সৌদি নারীদের সত্যি কাহিনী
মূলঃ খালেদ ওলীদ
অনুবাদঃ আবুল কাশেম
ফেব্রুয়ারী ১২, ২০১০
[ভূমিকাঃ ডিসেম্বর মাসে খালেদ ওলিদের ইসলাম পরিত্যাগের জবানবন্দির অনুবাদ করেছিলাম। তখন লিখেছিলাম খালেদ আমাকে বেশ কয়েকটি ইমেইলে সৌদি আরাবের ইসলাম সম্পর্কে লিখেছিল। এখানে আমি তার আর একটি লেখা অনুবাদ করে দিলাম। উল্লেখ্য যে খালেদের এই লেখাটি একটা বইতে প্রকাশ হয়েছে। বইটার শিরোনাম হলো: Why We Left Islam.
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ: বাংলায় এটা আমার দ্বিতীয় লেখা। কোন ভুলভ্রান্তি থাকলে জানিয়ে দেবেন।
আবুল কাশেম]
:line:
অনেকেই বলে থাকেন ইসলাম নারীদের শ্রদ্ধা করে এবং তাদের মূল্য দিয়ে থাকে। কিন্তু আমার নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে আমি বলতে পারি এই ধারনা সর্বৈব মিথ্যা। সৌদি আরবের আদি অধিবাসী হিসেবে আমি স্বচক্ষে দেখেছি কি ঘৃন্য ও নীচু ভাবে ইসলামী সমাজে নারীদেরকে স্থান দেওয়া হয়েছে। আমি যা চাক্ষুষ দেখেছি কি ভাবে ইসলামে নারীদের এই দুর্দশাদায়ক ও হীনকর অবস্থা তা সংক্ষিপ্ত ভাবে বর্ণনা করব এই রচনায়। আমি হলফ্ করে বলতে পারি: এই রচনার প্রতিটি শব্দ সম্পূর্ণ সত্য এবং সত্য ছাড়া এক বিন্দু মিথ্যা নাই। এই রচনায় কিছুমাত্র মনগড়া বা অতিরঞ্জিত বিষয় নাই। এই লেখা আমি নিজের মন থেকে লিখেছি, কেউ ই আমাকে বাধ্য কিংবা প্রভাবিত করেনি এই লেখার জন্য। এর কারণ আমার জন্ম সৌদি আরবে, এবং এই সৌদি আরবেই আমি পাকাপোক্ত ভাবে থাকি।
আমার তিন বোন আছে । তারা ভীষণভাবে পড়াশোনা করতে আগ্রহী । নিজের চেষ্টায় ওরা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছিল। কিন্তু আমাদের দেশের নারীদের শিক্ষার উপর বিভিন্ন অযৌক্তিক, সেকেলে ও অন্যায্য নিয়ম চাপিয়ে দেয়ার জন্য ওরা ওদের পছন্দসই বিষয় নিয়ে পড়াশোনা শেষ করতে পারল না। আমার শত ইচ্ছা সত্বেও ওদের শিক্ষাকে এগিয়ে নেবার জন্য আমি কিছুই করতে পারিনি । আমার হাত বাঁধা। কারণ আমাদের সমাজে নারী আধুনিক শিক্ষায় উচ্চশিক্ষিতা হলে সে সমাজের বিরাগভাজন হয়ে পড়ে।
আমার এক ভগিনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় শেষ করে পড়াশোনা ছেড়ে দিল। তার কারণ সে চাইছিল সে সৌন্দর্য প্রশিক্ষণ (বিউটি থেরাপিস্ট) গ্রহণ করবে। কিন্তু আমাদের মতো খাঁটি ইসলামি সমাজে তার অভিলাষ পূর্ণ হওয়া সহজ নয়। তার জন্যে বিউটি থেরাপিস্ট হওয়া একেবারেই অলীক কল্পণা মাত্র। আমার অপর দুই ভগিনী বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হতে চাইল। সেজন্য ওরা উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করল।
আমার পরিস্কার মনে আছে আমার ঐ ভগিনীরা যখন মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল তখন ওদের পরচয়পত্রে ওদের নাম ছিল ঠিকই, কিন্তু ছবি ছিল আমার পিতার। এর অর্থ এই যে আমার ভগিনীদের কোন বাস্তব অস্তিত্ব নাই। ওরা কাগজে আছে নামে মাত্র। পাঠকবৃন্দ, আপনারা এই ধরণের জঘণ্য ব্যাবস্থার কথা জেনে চম্কে যাবেন না যেন। আমাদের সমাজে নারীদেরকে ধরা হয় গৃহপালিত পশুর মতো। গৃহ পশুর যেমন সর্বদাই এক মালিক থাকে তেমনি ভাবে আমাদের নারীদের সর্বদায় কেউ না কেউ মালিক হয়। আমাদের নারীরা মানব হিসাবে অস্তিত্ব পেতে পারেনা। সৌদি আরবের আইন বলে যে কোন কলেজের মেয়ে তার পরিচয়পত্রে তার নিজস্ব ছবি লাগাতে পারবে না। একমাত্র মেয়ের পিতার, ভ্রাতার, স্বামীর অথবা তার আইনী অভিভাবকের (মাহ্রম) ছবি থাকবে।
সে যাই হোক। আমার ঐ দুই বোন শিক্ষকতার জন্য প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করে চাকুরীর জন্য অপেক্ষা করতে থাকল। কিন্তু বাসা থেকে বলে দেয়া হলো – চাকুরীস্থল আমাদের গৃহের কাছে হতে হবে। কারণ আমার বোনেরা কোন পরিস্থিতিতেই আমার পিতার নাগালের বাইরে যেতে পারবে না। এর সোজা অর্থ হল—ওরা কোনদিনই চাকুরী পাবে না।
একজন বিবেকবান ভ্রাতা হিসাবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আমাদের এলাকার অনেক পুরুষের তুলনায় আমার ভগিনীরা বিদূষী, দায়িত্ববান—এমন কি আমার চাইতেও। আমি পরিপূর্ণভাবে জানি যে ওদেরকে সুযোগ দেওয়া হলে কোন সমস্যা ছাড়াই ওরা নিজেরাই নিজেদের জীবন সুষ্ঠুভাবে গড়ে নিতে পারবে। সত্যি বলতে কি ওরা অনেক শক্ত কাজ আমাদের চাইতেও ভালোভাবে সম্পন্ন করার সামর্থ্য রাখে।
কিন্তু, হায় কি দুর্ভাগ্য! এই আমার তিন শিক্ষিতা, জ্ঞানসম্পন্ন, উচ্চাকাঙ্খী ও দায়িত্বশীল ভগিনীগন এক নিরক্ষর পিতার হাতে বন্দীনি। আমার পিতা গৃহের বাইরের বিশ্ব সমন্ধে একেবারেই অবগত নন। উনি বিশ্বসভ্যতার অগ্রগতি ও বিকাশের কোন প্রয়োজনীয়তাই দেখেন না। এরই সাথে তিনি আমার তিন বোনকে বাধ্য করছেন ওনার চৌহদ্দিতে তাদের জীবনকে আটকে রাখতে।
আমার পিতা আমার বোনদের বিবাহ নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন। এর কারণ এই যে আমার পিতা কঠিন ভাবে শর্ত দিয়েছেন যে অ ধূমপানকারী, পাক্কা ইসলামি এবং একই গোত্রের পাত্র ছাড়া আরা কাউকে আমার বোনেরা বিবাহ করতে পারবে না। এখন দেখা যাচ্ছে এই মূঢ় এবং অনঢ় শর্তের কারণে আমার বোনদের চিরকুমারী থাকতে হবে। ভবিষ্যতে ওদের বিবাহের কোন সম্ভাবনাই নাই।
আমাদের এই কঠোর ইসলামি সমাজে যেসব পুরুষ ধুমপান করে অথবা/এবং নামায রীতিমত পড়েনা তাদেরকে বিবাহের অনুপযুক্ত ধরা হয়। কোন পুরুষ বিবাহ করতে চাইলে তাকে দুইজন সাক্ষী জোগাড় করতে হবে যারা সাক্ষ্য দিবে যে ঐ বিবাহ ইচ্ছুক পুরুষ ধুমপায়ী নয় এবং মসজিদে নিয়মিত নামায আদায় করে। এই নিয়মটা খুবই ধ্যবাধকতামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়। এই প্রক্রিয়াটা সৌদি সমাজে এতই গুরুত্বপূর্ণ যে ঐ সাক্ষ্য ছাড়া বিবাহ ভেঙ্গে যেতে পারে। আরও একটি অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এক সৌদি গোত্রের পাত্র অন্য সৌদি গোত্রের পাত্রীকে কোনক্রমেই বিবাহ করতে পারবে না, এমনকি উভয় গোত্র যদিওবা মুসলিম হয় তবুও। এই প্রসঙ্গে কোন সৌদি মহিলার অ মুসলিম পাত্রকে বিবাহের তো প্রশ্নই উঠে না। এটা সম্পূর্ণ হারাম চিন্তাই করা যায় না।
আমাদের গোত্রে নারীরা পুরুষদের তুলনায় প্রায় দুই তিন গুন বেশী। এর অর্থ হল আমাদের অনেক মহিলাকে চিরজীবন অবিবাহিতা থেকে যেতে হবে। কারণ আমাদের গোত্রের বাইরে বিবাহ করা সম্পূর্ণ অচিন্তনীয়। আমাদের সমাজে পুরুষরা বিশ বছরের নীচের মেয়েদেরকে বিবাহ করতে চায়। তাদের রয়েছে ষোল বছর অথবা তার চেয়েও কম বয়সি মেয়েদের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ। এর পরিনাম এই যে বিশ বয়সের উর্ধের মেয়েদের বিবাহের সম্ভাবনা একদম শুন্য। এইসব মেয়েদের জন্য একটাই পথ—তাদেরকে বৃদ্ধ পুরুষ বিবাহ করতে হবে।
কাজেই দেখা যাচ্ছে এইসব গোঁয়ার্তুমি ইসলামী নিয়ম কানুনের জন্য আমাদের সমাজের বাড়তি বয়সের মেয়েদের ভবিষ্যত বিবাহজীবন একেবারেই দূরূহ।
এখন দেখা যাক আমার পিতার সত্যিকার কারণ: কেন তিনি তাঁর মেয়েদের বিবাহের ব্যাপারে একেবারেই নিরুৎসাহী। এই ব্যাপারে আমি বলতে চাচ্ছি কেন আমার পিতা তাঁর মেয়েদেরকে অন্য গোত্রের ছেলেদের হাতে তুলে দিতে নারাজ।
বেশিরভাগ সৌদি পুরুষ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে নারীদের নিজস্ব কোন আশা, আকাঙ্খা, উচ্চাভিলাস থাকতে পারে না। তাই বিবাহের ব্যাপারে সৌদি মেয়েদের অভিমত সম্পূর্ণ অবান্তর। একটি সৌদি মেয়ে সম্পূর্ণভাবে তার মালিকের সম্পদ। মেয়েটির মালিক তার মেয়েটির ভাগ্য নির্ধারক। সৌদি পুরুষেরা মনে করে যে তাদের গোত্রের মেয়েরা অন্য অজানা গোত্রের ছেলের সাথে বিবাহ হওয়া খুবই লজ্জার ব্যাপার। একজন সৌদি কোন রকমেই এটা মানতে পারবেনা যে তাদের গোত্রের এক মেয়ের ‘সম্মান’ অন্য গোত্রের ছেলে দিতে পারবে। এক সৌদি পিতা চিন্তাই করতে পারে না যে তার কন্যা অন্য গোত্রের অচেনা ছেলের সাথে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হবে—এমন কি বিবাহের পরেও। এমনকি জামাই মুসলিম হলেও। এইটাই হচ্ছে আমার পিতার রূপ—তিনি তাঁর মেয়েদের বিবাহে রাজী নন অন্য বাইরের ছেলের সাথে। যদি তিনি ঘুর্ণাক্ষরে চিন্তাও করেন যে কোন বাইরের লোক তাঁর মেয়ের সাথে যৌনসঙ্গম করে কিংবা তাঁর কন্যার যৌনাঙ্গ দেখে ফেলতে পারে, তার মনে হয় মাথাই খারাপ হয়ে যাবে।
উপরে উল্লেখিত কারণের জন্য প্রচুর সৌদি পিতা দ্বি বিবাহের আয়োজন করেন। অর্থাৎ, আপনি আপনার ছেলেকে দিন আমার কন্যার কাছে, এবং আমি আমার কন্যাকে দিব আপনার ছেলের হাতে। এই নিয়মটা ভগিনী হলেও চলবে। এই ভাবে উভয়পক্ষ সান্ত্বনা পায় যে উভয়ের ‘সম্মান’ রক্ষা হলো। আমাদের সমাজে যখন কারও অর্থের প্রয়োজন পড়ে কিংবা নতুন স্ত্রীর প্রয়োজন হয় তখন মেয়েদের এই ভাবে পণ হিসাবে ব্যবহার করে। কিছু সৌদি মহিলা অর্থোপার্জন করে। কিন্তু তারা যা ই আয় করে তার সবটাই চলে যায় তাদের পিতার অথবা স্বামীর পকেটে। অনেক মহিলার পিতা এতোই পাষাণ হৃদয়ের যে, তাঁদের কন্যার আয় স্বামীর কাছে চলে যাক তা তারা চান না —তাই সেই সব পিতারা চান না যে তাঁদের কন্যারা কখনো বিয়ে করুক। আমার মনে হয় এটাও হয়ত একটা কারণ হতে পারে—কেন আমার পিতা একপ্রকার বিবাহ নিষেধাজ্ঞাই জারী করেছেন আমার বোনদের বিয়ের উপর।
তাহলে এই সমাজে আমার বোনেরা কেমন করে বেঁচে আছে?
দেখুন, এই সৌদি সমাজে আমার ভগিনীরা একেবারেই অসহায় এবং সীমাহীন ভাবে নিপীড়িত। নিজেদের জীবন নিজের হাতে নিয়ে চালাবার কোন অধিকার তাদের নেই। ওরা সম্পূর্ণভাবে আমার পিতা, আমার ও অন্যান্য ভাইদের উপর সর্বদা নির্ভরশীল। ওরা কোনভাবেই একা বাইরে যেতে পারে না। অদের কেউ ঘরের বাইরে গেলে একজন পুরুষ, যেমন ভাই অথবা পিতাকে নিয়ে যেতে হবে—তার দেহরক্ষী অথবা সহায় হিসেবে। এমন কি দুর্ঘটনা, হাসপাতাল অথবা অন্য কোন জরুরী অবস্থাতেও ওদের কেউ ঘরের বাইরে পা ফেলতে পারবে না। বিশ্বাস করুন ওদের কারও হাসপাতাল যাবার প্রয়োজন হলে আমার ভাইকে ডাকতে হবে। আমার ভাই থাকে শহরের বাইরে। তাকে অন্য শহর থেকে আসতে হবে ৩০০ কিঃ মিঃ গাড়ী চালিয়ে। সৌদি আরবে মেয়েদের গাড়ি চালানো নিষেধ; আমার বোনেদের গাড়ী চালানোর অধিকার নেই, আর অন্যদিকে আমার পিতাও গাড়ী চালানো কখনো শিখেননি। এই সব কারণে আমার ভগিনীদের এই সীমাহীন দুর্দশার মাঝে কালাতিপাত করতে হয়। যতই জরুরী বা গুরুত্বপূর্ণ হউক না কেন, ওদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাবার জন্য ওদেরকে ওদের মাহ্রামের (আমি, আমার ভাই অথবা পিতা) জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এছাড়া ওদের কোন পথ নাই। এদিকে আমার পিতা কেমন করে ব্যাংকের কার্ড (এ টি এম) ব্যবহার করে টাকা তুলতে হয় তা জানেন না। তাই আমার কোন ভগিনী টাকা ঊঠাতে চাইলে তার কার্ড কোন অজ্ঞাত লোকের হাতে তুলে দিতে হবে। নিত্যনৈমিত্তিক জিনিষ কিনতে চাইলে টাকা কোন অজানা পুরুষের হাতে দিতে হবে। সেই লোক তখন যা খুশী তাই দাম বলবে। এই ভাবে সৌদি মেয়েদের দৈনিক অসীম দুর্দশাপূর্ণ অবস্থার মাঝে জীবন কাটাতে হয়। আমি এখানে মাত্র কয়েকটি উদাহরণ দিলাম। আমি মাঝে মাঝে চিন্তা করি আমার নিজের চাকুরী ছেড়ে দিয়ে ওদের সাহায্য করি।
আপনারা হয়তো বলবেন: ওদেরকে সৌদি আরবের বাইরে কোথাও নিয়ে যাও। কিন্তু ব্যাপারটা এত সহজ নয়। সৌদি মেয়েদের পাসপোর্ট পেতে হলে ওদের আইনী অভিভাবকের লিখিত অনুমতির প্রয়োজন। শুধু পাসপোর্ট পেলেই হবে না; বিদেশে একা যাবার জন্য মেয়েদের তাদের পিতা অথবা তাদের স্বামীর স্বাক্ষরিত বিশেষ কাগজপত্র জোগাড় করতে হবে। আমি নিশ্চিত যে একজন নিরক্ষর হিসেবে আমার পিতা কস্মিকালেও আমার বোনদেরকে বিদেশে পাড়ি দেবার অনুমতি দেবেন।
মাঝে মাঝে আমি চিন্তা করি কেন আমাদের সমাজের নারীদেরকে এই সীমাহীন উৎপীড়ন সইতে হচ্ছে। আমার বোনেরা তাদের পিতা অথবা ভাইএর অনুমতি ব্যতিরেকে কিছুই করতে পারে না। ওরা সর্বদায় ঘরের ভিতরে আছে, টেলিভিশন দেখছে। ওদের জন্য না আছে কোন খেলাধুলা, না আছে কোন কাজ, না আছে কোন বেঁচে থাকার লক্ষ্য। সত্যি বলতে কি ওরা বিশ্বের বৃহত্তম জেলে বন্দী আছে—সেই জেলখানা হচ্ছে গোটা সৌদি আরব; আর এই দেশ হচ্ছে খাঁটি, সত্যিকার ইসলামের দেশ।
সুসঙ্গত কারনেই হয়ত অনেকে জানতে চাইবেন সৌদি নারীদের এই অবর্ণনীয় দুর্দশার হেতু কি; কিসের জন্যে এখানকার নারীরা অকথ্য নির্যাতন সহ্য করে যাচ্ছে? অতি সহজেই আমরা নির্বোধ, যুক্তিহীন, অশিক্ষিত ও সেকেলে সৌদি নিয়ম কানুন কে দোষী সাব্যাস্ত করতে পারি। কিন্তু একটু চিন্তা করলেই আমরা বুঝতে পারি যে এই সব কিছুরই উৎস হচ্ছে ইসলাম। পরিষ্কারভাবে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এসবের জন্য একমাত্র ইসলাম দায়ী। ইসলামী আইন কানুন আমাদের নারীদেরকে পরিনত করেছে পুরুষদের সম্পত্তিতে। তাদেরকে দাসিত্বে ফেলে দিয়েছে এবং নারী হিসেবে তাদের যে মান, সম্ভ্রম, মর্যাদা ও শ্রদ্ধা আছে তাও হরন করে নিয়েছে। সত্যি কথা বলতে কি ইসলাম আমাদের নারীদের নারীত্বের ভিত্তিমূলে কুঠারাঘাত করে তা ধুলিসাৎ করে দিয়েছে।
ইসলাম একজন পিতাকে তার কন্যার উপর সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব দিয়েছে। পিতা কন্যাকে সর্বতোভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে। কন্যকে যেমনভাবে বিবাহ করানো, তাকে সামাজিক জীবন থেকে সরিয়ে রাখা, এমনকি তাকে মেরে ফেলারও সম্পূর্ণ আধিকার পিতার রয়েছে। আপানারা হয়তো এই জেনে আশ্চর্য হবেন যে এক সৌদি পিতা যখন খুশি তার কন্যাকে মেরে ফেলতে পারে আইনের তোয়াক্কা না করে। অনুগ্রহপূর্বক জেনে নিন যে এক সৌদি পিতা তার কন্যাকে মেরে ফেললেও সে পিতা কক্ষনই মৃত্যুদণ্ড পাবে না। এর কারণ হচ্ছে, কন্যা পিতার সম্পত্তি, সে ঐ সম্পত্তি যেভাবে খুশী নিষ্পত্তি করে দিতে পারে—এমন কি মেরে ফেলেও। সৌদি আরবে শরিয়া আইন অনুযায়ী কোন পিতা তার কোন সন্তানকে খুন করলে, সরকারের কোন ক্ষমতা নাই ওই পিতাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা।
ইসলামী আইন অনুযায়ী পিতার অনুমতি ছাড়া কন্যা বিবাহ করতে পারে না। করলে তা হবে হারাম। সংক্ষিপ্ত ভাবে বলা যায় যে ইসলামে পিতা হচ্ছেন একজন পবিত্র, সাধু পুরুষ—একজন সেনাপতি ও এক বদমেজাজী একনায়ক। এমনকি পিতা অশিক্ষিত, নিরক্ষর, মূঢ়, অনৈতিক, অন্যায়কারী ও সন্তানদের প্রতি অবহেলাপূর্ণ হলেও তার সন্তানদের, বিশেষতঃ কন্যাদের, সেই পিতার বিরুদ্ধে করার কিছুই নাই।
আমি এখন কি করতে পারি?
এই প্রশ্নের সোজা উত্তর হবে আমার করার কিছুই নাই। এই অবস্থার পরিবর্তন করার কোন ক্ষমতাই আমার নাই। আমি যদি আমার পিতার বিরুদ্ধে মামলা করি তবে ইসলামী বিচারক আমার পিতাকে হয়তো প্রশ্ন করবে: আপনি আপনার কন্যাদের বিবাহের ব্যবস্থা করেন না কেন? এর উত্তরে আমার পিতা হয়তো উদাসীন ভাবে বলবেন: আমার এই মেয়েগুলো আমার আধীনে আছে; এর আমার সম্পত্তি। এদের জন্যে আমি যদি সুপাত্র না জোগাড় করি তবে আল্লাহ্ আমাকে শাস্তি দিবেন। এর প্রমান হিসাবে আমার পিতা হয়তো দেখাবেন যেই সব পাত্র তিনি দেখেছেন তাদের সবাই ধুমপায়ী। উনি হয়তো সাক্ষী নিয়ে দেখাবেন ঐসব পাত্ররা মসজিদে অনামাযী। এর বিরুদ্ধে ইসলামি বিচারককে নিশ্চুপ থাকতে হবে। বিচারক কোন ক্রমেই আমার পিতাকে সাজা দিতে পারবে না। বরঞ্চ বিচারক আমাকেই সাজা দিবেন, কেননা আমি আমার পিতার সিদ্ধান্ত মানি নাই, এবং আমার পিতাকে সম্মান করি নাই।
এখন এইরূপ যন্ত্রনা ও হতাশার মাঝে থেকে আমি ধৈর্য ধরে আমার পিতার মৃত্যুর অপেক্ষা করছি। উনি মারা যাবার পর আমার ভগিনীদের দায়দায়িত্ব আমারই হাতে আসবে। সরকারীভাবে তাদের মালিকানা আমার হাতে ন্যাস্ত হবে। আমরা যেমনভাবে গাড়ি, বাড়ি, ছাগল, ঊট…ইত্যাদির মালিক হই, সেভাবেই আমিও আমার ভগিনীদের মালিক হব। তারপর আমার ইচ্ছামত আমি তাদের ভাগ্যের নিয়ন্ত্রক হব। আমি ইচ্ছা করলে তাদেরকে স্বর্গে পাঠাতে পারি অথবা নরকেও।
পাঠকবৃন্দ, অনুগ্রহপূর্বক আমার ভগিনীদের জন্য কোন দুঃখ প্রকাশ করবেন না, এবং তাদের প্রতি করুনাও করবেন না। আপনারা জেনে একটু তৃপ্তি পাবেন যে তুলনামূলক ভাবে আমার ভগিনীরা অনেক সৌভাগ্যবতী। কেননা ওরা বছরে একবার অথবা দুই বার শপিং কমপ্লেক্সে বেড়াতে যেতে পারে। ওরা সৌন্দর্যচর্চার জন্য মেক আপ ব্যবহার করতে পারে। এমনকি চুপি চুপি সঙ্গীতও শুনতে পারে। তাদের সবচাইতে বড় স্বাধীনতা হচ্ছে তারা টেলিভিশনের চ্যানেল পরিবর্তন করতে পারে। কেননা বহু সৌদি নারীদের এই অধিকারটুকুও নাই। আপনাদের কাছে এটা বিস্ময়কর মনে হতে পারে – কিন্তু সৌদি আরবে এটাই সত্য।
খালেদ ওলীদ
জানুয়ারী ২৭, ২০০৬
আপনার কথা গুলো কতটুকু সত্য ।বানোয়াট কোন তথ্য দিবেন না ।
@শুভজিৎ ভৌমিক
চান্স পাইতে দেরি আর মজালইতে দেরি নাই । জাহেলিয়া যুগ মিথ্যা ছিল আর মহাভারত আপনি নিজে হইতে দেখছেন ?
মহাভারত নিয়াতো কিছু বললেন না ? যাই সত্য মিথ্যার তর্কে যাব না । বর্তমান জামানায় এশিয়াতে লক্ষ লক্ষ কন্যা সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার আগে হত্যা হচ্ছে কই মাইয়া মানুষ কি হাওয়া হইা গেছে?
আপনার কথায় কিছু অসত্যতা রয়েছে
@আরিফ,
এই লেখায় কী কী অসত্যতা রইয়াছে?? জানালে খুশি হইতাম…
মানুষের মাঝে অর্থাৎ পৃথিবীতে স্বর্গ হয়তো অনেকগুলোই আছে, কিন্তু নরক একটাই, সেটা হলো – সৌদি আরব।
মোমিনদের কাছে প্রমান চাওয়া হলে বলবে “বিশ্বাসের ব্যাপার”। আবার এ ধরনের লেখা বা তথ্য হাজির করলে বলবে- প্রমান কই? :guli:
আরব দেশে সবচেয়ে অমানুবিক কাজ মেয়েদের সাথে যেটা করা হত সেটা হল মেয়েদের যরায়ুর সংবেদনশীল অংশ(clitoris) টি কেটে দিত।এটা কে বলা হই মেয়েদের মুসলমানি,
এখন করা হই নাকি জানিনা, তবে এটি মেয়েদের জিবন টা কে হেল করে দেই, তাতে কোন সন্দেহ নেই।
সামিয়াঃ
খালেদ যা লিখেছে আমি তার বাংলা অনুবাদ করেছি মাত্র। সে সৌদী আরবের আদিম আধিবাসী। আমার বিশ্বাস সে কোন বানানো কথা লিখবে না।
যাই হোক, একজন মেয়ের আভিভাবক যে তাকে বন্দি করে মেরে ফেলার অধিকার রাখে তার জন্য আমাদের বেশীদূর ইসলামী আইন দেখার প্রয়োজন নাই। দেখুন কোরানেই লেখা আছে এই ভাবেঃ
আয়াত ৪ঃ১৫
YUSUFALI: If any of your women are guilty of lewdness, Take the evidence of four (Reliable) witnesses from amongst you against them; and if they testify, confine them to houses until death do claim them, or Allah ordain for them some (other) way.
PICKTHAL: As for those of your women who are guilty of lewdness, call to witness four of you against them. And if they testify (to the truth of the allegation) then confine them to the houses until death take them or (until) Allah appoint for them a way (through new legislation).
SHAKIR: And as for those who are guilty of an indecency from among your women, call to witnesses against them four (witnesses) from among you; then if they bear witness confine them to the houses until death takes them away or Allah opens some.
মওলানা মহিউদ্দিন খানের বাংলা অনুবাদ দিলাম।
৪:১৫ আর তোমাদের নারীদের মধ্যে যারা ব্যাভিচারিণী তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের মধ্য থেকে চার জন পুরুষকে সাক্ষী হিসেবে তলব কর। অতঃপর যদি তারা সাক্ষ্য প্রদান করে তবে সংশ্লিষ্টদেরকে গৃহে আবদ্ধ রাখ, যে পর্যন্ত মৃত্যু তাদেরকে তুলে না নেয় অথবা আল্লাহ্ তাদের জন্য অন্য কোন পথ নির্দেশ না করেন।
ভাইয়া, সৌদি আরবের শরীয়া আইনে যে কন্যাকে হত্যা করার অধিকার পিতার আছে, এটার কোন রেফারেন্স দেখাতে পারবেন কি? একটু কষ্ট করে রেফারেন্সটা দিয়ে দিলে ভালো হত।
@সামিয়া,
আমি এ পর্যন্ত যতগুলো ইংরেজী বা বাংলায় অনূদিত কোরান দেখেছি তার মধ্যে ডা. সাব্বির আহমেদের QXP (The Quran as it Explains Itself) সবচেয়ে সহজবোধ্য এবং হাদিস নির্ভর অনুবাদ নয়। এখানে উক্ত আয়াতের অনুবাদটি দেয়া হলোঃ
4:15
(Protection of honor and chastity for men and women, both, is the cornerstone of a virtuous society. 17:32, 4:24.) If any woman or a group of women spread sexual immorality or lewdness in the society, it is required that the appropriate court takes four honorable and reliable witnesses. If their testimony corroborates with other evidence (12:26), confine them to their houses, since immorality is as contagious as good conduct. This confinement would be for an indefinite period, unless such women seek the Way of God, such as repentance and making amendment, or the singles among them get honorably married.
4:16
If the two of you spread such immorality or lewdness in the society, both of them shall be punished (as determined by the appropriate court of law). But if they repent and mend their ways, leave them alone. God is the Acceptor of repentance, Merciful. (This includes homosexuality, male and female.)
ধন্যবাদ।
আচ্ছা, কেউ কি ইংরেজী ব্লগে অভিজিৎ দার ‘Scientists’ Protest on the Publication of Islamic Pseudoscience in the International Journal of Cardiology’ আর্টিকেলটি পড়েছেন? না পড়লে এখনই পড়ে একটা প্রতিবাদলিপি দ্রুত পাঠিয়ে দিন।
:yes: :yes: :yes:
ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বে আমরা দেখেছি মেয়েরা এতটাই স্বাধীন ছিলো যে তারা ব্যবসা পর্যন্ত করতে পারত( খাদিজার ব্যবসা ছিলো) । তখন মেয়েরা স্বাধীনভাবে নিজের বিয়ের ব্যাপারেও মত দিতে পারত। অথচ এখন?
(মেয়েদের জীবন্ত কবর দেয়ার ইসলাম পূর্ব নীতিটি কোথায়, কিভাবে চালু ছিলো জানি না, তবে আমার মনে হয় – হয়ত বিচ্ছিন্ন ভাবে এ ঘটনাটি কোথাও ঘটেছে আর ইসলাম পূর্ব আরবের অবস্থা কত খারাপ তা দেখানোর জন্য একে অতিরঞ্জিত করে উপস্থাপন করা হয়। কেননা, নারী শিশুকে জীবন্ত কবর দেয়ার ব্যাপক প্রচলন থাকলে মানুষ সেখানে বিলুপ্তির পথে চলে যাওয়ার কথা ছিলো আর মুহাম্মদেরও ১৩ টি বিয়ে করার শখ হত না।)
@সৈকত চৌধুরী, :yes:
ইসলামী ইতরামি অনন্ত, অসীম।
@একজন নির্ধর্মী,
বা ইসলামী ইতরামী অনন্ত … সৈকত
religion and god r the 2 worst ancient creation of human, and today we unfortunately still have the same nuts following all these silly little religions that were mistakingly made up thousands of years ago. The society will not be changed untill those exist with us. Hope for a better secular world…………….
এর পরেও মানুষ ইসলাম নিয়ে বা পুরো ‘ধর্ম’ ব্যাপারটা নিয়েই বীতশ্রদ্ধ হবে না কেন??
@স্নিগ্ধা,
সমস্যাটা কোথায় জানেন? সমস্যাটা হচ্ছে আমাদের মত সাধারন মানুষরা বেঁচে থাকার জন্য একটা অবলম্বন চায়। যার সামর্থ যত কম, তার অবলম্বনেরও বেশি প্রয়োজন। এই ধর্ম বিশ্বাসটা ছা-পোষা মানুষদের একটা মানসিক অবলম্বন দেয়।
বিপদে আছি- আল্লা দেখবেন, পাপ করেছি- আল্লা ক্ষমা করবেন, সাহায্য চাই- উপরওয়ালা আছেন, কেউ আমার ভাত মেরে খাচ্ছে- পরকালে শাস্তি পাবে…………………………… এরকম অসংখ্য। এগুলো আর কিছু না হোক, অন্তত মানসিক শান্তি দেয়, যে আমার জন্যও কেউ আছেন। ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত মানে ছা-পোষা মানুষগুলোর জীবনের একটা ভিত্তি নড়ে যাওয়া(আমার নিজেরও পুরা মস্তিস্ক কেঁপে গিয়েছিল)। এত দিন যা জানতাম সব ভূল এইটা মানা যে কত কঠিন। সবার এত মনের জোড় থাকেনা।
আর মানুষ যত দিন নিজের সবটুকু সীমাবদ্ধতা ছাড়তে পারবে না, তত দিন ঐ অবাস্তব সত্তা থেকেই যাবে।
@স্নিগ্ধা,
সৌদী প্রসংগে যারা ইসলাম ধর্ম ডিফেন্ড করেন তাদের জবাব কিন্তু অত্যন্ত সহজ। সৌদীরা আসল ইসলামের তেমন কিছু জানে না, ওরা ইসলাম রক্ষার নামে বিকৃত করে ফেলেছে। ওরা কি পালন করে না করে সেটা দিয়ে ইসলাম যাচাই করা যুক্তিসংগত হবে না। সাথে সাথে প্রমান হিসেবে দেখিয়ে দেবে যে এ লেখাতেও সেখানে ইসলামের নামে নারীদের উপর যেসব অত্যাচারের বর্ননা আছে সেগুলি কোরানের কোথাও নাই। হয়ত হাদীসে থাকতে পারে তবে হাদীস ইসলামের কোন স্বীকৃত অংশ নয়।
@আদিল মাহমুদ,
আমি আজ পর্যন্ত জানতেই পারলাম না যে কোন দেশে সঠিক ইসলাম পালন করা হয়। যেটাকেই শক্তভাবে ধরা হয় সেটাকেই বলা হয় এটা আসল ইসলাম না। তাহলে আসল ইসলাম কোনটা? লোম বাছতেতো দেখি কম্বল উজাড়। এই সব হাবিজাবি জিনিষ বাদ দিলে ইসলামের আর থাকেটা কি?
@ফরিদ আহমেদ,
আমার সমস্যাও তো একই যায়গায়।
আসল ইসলামের সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছি। সর্বসম্মতিক্রমে কে বা কারাই আসল ইসলাম জানে বা পালন করে তা জানার আমারো কৌতূহল তীব্র।
@স্নিগ্ধা,
কারণ, এ নারী নির্যাতন যে, কোরান সম্মত, এবং ইসলামের ইতিহাস যে এর প্রমাণ, সাধারণ মানুষকে তা জানতে দেয়া হয়না।
@আকাশ মালিক, তানভী, ফরিদ ভাই এবং আদিল মাহমুদ –
‘আসল’ ইসলাম কী, বা কেন মানুষ ইসলাম মানে সওওওব কিছুর উত্তর আমার কাছে আছে। কিন্তু, জ্ঞানী মানুষরা কম কথা বলে বিধায় ওসব পাবলিকলি আলোচনা করতে আমি অক্ষম ……
@স্নিগ্ধা,
চেষ্টা করেই দেখেন না?
@আদিল মাহমুদ,
হেহ, আপনার এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার চাইতে ‘জ্ঞানী’ রেপুটেশন আমার কাছে অনেক বেশি লোভনীয়, হুঁহ!
@স্নিগ্ধা,
জ্ঞান নিজের কাছে গোপন রাখলে প্রমান হবে কেমনে জ্ঞানী নাকি …? এমন ধারা কথা শুনেছেন নাকি কখনো?
@আদিল মাহমুদ,
প্রমাণ নাই নাকি?! কী আশ্চর্য, আমার তো একটা “জ্ঞানী স্নিগ্ধা” লেখা সার্টিফিকেটই আছে !!
ফট করে আবার সেটা দেখতে চেয়ে বসবেন না যেন – ওটা ফ্রেমে বাঁধাই করে দেওয়ালে ঝোলানো, এবং আমার ক্যামেরা ট্যামেরা কিচ্ছু নাই, অতএব ……
@স্নিগ্ধা,
আমাকে বললেই তো চলে স্নিগ্ধা’পা ! আমার দুই-মেগাপিক্সেল আছে না ! গিয়েই নিয়ে আসবো !
@রণদীপম বসু,
ঠিকাসে, আসেন – ভার্জিনিয়ায় আমার বাসায় এসে ছবি তুলে নিয়ে যান, এতোই যখন আপনাদের সন্দেহ!
@স্নিগ্ধা,
আমি কিন্তু প্রমান ছাড়াই মেনে নিয়েছি।
এবার থেকে তার স্বীকৃতিস্বরুপ আপনাকে সার্টিফাইড জ্ঞানী আপা বলে ডাকা হবে।
@আদিল মাহমুদ,
হে হে – অবশ্যই, অবশ্যই!!!!!
(আচ্ছা, আপনার কি রাফিদাকে একটুও ভয় লাগে না?!)
@স্নিগ্ধা,
কেন কেন? উনি কি আপনার এই বিরল কৃতি্ত্বে ঈর্ষান্বিতা?
তেমন বেগতিক দেখলে ওনাকেও আরেক টাইটেল দিয়ে দেব, ক্ষতি কি? টাইটেল বিলাতে তো আর গাটের পয়সা খরচ হচ্ছে না । বিবর্তন আপা তো ওভার ডিউ হয়েই আছে।
@আদিল মাহমুদ,
আরে না, ঈর্ষান্বিতা ফিতার ব্যাপার না – এটা মুক্তমনার রেপুটেশনের প্রশ্ন! এই যে রাফিদা সুন্দর করে মুক্তমনার পাতায় আমাকে হাবা ‘প্রমাণ’ করে ছাড়লো, আর আপনি এসে কোন প্রমাণ টমাণ ছাড়াই আমাকে ‘জ্ঞানী’ হিসাবে মেনে নিলেন – এইসব অবৈজ্ঞানিক, অযৌক্তিক, এবং অপ্রমাণিত বিশ্বাসপ্রবণতার বিরুদ্ধে এতো, এতোও, এতোওও প্রবন্ধ নিবন্ধ জমা টমা করেও কিনা শেষে মুক্তমনার পাতাতেই এরকম …… !!!
আপনি বরং আপনার স্ত্রী এবং অন্যান্য প্রিয়জনদের কাছে মাফ টাফ চেয়ে রেখেন, বলা কি যায় পরে আর সময় পান কি না পান? (দীর্ঘশ্বাস!)
@স্নিগ্ধা,
মুক্তমনায় আমার বিশেষত্ত্বই তো এখানে। এখানে ঈশ্বরে বিশ্বাসী বিরল প্রজাতীর প্রানীদের মাঝে আমি একজন। বিনা প্রমানে ঈশ্বর মেনে নিলে আর আপনার জ্ঞানী সার্টিফিকেট তো সে তূলনায় নস্যি।
মুক্তমনায় তেমন কিছু হলে জগতে সবচেয়ে খুশী উনিই হবেন। নিত্যই নানান ধরনের হুমকি ধামকির মুখে এখানে ঘোরাঘুরি করতে হয়।
উৎবচন:
‘মেয়াদোত্তীর্ণ হলে অমৃতও বিষ হয়ে যায়;
আর মেয়াদোত্তীর্ণ বিষ কী হতে পারে তার উৎকৃষ্ট নমুনা বোধয়
কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তার নাম দিয়ে পুরুষতন্ত্রের রচিত, প্রবর্তিত ও ব্যবহৃত অলৌকিক ধর্মগুলো।’
আরেকটি উৎবচন:
‘প্রচলিত ধর্মগ্রন্থগুলোতে সম্ভবত কোন মানুষের কাহিনী নেই;
আছে ভোগলিপ্সু পুরুষ-প্রভু, আর ভোগ্যপণ্য দাসী-নারী।’
@রণদীপম বসু,
আপনার কথা চরম সত্য ছাড়া আর কিছুই না। আমি নিজেকে আসলেই মুসলিম ভাবতে পারি নাই এবং চরম লজ্জাবোধ করেছি যখন আমি জেনেছি যে আমি কারো মা, কারো বোন, কারো স্ত্রীকে দাসী বানিয়ে তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়তে পারব। আর যদি এ কাজ আমি অপছন্দ করি এবং কাউকে করতে বাধা দেই আমি কাফের এবং গুনাহগার হয়ে যাব। আমি জানিনা কোন বিবেকবান মানুষ আজকের যুগে এসব জেনেও কিভাবে ইসলামকে শান্তির ধর্ম এবং সবার জন্য অনুসরনীয় আদর্শ বলতে পারে। এটা তো কাফের মোশরেকরাও আজ নৈতিক মনে করে না।
http://www.islam-qa.com/en/ref/10382/slave
শেষ লাইন্টা পড়ে ঘৃণা ধরে গেল। উপরের সাইটে আরো অনেক প্রকার ইসলামিক ইতরামির উদাহরণ দেখতে পাবেন।
@আনাস,
বেশ কিছুদিন পর মনে হয় ব্লগে আবার এলেন।
মনে হচ্ছে এর মাঝে আপনার ধর্ম বিষয়ে আপনার মানসিক অবস্থার আরো বেশ খানিকটাই পরিবর্তন হয়েছে। আগে মনে হয় এতটা খোলাখুলি সমালচনা করতেন না, মনে হচ্ছিল মনে দ্বন্দ্ব আছে; ধর্মের নানান রকমের বাজে দিক দেখতে পারছিলেন তবে সিদ্ধান্তে যেতে পারছিলেন না। এখন মনে হচ্ছে আর সে অবস্থাটা নেই। কি বলেন?
@আদিল মাহমুদ,
এ বেশ কিছুদিন প্রখ্যাত আলেম ও ইসলামী আন্দোলনের অনেক দায়িত্বশীল এবং ফেসবুক এ বিশাল একটা গ্রুপের সাথে বিশাল আলোচনা এবং শেস পর্যন্ত শুধুমাত্র এবং শুধুমাত্র আমার মতবাদ অন্যকে আমার মত ভাবাতে এ অভিযোগে ব্যন্ড এসব কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এর মাঝে সেমিস্টার শুরু হয়ে যাওয়ায় আবার পড়াশুনার ব্যস্ততায় আকাশা মালিক ভাইকে বলা কথা রাখতে পারি নাই।
আসলে সমাজবদ্ধ হয়ে চলতে গেলে একটা ভাল আদর্শ বা মতবাদের বিকল্প নেই। ইসলামের অনেক ভাল দিক আছে। তাই ভেবেছিলাম ইসলাম-ই মানব সভ্যতাকে ভাল সমাজ উপহার দিতে পারে, সে লক্ষ্যে কাজও করেছি অনেকদিন। সেখান থেকে-ই আস্তে আস্তে বুঝতে পারলাম এমন অনেক কিছু আছে যা আজকের সমাজের জন্য অনুপযোগী এবং তা কুরানে থাকার কারনে পরিবর্তন করা অসম্ভব। অনেক মডারেট মুসলিম অনেক আধুনিক ও সুন্দর ব্যখ্যা দেন। কিন্তু সত্যি কথা হল, তারা এখন তালেবানদের হাতে পরেনি, তাই এরকম বলেন। কুরান এভাবে একেক জনের কাছে একেক রকম কেন তা অবশ্য অনেক পরে মুক্তমনায় দেরিদার পরে এবং বাস্তবতা দেখে বুঝেছি।
এটা ঠিক ধরেছেন যে আগের অবস্থান থেকে এখন অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। এর পেছনে মুক্তমনার অবদান আছে। তার থেকে বেশী অবদান দেশ বিদেশের প্রখ্যাত আলেম সমাজের। আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিলের লক্ষ্যে বাবা মা কে অনেক কষ্ট দিয়েছি, আর এখন বাবা মার সন্তুষ্টির জন্যে ইসলামের সব বিধিবিধান পালন করে চলেছি।
@আনাস,
ঈসলামের একটু ভেতরে গিয়ে আর কোরানের অর্থ বুঝতে গিয়ে আমার অনুভূতিও অনেকটা একই রকমেরই হয়েছে। তবে আমি মুক্তমনা বা ইসলাম বিরোধীদের বক্তব্যে তেমন প্রভাবিত হইনি যতটা প্রভাবিত হয়েছি ইসলাম ডিফেন্ডারদের যুক্তিতর্ক শুনে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের যুক্তিতর্ক নিতান্তই হাস্যকর ঠেকেছে। আরো চমতকৃত হয়েছি একই ব্যাখ্যা এক এক জনার কাছে কিভাবে বদলে যেতে পারে সেটা দেখে। পর্দা প্রথার কথাই বলা যেতে পারে উদাহরন হিসেবে। এভাবে বুঝতে পেরেছি যে কোরানের অবজ়েক্টীভ ভ্যাল্যু আসলে খুবই কম। এর জন্য দেরিদ্বার বুঝতে হয়নি, নিজেই বুঝেছি। কারো মতে পর্দা মানে মুখ চোখ হাত পা সবই ঢাকা, আবার কারো মতে শুধু চুল ঢাকা আবার কারো মতে শুধু পবিত্রতা রক্ষা? ইসলাম ডিফেন্ডারদের মধ্যেই মতের পার্থক্য এমন প্রকট হলে আর সমালোচনাকারীদের দোষ দেব কিভাবে? কিভাবেই বা একমাত্র পূর্নাংগ জীবন ব্যাবস্থা হিসেবে দাবী করব? নিতান্তই হাস্যকার ঠেকে।
এটাও বুঝেছি যে অনেকে কোরান বা টিপিক্যাল ইসলামী কঠোর অনুশাসনকে কোরান অবিকৃত রেখে যথাসাধ্য যুগোপযোগী মানবিক করার চেষ্টা করছেন, তবে নিজেদের ভেতরের কট্টরপন্থীদের থেকেই তীব্র বাধার মাঝে পড়ছেন।
@আনাস,
আমিও আপনার এই পরিবর্তনের কথা সবিস্তারে জানতে চাই। আর এর পেছনে যে মুক্তমনার একটা ভুমিকা আছে – তা জেনেও ভাল লাগছে। আশা করি আমাদের প্রত্যাশাকে মূল্য দিয়ে আপনি সবকিছু লিখবেন।
@আনাস,
লেখাটা কৈ হুজুর? আল্ ইন্তেজারু আশাদ্দু মিনাল মাউত। আশা করি তরজমা করতে হবেনা। কোন্ ক্কিয়ামতি লেখা যে লিখতেছেন আল্লাহই জানে। অপেক্ষা করতে করতে বুড়া হয়ে যাচ্ছি।
@আকাশ মালিক,
আর আমার মনে হয়, আল ইন্তেজারু আশাদ্দু মিনাল ক্বিয়ামাহ । আনাস ভাই তাড়াতাড়ি লেখা দিবেন আশা করি।
@সৈকত চৌধুরী,
আচ্ছা! আপনি এতো ভাল আরবী জানেন আগে তো জানতাম না। একটা বিষয় লক্ষ্য করেছেন, আমার না বলা কিছু কথা প্রবন্ধে ফরহাদ সাহেবের মন্তব্যে? তিনি বলছিলেন-
কি রকম লোমহর্ষক ঘটনা। পড়ার পর থেকে মাথা থেকে দৃশ্যটি সরাতে পারছিনা। ফরহাদ সাহেবের জীবনে কিয়ামত তো একবার হয়েই গেছে, এ তার দ্বিতীয় জীবন। আমি ভাবি ঠিক সেই মুহুর্তে আল্লাহর ভুমিকাটা কী ছিল? তার (আল্লাহর) চোখ দুটি খোলা ছিল না বন্ধ ছিল? যদি খোলা থাকে, তাহলে ঐ রেইপিষ্ট পাকিস্তানী আর আল্লাহর মধ্যে পার্থক্য কতটুকু? এই আল্লাহর পুজো মানুষে করে? বাক্যটি পড়ে, ঘৃণা ও ভয়ে তখন আমি কোন মন্তব্য করি নাই।
@আকাশ মালিক,
এই চিন্তাটুকু(১৯৭১) আমার ধর্মছাড়ার পেছনে বিরাট এক অবদান রেখেছে। কি রকম ভয়াবহ নির্যাতন সেটা চিন্তার বাইরে!! পোস্ট দেব দেব করেও দেয়া হয় না। সাইট টা ব্লগ করার আগে এ নিয়ে অভিজিৎ ভাইয়া কে দুটা বিশাল বিশাল মেইল দিয়েছিলাম, ও দুটো খুঁজে পোস্ট দেয়া যায় কিনা দেখি। তাহলে ওদুটো এডিট করে পোস্ট হিসাবে ছেড়ে দেব।
ওদুটো লেখা ভীষণ ভয়ানক ভাষায় লেখা (অত্যাচারের বিবরন ভয়াবহ রকম অশ্লীলও)। অবশ্য ওগুলো সরাসরি বই থেকেই তুলে দেয়া, আমার তেমন কোন ভূমিকা নাই। চিন্তা করছি দেব কিনা।
@আকাশ মালিক,
তা হলে এবার আর একটু যোগ করি।বছর দুয়েক আগে দেশে গেলে আমার বোনের বাসায় সৈকত ও অনন্ত আসে।কারন ছিল আমার বাবার ফাউন্ডেশনের শুভ উদ্ধোধন উপলক্ষ্য।ফাউন্ডেশন উদ্ধোধনের আগের রাতে আমরা কয়জন বন্ধুসহ সৈকত ও অনন্তের সাথে বাসায় আড্ডায় বসি,আড্ডা হলে সাথে কি থাকতে হয় তা নিশ্চয়ই অনুমান করতে পারছেন।সে-ই আড্ডায় ধর্ম , দর্শন,বিজ্ঞানসহ সমসাময়িক রাজনীতি থেকে এমন কোনো বিষয় ছিল না যা আমরা আলোচনা করি নি।তার মধ্যে সবচাইতে যে বিষয়টি সবার নজরে এসেছিল তা হলো সৈকতের ধর্ম বিষয়ে আলোচনার সময় এক নাগাড়ে সে যেভাবে কোরানের আয়াত বলে বলে আমার অন্যবন্ধুদের নাস্তানাবুদ করেছিল তা সত্যিই অবাক করার মতো বিষয় ছিল।ঐ আলোচনা রাত ৩টা পর্যন্ত চলেছিল।পরের দিন খুব ভোরে সবাই কে উঠতে হয় যা ছিল খুব কষ্টসাধ্য।ফাউন্ডেশন উদ্ধোধন উপলক্ষে ডঃ অজয় রায় স্যার,ডঃ শহীদুল ইসলাম স্যার এসেছিলেন।ঐ দিন ভোরবেলা থেকে সারাদিন ও সারারাত যেভাবে ঝড় ও ঘন মুসলধারে বৃষ্টি হয়েছিল তা মনে হয় কেউ কোনোদিন ভূলতে পারার কথা নয়।
@আকাশ মালিক,
আমার ধর্ম ছাড়ার পেছনেও ঠিক এই বোধটাই কাজ করেছিলো!
এসব নিয়ম অসভ্যতা ও বর্বতারই নিদর্শন!
আসলে চৌদ্দশ বছরের আগের এসব আইন এখন বর্জন করার
সময় এসেছে।
তবে সৌদি বাদশাহ্দের এতে সুবিধাই হয় বোধ হয়!
জণগণকে চোখ বেঁধে শাসন করতে পারলে তাদের সব অপকর্ম ঢাকা পরে যায়।
পাশের মুসলিম দেশ সোমালিয়ায় মুসলিম ব্রাদাররা না খেয়ে মারা গেলে তারা দেখেনা।
অথচ তারা ইউরোপে প্রমোদভ্রমনে আসে।
আসলে মুসলিম বলে গর্ব করার সত্যি কি আছে!
ধর্মকারী সাইটে একটা মজার কৌতুক দেখলাম। আবুল কাশেমের পোস্টের সাথে প্রাসঙ্গিক মনে হওয়ায় দিয়া দিলাম। আমি তো হাসতে হাসতে টাইট। :laugh: :rotfl: :hahahee:
কৌতুকটা এখানে পাইবেন।
ইসলামের পথে আসুন
ইসলামসহ যাবতীয় ধর্ম নিয়ে ধর্মকারী ব্লগে লাগাতার মশকরা করে যতো গুনাহ কামিয়েছি যে, অসাধারণ পুণ্যের কোনও কাজ না করতে পারলে পরকালে বেহেশত নসিব হবে না আমার। ভেবে দেখলাম, কোনও অবিশ্বাসী বা ভিন্নধর্মেবিশ্বাসীকে ইসলামের পথে আনতে পারলে আমার বেহেশত যাওয়া ঠ্যাকাতে পারবে না কেউ! তাহলে চেষ্টা শুরু করা যাক এখনই।
ইসলামের পথে কেন আসবেন, তা নিয়ে দ্বিধান্বিত? নিচের তালিকায় চোখ বুলিয়ে নিঃসংকোচ হয়ে নিন!
ধর্ষণ পছন্দ?
ইসলামের পথে আসুন। (কোরান ৩৩.৫১)
গণধর্ষণও পছন্দ?
ইসলামের পথে আসুন। (কোরান ২৪.১৩)
যৌনদাসী রাখতে চান?
ইসলামের পথে আসুন। (কোরান ৪.৩, ৪.২৪, ৫.৮৯, ২৩.৫, ৩৩.৫০, ৫৮.৩, ৭০.৩০)
পালিতপুত্রের তরুণী স্ত্রীকে বিয়ে করতে চান?
ইসলামের পথে আসুন। (কোরান ৩৩.৩৭)
শিশুকামে আসক্তি বা বাসনা পোষণ করেন?
ইসলামের পথে আসুন। (বুখারি ৭.৬২.৮৮)
শিশুবিবাহের সমর্থক?
ইসলামের পথে আসুন। (কোরান ৬৫.৪)
চিন্তা করতে আলস্য?
ইসলামের পথে আসুন। (কোরান ২.১)
শিরোচ্ছেদ দেখে মন চাঙা হয়?
ইসলামের পথে আসুন। (কোরান ৪৭.৪, ৮.১২)
চুরি-ডাকাতি-লুটতরাজের সপক্ষে?
ইসলামের পথে আসুন। (কোরান ৮.১, ৮.৫, তফসির পড়ুন)
ব্ল্যাকমেইলিং চর্চার অনুসারী?
ইসলামের পথে আসুন। (কোরান ৯.২৯)
মিথ্যাচারে অভ্যস্ত?
ইসলামের পথে আসুন। (কোরান ৩.২৮, ১৬.১০৬)
চার বিয়ের স্বপ্নে মশগুল?
ইসলামের পথে আসুন। (কোরান ৪.৩)
স্ত্রীপ্রহারের জন্য হাত নিশপিশ করে?
ইসলামের পথে আসুন। (কোরান ৪.৩৪)
একেবারেই কারণহীনভাবে কুকর হত্যা করতে চান?
ইসলামের পথে আসুন। (বুখারি ৪.৫৪.৫৪০)
ইসলামত্যাগী ব্যক্তিদের কতল করতে আগ্রহী?
ইসলামের পথে আসুন। (কোরান ২.২১৭, ৪.৮৯)
অমুসলিম হত্যা করে বেহেশতবাসী হতে চান?
ইসলামের পথে আসুন। (কোরান ৯.১১১ – বড়োই কৌতূহলোদ্দীপক সংখ্যা)
শয়তানের সাথে কথা বলতে চান?
ইসলামের পথে আসুন। (কোরান ১৭.৭৩-৭৫, ২২.৫২-৫৩, ৫৩.১৯-২৬)
আত্মীয়দের দোজখবাসের অভিশাপ দিতে মন চায়?
ইসলামের পথে আসুন। (কোরান ১১১)
অমুসলিমদের ঘৃণ্য সৃষ্টি বলে ডাকতে চান?
ইসলামের পথে আসুন। (কোরান ৯৮.৬)
অমুসলিমদের শুয়োর ও বাঁদর বলে গালি দিতে উৎসাহী?
ইসলামের পথে আসুন। (কোরান ২.৬৫, ২.৬৭, ৫.৬০)
স্রেফ আপমান করেছে বলে কাউকে খুন করতে চান?
ইসলামের পথে আসুন। (কোরান ৩৩.৫৭-৬১)
সন্ত্রাসবাদের সমর্থক?
ইসলামের পথে আসুন। (কোরান ৮.১২, ৮.৫৯-৬১)
ভালোবাসা বাতিল করে বর্বরতা প্রতিষ্ঠার পক্ষে?
ইসলামের পথে আসুন। (কোরান ২.১০৬)
অন্য সব ধর্মকে ঘৃণা করতে চান?
ইসলামের পথে আসুন। (কোরান ৩.৮৫)
অমুসলিমদের ঘৃণা করে ছওয়াব আদায় করতে চান?
ইসলামের পথে আসুন। (কোরান ৫.৫১)
@অজানা কেউ, Is it true only for Islam!!!!!! i don´t think so, its the same for all religion.
@অজানা কেউ, ভাই আয়াত গুলো পড়ে দেখার বরই সাধ, যদি বিস্তারিত দিতেন তাহলে আপনার নিকট বাধিত থাকিতাম।
@অজানা কেউ,
[33:51] You may gently shun any one of them, and you may bring closer to you any one of them. If you reconcile with any one you had estranged, you commit no error. In this way, they will be pleased, will have no grief, and will be content with what you equitably offer to all of them. GOD knows what is in your hearts. GOD is Omniscient, Clement.
চাইলেই কাছে আসা যাই চাইলেই দুরে সরে যাওয়া যাই, আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে…
-খবর প্রথম আলো
@ফুয়াদ,
এই খবরের সাথে মূল আলোচনার যোগ কি একটু ব্যাখ্যা করবেন?
@আদিল মাহমুদ,
একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন।
@ফুয়াদ,
চিন্তা করে ব্যার্থ হয়েছি বলেই তো আপনার শরনাপন্ন হওয়া।
@ফুয়াদ,
আমিও ব্যার্থ হলাম। দয়া করে দ্রুত উদ্ধারের ব্যাবস্থা করেন।
সৌদি থাকা অবস্থায় আমি ভাবতাম এখানকার মেয়েরা শুধু স্কুল কলেজের শিক্ষক কেন হয়? এরা কি আর কোন কাজ করতে পারে না?ধিরে ধিরে বুঝতে পারলাম যে এইখানে মেয়েদের অন্য কোন কিছু করার তেমন কোন সুযোগই নেই।আমকে যে স্পন্সর করেছিলো তার তিন মেয়ের এখনো কোন বিয়ে হয়নি অথচ তাঁর ছোট (সন্তান) ছেলের বয়স পঁয়ত্রিশের বেশি।তাঁর তিন মেয়েই স্কুলের শিক্ষক।
আপনার এই লিখা পড়ে অনেকটা ধারনা করা যায় সোনার শিকলে, সোনার খাঁচায় কি করে তারা বন্ধি।
জোকার নায়েক কিংবা হয়রান সাহেবদের মত যারা, তাদের কাছে একটাই অনুরোধ স্টেজের উপর থেকে শান্তির ধর্ম শান্তির ধর্ম না বলে একবার নিচে নেমে আসুন সাধারনের সাথে মিশে দেখুন শান্তির ধর্ম কি করে শান্তিতে রেখেছে মানুষকে। মানুষ আজ যতটুকু শান্তিতে আছে তাঁর জন্য কোন সুপার পাওয়ার সন্ত্রাসি কিংবা তার কিতাবের আদৌ কি কোন দরকার আছে ?
@সংশয়,
ভালো বলেছেন। মুসলমানরা বলে যে এখন মানুষ ঠিকমত মানেনা বলে শান্তি প্রতিষ্ঠা হচ্ছেনা। আসলে চিন্তা করা দরকার কেন আধুনিক মানুষ ইসলামের সব বিধান মানতে পারেনা? কেন ইসলাম আধুনিক পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ? শুধু মানুষের দোষ না দিয়ে ইসলামের দোষটাও দেখা দরকার।
@সংশয়, একটা অনুরোধ রাখেন ভাই, দয়া করে সাইটে অন্যের নাম বিকৃতি করা থেকে বিরত থাকেন। আজকে “হয়রান” সাহেবের সাইটে উনার একটা লেখায় যে হারে ব্লগের সদস্যদের নাম বিকৃতি করতে দেখলাম(আকাশ মালিক মনে হচ্ছে উনার ঈমানের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন), তাতে মনে হয় উনাদের থেকে নিজেদেরকে আলাদা রাখতে চাইলে এই বদঅভ্যাস থেকে বিরত থাকা উচিত :rose2:
@পৃথিবী,
আপনারাই আগে শুরু করেছেন, জাকির নায়েক কে জোকার, আর রায়হান ভাই কে হয়রান বলে। যাইহোক, আপনার ভাল উপলব্ধির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
@ফুয়াদ, অন্যের খারাপ দিকগুলো ফলো না করে ভালো জিনিশ গুলো ফলো করার চেষ্টা করাই ভালো কি বলেন ভাইজান ?
যাক তারপরেও সান্তনা যে আপনারা নিতে শিখছেন,আপনি নিচ্ছেন হয়তো আপনার সন্তান তা ব্যবহার করবে, ইনশাল্লাহ ।
@সংশয়,
এ ব্যাপরে আমি যতেষ্ট সতর্ক থাকতে চেষ্টা করি। কিন্তু মাঝে মাঝে অবজ্ঞামূলক লেখাতে এতই আক্রমন থাকে যে নিজেকে সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে, তখন সতর্কতা ভেংগে পরে। তবে ইদানিং আমার মানষিক শক্তি বোধ হয় আরো বেরে গেছে। কেউ আক্রমনাত্তক কিছু বললেও নিজেকে সামলে নিতে পারি।
ব্যাপারটির বাস্তবতা সে রকম না, কে কি রূপ হবে তা আপনি আমি কিংবা অন্য কেউ কিছুই বলতে পারে না একমাত্র আল্লাহ পাক ছাড়া। দেখা যাবে হয়ত এই সাইটের নাস্তিকদের সন্তানরা ইসলাম প্রচারে নেমে গিয়েছে। কার কিভাবে বুঝ হবে, তা আল্লাহ পাক ছাড়া কেউ জানে না।
@ফুয়াদ,
ভাইজান, আপনার বস মি. রায়হান সাহেবের মহান উক্তি, “নাস্তিক ছাগুদের কাছে হিটলার আর গৌতম বুদ্ধের মধ্যে কোনই পার্থক্য নাই!” এ ব্যাপারে তাকে কিছু কি বলেছেন? এখানে এসে তো অনেক কিছুই বলেন।
@পৃথিবী, তথাস্তু :guru: :guru: :guru:
@পৃথিবী,
এটা ভাল বলেছেন। যুক্তিবাদী লেখা যারা লেখেন তাদের অন্তত ভাববাদী বা আবেগময়ী লেখকদের থেকে আলাদা মানসিকতা থাকা দরকর।
@সংশয়,
“Let not the believers Take for friends or helpers Unbelievers rather than believers.” (3:28)
“O ye who believe! take not the Jews and the Christians for your friends and protectors: They are but friends and protectors to each other.” (5:51)
কোরানের সুরা ইমরানের ২৮ নং আয়াত এবং সুরা মাঈদার ৫১ নং আয়াত দুটোতে আসলে কি বলা হয়েছে?
কোরআনের উপরোক্ত আয়াতে আসলে —— কামরান মির্জা, আবুল কাসেম, তসলিমা নাসরিন, বিপ্লব পাল, আরিফুর রহমান (লোকে বলে নিতাই ভট্রাচার্য), মনা-গ্রুপের ধর্মগুরু, ও আকাশ মালিকের মতো চরম বিদ্বেষী, অসহিষ্ণু, কুৎসারটনাকারী, ভণ্ড, মিথ্যাবাদী, প্রতারক, বর্ণবাদী, উগ্র সাম্প্রদায়িক, জোর-জবরদস্তকারী, ও সন্ত্রাসীদের কথা বলা হয়েছে। (এস.এম. রায়হান)
এই হলো শান্তির ধর্ম ইসলাম, ইসলামের কোরান ও তার অনুসারীদের নমুনা।
একটি সংশোধন
আমি লিখেছিলামঃ
আমি নিশ্চিত যে একজন নিরক্ষর হিসেবে আমার পিতা কস্মিকালেও আমার বোনদেরকে বিদেশে পাড়ি দেবার অনুমতি দেবেন।
বাক্যটি হবেঃ
আমি নিশ্চিত যে একজন নিরক্ষর হিসেবে আমার পিতা কস্মিকালেও আমার বোনদেরকে বিদেশে পাড়ি দেবার অনুমতি দেবেন না।
আর আমাদের দেশের মুসলমানরা এই সৌদি নিয়া ফাল পারে। এই সৌদির লগে ঈদের জামাত পরে!!! এই না হলে খাঁটি মুসলমান!
খালেদ ওলীদ এর লেখা প্রমাণ করে এখনকার চিত্রও ভিন্ন নয়।শুধু সৌদি আরবের নয়; বাংলাদেশেও কিন্তু এমন চিত্র বিরল নয়। কিছুদিন আগে চট্রগ্রামে নিজ মেয়েকে মেরে ফেলার কাহিনী দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।
ধন্যবাদ আবুল কাশেম সাহেবকে লেখাটি অনুবাদ করে মুক্ত-মনায় প্রকাশের জন্যে।
@গীতা দাস,
আরবের আইয়ামে জাহেলিয়াত বিরাট একটা মিথ্যা কল্পনামূলক সময়। এর অস্তিত্ব আসলেও ছিলো কীনা সেটাই চিন্তার বিষয়। মেয়েদের যদি জীবন্ত কবর দেয়া হতো, তাহলে এত শত শত বিয়ের মেয়ে পাওয়া যেতো কোথা থেকে ?
@শুভজিৎ ভৌমিক
জাহেলিয়া যুগ মিথ্যা? এত শত শত মেয়ে কবর দিলে আবার বিয়ের জন্য মেয়ে কই পায় ?
ভাই আপনার পয়েন্ট ঠিক । আপনি কি জানেন আপনার কলিজার টুকরা ইন্ডিয়ায় কি পরিমান কন্যা শিশু জ্ন্মানোর আগেই মানে মায়ের পেটে থাকা অবস্থায় মেরে ফেলা হয় । আপনি জানেন চেন্নাই শহরে কন্যা ভ্রুন নষ্ট করার জন্য ক্লিলিনিক গুলো বিশেষ ছাড় দেয় । আপনি কি জানেন চেন্নাই এর ৮০ ভাগ শিক্ষিত লোক প্রোকৌশলী তারপর ও সেখান এ কন্যা শিশু হ্ত্যা বন্ধ হয়নি । তো এখন সেখানে কি মেয়ে মানুষ নাই?
চোখটা একটু খুলেন । একটু জানার চেষ্টা করেন তারপর মন্তব্য করেন । জাহেলিয়া যুগে বলা হয়েছে তারা কন্যা সন্তান কবর দিত তারমানে এই না যে সবাই এই কাজ করত । কেউ কেউ এর বিরধীতাও করতো তারা গোপনে কন্যা সন্তান লালন পালন করতো আর সে সময় আরোবদের মধ্যে অনেক গোত্র ছিল সব গোত্রই কন্যা
সন্তান কবর দিতেন না । আপনি হাদিস পরলে আরো জানতে পারবেন অনেক লোক ইসলাম গ্রহন করছে কারন ইসলাম নারী হত্যার বিপক্ষে তাই। ভাই একটা অনুরোধ করবো না জেনে কোন কিছুকে মিথ্যা বলবেন না ।