নাসেক মানসুক নিয়ে শুধু মুক্তমনাতে নয় একটা ইসলামি সাইটেও দেখলাম বাহাস চলছে। কেউ কেউ মানসুক হয় নি বলে রায় প্রদান করেছে , কেউ কেউ হয়েছে বলে রায় প্রদান করেছে অথচ উভয়ই কিন্তু নিবেদিত প্রান মুসলমান।তাহলে প্রশ্ন হলো কেন তারা দ্বিধা বিভক্ত? বিভক্ত একারনে যে তারা কোরান পাঠ করে সঠিক অর্থ বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। আবার যারা মানসুক সঠিক বলে যারা মন্তব্য করেছে তাদের বক্তব্য যেসব আয়াত সমূহ পূর্বের নিবন্ধে মানসুক বা রহিত বলে বলা হয়েছে তা ঠিক নয়।অন্য আয়াত বরং রদ হয়েছে। অর্থাৎ এ ব্যপারে তারাও দ্বিধান্বিত।কেন দ্বিধান্বিত ? তারা দ্বিধান্বিত কারন বিষয়টি পুরোপুরি মেনে নিলে ইসলামের যে চেহারা দাড়ায় তা দিয়ে একে আর শান্তিপূর্ণ বা সভ্য ধর্ম বলে প্রমান বা প্রচার করা যায় না। তাই তারা তাদের ইচ্ছামত মানসুকের তালিকা তৈরী করেছে। অথচ বিধি বিধান সম্পর্কিত আয়াত কিভাবে মানসুক হবে তা কিন্তু অতি সাধারন ভাবেই বোঝা যায়, যেটা পরিস্কারভাবে এ নিবন্ধের ১৩ পর্বে আলোচনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে ইসলামী পন্ডিতরা যে মনগড়া ও প্রতারণামূলক যে তালিকা তৈরী করবে তা মানার কোনই যুক্তি নেই। সোজা হিসাব- কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে আগে যে বিধান ছিল , একই বিষয়ে পরে যদি কোন বিধান চালু হয়, পরবর্তী বিধানই বহাল থাকবে। জোর করে পূর্ববর্তী বিধান চালু রাখার কোন সুযোগ এখানে নেই। তবে বিধি বিধান জানার সুবিধার্থে উভয় বিধান কিতাবে রাখাতে কোনই অসুবিধা নেই। এ বিধি মোতাবেক ইসলামের প্রাথমিক যুগে নাজিলকৃত শান্তিপূর্ণ আয়াত সমূহ অবশ্যই পরবর্তীতে নাজিল কৃত জিহাদী আয়াত দ্বারা বাতিল হয়ে যাবে। জোর করে উভয়কেই চালু রাখার কোনই সুযোগ নেই। তেল ও জল যেমন একসাথে মিশতে পারে না, এ বিষয়টা ঠিক তেমনই। এ বিধি অনুসরণ করলে ইসলাম পরিপূর্ণ ভাবে একটা অশান্তিপূর্ণ হিংস্র ও বর্বর ধর্মে পরিনত হয় – বিষয়টি বুঝতে পেরেই অত্যন্ত সচেতনভাবেই ইসলামী পন্ডিতরা প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে প্রচার করে থাকে যে শান্তির আয়াত বাতিল হয় নি। যে কেউ কোরান হাদিস ভাল করে পড়াশুনা করবে সেই বিষয়টা খুব ভালভাবেই বুঝতে পারবে। এসব করতে গিয়ে তারা আয়াতের শব্দের অর্থ পরিবর্তনসহ শানে নুযুল ও তাফসির পর্যন্ত পাল্টে ফেলতে বা বিকৃত করতে এতটুকুও পিছ পা হয় না , পিছ পা হয় না চরম মিথ্যাচার করতে। তবে এ ক্ষেত্রে ইসলামের প্রথম দিকের পন্ডিত বা তাফসিরকারগন যেভাবে কোরানকে ব্যখ্যা করে গেছে, সেটাকে প্রামান্য হিসাবে দেখা যেতে পারে। কারন তারাই সেই ৭ম শতাব্দীর আরবী ভাষা সম্পর্কে বেশী অবগত ছিল, এক্ষেত্রে যার নাম সবার মুখে মুখে উচ্চারিত হয় সে হলো ইবনে কাথির যার জন্ম- ১৩০১ ও মৃত্যু ১৩৭৩ খৃষ্টাব্দ। আমরা তার তাফসির থেকে কোরানের প্রকৃত অর্থ জানতে পারি , আর বর্তমানে যেসব পন্ডিতরা আছে তারা তাদের ইচ্ছামত কোরানের অর্থ করে যাচ্ছে যা প্রকৃতই কোরানের মূল ভাবধারার সাথে সাংঘর্ষিক, কোরানের অর্থ হতে হবে একটাই বহু নয়, যাহোক, এবার নিচের আয়াতটির আধুনিক পন্ডিতদের ব্যখ্যাটা এবার দেখা যাক-

অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। আ ত-তাওবা, ০৯: ০৫ (মদিনায় অবতীর্ণ)

এ আয়াতটির একটা ব্যখ্যা ইসলামি পন্ডিতরা এভাবে দিয়েছে। তারা বলছে এটা হলো শুধুমাত্র মক্কার পৌত্তলিকদের জন্য সেই সময়ের জন্য নাজিল হয়েছিল। অত:পর এর আর কোন কার্যকারিতা নেই। প্রশ্ন হলো যদি সেটাই সত্য হয়, তাহলে পরবর্তী কোন আয়াত দ্বারা কিন্তু এ আয়াতের কার্যকারীতা রদ করা হয় নি। রদ তো করা হয় নাই পরন্তু যে সূরার আয়াত এটা সে সূরায় আছে আরও অসংখ্য জিহাদী আয়াত , যার প্রতিটি বাক্যে ফুটে উঠেছে অমুসলিমদের প্রতি ঘৃণা, প্রতিহিংসা, জিঘাংসা এই সব, বলা হয়েছে তাদেরকে খুন কর, উচ্ছেদ কর, তাদের সম্পদ দখল কর এই সব। বলা ব্হুল্য, সূরা আত তাওবা হলো মোহাম্মদের কাছে নাজিল হওয়া সময় ক্রম অনুযায়ী ১১৩ নং সূরা যার পরে মোহাম্মদের জীবনে আর মাত্র একটা সূরা নাজিল হয় সূরা আল নাসর যার আয়াত সংখ্যা মাত্র ৩টি অথচ আত তাওবার আয়াত সংখ্যা -১২৯। সে হিসাবে আত তাওবা মোহাম্মদের জীবনের সর্বশেষ সূরা হিসাবে ধরা যেতে পারে। অর্থাৎ ইসলামের দিক নির্দেশনামূলক চুড়ান্ত বিধি বিধান এ সূরা আত তাওবাতেই বর্নিত হয়েছে আর সেখানে বলা হয়েছে কি তা ও আমরা ৫ ও ২৯ আয়াতে দেখতেই পাচ্ছি, এ ছাড়া পূরা সূরাতে হিংসা ও ঘৃণা-বিদ্বেষে ভর্তি। এ সূরার বিধিবিধান রদ করে আর কোন সূরা বা আয়াত নাজিল হয় নি। কারন এ সূরা নাজিলের পর পরই মোহাম্মদ মক্কা বিজয় সম্পন্ন করেন, অত:পর তার আর সূরা নাজিলের দরকার পড়েনি। সুতরাং ইসলামি পন্ডিতরা সাধারন মানুষের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে অনেক মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াতে চেষ্টা করতে পারে কিন্তু আজকের তথ্য প্রযুক্তির যুগে সেটা কার্যকরী হওয়ার কোন সম্ভাবনা আর নেই। যাহোক, কুরাইশদের সাথে মোহাম্মদের একটা চুক্তি হয়েছিল যাকে বিখ্যাত হুদায়বিয়ার চুক্তি বলা হয়।যখন পৌত্তলিকরা(কুরাইশরা) উক্ত চুক্তি ভঙ্গ করে তখন তাদের বিরুদ্ধে উক্ত আয়াত নাজিল হয় এবং একারনে উক্ত আয়াত শুধুমাত্র পৌত্তলিকদের ব্যপারে প্রজোয্য হবে।

এখানে একটা বিশেষ বিষয় লক্ষনীয়। যে নীতি প্রয়োগ করে ইসলামী পন্ডিতরা বলে যে জিহাদের যে আয়াতগুলো ( যেমন ৯:৫ ও ৯:২৯) বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতিতে নাজিল হয়েছিল ও পরে এর কোন কার্যকারীতা নেই, ঠিক একই নীতি তারা মক্কায় নাজিল হওয়া শান্তির আয়াতের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে বলে না যে এ আয়াত মক্কায় যখন মোহাম্মদ দুর্বল ছিলেন তখন বিশেষ পরিস্থিতিতে নাজিল হয়েছিল ও এখন এর কার্যকারিতা নেই। এটা একটা চরম সুবিধাবাদী বা দ্বিমুখী নীতি।

এখন দেখা যাক কারা হুদায়বিয়ার চুক্তি ভঙ্গ করেছিল। এ বিষয়ে বিশাল এক হাদিস আছে যার নম্বর হলো- Bukhari, Volume 3, Book 50, Number 891(http://bukharishareef.blogspot.com/2008/03/translation-of-sahih-bukhari-book-50.html) এখানে অংশবিশেষ তুলে ধরে আলোচনা করা হবে।

হুদায়বিয়ার সন্ধিতে একটা শর্ত ছিল- কুরাইশদের কোন লোক পালিয়ে মোহাম্মদের দলে যোগ দিলে , মোহাম্মদ তাকে কুরাইশদের নিকট ফেরত দেবে। এবার দেখা যাক উক্ত ৮৯১ হাদিসে কি বলছে-

…………….. অত:পর কিছু ইসলাম গ্রহনকারী নারীরা মোহাম্মদের নিকট আসল , তখন নিচের আয়াত নাজিল হলো-
মুমিনগণ, যখন তোমাদের কাছে ঈমানদার নারীরা হিজরত করে আগমন করে, তখন তাদেরকে পরীক্ষা কর। আল্লাহ তাদের ঈমান সম্পর্কে সম্যক অবগত আছেন। যদি তোমরা জান যে, তারা ঈমানদার, তবে আর তাদেরকে কাফেরদের কাছে ফেরত পাঠিও না। এরা কাফেরদের জন্যে হালাল নয় এবং কাফেররা এদের জন্যে হালাল নয়। কাফেররা যা ব্যয় করেছে, তা তাদের দিয়ে দাও। তোমরা, এই নারীদেরকে প্রাপ্য মোহরানা দিয়ে বিবাহ করলে তোমাদের অপরাধ হবে না। তোমরা কাফের নারীদের সাথে দাম্পত্য সম্পর্ক বজায় রেখো না। তোমরা যা ব্যয় করেছ, তা চেয়ে নাও এবং তারাও চেয়ে নিবে যা তারা ব্যয় করেছে। এটা আল্লাহর বিধান; তিনি তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাময়।60:10(মদিনায় অবতীর্ণ)

উক্ত আয়াতে পরিস্কার বলা হচ্ছে- যেসব নারীরা ইসলাম গ্রহন করে নবীর কাছে চলে আসবে তাদেরকে তিনি ফেরত দেবেন না ও বলা বাহুল্য উক্ত নারীগুলোকে তিনি ফেরত দেন নি। অথচ হুদায়বিয়ার সন্ধিতে পরিস্কারভাবে উল্লেখ ছিল যে মক্কার কোন লোক মদিনায় আশ্রয় নিলে মোহাম্মদ তাকে ফেরত দিবেন ও মদিনার কোন লোক মক্কায় গেলে তাদেরকে মদিনাতে ফেরত দিতে বাধ্য থাকবে না।অথচ উক্ত নারীদেরকে মোহাম্মদ ফেরত দেন নি। তাদেরকে সাথে করে তিনি মদিনাতে নিয়ে যান , যা ছিল পরিস্কার হুদায়বিয়ার সন্ধির বরখেলাপ।আর সন্ধির এরকম শর্ত ভঙ্গ করাকে বৈধ করতে সাথে সাথে আল্লাহর নামে আয়াত নামিয়ে নেন, অনেকটা ইন্টারনেট থেকে ফ্রি সফটওয়ার ডাউনলোড করার মত। এখন উক্ত আয়াতের কাথিরের তাফসির দেখা যাক-

In Surat Al-Fath, we related the story of the treaty at Al-Hudaybiyyah that was conducted between the Messenger of Allah and the disbelievers of Quraysh. In that treaty, there were these words, “Everyman (in another narration, every person) who reverts from our side to your side, should be returned to us, even if he is a follower of your religion.” This was said by `Urwah, Ad-Dahhak, `Abdur-Rahman bin Zayd, Az-Zuhri, Muqatil bin Hayyan and As-Suddi. So according to this narration, this Ayah specifies and explains the Sunnah. And this is the best case of understanding. Yet according to another view of some of the Salaf, it abrogates it. Allah the Exalted and Most High ordered His faithful servants to test the faith of women who emigrate to them. When they are sure that they are faithful, they should not send them back to the disbelievers, for the disbelievers are not allowed for them and they are not allowed for the disbelievers. In the biography of `Abdullah bin Abi Ahmad bin Jahsh in Al-Musnad Al-Kabir, we also mentioned that `Abdullah bin Abi Ahmad said, “Umm Kulthum bint `Uqbah bin Abi Mu`ayt emigrated and her brothers, `Umarah and Al-Walid, went after her. They came to Allah’s Messenger and talked to him about Umm Kulthum and asked that she be returned to them. Allah abolished the part of the treaty between the Prophet and the idolators about the women particularly. So He forbade returning Muslim women to the idolators and revealed the Ayah about testing them.” Al-`Awfi reported from Ibn `Abbas, about Allah’s saying:
﴿يأَيُّهَا الَّذِينَ ءَامَنُواْ إِذَا جَآءَكُمُ الْمُؤْمِنَـتُ مُهَـجِرَتٍ فَامْتَحِنُوهُنَّ﴾
(O you who believe! When believing women come to you as emigrants, examine them;) “Their examination was asking them to testify to La ilaha illallah, and that Muhammad is Allah’s servant and His Messenger.” Mujahid explained the Ayah,
Then some believing women came (to the Prophet ); and Allah revealed the following Divine Verses:–
“O you who believe, when the believing women come to you as emigrants examine them . . .” (60.10)
আহলে উপরোক্ত তাফসিরে কাথির খুব পরিস্কার ভাষায় বলছেন- Allah abolished the part of the treaty between the Prophet and the idolators about the women particularly(আল্লাহ নবী ও পৌত্তলিকদের মধ্যকার চুক্তির নারী সম্পর্কিত অংশ বাতিল করে দিলেন) অর্থাৎ আল্লাহ আল্লাহই চুক্তির কিছু ধারা বাতিল করে দিয়েছেন বিশেষ করে নারী সম্পর্কিত বিষয়ে।এটা করে প্রকারান্তরে মোহাম্মদ তাঁর নিজের চুক্তি ভঙ্গকে বৈধ করতে গিয়ে আল্লাহকেই একজন প্রতারক হিসাবে তুলে ধরছেন। এটা কিভাবে হতে পারে যে , আল্লাহ মোহাম্মদকে চুক্তি করার জন্য উদ্বুদ্ধ করে পরে সে চুক্তির কিছু শর্ত অমান্য করতে বলতে পারে ? এবার ৮৯১ নং হাদিসের নিচের অংশ দেখা যাক-

………………………..যখন নবী মদিনাতে ফিরলেন তখন কুরাইশদের একজন আবু বশির যে ইসলাম গ্রহন করে পালিয়ে মদিনায় চলে আসল। কুরাইশরা তাকে ফেরত নেয়ার জন্য দুজন লোককে মদিনায় পাঠাল ও তারা মোহাম্মদকে বলল- যে প্রতিজ্ঞা তুমি করেছ তা তুমি রক্ষা কর। নবী তখব আবু বশিরকে তাদের হাতে তুলে দিলেন। তারা তাকে নগরীর বাইরে নিয়ে গেল ও দুল-হুলাইফা নামক একটা যায়গায় বিশ্রাম করতে লাগল ও খেজুর খেতে লাগল। আবু বশির একজনকে বলল, আল্লাহর কসম, তোমার তরবারি টা ভীষণ সুন্দর। এতে লোকটি তার তরবারি খুলে ফেলল ও বলল, আল্লাহর কসম, এটা আসলেই ভীষণ সুন্দর ও আমি এটা বহুবার ব্যবহার করেছি। আবু বশির বলল- আমাকে একটু ওটা দেখতে দেবে ? যখন সে ওটা তার হাতে দিল বশির সাথে সাথে তাকে তরবারি দ্বারা আঘাত করল ও সে মারা গেল, অন্য সাথী দৌড়াতে দৌড়াতে মদিনায় গিয়ে মসজিদে আশ্রয় নিল।মোহাম্মদ তাকে দেখলেন ও বললেন- এ লোকটি ভয় পেয়েছে।যখন সে নবীর কাছে গেল তখন বলল- আমার সাথীকে খুন করা হয়েছে ও আমিও খুন হয়ে যেতে পারতাম। এসময়ে বশির এসে বলল- হে নবী আপনি আমাকে তাদের কাছে ফেরত দিয়ে আপনার প্রতিজ্ঞা পূরন করেছেন কিন্তু আল্লাহ আমাকে মুক্তি দিয়েছে। এটা শুনে নবী বলে উঠলেন- এখন তো যুদ্ধের আগুন জ্বলে উঠবে। এটা শুনে বশির বুঝতে পারল মোহাম্মদ তাকে আবার মক্কাতে ফেরত পাঠাতে চান, তাই সে সাগরপারের দিকে চলে গেল।আবু জান্দাল কুরাইশদের হাত থেকে পালিয়ে গিয়ে বশিরের সাথে যোগ দেয়।এভাবে বেশ কিছু লোক মক্কা থেকে পালিয়ে এসে বশিরের দলে যোগ দেয়।এর পর তারা কুরাইশদের সিরিয়ার দিকে বা দিক থেকে আসা বানিজ্য কাফেলার ওপর আক্রমন করে তাদেরকে হত্যা করে তাদের মালামাল লুটপাট করে নিতে থাকে। এটা দেখে মক্কাবাসীরা প্রমাদ গুনে তারা একজন দুত মোহাম্মদের কাছে পাঠায় ও প্রস্তাব দেয় যে এর পর যদি কেউ মক্কা থেকে মদিনায় মোহাম্মদের কাছে আসে তাকে আর ফেরত দিতে হবে না এবং তিনি যেন বশির ও তার দলবলকে লুট তরাজ থেকে বিরত রাখেন। (Volume 3, Book 50, Number 891)

উক্ত হাদিস কি বার্তা দেয়? মক্কার লোকরা হুদায়বিয়ার সন্ধিচুক্তির বরখেলাপ করেছিল? হাদিসটি পড়লেই বোঝা যায়, খুব কৌশল করে হাদিস লেখক মোহাম্মদকে নির্দোষ করার চেষ্টা করে গেছে কিন্তু সেটা সম্ভব হয় নি। প্রথম কথা মক্কা থেকে দুইজন লোক মদিনায় আসল বশিরকে ফেরত নিতে, তারা কি খুব দুর্বল লোক ছিল? মরুভূমির ওপর দিয়ে এতদুর পথ পাড়ি দিয়ে যারা একজন বন্দীকে ফেরত আনতে যেতে পারে তারা নিশ্চয়ই শারিরীকভাবে দুর্বল কোন লোক ছিল না। যাকে তারা বন্দী করে মক্কায় ফেরত নিয়ে যাচ্ছে ও তার মুক্ত হাতেই তারা তরবারী তুলে দিল, এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? তাছাড়া তাকে কি মুক্ত হাতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? প্রশ্নই ওঠে না, সে ছিল বন্দী , তাই তার হাত বাধা থাকারই কথা, না হলে সে যে কোন সময় কায়দা করে আক্রমন করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারে।কিন্তু এখানে ঘটনা যেভাবে সাজানো হয়েছে তাতে মনে হয় বশিরের হাত ছিল উন্মুক্ত আ র তা করে বশিরকে নিরাপরাধ প্রমান করার চেষ্টা করা হয়েছে কারন তখন সে নিজ চেষ্টায় মুক্ত হয়েছে যদিও মোহাম্মদ তাকে মক্কাবাসীদের কাছে ফেরত দিয়েছিল।অর্থাৎ খুব সুকৌশলে সাপও মারা হচ্ছে অথচ লাঠিও ভাঙ্গা হচ্ছে না।বশির কিছু খারাপ প্রকৃতির লোকজন নিয়ে ডাকাতি করছে , মোহাম্মদ কিন্তু তাদেরকে থামাচ্ছেন না। তার কারন এসব ডাকাতগুলো হলো মুসলমান , আর তাই অমুসলিমদের ওপর আক্রমন করে তাদেরকে খুন করে তাদের মালামাল লুটপাট করা তাদের জন্য জায়েজ , কারন মোহাম্মদ আগেই আল্লাহর বানীর নামে এসব লুন্ঠিত মালামালকে গণিমতের মাল হিসাবে বৈধ করে দিয়েছেন।তাহলে হুদায়বিয়ার চুক্তি প্রথম কে ভঙ্গ করল? মোহাম্মদ নাকি মক্কার লোকেরা ? এত কিছুর পরেও কিন্তু মক্কার লোকেরা দুত পাঠিয়েছে মোহাম্মদের কাছে, তিনি যেন তাঁর ইসলামের অনুসারী ডাকাতদলকে ডাকাতি করতে নিষেধ করেন। কিন্তু মোহাম্মদ সেটা থোড়াই কেয়ার করেছেন যা দেখা যায় পরবর্তী ঘটনাগুলোতে। উক্ত হাদিস থেকে দেখা যাচ্ছে মক্কাবাসীরা সর্বান্ত করনে শান্তি চুক্তি পালন করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু মোহাম্মদই আসলে নানা কায়দায় সে চুক্তিকে ব্যবহার করে শক্তি সঞ্চয় করেছেন, আর যখন তার মনে হয়েছে যে মক্কা অতি সহজে বিজয় করা যাবে তখন ছেড়া কাগজের মত চুক্তি পত্র ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন ও মক্কা আক্রমন করে তা দখল করে নিয়েছেন। যা একজন উচ্চাভিলাষী সাম্রাজ্যবাদী শাসকের জন্যই মানানসই , কোনমতেই তা একজন আল্লাহ প্রেরিত নবীর জন্য মানান সই নয়।কিন্তু মুসলিম পন্ডিতরা এ অতি সত্য কথাটি স্বীকার না করে শত শত বছর ধরে এ ধরনের মিথ্যা প্রচারনা চালিয়ে কাদের উপকার করল এটাই প্রশ্ন।

উক্ত হুদায়বিয়ার চুক্তিতে মোহাম্মদ অত্যন্ত চাতুরতার পরিচয় দেন যা মক্কাবাসীরা একেবারেই বুঝতে পারে নি। আর এখানেই তার শ্রেষ্টত্ব। উক্ত ৮৯১ নম্বর হাদিসে পরিস্কার বর্ণনা আছে- মোহাম্মদের উগ্র সাঙ্গ পাঙ্গরা মূলত: মক্কা দখল করার উদ্দেশ্যেই মদিনা থেকে হাজারেরও বেশী একটা দল নিয়ে রওনা হয়েছিল।মক্কার লোকেরা তাদেরকে মোকাবেলা করার জন্য এগিয়ে আসে।অথচ মক্কাবাসীরা কিন্তু যুদ্ধ চাচ্ছিল না, তাই তারা একজন দুত পাঠায় মোহাম্মদের কাছে শান্তি চুক্তি করার জন্য। মোহাম্মদ এটাকে একটা মোক্ষম সুযোগ হিসাবে গ্রহন করেন। তিনি ভালমতোই জানতেন যে সে সময় মক্কাবাসীদের যে শক্তি ছিল তাতে মোহাম্মদের জয়ের সম্ভাবনা নিশ্চিত ছিল না।তাছাড়া বহু লোক হতাহত হতো।তারপরও মক্কা যে দখল করা যেত তার কোন নিশ্চয়তা ছিল না।এছাড়া এত দিন ধরে মোহাম্মদ মূলত ইহুদিদের ছোট ছোট গোষ্ঠীকে আক্রমন করে তাদের হত্যা করে তাদের মালামাল লুন্ঠন করেই অভ্যস্থ।এত বড় বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করার মত সাহস মোহাম্মদের ছিল না। থাকলেও যেহেতু জয় নিশ্চিত ছিল না তাই তীরে এসে তরী ডুবানোর এহেন রিস্ক তিনি নিতে চাননি। কারন এ সময় মক্কাবাসীদের সাথে যুদ্ধ করে যদি হেরে যান তাহলে তার স্বপ্ন ধূলায় ধুসরিত হবে। ইসলামী সাম্রাজ্য গড়ার স্বপ্ন ভেঙ্গে খান খান হয়ে যাবে। তাই তিনি হুদায়বিয়ার সন্ধি চুক্তি করেন যাতে তাঁর উগ্র সাঙ্গপাঙ্গ বিশেষ করে ওমর তীব্র বিরোধীতা করে।ওমরের ইচ্ছা ছিল এসময়ই একটা চুড়ান্ত ফয়সালা করে ফেলতে।কিন্তু মোহাম্মদ তাদের গোয়ার্তুমির কাছে নত হন নি। হুদায়বিয়ার চুক্তিতে শর্ত ছিল- মদিনার কোন লোক মক্কায় চলে গেলে তাকে মক্কাবাসীরা ফেরত দেবে না কিন্তু মক্কার কোন লোক মদিনায় গেলে ফেরত দিতে হবে।- এটা মক্কার পক্ষ থেকে তাদের দুত সুহাইল এ ধরনের শর্ত আরোপ করে। মোহাম্মদ তাতেই রাজী হয়ে যান। আপাত: দৃষ্টিতে মনে হয় এটা মোহাম্মদের জন্য অবমাননাকর, কিন্তু সূক্ষ্ম দৃষ্টি দিয়ে দেখলে এটা ছিল খুবই সুদুরপ্রসারী ও অত্যন্ত কার্যকর পদক্ষেপ। এর ফলে মদিনার বেশ কিছু মুসলমান আপাত: ইসলাম ত্যাগের ভান করে মক্কাতে ফিরে যায় ও তারা মোহাম্মদের গুপ্তচর হিসাবে কাজ করতে থাকে।তারা নিয়মিত কুরাইশদের মনোভাব , শক্তি ও ক্ষমতা সম্পর্কে তথ্য মোহাম্মদের কাছে পাঠাতে থাকে। এর ফলে মোহাম্মদের পক্ষে মক্কা দখল করার পরিকল্পনা করা ও বাস্তবায়ন খুব সহজ হয়ে যায়।অন্যদিকে যে সব ক্রিমিনাল টাইপের মোহাম্মদের দলে যোগ দেয়া মক্কাবাসী বা মদিনাবাসী মক্কাবাসীদের বানিজ্য কাফেলায় আক্রমন চালাত তাদেরকে কিন্তু মোহাম্মদ কিছুই বলতেন না। এর ফলে মক্কাবাসীরা প্রকারান্তরে অনেকটা এক ঘরে হয়ে পড়ে ও ক্রমশ: দুর্বল হতে থাকে। যা দেখা যায় উপরোক্ত ৮৯১ নম্বর হাদিসের ঘটনায়। এর ফলাফল হলো মক্কাবাসীরা দিন দিন আরও দুর্বল হয়ে পড়ছিল আর মোহাম্মদ ঠিক এটাই করতে চাচ্ছিলেন। অন্যদিকে মোহাম্মদ মদিনার আশ পাশের ইহুদি অধ্যূষিত জনপদে আতর্কিকে হানা দিয়ে তাদের ধন সম্পদ লুঠ-পাট করে তা গণিমতের মাল হিসাবে ভাগাভাগি করে নিতেন, নারীদেরকেও ভাগাভাগি করে নিতেন যৌন দাসী হিসাবে ব্যবহার করার জন্য ।উদাহরণ হিসাবে বলা যায়- বানু কুরাইজা, খায়বার এসবের ওপর আক্রমন ,ইহুদিদেরকে নির্বিচারে হত্যা, তাদের ধন সম্পদ লুট-পাট, নারীদেরকে ভাগাভাগি করে নিয়ে যৌনদাসী বানান। এসব করে নিজেকে আরও বেশী শক্তি শালী করে তোলেন। যখন মোহাম্মদ নিশ্চিত হন যে মক্কায় অভিযান করলে কোন বাধা আসবে না তখনই তিনি তার দল বল নিয়ে মক্কা দখল অভিযানে বের হন।মোহাম্মদ যখন তার বিশাল দলবল নিয়ে মক্কায় আগমন করেন তখন মদিনা থেকে আগত মুসলমানরাই সর্বাগ্রে মোহাম্মদকে স্বাদরে সম্ভাষণ জানায়। খেয়াল করতে হবে – যেসব নারীরা মক্কা থেকে মদিনা গেছিল তাদেরকে কিন্তু মোহাম্মদ ফেরত দেন নি।কারন নারীদের থেকে গুপ্তচরবৃত্তির কোন আশংকা ছিল না। চুক্তি করার আড়াই বছর পর যখন মোহাম্মদ নিশ্চিত হলেন যে এখন বিনা রক্ত পাতে মক্কা দখল করা যাবে তখন তিনি মক্কা অভিযানে বের হন ও বিনা রক্তপাতে মক্কা দখল করে নেন। অথচ শত শত বছর ধরে অপপ্রচারনা করা হয়েছে- মক্কার লোকরাই নাকি চুক্তি ভঙ্গ করেছিল আর তাই মোহাম্মদ মক্কা দখল করে নেন। এটা যে কত বড় ডাহা মিথ্যা কথা তা কোন ইতিহাস বই পড়ার দরকার নেই , কোরান ও হাদিস পাঠ করলেই অতি সহজে বোঝা যায়। আর চুক্তি ভঙ্গ করার অজুহাতেই মোহাম্মদ উক্ত আত- তাওবার ০৯: ০৫(অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু ) আয়াত আল্লাহর নামে নাজিল করেন। পক্ষান্তরে, মক্কার লোককে মদিনায় থাকতে দেয়া হয় নি কারন তাহলে তারা মদিনায় গুপ্তচর বৃত্তি করতে পারত। তবে মক্কা থেকে কিছু কিছু লোক সত্যি সত্যি মদিনায় মোহাম্মদের দলে যোগ দিতে চাইত কারন তারা জানতে পেরেছিল মোহাম্মদের দলে যোগ দিলে লুট তরাজ করে গণিমতের মাল হিসাবে যা পাওয়া যায় তাতে সারা বছর কঠোর পরিশ্রম করে জীবন যাপনের দরকার পড়ে না। তবে তাদেরকে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর মদিনায় থাকতে দেয়া হতো। আর যারা মূলত চোর ডাকাত প্রকৃতির মানুষ ছিল বাহ্যত: মোহাম্মদ তাদেরকে কিছু বলতেন না , তাদেরকে অনেক সময় ভিন্ন ভাবে থাকার জন্য নির্দেশ দিতেন যেখান থেকে তারা তাদের ডাকাতি ও লুট পাট করে যেতে পারে অবাধে। যার প্রমান আলোচ্য ৮৯১ নম্বর হাদিস, এর একটা অংশে আছে –

ইসলাম গ্রহনের পূর্বে মুগিরা একটা দলের লোক ছিল। সে তাদেরকে হত্যা করে তাদের মালামাল লুটে নিয়ে মদিনায় এসে ইসলাম গ্রহন করল।মোহাম্মদ তাকে বলল- তোমার ইসলাম গ্রহন করা হলো কিন্তু তোমার মালামাল গ্রহন করা হবে না।

এছাড়াও এ হাদিসে বশির যে একটা ডাকাত বাহিনী গঠন করে মক্কাবাসীদের বানিজ্য কাফেলায় আক্রমন করে তাদেরকে হত্যা করে নিয়মিত লুটপাট করত সেটাও তো বর্ণনা করা আছে।

প্রশ্ন হলো যে লোক একটা ডাকাত ও খুনি ,শুধুমাত্র ইসলাম গ্রহন করার শর্তেই মোহাম্মদ তাকে তাঁর দলে নিয়ে নিচ্ছেন। আহা , ইসলামের কি মহিমা! চোর ডাকাত খুনী বদমাশ সবার নিরাপদ আশ্রয় হলো ইসলাম। ইসলাম আসলেই ভীষণ উদার ও মহান ধর্ম। ইসলামে প্রবেশ করার আগে যত খুশী অপকর্ম করা হোক সমস্যা নাই , গ্রহন করার পরও যত খুশী অপকর্ম করা হোক তাতেও সমস্যা নেই। শুনতে আজব মনে হচ্ছে ? বিশ্বাস হচ্ছে না ? তাহলে দেখুন নিচের হাদিস-

আবু দার বর্ণিত- আমি নবীর নিকট যখন আসলাম তখন তিনি সাদা কাপড় পরে ঘুমাচ্ছিলেন। অত:পর তিনি যখন ঘুম থেকে উঠলেন তখন আমি তার কাছে গেলাম। তিনি বললেন- আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই এ বিশ্বাস নিয়ে যে মারা যাবে সে বেহেস্তে যাবে।আমি বললাম- যদি সে ব্যভিচার ও চুরি করে? তিনি বললেন- যদিও সে ব্যভিচার ও চুরি করে। আমি আবার বললাম- যদি সে আবারও ব্যভিচার ও চুরি করে ? তিনি আবার বললেন- যদিও আবার সে ব্যভিচার ও চুরি করে। আমি আবারও বললাম – এর পরেও যদি সে ব্যভিচার ও চুরি করে? তিনি বললেন- এর পরেও যদি সে ব্যভিচার ও চুরি করে। সহি বুখারি, ভলিউম-৭, বই-৭২, হাদিস-৭১৭

এ প্রসঙ্গে এ হাদিসটাও দেখা যেতে পারে –

Narrated Abu Said Al-Khudri:

The Prophet said, “Amongst the men of Bani Israel there was a man who had murdered ninety-nine persons. Then he set out asking (whether his repentance could be accepted or not). He came upon a monk and asked him if his repentance could be accepted. The monk replied in the negative and so the man killed him. He kept on asking till a man advised to go to such and such village. (So he left for it) but death overtook him on the way. While dying, he turned his chest towards that village (where he had hoped his repentance would be accepted), and so the angels of mercy and the angels of punishment quarrelled amongst themselves regarding him. Allah ordered the village (towards which he was going) to come closer to him, and ordered the village (whence he had come), to go far away, and then He ordered the angels to measure the distances between his body and the two villages. So he was found to be one span closer to the village (he was going to). So he was forgiven.” (Sahih al-Bukari, Volume 4, Book 56, Number 676

বার বার অপকর্ম করেও কিন্তু একজন মানুষ বেহেস্তে যেতে পারে যদি তার ইমান থাকে। তার মানে ইসলাম একজন মুসলমানকে যেমন ইচ্ছা খুশী অপকর্ম করার ফ্রি লাইসেন্স দিচ্ছে, শধু শর্ত একটাই – আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় ও মোহাম্মদ তার রসুল এটুকুতে বিশ্বাস করা। একজন মুসলমান মনে প্রানে এটা বিশ্বাস করলে তার পক্ষে সৎ হওয়া কিভাবে সম্ভব ? শোনা যায় আমেরিকাতে জেলের মধ্যে থাকা দাগী অপরাধীদের মধ্যে ইসলাম গ্রহনের মাত্রা বেশী। সেটা তো হবারই কথা। ইসলাম তো এধরনের অপরাধী ও বদমাসদেরকেই বেশী আনুকূল্য দেখায়। তাই বলে ইসলাম কি এসব অপরাধীকে ভাল মানুষ হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করে ? তা কিন্তু নয়। ভাল মানুষ হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করলে তো সেটা হতো মহান একটা কাজ। বিষয়টা যে বাস্তবিক তাই তা কিন্তু উপরোক্ত দুটি হাদিস পড়লে সহজেই বোঝা যায়। মুসলিম প্রধান দেশগুলো যে আকন্ঠ দুর্নীতি সহ সমস্ত রকম অপকর্মের আখড়া এর কারন বুঝতে নিশ্চয়ই আর গবেষক হওয়ার দরকার পড়বে না। বিষয়টা এমন না যে সব মুসলমানই খারাপ, অধিকাংশই ভাল, ভদ্র, সজ্জন। সামাজ ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশের কারনে সেভাবেই গড়ে উঠতে হয়। কিন্তু এই সজ্জন মানুষগুলো যদি কখনো খারাপ কাজ করে ফেলে তারা যে খুব বেশী বিবেক তাড়িত হয় তা কিন্তু নয়, তওবা করে অতি সত্ত্বর বিবেকের দংশন থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করে। ঠিক একারনেই বাংলাদেশে এরকম বহু মানুষ পাওয়া যাবে যারা ব্যাক্তিগত জীবনে ভীষন ভদ্র ও সজ্জন মানুষ কিন্তু কর্মক্ষেত্রে প্রচন্ড দুর্নীতিবাজ , তার এ অপকর্ম তাকে বিন্দুমাত্র বিচলিত করে না। মনে করে এ দুর্নীতিই হলো তার কাজের স্বাভাবিক অংশ। এমনকি এ ধরনের একজন ভদ্র মানুষের পক্ষে যে কোন সময়ে উগ্র পন্থায় মোড় নেয়া আশ্চর্য্যের কোন বিষয় নয়। মোল্লা মৌলভীদেরকে জিজ্ঞেস এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তারা বলে- তওবা করতে হবে খাস দিলে ও বার বার তওবা করলে তা গ্রহন করা হবে না। তারা যে বিষয়টা স্রেফ নিজেদের থেকে বানিয়ে বলে এটা কি আর নতুন করে বুঝানোর দরকার আছে?

কোরান হাদিসে পরিস্কার উল্লেখ থাকার পরেও শুধুমাত্র সাধারন মুসলমানদের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে উক্ত ৯:৫ আয়াতের সাফাই গাইতে গিয়ে শত শত বছর ধরে একটা মিথ্যা এখনও ইসলামি পন্ডিতরা প্রচার করে চলেছে। আর তা করে মুসলমানদের চরম সর্বনাশ তারা করছে কারন তারা জানতে পারছে না ইসলামের প্রকৃত স্বরূপ।

এর পরেও কথা থাকে, মক্কার কাবা ঘরের আশে পাশে মুশরিককে দেখা গেলে তাদের খুন করতে বলা হচ্ছে কিন্তু নিচের আয়াতটি কেন নাজিল হলো ? খৃষ্টান ও ইহুদিরা তো আর কাবা ঘরের চারপাশে ঘোরাঘুরি করে না ।

তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে। আত তাওবা, ০৯: ২৯( মদিনায় অবতীর্ণ)

আহলে কিতাবের লোকদের ( ইহুদি ও খৃষ্টান) সাথে কি কোন ধরণের চুক্তি ছিল যা তারা ভঙ্গ করেছিল ? সে কারনে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হয় আল্লাহকে ? উক্ত আয়াতে পরিস্কার বলা হচ্ছে যে শুধু মাত্র ভিন্ন ধরনের বিশ্বাসের কারনেই তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে, ততক্ষন পর্যন্ত যুদ্ধ করতে হবে যতক্ষন পর্যন্ত না তারা ইসলাম গ্রহণ করে অথবা জিযিয়া কর প্রদান না করে। প্রশ্ন হলো – মুশরিকরা কাবা ঘরে হিজরত করত, তার চারপাশে প্রদক্ষিন করত, একারনে তাদেরকে দুরে রাখার জন্য মোহাম্মদ উক্ত ৯:৫ আয়াত নাজিল করলেন কিন্তু খৃষ্টান ও ইহুদিরা তো কাবা ঘর প্রদক্ষিন করত না বা কোন অনুষ্ঠান সেখানে পালন করত না , তাদের সাথে যুদ্ধ করার আয়াত নাজিল হলো কি কারনে ? আর এ ধরনের আয়াত নাজিল হওয়ার পর কিভাবে ইসলাম দাবী করতে পারে যে – ইসলাম শান্তির ধর্ম ও আগেকার মোহাম্মদের ইসলামের প্রাথমিক আমলের শান্তির বার্তা বিষয়ক কোরানের আয়াত বাতিল হয় নি ? এ ধরনের আয়াত নাজিল করার কোথাও কি পরে বলা হয়েছে যে এ ধরনের আয়াত সাময়িক কালের জন্য ও পরে তা বাতিল হয়ে যাবে ? কোথাও বলা হয় নি। তাহলে আমরা কিভাবে বুঝবে যে এটা সাময়িক কালের জন্য ও পরে আর প্রযোজ্য নয় ? আয়াতের রকম ফের বোঝা যে সত্যিই দু:সাধ্য তা বোঝা যায় নিচের আয়াতে –

তিনিই আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন। তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট, সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ। আর অন্যগুলো রূপক। সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে, তারা অনুসরণ করে ফিৎনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশে তন্মধ্যেকার রূপকগুলোর। আর সেগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। আর যারা জ্ঞানে সুগভীর, তারা বলেনঃ আমরা এর প্রতি ঈমান এনেছি। এই সবই আমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। আর বোধশক্তি সম্পন্নেরা ছাড়া অপর কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না। কোরান , ৩:৭

পরিস্কার বলছে কিছু আয়াত সুস্পষ্ট যা কোরানের মূল অংশ, বাকীগুলো হলো রূপক যার অর্থ একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না। এখন প্রশ্ন উক্ত ৯:৫ ও ৯:২৯ পড়লে কি বোঝা যায় এটা রূপক বা সাময়িক কালের জন্য বা এর অর্থ অপরিস্কার? কোনটা সুস্পষ্ট ও রূপক আয়াত তা তো কোরানে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় নি। তাহলে বোঝার উপায় কি কোনটা সুস্পষ্ট ও কোনটা রূপক ? এক্ষেত্রে আমরা তো সুস্পষ্ট আয়াতকে রূপক ও রূপক আয়াত কে সুস্পষ্ট বলে ধরে নিতে পারি। আর তখন সমস্যা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পাবে , কারন রূপক আয়াতের অর্থ তো আল্লাহ ছাড়া আর কেউই জানে না। সে ক্ষেত্রে কোরান বিকৃত করার মারাত্মক অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে দোজখের রাস্তা আমাদের জন্য সুস্পষ্ট হতে পারে। তবে সবচাইবে বড় যে সমস্যা দেখা যায় উক্ত আয়াতে তা হলো- যে সব আয়াত রূপক তার অপব্যখ্যা করে কিছু মানুষ ফিতনা সৃষ্টি করে।
তাহলে প্রশ্ন হলো – যে ধরনের আয়াত রূপক ও যার অর্থ আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না এবং একই সাথে যে সব আয়াতকে অপব্যখ্যা করে কোরানকে বিকৃত ও ফিতনা সৃষ্টির অবকাশ থাকে , সেসব আয়াত নাজিল করার দরকারটা কি বা কোরানে ঢুকানোরই অর্থ কি ? এটা কি আল্লাহর ইচ্ছাকৃত মানুষকে কোরানের ভুল ব্যখ্যা করে দেয়ার সুযোগ করে দেয়া নয় কি ? আল্লাহ কি তাহলে আমাদের সাথে মস্করা করছে ? আবার সেই আল্লাহই বলছে কোরানের অপব্যখ্যা করলে শাস্তি চিরকালের জন্য দোজখবাস। আল্লাহর চরিত্র তো এখানে দেখা যায় মানুষের চাইতেও বেশী অস্থির। এসব দৃষ্টে কি মনে হয় এটা সত্যি সত্যি সর্বজ্ঞানী আল্লাহর কাছ থেকে এসেছে? উক্ত আয়াতের কারনেই কিন্তু মানুষ আয়াতের কোনটা মানসুক আর কোনটা মানসুক না এটা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত। এছাড়া্ও অন্য অনেক বিষয় আছে তা নিয়েও দ্বিধাবিভক্ত। কোরানের মধ্যে যেসব ইসলামী বিজ্ঞানী বিজ্ঞানের সব তত্ত্ব ও মতবাদ খুজে পায় তারা মূলত কোরানের কিছু আয়াতকে রূপক আখ্যা দিয়েই তা করে। এখন এসব আয়াত যদি রূপক হয়, আল্লাহ ছাড়া এর অর্থ কেউ জানে না , তাহলে যেসব তথাকথিত ইসলামি পন্ডিত এসব আয়াতের মনগড়া ব্যখ্যা দিয়ে এর মধ্য থেকে বিজ্ঞান বের করছে তারা তো আল্লাহর সাথেই পাল্লা দিচ্ছে, আল্লাহর ক্ষমতাকেই চ্যলেঞ্জ করছে, কারন যার অর্থ আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না সেসব আয়াতের অর্থ ঐ সামান্য আদম সন্তান বের করার ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে। এরা কি জানে এর শাস্তি কি ? এরা ভাল করেই জানে এটা , জানে না শুধু সাধারন মুসলমানরা। তারা কিন্তু তাদের পন্ডিতদের কোরানিক বিজ্ঞান নিয়ে দারুন রকম উল্লসিত ও উন্মত্ত্। তাহলে দেখা যাচ্ছে আল্লাহ সুকৌশলেই মানুষকে বিভ্রান্ত করার একটা মহা কর্মযজ্ঞে নেমেছে।

যাহোক, শান্তির ও যুদ্ধের দু ধরনের আয়াতই যদি চালু থাকে তাহলে পরিস্থিতি হবে আরও ভয়ংকর। কারন – সেক্ষেত্রে প্রথমত মুসলমানরা যখন দুর্বল থাকবে তখন তারা অমুসলিমদের সাথে শান্তিপূর্ণ আচরন করবে , যখন একটু শক্তিশালী হবে তখনই অমুসলিমদের ওপর আক্রমন শুরু করে দেবে, তাদেরকে জোর করে ইসলাম গ্রহনে বাধ্য করবে, নয়ত তাদের ওপর জোর করে ইসলামী শাসন চালিয়ে দেবে। বিষয়টা তো এরকমই দাড়ায়। এ যদি হয় বাস্তব পরিস্থিতি , তাহলে মুসলমানদেরকে বিশ্বাস করবে কোন অমুসলিম? তাদের সাথে বসবাসই বা করতে চাইবে কে ? বাস্তবে বিষয়টা কি সেরকমই দেখা যাচ্ছে না ? ইউরোপ আমেরিকাতে যখন মুসলমানরা বেশী পরিমানে মাইগ্রেট করেনি তখন সেখানে ইসলাম নিয়ে কোন টু শব্দ শোনা যায় নি, তখন সেখানকার মুসলমানদেরকে দেখা গেছে ভীষণ শান্ত শিষ্ট, শান্তির প্রতিমূর্তি হিসাবে। এখন যখন তাদের সংখ্যা একটু বেড়েছে অমনি শুরু হয়ে গেছে সেখানে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। ইউরোপের কোন কোন দেশে জনসংখ্যার মাত্র ৪-৫% মুসলমানই সেখানকার জনজীবনকে অতিষ্ট করে তুলেছে।এসব লোকজন ঐসব সমাজকল্যান রাষ্ট্রের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আরাম আয়েশের জীবন যাপন করছে একই সাথে তারা সেসব দেশের মানুষকে ঘৃণা করছে ও তাদের সমাজকে ধ্বংস করার খেলায় মেতেছে। তাদের খায়েশ তারা সেসব দেশগুলোকে মধ্য যুগে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়। এর চাইতে নিমকহারামি আর কিসে হতে পারে ? ব্যক্তি গত ভাবে আমি অনেককেই জানি যারা ইউরোপ আমেরিকা কানাডায় বসবাস করে সেখানকার সরকারী যাবতীয় সুবিধা ভোগ করছে অথচ সেদেশের সমাজ ও মানুষগুলোকে মনে মনে প্রচন্ড ঘৃণা করে একই সাথে স্বপ্ন দেখছে সেসব দেশ একদিন ইসলামী হবে। চিন্তাও করতে পারি না মানুষ এত উন্মাদ হয় কিভাবে ? তার মানে ওসব উন্নত দেশে গিয়ে তাদের মন মানসিকতার পরিবর্তন তো দুরের কথা , আরও নিম্ন গামী হয়েছে।

এসব বাস্তব ও সত্য কথা বলার জন্য অনেকেই আমাদেরকে ইসলাম বিদ্বেষী , মুসলিম বিদ্বেষী বলে আখ্যায়িত করতে পারে। আসলে আমরা সত্য প্রকাশকারী , যারা এ কঠিন সত্যকে মানতে চায় না, তারাই শুধুমাত্র আমাদেরকে ইসলাম বা মুসলিম বিদ্বেষী বলতে পারে।

যাহোক, উক্ত ৯:২৯ আয়াতের ব্যপারে ইবনে কাথির কি তাফসির করেছেন তা একটু দেখা যাক-

Paying Jizyah is a Sign of Kufr and Disgrace

Allah said,
﴿حَتَّى يُعْطُواْ الْجِزْيَةَ﴾
(until they pay the Jizyah), if they do not choose to embrace Islam,
﴿عَن يَدٍ﴾
(with willing submission), in defeat and subservience,
﴿وَهُمْ صَـغِرُونَ﴾
(and feel themselves subdued.), disgraced, humiliated and belittled. Therefore, Muslims are not allowed to honor the people of Dhimmah or elevate them above Muslims, for they are miserable, disgraced and humiliated. Muslim recorded from Abu Hurayrah that the Prophet said,
«لَا تَبْدَءُوا الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى بِالسَّلَامِ، وَإِذَا لَقِيتُمْ أَحَدَهُمْ فِي طَرِيقٍ فَاضْطَرُّوهُ إِلَى أَضْيَقِه»
(Do not initiate the Salam to the Jews and Christians, and if you meet any of them in a road, force them to its narrowest alley.) This is why the Leader of the faithful `Umar bin Al-Khattab, may Allah be pleased with him, demanded his well-known conditions be met by the Christians, these conditions that ensured their continued humiliation, degradation and disgrace. The scholars of Hadith narrated from `Abdur-Rahman bin Ghanm Al-Ash`ari that he said, “I recorded for `Umar bin Al-Khattab, may Allah be pleased with him, the terms of the treaty of peace he conducted with the Christians of Ash-Sham: `In the Name of Allah, Most Gracious, Most Merciful. This is a document to the servant of Allah `Umar, the Leader of the faithful, from the Christians of such and such city. When you (Muslims) came to us we requested safety for ourselves, children, property and followers of our religion. We made a condition on ourselves that we will neither erect in our areas a monastery, church, or a sanctuary for a monk, nor restore any place of worship that needs restoration nor use any of them for the purpose of enmity against Muslims. We will not prevent any Muslim from resting in our churches whether they come by day or night, and we will open the doors ﴿of our houses of worship﴾ for the wayfarer and passerby. Those Muslims who come as guests, will enjoy boarding and food for three days. We will not allow a spy against Muslims into our churches and homes or hide deceit ﴿or betrayal﴾ against Muslims. We will not teach our children the Qur’an, publicize practices of Shirk, invite anyone to Shirk or prevent any of our fellows from embracing Islam, if they choose to do so. We will respect Muslims, move from the places we sit in if they choose to sit in them. We will not imitate their clothing, caps, turbans, sandals, hairstyles, speech, nicknames and title names, or ride on saddles, hang swords on the shoulders, collect weapons of any kind or carry these weapons. We will not encrypt our stamps in Arabic, or sell liquor. We will have the front of our hair cut, wear our customary clothes wherever we are, wear belts around our waist, refrain from erecting crosses on the outside of our churches and demonstrating them and our books in public in Muslim fairways and markets. We will not sound the bells in our churches, except discretely, or raise our voices while reciting our holy books inside our churches in the presence of Muslims, nor raise our voices ﴿with prayer﴾ at our funerals, or light torches in funeral processions in the fairways of Muslims, or their markets. We will not bury our dead next to Muslim dead, or buy servants who were captured by Muslims. We will be guides for Muslims and refrain from breaching their privacy in their homes.’ When I gave this document to `Umar, he added to it, `We will not beat any Muslim. These are the conditions that we set against ourselves and followers of our religion in return for safety and protection. If we break any of these promises that we set for your benefit against ourselves, then our Dhimmah (promise of protection) is broken and you are allowed to do with us what you are allowed of people of defiance and rebellion.”’
﴿وَقَالَتِ الْيَهُودُ عُزَيْرٌ ابْنُ اللَّهِ وَقَالَتِ النَّصَـرَى الْمَسِيحُ ابْنُ اللَّهِ ذلِكَ قَوْلُهُم بِأَفْوَهِهِمْ يُضَـهِئُونَ قَوْلَ الَّذِينَ كَفَرُواْ مِن قَبْلُ قَـتَلَهُمُ اللَّهُ أَنَّى يُؤْفَكُونَ – اتَّخَذُواْ أَحْبَـرَهُمْ وَرُهْبَـنَهُمْ أَرْبَاباً مِّن دُونِ اللَّهِ وَالْمَسِيحَ ابْنَ مَرْيَمَ وَمَآ أُمِرُواْ إِلاَّ لِيَعْبُدُواْ إِلَـهاً وَحِداً لاَّ إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ سُبْحَـنَهُ عَمَّا يُشْرِكُونَ ﴾

www.qtafsir.com

কোরানের সবচাইতে বিখ্যাত তাফসিরকার উক্ত আয়াত প্রসংগে বলছেন–
(and feel themselves subdued.), disgraced, humiliated and belittled. Therefore, Muslims are not allowed to honor the people of Dhimmah or elevate them above Muslims, for they are miserable, disgraced and humiliated. Muslim recorded from Abu Hurayrah that the Prophet said, Do not initiate the Salam to the Jews and Christians, and if you meet any of them in a road, force them to its narrowest alley.

অর্থাৎ অমুসলিমরা হলো হলো নীচ, অপদস্থ ও হীন আর তাদেরকে সম্মান করার কোন দরকার নেই। রাস্তায় যদি কোন ইহুদি বা খৃষ্টানের সাথে দেখা হয় তার জন্য রাস্তা ছেড়ে দেয়ার কোন দরকার নেই বরং তারাই রাস্তার পাশ দিয়ে চলে যাবে।

এই হলো শান্তির বানী ইসলামের আসল চেহারা।

এ প্রসঙ্গে মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশে সংখ্যা লঘিষ্ট অমুসলিমরা কেমন আছে তা একটু দেখা যাক। পাকিস্তান, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, বাংলাদেশ, মালয়শিয়া কোথাও অমুসলিমরা শান্তিতে নেই। সব দেশেই এরা সর্বদা একটা আতংকের মধ্যে থাকে। মিশরে যে খৃষ্টানরা আছে প্রতি নিয়ত তাদের ওপর নানা ধরনের অত্যাচার চলে , তাদের সুন্দরী মেয়েদেরকে জোর করে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করে বা বিয়ে করে যা বাংলাদেশেও ঘটে অহরহ। একটা অমুসলিম পরিবারে যদি সুন্দরী মেয়ে থাকে তার বাবা মা যে কি পরিমান দুশ্চিন্তায় থাকেন তা ভুক্তভোগীরাই জানেন। বাবরি মসজিদ ভাঙ্গল ভারতে , বাংলাদেশের বহু হিন্দু দের ঘরবাড়ী তাতে পোড়া গেল, নারী হলো ধর্ষিতা। ২০০১ সালে বি এন পি নির্বাচনে জিতল পরদিন হিন্দুদের ওপর শুরু হলো আক্রমন। সব সময় এটা ধর্মীয় কারনে হয় তা নয় রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত আক্রোশ বা লোভ লালসার কারনেও ঘটে, কিন্তু মুসলমানরা তাদের ধর্মীয় জিগিরে ধরেই নেয় যে অমুসলিমদের ওপর আক্রমন ও অত্যাচার তাদের ধর্মীয় ও নৈতিক অধিকার ও এতে কোন অন্যায় নেই, তাই এটা করা যেতেই পারে।

বাংলা কোরান
বাংলা কোরান
বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ ও মালিক মুয়াত্তার হাদিস
শুধুমাত্র বুখারী শরিফ
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-১৩
মোহাম্মদ ও ইসলাম , পর্ব-১২
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-১১
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-10
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-9
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-8
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-7
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-6
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-5
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-4
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-3
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-2
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-1