সম্প্রতি আমাদের দেশ মেঘ মুক্ত হল আরো একটি গোপন সামরিক অভ্যুত্থানের কালো চক্রান্ত থেকে। বহু সংগ্রাম ও অসংখ্য জীবনের বিনিময়ে জন্ম নেওয়া গণতন্ত্রটি বিরূপ পরিবেশে একপা দু’পা করে বন্ধুর পথে হাঁটতে শিখার পূর্বেই এর ঘাড় মটকাতে বেশ আটঘাট বেঁধেই নেমে পড়েছে শরিয়া পন্থিরা এই চক্রান্ত সেই কথা আমাদের বিস্মৃত মনকে আবারো খোঁচা মেরে স্মরণ করিয়ে দিল। আমাদের সেনাবাহিনীর কিছু অফিসারের সময়মতো দূরদর্শী সিদ্ধান্ত সেই চক্রান্ত আপাতত নসাৎ করে এখনো পর্যন্ত অব্যাহত রেখেছে গণতান্ত্রিক ধারা। যে হারে বিশ্বব্যাপী মৌলবাদের উত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে দেশে মৌলবাদীরা ক্ষমতায় বসছে তা একটি স্থিতিশীল বিশ্বের জন্য রীতিমত শংকার কথা। বেকারত্ব, দারিদ্রতা সেই সাথে পাশ্চাত্যের খোলামেলা অবাধ গণতন্ত্রের জুজুকে পুঁজি করে ধর্মান্ধরা ইতিমধ্যে অনেক দেশে পৌঁছে গেছে তাদের অভিষ্ট লক্ষ্যে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইউরোপ, আফ্রিকা সহ আরো অনেক দেশে সেই লক্ষ্য অর্জনে নীরবেই চলছে অস্ত্র চালনা, বোমা তৈরী, হত্যা, শারীরিক নানা কসরত সহ উন্নত সব ধরনের জঙ্গি প্রশিক্ষণ। অবাধ অর্থ, অস্ত্র, প্রশিক্ষণ, স্বেচ্ছাসেবী, মিডিয়া কোন কিছুর অভাব নেই আজ জঙ্গিদের ভান্ডারে। সব কিছু দিয়ে পূর্ণ আজ তাদের স্বপ্নের সংসার। শাখ দিয়ে মাছ ঢাকার মত এটাকে শুধু নিছক মামুলি সন্দেহ বলে ধোকা দেয়ার দিন গত হয়েছে অনেক আগেই। এটা আজ প্রতিষ্ঠিত সত্য।

১৯৭৫ সালে স্ব-পরিবারে বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাযজ্ঞের পর বাংলার ইতিহাসে বেশ কয়েকবার সামরিক অভ্যুত্থান ঘটলেও দু’বার দীর্ঘ সময়ের জন্য সামরিক শাসনের রুদ্ধদ্বারে বন্ধী হয়েছিল আমাদের দূর্ভাগা এই দেশ। প্রতিবার সামরিক শাসকরা ক্ষমতায় এসে যে বিপদ জনক কাজটি সানন্দে করেছেন তা হল রাষ্ট্রিয় আনুকুল্যে ধর্মীয় নেশা বিস্তার । জনগণের চোখে মাদুলি পরিয়ে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে রীতিমত প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন কে কত ধর্মভীরু তা প্রমাণে। একজন নিরপেক্ষ নিষ্কলুষ সংবিধান কেটেছিড়ে তাতে “বিসমিল্লাহ” সেঁটে দিয়ে একদিকে আশ্বস্ত করতে চেয়েছেন ধর্মীয় সংখ্যাগুরুদের অন্যদিকে রাজাকারদের ধর্মীয় রাজনীতির সুযোগ করে দিয়ে জাগ্রত সমর্থন পেতে চেয়েছেন ধর্মজীবিদের। আরেকজন স্কুলে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতা মূলক ও সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার করে নজর কাড়তে চেয়েছেন ধর্মীয় কাঠ মোল্লাদের। তবে এবারের প্রেক্ষাপট ছিল আরো ভয়াবহ, যে টুকু সংবাদপত্রে ফাঁস হয়েছে তা বিবেচনা সাপেক্ষে জানা যায় এইবার পরিকল্পনা ছিল আরো এক কাঠি সরস। ক্ষমতায় গিয়ে পরে ধর্মকে ব্যবহার নয় বরং ধর্মের পিঠে সাওয়ার হয়েই বন্দুক নিয়ে সরাসরি ক্ষমতা গ্রহণ।

ধর্মান্ধরা ভীত হয়ে পড়েছে যুদ্ধ অপরাধীদের বিচারসহ ধর্মের জারিজুরি প্রশ্নবিদ্ধ করে মিডিয়া ও ব্লগে ব্লগে মুক্তবুদ্ধি সম্পন্ন নব প্রজন্মের উত্তরন দেখে। তারা বুঝে গেছে ধর্মীয় জুজুর ভয় দেখিয়ে মানুষকে আর বেশিদিন নিয়ন্ত্রনে রাখা যাবেনা ভবিষ্যতে। চলবে না ধর্ম ব্যাবসা। জুটবে না আদাব সালাম। তাই এখনি উপযুক্ত সময় মুক্তবুদ্ধি চর্চার সকল উৎস ধ্বংস করার। অঙ্কুরেই বিজ্ঞান মনষ্কদের বিনাশ করার। এনিয়ে তাদের প্রস্তুতিও চলছে আড়ালে আবডালে যা আমরা বিভিন্ন সময় সংবাদ পত্রের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। তারা এখন অতীতের চেয়ে অনেক বেশী সংগঠিত। পাচ্ছে তথাকথিত শিক্ষিত শ্রেণীর মৌন সমর্থন। সরকারী বড় বড় প্রায় সব পদে তাদের বিশাল বিশ্বস্ত বাহিনী অপেক্ষা করছে কোন এক মহেন্দ্রক্ষণের। মাঠে ঘাটে প্রশিক্ষিত উত্তেজিত বাহিনী আজ ধৈর্যহারা। সবুজ সংকেত পেলেই চারিদিক শুরু করবে আক্রমণের ফল্গুধারা। তাদের লক্ষ্য এখন শুধু একটিবার রাষ্ট্রিয় ক্ষমতার আস্বাদন। তারা বুঝে গেছে মাথার উপর থেকে দ্রুত সরে যাচ্ছে মুরব্বি দেশগুলোর কোমল পরশ, সমাজতন্ত্র ঘৃণার বাহাবা আর নেই তার বদলে জুটছে রক্ত চক্ষুর উত্তপ্ত চাহনি। তালেবানি আদলে দেশ গড়ার স্বপ্নদ্রষ্টারা আজ কারাগারে। সময় নেই, হাতে একদম সময় নেই, তারা আজ ভীষন মরিয়া শেষ দংশনে।

মৌলবাদীদের ক্ষমতা দখলের চক্রান্ত নিয়ে ১৯ জানুয়ারির প্রথম আলোর করা রির্পোট টি হুবহু তুলে দিলাম।

সেনাবাহিনীর সাবেক ও বর্তমান কিছু সদস্য দেশের গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত এবং সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল বলে তদন্তে প্রমাণ মিলেছে। সেনা সদর দপ্তরের এক তদন্ত প্রতিবেদনে এই তথ্য উদঘাটিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সেনা সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর পরিচালক (পিএস পরিদপ্তর) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মাসুদ রাজ্জাক এই তথ্য জানান।

লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ মাসুদ রাজ্জাক জানান, সম্প্রতি কিছু প্রবাসী বাংলাদেশির ইন্ধনে সেনাবাহিনীর সাবেক ও বর্তমান কিছু কর্মকর্তা সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে ব্যাহত করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তা সফল হতে দেয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীর একজন সাবেক কর্মকর্তা গত ১৩ ডিসেম্বর মেজর পদমর্যাদার আরেক কর্মকর্তাকে তাঁর সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য প্ররোচনা দেন। তবে ওই মেজর বিষয়টি তাঁর চেইন অব কমান্ডকে জানালে অবসরপ্রাপ্ত ওই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া এই ঘৃণ্য পরিকল্পনার আরেক অংশীদার মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক গত ২২ ডিসেম্বর কর্মরত অন্য এক সেনা কর্মকর্তাকে একই ধরনের কার্যক্রম চালানোর প্ররোচনা দেন। ওই কর্মকর্তা বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানালে মেজর জিয়াউলের ছুটি ও বদলি আদেশ বাতিল করা হয়। তাঁকে ঢাকার লগ এরিয়া সদর দপ্তরে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ২৩ ডিসেম্বর ছুটিতে থাকার সময় মেজর জিয়াউল পালিয়ে গিয়ে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নাশকতামূলক (সাবভারসিভ) কার্যক্রম চালানোর পাঁয়তারা করেন এবং তিনি এখনো তা করে চলেছেন।

এ ছাড়া, সুনিশ্চিত তথ্যের ভিত্তিতে দায়িত্বরত একজন কর্মকর্তাকে সরকারের আনুগত্য থেকে বিরত থাকার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মেজর পদবির এক কর্মকর্তাকে গত ৩১ ডিসেম্বর সেনা আইনের ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়।

মোহাম্মদ মাসুদ রাজ্জাক আরও জানান, সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কিছু তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়া এবং কয়েকজন গ্রেপ্তার হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ ডিসেম্বর মেজর জিয়াউল তথাকথিত গ্রেপ্তার ও নির্যাতন-সংক্রান্ত অবিশ্বাস্য গল্প বর্ণনা করে একটি উসকানিমূলক ই-মেইল তাঁর পরিচিতদের পাঠান। পরে তা সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকে সোলজারস ফোরাম নামের একটি পেইজে আবু সাঈদ নামক এক ব্যক্তি আপলোড করে দেন। পরে ওই কর্মকর্তা ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে মধ্যম সারির কর্মকর্তারা অচিরেই বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছেন’ শিরোনামে দুটি ই-মেইল ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেন। ৩ জানুয়ারি মেজর জিয়াউলের ইন্টারনেট বার্তাটি ‘আমার দেশ’ পত্রিকা প্রকাশ করে। এরই ধারাবাহিকতায় ৮ জানুয়ারি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাহরীর মেজর জিয়াউলের ইন্টারনেটে পাঠানো ওই বার্তাটিকে ভিত্তি করে দেশব্যাপী উসকানিমূলক প্রচারপত্র ছড়ায়। ৯ জানুয়ারি এর ওপর ভিত্তি করে একটি রাজনৈতিক দল সেনাবাহিনীতে গুমের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করে, যা সেনাবাহিনীসহ সচেতন নাগরিকদের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত উসকানিমূলক বিতর্কের সৃষ্টি করে।

সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ মাসুদ রাজ্জাক আরও জানান, গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক দুজন কর্মকর্তা ও চাকরিরত কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর ঘাড়ে ভর করে গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থাকে উত্খাতের ঘৃণ্য চক্রান্তের সঙ্গে সেনাবাহিনীতে চাকরিরত কিছু কর্মকর্তার সম্পৃক্ততার সুনির্দিষ্ট তথ্য উদঘাটিত হয়েছে। এ-সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য উদঘাটনের জন্য গত ২৮ ডিসেম্বর একটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়, যার কার্যক্রম এখনো চলছে।

সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৯ ও ১০ জানুয়ারি মেজর জিয়াউল তাঁর অপারেশনের পরিকল্পনার কপি ই-মেইলে চাকরিরত কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়ে দেন। এরপর ১০ ও ১১ জানুয়ারি সেনা-অভ্যুত্থানের প্রস্তুতির বিষয়ে মুঠোফোনে কয়েকজন কর্মকর্তার কাছে মেজর জিয়াউল জানতে চান এবং তাঁদের বারবার এ কাজে উদ্বুদ্ধ করতে থাকেন। একই রাতে মেজর জিয়াউল সম্ভবত হংকংয়ে বাংলাদেশি নাগরিক ইশরাক আহমেদের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করেন এবং দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সেনা-অভ্যুত্থানের বিষয়টি প্রচার করার জন্য বলেন।

মোহাম্মদ মাসুদ রাজ্জাক জানান, এরই মধ্যে এই চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত কিছু সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তা তাঁদের সম্পৃক্ততার কথা অকপটে স্বীকার করেছেন। তদন্ত শেষে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তিকে অক্ষুণ্ন রাখতে এবং সমৃদ্ধির পথকে সুগম করতে এ ধরনের ঘৃণ্য অপচেষ্টাকে দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করতে হবে।

মেজর জিয়াউলের আইনগত নিরাপত্তা ও সঠিক বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার স্বার্থে সেনাবাহিনীতে তাঁর আত্মসমর্পণ করা খুবই জরুরি বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে তাঁর সঙ্গে ছিলেন সেনাবাহিনীর ভারপ্রাপ্ত জজ জেনারেল লে. কর্নেল মুহাম্মদ সাজ্জাদ।

ধারনা করা হচ্ছে সামরিক বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান সব মিলে ১৪ থেকে ১৬ জন ব্যক্তি এই চক্রান্তের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত আছেন। এদের মধ্যে ১১ জন অভ্যুত্থান চেষ্টাকারীর ফোনালাপ গোয়ান্দা সংস্থা হাতে আছে যারা মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকের সাথে অভ্যুত্থান বিষয়ে নানা পরিকল্পনা করতেন। এদের মধ্যে একজন মেজর জেনারেল, একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, দুইজন লেফটেনেন্ট কর্নেল, ছয়জন মেজর ও একজন ক্যাপ্টেন। এদের সাথে নিষিদ্ধ ঘোষিত হিজবুত তাহরীসহ জঙ্গি সংগঠন গুলোর সম্পর্কের কথা ক্রমশ বেড়িয়ে আসছে।

মেজর জিয়াউল হক সিলেটের মৌলভী বাজারের সন্তান। আশ্চর্যজনক ভাবে আরেক উগ্রপন্থি বাংলাভাইকে(বেহেস্তবাসী) বন্ধী করা হয়েছিল সিলেট থেকে। প্রাক্তন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীকে বোমা মারা হয়েছিল এই সিলেটেই। তাই সিলেটের নামটি কাকতালীয় ভাবে বারবার জঙ্গি তালিকায় এসে যাচ্ছে নাকি সিলেট আসলেই জঙ্গিবাদের উর্বর ভূমিতে পরিণত হচ্ছে এই ধরনের একটা সন্দেহ কাটার মতই কেন জানি মনে খচখচ করে।

বর্তমান বিশ্বে রাজনৈতিক মেরুকরণের পালা বদলের ফলে অর্থনৈতিকভাবে দূর্বল দেশে বহিঃবিশ্বের স্বীকৃতি ছাড়া জোর করে রাজনৈতিক ক্ষমতা অধিগ্রহণ করে টিকে থাকা কোন দল বা ব্যক্তির পক্ষে একেবারেই অসম্ভব। এই নির্ভেজাল সত্যটুকু উগ্রপন্থিরা যেমন জানে তেমনি আমাদের সরকার জানে না তা ভাবা নেহায়েত বোকামি ছাড়া কিছু নয়। তাই সম্প্রতি ফাঁস হওয়া চক্রান্তটিকে শুধু দেশি গুটি কয়েক লোকের চক্রান্ত বা বিরোধী দলের চক্রান্ত হিসাবে বাকসর্বস্ব বিবাদে না জড়িয়ে সরকারের উচিত বিদেশী সেই চক্রটিকে যথাসম্ভব খুজে বের করে সচেতন হওয়া আর দেশীয় অনুচরদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া। তা না হলে সরকারের এই অবহেলার দায়ভার যুগ যুগ ধরে রক্ত দিয়েই শোধ করতে হবে পুরো জাতিকেই।