আবুল কাশেম

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১১

[রচনাটি এম, এ, খানের ইংরেজি বই থেকে অনুবাদিত “জিহাদঃ জবরদস্তিমূলক ধর্মান্তরকরণ, সাম্রাজ্যবাদ ও ক্রীতদাসত্বের উত্তরাধিকার” গ্রন্থের ‘ইসলামি ক্রীতদাসত্ব’ অধ্যায়ের অংশ এবং লেখক ও ব-দ্বীপ প্রকাশনের অনুমতিক্রমে প্রকাশিত হলো। এ পর্বে আলোচিত হয়েছে:]

ইসলামি ক্রীতদাসত্ব, খণ্ড ২

লেখক: এম, এ, খান

প্রাচীন বিশ্বে দাসপ্রথা

ইসলাম দাসপ্রথার প্রবর্তক নয়; তাতে শুধু ইসলামের একচেটিয়া কর্তৃত্বও ছিল না। খুব সম্ভবত সেই আদিম বর্বরতার যুগে দাসপ্রথার উৎপত্তি হয়েছিল এবং তা লিখিত ইতিহাসের পুরোটা ব্যাপী বিশ্বের প্রধান প্রধান সভ্যতার বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল। দাসপ্রথা ব্যাবিলোনিয়া এবং মেসোপটেমিয়াতেও প্রচলিত ছিল। খ্রিষ্টান ধর্মের আবির্ভাবের পূর্বে প্রাচীন মিশর, গ্রিস ও রোমেও দাসপ্রথা বিশেষ লক্ষ্যণীয় ছিল। খ্রিষ্টান ধর্মগ্রন্থে দাসপ্রথা অনুমোদিত ও মধ্যযুগের খ্রিষ্টানজগতে দাসপ্রথা চালু ছিল।

প্রাচীন মিশরে:

প্রাচীন মিশরে পিরামিড নির্মাণে ক্রীতদাসরা শ্রমিকের কাজ করেছে। বিখ্যাত গ্রিক পরিব্রাজক হেরোডটাস (খ্রিষ্টপূর্ব ৪৮৪-৪২৫ সাল) জানান: গিজার বিখ্যাত পিরামিডটি নির্মাণে প্রায় ১০০,০০০ শ্রমিক ২০ বছর ধরে কাজ করেছিল; মিশরের প্রাচীন সাম্রাজ্যের চিওপ্স নামক ফারাও (শাসনকাল খ্রিষ্টপূর্ব ২৫৮৯-২৫৬৬ সাল) এটি নির্মাণ করেছিলেন, যা ছিল বিশ্বের প্রাচীন সপ্তম আশ্চর্যের একটি।[৭] কিংবদন্তির কাহিনী থেকে শোনা এ সংখ্যা স্পষ্টতঃই ছিল অতিরঞ্জিত; তথাপি এ তথ্যটি প্রমাণ করে যে, তৎকালে এরূপ কাজে ব্যাপক সংখ্যায় ক্রীতদাস ব্যবহৃত হতো। মিশরের ফারাওরা যুদ্ধের মাধ্যমে ক্রীতদাস সংগ্রহ করতেন অথবা বিদেশ থেকে তাদেরকে ক্রয় করতেন। সেসব ক্রীতদাস ছিল রাষ্ট্রের সম্পদ, ব্যক্তিগত সম্পদ নয়, কিন্তু মাঝে মাঝে তাদেরকে উপহার হিসেবে সেনানায়ক বা যাজকদেরকে দেওয়া হতো।

প্রাচীন গ্রিসে:

গ্রিসের প্রাচীন নগররাষ্ট্রে, যেমন এথেন্স ও স্পার্টায়, দাসপ্রথা আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত ছিল। স্বাধীন নাগরিক এবং বিদেশীদের পাশাপাশি ‘হিলোট’ নামক একটি শ্রেণীও বাস করতো গ্রিসে। হিলোটরা ছিল দাসশ্রেণীর, যারা দাসের মতই দায়বদ্ধভাবে কৃষিকাজসহ চাকর-বাকরের মতো কাজ করতো। অনেক পণ্ডিত ধারণা করেন যে, এর ফলে সমাজের উঁচু স্তরের লোকজন ও স্বাধীন নাগরিকরা অন্যান্য কাজের পাশাপাশি বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় রত হওয়ার সুযোগ পায় এবং সে কারণেই প্রাচীন গ্রিস বুদ্ধিবৃত্তিক, রাজনৈতিক, বৈজ্ঞানিক ও সাহিত্যক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জনে সক্ষম হয়েছিল। গ্রিক কৃষকদের বড় একটা অংশ ভূমির মালিক ছিল না। ফলে উৎপাদিত ফসলের বড় একটা অংশ জমির মালিকদেরকে দিতে হতো। এর ফলে তারা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়তো এবং শেষ পর্যন্ত নিজেদেরকে দাস হিসেবে সমর্পণ করে ‘হিলোট’ শ্রেণীতে যুক্ত হতো। জানা যায়, এক সময় এথেন্সে মাত্র ২,১০০ স্বাধীন নাগরিকের বিপরীতে ৪৬০,০০০ ক্রীতদাস ছিল। স্পার্টার চেয়ে এথেন্সে ক্রীতদাসরা তুলনামূলক ভাল আচরণ পেতো। পরবর্তীকালে ড্রাকো’র সংবিধান (খ্রি: পূ: ৬২১) ও সলোন (জীবনকাল খ্রি: পূ: ৬৩৮-৫৫৮)-এর আইনে তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বানানো হয়; ফলে তাদের অবস্থার কিছুটা উন্নতি ঘটে। সলোনের ফরমান ঋণের কারণে দাসকরণ নিষিদ্ধ করে। এ সময় ক্রীতদাসরা কিছু মৌলিক অধিকার ভোগের সুযোগ পায় এবং রাষ্ট্র ব্যতীত অন্য কারো দ্বারা ক্রীতদাসকে মৃত্যুদণ্ডদান নিষিদ্ধ করা হয়।

রোমান সাম্রাজ্য:

প্রাচীন রোম প্রজাতন্ত্র ও রোম সাম্রাজ্যের প্রাথমিক যুগে জনসংখ্যার ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ছিল ক্রীতদাস।[৮] অগাস্টাস সিজারের শাসনামলে (শাসনকাল খ্রি: পূ: ৬৩-১৪) এক দাসমালিক নাকি ৪,০০০ ক্রীতদাস রেখে মারা যান।[৯] খ্রি: পূ: দ্বিতীয় শতাব্দি পর্যন্ত দাসমালিকরা বৈধভাবে ক্রীতদাসকে হত্যা করতে পারতো, যদিও তা ঘটতো খুবই কম। খ্রিষ্টপূর্ব ৩২ অব্দে কর্নেলিয়ান আইনের মাধ্যমে ক্রীতদাস হত্যা নিষিদ্ধ হয়; ৮২ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের পেট্রোনিয়ান আইন ক্রীতদাসদেরকে যুদ্ধে ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। সম্রাট ক্লডিয়াসের শাসনকালে (৪১-৫৪ খ্রি:) মালিকের অবহেলার কারণে ক্রীতদাসের মৃত্যু ঘটলে, মালিক খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হতো। বিখ্যাত বক্তা, লেখক, দার্শনিক ও ইতিহাসবিদ ডিয়ো ক্রিসোস্টোম সম্রাট ট্রজানের শাসনামলে (৯৮-১১৭ খ্রি:) দাসপ্রথার নিন্দা করে ‘ফোরামে’ প্রদত্ত তার দুটি বক্তৃতা (১৪ ও ১৫) উৎসর্গ করেছিলেন। ঐতিহাসিক, দার্শনিক ও উচ্চপদস্থ রাষ্ট্রীয় কর্মকতা সেনিকা দ্য এল্ডার (৫৪−৩৯ খ্রি: পূ:) কর্তৃক লিখিত ‘দা ক্লিমেন্সিয়া’ (১:১৮)-তে লিখিত হয়েছে যে, ক্রীতদাসদের উপর নিষ্ঠুর আচরণকারী মালিকদেরকে প্রকাশ্যে ভড়ৎসনা করা হতো। পরবর্তীকালে সম্রাট হাড্রিয়ান (শাসনকাল ১১৭-১৩৮ খ্রিষ্টাব্দ) কর্নেলিয়ান আইন পুনঃপ্রবর্তন করেন। সম্রাট কারাকালার (শাসনকাল ২১১-২১৭ খ্রিষ্টাব্দ) অধীনে স্টয়িক (ভোগবিরোধী) আইনজীবী আলপিয়ান পিতা-মাতা কর্তৃক সন্তানদেরকে ক্রীতদাসরূপে বিক্রি করা অবৈধ করেন। রোমের সর্বশেষ উল্লেখযোগ্য পৌত্তলিক সম্রাট ডিয়োক্লিশিয়ান (শাসনকাল ২৮৪-৩০৫ খ্রিষ্টাব্দ) ঋণদাতা কর্তৃক ঋণগ্রস্তকে ক্রীতদাসকরণ এবং ঋণগ্রস্তকে ঋণ পরিশোধের জন্য নিজেকে ক্রীতদাস হিসেবে সমর্পণ করা নিষিদ্ধ করেন। কনস্টানটাইন দ্য গ্রেট (শাসনকাল ৩০৬-৩৩৭ খ্রিষ্টাব্দ) ক্রীতদাস বিতরণকালে পরিবারের সদস্যদেরকে বিচ্ছিন্ন করা নিষিদ্ধ করেন। স্পষ্টতঃ খ্রিষ্টানপূর্ব রোমান সাম্রাজ্যে ক্রীতদাসদের অবস্থার ক্রমাগত উন্নতি হচ্ছিল।

প্রাচীন চীনে:

প্রাচীন চীনে ধনী পরিবারগুলো ক্ষেত-খামারের ও বাড়ির চাকর-বাকরের কাজের জন্য ক্রীতদাস রাখতো। সম্রাটরা সাধারণত শত শত, এমনকি হাজার হাজার ক্রীতদাস রাখতেন। অধিকাংশ ক্রীতদাস ছিল ক্রীতদাস মায়ের গর্ভে জন্মগ্রহণকারী। কিছু সংখ্যক ক্রীতদাস হতো ঋণশোধে ব্যর্থ হয়ে; অন্যেরা ছিল যুদ্ধে আটককৃত বন্দি।

প্রাচীন ভারতে:

অপর একটি বড় প্রাচীন সভ্যতা ভারতে দাসপ্রথার উল্লেখ খুবই সামান্য। বিখ্যাত গ্রিক পরিব্রাজক মেগাস্থিনিস (খ্রি: পূ: ৩৫০-২৯০) − যিনি গ্রিসসহ তার সফর করা অন্যান্য বহু দেশে দাসপ্রথা সম্পর্কে বিশেষ পরিচিত ছিলেন − তিনি লিখেছেন: ‘ভারতীয়রা সবাই স্বাধীন; তাদের কেউ-ই দাস নয়; এমনকি তারা বিদেশীদেরকেও দাস বানায় না; সুতরাং তাদের নিজস্ব দেশীয় লোকদেরকে ক্রীতদাস বানানোর প্রশ্নই উঠে না।’[১০] একইভাবে মুসলিম ইতিহাসবিদরা, যারা ভারতে ইসলামি ক্রীতদাসকরণের ভুরি-ভুরি বিবরণ লিখে গেছেন, তারাও ইসলামপূর্ব হিন্দু সমাজে দাসপ্রথার কথা উল্লেখ করেননি। তবে প্রাচীন ভারতেও দাসপ্রথা যে কিছু মাত্রায় বিদ্যমান ছিল, তা অনুমান করা যায়, কেননা ঋগবেদে (প্রাচীন হিন্দু ধর্মগ্রন্থ) দাসপ্রথার উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও বুদ্ধের শিক্ষাসহ অন্যান্য দার্শনিক ও ধর্মীয় সাহিত্যে দাসপ্রথার উল্লেখ পাওয়া যায়।

বুদ্ধ (জীবনকাল অনুমান খ্রি: পূ: ৫৬৩-৪৮৩ সাল) তাঁর অনুসারীদেরকে নির্দেশ দেন ক্রীতদাসদেরকে এমন পরিমাণ কাজ দিতে, যা তারা সহজেই করতে পারে। ক্রীতদাসরা অসুস্থ হলে তাদের সেবাযত্ন করতে তিনি দাসমালিককে উপদেশ দেন। তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কৌটিল্য (বা চানক্য), যার শিষ্য চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য বিখ্যাত মৌর্য সাম্রাজ্য (আনুমানিক ৩২০-১০০ খ্রিঃ পূর্বাব্দ) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তিনি দাসমালিক কর্তৃক বিনা কারণে ক্রীতদাসদেরকে শাস্তি দান নিষিদ্ধ করেন; এ নির্দেশ ভঙ্গ করলে রাষ্ট্র মালিকদেরকে শাস্তি দিতো। মৌর্য বংশের সম্রাট অশোক (শাসনকাল ২৭৩-২৩২ খ্রিষ্ট পূর্বাব্দ) তার পাথরে খোদাইকৃত ৯ নং অনুশাসনে দাসমালিককে ক্রীতদাসের প্রতি সহানুভূতিশীল ও বিবেচনাপ্রসূত আচরণ করার উপদেশ দেন।

প্রাচীন হিন্দু ধর্মগ্রন্থ ঋগবেদে ক্রীতদাস উপহার দেওয়ার কথা উল্লেখিত হয়েছে এবং শাসকরা উপহারস্বরূপ নারী ক্রীতদাসদেরকে প্রদান করতেন। ভারতে ক্রীতদাসরা শাসকদের প্রাসাদে, অভিজাতদের প্রতিষ্ঠানসমূহে ও ব্রাহ্মণদের ঘরে গৃহ-পরিচারক বা চাকর-বাকরের কাজ করতো। সম্ভবত ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ লোকেরা ভারতে ক্রীতদাস হতো।[১১]

তবে এটা বোঝা যায় যে, প্রচীন ভারতে দাসপ্রথার চর্চা ছিল খুবই সামান্য এবং তৎকালীন মিশর, গ্রিস, চীন ও রোমের তুলনায় ভারতে ক্রীতদাসরা অধিকতর মানবিক আচরণ পেত। ক্রীতদাসরা কখনোই বাণিজ্যিক পণ্য বিবেচিত হয়নি ভারতে, সেখানে কখনোই দাস বেচাকেনার বাজার ছিল না। মুসলিমরা দাস-বাণিজ্য আনয়নের আগে দাস-বাণিজ্য ভারতীয় অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কোনো অংশ বা বৈশিষ্ট্য ছিল না।

খ্রিষ্টান ধর্মে দাসপ্রথা:

নিউ টেস্টামেন্টে দাসপ্রথা সুস্পষ্টরূপে স্বীকৃত, এমনকি অনুমোদিত (ম্যাথিউ ১৮:২৫, মার্ক ১৪:৬৬)। উদাহরণস্বরূপ যিশু ঋণগ্রস্তকে ঋণ পরিশোধের জন্য পরিবারসহ নিজেদেরকে ক্রীতদাসরূপে বিক্রি হওয়ার পরামর্শ দেন (ম্যাথিউ ১৮:২৫)। একইভাবে সেন্ট পলের কয়েকটি শ্লোকে, যেমন ইফ. ৬:৫-৯, কর. ১২:১৩, গল. ৩:২৪ ও কোল. ৩:১১ প্রভৃতি দাসপ্রথা এবং দাস (বাঁধা) ও মুক্ত মানুষের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে ।

নিউ টেস্টামেন্টের এসব অনুমোদনমূলক বা সম্মতিসূচক উক্তিই সম্ভবত অবিশ্বাসীদেরকে (অখ্রিষ্টানদেরকে) ক্রীতদাসকরণে খ্রিষ্টানদেরকে উৎসাহিত করেছিল। স্পষ্টতঃ খ্রিষ্টানপূর্ব রোম সাম্রাজ্যে দাসপ্রথা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছিল এবং দাসদের অবস্থার ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছিল। চতুর্থ শতাব্দীতে সম্রাট কনস্টানটাইনের খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণের পর যখন খ্রিষ্টানরা রাজনৈতিক ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়, তখন পরিস্থিতি পাল্টে যেতে শুরু করে। উদাহরণস্বরূপ খ্রিষ্টানপন্থি সম্রাট ফ্লাভিয়াস গ্রাটিয়ানাস (শাসনকাল ৩৭৫-৩৮৩ খ্রিষ্টাব্দ) এ অনুশাসন জারি করেন যে, কোন ক্রীতদাস মালিকের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ করলে তাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হবে। ৬৯৪ সালে স্পেনীয় সম্রাট চার্চের চাপে ইহুদিদেরকে খ্রিষ্টানধর্ম গ্রহণ অথবা ক্রীতদাসত্ব বরণ করার নির্দেশ দেন। ধর্মের দোহাই দিয়ে চার্চের ফাদার ও পোপরা মধ্যযুগে খ্রিষ্টান জগতে দাসপ্রথার বৈধতা দিতো। আধুনিক যুগের শুরুতে ইউরোপে এ ঘৃণ্য প্রথার বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান বিরোধিতার মুখেও তারা দাস-বাণিজ্যের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখে। বার্ট্রান্ড রাসেল লিখেছেন: ‘প্রত্যেকেই জানে যে, চার্চগুলো যতদিন পেরেছে সাধ্যমতো দাসপ্রথা বিলুপ্তিকরণের বিরোধিতা করেছে।’[১২]

[আগামী পর্বে আলোচিত হবেঃ ভারতে মুসলিমদের দ্বারা ক্রীতদাসকরণ]

সূত্রঃ

7. Lal (1994), p. 2

8. Slavery, Wikipedia, http://en.wikipedia.org/wikis/Slavery

9. Lal (1994), p. 3

10. Ibid, p. 5

11. Ibid, p. 4

12. Russell B (1957) Why I Am Not a Christian, Simon & Schuster, New York, p. 26

ইসলামে বর্বরতা (দাসত্ব অধ্যায়- ১)