হে বাংলাদেশের ৪০ বৎসরের আজাব
গোলাম আজম,
তোমার উপর শীঘ্রই বর্ষিত হইবে
আইনের শাসনের গজব।

এই গজবে নিঃসন্দেহে
তুমি নিজে ত ধ্বংস হইবেই
উপরন্তু ধ্বংস হইবে
তোমার কলুষিত হস্তদ্বয়।
যেই হস্তযুগল দ্বারা তুমি
করিয়াছিলে বহু অপকর্ম তামাম বাংলাময়।

ধ্বংস হইবেক তোমার
লুণ্ঠিত অর্থে প্রতিপালিত পরিবার,
ধ্বংস হইবেক তোমায় পরিবেষ্টিত পরিমণ্ডল,
ধ্বংস হইবেক তোমার
শ্মশ্রুমণ্ডিত নূরানি মুখমণ্ডল,
ধ্বংস হইবেক তোমার ধ্বংসাত্মক-আদর্শে গঠিত
মারাত্মক জিহাদি দল।
উচ্ছেদ হইবেক জেহাদের মূল।

আজিকে মুক্তিযুদ্ধের ৪০ বৎসর পর
হইবেক আরেকটা মুক্তিযুদ্ধ।
অনেকখানি কলঙ্ক হইতে, গ্লানি হইতে
জাতি হইবে মুক্ত।
তোমার দেশদ্রোহী জঘন্য কণ্ঠস্বর
অতিসত্ত্বর হইবেক রুদ্ধ-
বাংলার জাতীয় ফল কাঁঠালের আঠাতে।
তোমার কৃত পুঞ্জিভূত অপরাধের
যৎকিঞ্চিৎ শাস্তি হইবেক
কাঁঠালবৃক্ষের শাখায় তোমার ফাঁসিতে।

বাংলার বুকে তুমি ছিলে একটা
অসহ্য দোজখী-প্রস্তর।
এতকাল বহু লেলিহান শিখা ছড়াইয়াছ
জ্বালাইয়াছ বাংলার প্রান্তর।
জ্বালাইয়া পোড়াইয়া সোনার
বাংলা করিয়া অঙ্গার
অবশেষে জীবন সায়াহ্নে আসিয়া
আইনের কাছে গিয়াছ ফাঁসিয়া।
বন্দি হইয়াছ আইনের খাঁচার ভিতর।
এইবার তোমার হইবেক বিচার।
নিস্তার নাহি আর, নিস্তার নাহি আর।

একটা ঐতিহাসিক ঘৃণ্য কুলাঙ্গারের
বিচার হইবেক আইনের কাঠগড়ায়।
সেই সুদীর্ঘ প্রতীক্ষিত বিচারে
জুড়াইবেক বাংলামায়ের ব্যথিত হৃদয়।