এই ব্লগটা অনেক দিন আগে লেখার ইচ্ছা ছিল। ভেবেছিলাম অনেকটা সময় নিয়ে লিখব। কিন্ত আপাতত হাতে সময় নেই-কাজ আর ফ্যামিলি প্রেসারের মাঝে সাজে যা সময় পায়, তার মধ্যেই লিখি। তাই লিখেই ফেললাম।

সাইরিল স্মিথের মার্ক্সকে নবমূল্যায়ন করার একটি প্রবন্ধের ভূমিকাটি আমার ভালো লেগেছিল-যদিও আমি তার অনেক বক্তব্যের সাথেই একমত না। তবুও সাইরিলের সেই উদ্দেশ্য নিয়েই আমি ব্লগটি লিখছি। বক্তব্য খুব সোজা। আমি আরেকটু বলি।

বিজ্ঞানে আইনস্টাইনবাদ বা নিউটনবাদি হয় না। কেন হয় না? কারন এখানে কোন তত্ত্বের প্রতিই আমাদের গোঁড়ামো থাকে না। সব তত্ত্বের ত্রুটি নির্ধারনের মাধ্যেমেই আমরা নব নতুন বিজ্ঞান লাভ করি। পর্যবেক্ষনের ওপর ভিত্তি করে সমালোচনা এবং ত্রুটিই যেকোন অভিজ্ঞতাবাদি দর্শনের ভিত্তিপ্রস্তর। সমালোচনাই জ্ঞানের উৎস, আনুগত্য না।

তাহলে মার্ক্সবাদি এল কি করে? মার্ক্সবাদের মূলেই আছে এন্টিথিসিস। অর্থাৎ ত্রুটি এবং বিপরীত মুখী সিদ্ধান্তটি খোঁজ। সেখান থেকে সিন্থেসিস কর। বিজ্ঞানের পদ্ধতির সাথে কোন পার্থক্যই থাকা উচিত না মার্ক্সবাদের-এবং সেই জন্যেই মার্ক্সবাদি বলে কোন প্রাণির জন্মও সম্ভব না। কারন সমাজ পরিবর্তনশীল- এবং থিসিস এন্টিথিসিসের মধ্যে দিয়ে যে সিন্থেসিসের জন্ম, সেই সিন্থেসিসের এন্টিথিসিসের মধ্যে দিয়েই নব নব তত্ত্বের উদ্ভাবন হওয়ার কথা। কিন্ত সেসব কিছুই হয় নি গত দেড় শতকে। মার্ক্সবাদ ঐতিহাসিক বস্তুবাদের মধ্যে প্রথমে ঢোকে-তাতেও কিছু সত্য ছিল-কিন্ত এর পরে লেনিনের হাতে পরে এর মধ্যেও যেটুকু বৈজ্ঞানিক ভিত্তিছিল-সেটিও অচিরে কবরে ঢোকে। মার্ক্সবাদের ধর্ম হয়ে ওঠার কাহিনী আমি পাঁচ বছর আগেই লিখেছিলাম।

স্যার কার্ল পপার এবং তার অনুগামীরা যতই প্রমাণ করুন মার্ক্সবাদের কবর কিভাবে দেওয়া হয়েছিল, অধিকাংশ লোক, যারা নিজেদের মার্ক্সবাদি বলে মনে করে, তারা মার্ক্সকে বুঝেছে পার্টি লাইন অনুসারে।
আমাদের ভারতে অনেক মার্ক্সবাদি দল-সিপিএম, মাওবাদি, লিবারেশন। এদের সবার নিজস্ব মার্ক্সবাদ আছে। যিনি পার্টি মেম্বার হবেন, তাকে মার্ক্সবাদের সেই ব্যাখ্যাটিই মানতে হবে। ফলে মার্ক্সবাদ কি, তা দীর্ঘদিন নির্নয় করেছে সোভিয়েত কমিনিউস্ট পার্টি-কারন তাদের অর্থ সাহায্যেই চলেছে বিশ্বের বাকীদেশের কমিনিউস্ট পার্টিগুলি। এই জন্যেই মার্ক্সবাদের সঠিক এবং মুক্ত চর্চা মোটেও হয় নি-এবং মার্ক্সিয় সাহিত্য ও দর্শনের ওপরে প্রায় সব লেখাকেই আমার আবর্জনা বলেই মনে হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে লেখকের দর্শন শাস্ত্রে কোন জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও এখান ওখান থেকে না বুঝে টুকে দীর্ঘ সব প্রবন্ধ রচনা করে গেছেন তারা। ভারতেও সিপিএম, সিপি আই এম এল বা মাওবাদিদের মার্ক্সবাদের ব্যাখ্যা সেই একই ধরনের আবর্জনা।

এর মানে অবশ্যই এই নয় সোভিয়েতে ইউনিয়ানের সবাই গর্দভ ছিলেন-দর্শন শাস্ত্র তারা বুঝতেন না। মোটেও তা না। বরং ১৯৬০-৭০ সালের মাঝামাঝি পূর্ব ইউরোপের বেশ কিছু দার্শনিকের কাছেই মার্ক্সবাদ বনাম লেনিনবাদের পার্থক্য ভাল ভাবেই ধরা পড়েছিল-তারা মার্ক্সবাদ সঠিক ভাবেই অনুধাবন করেছিলেন-কিন্ত যেহেতু পার্টিলাইনের বাইরে মার্ক্সবাদের ব্যাখ্যা দিতে গেলে সাইবেরিয়াতে কাটাতে হত বাকী জীবন-তারা একটি চতুর স্ট্রাটেজি নেন [1]। সাপ মেরে লাঠি না ভাঙার এই নীতি থেকে মার্ক্সীয় “বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিপ্লব” বলে একটি রাজনৈতিক দর্শনের তারা জন্ম দেন। কিন্ত মজার ব্যাপার হচ্ছে পার্টির কুনজর থেকে নিজেদের বাঁচাতে তারা মোটেও তাদের মতবাদই সঠিক মার্ক্সবাদ তা দাবি করেন নি। বরং কমিনিউস্ট বিপ্লবের পরিপূরক হিসাবে, ধণতান্ত্রিক সভ্যতার সাথে সমান তালে প্রতিযোগী করার জন্যে, তারা এটা উপস্থাপন করেন [২]। যদিও ১৯৯১ সালে সোভিয়েতের পতনের পরে, ইউরোপের এক বিশাল অংশের একাডেমিশিয়ানরা মেনে নেন, জন বিপ্লব না, বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিপ্লবই প্রকৃত মার্ক্সবাদি রাজনৈতিক পথ। কারন মার্ক্সীয় মতবাদের কোথাও লেখা নেই জনবিপ্লব বা কোন আদর্শবাদ দিয়ে সমাজ়ের পরিবর্তন হয়। মার্ক্সীয় মতবাদে সমাজের পরিবর্তন আসে এক মাত্র উৎপাদন ব্যাবস্থার পরিবর্তনে। আর উৎপাদন ব্যাবস্থার পরিবর্তন কি আদর্শবাদ দিয়ে হয়? একমাত্র বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির উন্নতিই উৎপাদন ব্যাবস্থা বদলাতে পারে। অবশ্য অনেক মার্ক্সবাদিই বলবেন কেন? উৎপাদন ব্যাবস্থার ওপর জনগণের মালিকানা এলেই উৎপাদন ব্যাবস্থার পরিবর্তন হয়ে গেল। এতেব সমাজও বদলে গেল। বেসিক্যালি এটাই ছিল দীর্ঘদিনের মার্ক্সবাদ-যা আদি মার্ক্সিয় তত্ত্বের অপব্যাখ্যা ছারা কিছু না এবং মার্ক্সের অধিকাংশ রচনার সাথে সম্পূর্ন ১৮০ ডিগ্রিতে এর অবস্থান। অবশ্য সোভিয়েত ইউনিয়ানে খুব ভালোভাবেই প্রথম ব্যাখ্যাটিকে তাত্ত্বিক এবং বাস্তবভাবে গ্রহণ করা হয় এবং সেই অনুপাতে সোভিয়েত ইউনিয়ান আমেরিকার থেকে অনেক বেশী টাকা খরচ করেছে গবেষনাতে। কিন্ত বাস্তবে বর্তমান পৃথিবীর সব গুরুত্বপূর্ন আবিস্কার এসেছে আমেরিকা থেকে। “ক্যাপিটাল” থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে জনমুখী নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন সম্ভব হয় নি সোভিয়েত ইউনিয়ানে। ফলে কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ইলেকট্রনিক্স , টিভি, রেডিও থেকে ইলেকট্রিসিটি-সব কিছুই ধণতান্ত্রিক সভ্যতা থেকে এসেছে-কিছু মারণাস্ত্র ছাড়া সোভিয়েত ইউনিয়ান সার্বিক ভাবে ব্যার্থই বলা যায়।

এই ব্লগে মার্ক্সীয় বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিপ্লবের রাজনৈতিক লাইন নিয়েই আমি লিখছি।

বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিই মানুষের প্রতিটি জ্ঞানের ধারা নিয়ন্ত্রন করবে!
আমি পাঁচ বছর পূর্বে বিজ্ঞানবাদ নামে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলাম-বক্তব্য ছিল –ভাববাদি বক্তব্য বলে আর কিছু থাকবে না। আস্তে আস্তে আমাদের জ্ঞানের প্রতিটি শাখাই বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত হবে-এবং তার একটি দীর্ঘ বিবরণ দিয়েছিলাম।
( এটি ডাউনলোড করে পড়তে পারবেন-অনলাইন পড়লে অক্ষর ভেঙে যাবে)। বাস্তবে ১৪০ বছর পূর্বে বস্তুবাদের বিবর্তন হিসাবে মার্ক্স এবং এঙ্গেলেস ঠিক একই কথা বলে গেছেন । (অবশ্য তাতে এই প্রবন্ধ পড়ে কমিনিউস্টদের আমাকে গালি দেওয়া আটকায় নি। যদি লিখে দিতাম, মার্ক্স আর এঙ্গেলেসের কথাকেই এক বিংশ শতাব্দির পার্সপেক্টিভে লিখছি-তাহলে হইত ধন্য ধন্য করতেন! বাম বাঙালী শুধু নামে চেনে! )

Outlines of the critics of Political Economy প্রবন্ধে
মার্ক্স এর বক্তব্য ছিল বিজ্ঞানের বলেই মানুষ প্রকৃতিকে কাজে লাগিয়ে উৎপাদন ব্যাবস্থার উন্নতি ঘটাচ্ছে। এবং ধণতান্ত্রিক ব্যাবস্থায় “পুঁজির” উদ্ভাবনের মাধ্যমেই মানুষ বিজ্ঞানের দ্বারা উন্নততর উৎপাদন করছে-এই জন্যেই বিজ্ঞানকে একটি স্বয়ংপূর্ন শাখা হিসাবে দেখতে হবে, যেখানে উৎপাদন ব্যাবস্থাটিই বিজ্ঞান প্রযুক্তির একটি শাখা হিসাবে পরিণত হচ্ছে ( The productive process becomes sphere of application of science)।

শেষের কথাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং পরবর্তীকালে এরই সূত্র ধরে Buchholz, Burruchter and Hoffmann বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে মার্ক্সিয় দৃষ্টিভংগী নিয়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন [3]।

বুছোল্ড মূলত তিনটি কারনকে জোর দিলেন-অবশ্যই তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ানের পরিপেক্ষিতে। কিন্ত তার বক্তব্যের বেশ কিছু অংশ এখনো মুল্যবান

(১) ঐতিহাসিত বস্তুবাদের আসল চালক, বা সমাজ পরিবর্তনের মূল ক্যাটালিস্ট প্রযুক্তি। সুতরাং সমাজতান্ত্রিক সিস্টেম প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে না গঠিত হলে তা ধণতান্ত্রিক সমাজের উৎপাদনের সাথে প্রতিযোগিতায় হেরে যাবে-
(২) সামাজিক বিবর্তন মানে একই সাথে রাজনীতি, চিন্তাধারা, পোষাক, উৎপাদন ব্যাবস্থা, অর্থনীতি-সব কিছুর বিবর্তন, যারা একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। সুতরাং মার্ক্সীয় রাজনৈতিক চিন্তাধারা কখনোই বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিচ্ছিন্ন হতে পারে না-কারন এই বিজ্ঞান-প্রযুক্তির মধ্যে দিয়েই সমাজের নানান বিবর্তনগুলির মধ্যে যোগসূত্র সংস্থাপন সম্ভব।
(৩) এই মুহুর্তে আমাদের সমাজের বৌদ্ধিক সংঘাত সাংঘাতিক রকমের বেশী-নানান ধরনের রাজনৈতিক ও আদর্শবাদের মধ্যে , তাদের অনুগামীদের মধ্যে হিংসা এবং যুদ্ধ অব্যাহত। এই সংঘাত কমাতে মানব জ্ঞানের প্রতিটি শাখাতে বিজ্ঞানের প্রয়োগ আবশ্যক ( এই কথাটিই আমি বিজ্ঞানবাদ প্রবন্ধে ব্যাখ্যা করেছি এবং লিখেছি)।

সোভিয়েত এস টি আর স্কুলের আরেকটি বিশেষ অবদান হল, তারা সামাজিক প্রগতিকে দেখছেন, সমাজে বিজ্ঞানের প্রচলন এবং বিজ্ঞানের ভিত্তি কত দৃঢ় তার ওপর ভিত্তি করে [1] । তাদের কাছে প্রতিটি সমাজের প্রগতিশীলতার নির্নায়ক হচ্ছে সেই সমাজে বিজ্ঞানের ব্যাবহার-আর পিছিয়ে থাকাটা মাপা যায় সেই সমাজে ধর্মর ব্যাবহার দিয়ে। এখানে ব্যাবহার কথাটা গুরুত্বপূর্ন-আমেরিকাতে ধার্মিক আছে-কিন্ত ধর্মের ব্যাবহার কিছু রাজনীতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এখানে সামাজিক আইন কিন্ত সমাজবিজ্ঞানকে কেন্দ্র করেই বানানো হয়। অন্যদিকে মুসলিম দেশগুলিতে সামাজিক আইন ধর্ম নির্ভর-তাই এই সোভিয়েত স্কুলকে মানলে খুব পরিস্কার ভাবেই ভারতের তথা মুসলিমদেশ গুলির পিছিয়ে থাকার কারন হিসাবে ধর্মকে সরাসরি দায়ী করা যায়।

দুর্ভাগ্য যে আমাদের দেশের বামপন্থীদের মধ্যে বিজ্ঞানের চেতনাটাই নেই-ফলে সিপিএম পশ্চিম বঙ্গে এখন ৩০০ মাদ্রাসা তৈরী করছে মুসলিমদের খুশী করতে। অথচ সোভিয়েত মার্ক্সবাদের এই স্কুলের চর্চায় খুব পরিস্কার ভাবেই ধর্মকেই
প্রগতির বিরুদ্ধে প্রথম অন্তরায় বলে দায়ী করা হয় [১]। কারন এদের মার্ক্সবাদের ব্যাখ্যা সার্বিক-শুধু রাজনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ না-আর তা সার্বিক বলেই তারা মনে করেন মার্ক্সবাদের সঠিক প্রয়োগ হচ্ছে আরো বিজ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার মধ্যে দিয়ে-এবং সেই পথের প্রথম অন্তরায় ধর্ম।

তাহলে শ্রেণীদ্বন্দের কি হইল? সাধের শ্রেনী বিপ্লবের কি হইবে?

এরা বলছেন, শ্রেনী দ্বন্দের ভিত্তিও অবৈজ্ঞানিক ভাববাদি সমাজ। বৈজ্ঞানিক সমাজে শ্রেণী দ্বন্দ এমনিতেই থাকতে পারে না-কারন দ্বন্দের উৎপত্তির মূলেই আছে অসাম্য-আর যেহেতু সামাজিক অসাম্য একটি আনস্টেবল হিংসাত্মক রাষ্ট্র বা সিস্টেমের জন্ম দেয়, যেকোন বৈজ্ঞানিক সমাজই-সমাজের সব দ্বন্দগুলিতে বিজ্ঞানের ভিত্তিতেই দূর করবে-কারন সেটাই প্রগতিশীলতা। অর্থাৎ মানুষের মনোজগতে যে বৈজ্ঞানিক চেতনা আসবে সেটাই আসল মার্ক্সীয় বিপ্লব। কারন সেটা সাধিত হলে সামাজিক সাম্য যুক্তির ভিত্তিতেই প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। অর্থাৎ এরা মানেন মনোজগতের বিপ্লবই আসল মার্ক্সীয় বিপ্লব।

এই মার্ক্সবাদি স্কুলের বক্তব্য অনুযায়ী বিজ্ঞান চেতনায় জনগনকে শিক্ষিত করা – রাষ্ট্র এবং উৎপাদন ব্যাবস্থার মধ্যে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিগুলির প্রতিষ্ঠাই আসল মার্ক্সবাদি লাইন। এবং এটি করতে গেলে সমাজ এবং রাষ্ট্র থেকে ভাববাদি বা ধর্মের প্রতিটি হাতকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে-সরাসরি ধর্মের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। যেটা বামবাঙালী ভোট হারানোর ভয়ে করে না। উলটে মাদ্রাসা স্থাপন করে।

( বহুদিন ধরে অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন, আমি আসল মার্ক্সবাদি লাইন বলতে কি বুঝি। এবং আমি যা বুঝেছিলাম তা বাম বাঙালীর থেকে অনেকটাই আলাদা। তাই লেখাটা আবিশ্যিক ছিল। )

[1] Soviet Marxist Philosophy of Technology : Friedrick Rapp
[2] Towards conceptual interaction among Soviet Philosophy, Neo-Thomism, Pragamatism and Phenomenology : T. J . Blakeley
[3] The scientific Technological Revolution and Soviet Ideology-Buchholz