About প্রদীপ দেব

This author has not yet filled in any details.
So far প্রদীপ দেব has created 105 blog entries.

স্যার সি ভি রামন

নোবেলবিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী ম্যাক্স বর্ন আরেক বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী আর্নেস্ট রাদারফোর্ডকে এক চিঠিতে লিখেছিলেন, "Raman is a very able physicist, full of enthusiasm, as you say yourself. There is really no other Indian physicist who is of his rank... His European intensity alone would be enough to make Raman suspicious to the average Indian professor." সত্যিই তাই, [...]

ম্যান্ডেলার দেশে

আফ্রিকার একেবারে দক্ষিণ দেশের আরামদায়ক এক বিছানায় ঘুম ভাঙলো ভোর চারটায়। ঘুম ভাঙতেই আমার বাবার কথা মনে পড়লো। স্কুলে পড়ার দিনগুলোতে সূর্যওঠার অনেক পরেও যখন ঘুম থেকে উঠতে চাইতাম না, বাবা গায়ে পানির ছিটা দিতে দিতে বলতেন, “সকালে শয়ন আর সকালে উত্থান, এই দুই আচরণ সুখের নিদান।” শুধুমাত্র তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে আর তাড়াতাড়ি উঠেই যদি সুখি [...]

By |2017-03-28T05:34:45+06:00ফেব্রুয়ারী 10, 2017|Categories: বই, ব্লগাড্ডা, ভ্রমণকাহিনী|0 Comments

চাঁদের নাম লুনা

ক্লাসে ঢুকে আমাকে দেখেই হৈ চৈ করে উঠলো ফারজানা, স্বাতী আর চিত্রা। তিনজনই আজ এক সাথে এসেছে। "ওয়াও নয়ন, তোকে তো দেখতে একেবারে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো লাগছে।" "ফাজলামি করবি না স্বাতী, চড় খাবি।" পিঠ থেকে ব্যাগ রাখতে না রাখতেই মন্তব্য করতে শুরু করেছে শয়তানগুলো। ফারজানা আরেক কাঠি সরেস। বললো, "একেবারে আফতাব স্যারের ছাট দিয়েছিস দেখছি। [...]

By |2017-03-28T05:34:46+06:00ফেব্রুয়ারী 5, 2017|Categories: জ্যোতির্বিজ্ঞান, বই, বিজ্ঞান|2 Comments

ইওরোপে জগদীশ বসু: এবং নিবেদিতা ও রবীন্দ্রনাথ

১৯০০ সালের আগস্টে প্যারিসে পৌঁছেন জগদীশচন্দ্র ও অবলা বসু। বাংলা ও ভারত সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি প্যারিসে পদার্থবিজ্ঞান কংগ্রেসে যোগ দেন এবং জড়বস্তুর সংবেদনশীলতা বিষয়ে তাঁর পরীক্ষালব্ধ ফলাফল ব্যাখ্যা করেন। তিনি তাঁর “On the similarity of effect of electrical stimulus on inorganic and living substance” প্রবন্ধে ম্যাগনেটিক আয়রন অক্সাইডের ওপর বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় তরঙ্গ ফেললে সময়ের সঙ্গে [...]

জগদীশচন্দ্র বসুর গবেষণায় নিবেদিতার চেষ্টা

ইওরোপ সফরের সাফল্য বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করেছে জগদীশচন্দ্রকে। বিদ্যুৎ তরঙ্গ নিয়ে তিনি নতুন উদ্যমে গবেষণা শুরু করলেন। ১৮৯৭ সালে তাঁর তিনটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয় লন্ডনের রয়েল সোসাইটি থেকে। পেপারগুলো হলো: (১) On the selective conductivity exhibited by certain polarizing substabces, (২) Index refraction of glass for the electric ray, (৩) On the influence of thickness of [...]

রবীন্দ্রনাথ এবং নিবেদিতার সাথে জগদীশচন্দ্রের বন্ধুত্ব

১৮৯৭ সালের এপ্রিলে নয় মাস ব্যাপী ইওরোপের বৈজ্ঞানিক মিশন শেষ করে দেশে ফিরে এলেন জগদীশচন্দ্র। ইওরোপে তাঁর বৈজ্ঞানিক সাফল্যের কাহিনি কলকাতার সংবাদপত্রেও প্রকাশিত হয়েছে। ভারতীয় বিজ্ঞানীর ইওরোপ জয়ের কাহিনি বাঙালির জন্য তো বটেই, যে কোন ভারতীয়র জন্য গৌরবের। বাঙালির মুখ উজ্জ্বল করা এই বিজ্ঞানীর সাথে পরিচিত হয়ে অভিনন্দন জানানোর জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন যুবক [...]

জগদীশচন্দ্র বসুর প্রথম বৈজ্ঞানিক সফর

১৮৯৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর জগদীশচন্দ্র ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশানের বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে বিদ্যুত-তরঙ্গ সম্পর্কে বক্তৃতা দিলেন। "Complete apparatus for studying the properties of electric waves" শীর্ষক বৈজ্ঞানিক বক্তৃতাটি বিপুল সমাদৃত হয়। দর্শকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্যার জে জে থমসন, লর্ড কেলভিন, স্যার অলিভার লজ প্রমুখ পদার্থবিজ্ঞানী। প্রথম বক্তৃতাতেই জগদীশচন্দ্র পৃথিবীবিখ্যাত ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের মনযোগ আকর্ষণ করতে সমর্থ হলেন। বক্তৃতা [...]

জগদীশ বসুর বৈজ্ঞানিক গবেষণার সূচনা

পদার্থবিজ্ঞানের প্রতি জগদীশচন্দ্রের ভালোবাসা জন্মেছিল সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়ার সময় ফাদার লাঁফোর সংস্পর্শে এসে। তারপর তা আরো গভীর হয়েছে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়। কেমব্রিজে প্রফেসর লর্ড র‍্যালে ছিলেন তাঁর প্রিয় অধ্যাপক। লর্ড র‍্যালের পড়ানো এবং বোঝানোর স্টাইল জগদীশচন্দ্রও প্রয়োগ করেছিলেন তাঁর অধ্যাপনা জীবনে। লর্ড র‍্যালের আগে কেমব্রিজে পদার্থবিজ্ঞানের প্রধান অধ্যাপক ছিলেন জেম্‌স ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল। ম্যাক্সওয়েলের [...]

জগদীশচন্দ্র বসুর ঘর-সংসার

১৮৮৭ সালের ২৭ জানুয়ারি জগদীশচন্দ্রের বিয়ে হয় তাঁর বাবার বন্ধু দুর্গামোহন দাসের দ্বিতীয় কন্যা অবলা দাসের সাথে। বিয়ের পর অবলা দাস স্বামীর পদবী ব্যবহার করে হয়ে যান অবলা বসু। তৎকালীন অখন্ড বাংলার সমাজ-উন্নয়নে দুর্গামোহন দাসের অবদান ছিল ব্যাপক। বিক্রমপুরের সন্তান দুর্গামোহন বরিশালের ইংরেজি স্কুল থেকে পড়াশোনা করে বৃত্তি নিয়ে কলকাতার হিন্দু কলেজে পড়েন। সেখান থেকে [...]

যুক্তির জয়

বাংলাদেশের হিন্দুধর্মাবলম্বী অনেক তরুণ-তরুণীকে ইদানীং থলের ভেতর হাত ঢুকিয়ে মালা জপতে দেখা যাচ্ছে। হাতে ভাগ্য-ফেরানোর পাথর বসানো আংটির সংখ্যা আঙুলের চেয়ে বেশি হয়ে যাচ্ছে। লাল-কালো-গোলাপী সুতার পাহাড় জমে যাচ্ছে কব্জিতে। অনেকেই নাকি নিয়মিত 'একাদশী' পালন করে। উপবাস আর নিরামিষ খাবারের ব্যাপারে এরা এতটাই উগ্র যে কিছু কিছু পরিচিত পরিবারে দেখলাম এ নিয়ে একটা নতুন ধরনের [...]

By |2017-03-28T05:36:04+06:00নভেম্বর 26, 2016|Categories: বিতর্ক, ব্লগাড্ডা, সমাজ|12 Comments
Go to Top