেখানে স্ত্রীর কী করবে?
শ্রীশ্রীঠাকুর- ঐ কথাই তো বলছিলাম। প্রকৃতিগত সামঞ্জস্য
দেখে বিয়ে না দিলে স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই জীবন বিধ্বস্ত হ’য়ে যায়।
তুমি তোমার ধারনা অনুযায়ী হয়তো ভাল ব্যবহার করছ, কিন্তু স্বামীর
হয়তো অনুযোগ- আমি যা চাই, আমি যা পছন্দ করি, আমার স্ত্রী কিছুতেই
তেমনভাবে চলে না, সে তার নিজের খেয়ালমত চলে,
আমি তাকে নিয়ে আর পারি না। বড়জোর হয়তো বলবে, আমার
স্ত্রী এমনি ভাল মানুষ, কিন্তু আমি কিসে খুশি হই, আমি কিসে ভাল থাকি,
তা সে বোঝে না। তার নিজের এক ধরণ আছে, সেই ধরনে চলে। আমি বহু
ক্ষেত্রে দেখেছি, স্ত্রীর মত স্ত্রীও খারাপ নয়, স্বামীর মত স্বামীও খারাপ
নয়। উভয়েই ভাল মানুষ বলে সুনাম আছে বাইরে। সবার সঙ্গেই তাদের ব্যবহার
ভাল, কিন্তু উভয়ের মধ্যেই আর কিছুতেই বনিবনা হয় না। বিয়ে থাওয়ার এমনতর
গরমিল যদি কোথাও ঘটে গিয়ে থাকে, সেখানে স্বামী-স্ত্রীর
প্রকৃতিটা বুঝতে চেষ্টা করা উচিত এবং স্বামীর যাতে ভাল লাগে ও ভাল
হয় নিজের ব্যবহার সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা করা উচিত। একটা জ্যান্ত
মানুষের সাথে ব্যবহার করার সব সময় স্মরণ রাখা উচিত, আমি ইট, কাঠ
বা পাথরের সঙ্গে ব্যবহার করছি না। যার সঙ্গে ব্যবহার করছি তার
একটি রুচি আছে, প্রকৃতি আছে , মেজাজ আছে, ধরণ আছে। বদ্যি যেমন
নারী টিপে ধাত বুঝে ওষুধ দেই, মানুষের সঙ্গে ব্যবহারের দাওয়াইও
তেমনি ধাত বুঝে প্রয়োগ করতে হয়। এক কথায় মানুষের মন-মেজাজ
বুঝে চলতে হয়। এমনটি যদি না চলতে পার তবে তোমার ভালর
ধারণা নিয়ে আবদ্ধ হ’য়ে থাকলে তুমি কিন্তু কখনও মানুষের মন পাবে না। শুধু
স্বামীর সঙ্গে ব্যবহারেই এমনতর নয়। প্রত্যেকের সঙ্গে ব্যবহারেই চোখ, কান, মন
খোলা রেখে চলবে। নজর করবে, কে কখন কী অবস্থায় আছে। তাই বুঝে তখন
যা বলার বলবে, যা’ করার করবে। তুমি হয়তো মনে করে রেখেছ, স্বামীর
কাছে সংসারের একটা প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য আবদার করবে। স্বামীর মন
কেমন তা লক্ষ্য না করে, তুমি তোমার চিন্তার সম্ভেগ অনুযায়ী এমন সময়ই
হয়তো কথাটা তাকে বললে যখন তার মন নানা সমস্যায় ভারাক্রান্ত। তখন
সে তো চটবেই। আবার, তুমিও বলবে, আমি তো নিজের জন্য কিছু
চাইতে যাইনি, সংসারের জন্য দরকার, সেই দরকারী জিনিসের
কথা বলতে গিয়ে কত কথা শুনলাম। যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা।
আমার ভাল কথাটাও তোমার গায়ে সয় না। এই বেধে গেল আর
কি লাঠালাঠি। পরস্পর হিসাব করে না চলার দরুন অনেক গোলমালের সুত্রপাত
হয়। মেয়েদের বিশেষ বিশেষ শারীরিক অবস্থায় বিশেষ-বিশেষ মেজাজের
সৃষ্টি হয়, সেটা হলো সাময়িক ব্যাপার এবং শারীরিক অবস্থার সাথে জড়িত।
পুরুষ ছেলের এটা সম্পর্কে যদি কোন জ্ঞান না থাকে এবং তখনকার
স্বাভাবিক বৈলক্ষণ্যের দরুন যদি অযথা শাসন করতে যায়, তাহলে কিন্তু
হিতে বিপরীত ঘটে। আবার, স্বামী হয়তো ফিটফাট থাকতে পছন্দ করে, কিন্তু
স্ত্রী হয়তো অগোছাল, অপরিচ্ছন্ন রকমে চলতে অভ্যস্ত। সেখানে স্ত্রীর ঐ
চলনে স্বামীর তো অসন্তুষ্ট হবার কথাই।
মা-টি অকপটে বললেন, আমার ঐ দোষটি আছে।
শ্রীশ্রীঠাকুর: দোষ যদি বুঝে থাকিস, তবে সেরে ফ্যাল্। যা করলে শরীর-
মনের পক্ষে ভাল হয়, ছেলেপেলে ভাল থাকে, স্বামীরও মনোরঞ্জন হয়,
তা তো করাই লাগে। স্বামীর কাছে যত সময় নত থাকবি। যুক্তি তর্ক
দিয়ে কারো মন জয় করা যায় না। তোর যদি কখনও মনেও হয় যে, স্বামী তোর
সঙ্গে অকারণ দূর্ব্যবহার করছে, তাও বলবি, আমি কথাটা বলতে চেয়েছিলাম
ভাল, কিন্তু ভাল করে বুঝিয়ে বলতে না পারায় তোমার অশান্তির কারণ
হয়েছি। ত্র“টি আমারই। এইরকম যদি করতে পারিস তাহলে দেখতে পাবি,
স্বামীর সব রাগ গলে জল হয়ে যাবে। একটা জায়গায় কেবল স্বামীর
বিরুদ্ধে দাড়াতে পারিস, অর্থাৎ যদি দেখিস, স্বামী তাঁর মা-
বাবা বা গুরুজনের সঙ্গে অসমীচিন ব্যবহার করছে, সেখানে কখনও কিন্তু
স্বামীর পক্ষ সমর্থন করতে যাবি না, শ্বশুর-শাশুড়ীর পক্ষ হয়ে সেখানে ন্যায্য
প্রতিবাদ করবি। স্বামীর মঙ্গলের জন্যই এটা করা দরকার। অনেক স্ত্রী তাদের
স্বামীকে তাদের গুরুজন ও আপনজন হতে বিচ্ছিন্ন করে নিজেদের
আঁচলধরা করে রাখতে চায়। ভাবে, আমরা স্বামী-স্ত্রী ছেলেপেলেদের
নিয়ে সুখে থাকতে পারলে হলো, আর চাই কী? কিন্তু এত যে স্বামীর প্রতি ও
নিজের প্রতি শত্র“তা করা হয়, এ-কথাটা বোঝে না। স্বামীর
প্রতি শত্র“তা এদিক দিয়ে যে, স্বামী যাদের নিয়ে, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ,
প্রীতি, দায়িত্ব ও কর্ত্তব্যহীন করে তুললে সে ধীরে ধীরে অমানুষ হয়ে পড়ে,
তার জগৎটা হয়ে যায় সংকীর্ণ; কারণ, যে নিজের মা, বাপ,
ভাইবোনকে ভালবাসতে পারে না, তাদের প্রতি কর্ত্তব্য করতে পারে না,
সে দেশ ও দশকে ভালবাসবে, তাদের জন্য করবে, এ একটা মিছে কথা। অমনতর
যারা, তারা বড়জোর তথাকথিত politics (রাজনীতি)করতে পারে নাম-
চেতানর জন্য, স্বার্থ-সিদ্ধির জন্য। অন্তরের আসল বিস্তার তাদের কিছুই হয় না।
আর, তাদের আত্মপ্রসাদ বলেও কিছু থাকে না। যাদের খুশি করে, যাদের
আশির্বাদ ও প্রসাদ লাভ করে মানুষ বড় হবার প্রেরণা পায়, তাদের প্রতি টানই
যদি ছিঁড়ে যায়, তবে তার সম্বল কি রইল জীবনে তা তো বুঝি না।
ওভাবে রিক্ত ও নিঃসম্বল হয়ে করে দিল যে তাকে মনোজগতে, তার
প্রতি একদিন তার আক্রোশ আসাও অসম্ভব না। তখন ঐ
স্ত্রীকে হয়তো সে দুচক্ষে দেখতে পারে না। ভাবে, ঐ ডাইনী আমার
সর্বনাশ করেছে। আমার মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়স্বজন সকলের
থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে আমাকে। আমার সাজানো বাগান
শুকিয়ে ফেলেছে। ও আমাকেও চায় না। ও চায় আমাকে দিয়ে ওর নিজের
খেয়াল পূরণ করতে। এটা প্রকারান্তে নিজের প্রতি শত্র“তা নয় কি? তাছাড়া,
যে ছেলেপেলেদের সুখসুবিধার দিকে চেয়ে অমন করে, তাদেরও কি ভাল
হয়? যে সঙ্কীর্ণ স্বার্থপরতার দীক্ষা তাদের দেয়, তার ফলে তারাও
তো পরস্পরকে ভালবাসতে শেখে না। কালে-কালে তারাও তো মা-
বাবা ও ভাই-বোন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। যেমনতর বীজ বোনা যায়,
তেমনতর ফলই তো ফলবে। তখন হয়তো দেখবে, তোমার একটি ছেলে চর্ব্য, চোষ্য,
লেহ্য, পেয় খাচ্ছে আর একটি ছেলে পথে-পথে না খেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে,
কিন্তু সে তাকে এক মুটি ভাতও দিচ্ছে না। দিতে চাইলেও তার স্ত্রীর
ভয়ে পারছে না। এই অবস্থা দেখলে তোমার কি ভাল লাগে? কিন্তু এই
অবস্থাটার তো সৃষ্টি করলে তো তুমি।
মা-টি সঙ্কুচিত হয়ে বললেন, ঠাকুর! আপনি আর বলবেন না, শুনে বড় ভয় করে।
মেয়ে মানুষ বোকা জাত, তাদেরই কি যত দোষ? মেয়েমানুষ ভূল
করে যদি স্বামীকে তার বাপ-মার থেকে নিজের দিকে টানতে চায়,
তাহলেই স্বামীও কি সেই ভূলে সায় দেবে?
শ্রীশ্রীঠাকুর তা তো দেওয়া উচিতই নয়। পুরুষেরই তো দায়িত্ব বেশী। সেই
তো তার পিতৃভক্তি ও মাতৃভক্তির দৃষ্টান্তে স্ত্রীকে তাদের
প্রতি আরো শ্রদ্ধাপরায়ণ করে তুলবে। যেখানে স্বামীর অতখানি দৃঢ়তা ও
পৌরুষ নেই, সেখানে সতী স্ত্রীর অনেকখানি করণীয় আছে। সে যদি স্বামীর
ভালই চায়, তবে তাই করবে যাতে স্বামীর মঙ্গল হয়। স্বামী যদি তার মা-
বাবার প্রতি কর্ত্তব্যচ্যুত হতে চায়, সে বরং তখন
কলেকৌশলে চেষ্টা করবে যাতে বাপ-মার প্রতি তার টান
বাড়ে এবং আবেগভরে সে তাদের সেবাযতœ করে। মানুষের অন্তরে শ্রদ্ধা,
ভক্তি, প্রীতি ইত্যাদি বাড়াবার জন্য অনেক সময় দূতীগিরি করতে হয়।
স্ত্রী হয়তো স্বামীকে বলল, বাবা-মা তোমাকে খুব ভালবাসেন। বলেন ও
রাগধাগ করলে কি হয়? মন ওর খুব ভাল। বাইরে আধিক্যেতা নেই। কিন্তু সকলের
প্রতি অনেক টান। আবার, শ্বশুর-শাশুড়ীর কাছে হয়তো বলতে হয়,
উনি আমাকে সবসময় বলেন, আমার কিছু করা লাগবে না তোমার। তুমি সব সময়
দেখবা, বাবা-মার যাতে কোন কষ্ট না হয়।
এইভাবে যদি কৌশলে দূতীগিরি করা যায়, তাহলে পরস্পরের মধ্যে শ্রদ্ধা,
প্রীতি, ভাব-সাব গজিয়ে দেওয়া যায়। এই তো সতী স্ত্রীর কাজ,
লক্ষ্মী বৌয়ের কাজ। গড়া সংসার ভাঙবে না সে, ভাঙা সংসার গড়বে সে,
জোড়া লাগাবে সে। মায়েদের তুই বোকা বলিস? বোকা হলে কখনও সন্তান
পেটে ধরে মানুষ করে তুলতে পারে? দে তো একটা ব্যাটাছাওয়ালের
কাছে একটা মা হারা শিশুকে মানুষ করার ভার। প্রায়ই হাগে-
মুতে একসা করে ফেলবেনে। কিন্তু মায়েরা কেমন অনায়াসেই করে তা। তাই
নিজেদের কখনও ভাববি না। তোরাইতো বুদ্ধিস্বরুপিণী, লক্ষ্মীস্বরুপিণী,
দূর্গতিনাশিনী, দুর্ম্মতিদলনী দূর্গা। তোরা আছিস, তাই তো আমাদের
আগলে রেখেছিস। নইলে আমাদের উপায় ছিল কী?
[তথ্যসূত্র: আলোচনা প্রসঙ্গে, ৬ই কার্তিক, শুক্রবার, ১৩৪৯ (ইং ২৩/১০/১৯৪২)]
এবার উনার নারীবাদি তত্ত্বগুলি সাজিয়ে নিন
নিজেদের ভালোর জন্য নারীর স্বীকার করা উচিত তারা হীনবুদ্ধির জীব
স্বামী অত্যাচার করলে, বকলে, ভুল ব্যবহার করলেও তা মেনে নিতে হবে -কারন লং টার্মে তা সংসারের জন্য ভাল “যুক্তি তর্ক
দিয়ে কারো মন জয় করা যায় না। তোর যদি কখনও মনেও হয় যে, স্বামী তোর
সঙ্গে অকারণ দূর্ব্যবহার করছে, তাও বলবি, আমি কথাটা বলতে চেয়েছিলাম
ভাল, কিন্তু ভাল করে বুঝিয়ে বলতে না পারায় তোমার অশান্তির কারণ
হয়েছি। ত্র“টি আমারই। এইরকম যদি করতে পারিস তাহলে দেখতে পাবি,
স্বামীর সব রাগ গলে জল হয়ে যাবে। ‘
নিজেদের সংসার এবং সন্তান ছাড়া নারীর আর কোন কাজ নেই , জীবনের আর কোন উদ্দেশ্য নেই
সব সময় স্বামীর মন ও মেজাজ বুঝে চলতে হবে-তবে সে সার্থকনামা স্ত্রী!
মুশকিল হচ্ছে এত বড় একজন খোরাকের পেছনে, এতটা সময় দিয়ে লেখাটা ঠিক হল কি না ! কিন্ত যেভাবে রাজনৈতিক কারনে হিন্দুত্বের বিষ রক্ত আবার বাংলাতে ঢুকছে, পবিত্র হিন্দু গুরুরা ঠিক কি টাইপের এবং কোন গোয়ালের গরু সেটা মনে করিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছি।
অনেক মানুষ যাকে,মানে গোনে জানবে, তার মধ্যে একটা দৈব কৃপা আছে।সে চোর,ডাকাত, পন্ডিত,সাধু যাই হউক না কেনো।
তাই, আমার বিশ্বাস যা সত্যি তাই বেঁচে থাকবে।যা সত্য নয়, তাকে কেউই বাঁচাতে পারবে না। বেশী তর্ক বিতর্কে না গিয়ে, নিজের মনের আনন্দ নিয়ে বাঁচার চেষ্টা করা শ্রেয়।তবে হ্যাঁ, সুপ্রিম পাওয়ার বলে ত একটা বিষয় আছেই। তাঁকে মানতেই হবে।
সৃষ্টি কর্তা তোমাকে প্রণাম।
দেখুন ধর্মকর্ম যদি রাজনীতি তে আনা হয় তাহলে দেশের দশের জন্য অমঙ্গল আমি মনে করি
আমার মনে হচ্ছে উনি চরম জাতি বিদ্বেষি ছিলেন। যখন তিনি বর্তমান ছিলেন তখন হয়তো বানী গুলো সময়োপযোগি ছিলো। বর্তমানে এর ২% ও খাটে না। আর জন্মান্তর বাদের (পুনর জনম) বিষয়টা পুরোই হাস্যকর। তবে বিচক্ষণ লোক ছিলেন না হলে এমন বংশানুক্রমিক ব্যাবসা চালু করা চাট্টিখানি বিষয় না।
বিপ্লব দা আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে আপনি আমেরিকা থেকে এদেশের “মূর্খ ” ভক্তদের জন্য ভাবছেন কিন্তু আমেরিকাতেও তো কিছু শিষ্য আছে বলে শুনেছি । তাদেরকে একটু বোঝান দয়া করে ।
আপনি বললে নিশ্চয়ই শুনবে কারণ আপনি কত্ত কিছু জানেন !!!
ঠাকুর পাক্কা সেয়ানা মাল। শূদ্র পুরুষের সাথে উচ্চবর্ণের নারী বিবাহে “অশুদ্ধ” রক্তবিশিষ্ট সন্তানের সৃষ্টি হয়। বায়োলজি বা মেডিকেল সায়েন্সের কোন চ্যাপ্টারে এই ধরণের উজবুক টাইপ থিওরি আছে, বা কোথায় এমন কোন বৈজ্ঞানিক গবেষণা আছে- আমার জানা নেই। মানে ঠাকুর তার “বর্ণবাদ” টেকাতে এই বস্তা পচা থিওরি তার চ্যালা চামুণ্ডাদের উপর প্রয়োগ করেছেন৷ এই ঠাকুর ছড়া কেটে বলেন, “মানুষ আপন টাকা পর, যত পারিস মানুষ ধর”। তো এই বর্ণবাদী থিওরি কি তার মানুষ ধরার কায়দা??? ইষ্টভৃতি নামক ব্যবসার কথা না হয় বাদই দিলাম, এটা বংশপরম্পরায় তাদের বিরাট ব্যবসা। এই ঠাকুর তার “নারীর নীতি” বইয়ে স্বামী স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য ন্যূনতম ২২ বছর হওয়া উচিত বলে দাবি করেছেন, অথচ তার প্রথম স্ত্রীর সাথে তার বয়সের পার্থক্য ৫ বছর বা এর কাছাকাছি। মানে এই ঠাকুর নিজেই তার নীতি মানেন না!!! মানুষের বর্ণ নির্ধারিত হয় তার কর্মে, তার জন্মের মাধ্যমে নয়। একজন মুচির সন্তানও নিজ কর্মগুণে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করে ব্রাহ্মণ হতে পারে- এটাতো শাস্ত্রের কথা। কিন্তু এই ঠাকুর “জন্মগত বর্ণেই” বিশ্বাসী। মানে তিনি নিজে জন্মসূত্রে ব্রাহ্মণ, তাই তার ব্রাহ্মণত্ব ধরে রাখতে হলে এই থিওরি বহাল রাখতেই হবে। কী অদ্ভুত। এত ছোট মানসিকতার লোকদের জন্যই হিন্দুধর্মে জাত পাত মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। মানুষকে মানুষ মনে করে না এসব থিওরি। তার তত্ত্বমতে, একজন আদর্শ পুরুষ বহুবিবাহের উপযুক্ত। তো তার নারী চ্যালাগুলো ঘরে সতীন আনলেই পারে। আনে না কেন??? ঠাকুরের যেহেতু নির্দেশ…. 🤣🤣🤣
অনুকূলচন্দ্রের স্ত্রীর সংখ্যা ৬/৭ টি। আলোচনা প্রসঙ্গে প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ, পৃষ্ঠা সংখ্যা ৬৪ দেখুন।
এটা পাল বাবুর বিপ্লবী লেখা বটে তবে তথ্যে ভুল আছে। পুরুষোত্তম ঠাকুর শ্রী শ্রী অনুকুল চন্দ্র দু’টি নয় ৬/৭ টি বিবাহ করেছিলেন। দেখুন “আলোচনা প্রসঙ্গে” প্রথম খণ্ড (১৩৫২ সালের সংস্করণ) পৃষ্ঠা সংখ্যা ৬৪। শ্রী শ্রী ঠাকুর খুব বুদ্ধিমান ছিলেন বলেই এতগুলো বিয়ে করেছিলেন। “রামরহিম” বা “আশারাম বাপু” হতে কোনো বুদ্ধিমান ব্যক্তি চাইবেন কি?
বিল্পব পাল, ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র যেন, আপনার সব দোষ ক্ষমা করে দিয়ে আপনার মংগল করুন।
সেই সাথে আপনার শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।
—————-জয়গুরি
ঠাকুর ভন্ড অনুকুল চন্দ্র ক্ষমা করার কে?
জে ঠাকুরকে অর্থ দিয়ে সেবা কিরতে হয় সে অবশ্যই ভন্ড।
অনুকুলকে ঠাকুর মনে লরেন কিভাবে??
সে তো একজন ব্যবসায়ী।
দয়া লরে ওর নাতির খবর নিয়ে দেখুন
সে কোন মডেলের গাড়ি তে চোড়ে আপনার টাকা দিয়ে।
আমাদের দেশে অনেক গুরু র অস্তিত্ব আছে তাই চয়ন করা কঠিন হতে দারায়।তাই গুরু চয়ন সব কিছু যেনে তার পর দীক্ষা নিতে হয় আর দীক্ষা নেয় আর পর আর কোনো মনে সন্দেহ যেন না জাগে।পোস্ট গুলো পরলাম।একটা কথা আছে বিশ্বাস এ মিলায় বস্তু।আমরা নিজেরা কে করছি বা কতো খানি অন্যের জন্য করতে পারছি আয় সব না করে যারা কিছু করার চেষ্টা করছে তাদের দিকে অংলি দেখাচ্ছি।
আর যাই হোক, লেখাটার জন্য আপনি একটা গোবেল প্রাইজ অবশ্যই পাবেন।
অপূর্ব।
মহাশয়, অত্যন্ত খেদের সহিত বলতে বাধ্য হচ্ছি .. আপনার দেখানো যুক্তি গুলি বড়োই ঠুনকো ।
প্রথমত, আপনি প্রকৃত পক্ষে ঠিকঠাক অধ্যয়ন ই করেন নি । ঠাকুরের কথা গুলি নিজের মতো ব্যাখা করিলে এইরকম অর্থই বার হবে ।তাই আলোচনা প্রসঙ্গে গুলি পড়ুন।
দ্বীতিয়ত, eugenics বিষয়ে research এর বর্তমান result গুলি ও research paper গুলির দিকে নজর রাখুন ।নিজেই বুঝতে পারবেন ঠাকুরের বলা কথা গুলি কতটা প্রাসঙ্গিক।আমি নিজে এ বিষয় নিয়ে research এ যুক্ত থাকার দরুন এটা at least জোর গলাতেই বলতে পারি।
৩য় ত, আত্মার বিষয়টিও সত্য হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
দু:খিত, ভবানিপ্রসাদ সাহু র স্থলে ভুল বশত সাধু হয়ে গেছে ।
পাঁচ বছর বয়স থেকে আমি অনুকুল ঠাকুরের শিষ্য ।আমার বাবা অনুকুল ঠাকুরের বিরাট ভক্ত ছিলেন ।আমাদের চার ভাই বোন সহ কাকাত জ্যাঠাত সব দাদা দিদি ভাই বোন কে বাবা দীক্ষা দিয়েছিলেন ঋত্বিকদের সহায়তায় ।
প্রতিদিন সন্ধ্যায় বিনতি অর্থাৎপ্রার্থনা এবং সকালে বাসীপেটে একমুঠো চাল বা দশ /কুড়ি পয়সা দিয়ে ইষ্টভৃতি ছিল অবশ্য পালনীয় কর্তব্য ।
আমরা ছিলাম ছোড়দা গ্রুপের ফলোয়ার । তবে গ্রামে বড়দা গ্রুপের শিষ্য সংখ্যা বেশী হওয়ায় তাদের দাপট ছিল বেশী ।আজও আছে । ছোড়দাপন্থীদের কেউ কেউ বড়দা পন্থীদের দলে সামিল হয়ে দলটাকে আরও বড়ো করেছে ।আর ছোড়দাপন্থীরা কমতে কমতে এখন একটা পরিবারের নিজস্ব মন্দিরে বন্দি হয়ে গেছে ।
আমি তখন ক্লাস ইলেভেন । নিয়মিত সান্ধ্য প্রার্থনা এবং ইষ্টভৃতিটা নিষ্ঠা ভরে করি ।কোন কুচিন্তা কুদৃশ্য (বিশেষ করে মেয়ে বা নারী সম্পর্কে) দেখলে “রাধাস্বামী” “রাধাস্বামী”বলে মনে মনে পাপ মোচন করে ফেলি ।রাধাস্বামী হল সৎসঙ্গী অর্থাৎ অনুকুল ঠাকুরের শিষ্যদের বীজ মন্ত্র। তো ঐ সময়ে টিউশন পড়তে গেছি ।টিচার কথায় কথায় জানতে পারলেন আমাদের এক সহপাঠি অনুকুল ঠাকুরের শিষ্য ।তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন ঈষ্টভৃতি করে কিনা ।সে বল্ল প্রতিদিন সকালে এক টাকা অর্থাৎ মাসে ত্রিশটাকা র ইষ্টভৃতি করে এবং দেওঘরে মানিঅর্ডার মারফত পাঠিয়ে দেয়।
টিচার তখন তাঁর কাছে জানতে চান ইষ্টভৃতি কেন করতে হয়?
সহপাঠি জানালো পারিপার্শিকের কল্যানের জন্য। টিচার বল্লেন দেওঘর কি তোমার প্রতি বেশী? ছেলেটি বল্ল না ।
তাহলে কি করে তুমি প্রতিবেশীর কল্যান করছ?
তোমার প্রতিবেশীর কল্যান তখনই হবে যখন তুমি ঐ টাকা দিয়ে তোমার প্রতিবেশী গরীব ছাত্রকে বই কিংবা খাতা কিনে দেবে ।
কথাটি শুনে ছেলেটির কীহল জানিনা ।কিন্তু আমার মনে সংশয়ী বীজ বোপিত হয়ে গেল ।সেই টিচার পাশের বাড়ি আর এক শিক্ষকের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন আমাকে ।তাঁর লাইব্রেরীর বই এবংবিজ্ঞান চেতনা ফোরামের “চেতনা” পত্রিকা আমাকে অনুকুল ঠাকুরের কোল থেকে ছিটকে যুক্তির খেলা ঘরে এনে ফেল্ল ।প্রবীর ঘোষ, ভবানীপ্রসাদ সাধু, উৎস মানুষ প্রকাশিত বই গুলো, সুরেশ কুন্ডু প্রমুখের বই পড়ে আমার মুন্ডু ঘুরে গেল ।
এখন অলৌকিক গাল গপ্প কিক মেরে বাইরে ফেলি ।আর অলৌকিকতার ছাল ছাড়িয়ে নিলে ধর্ম আর তার পোষ্য পুত্র ধর্মগুরুদের আগডুম বাগডুম বকবকানি ছাড়া আর থাকে কি?
আপনার প্রবন্ধে উল্লেখিত ছেলেটি ইষ্টভৃতির তাৎপর্য্যই জানে না৷অবাক হয়ে যাই এত ছোট থেকে দীক্ষা নিলেন বড় বড় মানুষদের লেখা পড়ে ‘চেতনা’ জাগ্রত করলেন৷ অথচ শ্রী শ্রী ঠাকুরের একটা বই পড়লেন না?
মিস্টার কেজি ঃইষ্ট ভৃতির নিয়মাবলী
————————–
দিন গুজ রানী আয় থেকে কর
ইষ্ট ভৃতি আহরণ ,
জল গ্রহণের পূর্বেই তা’
করিস ইষ্টে নিবেদন;
নিত্য এমনি নিয়মিত
যেমন পারিস ক’রেই যা
মাসটি যবে শেষ হবে তুই
ইষ্ট স্থানে পাঠাস তা’;
ইষ্ট স্থানে পাঠিয়ে দিয়ে
আরো দুটি ভুজ্যি রাখিস,
গুরু ভাই বা গুরুজনের
দু’জনাকে সেইটি দিস;
পাড়া -পড়সির সেবার কাজে
রাখিস কিন্ত্ুকিছু আরো,
উপযুক্ত আপদ্গ্রস্থে
দিতেই হবে যেটুকু পার;
এসবগুলির আচরনে
ইষ্ট ভৃতি নিখুঁত হয়-
এ না- করে ইষ্ট ভৃতি
জানিস কিন্ত ু পূর্ণ নয় । –শ্রী শ্রী ঠাকুর
——————————————————————————————
ইষ্ট ভৃতির বঙ্গানুবাদঃ
=============
” ওগো প্রভু ! ওগো দেব ! ইষ্ট ভৃতি নিবেদন করি তব প্রীতি কামনায়। ইষ্ট ভ্রাতা সহ ,জীব জগতের এ সেবা যজ্ঞে পারিপার্শ্বিক যেন তৃপ্তি পায় ।”
মিস্টার কেজি ঃ১– আমার সহপাঠী যে উত্তর টি দিয়েছিল তা বেশ খানিকটা ঠিক ছিল । আর ইষ্ট ভৃতির তাৎপর্য বোঝাতে আপনি কি বোঝাতে চেয়েছেন জানতে পারিকি?
২– সেদিন আমাদের শিক্ষক মহাশয় ইষ্ট ভৃতি নিয়ে যে প্রশ্ন করেছিলেন সেটা আজও সমান প্রাসঙ্গিক নয় কি?
‘ সৎসঙ্গ ‘ প্রতিষ্ঠান দ্বারা অনুকুল চন্দ্রের যে বিপুল পরিমান সম্পদ অর্জিত হয়েছে ও হচ্ছে তা স্বার্থ সংঘাতের কারনে পারিবারিক কোন্দলে এখন একাধিক ভাগে বিভক্ত।
৩–আর আমি ঠাকুরের একটা বইও পড়িনি আপনি কেমন করে বুঝে গেলেন জানিনা। তবে ঠাকুরের ‘সত্যানুসরন’ ও ‘ পুন্যপুথি’ সকাল – সন্ধ্যা প্রতিদিন কিছুটা করে অবশ্য পাঠ করতে হত তা তুমি বোঝ আর নাই বোঝ। বাড়িতে ঠাকুরের আরও বই এবং পত্র -পত্রিকা ছিল । তখন ততটা আগ্রহ ছিলনা বই গুলো পড়ার , যখন ঠাকুরের অনুসারী ছিলাম।পরবর্তীতে যখন নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বই গুলো কিছু কিছু পড়লাম আমার তেমন আহামরি কিছু মনে হয়নি । অনেক প্রশ্নের উত্তর অসঙ্গতিপূর্ণ ,অযথা বাগাড়ম্বর ময় ও অস্পষ্ট ।
শং.কু.বি….
সর্বপ্রথম আপনাকে ধন্যবাদ যে আপনি ইষ্টভৃতির তাৎপর্য্য সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ আপনার পূর্ব যে লেখায় আপনি আপনার বন্ধু সম্পর্কে লিখেছেন সেখানে কিন্তু পরিপূর্ণ বিষয়টি ইচ্ছাকৃত ভাবে ফুটিয়ে তোলেন নি আর নতুবা আপনার শিক্ষক ভুল বুঝেছেন৷ দেওঘর ইষ্টধাম , প্রতিবেশী কে সেটা নিশ্চয় বোঝা উচিত৷ আর আপনি যেটা ঠাকুরের বানীর উল্লেখ করেছেন তাতে পুরো বিষয়টিই পরিষ্কার৷ তবুও আপনার জ্ঞাতার্থে একটা তথ্য দিই ঠাকুরের সাওতাল ভক্ত তার উপার্জনের অক্ষমতা জানিয়ে ঠাকুরকে ছাই দিয়ে ইষ্টভৃতি করেছিল৷ ঠাকুর তা গ্রহন করেন৷এর পরের ঘটনাটা আর উল্লেখ করলাম না কারন আপনার ক্ষেত্রে তা নিস্প্রোয়োজন৷ আর সকাল সন্ধ্যে শুধু সত্যানুসরন বা পূণ্যপুঁথি কেন আরও অনেক গ্রন্থ পাঠ করা যায় যেটা হয়তো তোমাকে কেউ বলেনি৷ উদাহরণস্বরুপ বলি নারীর নীতি,চলার সাথী,পথের কড়ি, সম্বিতী,অনুশ্রুতি ইত্যাদি৷ এই প্রত্যেকটি গ্রন্থই প্রাত্যাহিক জীবনের দিগ্ নির্দেশক৷ আপনি বললেন আপনি অনেক কিছুই পড়েছেন এবং আপনার মনে হয়েছে সেগুলো অসংগতিপূর্ণ ও বাগাড়ম্বর৷ তাই যদি হয় তাহলে আমার প্রশ্ন দলে দলে এত নরনারী কেন ছুটে আসছে তাঁর কাছে ওনার দেহরক্ষার এত দিন পর? এমন অনেকে আছেন যারা রীতিমতন ঠাকুরের গ্রন্থ নিয়ে নিয়মিত চর্চাও করেন৷ আর আপনি নিশ্চয় সৎসঙ্গের কর্মকান্ড সম্পর্কে অবহিত৷ স্বাধীনতার পূর্বে হিমায়েতপুরে কি বিপুল কর্মযজ্ঞের আয়োজন ঠাকুর করে তুলেছিলেন৷ সেই একই লক্ষ্যেই আবার দেওঘরে নতুন করে শুরু করা৷আর আপনি যে বিভেদের কথা উল্লেখ করলেন তার উত্তর আমার পক্ষে এখানে দেওয়া সম্ভব না
পরিশেষে একটা কথা বলি ঠাকুরের আদর্শ আজও আমার দৃষ্টিভঙ্গিতে এ সমাজজীবনে সমান প্রাসঙ্গিক৷
আপনার দাদুর নাম কি?
বাহ্
অনুকুল ঠাকুরের একটি জনপ্রিয় ছবি আমি অনেক শিষ্যের বাড়ীতে দেখে অবাক হই ৷ ছবিটি ওনার খালি গায়ে
চেয়ারে বসে হুকা টানার ৷ তামাক জাত ধূম পান ক্ষয় রুগের কারন তা ডাক্তার হিসাবে ওনার জানা উচিৎ ৷ তাছাড়া
সাধুদের কোন মাদক দ্রব্যের প্রতি নেসা থাকা সমিচীন নয় ৷ কারন শিষ্যেরা সাধারনতঃ গুরুদের অনুকরন ও
অনুসরন করে থাকে ৷ তবে কোন কোন গুরু শিষ্যদেরকে আগে থেকেই সাবধান করে দেয় যে ‘ আমি যাহা করি
তাহা করিবেনা আর আমি যাহা বলি তাহা করিবে ‘ ৷ একাধিক পত্নী গ্রহনের উপদেশ লোভনীয় বটে তবে শিষ্যেরা
কতটুক মান্য করতেন তা জানা নেই ৷ গুরুদেব অবশ্য তা হালাল করে দিয়েছেন ৷
ভুল হলে মাপ করবেন,,,
জনাব,
শিবের গাঁজা খাওয়ার অভ্যাস আছে বলে আমরা অনেক ধর্মীয় গ্রন্থের মধ্যে পাই।
আবার শ্রী কৃষ্ণের চরিত্র নিয়েও অনেকে অনেক কথা বলে।
অতএব মহাশয় আপনি কি তাদের অনুকরণ করা ছেড়ে দিবেন বা পূজা করা??
শাবাশ
শিব গাজা খেয়েছেন আপনি কোনো গ্রন্থ বা শ্লোক বা এমন কিছু প্রমান দেখাতে পারবেন কি। আপনার আগে বহুজন এই একই শিবের গাজা খাওয়া বিষয়টার কলাপাতা দিয়ে হুক্কাখোর অনুকূলের হুক্কা ঢাকতে চেষ্টা করেছে কিন্তু পারে নাই। অনুকূল ঠাকুরের মত কিছু ভন্ড ব্রাহ্মণ নিজের হুকা বিড়ি খাওয়াকে বৈধতা দেওয়ার জন্য শিবের হাতে হুকা ধরিয়ে দিয়েছে। ভগবান শিব তো গলায় বিষ ধারন করেছিল কিন্তু ভন্ডানুকুল নিজের রোগ মুক্তির জন্য দক্ষিণ হস্তে তাবিজ ধারন করেছে।
এক কালের ভন্ড গুরু বালক ব্রহ্মচারি কে নিয়ে একটা লেখা হোক চাই সেটা।
প্রবন্ধ টি পড়ে অনেক ভাল লাগল। আমাদের সমাজ ভুল নিয়ম কানুনে ভরা। ধর্মের নামে অধর্ম। ধর্ম নিয়ে ব্যবসা। আর এই সব ভুল ধরার মানুষ খুব কম। কারণ বেশীর ভাগ মানুষ বোকা ও অন্ধ বিশ্বাসী।
যারা সত্য কিছু জানতে পেরেছে তাদের অন্যদের সেই সত্য জানানো উচিত।
এই ধরনের প্রবন্ধ আরও আশা করছি।
অনুগ্রহ করে মন্তব্যটি বাংলায় লিখে আবার পাঠান।
এই ব্লগে বাংলায় করা মন্তব্য গ্রহণীয়। ধন্যবাদ।
আমার মা বাবা এনার অন্ধ ভক্ত। স্বস্তৈনি নিয়েছেন… মানে নিজে রান্না করে খাবে। অন্যের রান্না খাবে না।
আপনি যে ১/২টাকার স্কীম বললেন, সেটা ছাড়াও আরেকটা আছে। ভক্তদের পরিবার পপিছু মামাসে ৫১ট৫১টাকা করে দান যায় দেওঘরে।
আমি হিসেব করে দেখেছিলাম তাতে করে মাসে কিছু না হোক অন্তত ২কোটি করে টাকা আসে আর সব দেবোত্তর সম্পত্তি।
বাবার মাথায় যে এই পোকা ঢুকিয়েচে, সে আমায় গত ১৫ বছর ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছে যাতে আমিও ভক্ত হই।ইইনসেনটিভ বাড়ে হয়তো।
ধন্যবাদ লেখক কে। আরেকটা ব্যাপার , অনেকে ভুলে গেছেন। বিরেন্দ্র চন্দ্র চক্রবর্তী , যাকে পশ্চিম বাংলার লোক “বালক ব্রহ্মচারি”
বলে জানতেন। তার ভন্ডামির মুখোশ খুলে দিন। বালক ব্রহ্মচারির মত এক ভন্ডের ফলে কত লোকের কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছিল তুলে ধরুন এই ভন্ড গুরুর কাহিনি।
সুভাষ বাবু আপনি দীক্ষা নিয়েছিলেন কিন্তু ঠাকুরের নিয়ম মেনে চলেন কি না বা ওনার দর্শন এবং আদর্শ কতটা জেনেছেন জানি না৷ অনুরোধ রইল যদি সম্ভব হয় তো পড়বেন৷ তাহলে আপনার প্রশ্নগুলির উত্তর পেয়ে যাবেন৷এটা হতে পারে আপনি যাদের কে জিজ্ঞেস করেছিলেন তাঁরা হয়তো ঠিকমতন ব্যাখ্যা করতে পারেন নি৷ আমি নির্দিষ্ট বলতে পারব না কিন্তু স্কুল যদি বোর্ড স্বীকৃত না হয় তবে ছেলেরা এতদিন ধরে কি করে পড়ে আসছে?আর বিশ্ববিদ্যালয় এরপর হতে পারবে না সে বিষয়ে কি আপনাকে কেউ নির্দিষ্ট ভাবে বলেছে?
এবার আসি ছদ্মবেশী বিপ্লবী পালের কথায়, আপনার দাদু ঠাকুরকে বুঝেছিলেন আপনি পারলেন না৷ আপনার দুর্ভাগ্য যে আপনি দাদুর নিকট সৎসঙ্গের সুশিক্ষা পেলে নিজের মস্তিষ্কপ্রসূত কল্পনার আশ্রয় নিতেন না ঠাকুরের বানী ও দর্শনকে ব্যাখ্যা করার জন্য৷ ঠাকুর নিজে দুই বিবাহ করেছিলেন মাতৃআজ্ঞা পালন করতে কোথাও সবাইকে দুই বিবাহ করতে আদেশ বা পরামর্শ দেন নি৷ উইকি পিডিয়াতে আমি তো পাই নি৷ পেলেও সেটা ঠিক নয় কারন আমি ঠাকুরের সাহিত্যে এর উল্লেখ পাই নি৷আপনি আপনার মায়ের বাবাকে বুঝলেন না তাকে অবজ্ঞা করলেন ঠাকুর কিন্তু এতটাই মাতৃভক্ত ছিলেন যে স্কুলের পরীক্ষায় যেতে দেরী হচ্ছে দেখে মা বলেছিলেন “আজ আর কিছুই পারবি না পরীক্ষায়” তাই জানা স্বত্তেও লেখেন নি৷ এটা একটা বাচ্চা ছেলেও বুঝবে তিনি দেহ রেখেছেন আজ প্রায় অর্ধ শতাব্দী হল কিন্তু তবুও দলে দলে নরনারী তাঁর নিকট ছুটে যায়, আপনি কিন্তু প্রাণ ভয়ে নিজের দেশে ফিরতে পারছেন না৷ ঠাকুরকেও অনেকে প্রাণসঙ্কটে ফেলতে চেয়েছিল পারে নি তাঁর প্রেমের জাদুতে তারাই আবার তাঁকে ঠাকুর বলে মেনেছে৷ ইষ্টভৃতি প্রসঙ্গে বলি ইষ্টভৃতি হল ইষ্টে নিবেদন৷ভালবাসার অর্ঘ্য কিন্তু ভালোবাসার অর্ঘ নয়৷ ঠাকুরের সাওতাল ভক্ত ঠাকুরকে ছাই দিয়ে অর্ঘ্য নিবেদন করেছিল৷কারণ তাঁর(সাওতাল) কাছে ঠাকুরকে নিবেদন করার মতন দিনের শেষে কিছুই থাকত না৷ আপনি দয়ালের ভক্ত হলে তাঁকে কি অর্ঘ্য নিবেদন করবেন সেটা আপনার উপর কিন্তু মাসের শেষে ঠাকুরের উদ্দেশ্যে পাঠানোর সময় সাধারণত অর্থটাই handy থাকাতে ওটাই চলে আসছে৷ আমার নাম মনে নেই তবে একজন বিখ্যাত ব্যাক্তিত্ব একদা বলেছিলেন if u want to destroy civilization of a nation 3 ways to follow,
1. destroy family structure.
2.destroy education system.
3.lower their roll model & references.
আমাদের মানব সভ্যতার পরিবারের নিউক্লিয়াস হল নারী৷ মা এবং স্ত্রী হিসেবে তাঁর যা ভুমিকা তাতে পরিবারের বাকি সদস্যরা তাকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকে নিউক্লিয়াস ভেঙে যাওয়া মানে পরমানুরুপী পরিবারের কোনো অস্তিত্বই আর থাকে না৷তাই নারীর নীতিতে ঠাকুর নারীদের প্রকৃত কর্তব্য স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন৷আপনার জ্ঞাতার্থে জানাই যে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগেও পশ্চিমের উন্নত দেশগুলিতে নারী পুরুষের মধ্যে অবাধ মেলামেশা ছিল না৷ তাই যে tradition বা culture আমাদেরকে যুগ যুগ ধরে identity দিয়েছে তাঁকে হঠাৎ করে মানছি না মানব না, নিপাত যাক গোছের চিন্তা ভাবনা করাটা যুক্তিযুক্ত নয়৷ইতিহাস বলে বর্ণভেদ প্রথা কর্মের মাধ্যমে শুরু হয় এবং যুগ যুগ ধরে বিবাহের মাধ্যমে বংশ পরম্পরায় অভিযোজিত হতে থাকে ৷ আপনি আশা করি জিনের ধর্ম সম্পর্কে অবহিত আছেন জনুর পর জনু ধরে জিন যে কর্মের ছাপ তুলে রাখে তা বহন করে চলে৷ তাই যে জাতিভেদ প্রথা না মেনে বিবাহ করলে তাতে কিন্তু সত্যিই বিশুদ্ধতাটা থাকে না যা কর্মকুশলতাকেও সঙ্কটে ফেলে ব্যাপারটা এরকম আপনি ফজলি আম আর ল্যাঙড়ার কৃত্রিম প্রজনন ঘটালেন কি পাবেন একটা আম যাতে না ল্যাঙড়ার সবগুণ বিদ্যমান না ফজলির৷ এটা আমার বক্তব্য না বংশগতি বিদ্যার জনক মেন্ডেলের পরীক্ষালবদ্ধ ফল৷ মানুষে মানুষে পারস্পরিক শ্রদ্ধা , ভালোবাসা থাকবে না এটা বর্ণভেদ প্রথার উৎস ছিল না ৷ পরবর্তীকালে আপনার মতন কিছু মানুষের ভুল ব্যাখ্যার ফল ওটা৷ ঠাকুরের ideology তে ধর্ম হল যুগের পর যুগ ধরে “বাঁচা -বাড়া” (live & grow) ঠাকুর বলেছেন হিন্দু , মুসলমান এগুলো সম্প্রদায় ধর্ম নয়৷ আর আপনার দুস্পর্ধা দেখুন আপনি তাকে কি পুরস্কারে ভুষিত করতে চাইলেন৷ আপনি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করুন যে সেই দেশে জন্মেছেন যার identity প্রকাশ পায় আধ্যাত্মিকতা থেকে৷ ঋষি কণাদের নাম শুনেছেন তো! যিনি পুরাকালে প্রথম পরমানুর অস্তিত্ব সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে ধারণা দিয়েছিলেন যা সেইসময়ে আজকের তথাকথিত উন্নত দেশগুলির ধারণার ও বাইরে ছিল৷ কি ভাবে পারলেন! যোগ – ভারতীয় আধ্যাত্মিকতা৷ আর তাঁরই পরবর্তী তে একজন বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি cosmologyst Dr.মণি ভৌমিক তাঁর বইতে সৃষ্টি তত্ত্বকে তুলনা করেছিলেন বিষ্ণুপুরাণে বর্ণিত নারায়ণের cyclic way তে সৃষ্টি রহস্যের সঙ্গে৷ ওপেনহাইমারের নাম জানেন তো! যিনি প্রথম পরমানু বোমা ফাটিয়ে তার বিদ্ধংসী ক্ষমতাকে গীতায় শ্রীকৃষ্ণের বিশ্বরুপের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন৷ আজ থেকে ১৫০ বছর আগে লোকে বিদ্যুৎকে ব্যাবহার করার কথা ভাবতে পারত না আজ তো আপনার হাতে smart phone রয়েছে! যে বিজ্ঞানী একশ বছর আগে মাধ্যাকর্ষণ তরঙ্গের অস্তিত্বের কথা জানালো তা ধরতে আপনার শত বছর লেগে গেল৷অতএব তেমনি ঠাকুর যা বলেছেন তা হয়তো আপনার ভুল ব্যাখ্যার ফলে আজব মনে হতে পারে কিন্তু কিছুদিন পর সেটাই আপনি হাতে কলমে জানতে পাবেন৷ ভর-শক্তির সূত্রটা তো এখনও ওনার কথা কেই support করে৷ কবি বলেছিলেন “ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে” সেই জেনেটিক্স! যাই হোক পরিশেষে বলি সৎসঙ্গ মানুষ তৈরীর কারখানা৷ তাই দেশবন্ধু ও নেতাজী কে ঠাকুর বলেছিলেন স্বাধীনতার মুল্য থাকবে না তা যদি সঠিক মানুষের হাতে না পড়ে৷ সঠিক মানুষ পেতে সঠিক বিবাহ অতি অবশ্যই একটা important factor. আমি আশা রাখব এরপর আপনি ছদ্মবেশী থেকে প্রকৃত বিপ্লবী হয়ে উঠবেন৷ ঠাকুরের বই পড়বেন৷
আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে আমি অনূকুল ঠাকুরের দিক্ষীত ছিলাম। ঋ্ৃত্বীকদের ঝগড়া দেখে দেখে হয়রান হওয়ার যোগার। প্রশ্নের সন্তোষ জনক জবাব না থাকলে এরা অসহিষ্ণু রুপ ধারন করে। চল্লিশ বছর আগে থেকে শুনছি, সৎসঙ্গে নাকি শান্ডীল্য university হবে। একটা কলেজ এখন অবধি হলোনা। হাই স্কুল একটা আছে। বছর দুই আগে অবধি আসানসোলের কোন এক স্কুলের মাধ্যমে বোর্ডের পরীক্ষার ব্যবস্থা ছিল। অর্থাৎ স্কুলটি কোন বোর্ড স্বীকৃত নয়। আসলে এদিকে তেমন নজরই নাই। খূজে দেখুন, বান বর্না দূর্ভিক্ষ মহামারিতে জনসেবা বলে কোনো কিছু সৎসঙ্গের আছে কিনা। প্রতিষ্ঠানটি এখনো পরিবার কেন্দীক হয়ে রইলো কেন? ইমেইলে বারবার লিখে এসবের সন্তোষ জনক উত্তর পাইনি।
আপনার পোস্টটি হিন্দুধর্মীয় উদারপন্থী সাইটে শেয়ার করে পুনঃপ্রকাশ করতে চাই যদি আপনি অনুমতি দেন।
গত ২ বছর আগে, আমাদের পাড়ার মাঠে “পরমপ্রেমময় ঠাকুর” শ্রী শ্রী অনুকূলচন্দ্রের যেন কততম একটা Birthday Party চলছিল। সেখানে সৎসঙ্গ ঠাকুরবাড়ির এক সদস্যা বলেছিলেন, “আমি সংসারের প্রতি সমস্ত কর্তব্য ঠাকুরের দীক্ষা থেকেই শিখেছি।” আমি ওনাকে পরে বলেছিলাম, “কাকিমা, অনুকূলচন্দ্রের দীক্ষা নেওয়ার আগে কি আপনার কর্তব্যবোধ ছিলো না? আপনার কথা থেকে কিন্তু এটাই implied.”
অদ্ভুৎ!!
@ শি: রা:
আপনি বাইলজি পড়েন , যেটা কি না আপনার চিন্তা – চেতনার সাথে খুব একটা মেলে না। কি করে হয় এটা ? জানালে কৃতার্থো থাকবো।
ইষ্টভৃতি এর চান্দা দিয়েই ওনাদের বিরাট বিরাট মন্দির দাঁড়াইতেছে, মুসলমানদের জিজিয়ার লাহান কাজ হচ্ছে এই ইষ্টভৃতি দিয়ে!!!!!! এই হিন্দু পণ্ডিতের মাথায় মনে হয় কিছুটা হলেও মাল ছিল, যেটা এত দিন ম্লেচ্ছ মুসলমানদের আয়ত্তে ছিল!!!!!!! :-X
আমি শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের একজন অনুসারী হিসাবে আপনার লেখার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যে সম্পর্কে আপনার সঠিক তথ্য জানা নেই সে সম্পর্কে কোন কিছু লেখারও কোন অধিকার আপনার নেই। আপনি কারো প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হবার অর্থ এই নয় যে অন্য কেউ তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে পারে না। অন্য কারো ভালবাসাকে আঘাত করা কোন মহৎ মানসিকতার পরিচায়ক নয়।
ইষ্টভৃতি যে ভালবাসা আর সমর্পণের ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত তার সঠিক তথ্য না জেনেই সে সম্পর্কে কোন কথা উত্থাপন করা কারো উচিত নয়। কোন বিষয়ে জানা সুনিশ্চিত না হলে সে ব্যাপারে মৌন থাকাই বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক ।
আমি একজন মেয়ে এবং তাঁর অনুসারী বলেই তাঁর মতে মেয়েদের অধিকার ও দায়িত্বের সম্মিলনকে খুব ভালভাবেই জানি। তাই স্বাভাবিকভাবেই আমি আপনার মতামতের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আপনার হয়ত জানা নেই বিখ্যাত লেখক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ছাড়াও দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ তাঁর দীক্ষিত ছিলেন। একথা বলার উদ্দেশ্য এই নয় যে তাঁর কত বিখ্যাত দীক্ষিত ছিল তা প্রকাশ করা। উদ্দেশ্য আপনার জানার স্বল্পতাকে প্রকাশ করা।
তিনি কখনই বলেননি যে প্রত্যেক পুরুষের ২টি বিয়ে করা উচিত । ক্ষেত্র বিশেষে তা প্রযোজ্য ।
আমি বায়োলজির ছাত্রী । জানি কথা কোন কিছুর প্রমান নয়। কাজই সত্যের প্রমাণ । তাই আমি শিপ্রা রায়, আপনার প্রতিটি কথার সত্যিকার জবাব কাজের মাধ্যমে দেবার পক্ষপাতী । আমি অঙ্গীকার করছি, আপনার লেখার সত্যিকার জবাব কথায় নয়, কাজের মাধ্যমেই আমি একদিন প্রকাশ করব।
@শিপ্রা রায়,
বিখ্যাত শিষ্য থাকলেই কোনো গুরু শ্রেষ্ঠ প্রমান হয় না.
ইষ্টভুতি কি বস্তু তা না বলার ফলে আপনার প্রতিবাদের কারণ বোঝা গেল না.
পুরুষের দুটো বিয়ের কথা উইকিপেডিয়া থেকে জানা যায়. আপনার জ্ঞাতার্থে লিঙ্কটি দিলাম:
তবে ওনার ইউজেনিক্স সংক্রান্ত বর্ণবাদী মন্তব্যের ব্যাপারে কি আপনার সমর্থন আছে?
@শিপ্রা রায়,
আপনি যে তার সুযোগ্যা শিষ্যা কি উপায়ে বুঝবো??
আপনার গুরুত আবার বহুগামিতার বিরাট সমর্থক ছিলেন। এতটাই যে নেহেরু যখন হিন্দুদের একাধিক বিবাহ বন্ধ করে দিলেন আইন করে, উনি উনার শিষ্যদের এই বলে উৎসাহিত করেছিলেন যে একজন সুহিন্দু পুরুষের ধর্ম পালনের জন্য একাধিক বিয়ে অবশ্যী করা উচিত-তাতে জেলে যাওয়ার ভয় থাকলেও।
তার শিপ্রাদেবীর কাছে প্রশ্ন-আপনার কটি সতীন? মানে গুরুবাক্য মেনে আপনার স্বামী একাধিক বিবাহ করেছে কি না ??
তিনি যদি তা নাকরে থাকেন আপনি তার যোগ্য শিষ্যা না । আপনার উচিত ছিল, গুরুভক্তি দেখিয়ে আপনার স্বামীর জন্য একটা বৌ ধরে আনা :wacko:
M. S. Golwalkar-এর জাতভাই ছিলেন পরম প্রেমময় ঠাকুর শ্রী শ্রী অনুকূলচন্দ্র….
আসলে অনুকুল ঠাকুরের কিছু কথার সাথে আমি একমত. কিন্তু কিছু কথার সাথে আমি একমত নই. আমি যুক্তি দিয়ে আমার মত বোঝাবার চেষ্টা করছি.
অনুকুল ঠাকুরের জাতপাত সংক্রান্ত বাণীর সঙ্গে আমি একমত নই. তার ইউজেনিক্স সংক্রান্ত বাণীর সাথে একমত নই. কারণ বর্তমানে জাতপাত বর্ণ বলে কিছু নেই. এইসব মানুষে মানুষে অহেতুক ভেদ সৃষ্টি করে. তার বিয়ের উপদেশের সাথেও একমত নই. কারণ ঠাকুরের নিজের দুটো বিয়ের ফর্মুলার রেজাল্ট এটাই প্রমান করে যে তার তত্ত্ব ভুল.
কিন্তু ঠাকুরের স্ত্রীর কর্তব্য সংক্রান্ত বক্তব্যের সাথে আমি একমত. এক স্ত্রী কখনো গড়া সংসার ভাঙবে না বরং ভাঙ্গা সংসার গড়বে. বেশিরভাগ স্ত্রী আজকাল স্বামীকে শ্বশুর শ্বাশুড়ি থেকে দুরে নিয়ে যাই. তার পাল্লায় পরে বহু শ্বশুর শ্বাশুড়ি বৃদ্ধ বয়সে গৃহত্যাগ করতে বাধ্য হয়. এটি খুবই অমানবিক কাজ কারণ অথর্ব শ্বশুর স্বশুরির নিজের দেখাশোনার ক্ষমতা থাকে না. সুতরাং স্ত্রীদের এই কাজ আমি সমর্থন করি না. এইভাবে সংসার ভাঙ্গার কোনো মানে হয় না.
তবে হ্যাঁ , বাঙালিদের অশিক্ষা ও কুসংস্কার অনেক আছে. বিশেষ করে মধ্যবিত্ত বাঙালি কিছু না পড়েই সব জানে, বইগুলিকে তাকে সাজিয়ে রাখে, আর কিছু তার জানার দরকার আছে বলে মনে করে না. এরাই বাংলায় সংখ্যাগরিষ্ঠ.
ব্যাপক বিনোদিত হইলাম।
ভাঙা গড়ার যাবতীয় দায়িত্ব শুধু মাত্র মেয়েদের জন্য কেন??
পুরুষ এক্ষেত্রে ব্রাত্য কেন?
অসংখ্য ধন্যবাদ এই আর্টিকেলটির জন্যে। অবশেষে বিশ বছর পরে একটা প্রশ্নের উত্তর পেলাম। শীর্ষেন্দুর বিভিন্ন বই পড়ার মধ্যে সময়ে সময়ে ইউজেনিক্স, বিশুদ্ধতা, এলিটিজম এইসব নিয়ে কথাবার্তায় ভেবে নিয়েছিলাম উনি একজন ক্লজেট নাৎসীবাদী, উত্তম দ্বারা অধম শাসনে বিশ্বাসী। এতে তার সাহিত্য আস্বাদনে বেশী অসুবিধা হয় নি কারন বিংশ শতাব্দীতে পৃথিবীর অনেক শক্তিশালী সাহিত্যিকই এই ধরনের মানসিকতা ধারন করতেন এবং তা নিয়ে দারুন সাহিত্যকর্ম সৃষ্টি করেছিলেন।
আজকে জানলাম যে শীর্ষেন্দুর এই এলিট-ইউজেনিক্স বাতিকের মূলে রয়েছে অনুকুল ঠাকুর। অবশ্য গুরুর অজুহাতে শিষ্য চিন্তার দৈন্যতার দায় এড়াতে পারে না।
@সফিক,
শীর্ষেন্দু জীবনের কোন এক সময় এক ভৌতিক অভিজ্ঞতা লাভের মাধ্যমে ধর্ম দর্শন পুরো পাল্টে ফেলেন। সেই অলৌকিক অভিজ্ঞতা ওনার কাছে এতই বাস্তব যে উনি ভূত আছে কি নেই সেই বিতর্কও আর শুনতে রাজী নন।
আমার কাকু কাকীমা ওনার প্রচন্ড ভক্ত। আর ভক্তি মানুষ কে অন্ধ করে এ তো জানা কথাই। তাই বোঝাতে পারিনি।
কিন্তু লোকটার বুদ্ধি কত ভাবুন। সব ইস্টভৃতি র টাকা বছর বছর গুরুর কাছে পাঠাতে হবে। গুরুবংশ সেই টাকায় আরাম আয়েশ করবে। বিনা পরিশ্রমে নিশ্চিত আয়ের সুবন্দোবস্ত। আরও নতুন নতুন সত্সঙ্গ। ..আরও বেশি বেশি ভেড়ার পাল।
লেখার জন্য ধন্যবাদ বিপ্লবদা।
ওরে বাবা… কি ভয়ানক ! এই লোকটার ছবিটবি দিয়ে বাড়িঘরে পূজো হতে দেখেছি তো, প্রসাদও দিয়ে গেছে আমাদের বাড়িতে… এইরকম মাল কোন ধারনাই ছিল না ! আচ্ছা এর নামে রোজ ১টাকা বা ২টাকা জমা করার কিছু একটা স্কিম আছে না? বিপ্লবদা, সেটার সম্পর্কে লিখুন না। আর হ্যাঁ “চাকলা চলো রে” নিয়েও হয়ে যাক একটা। দারুণ লাগল। 🙂 :yes:
@দেবাশিস কুন্ডু,
হ! উহাকেই ইষ্টভৃতি বলে-মানে গুরুকে স্মরণ করার জন্য সব কাজ করার আগে দুএক পয়সা ( আগে ছিল ) বা টাকা ইনারা ভাঁড়ে রাখেন-সেটা দিয়েই প্রবন্ধটা শুরু করলাম–
@বিপ্লব পাল, অনুকূল ঠাকুর ভুইফোঁর কপর্দকশুন্য সন্যাসী নন কিন্তু, যে তাকে আস্তানা গেড়ে ভক্ত বাগিয়ে তাদের পকেট কাটা লাগবে। উনার বাপ-দাদা-পরদাদা রা জমিদার এবং সম্পদশালী ছিলেন (ব্লুব্লাড সংরক্ষনের বাতিক এলো কোত্থেকে বুঝেন এবার)।
অনুকূল ঠাকুর উত্তরাধিকার সূত্রে জমিদারী না পেলেও ‘জমি’ পেয়েছিলেন প্রচুর। যার মধ্যে থেকে কয়েকশো একর জমি তিনি পাবনা মেন্টাল হস্পিটালের জন্য ডোনেট করেন।
লোকটা ভন্ড সাধু হতে পারে, কিন্তু মানুষের টাকা মারার মত বাটপার’ও ছিলেন না।
@বিপ্লব পাল,
মোটেই না। এদের মুখোশ খোলার কাজটা তো ভাই নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো লোকদেরকেই করতে হবে। শীর্ষেন্দু মুখোপ্যাধায়ের একটা ছোট উপন্যাস (নামটা ভুলে গেছি) পড়ে আমি স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল। উপন্যাসের নায়ক তার কাষ্ট থেকে উঁচুবর্ণের কাষ্টের মেয়েকে পরিবারের সবার অমতে বিয়ে করে কি রকম অশান্তির আর অসুখি হয়েছিল তার একটা “বৈজ্ঞানিক” বিশ্লেষণ ছিল। আজকে আপনার লেখা পড়ে জানলাম অনুকূলচন্দ্রের মত সাইন্টিসের সংস্পর্শে আসার ফলে এটা সম্ভব হয়েছিল! একজন গুণি, অসাধারণ লেখককে কি করে অগাধ ধর্মীয় বিশ্বাস জাতপাত, মানুষে মানুষে বিধেককে ”লজিক্যালি” গ্রহণ করতে শেখায়- শীর্ষেন্দু তার প্রমাণ। একজন দেখলাম কমেন্ট করেছেন লোকনাথকে নিয়ে লেখার জন্য। দাবীটা আমার পক্ষ থেক্ওে জারি থাকলো! :guli:
সেদিন এক দাদুর সাথে কথা হলো। উনি বলেন তুমি কোন মতবাদে বিশ্বাসী নয়, এটা কেমন কথা। সমাজে চলতে হলে কোন না কোন মতবাদে বিশ্বাসী তো হতেই হবে, কোন না কোন ধর্ম তো থাকতেই হবে। 🙂
যদিও উনার সাথে সেদিন কিছু তর্ক করেছিলাম, তবে এসব ব্যপারে আমি সাধারনত নীরব থাকতেই পছন্দ করি। কারন আমি উনাদের এত বছরের বিশ্বাসে একটুও ভাঙ্গন ধরাতে পারব বলে মনে হয় না।
আসলে আমি উনাদের তেমন কোন দোষ দেই না। ওনাদের সময়ে জন্ম হলে এবং বই পড়ার সুযোগ বঞ্চিত হলে হয়ত আমি নিজেও ঘোরতর আস্তিক হয়ে, কোন না কোন মতবাদের সেবক হয়ে যেতাম।
আচ্ছা লোকনাথ ব্রহ্মচারী সম্বন্ধে আপনার মত কি? লোকনাথ আশ্রম সামনে থাকায় ছোটবেলায় উনার বই অনেক পড়তাম। আমি এখন ভাবি, কেমন করে এত অলৌকিক ঘটনা সাধারন মানুষকে বিশ্বাস করানো সম্ভব। বইগুলো যারা লেখেছেন তারাই কি নিজেদের স্বার্থে এসব লেখেছেন নাকি সত্যিই লোকনাথ ব্রহ্মচারী বলে কেউ ছিলেন। তবে তার অলৌকিক কাহিনীগুলো কিন্তু সাইবাবার মতো নয়। 🙂
তবে কেদার, শুদ্ধানন্দ ব্রহ্মচারী এদের বইগুলো পড়লে লোকনাথ ব্রহ্মচারী পুরোপুরি মিথ বলে মনে হয় না। আবার অদ্ভূত সব অলৌকিক ঘটনার কারনে ভাবি কেমন করে এত অলৌকিক ঘটনা বিশ্বাস করাতে পারল উনি।
@রনবীর সরকার,
নামাবো নামাবো। সবারই কাছ খোলা হবে। বাবা লোকনাথের ও কাছা খোলা হবে। তবে লোকনাথ এখন পশ্চিম বঙ্গে সব থেকে জনপ্রিয়। এরপরে হয়ত পশ্চিম বঙ্গে গেলে, রাস্তা ঘাটে লাশ পড়ে যেতে পারে! দেশেফেরার ইচ্ছাটা ত্যাগ করতে হবে
@বিপ্লব পাল,
খুব তাড়াতাড়ি আপনার কাছ থেকে লোকনাথ নিয়ে একটা লেখা চাই। তবে লাশ দাদা পড়বে না। 🙂
ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু বললে লাশ পড়তে পারে, কিন্তু হিন্দুদের ক্ষেত্রে এখনো লাশ ফেলানোর পর্যায়ে যায়নি।
@রনবীর সরকার,
মারধোর খাওয়ার ভয়ত আছেই। হিন্দুত্ববাদিরা আলরেডি আমাকে ওই সানি লিওন আর্টিকলটার জন্য হুমকি দিয়ে রেখেছে, দেশে আসলে দেখে নেবে
হাঃ হাঃ হাঃ… দারুণ মজা পেলাম এই লেখাটা পড়ে। ক্লাসিক।
আমার ঠাকুর্দা ছিলেন এই অনুকূল ঠাকুরের ভক্ত। মারা গেছেন বহুদিন হল। এখন মনে হচ্ছে এই লেখাটা অনুকূলের থিওরিতে ফেলে ‘gene-এর (জনির) ভিতর-দিয়ে যে pitch’ করে তাঁর কাছে পাঠিয়ে দেই।
@অভিজিৎ,
তোমার আমার ভাগ্য ভাল বলতে হবে যে না তোমার ঠাকুর্দা বেঁচে আচে, না আমার দাদু। সৌভাগ্য তোমার বা আমার যে এই লেখা দেখার জন্য তারা আজ আর বেঁচে নেই!
🙂
🙂
কিন্তু শীর্ষেন্দু যেতে চাইছেন কেন? শীর্ষেন্দুর একটি ভ্রমন কাহিনি ছিল যেখানে সাধুদের সাথে এক সাথে বেশ কিছুদিন ছিলেন। খুব সম্ভবত ‘সীতার সেই বনবাসের পথে’। এত ভাল লিখেন, এত শক্তিশালী লেখক, চিন্তাশীল, তারপরও অনুকূলের অনুকূলে হাওয়া কেন দিচ্ছেন অধুনা বাংলা সাহিত্যের শীর্ষ সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু?
বদ্যির আবার নারী টেপার দরকার হল কেন? উনার কাজ তো রোগ নির্নয় করা! 🙂
বটে!
@গুবরে ফড়িং,
শীর্ষেন্দু কতটা শ্রী শ্রী ঠাকুরের ওপর নির্ভরশীল, সেটা নিয়ে উনি আমাকে দীর্ঘ দুই ঘন্টা বলেছিলেন। স্থান আই আই টি কেজিপির গেস্ট হাউস। শীর্ষেন্দু এক সময় জীবনে বাঁচার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলেছিলেন। ঠাকুরের বানী নাকি তাকে ফিরিয়ে দিয়েছিল। এ এক লম্বা গল্প। সেটা বোধ হয় ‘৯৮ সালে শুনেছিলাম! সবকিছু আর মনেও নেই।
আহা বেশ বেশ…… দাদা, বেশ ভালো লিখেছেন কষ্ট করে। অনেক ধন্যবাদ……।।