লিখেছেনঃ মুশফিক ইমতিয়াজ চৌধুরী
ভাবতে ভালোই লাগে,দেশ এগিয়ে যাচ্ছে,তবে গাজী প্লাস্টিক ট্যাংকের জন্য নয়,আমাদের ডঃ ইউনূস সাহেব,তার গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে দারিদ্রকে জাদুঘরে পাঠানোর যে মহান পরিকল্পনা নিয়েছেন তাতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে,সেই ১৯৭৬ সাল থেকে তিনি তার মহতী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণব্যাংকের মাধ্যমে এদেশের আপামর জনগোষ্ঠীর দারিদ্র দূরীকরণ করে যাচ্ছেন। ওনার কঠিন সংগ্রামের ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ আজকে অর্থনৈতিকভাবে এতোটাই সমৃদ্ধ যে এখনো জনসংখ্যার এক বিপুল অংশকে গ্রামীণব্যাংকের ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহণ করতে হয়,ইউনূস সাহেব যখন তার চিরাচরিত মিষ্টি হাসি হেসে সদম্ভে ঘোষণা করেন যে তার এক কোটি ঋণগ্রহীতা রয়েছে,তখন স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে ১৯৭৬ -২০১১ পর্যন্ত উনি করলেনটা কি ? দারিদ্র বিমোচন করলে ঋণগ্রহীতা থাকবে কেন,তাও আবার ক্ষুদ্রঋণ ! স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানও প্রমাণ করে বাংলাদেশের কিঞ্চিৎ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সিংহভাগই এসেছে বৈদেশিক রেমিট্যান্সের অর্থে। তাই যুক্তিতর্কের খাতিরেই হোক কিংবা পরিসংখ্যানের বিচারে,ইউনূস সাহেবের ক্ষুদ্রঋণ-তত্ত্ব দিয়ে দারিদ্র বিমোচনের অলীক স্বপ্ন ধোপে টেকে না। তবে একদিক থেকে তিনি কিন্তু দারুণ সফল,মধ্যবিত্ত শিক্ষকের অবস্থান থেকে আজকে উঠে এসেছেন মহাবিত্তবানদের কাতারে,তার দেওয়া ঋণে এককোটি জনগোষ্ঠী বিত্তবান হতে না পারলেও তিনি কিন্তু চড়া সুদ আরোপ করে ঠিকই নিজের আখের গুছিয়ে নিয়েছেন,দেশ দারিদ্রমুক্ত না হলেও অঢেল সম্পত্তির মালিক ঠিকই হয়েছেন ।
প্রায়ই তিনি বিদেশ সফরে যান,বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান-প্রধানমন্ত্রী আর রাঘব বোয়ালদের সঙ্গে বন্ধুত্বস্থাপনে বড়ই পুলকিত বোধ করেন,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন তো ওনার ইয়ার দোস্ত,তাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্ত্রী হিলারি ক্লিনটনকে দিয়ে ইউনূস সাহেবের পক্ষে বাংলাদেশ সরকারকে হুঁশিয়ারিবার্তা পাঠান। শুধু বিল ক্লিনটনই বা কেন,জন কেরী,বারাক ওবামা,স্পেনের রানী সোফিয়া,জার্মান চ্যান্সেলর মার্কেল সহ সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানরা এখন বন্ধুত্ব রক্ষার মহান তাগিদে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি প্রতিনিয়ত চাপ প্রয়োগ করে চলেছেন। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে –মায়ের চেয়ে মাসীর দরদ বেশি। স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে,আমাদের ইউনূস সাহেবের প্রতি বিদেশী রাষ্ট্রপ্রধানদের এত দরদ উথলে পড়ছে কেন ? দেশের আভ্যন্তরীণ একটি বিষয় যেখানে আইনগত কোনরূপ দ্ব্যর্থকতার সুযোগ নেই, ষাট বছর যেখানে সকলের জন্যই প্রযোজ্য সেখানে আইনকে চ্যালেঞ্জ ও শিশুসুলভ কান্নাকাটি করে বিদেশিদের কাছে ব্যাপারটাকে নিয়ে যাওয়ায় কি এটাই প্রমাণিত হচ্ছেনা যে, ইউনূস সাহেব আসলে বিদেশী সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠীরই তল্পিবাহী ধারক এবং পোষক ? বিদেশে গেলেই উনি সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন তার সম্পর্কে যেন পত্রিকাগুলোতে বেশ বড় কভারেজ দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়,বিদেশী চ্যানেলগুলোতে ইন্টারভিউ দিতে উনি খুবই পছন্দ করেন,ধন্য ডঃ ইউনূসের এমন নজিরবিহীন আত্মপ্রচার। শুধু তাইই নয়,স্তব-স্তুতি করার জন্য উনি একদম ফ্রন্টে দাড় করিয়ে রেখেছেন বলির পাঠা সেই দরিদ্র -অসহায় ঋণগ্রহীতাদের,যারা সামান্য কিছু টাকার জন্যে অনন্যোপায় হয়ে সারাদিন গ্রামীনব্যাংক কর্মকর্তাদের পূর্বনির্দেশ অনুযায়ী মানববন্ধন করে যাচ্ছেন আর পেছনে রিজার্ভ রেখেছেন আমাদের দেশের কিছু বুদ্ধি-ব্যবসায়ীদের –যারা এদেশে তথাকথিত বুদ্ধিজীবী সুশীল সমাজ বলে পরিচিত,এদের নিয়েই উনি ওনার স্বপ্নের রাজনৈতিক দলটি গঠন করতে চেয়েছিলেন। এই সুশীল সমাজের কুঃশীল ব্যক্তিবর্গ সমাজ এবং রাষ্ট্র থেকে সকল সুযোগসুবিধাই ভোগ করেছেন,ব্যাংকব্যালেন্স বাড়িয়েছেন,অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন,গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হয়ে সীমাহীন দুর্নীতি করেছেন,একজোট হয়ে নিজেরাই নিজেদেরকে সুশীলসমাজ বলে সদর্পে ঘোষণা করেছেন,লুটপাটের অর্থে ভগ্নসাস্থ্য থেকে বেশ মোটাতাজা হয়েছেন,শরীরে জোর পেয়ে এখন এনারা আইনকে পাত্তা দিচ্ছেন না,আইন যে সকলের জন্য সমান – এই কথাটা এনারা বেমালুম ভুলে যান ! এনাদের মাত্রাতিরিক্ত ইউনূসপ্রীতি দেখে বাংলা এই প্রবাদটাই মনে পড়ে যায় –‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই’।
প্রথম আলোর গোলটেবিল বৈঠকে ডঃ ইউনূসের আস্থাভাজন ব্যক্তিবর্গের আলোচনায় বক্তারা ইউনূস সাহেবের পক্ষে সাফাই গাওয়ার পরও মানতে ঠিকই বাধ্য হয়েছেন যে, ক্ষুদ্রঋণ দারিদ্র্য বিমোচনের হাতিয়ার নয়। মোস্তফা কে মুজেরী বলেন,বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলে ক্ষুদ্রঋণকে বাইরে রাখছি। অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, ক্ষুদ্রঋণ দিয়েই শুধু দারিদ্র্য বিমোচন সম্ভব নয়। মাহবুব হোসেন জানান,দারিদ্র্য বিমোচনের জন্যই শুধু ক্ষুদ্রঋণ প্রবর্তিত হয়নি। ডঃ ইউনূসকে সমর্থন করতে যেয়ে বক্তারা অভিযোগ তুলেছেন, প্রচলিত ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ নেওয়া প্রভাবশালী ঋণগ্রহীতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তাদের দাবি, দারিদ্র্য বিমোচন না হওয়ার পেছনে সরকার দায়ী, উঁচু জায়গায় বসেই শুধু বলা যায় যে, ক্ষুদ্রঋণ কিছু করতে পারেনি। ক্ষুদ্রঋণ না পেলে দরিদ্ররা তাদের সহায়-সম্বল বিক্রি করে দিয়ে দারিদ্র্যের অতল গহ্বরে হারিয়ে যায়। আগে প্রতিবছর ১% হারে দারিদ্র্য কমত,এখন ১.৫% হারে কমছে, বাণিজ্যিক ব্যাংক কেন ক্ষুদ্রঋণ দেয়নি, ৮ শতাংশ ঋণগ্রহীতা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান করে সফল হয়েছেন, ক্ষুদ্রঋণের একটি রূপকল্প থাকে আর বাণিজ্যিক ব্যাংকের মুনাফামুখী চেষ্টা থাকে, নারীর ক্ষমতায়নে ক্ষুদ্রঋণ ভূমিকা রাখছে, ইত্যাদি।
বিজ্ঞ বন্ধুদের প্রতি আমার প্রশ্ন, কতিপয় ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছেনা বলে কি ডঃ ইউনূস অবৈধভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার বৈধতা লাভ করেন ? কতিপয় অপরাধীকে ধরা যাচ্ছেনা বলে কি ধৃত অপরাধীকেও বেকসুর খালাস দিতে হবে ? আপনাদের প্রত্যেকেরই গাড়ি-বাড়ি-অঢেল সম্পত্তি রয়েছে, সমাজের উঁচুস্তরে আছেন বলেই আজকে প্রথম আলোর গোলটেবিলে বসতে পেরেছেন, সেখানে বসে মহাবিত্তবান ডঃ ইউনূসের স্তবস্তুতি করে যাচ্ছেন আর দোষ দেন আমাদের মত সুবিধাবঞ্চিত মানুষদেরকে। দারিদ্র কমার পেছনে বৈদেশিক রেমিট্যান্স এবং আর্থিক সহযোগিতার বিষয়টি জড়িত, প্রবাসী বাংলাদেশিদের কঠোর শ্রম জড়িত। বানিজ্যিক সকল ব্যাংক তো আর বিশেষায়িত ব্যাংকের সুযোগসুবিধা লাভ করেনা, তারা ক্ষুদ্রঋণ কেন দেবে আর কিভাবেই বা দেবে ? সরকার আপনার ব্যাঙ্ককে ৪০% সুদের সুবিধাটা দেন,কোল্যাটারেলের সমস্যায় পড়তে হয়না আবার ব্যবসাবাণিজ্যে করমুক্তির সুবিধাটাও পাচ্ছেন,এরূপ সুবিধা যদি অন্যান্য ব্যাংকগুলো পেত তাহলে কি তারাও আপনার মত এমন ফুলে ফেঁপে উঠত না ? গ্রামীনব্যাংক এই সুবিধা পায় বলে তারাই তো ঋণ দেবে, তবে সুদের হার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস করে। ৮% শতাংশের বিপরীতে বাকি ৯২ শতাংশের খবর কি, কই সেটা তো বললেন না ? বানিজ্যিক ব্যাংকের সবচেয়ে বড় উদাহরণ তো গ্রামীণব্যাংক, ২৬-৪০% চড়াসুদে মুনাফা লোটার পরেও বলতে চান, ডঃ ইউনূস বানিজ্যিক নন ? যথার্থ শিক্ষার মাধ্যমে নারী স্বাবলম্বী হবে যা নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়নের পথ সুগম করবে, অশিক্ষিত নারীকে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে এবং অযাচিতভাবে ডিরেক্টর বানিয়ে নারীর প্রকৃত মুক্তি কখনোই আসবেনা। সাধারণ জনগণের অশিক্ষার সুযোগ নিয়ে আমাদের শিক্ষিত জ্ঞানপাপী বুদ্ধিজীবীরা আইন বহির্ভূত যা খুশী তাই বলে আর কতকাল এভাবে লোক ঠকাবেন ?
‘সাপ্তাহিক’ ম্যাগাজিনে জনাব গোলাম মোর্তজার ‘বাংলাদেশ……ডঃ ইউনূস’ শীর্ষক কলামটি পড়ে এটাই বোঝা গেল যে আমাদের দেশের জনসাধারণ মুখসর্বস্ব আর প্রচারসর্বস্ব দেশপ্রেমে অন্ধ। বিদেশী স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী নিজেদের প্রয়োজনে কাউকে নোবেল প্রাইজ দিয়ে খুশী করে দিয়ে গেল আর বোকা জনসাধারণ সেই ফাঁদে পা দিয়ে নাচতে শুরু করে দিল ! হায়রে দুনিয়া, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দুনিয়ার কেউ চেনেনা কিন্তু কোথাকার কোন রক্তচোষা সুদখোর মহাজনকে নাকি পৃথিবীর কোনায় কোনায় মানুষ চেনে ! লেখক অভিযুক্ত করেছেন বামপন্থী সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী নেতাদের,তাদের ছেলেমেয়েরা নাকি ইউরোপ আমেরিকা তে পড়াশোনা করে,অথচ উনি নিজেই যে এদেশ থেকে ওদেশ ভ্রমণ করে বেড়ান সেটা কিছু না ! নিজে যেই দোষে দুষ্ট,সেই দোষ পরের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে লেখক বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেন না ! আমস্টারডামে বোর্ডিং পাস নেওয়ার সময় জনৈক কর্মকর্তার “ওহ বাংলাদেশ……ডঃ ইউনূস” বলে উচ্ছ্বসিত হওয়ার আষাঢ়ে গল্প ফেঁদে উনি আর যাই হোক সচেতন পাঠককে বোকা বানাতে পারবেন না । যেন ইউনূস সাহেব একাই নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন,অন্য দেশের কেউ যেন নোবেল পান না ! কর্মকর্তাটি আর কোন দেশের মানুষ পেলেন না, ফ্রান্স –যুক্তরাজ্য –জার্মানির নোবেল বিজয়ী ছেড়ে বাংলাদেশী নোবেল বিজেতা নিয়ে মাতলেন ! বলি,চাপা মারার আর জায়গা পান নি ? এরকম আরো আটটি আষাঢ়ে গল্প উনি বলেছেন,যার সবগুলোই মাত্রাতিরিক্ত মিথ্যাচারে পরিপূর্ণ এবং এসব থেকে একটি কথাই পরিষ্কার হয়ে ওঠে,ডঃ ইউনূসের আগে আমরা কখনোই নোবেল প্রাইজ পাইনি দেখে আমাদের মনের মধ্যে যে খেদ বা আত্মগ্লানি রয়েছে,তা লাঘব করার জন্যই আমরা ডঃ ইউনূস সাহেবের নাম নিয়ে অতিরঞ্জিত বাগাড়ম্বরের মাধ্যমে বিদেশিদের কাছে সম্মানিত হওয়ার চেষ্টা করি। প্রবাসী বাংলাদেশীরা দেশের খবরাখবর সম্পর্কে কতটুকু জানেন ? শুধু অনলাইন পত্রিকা পড়ে আর চাক্ষুষ না দেখে কি দেশের প্রকৃত অবস্থা জানা যায় ? প্রবাসী বাংলাদেশিগণ বিদেশে অনেক কষ্টে জীবনযাপন করেন,বলার মত তেমন কিছুই নেই বলে এবং স্থানীয় দক্ষ বিদেশিদের কাতারে নিজেদের ম্রিয়মাণ অবস্থান পর্যবেক্ষণ করে তারা গভীর মনঃকষ্টে ভোগেন,তাই ডঃ ইউনূসের নোবেল প্রাপ্তির কথা গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করে সেই গ্লানি নিরসনের চেষ্টা করেন তারা। আর আমাদের দেশের সংবাদ পাঠক জনসাধারণের মুষ্টিমেয় অংশ শহরের বাসিন্দা,প্রত্যেকে প্রত্যেকের কাজে এত ব্যস্ত যে ডঃ ইউনূসের গ্রামকেন্দ্রিক ক্ষুদ্রঋণ আসলেই গরীবের কল্যাণে কাজ করলো কিনা সেটা যাচাই করার সময় তাদের নেই,অনেকেই ক্ষুদ্রঋণ তত্ত্বের কার্যপ্রণালী সম্পর্কেই অবহিত নন। যেখানে আর ১০ টা বিষয়ে আমাদের গর্ব করার ক্ষমতা নেই সেখানে টিভিতে নোবেল প্রাইজ পাওয়ার খবর শুনে ডঃ ইউনূসের প্রতি আমাদের জনগণের অন্ধ জনমত তৈরি হওয়াটাই তাই স্বাভাবিক।
জনাব আকবর আলি খানের মতামতে নতুন তথ্য জানলাম,ডঃ ইউনূস নাকি ‘আসল’ নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন,কারণ এটা নাকি আলফ্রেড নোবেল কর্তৃক প্রদত্ত প্রাইজ। আলফ্রেড নোবেল তো অর্থনীতিতে নোবেল দিয়ে যাননি,তার মানে কি অর্থনীতিতে প্রদত্ত নোবেল প্রাইজটি ‘নকল নোবেল প্রাইজ’ ? এই কি আমাদের তথাকথিত সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গের বুদ্ধিদীপ্তির নমুনা ? প্রকৃতপক্ষে শান্তিতে নোবেল প্রাইজ দেওয়াটা পশ্চিমা বিশ্বের পলিটিক্যাল এবং ডিপ্লোম্যাটিক্যাল একটি ভাঁওতাবাজি ,পশ্চিমা স্বার্থ রক্ষার্থে এবং বিশেষ প্রয়োজনে কতিপয় ব্যক্তিকে অযাচিতভাবে পুরস্কৃত করার নজীর কিন্তু বিরল নয়। উদাহরণ হিশেবে বলা যেতে পারে ২০০৯ সালে নোবেল শান্তি পুরষ্কার বিজয়ী বারাক ওবামা কিংবা ১৯৯৪ সালের বিজয়ী আইজ্যাক রবিন,শিমন পেরেজ ও ইয়াসির আরাফাতের নাম। আরো উদাহরণ হিশেবে বলা যেতে পারে ১৯৭৩ সালের বিজয়ী কুখ্যাত মার্কিন কূটনীতিবিদ হেনরি কিসিঞ্জার কিংবা ২০০৭ সালের বিজয়ী আল গোরের কথা। তাই নোবেল শান্তি পুরষ্কারের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায় ;ডঃ ইউনূস তার নেটওয়ার্কিং বুদ্ধির জোরে পশ্চিমা বিশ্বে একটি শক্ত অবস্থান গড়তে সক্ষম হয়েছেন, তার পলিটিক্যালি শক্তিশালী বন্ধুগুলোর ভূমিকাই তাকে নোবেল এনে দিয়েছে,এই যুগে কুষীদজীবীরা নোবেল পুরষ্কার পাচ্ছেন,পরবর্তী যুগে হয়ত আলু পটল ব্যবসায়ী কিংবা মুদি দোকানদারেরাও নোবেল শান্তি পুরষ্কার পাবেন,অবাক হওয়ার কিছু নেই,কারণ এই পুরষ্কারের পেছনে পশ্চিমা রাষ্ট্রের শক্তিশালী নেতাদের হাত থাকে তাই কোন মুদি দোকানদার যদি বিল ক্লিনটনদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে পারেন এবং বিদেশী স্বার্থ রক্ষা করে চলতে পারেন তাহলে তিনিও একদিন অমন পুরষ্কারের আশা করতে পারেন ।
জনাব আকবর আলি খান আরো বললেন,সরকার চাইলে যে কোন সময় আইনের সংস্কার করতে পারে,সরকারের উচিত এসব প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ না করা এবং ডঃ ইউনূসকে অব্যাহতি দেওয়া হলে গ্রামীনব্যাংক নাকি ২ -৩ বছরের মধ্যে মুখ থুবড়ে পড়বে । এর পরিপ্রেক্ষিতে বলতে হয়,১৯৮৩ সালের গ্রামীনব্যাংক অধ্যাদেশ অনুযায়ীই ডঃ ইউনূস আইনসঙ্গতভাবে আর স্বীয়-পদে অধিষ্ঠিত থাকতে পারেন না, এর জন্য সরকারের কোন আইন-সংস্কারের বিন্দুমাত্র প্রয়োজন নেই । ডঃ ইউনূস যদি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা না রেখে একনায়ক-তান্ত্রিক স্বৈরশাসকের মত আজীবন রাজত্ব করে অপরিমেয় বিত্তের পাহাড় গড়তে চান,তাহলে কি সরকার সেটার নিয়ন্ত্রণ না করে নির্বোধ দর্শকের মত ললিপপ চুষবে ? ডঃ ইউনূস কি ঈশ্বর নাকি ? এটা কি দেবদেবী শাসিত গ্রীক সাম্রাজ্য কিংবা যাজক শাসিত রোমান সাম্রাজ্য যে ইউনূস সাহেবের অসীম ক্ষমতা থাকবে ? বাংলাদেশের মত গনতন্ত্রকামী একটি দরিদ্র দেশে ইউনূস সাহেবের মত কিছু রক্তচোষা ভ্যাম্পায়াররা বছরের পর বছর বিপুল এক জনগোষ্ঠীকে ঋণের জালে জড়াবে এবং তাদের থেকে চড়া সুদ গ্রহণ করে বিশাল অঙ্কের মুনাফা লুটেই যাবে,এতবড় অন্যায় কখনোই মেনে নেওয়া যায়না । আর গ্রামীনব্যাংক কেন ২ -৩ বছরের মধ্যে মুখ থুবড়ে পড়বে ? তার মানে কি ডঃ ইউনূস গ্রামীনব্যাংককে সুযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলেননি ? প্রকৃতপক্ষে কিন্তু সেটাই । ৪ঠা মার্চের ডেইলি স্টার পত্রিকায় প্রকাশিত ডঃ ইউনূস পরিবৃত মহিলা ডিরেক্টরদের ছবি দেখলে এটাই চোখের সামনে পরিস্ফুট হয়ে ওঠে যে গ্রামীনব্যাংকে নিজের একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রাখার জন্য ডঃ ইউনূস শিক্ষিত পুরুষ কর্মচারীদের ডিরেক্টর বানানোর বদলে ডিরেক্টর বানিয়েছেন তারই ব্যাঙ্কের ঋণ-প্রাপ্ত অশিক্ষিত এবং অর্ধ-শিক্ষিত নারী ঋণগ্রহীতাদের । এতে একসাথে অনেক উদ্দেশ্যই সাধিত হয়,নিজের পদটি আজীবনের জন্য অক্ষুণ্ণ থাকে,কোন প্রতিদ্বন্দ্বীর সম্মুখীন হতে হয়না আবার,বহির্বিশ্বে এটাও প্রচার করা যায় যে –দেখো, আমি কত জনদরদী – নারীদরদী- দরিদ্র-হিতৈষী,আমি সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ! ইউনূস সাহেবের প্রতি আমার একান্ত অনুরোধ,গরিবের রাজা রবিনহুডের পরিচালক -প্রযোজক সাহেবের নিকট অতিসত্বর ধর্না দিন,আপনার সুপারিশে হয়ত ওনারা আগামীতে গরিবের রাজা ইউনূস নামে চলচিচত্র বানাতে আগ্রহী হবেন,আপনার আত্মপ্রচারের মনোবাঞ্ছার আরো একধাপ পূর্ণ হবে,ভেবে দেখুনতো ৭০ বছর বয়সে চলচ্চিত্রে নায়ক হবেন আপনি !
নরওয়ের টেলিনর – নোরাড -সরকার আপনার বন্ধু এবং ব্যবসায়িক পার্টনার,সম্পর্কের অবনতি করে কোন পক্ষই তো ব্যবসায়ের ক্ষতি চাইবে না,তাই নোরাড এবং সরকার আপনাকে সমস্ত অভিযোগের দায়ভার থেকে মুক্তি দিয়েছে। এম এম আকাশের মতে, “ক্ষুদ্রঋণ একটি লোভনীয় ব্যবসায় রূপ নিচ্ছে। কেউ যদি বলে,আমি ব্যবসা করে মুনাফা করব,তবে তাকে কর দিতে হবে”। কথাটা সত্য, আমাদের ডঃ ইউনূসের চোখ সবসময় লোভনীয় ব্যবসায়ের দিকেই পড়ে থাকে, এজন্যই তো তার ‘গরীব দরদী’ হওয়ার এত শখ; কর ফাঁকি দেওয়ার নিমিত্তে উনি গ্রামীনব্যাংক থেকে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিপুল পরিমাণ অর্থ গ্রামীণ কল্যাণ তহবিলে স্থানান্তর করেছিলেন। আপনার মত নোবেল প্রাইজ বিজয়ী বরেণ্য ব্যক্তির কর ফাঁকি দেওয়ার হীন কার্যকলাপ কি আদৌ শোভা পায় ? শুধু তাইই নয়, সুদ সমেত আসল না পেলে আপনার ব্যাঙ্কের কর্মকর্তারা গরীব ঋণগ্রহীতার গরু-বাছুর আসবাবপত্র হাড়িপাতিল টিনের চালা এমনকি নাক-ফুল কিংবা গলায় পরার সাধারণ অলঙ্কারাদি খুলে নিয়ে যায়,এর পেছনে কি আপনার কোনই গুপ্ত নির্দেশনা নেই ? উপরন্তু আপনি গ্রামীনব্যাংকের ডিরেক্টরদের দায়িত্ব অর্পণ করেছেন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত কিছু মূর্খ –অদক্ষ কর্মীর হাতে,আপনার দুর্নীতি আর অপকর্মের বিরুদ্ধে যারা সোচ্চার হয়েছিল,তাদেরকে করেছেন বরখাস্ত; সরকার ও দাতাদের তহবিলের অবৈধ ব্যবহার, সরকার ও সদস্যদের লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত করা,সরকারের অনুমোদন না নিয়েই সরকারী সম্পত্তি অন্য প্রতিষ্ঠানকে হস্তান্তর ও অন্যায়ভাবে ভোগদখল,সদস্যদের গ্রুপ ফান্ডের অর্থ ফেরত না দিয়ে কেন্দ্রীয় তহবিলে স্থানান্তর,ব্যাংকে নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নীতিবহির্ভূতভাবে অন্য প্রতিষ্ঠানে নিযুক্তসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারিতার পরিচয় দিয়ে দুর্নীতির ষোল কলা পূর্ণ করেছেন।
শুভ কিবরিয়া অভিযোগ করেছেন,ডঃ ইউনূসের নোবেল প্রাপ্তিতে পরশ্রীকাতর আত্মপরায়ণ বাঙালিকে অসুখী করেছে,তিনি অর্থমন্ত্রীর বয়স নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আবার পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর কাছে সরকার কেন জবাবদিহি করছে তাও জানতে চেয়েছেন। আমাদের দেশের সাংবাদিক আর বুদ্ধিব্যবসায়িগণ অন্ধ সমালোচনা করতেই শুধু ওস্তাদ,গঠনমূলক কিংবা যুক্তিগ্রাহ্য সমালোচনা করতে পারেন না,সমালোচনা অবশ্য ওনাদের পেশা,একে পুঁজি করেই ওনারা এতদিন খেয়ে-পড়ে আসছেন কিন্তু ওনাদেরকে মন্ত্রী মিনিস্টারের পদে একবার বসিয়ে দিলেই ওনারা টের পেতেন,মুখে বলা কত সহজ অথচ কাজে করা কতোটা কঠিন। মন্ত্রীদের বয়স সংক্রান্ত কোন নীতিমালা বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে এখনো নেই,তাই অর্থমন্ত্রীর বয়স নিয়ে আপনার টানাহেঁচড়া টা সম্পূর্ণই অপ্রাসঙ্গিক । আর বাংলাদেশের মত দুর্বল এবং গরীব একটি দেশকে শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর কাছে তো জবাবদিহি করতেই হবে,এটাই রূঢ় বাস্তবতা। ধর্মীয়,সামাজিক আর সাংস্কৃতিক বিষয়গুলোতে আপনারা ঠিকই পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর বিরোধিতা করেন,অথচ এখন ডঃ ইউনূস প্রশ্নে তাদের বিরুদ্ধে একদম টু শব্দটি করছেন না,হিপোক্রিসীর কি নিদারুণ পরাকাষ্ঠা। ডঃ ইউনূসের প্রতি পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর এমন মাসীর দরদ উথলে ওঠার পেছনে বিপুল অর্থনৈতিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যাপার জড়িত।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাকে শুধুমাত্র রক্তচোষা বলে অভিহিত করেছেন,আপনার যে অপকর্মের লিস্টিতাতে সরকারের আরো কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল । তবে সরকার আদালতের হাতে বিষয়টি ছেড়ে দিয়ে নিজেদের অবস্থানকে বিতর্কিত করেনি, এর জন্য সরকারের নিঃসন্দেহে ধন্যবাদ প্রাপ্য । কেউ কেউ বলেছেন,সরকার শুধুমাত্র সমালোচনা করতে জানে,সরকার পারেনি বলেই ভাগ্য-বিড়ম্বিত মানুষের দারিদ্র দূরীকরণের জন্য আপনারা মাঠে নেমেছেন,কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সরকারী সুযোগসুবিধা নিয়ে আপনারা এই ৩৪ বছরে শুধুমাত্র নিজেদেরই ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন,গরীব রয়ে গেছে সেই তিমিরেই । সরকার গ্রামীনব্যাংকের ২৫% শেয়ারের মালিক হওয়া সত্ত্বেও ডঃ ইউনূস তার নিজস্ব লোকজনকে বড় বড় পদে বসিয়ে ব্যক্তিমালিকানাধীন সম্পত্তির মত গ্রামীনব্যাংক শাসন করে গিয়েছেন, স্বজনপ্রীতি আর দুর্নীতির মহাকাব্য রচনা করে গিয়েছেন, দুর্নীতি করলে সমালোচনা তো হবেই, এর জন্য ‘সাম্রাজ্যবাদবিরোধী বামপন্থী’ হওয়া লাগেনা ।
ডঃ কামাল হোসেন কন্যা সারা হোসেন,ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ সহ কতিপয় আইনজীবী সংবাদপত্র এবং টিভি চ্যানেলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আইনগত বিষয়াদি নিয়ে টু শব্দটি করেননি,কেননা আইনসংগত কোন যুক্তিই তাদের কাছে ছিলনা,তাই বারবার ওনারা নোবেল প্রাইজের আবেগিক ধুঁয়া তুলে জনসমর্থন আদায় করার চেষ্টা করছিলেন যা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক,বিষয়টি এখানে ডঃ ইউনূসের নোবেল প্রাইজ বিজয় নয়,বিষয়টি হলো ডঃ ইউনূস গ্রামীনব্যাংক নীতিমালা ১৯৮৩ এর ১৪ (১) ধারা ভঙ্গ করেছেন কিনা, যে ধারায় উল্লেখ আছে,”There shall be a managing director of the bank who shall be appointed by the board with the prior approval of the Bangladesh Bank”, যা তিনি সুস্পষ্টভাবেই ভঙ্গ করেছেন পূর্বানুমতি না নিয়ে। এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংক অধ্যাদেশ ১৯৯৩ এর ২৬ (১) ধারায় রয়েছে, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এ মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান বা কোনো পরিচালক বা প্রধান নির্বাহীকে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বা উহার আমানতকারীদের ক্ষতিকর কার্যকলাপ রোধকল্পে,বা জনস্বার্থে উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে,অপসারণ করা প্রয়োজন,তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক,কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া,আদেশের মাধ্যমে উক্ত চেয়ারম্যান,পরিচালক বা প্রধান নির্বাহীকে তাহার পদ হইতে অপসারণ করিতে পারিবে’। ডঃ ইউনূস নোবেল প্রাইজ বিজয়ী বলে কি আইনের ঊর্ধ্বে ? নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন বলে কি ওনার সাত খুন মাফ হয়ে যাবে ? অন্য দশজন সাধারণ – অসাধারণ নাগরিকের জন্য যে আইন প্রযোজ্য, ডঃ ইউনূসের জন্য কেন সেই আইন প্রযোজ্য হবেনা ? নোবেল প্রাইজ কখনোই কি কোনো দেশের আইনকে বদলে দিতে কিংবা প্রভাবিত করতে পারে ? তথাকথিত যুক্তিবাদী ও মহাপন্ডিতমন্য ডঃ আসিফ নজরুলের মতে, “১৯৯০ সালের গ্রামীণ ব্যাংক (সংশোধন) আইনের ১৪ ধারা অনুসারে বিধিগুলো সরকার কর্তৃক পূর্বানুমোদন করানোর প্রয়োজন নেই। সে মোতাবেক ২০০১ সালের ১৯ নভেম্বর গ্রামীণ ব্যাংক একটি বিধি প্রণয়ন করে,যাতে বলা হয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে চাকরির ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকবে না এবং গ্রামীণ ব্যাংকের চাকরিবিধি ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না”। এছাড়া তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এই বিধিকে অবৈধ ঘোষণা না করে বা এ সম্পর্কিত কোনো আইনি উদ্যোগ না গ্রহণ করেই গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে যাবতীয় কার্যক্রম চালিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, সংশোধিত আইন প্রনয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমতি নেওয়া হয়নি বলেই সংশোধিত আইন সম্পূর্ণ অবৈধ। অবৈধ একটি কাজ দৃষ্টিগোচর না হওয়ার কারণে এতদিন চলছিল, এখন তো দৃষ্টিগোচর হয়েছে, তাই এখনো কি চলতে থাকবে ?
এই ইউনূস সাহেবই ‘সফলতম স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী’ হিশেবে উল্লেখ করেছিলেন জঙ্গি সংগঠন জেএমবিকে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে মদদ দেওয়া লুতফুজ্জামান বাবরকে যিনি আজকে তার সীমাহীন দুর্নীতির কারণে বিভিন্ন মামলায় কারাগারে বন্দী আছেন ( আজকের কাগজ ১৪ অক্টোবর,২০০৬ )। এখান থেকে আরেকটি প্রশ্ন সহজেই মনে উত্থাপিত হয়,জেএমবির সঙ্গে ইউনূস সাহেবের অর্থনৈতিক কোনোরূপ সংশ্লিষ্টতা ছিল কিনা। কেননা,অন্যান্য এনজিওগুলো জেএমবির আক্রোশের শিকার হলেও অজ্ঞাত কারনবশত ইউনূস সাহেবের এনজিও টি কখনোই তা হয়নি,যেখানে নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং ঘরের বাইরে কার্যক্রম ইসলামিক চরমপন্ন্থীদের কাছে খুবই স্পর্শকাতর একটি ব্যাপার সেখানে ডঃ ইউনূসের নারীপ্রধান এনজিও-র এভাবে বেচে যাওয়াটা সচেতন মানসে অনেক প্রশ্নের উদ্রেক করে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়াজউদ্দীন আহমেদ তো আমাদের ইউনূস সাহেবেরই তথাকথিত ‘গণতন্ত্র রক্ষা’র আহবানে একটি অস্থিতিশীল সময়ে ২২শে জানুয়ারী ২০০৬ এ নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন,যদিও জনতার প্রতিরোধের কারণে শেষমেশ ব্যর্থ হয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে বিদেশে ছিলেন তিনি,দেশের জনগণ যখন মহান মুক্তিযুদ্ধের মহাসংগ্রামে লিপ্ত,তখন উনি ব্যস্ত ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রী নিতে। জীবনে কোনোদিন অন্যায় অত্যাচার অবিচারের বিরুদ্ধে উনি সোচ্চার হয়ে সামনে দাঁড়িয়েছেন ? প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ – রাজনীতিবিদ ডঃ শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের পরে ডঃ ইউনূসের ন্যক্কারজনক নীরবতা জনমানসে প্রশ্ন তোলে। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরে নীরব ছিলেন,স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময় নীরব ছিলেন,কানসাট –মঙ্গা সহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সময় ইউনূস সাহেবের নীরব অবস্থান এটাই প্রমাণিত করে যে,উনি নিজের ব্যক্তিগত লাভ কিংবা সাফল্য ব্যতীত জীবনে আর কোনকিছু দেখার প্রয়োজন বোধ করেননি।
এবার আসা যাক একটু ব্যক্তিগত প্রসঙ্গে। ডঃ ইউনূস তনয়া দীনা ইউনূসের অতিবিলাসী এবং অসংযত জীবনযাত্রার কুরুচিপূর্ণ ছবি যারা সামাজিক যোগাযোগের সাইট ফেসবুকে দেখেছেন,তাদের মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন জেগেছে যে,বাবা হিশেবে ডঃ ইউনূস কতটুকু সার্থকভাবে তার দায়িত্ব পালন করেছেন ? বাংলাদেশের মত দরিদ্র দেশে যেখানে গরিবের দুবেলা দুমুঠো খাবার জোটেনা,সেখানে ইউনূস তনয়ারা লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে এদেশ ওদেশ ঘুরে বেড়ান,ব্যাংকক –সিঙ্গাপুর –ইউরোপ –আমেরিকায় শপিংয়ে যান ;যেই ব্যক্তি সারাদিন গ্রামীণ ফতুয়া পরে থাকেন,তারই কন্যার কেন বিদেশী কুরুচিপূর্ণ পোশাকের প্রতি এত ঝোঁক ? তার মানে কি গ্রামীণ চেক বন্দনা শুধুই ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ? গ্রামীনব্যাংকের উচ্চ সুদের ঋণ,গ্রামীণ ফোনের উচ্চ কলরেট,গ্রামীণ চেকের উচ্চমূল্য সচেতন জনগণ আর বেশিদিন সহ্য করবেনা,অচিরেই তারা বিকল্প কোম্পানিগুলোর দিকে ঝুঁকবে এবং উচ্চমূল্যের গ্রামীনপণ্য বর্জন করা শুরু করবে। ইদানীং ডঃ ইউনূস সামাজিক ব্যবসা তত্ত্ব নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছেন,উনি কি আসলে অর্থনীতিবিদ নাকি ব্যবসায়ী,গ্রামীনব্যাংক থেকে কত ব্যবসায়িক অঙ্গপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন,তবুও তার অর্থলিপ্সার অবসান হয়নি,আর কত ধনী হতে চান তিনি ? ডঃ ইউনূস যে কত বড় লোভী কুমীর সেটা তিনি তার হন্তদন্ত হয়ে আদালতে রিট দায়ের করা থেকেই প্রমাণ করে দিয়েছেন,নির্মোহ মানুষ হলে উনি নিশ্চয়ই নীতিমালার প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপণ করে নিজেই পদ থেকে সরে দাঁড়াতেন,লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে নিশ্চয়ই এমন রঙ্গতামাশার অবতারণা করতেন না। অবশ্য এরকম ভাঁড়ামি তিনি আগেও করেছেন,নোবেল পাওয়ার পর ওনার অতি লম্ফ ঝম্প দেখে অনেকেই নীরবে মুচকি হেসেছেন,নোবেল পেয়ে এত খুশী হয়েছেন যে সেই খুশির দুরন্ত দাপটে আচমকা নাগরিক শক্তি নামের পলিটিক্যাল পার্টি গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন আর নাটকীয়ভাবে কয়েকদিনের মাথায়ই সেই সিদ্ধান্তকে পরিত্যক্ত করে লোক হাসিয়েছেন,ডঃ হুমায়ূন আজাদ সাধে কি ইউনূস সাহেবকে গোপাল-ভাঁড়ের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন ?
নোবেল প্রাইজের জের টেনে দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীকে প্রতারিত করে শত শত কোটি টাকা নিজের সিন্দুকে গছিয়ে নিয়েছেন,এরপরেও কি আমাদের সাধারণ জনগণের টনক নড়বে না ? বাংলাদেশের সামগ্রিক চালচিত্র দেখে কি আপনাদের আসলেই মনে হয়,ডঃ ইউনূসের কারণে এদেশে শান্তি এসেছে কিংবা দারিদ্র বিমোচিত হয়েছে ? সরকার পক্ষের আইনজীবী মাহবুবে আলম একটি প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন,নোবেল শান্তি পুরষ্কার কি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর সন্তু লারমা-র পাওয়া উচিত ছিল না ? আসলেই তো, বারাক ওবামা,আইজ্যাক রবিন,শিমন পেরেজ,হেনরি কিসিঞ্জার,আনোয়ার সাদাত,ডঃ ইউনূসেরা যদি কিছু না করেই কিংবা দুনিয়ার শান্তি বিঘ্নিত করে কিংবা প্রচুর মুনাফা লুটে নোবেল শান্তি পুরষ্কার পেতে পারেন তাহলে শেখ হাসিনা আর সন্তু লারমা-রা কি এমন দোষ করলেন ? দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আজকে বিদেশী শাসকগোষ্ঠী এবং তথাকথিত সুশীল সমাজের ভুয়া বুদ্ধিজীবীদের হুমকি –হুঁশিয়ারি –চোখ রাঙানি কে উপেক্ষা করে অনতিবিলম্বে ডঃ ইউনূসের যাবতীয় আয়ব্যয়, স্থাবর অস্থাবর সকল সম্পত্তির হিসাব এবং সীমাহীন দুর্নীতির পূর্ণ তন্দন্ত করা হোক –এমনটাই বর্তমান মহাজোট সরকারের কাছে প্রত্যাশিত।
প্রাসঙ্গিক বিষয় বাদ দিয়ে ব্যক্তি আক্রমণাত্মক বক্তব্যসমূহ বেশি আসার কারণে এই থ্রেডে মন্তব্য করার সুযোগ বন্ধ করা হলো। মুক্তমনা সদস্যরা তাঁদের সুনাম বজায় রেখে বিভিন্ন লেখার উপরে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করবেন, সেই প্রত্যাশা রইল।
গ্রামীন ব্যাঙ্ক এবং ডঃ ইউনূসকে নিয়ে যারা জানেন এবং পক্ষে বা বিপক্ষে তথ্যনির্ভর যুক্তি উপস্থাপন করতে পারেন তারা একটু সময় নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণাগুলো খন্ডন করে একটা আর্কাইভ (অনেকটা মুক্তমনার বিবর্তন আর্কাইভের মতো) করলে আমরা সবাইই উপক্রিত হতাম। যুক্তিতর্ক বিতর্ক সবকিছুর মাধ্যমে সচেতন সমাজ একটা সিদ্ধান্তে আসতে পারতো।
ডঃ মুশফিকের এই লেখাটির শিরোনামটি কুরুচিকর এবন জাজমেন্টাল। মূল লেখা পড়ার আগ্রহ হারিয়েছি। আর তার বেশকিছু মন্তব্য পড়ে তার প্রতি ‘সহব্লগার’ হিসাবে শ্রদ্ধাটাও হারালাম।
ডঃ মুশফিক কে একজন ট্রল মনে হচ্ছে। অ্যাডমিন ও মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
@তানভীরুল ইসলাম, (Y)
দৃষ্টি আকর্ষণঃ
বিপ্লব রহমান SPAMMING করছেন, একি মন্তুব্য ২ বার কেন ?
@ডঃ মুশফিক,
অভিযোগ সঠিক নয়। নেট লাইন স্লো হওয়ার কারণে এমনটি হয়েছে। ধন্যবাদ। 🙂
@ অ্যাডমিন, ভুলবশত: একই মন্তব্য দুবার পোস্ট হওয়ায় ৩৭ নম্বর মন্তব্যটি মুছে দেওয়ার অনুরোধ করছি। ধন্যবাদ।
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
অ্যাডমিন, মাসুদ রানা ও ড: মুশফিকের সমস্ত লেখা ও মন্তব্য মডারেশনের আওতায় আনার অনুরোধ করছি।(Y)
@এডমিন,
অনুরোধ থাকবে- এই থ্রেডটি আরো কিছু সময় চালু রাখুন। বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনার দরকার আছে। আমাদের মুক্তমনাকে আমরা কেমন চাই- নতুন, পুরাতন সবারই সেটা ভালো করে জানার দরকার আছে।
আর, যেহেতু প্রথম থেকে মডারেশন শুরু করেননি- এখন মাঝপথে শুরু করার দরকার নেই। বিশেষ করে মাসুদ রানা এবং ড: মুশফিকের প্রতিটি কথা শব্দ অবিকৃত – অবিকল প্রকাশ করবেন। কথা হোক, আলোচনা হোক।
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
দৃষ্টি আকর্ষণঃ ব্লগ প্রথম থেকেই যথাযথভাবে মডারেট করা হচ্ছে এবং আমার কিছু মন্তব্যও প্রকাশ করা হয়নি। সুতরাং, কর্তৃপক্ষকে অযাচিতভাবে দোষারোপ না করে বস্তুনিষ্ঠ কিছু লিখুন।
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
অ্যাডমিন, মাসুদ রানা ও ড: মুশফিকের সমস্ত লেখা ও মন্তব্য মডারেশনের আওতায় আনার বিনীত অনুরোধ করছি।(Y)
অধীনস্তা, শ্বশুর সহ দুএকটি বানান দ্রুত টাইপিং এর কারণে ভুল হয়েছে । দুঃখিত ।
বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর একটি ইস্যুতে পরিণত হয়েছে বিধায় আমার অবস্থান আমি পরিষ্কার করে দিচ্ছি। বাংলাদেশের গৃহিণীসমাজের মনে আঘাত লেগে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
প্রসঙ্গঃ নারীবাদ ও গৃহিণীবাদ
আমি নিজে একজন নারীবাদী, ডঃ হুমায়ূন আজাদ, তসলিমা নাসরীন, মিনা ফারাহ ধারার নারীবাদে আমি বিশ্বাস করি। প্রচুর পড়েছি নারীবাদ সম্পর্কে, মেরী শেলি ওলস্টোনক্রাফট, সিমন দ্য বোভোয়ার, জন স্টুয়ারট মিল, ফাতিমা মেরনিসসি, বেটি ফ্রাইডান, কেট মিলেট, গ্রিয়ার, নওআল এল সাদাওয়ি, ভার্জিনিয়া উলফ – কাউকেই তেমন বাদ রাখিনি।
আমাদের দেশের নারীরা দুঃখজনকভাবে নারীবাদী নন, তারা স্ত্রী-বাদী বা গৃহিণীবাদী। পুরুষের অধিনস্তা স্ত্রী হয়ে কি কি সুযোগসুবিধা স্বামী থেকে হাশিল করা যায়, তাতেই আমাদের দেশের নারীসমাজ ও নারীমুক্তি আন্দোলনকারীদের যত প্রচেষ্টা, যত দৃষ্টি।
তারা কি কি করেন তার একটি বিবরণ দিচ্ছিঃ
১) স্বামীর পকেট কাটেন এবং সেই অর্থ দিয়ে গাড়িতে চেপে নাচতে নাচতে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে যান, তাদের দৃষ্টি বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের চোখ ঝলসানো চুমকি বসানো পাকিস্তানী শিফন জর্জেট কিংবা চিকেন, চিনন, সিল্ক কিংবা অন্য ভ্যারাইটির অত্যন্ত জমকালো এবং উচ্চমূল্যের কাপড়চোপড়ের প্রতি। এছাড়াও রয়েছে গাউসিয়া, আড়ং, বেইলী রোড সহ আরো অনেক শপিং সেন্টারে ছুটোছুটি ।
২) ঘরে সোফা বা আরাম-বিছানায় কোলবালিশের ওপর হেলান দিয়ে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে টিভি চ্যানেল ঘুরানো, তাদের পছন্দের অনুষ্ঠান ‘কিউ কি সাস ভি কাভি বহু থি’, ‘কাহানি ঘার ঘার কি’,’সাসুরাল গ্যান্দা ফুল’,’সাস বিনা সাসুরাল’,’গুলশান এভিনিউ’ ইত্যাদি। এভাবে দিনের অধিকতর সময় তারা শুয়ে কাটাচ্ছেন বলে খুব জলদি শরীরে তেল জমাচ্ছেন, মোটা হোঁদল কুতকুত হয়ে লবনের বস্তায় পরিণত হচ্ছেন।
৩) অনেক গৃহিণীই স্বামী শাসনের ঝাল ঝাড়ছেন ঘরের কাজের মেয়েটির ওপর অত্যাচার নির্যাতনের মাধ্যমে, কাজের মেয়েটি কে খাটিয়ে খাটিয়ে মারছেন।
৪) একটি বড় সময় শুয়ে বা ঘুমিয়ে কাটাচ্ছেন, কিংবা স্বামী অফিসে বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বা বিদেশে অবস্থানের সুযোগে বিভিন্ন পুরুষের সঙ্গে দূরালাপনি/ইন্টারনেটের মাধ্যমে সস্তা কথা বার্তায়, ওয়েবক্যাম চ্যাটে এবং বাস্তবে বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক এবং মানসিক সম্পর্কে আবদ্ধ হচ্ছেন।
৫) সময়ের একটি বড় অংশ সাজগোজ এবং রূপচর্চার কাজে ব্যয় করছেন
৬) বাচ্চা প্রতিপালন, শ্বশুর শাশুড়ি ননদ দেবরের ভরণপোষণের মাধ্যমে নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছেন।
৭) বউমাদের প্রতি হম্বিতম্বি করছেন, শারীরিক আর মানসিক ভাবে নির্যাতন করছেন, এই বউমা-রা ভবিষ্যতে তাদের বউমাদের সঙ্গে র্যাগিংয়ের মত একই নির্যাতন চালাচ্ছেন।
একজন গৃহিণী মূলত এসব কাজকর্মই করে থাকেন, প্রশ্ন হলো,
১) এনারা বিদ্যাচর্চা কিংবা অন্যান্য গঠনমূলক কাজের জন্য কতটুকু সময় ব্যয় করেন ? আদৌ করেন কি ?
২) সাইটে টুকিটাকি মন্তব্য করা আর মানুষের লেখার খুঁত ধরা / ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বেরানোই কি বিদ্যাচর্চা ?
৩) পরকীয়া সম্পর্কেই যদি লিপ্ত হওয়ার ইচ্ছে, তবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়াটা কি যৌক্তিক ছিল ? (অবশ্য কিছু ক্ষেত্রে আমাদের পুরুষসমাজের স্ত্রীর প্রতি উদাসীনতা/ পরনারী তে আসক্তির কারণে এই সম্পর্কগুলো পারমিট করা যেতে পারে )
৪) বেগম রোকেয়া উল্লেখিত ‘ দাসী নারী ‘ হয়ে থাকার বিরুদ্ধে কই এই গৃহিণীসমাজ তো প্রতিবাদ করেন না ?!
৫) যারা গৃহিণী তাদের অনেকেরই শিক্ষাগত যোগ্যতা কম, শিক্ষা না থাকলে মনের প্রকৃত বিকাশ হবে কি করে ? আর যাদের কিছু শিক্ষা রয়েছে তাদের সেই শিক্ষা ব্যর্থ কারণ সেই শিক্ষা তাদের জীবনে কোন সম্মানযোগ্য পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ হয়েছে।
৬) কই, আমাদের দেশের নারীদের তো বড় কিছু হতে দেখিনা ! রূপচর্চা সাজগোজ বাচ্চা প্রতিপালন, শশুড় শাশুড়ি ননদ দেবরের ভরণপোষণের মাধ্যমে তারা দাসীবৃত্তিতেই যোগ্য হতে পারেন, কিন্তু জ্ঞানবিজ্ঞান সমাজ সংস্কৃতি সভ্যতা বিকাশে কোনরূপ অবদানই রাখতে পারেন না।
৭) গুলশান এভিনিউ আর হিন্দি সিরিয়ালে এক নারীর প্রতি আরেক নারী ঈর্ষান্বিত হয়ে যেভাবে তাকান আর যে রকম ‘ছিক ছিক’ শব্দ হয়, তাতে আমার নিজেরই একদা দেখে খুব ভয় লেগেছিল। আমাদের দেশের গৃহিণী সমাজ এসবই শিখছেন, সামনাসামনি একে অপরের প্রতি খুব ভালো ব্যবহার দেখান, কিন্তু অগোচরে ১০ টি একথা-ওকথা বলে বেড়ান।
তাহলে আমাদের গৃহিণীরা কোন দিক থেকে যোগ্য ?
১) পিকপকেটিংয়ে ২) শপিংয়ে ৩) হিন্দি আর বাংলা সিরিয়াল দেখায় ৪) পরিচারিকা নির্যাতনে ৫) পরকীয়া সম্পর্কে ৬) রূপচর্চা সাজগোজে ৭) বাচ্চা প্রতিপালনে ৮) শ্বশুর শাশুড়ি দেবর ননদ ভরণপোষণে ৯) চর্বি উৎপাদনে ১০) বউমা নির্যাতনে
আরো আছে, সব তুলে ধরছি না।
দুঃখিত, এই গৃহিণীবাদ চাইনা, চাই প্রকৃত নারীবাদ। আমরা পুরুষেরা চরম অত্যাচারী নির্যাতক, আমাদের অপরাধের শেষ নেই, কিন্তু নারীদেরও উচিত আমাদের এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর।
আমরা ছেবলা, ন্যাকা আর ঈর্ষাকাতর নারীসমাজ চাইনা, আমরা চাই আত্মসম্মানে বলীয়ান অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন কর্মজীবী সচেতনভাবে শিক্ষিত একটি নারীসমাজ।
আমাদের দেশের নারীসমাজের নেত্রীদের কিছু গুণাবলির চিত্র তুলে ধরছিঃ
১) এদের চিনে রাখুন,একদিন এরাই আপনাকে ছিড়ে-খুঁড়ে খাবে (প্রথম পর্ব)
http://www.somewhereinblog.net/blog/praise_of_death/29176880
২) মওদুদের বিদেশে ব্যাংক হিসাব, স্ত্রীর নামে ফ্ল্যাট
http://votebd.org/newsarchive/?p=1324
৩) হুদা ও পঙ্কজ দম্পতির দুর্নীতি মামলার যুক্তিতর্ক ৭ ও ৮ আগস্ট
http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?id=60766&cid=26
বাংলাদেশের নারী নেত্রীদের ঘরে ঘরে শত শত শাড়ি – অন্যান্য কাপড়চোপড় – রূপচর্চার প্রসাধনী – দামি পারফিউম – মদ ইত্যাদির কথা অনেকেই অবহিত।
মা-বোনের দোহাই দেওয়া গৃহিণীবাদ চাইনা, চাই প্রকৃত নারীবাদ যার কথা উপরে উল্লেখিত নারীবাদিগণ বার বার বলে গেছেন।
একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন, একজন নারী আমার পিছু নিয়েছেন, এই পোস্ট ছাড়াও অন্য পোস্টে আমার প্রতি কটাক্ষ করে অনেক কথা বলছেন, কিন্তু তার বিপরীতে কোন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছেন না। এজন্যই ফরিদ আহমেদ বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেনঃ
এর সাথে আফরোজা আলমের করা প্রথম মন্তব্যটাও আসা উচিত ছিল। মনে হয় আপনার নজর এড়িয়ে গেছে সেটা। 🙂
আমি কাউকে প্রথমে আক্রমণ করিনা, আমার প্রতি যুক্তিরহিতভাবে আক্রমণ করা হলে আমি তার সমুচিত জবাব দেই।
বাড়তি মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। 🙂
@ডঃ মুশফিক,
একজন নারী আপনার পিছু নিয়েছেন- তার সাথে “প্রসঙ্গঃ নারীবাদ ও গৃহিণীবাদ” শীর্ষক নিবন্ধখানার সম্পর্ক কি? আসলেই আমি বুঝতে অপারগ। এই আপনার সমুচিত জবাব দেবার নমুনা!!
আপনি কি এখনো বুঝতে পারছেন না যে, কোন জায়গাটিতে সকলে আপত্তি করছে? ফরিদ আহমেদের আলোচনাটাও ধরতে পারেন নি? বুঝতে পারলে- অপ্রাসঙ্গিকভাবে ও অহেতুক এই লম্বা আলোচনাটা করতেন না! গৃহিণীবাদের পক্ষে এখানে কথা বলা হচ্ছে না- অপ্রাসঙ্গিকভাবে গৃহিণীবাদ বিষয়টিকে এখানে টেনে আনাটাকে আপত্তিকর বলা হচ্ছে। আশা করি একটু বুঝার চেষ্টা করবেন।
যেকোন লেখার আগে ভূমিকায় এমন ঢোল পেটানো লোক খুব কম দেখেছি। আপনার নিজের করা একটা ডায়লোগ আপনার আলোচনা পড়তে গিয়ে বারবার মনে আসছে- “ফিনলে চা আসল চা”!!
তবে, আপনার এই ফিনলে চাকে আসল চা বলার মধ্যেও যথেষ্ট ফাঁক রেখেছেন বলেই মনে হচ্ছে। ডঃ হুমায়ূন আজাদ আর তসলিমা নাসরিন ধারার নারীবাদে আপনি বিশ্বাস করেন বলে জানিয়েছেন- সেটা কিরকম একটু বিবৃত করবেন আশা করি। আবার প্রচুর পড়াশুনা করেছেন জানালেন- মেরী ওলস্টোনক্রাফট আর সিমন দ্য বেভোয়ার থেকে ভার্জিনিয়া উলফ কাউকে বাদ না দেয়া পড়াশুনা থেকে আপনি যে সারবস্তু পয়দা করলেন ঐ নিবন্ধে- তা হচ্ছে নারী জাতির প্রতি অবজ্ঞা ও ঘৃণা। শুরুই করছেন:
ব্যতিক্রম চোখে পড়ছে না বলেই ঢালাওভাবে সমস্ত নারীদের কথা বলছেন- এবং সমাজ কর্তৃক বাধ্যবাধকতার কথা বেমালুম চেপে যাচ্ছেন! এই হচ্ছে আপনার নারীবাদ!!!!
এবং, আপনার তালিকায় যখন এইসব নারী/গৃহিণীদের কর্ম হিসাবে পরকীয়া বিষয়ক কথাবার্তা চোখে পড়ে- তখন বুঝা যায় মুখে নারীবাদের বানী নিয়ে আপনি আসলে পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতায় আচ্ছন্ন একজন।
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
আমগোর ডক্তর সাব বহুত সেয়ানা পোলা। অপ্রাসঙ্গীক, ভারী ভারী, হোকাস-পোকাস কথা বলে বাবাজি এখন ডজ দিতে চান বোধহয় কোনকিছু।
এই মুক্তমনায় বিভিন্ন বিষয় নিয়েই লেখালেখি করি বা পড়ে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্যের মাধ্যমে আলোচনায় অংশগ্রহন করি পারস্পরিক সম্মানবোধ ধারণ করে । কিন্তু কোন বিষয় নিয়ে এতোটা কুরুচিপূর্ণ বিতর্ক করেছি বলে মনে হয় না। অন্তত এই পোস্টে আর কোন বিতর্ক করার রুচিও নেই।
তাই সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে বর্তমান মন্তব্যের পর এই পোস্টে আর কোন মন্তব্য বা জবার দেয়া থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিলাম।
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবাই।
@রণদীপম বসু,
আপনি নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে যদি কিছু বলতেন তাহলে তা অবশ্যই স্বাগত জানাতাম। পত্রিকায় বিজ্ঞাপনে প্রকাশিত হয়, ‘অমুক কোম্পানির অফিসিয়াল রা উক্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না’। সেজন্যই আমি বলতে চেয়েছিলাম যে, গ্রামীণব্যাংকে জব করলে তো আপনি গ্রামীণব্যাংকের পক্ষেই কথা বলবেন, এটাই বিনীতভাবে বলতে চেয়েছিলাম।
আপনি শুরু থেকে ‘বড্ড রুচিহীন, একপেশে ও বিকৃত’ ইত্যাদি শব্দ প্রয়োগের মাধ্যমে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে আসছেন, এখানে রুচির কোন বিষয়ই নেই, এখানে অশ্লীলতার কিছু হচ্ছেনা, তাই আপনার শব্দের অপপ্রয়োগ সত্যি চরম দুঃখজনক।
@ডঃ মুশফিক,
ব্যক্তিগত আক্রমন করবো না তো আপনারে কি করবো। তাও আপনার ভাগ্যভালো যে মুক্তমনায় রুচিহীন, একপেশে, বিকৃত ইত্যাদি মধুর মধুর কথা বলা হচ্ছে, কেননা এইখানে বেশীরভাগ মানুষই ভদ্র এবং অমায়িক মানুষ; জায়গামতো পড়লে আপনারে এইসব মধুর বাণী শুনানো হইতো না, ধ্যাপধ্যাপাধ্যাপ গদাম কষানো হইতো আপনার সেই প্রত্যঙ্গেই, আপনার মতো রুচীহীন, আনকালচার্ড লোকজনদের দেহযন্ত্রে যেই প্রত্যঙ্গটিকে কিনা গদাম গ্রহন করার জন্যই পরমেশ্বর তয়ের করেছেন!! :lotpot:
@রণদা,
আপনার এই প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটা মেনে নিতে পারলাম না। এই লেখায় সত্যিকার অর্থে কেউ যদি সুস্থ আলোচনার সূত্রপাত করে থাকেন, তবে সেটা করেছেন আপনি। গ্রামীণ ব্যাংক এর সুদ বিষয়ে আপনার অসাধারণ বিশ্লেষণের পরেই মূলত আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত হয়ে গিয়েছিল। আমি আশা করেছিলাম যে, এর পরই, নৃপেন দা, স্বাধীন, রৌরব, সফিক, দুই বিপ্লব, নাস্তিকের ধর্মকথা, ডঃ মুশফিকসহ অন্যেরা এই আলোচনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। এখন আপনি-ই যদি অভিমান করে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন, তাহলে চলবে কী করে?
@ফরিদ আহমেদ,
অসাধারণের কোনকিছু দেখলাম না, এই অংক কসার মধ্যে আহামরি কি এমন আছে, আর এই অংক কসা হচ্ছে কোনরূপ ভ্যালিড রেফারেন্স উল্লেখ না করেই। আগে রেফারেন্স/লিংক/সূত্র উল্লেখ করুন, তারপর অংক কসার খেলা দেখাবেন।
আর উনি ডাবল গেম খেলছেন, একদিকে বলছেন, আর লিখবেন না, আরেকদিকে বলছেন, না লিখে পারছেন না। আসলে উনি দাম বাড়াচ্ছেন, লিখবেন ঠিকই, এগুলো হলো মিথ্যে বিনয় ও অভিমান।
@ফরিদ আহমেদ,
তবে গৃহিনীগিরি পেশা সম্পর্কে আপনার মূল্যায়নটা ভালো লেগেছে। এবং মজা পেয়েছি- নৃপেন্দ্র, স্বাধীন, রৌরব- তিন তিনজন মুক্তমনার মানতে না পারাটা। গীতা দাস আসলেই সফল নন বলতে হবে ….
@লেখক,
গৃহিনীগিরি নিয়ে ফরিদ আহমেদের মূল্যায়নের সাথে একমত হওয়াতে আবার মনে করবেন না যে- আপনার উক্ত কমেন্টের প্রতি ক্ষোভ কমেছে!
গৃহিণীপনা অবমাননাকর পেশা বলেই এটাকে সামনে এনে আফরোজাকে এক হাত নেয়াটা জঘন্য লেগেছে। কেন, তার লেখক পরিচয়, তার ব্লগার পরিচয়, তার মুক্তমনা পরিচয় আপনার জন্য যথেস্ট হতে পারে না?
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
অক্ষরজ্ঞান বা সামান্য শিক্ষা থাকলে যে কেউই লেখালেখি করতে পারেন, সেটা কি আসলেই যথেষ্ট ? অনেক লেখক আছেন, যারা লেখালেখি করেন, কিন্তু বইমেলা শেষে দেখা যায়, একটি বই-ও বিক্রি হয়নি, রিক্তহাতে ফিরতে হয় তাদের। লাখ লাখ ব্লগার আছেন, তারা কতকিছু লিখছেন রোজ, তাদের এই ব্লগার পরিচয়কে কি বিশ্ববাসী চেনে ? আর মুক্তমনা হিসেবে দাবি করলেই মুক্তমনা হয়ে গেল ? যেন,
ফিনলে চা, আসল চা।
আমাদের দেশে অনেকেই অধিকার না পেয়ে নাস্তিক হয়, এরা কিন্তু প্রকৃত নাস্তিক নন, এরা বড়জোর দেশীয় কিছু নাস্তিক্যবাদী লেখকের বই পড়েছেন, পশ্চিমা লেখকদের বই পুস্তক জীবনেও ছুঁয়ে দেখেননি ।
বস্তুনিষ্ঠ লেখার জন্য দরকার প্রচুর অধ্যয়ন করা একজন লেখকের, আর বস্তুনিষ্ঠ লেখা অনুধাবনের জন্য দরকার প্রচুর অধ্যয়ন করা পাঠকসমাজের।
দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, আমাদের দেশে এই লেভেলের লেখক রয়েছেন হাতে গোণা নগণ্য কিছু, আর পাঠক বলতে গেলে নেই-ই, যারা রয়েছেন তারা হলেন সেই ‘লেখক-পাঠক’, ঐ লেখকেরাই।
বিনয়ের সঙ্গে বলছি, আপনার যথেষ্ট আর চেষ্টা বানান কিন্তু ভুল । 🙂
@ডঃ মুশফিক,
এসব কথার মাজেজা কি? কি বলতে চান? সামান্য শিক্ষা থাকলেই যে কেউ লেখালেখি করতে পারে? লাখ লাখ ব্লগার আছে তো কি?
দেখেন, পাল্টা আক্রমণই হচ্ছে আপনার একমাত্র ধ্যান ও জ্ঞান মনে হচ্ছে, আর সে কারণে আপনি আপনার প্রতিপক্ষের দুর্বল পরিচয়কেই আসল বলে সামনে তুলে আনছেন- আর যে জায়গাটিতে সামান্য হলেও শ্রদ্ধা পেতে পারতেন সেই পরিচয়টিকে এমন তুলো-ধুনো করার চেষ্টা করছেন।
আমি শুধু এটুকুই বলতে চেয়েছি- এখানে তিনি যখন আসছেন- কথা বলছেন- মত প্রকাশ করছেন- লিখছেন- বিতর্ক করছেন, একজন ব্লগার- মুক্তমনা ব্লগার হিসাবে, লেখক হিসাবেই নিজেকে উপস্থাপন করছেন- গৃহিনী হিসাবে নন। তার কোন জায়গায় গৃহিনীপনার পক্ষে কলম ধরেছেন? উল্টো হয়তো দেখবেন- সেটা নিয়ে তার কষ্টবোধের জায়গাও থাকতে পারে। ফলে- সমস্ত পরিচয় বাদ দিয়ে এই পরিচয় সামনে তুলে ধরে একজনকে অচ্ছুৎ বানিয়ে ফেলাটা আমার কাছে অসুস্থতাই মনে হয়।
শুনেন- অপরকে সম্মান করতে শিখুন আগে। আপনার মতের সাথে আরেকজনের নাও মিলতে পারে। সে কোন এক বিষয়ে খুব ভুল অবস্থানে থাকতে পারে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে- তার সবকিছুই ভুল, অগণ্য। আফরোজা আলমের ব্লগার-সাহিত্যিক-মুক্তমনা পরিচয় সামনে আনার পরে যে ভাষায় এসব পরিচয়ের প্রতি তাচ্ছিল্য করলেন- তা আমার চোখে নোংরা। আফরোজা আলম কতটুকু অধ্যয়ন করেছেন- তার আপনি কতটুকু জানেন? সে কেমন মুক্তমনা বা নাস্তিক এই বিচারের ভার আপনি কেমন করে হাতে তুলে নেন? নাকি- এমন বিচারও আপনার সেই সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য মানদণ্ড (“অবশ্যই পেশা একমাত্র মানদণ্ড নয়, তবে বাস্তবতার বিচারে এটিই সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য মানদণ্ড”) থেকে পাওয়া?
আপনি যখন এই মানদণ্ড পেয়ে পাল্টা আক্রমণের সুযোগে উল্লসিত ও মত্ত, তখন আফরোজা আলমের প্রতি আমার শ্রদ্ধাই কেবল বেড়েছে- এই কারণে যে একজন গৃহিণী হয়েও তিনি কেবল গৃহিণীপনায় নিজেকে আবদ্ধ রাখছেন না- আরো অনেক কিছুর সাথে নিজেকে যুক্ত করার চেষ্টা করছেন।
পরিশেষে- আপনার নারীবাদ ও গৃহিণীবাদ নিয়ে লেখাটা থেকেই একজনের কথা বলে শেষ করি। বেগম রোকেয়াকে দেখলাম আপনি কোট করেছেন। তিনি নিশ্চয়ই আপনার মতো বড় ডিগ্রীধারী ছিলেন না। স্বামীর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাঁর পরিচয় ছিল কেবলই গৃহিণী। নারীবাদী হওয়া মানে, গৃহিণীবাদের বিরোধী হওয়া মানে নিশ্চয়ই এমন নয় যে- একজন গৃহিণীকে গৃহিণী হওয়ার জন্য ঘৃণা করা!
ধন্যবাদ।
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
বিভিন্ন ব্লগ সাইটে লাখ লাখ ব্লগার অশুদ্ধ ভাষায় রোজ কত শত পোস্ট দিচ্ছেন, ‘বল্গাবল্গি’ করছেন । বুঝেন না নাকি বুঝেও বুঝতে চান না ?
ইংরেজিতে কথা আছেঃ TIT FOR TAT.
বাংলাতে বলেঃ ঢিল মারলে পাটকেলটি খেতে হয়।
তাই আক্রমণ করলে পাল্টা আক্রমণের শিকার হওয়া তো স্বাভাবিক ।
তার কষ্টবোধ থাকলে তার জন্য আমার সমবেদনাবোধ রয়েছে, তবে যাকে আমি চিনিই না, উনি হুট করে আমার লেখার বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন না করেই যদি ফালতু আর অন্তঃসারহীন বলে অশিষ্ট কায়দায় ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন, তাহলে অসুস্থ আমি নই, বরং তিনিই।
জ্ঞানীকে সম্মান করি, মূর্খকে করিনা আর করবোই বা কেন ? আপনার কথা মানতে গেলে তো যাকে খুশী তাকে, চোর বাটপারদেরকেও সম্মান করতে হয়।
ম্যাসেঞ্জার রুম চ্যাটে দেখেছি, কিছু লোকজন মেয়েদের সঙ্গে সখ্য গড়ার জন্য অনেক মিষ্টি মিষ্টি কথা বলেন, যে আক্রমণ শুরু করল, তাকে কিছু না বলে আপনি আমাকে বলতে এসেছেন – আপনার এহেন কার্যকলাপ দেখে ঐ ম্যাসেঞ্জার চ্যাট রুমের লোকজনদের কথাই মনে হয়।
স্বামীর মৃত্যুর পর উনি গৃহিণী হয়ে বসে থাকেন নি, শিক্ষিকা হয়েছেন, আর কাউকে ‘ফালতু’ ‘অন্তঃসারহীন’ বলেও বিদ্রূপ করেননি। পার্থক্য এখানেই।
গৃহিণীকে গৃহিণী হওয়ার জন্য ঘৃণা করিনি, করেছি তাদের অশিষ্ট বিদ্রূপ আর বিদ্যাচর্চারহিত কর্মকাণ্ডের জন্য।
যারা পড়াশোনা করেও গৃহিণী থাকতে চায়, তাদের পড়াশোনার দরকার কি ছিল ? শুধু শুধু সময়ের অপচয় ! আর জ্ঞানবুদ্ধি বিচারবিবেক থাকলে গৃহিণীরা তো কর্মজীবী উন্নত এবং স্বাধীন জীবন যাপন করতে পারেন ! সেই জীবন ছেড়ে যদি কেউ আলসে জীবন যাপন করার জন্য গৃহিণী হন, তাহলে তিনি কি মূর্খ নন ? আমার মা একজন শিক্ষিকা, আমরা দুভাই, আমি চিকিৎসক আর ছোট ভাইটি বুয়েটে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি তে অধ্যয়নরত। কই, আমার মা কি আমাদের মানুষ করতে ব্যর্থ হয়েছেন, তিনি কি শিক্ষকতার পাশাপাশি সংসার পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়েছেন ? আসলে কি জানেন,
ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়।
একটি বিষয় স্পষ্ট করা যাক। ইউণূস বা ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে যে কোন লেখাই আমি বেশ ভালো ভাবেই ফলো করি। কিন্তু এই লেখাটির এই অংশ পড়ার পর এই লেখার আর কোন গ্রহণযোগ্যতা আমার কাছে নেই। সেই সাথে নেই এই লেখকেরও গ্রহণযোগ্যতা। এই যদি হয় ‘হুমায়ূন আজাদীয়’ যুক্তি তো বলার কিছু নেই। :-Y
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ করা বা আক্রমণে-আক্রমণে পারলে ধ্বসিয়ে দেয়ায় আমি আপত্তি দেখি না বরং আমি এনজয় করি, যদি সেই আক্রমণটা থাকে বিষয়ে, যুক্তি-তর্ক নির্ভর। কিন্তু, ঠিক ততোখানিই বিরক্ত হই- যখন বিষয়বস্তু বাদ দিয়ে আধার তথা ব্যক্তি আক্রমণের লক্ষে পরিণত হয়। কেউ একজন যখন আপনার বক্তব্য/যুক্তিকে আক্রমণ করছে- তখন আপনি পাল্টা আক্রমণ করতে পারেন তার করা যুক্তিকেই, তাকে নয়। একজন গৃহিনী কেবল নয়- একজন মহামূর্খও যদি আপনার কোন যুক্তির বিপরীতে কোন কথা বলে- ঐ ব্যক্তির মহামূর্খতার কথা জানান দিলেই তার কথা ভুল হয়ে যায় না! এটা প্রথমে আপনাকে বুঝতে হবে।
দ্বিতীয়ত, বয়স- ডিগ্রী- বা পুরস্কারপ্রাপ্তি এসব তথ্যও আপনার যুক্তিকে শক্তিশালী করে না, যদিও এগুলো কোথাও কোথাও একরকম মোহ বা বায়াসনেস তৈরি করে (সেটা অবশ্যই মুক্তমনায় নয়)। ফলে, এই তথ্যগুলো হাজির করাটা নিজের প্রতি সফট কর্নার/ শ্রদ্ধা তৈরির (অপ)চেস্টাও কারো কারো মনে হতে পারে। আপনি (এবং আগের আরেকটি পোস্টে মাসুদ রানা) এ বিষয়ে একটু সচেতন থাকলেই ভালো। একটা বিষয় মনে রাখবেন- এখানে আপনি একাই নন- আরো অনেক ডিগ্রীধারী মানুষ আছেন- বাঘা বাঘা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০/৪০ বছর ধরে পড়ানো পন্ডিতরাও আসেন। ঐসব কথা তারা কখনো ভুলেও বলেন না। অন্তত, যুক্তি-তর্ক করার সময়ে। এমন পরিবেশের কারণেই আমার মত ছোটখাট মূর্খরা কথা বলতে পারি, গৃহিনী- স্কুল পড়ুয়া বালকেরাও এখানে সমান পাল্লা ব্লগায়। আশা করি- বুঝতে পারছেন।
ধন্যবাদ।
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
এইডা বুঝলে তো মনা কোন কতাই আছিলো না। তাইলে সাত মন ঘিও পুড়ানোর দরকার হই তো না 😛
এমন পরিবেশের কারণেই আমার মত ছোটখাট মূর্খরা কথা বলতে পারি, গৃহিনী- স্কুল পড়ুয়া বালকেরাও এখানে সমানে পাল্লা দিয়ে ব্লগায়।
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
:clap
শুনতে ভাল লাগে , কয়জন মেনে চলে বা চলতে পারে , সেটাই প্রশ্ন!
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
আমি আপনাদের দলের অন্তর্ভুক্ত নই, আপনি যদি ছোটখাটো মূর্খ হন (আমি বলছিনা কিন্তু, আপনি নিজেই দাবি করেছেন) তাহলে সেটা আপনার ব্যাপার, আমাকে এর মধ্য টানবেন না।
এবং তাদের কারোরই আমার লেখনীর বিরুদ্ধে এখানে কোন কমেন্ট না থাকায় সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়, তারা আমার পক্ষেই আছেন, তাই নয় কি ?
আপনার বিশাল প্যারায় ডেসক্রিপ্টিভ অনেক কথাই তো বললেন, কিন্তু যুক্তি-তর্ক তো উপস্থাপন করলেন না !
@ডঃ মুশফিক,
আপনাকে কোথায় এর মধ্যে টানলাম? আপনাকে মূর্খ বলার আস্পর্ধাও আমার নেই। আপনি ডিগ্রীধারী ও পুরস্কারপ্রাপ্ত। সে তুলনায় আমি তো মূর্খ বটেই। প্রোফাইল পিকেও এমন আরেক মূর্খকে ধারণ করে আছি ব্লগ জীবনের শুরু থেকে। এই জগৎ সংসারে কত কি জানার আছে- বোঝার আছে- সেখানে আমার অর্জিত জ্ঞান না বোঝা-জানার ভীড়ে এতটাই ক্ষুদ্র যে অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে খুঁজে পাওয়া সম্ভব না। এখনও জানার-বোঝার চেষ্টা করে যাচ্ছি- এবং যাবো। কিন্তু এতটুকু জীবনে কতটুকুই আর আহরণ করতে পারবো? সে কারণেই নিজেকে মূর্খই মনে করি এবং আজীবন হয়তো এই মূর্খামি ঘুচবে না।
এমনই টনটনে লজিক্যল সেন্স আপনার! আপনি কিভাবে জানেন যে, যারা এখানে কমেন্ট করেছেন তারা কেউই সেরকম ডিগ্রীধারী নন? আর, যারা এখানে বিরুদ্ধ কমেন্ট করেননি- তারা সকলেই আপনার পক্ষে আছেন, সেটাই বা আপনাকে কে বললো? বস্তাপচা লেখায় অনেকে কমেন্ট দিতে আগ্রহ বোধ নাও করতে পারেন- বিশেষ করে যদি দেখেন কেন বস্তাপচা এটা বসে বসে প্রমাণ করার মতো যথেষ্ট সময় ও ধৈর্য তাদের নেই (একজন শ্রদ্ধেয় জ্ঞানী ব্যক্তিকে একটা বিষয়ে কথা বলছেন না কেন জিজ্ঞেস করায় বলেছিলেন- আশেপাশের বেশীরভাগই ফালতু- তার কয়টাকে ধরবো? এত সময় নষ্ট করার সময় কোথায়?), আবার অনেকে কাঁদা-ছোড়াছুড়ি থেকে নিজেকে মুক্তও রাখতে চাইতে পারেন।
যুক্তি-তর্ক ছাড়া কি উপস্থাপন করলাম? আমার ধারণা আমি ঐ প্যারায় অবশ্যই আমার যুক্তি উপস্থাপন করেছি। আপনি ধরতে পারলেন না কেন সেটা বিষয় বটে! কেন ব্যক্তিগত পেশার কথা তুলে ধরে ব্যক্তিকে তুলোধুনো করা ঠিক নয়- সেই ব্যাপারে আমর যুক্তি-তর্ক এখানে পেশ করেছি। সেই যুক্তি দুর্বল না সবল সেটা আলোচনা করতে পারেন- দুর্বলতা ধরিয়ে দিতে পারেন- কিন্তু যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করিনি এটা কি বললেন? মহাশয়, যুক্তি-তর্কের সংজ্ঞাটা কি একটু বলবেন? শেখাবেন? আপনার মত ডিগ্রীধারী ও পুরস্কারপ্রাপ্ত জ্ঞানীর কাছ থেকে কিছুটা জ্ঞানলাভ হোক তবে ..
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
এই ধরনের কৌশল বড়ই পুরনো, তাই নতুন কৌশল ধরুন, এই কথাগুলো আসলে বাহুল্য।
হুম, আপনি মাতুব্বর-পূজারী, হিন্দুরা করে মূর্তিপূজা আর মুসলমানেরা করে ভাবমূর্তি পূজা । মূর্তিপূজা নিরবুদ্ধিতা আর ভাবমূর্তি পূজা ভয়াবহ।
ভক্ত শব্দের অর্থ কিন্তু খাদ্য আর আপনার মত প্রতিটি ভক্ত তার গুরুর খাদ্য, তাই আপনার মত ভক্তরা দিন দিন জীর্ণতর হয়ে আবর্জনায় পরিণত হয়।
আমার কথা নয় কিন্তু, এটি ডঃ হুমায়ূন আজাদেরই একটি প্রবচন।
আপনার কাছ থেকে কৈফিয়ত চাইনি, সাধে কি বলেছি আপনি মাত্রাতিরিক্তভাবে ডেসক্রিপ্টিভ !
আপনার দেখি বেশ ধৈর্য !
কমন নাউন ব্যবহার না করে প্রোপার নাউন ব্যবহার করুন, রেফারেন্স দিন নাম উল্লেখ ও লিংকসহ ।
যুক্তিতর্ক থাকলে সেটিকে বোল্ড করে উল্লেখ করতেন, ছিল না দেখেই একগাদা অর্থহীন প্যাঁচাল পাড়লেন ।
@নাস্তিকের ধর্মকথা, (Y) (Y)
@রৌরব, (N)
গতকাল ও আজকে মাসুদ রানা ও এই লেখা দুটো পড়ে চরম বিরক্ত এবং হতাশ!
দু ক্ষেত্রেই আমার ব্যক্তিগত অবস্থান তাদের মূল পোস্টের বক্তব্যের পক্ষে। কিন্তু দুজনেই কমেন্টে গিয়ে এমনই বালখিল্য আচরণ করা শুরু করে দিলেন- এবং দিতে দিতে সীমা ছাড়িয়ে নিজেদের এমনই হাস্যকর অবস্থানে নিয়ে গেলেন- যে, ওনাদের মূল বক্তব্যের পক্ষ নিয়ে কিছু তর্ক-বিতর্ক করবো সেই আগ্রহই নষ্ট হয়ে গেল!!! এর চেয়ে হতাশার আর কি থাকতে পারে!
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
(Y) , আমিও টায়ার্ড…
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
বিনা বিশ্লেষণে আপনার এই শব্দটিও ব্যক্তিগত আক্রমণের পরিচায়ক ও ব্লগীয় শিষ্টাচার পরিপন্থী। যে দোষে নিজে দুষ্ট, তা অপরের ওপরে চাপাবেন না বলে ভবিষ্যতে আশা করব। ধন্যবাদ। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
আপনার বিচারটি মানতে পারলাম না।
আফরোজা আলমের ১ম মন্তব্যটি দেখি:
এ কমেন্ট পুরাটাই তো দেখছি- লেখা নিয়ে। লেখকের বর্তমান লেখাটি আফরোজা আলমের কাছে ফালতু – অন্তসারহীন একপেশে মনে হয়েছে- সেটা তিনি বলেছেন এবং কেন এমন মনে হয়েছে তাও বলেছেন দু এক লাইনে। ‘ফালতু’ শব্দটায় আপত্তি করতে পারেন- কিন্তু তার সাথে লেখকের ঐ কমেন্টকে কেমন করে এক কাতারে ফেলেন! যুক্তি-তর্ক সবকিছু পরিহার করে তিনি চলে গেলেন- ব্যক্তিগত পেশা খুজতে এবং সেটা বের করে বিপরীত মতকে যুক্তি নয়- পেশার মানদন্ডে উড়িয়ে দিলেন! এবং সেটা যে ভাষায় ও ভঙ্গিতে করলেন- তাকে কি বলবেন? আমার খুব খুব খুউব জঘন্য লেগেছে।
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
বিচার ছিল না ওটি, মতামত বলতে পারেন।
ডঃ মুশফিক যে ব্যক্তি আক্রমণ করেছেন সেটি আমিও বলেছি। আপনার নজরে হয়তো পড়ে নি।
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
বিনা যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে এককথায় ‘ফালতু অন্তসারহীন’ বলে ফেলাটাই তো চরম আপত্তিকর।
আগে ওনাকে লাইন বাই লাইন প্রমাণ করতে হবে, তারপর উনি দাবি করবেন যে ইয়েস, লেখাটি তাই-ই। উনি এমন কিছুই করেননি, এখানেই তো ব্যক্তিগত আক্রমণের শুরু করেছেন লেখিকা।
পেশা কি একটি গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড নয় ? আপনি কি বললেন এটা ?!!!! হ্যা, অবশ্যই পেশা একমাত্র মানদণ্ড নয়, তবে বাস্তবতার বিচারে এটিই সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য মানদণ্ড।
নিচে আমার প্রসঙ্গঃ নারীবাদ ও গৃহিণীবাদ আর্টিকেল টি প্রকাশিত হলো, আমি যেভাবে ধাপে ধাপে বর্ণনা করে প্রমাণ করেছি, নারীবাদ কাম্য, গৃহিণীবাদ নয়, তেমনি আফরোজা আলমকেও সেভাবে প্রমাণ করা লাগবে, কেন আমার লেখা ওনার কাছে ফালতু অন্তঃসারহীন মনে হয়েছে।
বিনা বিশ্লেষণে ওনার এহেন মন্তব্য চরমভাবে আপত্তিকর এবং ব্লগীয় শিষ্টাচার পরিপন্থী।
@ডঃ মুশফিক,
দেখেন- ব্লগ জগতে আপনি সম্ভবত নতুন, ফলে এখনো জানেন না এখানে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মত কিভাবে প্রতিফলিত হয়। সবাই যে একই রকম ধরে ধরে লাইন বা লাইন যুক্তি-তর্ক করবে, এমন আশা করাটা উচিৎ নয়। বিভিন্ন ব্লগে লাইক-ডিসলাইক বাটন আছে, একটা বড় অংশ কোন কমেন্ট না করে- কেবল ভালো লাগা আর মন্দ লাগাটা জানিয়ে যায়।
এককথায় ফালতু-অন্তসারহীন বলার প্রতিবাদ জানানোটাই কি যথেষ্ট নয়? আর, বিপরীত মত যদি যুক্তি তুলে ধরতে না পারেন- তাতে আপনার উদ্বিগ্ন হওয়ার কি কিছু আছে- আর দশজন পাঠক তো বুঝতে পারছেন- সেই দাবী কতখানি অযৌক্তিক। তাই না কি?
আফরোজা আলম কেন আপনার লেখাকে ফালতু-অন্তাসারহীন বললো? আপনার প্রতি তার কোন ব্যক্তিগত আক্রোশ আছে সে কারণে? নাকি, তিনি একজন গৃহিণী বলে তিনি একজন গবেট আর একজন গবেটের কাছে আপনার মত জ্ঞানী ব্যক্তির লেখা ফালতু লাগবেই — এমন? এমন যদি না হয়- এক নারী আমার পেছনে লেগেছে- তিনি গৃহিণী- গৃহিণীমাত্রই ফালতু… এসব আলোচনার অর্থ কি?
আর, আফরোজা আলম তার অবস্থান কিন্তু অল্প কথায় তুলে ধরেছেনও। তিনি বলেছেন:
যাতে দুনিয়ার মন গড়া কুৎসিত চিত্র তুলে ধরার অপপ্রয়াস ছাড়া আর কিছুই পেলাম না লেখাটায়। নোবেল পুরষ্কার পাওয়ায় এতো গাত্র জ্বালা জীবনে দেখি কারো বাপু। এতো যদি সহজ হয় তবে অনেক টাকা ওয়ালা লোক-জন কেন যে নোবেল কিনে আনে না কে জানে। কি কমপ্লেক্স থেকে এতো ক্ষোভ কে জানে। কারো কন্যা নিয়ে কুতৎসিত মন্তব্য আরো আপত্তিকর।
এটুকু মানবেন যে, ইউনুস ইস্যুতে পক্ষ-বিপক্ষ দুধরণের মতই শক্তিশালী- বরং মিডিয়ার কল্যাণে, বড় বড় বিখ্যাত ব্যক্তিদের কল্যাণে ইউনুস পক্ষীয় অনেক বেশী ভিজিবল। ফলে, আপনার লেখার পাঠকের একটা অংশ ইউনুসকে শ্রদ্ধার চোখে দেখবেন- ইউনুসের নোবেল প্রাপ্তিতে গর্ববোধ করবেন এটাই স্বাভাবিক। তাদের কাছে আপনার লেখাটা মনোপুত না হওয়াটাই তো স্বাভাবিক।
আফরোজা আলম তেমনই একজন। বিভিন্ন জায়গায় ইউনুসের বিরুদ্ধাচারণ তার ভালো লাগছিলো না বলে ইতিমধ্যে একটা পোস্টও তিনি দিয়েছেন। http://blog.mukto-mona.com/?p=14697
সেই পোস্ট , সেখানে মন্তব্যের আলোচনা এমনকি আপনার এই পোস্টে করা কমেন্টে বুঝাই যায়- আফরোজা আলমের অবস্থানটিতে যুক্তির চেয়ে আবেগ বেশী- আবেগটা হলো- নোবেল বিজয়ী একমাত্র এই বাংলাদেশী আমাদের পুরো জাতির জন্য যে সম্মান এনে দিল- সেই ব্যক্তির সাথে আমরাই এমন বাজে আচরণ করতে পারি? জাফর ইকবাল থেকে শুরু করে সবারই টোন তো এমনই। জাতিগতভাবে আমরা হীনমন্য, আর এই হীনমন্যতা থেকেই আমরা নোবেল জয়রে আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন হিসাবে ধ্যানজ্ঞান করছি- বাহির বিশ্বে ইউনুসকে কেন্দ্র করে দুটো পরিচয় হয়েছে- তাতেই আমরা আহলাদে আটখানা। এটাই এমন আবেগের মূল। আফরোজা আলমের কমেন্টেও পাবেন: “নোবেল পুরষ্কার পাওয়ায় এতো গাত্র জ্বালা জীবনে দেখি কারো বাপু। কি কমপ্লেক্স থেকে এতো ক্ষোভ কে জানে।” এটা একটা দিক। আরেকটা দিক হচ্ছে- আপনার লেখাটা অন্তসারহীন মনে হওয়ার কারণ হিসাবে তিনি বলেছেন- যাতে দুনিয়ার মন গড়া কুৎসিত চিত্র তুলে ধরার অপপ্রয়াস ছাড়া আর কিছুই পেলাম না লেখাটায়।। সত্যি বলতে কি ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প- গ্রামীণ ব্যাংক- এনজিও এসবের কড়া সমালোচক হওয়ার পরেও আপনার এই লেখাটা ঠিক ভালো লাগেনি। লেখার ঢংটাই হয়েছে- একের পর এক ইউনুস বিরোধী বয়ান। বাবরকে কি বলে আখ্যায়িত করেছেন- বাবা হিসাবে কেমন – ইত্যাদি প্রয়োজনীয়- অপ্রয়োজনীয় কথা একের পর এক বলে গেছেন। যে আমি এই পোস্টে ঢুকেছিলাম- ইউনুস পক্ষীয়দের সাথে একটু যুক্তি-তর্ক করবো বলে, সে আমিই আপনার পুরো লেখাটা একটানে পড়তে পারিনি। একঘেয়ে কথামালায় ভর্তি, এবং অবশ্যই সুখপাঠ্য নয় আপনার লেখা। ইউনুস কন্যাকে টেনে আনাটা অহেতুকই কেবল নয়- কুরুচিপূর্ণও। আমার কাছেই যদি এমন মনে হয়- তবে যারা ইউনুসের ফ্যান তাদের কাছে পুরা লেখাটা কুৎসা ছাড়া আর কি মনে হবে?
আর, একজন আপনার বিপরীত মত ধারণ করতেই পারে, আপনার কোন বক্তব্য তার কাছে ফালতু মনে হতেই পারে- সেটা প্রকাশ করাটা যে কোন অপরাধ নয়- সেটা তো আপনাকে মানতে হবে। বড়জোর- আপনি তার ব্যাখ্যা চাইতে পারেন। যুক্তি/ব্যাখ্যা মনোপুত: না হলে যুক্তির খুত ধরে দেখাবেন- কোন যুক্তি না দিয়ে ফালতু বললে- সেটা তুলে ধরবেন, এভাবেও তো পাল্টা আক্রমণ করা যায়। না কি?
স্তম্ভিত!!!
মুক্তমনায় এমন কমেন্ট ছাড়পত্র পায় কেমন করে? এডমিনরা কি ঘাস কাটে?
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
আমার মনে হয় ব্যক্তি আক্রমনের প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়েছে। তাই আপাতত যে কোন মন্তব্য হালাল। 😛
@স্বাধীন,
আমার মনে হয় এখানে বানান ভুলেরও প্রতিযোগিতা হতে পারে, এবার আক্রমণ আর প্রতিযোগিতা বানান ভুল করেছেন। 🙂
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
মুক্তমনা মুক্তচিন্তায় বিশ্বাস করে, Freedom of Speech and Expression এ বিশ্বাস করে, আপনি যে বলেছেন, এডমিনরা ঘাস কাটে কিনা, এডমিনদের প্রতি এই ব্যক্তিগত আক্রমণ – এডমিনরা প্রকাশ করে বুঝিয়ে দিয়েছেন,
মুক্তমনা আসলেই নিরপেক্ষ একটি সাইট। মুক্তমনা কে ধন্যবাদ ।
@ডঃ মুশফিক,
😀 😀
আপনি কি একটি বাগধারার সাথে পরিচিত “পিতার পুর্বেই পশম পাকিয়ে ফেলা”? এই বাগধারাটির পেছনে র্যাশনাল হচ্ছে- পিতা যেহেতু সন্তানের তুলনায় বয়সে বড় এবং পশমও যেহেতু পাকে সময়ের সাথে সাথে, তাই পিতার পশমই সন্তানের পুর্বে পাকাটা বেশী আকাঙ্খিত, তাই না?
মুক্তচিন্তায় বিশ্বাস করা, আর নিন্মবুদ্ধিসম্পন্ন ভ্যান্ডাল জার্ক লন্ডভন্ড করা ছাড়া যারা কনস্ট্রাক্টিভ খুব বেশী কিছু করতে পারে না তাদেরকে ধ্যাপধ্যাপাধ্যাপ গদাম কষানো হতে বিরত থাকাটা কবে সিনোনিমাস হলো?
ফাইনালি, পাকনামী কথাবার্তা একটু কম কইলে হয়না বাবাজান?
লেখকের জন্যঃ
১। আপনার লেখার হাত খুবই ভাল। মুক্তমনায় নিয়মিত লিখলে খুশি হবো।
২। যুক্তির ক্ষেত্রে আপনি আগ্রাসী। এই মনোভাবটা খুবই পছন্দের আমার। তবে, ব্যক্তি আক্রমণাত্মক মনোভাবটা পরিহার করতে হবে আপনাকে। মুক্তমনায় নতুন বলে হয়তো ধাতস্থ হতে কিছুটা সময় নেবে আপনার।
৩। মুক্তমনায় আমরা অন্য ব্লগে প্রকাশিত লেখাকে প্রকাশ করি না। ধ্রুব যখন বিষয়টি নজরে এনেছে, তখন আপনার এই লেখায় অনেকেই মন্তব্য করে ফেলেছে, সংশ্লিষ্ট হয়ে গিয়েছে বিষয়বস্তুর সাথে। বিষয়বস্তুর গুরুত্ব অনুধাবন করে এবং আলোচনা চালিয়ে যাবার সুবিধার্থে হয়তো এটিকে প্রথম পাতা থেকে সরানো হয় নি। তবে, ভবিষ্যতে এই অগ্রাধিকার মনে হয় আর পাবেন না।
৪। কুসীদ বানানটা ভুল। এরকম অপ্রচলিত একটা শব্দ শিরোনামে ব্যবহারের কোনো যুক্তি খুঁজে পেলাম না আমি।
৫। মুক্তমনায় স্বাগতম।
@ফরিদ আহমেদ,
একমত। (Y)
@ফরিদ আহমেদ,
অশেষ ধন্যবাদ।
স্বীকার করছি, তবে আমাকে কেউ প্রথমে আক্রমণ করলে তাকে পাল্টা আক্রমণে ধসিয়ে দেওয়ার ‘হুমায়ূন আজাদীয়’ বদভ্যাস রয়েছে আমার, ব্যক্তিগত আক্রমণ না করলে আমি কখনোই পাল্টা আক্রমণ করিনা।
দুঃখিত, আসলে এই নিয়মটি আমি জানতাম না, পরবর্তীতে দেখি অধিকাংশ ব্লগ সাইটে এই নিয়ম। আমি বিষয়টির দিকে এখন থেকে খেয়াল রাখব।
কুষীদ/কুসীদ কোন বানানই ভুল নয়, বানান সম্পর্কে আমি অনেক বেশি সচেতন।
রেফারেন্সঃ
১) অভ্র ৫.১.০.০
২) বাংলা লিনাক্স
http://www.bengalinux.org/projects/dictionary/Files/x995.dct
৫) ধন্যবাদ।
@ফরিদ আহমেদ,
আমি আপনার সাথে একটা ছোট্ট দ্বিমত করবো। ওয়েল, এটা আমিও বুঝি যে- প্রথমবারের মতো কৈশরে উপনীত প্রত্যঙ্গে চুল গজুলে, সেই চুল পরিষ্কার করতে কুড়োল কিংবা ডিজেল পাওয়ার্ড গ্রাসকাটার প্রয়োজন পড়তেই পারে; এ এমন কিছু কিছু নয়, আস্তে আস্তে দু-এক কিস্তি পর গোড়া নরম হয়ে আসলেই সবকুছ ঠিকঠাক হয়ে যাবে!! নতুন কেউ একটা নতুন ফোরামে আসলে তাকে ধাতস্ত হবার জন্য প্রয়োজনীয় সময় দিতেও কারো আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু, মুশফিকের কেইস কিন্তু সেটা না। তার গোড়া ইতিমধ্যেই ইররিভার্সিবলি শক্ত হয়ে ক্যালসিফাইডই হয়ে গিয়েছে একেবারে! এতোগুলো মানুষের রিজেকশনের মুখে পড়েও একটিবারের জন্য ফ্লাইট দেয়নি সে, যেটা এমনকি মাসুদ রানাও দিয়েছিলো। এটা থেকে কি বোঝা যায়, এই মহাবুজুর্গ ব্যক্তি পৃথিবীর সবকিছুই জানে এবং পৃথিবীর বাদবাকী সাড়ে ছয় বিলিয়ন মানুষ প্লেইন ইডিয়ট তাই-ই নয় কি?
আমাদের দেশে অনেক উচ্চশিক্ষিত মহিলা ও বিভিন্ন কারণে
ঘরে বসে থাকেন।
আর উনি লেখক বিভিন্ন বিষয়ের ওপর লেখালেখি করেন!
শুধু একটা কথা বলতে চাই আপনার একাডেমিক ডিগ্রি থাকতে
পারে কিন্তু সত্যিকারের একটা শিক্ষিত মন গড়ে তুলতে
আপনার অনেক সময় নেবে।
ধন্যবাদ!
@লাইজু নাহার, (Y)
আমার মা একজন গৃহিনী (ছিলেন)। আমি আমার মায়ের যোগ্যতার মাপকাঠি। আমি তাঁর সাফল্যকে ছোট করে দেখতে রাজী নই।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
এই সাফল্যে বলীয়ান হয়ে বাংলাদেশের সব নারীরা সুগৃহিণী হয়ে যাক, সেই শুভকামনা রইলো।
@ফরিদ আহমেদ,
সব নারীরা শুধু গৃহিনীই হউক তা আমি মীন করিনি। একজন মানুষ যেমন বাইরে চাকুরীজীবি, ঘরে স্বামী, এবং বাবা, তেমনি আজকাল একই নারী বাইরে চাকুরে, ঘরে আবার গৃহিনী। জানি, গৃহিনী শব্দটার মধ্যে একটা নাক সিটকানো ভাব আছে। একটা ভাল প্রতি শব্দ জানা থাকলে সেটাই ব্যবহার করতাম। পশ্চিমে house wife না বলে home maker বলে।
ভাল থাকবেন।
@নৃপেন দা,
রৌরব যেমন বলেছেন যে, গার্হস্থ্য কর্মে কোনো অবমাননা নেই। আমিও ওটাই বিশ্বাস করি। যদিও মহা অলস এবং পুরুষবাদী লোক আমি, তারপরেও নিজে কিছু টুকটাক গার্হস্থ্য কর্ম করি স্ত্রীকে সহযোগিতা করার মানসে। বিষয়টা সেটা নয়। আমাদের মায়েরা যে গার্হস্থ্য কর্ম করতেন, সেটি প্রথমত ছিল বাধ্য হয়ে, পরবর্তীতে ছিল পরিবারের প্রতি মমতার কারণে। আমরা আবেগগতভাবে সেটাকেই হাইলাইট করার চেষ্টা করি। কিন্তু, সামগ্রিকভাবে নারীমুক্তির কথা যদি ভাবেন, তবে গৃহিণী পেশাটা আসলেই অত্যন্ত অসম্মানের একটা পেশা (স্ব-ইচ্ছায় গার্হস্থ্য কর্মের কথা বলছি না আমি)। বাংলাদেশের একজন শিক্ষিত মহিলা যখন বাইরে কাজ করার ভয়ে সচেতনভাবে যথেষ্ট উপার্জনক্ষম একজন পুরুষকে স্বামী হিসাবে বেছে নেয়, তখন সেই গার্হস্থ্য কর্ম আর সম্মানের কিছু থাকে না। অশ্লীল হয়ে যায়। এই অশ্লীলতা আরো বাড়ে যখন চার-পাঁচটা চাকরানি রেখে তিনি সাঁজুগুজু হয়ে ঘুড়ে বেড়ান আর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নারীমুক্তির কথা বলেন।
@ফরিদ আহমেদ,
সহমত।
(Y) (Y)
@ফরিদ আহমেদ,
আপনি এই বিষয়টির উপর বেশি জোর দিচ্ছেন দেখেতে পাচ্ছি। কিন্তু এটা কি সংখ্যাগরিষ্ঠের প্রতিনিধিত্ব করে? মানে আমি জানতে চাইছিলাম শতকরা কতভাগ নারী এই অংশে পরে, যার উপর ভিক্তি করে আপনি পুরো গৃহকর্মকে এর মাঝেই ফেলছেন? আপনার সাথে উক্ত মন্তব্যে দ্বিমত নেই, কিন্তু আমি আপনার উদাহরণটি আমার চারিপাশে খুব বেশি দেখি না। আমার পরিচিতের মধ্যে হাতে গুনা দু’একজনকেই দেখি যে সুযোগ থাকা সত্বেও চাকুরী করছে না। না হলে বেশিরভাগ শিক্ষিত নারীই আজকাল চাকুরী করে।
@স্বাধীন,
পুরো গৃহকর্মকে ফেলি নি। শতকরার কথাও আমি উল্লেখ করি নি। বলেছি সেই শিক্ষিত মহিলার কথা যিনি সচেতনভাবে একজন বিত্তশালী বর খুঁজে নেন বাইরে কাজ করার ভয়ে। কাজেই এটা সংখ্যাগরিষ্ঠের প্রতিনিধিত্ব করে কি করে না সেটা বিষয় নয়। এই রকম পরগাছার সংখ্যা যদি মাত্র একজনও হয়, তাতে কি কোনো অসুবিধা আছে তাদের গৃহকর্মকে অশ্লীল বলাতে?
এটা খুবই শুভ লক্ষণ যে, আপনার পরিচিত সব শিক্ষিত নারীরা কাজ করছে। তবে দুই একজন যে চাকুরীর সুযোগ থাকার পরেও করছে না সেটাও কিন্তু আশংকারই কথা। পরগাছা স্বভাব এখনও যে কিছু মেয়েদের মধ্য থেকে উবে যায় নি, এটাই তার প্রমাণ।
ড: ইউনুসকে এত ছোট করার কারণটা কি ঠিক বুঝলাম না । দোষ ত্রুটি ছাড়া কেউ কি মানুষ হতে পারে?
@পলাশ,
ঠিক উল্টোটাও আছে
http://blog.mukto-mona.com/?p=15388
গত কয়েক দিন আগে দেয়া হয়েছে।
কিন্তু ঐখানে তেমন মন্তব্য নেই।
কারনটা কি বুঝলাম না।মনে হল আমিই বিরোধী দল।হা হা হা…..
আমি শুরু থেকেই ধারণা করছিলাম ২জন ব্যক্তি সম্পর্কে যে, তাদের পেশা কি হতে পারে । এনারা আমাকে প্রচন্ডভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন, এবং আমার পিছু নিয়ে অন্য পোস্টেও আমাকে আক্রমণ করেছেন।
এই দুজন হলেন,
১) রনদীপম বসু
২) আফরোজা আলম
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানলাম,
এই কারণেই তাহলে রনদীপম বাবুর গ্রামীণপ্রীতি আর ইউনূস-বন্দনা !
আর, সাধারণভাবে আমাদের দেশের গৃহিণীদের যোগ্যতা কতদূর তা নিয়ে সচেতন পাঠকসমাজ সহজেই অনুমান করতে পারেন।
ওনারা অস্বীকার করুন তো দেখি আমার কথা সত্যি নয় ? পারবেন ?
(আমি খুবই মার্জিত ভাষায় অনাক্রমণাত্মকভাবে কথাগুলো জানালাম, আশা করি মুক্ত-মনা ফ্রিডম অব স্পীচের প্রতি সম্মান রেখে এই লেখাটি প্রকাশ করবেন।)
@ডঃ মুশফিক,
জনাব, :guli: :guli:
এটা আপনার কোন ধরনের গবেষনার ফল জানতে পারলে খুশী হতাম।
এবং আমার অভিমত হচ্ছে এধরনের মন্তব্য সম্পুর্নভাবেই মুক্তমনা স্পিরিটের বিপরীতে যায়। বয়সে যখন নবীন, আমার জ্ঞানবুদ্ধিও টনটনে হয়নি তাই আপনাকে বোঝানোর সাহস দেখানো ঠিক হবে কিনা বুঝছি না। তারপরেও বলি মার্জিত ভাষায় অনাক্রমণাত্মকভাবে আমি যদি বলতাম
তাহলে কেমন শোনাতো? এপর্যন্ত এভাবে কেও বলেছেন? তাই আবার মাফ চেয়ে নিচ্ছি আমার কাঁচা বুদ্ধির জন্য মার্জিত ভাষায় অনাক্রমণাত্মকভাবে কথাটার ভুল ব্যাখ্যা করলে।
আমার একান্ত একটা কথা বলি? মুক্তমনায় কেও কারো পেশা নিয়ে গবেষনা করেনা ভাই। এমন সুন্দর একটা পরিবেশকে কেন আমারা পেশার মত ব্যক্তিগত ব্যাপার টেনে এনে কলুষিত করছি? তবে কি একদিন শুনব তুমি অগা-মগা কলেজে পড়, তোমার যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ আছে।
মুক্তমনা কখনোই এমন হতে দিবে বলে বিশ্বাস হয়নি বলেই সাইন আপ করেছিলাম।
যাকগে ভাল থাকুন।
@টেকি সাফি,
ব্লগে যখন প্রথম, তখন আক্রমন করার কোন সুযোগ আসলে হাত ছাড়া করতাম না। এই বদঅভ্যাস থেকে এখন অনেকটা মুক্ত। :-[
@টেকি সাফি,
মুক্তমনার কর্তৃপক্ষ সেটা সম্যক বুঝেই আমার লেখাটি প্রকাশ করেছেন, তাই না ? মুক্তমনা মডারেটরদের একজন জনাব ফরিদ আহমেদ বলেছেন
১। আপনার লেখার হাত খুবই ভাল। মুক্তমনায় নিয়মিত লিখলে খুশি হবো।
২। বিষয়বস্তুর গুরুত্ব অনুধাবন করে এবং আলোচনা চালিয়ে যাবার সুবিধার্থে হয়তো এটিকে প্রথম পাতা থেকে সরানো হয় নি।
আমি ডাক্তার মানুষ, পশ্চিমে থাকি আপনাকে কে বলল ? আমি বাংলাদেশে অবস্থান করছি, আপনার এমন কল্পনাপ্রসূত চিন্তা কোত্থেকে হলো, সেটাই ভাবছি।
এবিষয়ে পরবর্তীতে সম্যক বলছি, অপেক্ষা করুন।
@ডঃ মুশফিক,
দেশের সমুদয় নারী সমাজের প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য।
লেখকের প্রায় প্রতিটি মন্তব্যের প্রতিই মডারেশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
দুঃখিত। “মডারেশন” এর স্থলে “এডমিন” পড়ুন।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
দেশের সমুদয় নারী সমাজের প্রতি অবমাননা কেন হবে? বাংলাদেশের সব নারী-ই কি তবে গৃহিণী?
গৃহিণী পেশাটাই অত্যন্ত অবমাননাকর অশ্লীল একটা পেশা। গৃহদাসত্ব বলা যেতে পারে। এর থেকে বের হয়ে আসার জন্যেইতো মেয়েরা আন্দোলন, সংগ্রাম করছে। আমাদের নানি-দাদি, মা-খালারা এই পেশায় নিয়োজিত ছিল বাধ্য হয়ে। এখনও বাংলাদেশের অসংখ্য নারীর ক্ষেত্রে এই বাধ্যবাধকতা রয়ে গিয়েছে। কিন্তু বর্তমান যুগে এসে কোনো শিক্ষিত মেয়ে যখন স্বেচ্ছায় এই দাসত্ব পেশা বেছে নেয়, তখন তার যোগ্যতা নিয়ে কথা বললে, দেশের সমুদয় নারী সমাজের জন্য অবমাননা কেন হবে সেটা বুঝতে অক্ষম আমি। আমার মতে ডঃ মুশফিকের মন্তব্য শুধু আফরোজা আলমের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত আক্রমণ হতে পারে। এ বিষয়ে ডঃ মুশফিক সতর্ক হবেন বলে আশা করছি।
এর সাথে আফরোজা আলমের করা প্রথম মন্তব্যটাও আসা উচিত ছিল। মনে হয় আপনার নজর এড়িয়ে গেছে সেটা। 🙂
এই লেখাটায় ইউনূসকে নিয়ে নির্মোহ একটা আলোচনার সুযোগ ছিল বা রয়েছেও। আলোচকদের অসহিষ্ণুতা এবং ব্যক্তি আক্রমণের প্রবনতায় তা যেন পণ্ড না হয়, সেই প্রত্যাশা রইলো।
@ফরিদ আহমেদ,
(Y)
@ফরিদ আহমেদ,
দ্বিমত পোষণ করছি। গার্হস্থ্য কর্মের মধ্যে মৌলিক কোন অবমাননা আছে বলে মনে করিনা, বাধ্যবাধকতাটাই একে দাসত্বে রূপ দেয়। কাজেই ওকাজটি যে নারী (বা পুরুষ) স্বেচ্ছায় করেন, তাঁদের সাথে ডাক্তার, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানীর পার্থক্য বুঝতে আমি অক্ষম।
@রৌরব,
হা হা হা। দ্বিমত কই করলেন। দিব্যি দেখতে পাচ্ছি আপনার আর আমার মনোভাব একই।
লাইজু নাহারের করা মন্তব্যটার অর্থ এতক্ষণে বুঝতে সক্ষম হলাম। বুঝলাম কেন শিক্ষিত নারীরা সুগৃহিণী হয়ে স্বামীর অন্ন ধ্বংস করে চলে সারাজীবন। খামোখাই গীতা দাসেরা নারীবাদ নারীবাদ বলে হইচই করে। আমাদের মত পুরুষবাদীরাই আসলে নারীদের পক্ষে ছিলাম অতীতে, বর্তমানে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। 😛
@রৌরব, (Y)
@ফরিদ আহমেদ,
দ্বিমত পোষণ করছি। গৃহিণী পেশা কেন গৃহদাসত্ব হবে? একজন শিক্ষিত নারী যখন সন্তান লালনের জন্য নিজের পেশাকে স্যক্রিফাইস করে গৃহিণীর পেশাকে বেছে নেয় তখন সেটাকে সম্মান না দেখিয়ে দাসত্ব হিসেবে কেন দেখবো? যদিও খুব বেশি দেখা যায় না, তারপরেও পাশ্চাত্যে অনেক বাবা আছে যিনি এই কাজটি করে থাকেন। গৃহিণী পেশাকে আর দশটা পেশার মতই দেখা সম্ভব।
এ বিষয়ে নৃপেন দাকে একটা ব্যাখ্যা দিয়েছি। আশা করবো ওটাতে একটু চোখ বুলিয়ে নেবেন।
@ডঃ মুশফিক,
প্রথমত, প্রথম লেখা এতো আলোড়ন তোলার জন্য শুভেচ্ছা।
দ্বিতীয়ত, মন্তব্যে এত ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ টানার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করছি। গৃহিণীমাত্রই যে সাধারণতও অযোগ্য নয় এবং তা নিয়ে প্রতি মন্তব্য করা হয়েছে। আমি এ নিয়ে বলতে গেলে আপনি কষ্ট পাবেন এবং বিতর্কটি আরও দীর্ঘ হবে যা আমার কাম্য নয়।
আমার অনুরোধ দুঃখিত বলে বিষয়টির ইতি টানবেন এবং ভবিষ্যতে আপনার লেখা অব্যাহত থাকবে।
@ডঃ মুশফিক,
আপনার অপ্রাসঙ্গিক ব্যক্তিগত বিষয়ের অবতারনা, তথা ব্লগীয় গোয়েন্দাবৃত্তিতে… (N)
—
@ অ্যাডমিন, নৃপেনদা’র সঙ্গে আমিও লেখকের প্রায় প্রতিটি মন্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।… (W)
@ডঃ মুশফিক,
করো পেশা তুলে এভাবে কথা বলতে মুক্তমনায় এর আগে কখনো দেখিনি।
এ কথাটা মোটেও ভাল লাগিনি, খুবই আপত্তিকর।
@ডঃ মুশফিক,
আপনার এই মন্তব্য আপত্তিকর ও অসৌজন্যমূলক । একজনের মতকে খণ্ডন করবেন তার বিরুদ্ধে যুক্তি ও তথ্য দিয়ে। কিন্তু না, আপনি লেগেছেন গোয়েন্দাগিরিতে। আবার একথাও বলেছেন-
হাস্যকর।
@ডঃ মুশফিক,
এ ব্যাপারে আমি এডমিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আমি অন্য কোন্ পোস্টে তাঁকে আক্রমণ করেছি তা তিনি দেখানোর জন্য। আর আমি কোথায় চাকরি করি কি না করি এর সাথে কোন লেখার সমালোচনার কী সম্পর্ক ? এরকম আপত্তিকর মন্তব্য মুক্তমনার নীতির সাথে কতোটা সামঞ্জস্যপূর্ণ তার ব্যাখ্যা চাচ্ছি। এছাড়াও নারীদের প্রতি তাঁর অবজ্ঞাসুলভ বক্তব্য সদাচার পরিপস্থি হিসেবে এই ব্লগের একজন ব্লগার হিসেবে আপত্তি উত্থাপন করলাম। তাঁর বালখিল্য যুক্তি মেনে নিলে তো একজন বাঙালি বা বাংলাদেশি নাগরিকের বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলাটাও হাস্যকর হয়ে যাবে দেখছি ! তিনি তাঁর দাবী অনুযায়ী পাকিস্তানের এওয়ার্ডপ্রাপ্ত চিকিৎসক হবার যে হামবড়া ভাব দেখাচ্ছেন এবং সহব্লগারদের প্রতি অশোভনভাবে বক্তব্য রেখে যাচ্ছেন তা নিয়ন্ত্রণ ও যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে এই মুক্তমনার পরিবেশ নিয়েই আশঙ্কা দেখা দেবে বলে মনে করি।
@রণদীপম বসু,
এনারা আমাকে প্রচন্ডভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন, এবং আমার পিছু নিয়ে অন্য পোস্টেও আমাকে আক্রমণ করেছেন।
এনারা শব্দটি Plural. আমি আরেকজনের নাম করেছি যিনি আমাকে আপনার ব্লগে আক্রমণ করেছেন, এই প্রসঙ্গে আপনার কথা বলিনি।
তবে আপনি এই পোস্টে আমাকে আগে এবং এখনো আক্রমণ করে যাচ্ছেন,
বালখিল্য <<<< শব্দটি ব্যবহারের মাধ্যমে অবজ্ঞা করতে প্রয়াসী হয়েছেন।
হামবড়া ভাব কোথায় দেখিয়েছি ? এটা আপনার একমাত্র দাবি, আর কেউ এখনো বলেনি, একজন আমার পরিচয় জানতে চেয়েছিলেন, সেই প্রশ্নের প্রাসঙ্গিকতায় আমি আমার পরিচয় দিয়েছি, যা সম্পূর্ণই প্রাসঙ্গিক।
যদি কেউ না জানতে চাওয়ার পর ও যেচে নিজের পরিচয় দিতাম আর এওয়ার্ডপ্রাপ্ত চিকিৎসক নিয়ে ১০ টি বাক্য লিখতাম তাহলে আপনি দাবি করতে পারবেন যে, হ্যা, আমি হামবড়া ভাব দেখিয়েছি । হামবড়া শব্দটিও অবজ্ঞাসূচক এবং ব্যাক্তিগত আক্রমণের পরিচায়ক।
@রণদীপম বসু,
এ ক ম ত। আবারো অ্যাডমিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
@ডঃ মুশফিক,
এমন মন্তব্য যিনি করতে পারেন তার সাথে তর্ক কেন, কোন প্রকার আলোচনায় যেতেও আগ্রহী নই। মডারেশন যুক্ত ব্লগ, তাও আবার মুক্তমনা ব্লগে, যখন এমন মন্তব্য করার পরেও এডমিনের কোন সতর্কবানী দেখা না যায় তখন মডারেশন থাকার যৌক্তিকতা দেখি না।
@স্বাধীন,
এডমিন এবং মডারেটর একটি এত বড় সাইট পরিচালনা করেন, তাদের নিজস্ব জ্ঞানবুদ্ধি রয়েছে, তারা ব্লগ লেখার পাশাপাশি বইও লেখেন, তারা জানেন কোন লেখাটিকে ছাড়পত্র দিতে হবে আর কোন লেখা/কমেন্ট মডারেশন করতে হবে। আমার লেখাও তারা মডারেট করেছেন। তবু মডারেশন নিয়ে আমার কোন প্রশ্ন নেই, আপনাদের এত গাত্রদাহ কেন ?
এই টপিকটা নিয়ে আমার নিজের পড়াশুনা কম। টাকা-পয়সার হিসাবটায় বরাবরই আমি কাঁচা বলে খুব একটা আগ্রহ পাই না।
ব্লগ আর অললাইন পত্রিকার কল্যাণে এড়িয়ে যেতে যেতেও অনেকখানি পড়া হয়েছে। স্বপক্ষে-বিপক্ষে। কিন্তু সমস্যা হলো- সবার লেখাই একটা এঙ্গেল থেকে দেখলে সঠিক বলে মনে হয়। 😕
আমার আপত্তির বিষয়টা হলো- এ ধরনের সমালোচনা/প্রশংসাসূচক লেখা আসলেই দুই পক্ষ থেকেই মন্তব্য আসতে থাকে- শুধু খারাপ/ভালো দিকটাই তুলে ধরা হয়েছে; ভালো/খারাপ দিক কি কিছুই নাই? ব্যাপারটা সেই ধর্মের খারাপ দিক নিয়ে লিখতে শুরু করলে মোমিনরা যেমন বলে- “ধর্মের কি কোনো ভালো দিক নাই” টাইপের বলে মনে হয়!
খারাপটাকে তুলে ধরলে ভালোর দোহাই দিয়ে খারাপটাকে এভাবে ঢাকতে চাওয়ার মানেটা বুঝি না।
@শ্রাবণ আকাশ,
দেখুন, এটার পেছনের কারণটি আপনি নিজেই কিন্তু বলে দিয়েছেন, আর সেটি হলো,
প্রকৃতপক্ষে, অনেকেই ডিটেইল জানেন না এই বিষয় সম্পর্কে, তাই ডঃ ইউনুসকে অন্ধভাবে সমর্থন করেন, যেহেতু উনি নোবেল পেয়েছেন। আমি যত লিংক/রেফারেন্স দিয়েছি, অনলাইনে/সংবাদপত্রে দ্বিতীয় কোন লেখক এত লিংক/রেফারেন্স দেননি। তবুও অনেকে বলেই যাচ্ছেন আমি নাকি রেফারেন্স দেই-ই নি।
ভাল থাকবেন।
এ লেখাটিতে লেখক যুক্তির চেয়ে বাচালতা, রেফারেন্সের চেয়ে শুনা কথা, ভদ্রতার চেয়ে অভদ্রতার মাত্রায় বেশী প্রয়োগ করেছেন। মু্ক্তমনার লেখার মানের সাথে এ লেখাটি যায়না বলেই আমার ধারণা। যদিও ইস্যুটি গুরুত্বপূর্ণ তাই বলে যাচ্ছেতা লেখা মু্ক্তমনায় আসুক এটা কাম্য নয়।
@হেলাল,
১) গ্রামীণব্যাংক ১৯৮৩/১৯৯৯ (সংশোধন) নীতিমালা , বাংলাদেশ ব্যাংক নীতিমালা সেকশন সহ উল্লেখ করা হয়েছে।
২) আজকের কাগজের অনেক পুরনো সংখ্যা রেফারেন্স হিশেবে দেওয়া হয়েছে।
৩) প্রথম আলো/ডেইলি স্টার এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
৪) অনেক ব্যক্তিবর্গের কথা হুবুহু কোট করা হয়েছে।
৫) কমেন্ট সেকশনে ৫ টা করে রেফারেন্স দেওয়া হয়েছে।
৬) ২ টা রঙ্গিন ছবি রেফারেন্স হিশেবে সংযুক্ত করা হয়েছে।
৭) বিভিন্ন লিংক রেফারেন্স হিশেবে দেওয়া হয়েছে।
আর কি চান ?
হায়রে কপাল মন্দ, চোখ থাকিতে অন্ধ।
আর লেখাটি তো রেফারেন্সমূলক কোন রচনা নয়, এমন তো কথা নেই যে শুধু রেফারেন্স দিয়েই ভরে দিতে হবে, লেখাটিতে যা মন্তব্য করা হয়েছে, তার বিপরীতে নিজের জ্ঞানবুদ্ধি-বিচারবিবেক ব্যবহার করেই তো বোঝা যায় যে আসলেই দেশে শান্তি এসেছে কিনা বা দারিদ্র বিমোচিত হয়েছে কিনা ।
আমাদের পাঠকশ্রেণী এত নিম্নমানের যে, তাদের নিজস্ব বিচার বিশ্লেষণ ক্ষমতা নেই, শুধু রেফারেন্স নিয়ে পড়ে থাকে। রেফারেন্স দেওয়ার পরেও বলে, রেফারেন্স দেওয়া হয়নি। আসলেই অদ্ভুত !
@হেলাল,
এ ক ম ত। (Y)
আমার প্রশ্ন একটাই, ৩৫ বছর যাবত কাজ করে যদি দরিদ্রের কোন কাজেই না আসলাম তাহলে এই ধরনের প্রতিষ্ঠান রাখার দরকারটা কী?
আচ্ছা আপনি পাকিস্তানে কী করেন। আমার তো ভাই পাকিস্তান নিয়ে বিরাট এলার্জী। আপনি যদি বাঙলাদেশী হন তাহলে ওখানে কী করেন? আমি তো ভাই না খেয়ে থাকলেও পাকিস্তান যাব না। আর যদি পাকিস্তানী হন তাহলে বাঙলা শিখলেন কোথায়?
@সাইফুল ইসলাম,
আমি জন্মসূত্রে/জাতীয়তাবাদে বাঙালি (বাংলাদেশি নই, এটা রাজাকারপন্থী জিয়াউর রহমানের আবিষ্কার), আমি নাগরিকত্বে বাংলাদেশী (যেহেতু বাংলাদেশে থাকি), আর মন মানসিকতায় বলতে চাই Cosmo Politan. পাকিস্তানী শাসকবর্গকে আমি ঘৃণা করি, তবে তার দায় পাকিস্তানী বর্তমান প্রজন্মের ওপর চাপাতে চাইনা, বাবার অপরাধের জন্য ছেলে শাস্তি পাবে না নিশ্চয়ই। পাকিস্তানে যাওয়ার পেছনে শুধু ঐ প্রেসিডেন্ট এ্যাওয়ার্ড টাই জড়িত, আর কিছু নয়। আর আমি এখন বাংলাদেশেই অবস্থান করছি।
আপনি ঠিকই বলেছেন। রাখার দরকার নেই, তবে অশিক্ষিত ডিরেক্টরদের জায়গায় শিক্ষিত ডিরেক্টরদের নিয়োগ দিলে আর সুদের হার ২০% এ নামিয়ে আনলে কিছু উপকার হতে পারে বলে আমার বিশ্বাস।
ধন্যবাদ। 🙂
লেখাটি অবশ্যই সত্য তবে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ডঃ ইউনুসের মত একজন ব্যাক্তির প্রতি সরকারের এমন প্রকাশ্য বিরোধীতা আমাদের দুর্বলতাই প্রকাশ করে এবং লজ্জিত করে এবং সরকার যে কুটনীতি ব্যাপারটা বুঝতে পেরে উঠেনি তাও প্রকাশ করে।ডঃ ইউনুসের নানান রকমের দোষ থাকলেও সরকারের অতি আক্রমনাত্মক মেজাজ এবং অপরিপক্ব কথা বার্তার কারনে ডঃ ইউনুসের দোষ ছাপিয়ে চোখে পড়ে সরকারের ত্রুটিগুলো।লেখাটিতে হয়তো এক চিমটি কুটনীতি মিশিয়ে দিলে সবার জন্যই উপযোগী হতো।
ডঃইউনুসের ‘ ইউনুস মহাজন’ হয়ে ওঠা আর শীর্ষ পদের প্রতি অসীম আগ্রহ দেখে মনে হয় “হায় কপাল, এই দেশের প্রতিটা মানুষই কলংকিত”।
বঙ্গবন্ধু যেমন জাতির পিতা হয়েও বাকশাল কায়েম করেছিলেন।
জিয়া যেমন নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হাজারো মানুষের প্রাণ নিয়ে।
বামপন্থী’রা এখন পুঁজিবাদের দালাল,
ডানপন্থী’রা বলে, আই এ্যাম এ জাহেল,
এরশাদ যেমন চুরি করে দেশটাকে স্থির করেছিলেন।
আপোষহীন নেত্রী যেমন দুর্নীতির সাথে আপোষ করলেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা যেমন ‘মুখরা’ হয়ে গেলেন।
ফখরুদ্দিনরা যেমন দুর্নীতিমুক্ত করতে এসে মৎস শিকারী হয়ে গেলেন
তেমনই,
নোবেল জয়ী ইউনুসও বাস্তবে মহাজন এবং আইনভঙ্গকারী ও ক্ষমতা’র প্রতি দুর্বলতা প্রকাশ করে আমাদের নিয়ে কলংকিত হলেন!
দুঃখ জনক হলেও সত্যি আমরা আজ পর্যন্ত অনুকরনীয় আদর্শ কাউকেই পেলাম না (N)
@অসামাজিক,
একদম মনের কথাটি বলেছেন, সরকার আসলেই বোকা। শেখ হাসিনা বোকা, আবেগিক এই মহিলা কে আমি দোষ দেইনা, ইনি অবশ্য আগের চেয়ে পরিণত হয়েছেন, তাও আবেগিক কথা বলে অনেক সময় মানুষের বিরক্তির কারণ হন। আর আমরাও বুঝতে পারিনা যে, পরিবারের সকলকে হারানোর জন্যই উনি প্রায়ই আবেগিক হয়ে কূটনীতিহীন বোকা কথাগুলো বলে ফেলেন। কারণঃ
কি যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কিসে কভু আশীবিষে দংশেনি যারে।
ভাই কিছু মনে করবেন না, আপনার লেখাটিকে বড্ড রুচিহীন, একপেশে ও বিকৃত মনে হয়েছে। আর আপনার দেয়া তথ্যের একটাকেও সন্দেহের উর্ধ্বে রাখতে পারলাম না।
আপনি যদি প্রকৃত তথ্য ও শোভন ভাষা ব্যবহার করে যুক্তি উপস্থাপন করতেন, তাহলে তা নিয়ে ভাবার অবকাশ পাওয়া যেত। কিন্তু তথ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রেও হীন কৌশল নিয়েছেন বলে মনে হলো। কেননা প্রথম আলোর বৈঠকিতে আলোচক অর্থনীতিবিদদের মূল বক্তব্যকেও বিকৃত অর্থে ব্যবহার করেছেন আপনি। কৌতুহলী পাঠকদের জন্য পত্রিকার সেই লিংকটা দিলাম, যাতে আপনার উদ্দেশ্যমূলক তথ্য-ব্যবহার ও প্রকৃত অর্থে তাঁরা যেভাবে বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন তার একশ আশি ডিগ্রির পার্থক্যটা পাঠকরা অনুধাবন করতে পারেন। (প্রথম আলোর লিংক এখানে। )
দুটোতে তুলনা করলে এরপর আপনার কুরুচিপূর্ণ আপত্তিকর লেখার বাকিটা কারো পড়ার রুচি হবে না বলেই বিশ্বাস। কুরুচিপূর্ণ বললাম এজন্যই যে, আপনি গ্রামীণের গরীব স্বল্পশিক্ষিত শেয়ার হোল্ডার সদস্যদেরকে যেভাবে এড্রেস করলেন তাতে করে আপনার দরিদ্রপ্রেমের নমুনা বুঝতে কারো কষ্ট হবার কথা না। আপনার ধারণায় কি অশিক্ষিত হলে কেউ কোন কিছুর মালিকানা শেয়ার হোল্ডার হতে পারবে না ! কিভাবে ভাবলেন যে আমাদের আত্মীয়-পরিজন গ্রামীণের সাথে জড়িত নয় বা কেউ কিছু জানে না ? এত দেশপ্রেম নিয়ে আপনি বাইরে পড়ে রইলেন কী করে ! দেশে এসে সমমনারা মিলে এরকম একটা প্রতিষ্ঠান বানিয়ে ফেললেই তো ল্যাঠা চুকে যেতো। অধিকতর সুযোগ ও সুবিধার আশায় আমরা আপনাদের কাছেই ধর্না দিতাম। আর নোবেল পাওয়ারও একটা সুযোগ পেয়ে যেতেন আপনারা। অবশ্য কারো কারো বক্তব্য অনুযায়ী টাকা ও প্রভাব দিয়ে নোবেল পাওয়ার সুযোগ রয়েছে জেনেও বিল গেটস বা টেড টার্নাররা এতো গবেট হলেন কি করে সেটাও বুঝি না !
কথার তোড়ে যেভাবে আপনি গ্রামীণের ঋণের সুদ ৪০% পর্যন্ত টেন উঠিয়ে দিলেন, তাতে করে এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকও আপনার তথ্যের কাছে হার মানতে বাধ্য মনে হচ্ছে ! ওইখানে লিংকে অর্থনীতিকদের বক্তব্যগুলো আবারো একটু ভালোভাবে পড়ে দেখার অনুরোধ করছি।
আর আপনার বক্তব্য অনুযায়ী ব্যক্তি ড. ইউনূসকে যেভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত টাকার কুমীর বানিয়ে দিলেন, এর স্বপক্ষে একটা প্রমাণও কি কেউ দেখাতে পেরেছে ? এমন কোন প্রমাণ আপনার হাতে থাকলে দয়া দেখাবেন কি ? যদি না পারেন তাহলে আপনার এই আপত্তিকর কথাগুলো উইড্র করবেন আশা করছি। একজন ব্যক্তি সম্পর্কে কোন হাওয়াই অভিযোগ নিশ্চিত না হয়ে আপত্তিজনক এড্রেসিং করাটা কোনভাবেই ভদ্রতার পরিচায়ক নয় বলেই জানতাম।
আসল কথা হচ্ছে, মাঠের বক্তব্য, যা দিতে তথ্য প্রমাণ হাজির করতে হয় না, সেটা একটা রুচিশীল ব্লগে এসে দিয়ে ফেলেছেন। জায়গা পছন্দ করতে ভুল করে ফেলেছেন মনে হয়। এখানে যা বলতে হয় তথ্য-প্রমাণ সহকারেই বলতে হয়। তথ্যহীন কিংবা বিকৃত তথ্যসমেত অনল বর্ষণ করে লাভ নাই ভাই ! দয়া করে রাজনৈতিক বক্তৃতা বাদ দিয়ে ভাষাটাকে আরেকটু শোভন ও নিরেট তথ্যবহুল করে যুক্তিপূর্ণভাবে আপনার বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তাহলে অবশ্যই আমরা মনোযোগ দিয়ে শুনবো। পাঠককে এতোটা বোকা ভাবা কোন লেখকের কাছ থেকে কাম্য নয়। তখন নাহয় যুক্তি তর্কে মেতে ওঠা যাবে।
আমার মন্তব্য কোনভাবেই ব্যক্তিবিদ্বেষপ্রসূত নয় বলেই জানবেন। একজন সচেতন পাঠক হিসেবে আপনার লেখাটার প্রকৃতি সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দেয়ার চেষ্টা করলাম। অনেক ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।
@রণদীপম বসু,
প্রথম আলোর লিঙ্কে এম এ আকাশ বলেছেন –>
এখানে একটু হিসেব করে দেখি, ২০% আসলে কত সুদে দাঁড়ায়। ধরি ১০০ টাকা কেউ ঋণ নিল ২০% সুদে এক বছরের জন্য। ঠিক একবছর টাকাটা ধরে রাখলে ৩৬৬ তম দিনে গ্রহীতাকে ১২০ টাকা ফেরত দিতে হবে। কিন্তু কিস্তিতে দিলে নিশ্চয় মোট ১২০ টাকা হবে না।
আরও একটু পরিষ্কার করে বলি। কিস্তিতে পরিশোধ্য ব্যাপারটি অন্য রকম দাঁড়ায়। প্রথম কিস্তিতে সমস্ত ঋণের (আসল) উপর সুদ হবে। পরবর্তী কিস্তিতে অবশিষ্ট আসলের উপর সুদ হবে। এভাবে চলতে থাকবে। তখন দেখা যাবে শেষ কিস্তিতে সুদের পরিমান নগন্য হয়ে গেছে। ফলে সারা বছরে সুদ হিসেবে ২০ টাকা নয়, অনেক কম দিতে হবে। কিস্তির হিসেব করার জন্য আন্তর্জালে অনেক সফটওয়্যার পাওয়া যায়। এরকম সফটওয়্যার দিয়ে হিসেব করলে দেখা যাবে, গ্রহীতা যদি প্রতি সপ্তাহে কিস্তি শোধ করে তাহলে মোট সুদের পরিমান হবে 10.52 টাকা সারা বছরে।
গ্রামীণ ব্যাংক ১২০টাকাকে সোজা ৫২ সপ্তাহ দিয়ে ভাগ করে। ফলে কিস্তিতে যে টাকা ক্রমাগত শোধ করা হয়ে গেল তার উপরেও সুদ আদায় করতে থাকে। অর্থাত বছরান্তে মোট 10.52 টাকার স্থলে ২০ টাকা সুদ আদায় করে। এখন হিসেব করে দেখুন ২০% এর স্থলে আসলে কী রেটে সুদ নিচ্ছে। (20/10.52 *20 = 38.02)
@নৃপেন্দ্র সরকার, দারুন একটা হিসাব দেখিয়েছেন তো! :-s
এ ব্যাপারে কে কি বলেন, দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
এম এম আকাশের এহেন বক্তব্য নির্লজ্জ মিথ্যাচার, যা নিচে ৫ টি রেফারেন্সের মাধ্যমে প্রমাণ করা হয়েছে, গ্রামীণব্যাংক নিজেরাই স্বীকার করেছে তাদের ৪০% এর কথা।
নৃপেন্দ্র সরকার শুধু শুধু কলুর বলদের মত খাটাখাটনি করলেন, ৪০% দিয়ে আবার অংকটি করুন।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
চমৎকার একটা হিসেব দেখালেন। ২০% বনাম ৪০% এর এটাই কি ব্যাখ্যা তাহলে? একটা কথা। অনেক ঋণের ক্ষেত্রেই কিন্তু টাকা প্রথমে প্রিন্সিপালে যায় না — প্রথমে সুদ দিতে হয়, তারপর প্রিন্সিপালে টাকা যায়। যেমন ধরুন বাড়ির মর্টগেজ।
@রৌরব,
১। আমার আগের উদাহরণ টেনে বলছি। ১২০ টাকাকে ৫২ দিয়ে ভাগ ফলের সাথে সুদ এবং আসল দুটোই আছে।
২। বাড়ীর মর্টগেজে প্রথম কিস্তি থেকেই সুদ এবং আসল দুটোই থাকে
@নৃপেন্দ্র সরকার,
অাহা, ঠিক বলেছেন। ব্যাপার হল, হিসেবটা কিভাবে হচ্ছে। আমি যখন প্রথম সপ্তাহে ১২০/৫২ টাকা দিচ্ছি, তখন কি সুদটা দিলাম, না আসলেও টাকা গেল? আমার জানাশোনার মধ্যে অভিজ্ঞতা আছে দুরকমেরই, বিশেষত বাড়ির ক্ষেত্রে প্রথমে কেবল সুদ দিয়ে যাওয়ার ঘটনা জানি। এনিওয়ে, মূল কথা হল তুলনার ক্ষেত্রে একই মানদণ্ড ব্যবহার করা। কারণ ২০% বা ৪০% এই সংখ্যাটা ব্যাপার নয়, ব্যাপার হল আসলে কি ঘটছে, এবং যখন বিভিন্ন ঋণদাতার মধ্যে তুলনার প্রশ্ন আসছে (মহাজন/গ্রামীণ/সরকারি ব্যাংক ইত্যাদি), তখন একই হিসেব ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা।
@রৌরব,
আপনি যে ফিক্সড এমাউন্ট দিচ্ছেন প্রতি মাসে তাতে সুদ এবং আসল দুটোই আছে। যতই দিন যায় রিমেইনিং আসল কমতে থাকে, ফলে একই ফিক্সড এমাউন্টে আপনি বেশী বেশী পরিমানে আসল দিতে থাকেন। উদাহরণ দিয়ে বলি। আপনার মান্থলি যদি ১০০০ ডলার ধরি, প্রথম মাসে হয়ত আপনি ৯০০ ডলার সুদ আর একশ ডলার আসল দিলেন। মর্টগেজের শেষ মাসে দেখা যাবে আপনি ৯৯০ ডলার আসল এবং মাত্র দশ ডলার সুদ দিলেন। আপনার মান্থলি কিন্তু একই থাকছে।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
নৃপেনদা, খুব সম্ভবত আপনার গ্রামীণের সুদের হিসাবটা কাছে থেকে দেখার সুযোগ হয়নি। নইলে উপরোক্ত সুদ হিসাবের বিভ্রান্তিকর জটিলতা সৃষ্টি হতো না। মজার ব্যাপার হচ্ছে, অনেকেই বাস্তবাবস্থাটা মিলিয়ে না-দেখার কারণে এই বিভ্রান্তিতে পড়ে যান।
গ্রামীণের সুদ চার্জের হিসাবটা কিন্তু প্রচলিত ব্যাংকিং নিয়মকে পুরোপুরি অনুসরণ করে। তা বাংলাদেশ ব্যাংকও অডিট করে দেখেছে এবং তারাও বলেছে যে গ্রামীণ ক্রমহ্রাসমান পদ্ধতিতে ২০% হারে সরল সুদ আদায় করে। সুদের ব্যাপারে পাঠকদের বিভ্রান্তি দূর করার জন্যে এটা আরেকটু ব্যাখ্যা করি।
ক্রমহ্রাসমান পদ্ধতি হচ্ছে ঋণগ্রহীতা যে পরিমাণ টাকা যতদিন ভোগ করেন, সে পরিমাণ টাকার ততদিনের সুদচার্জ করা। যেহেতু গ্রামীণের সিস্টেমে সাপ্তাহিক কিস্তির ব্যবস্থা রয়েছে তাই নমুনা হিসেবে যদি আমরা মূল ঋণ ১০০০ টাকা ধরে নেই তাহলে সমান পঞ্চাশ কিস্তিতে ঋণকে ভাগ করে নিলে সাপ্তাহিক ঋণের কিস্তি হবে ২০ টাকা। অর্থাৎ একজন ঋণগ্রহীতা প্রথম ঋণ নেয়ার এক সপ্তাহ পর ২০ টাকা কিস্তি দিলে তার আদায়যোগ্য মূলঋণ প্রথম কিস্তি দেয়ার তারিখে হবে (১০০০-২০) = ৯৮০ টাকা। এভাবে প্রতিসপ্তাহে এটা ৯৬০, ৯৪০, ৯২০, ….. ৬০, ৪০, ২০ এভাবে আদায়যোগ্য ঋণের পরিমাণ কমে যাবে। ক্রমহ্রাসমান পদ্ধতিতে এই ঋণগ্রহীতার ক্ষেত্রে সুদচার্জ হবে ব্যাংকিং রীতিতে ১০০০টাকার ৭দিনের সুদ + ৯৮০টাকার ৭দিনের সুদ + ৯৬০টাকার ৭দিনের সুদ + ….+৫০০টাকার ৭দিনের সুদ (২৫নম্বর সপ্তাহে)….. + ৪০টাকার ৭দিনের সুদ + ২০ টাকার ৭দিনের সুদ… = ৫০সপ্তাহের বা ৩৫০দিনের সুদ।
ব্যাংকিং নিয়মে এবার ক্যালকুলেশন করি আমরা। সরল সুদচার্জের নিয়ম হচ্ছে,
সুদ = [{(১ম ব্যালেন্স + শেষ ব্যালেন্স)/২} *ঋণ ব্যবহারের দিন সংখ্যা/ ৩৬৫] * সুদের হার %
এখন প্রথম সপ্তাহের সুদ হবে = [{(১০০০ + ৯৮০)/২}* ৭/৩৬৫]* ২০/১০০
= [৯৯০*৭/৩৬৫]* ২০/১০০ = ৩.৮০ টাকা।
এভাবে দ্বিতীয় সপ্তাহের জন্য সুদ হবে = [{(৯৮০ + ৯৬০)/২}* ৭/৩৬৫]* ২০/১০০
= [৯৭০*৭/৩৬৫]* ২০/১০০ = ৩.৭২ টাকা।
কিন্তু ঋণ পরিশোধের প্রকৃতি অনিয়মিত না হলে নিয়মিত ঋণের ক্ষেত্রে এভাবে সাপ্তাহিক ব্রেক মেথডে প্রতি সপ্তাহের সুদ চার্জ করে মোট সপ্তাহের যোগফল করে গোটা বছরের সুদ বের করার প্রয়োজন হয় না। যেহেতু ঋণ পরিশোধের ধরন নিয়মিত সাপ্তাহিক, তাই সেখানে ব্যাংকিং রীতিতে গোটা বছরের হিসাবটাকে একই গড় নিয়মে বের করা হয়। এতে মোট হিসাবে গাণিতিক নিয়মে মোট চার্জের হেরফের ঘটে না। এক্ষেত্রে গোটা বছরের সুদ একই নিয়মে প্রথম দিনের আদায়যোগ্য ঋণ হয় ১০০০ টাকা এবং সর্বশেষ কিস্তি প্রদানের আগের দিনে আদায়যোগ্য ২০ টাকা। ফলে
সুদ = [{(১০০০ + ২০)/২}*৩৫০/৩৬৫]*২০/১০০ = ৪৯৯টাকা।
এখানে আরেকা বিষয় ধর্তব্য যে, ৫০ সপ্তাহের মোট দিন সংখ্যা ৩৫০ দিন ধরা হলেও বছরে সরকারি ছুটি বা ইত্যাদি কারণে গড়ে দু’সপ্তাহ সংশ্লিষ্ট কিস্তি পরিশোধের সাপ্তাহিক তারিখে বন্ধ থাকতে পারে। ফলে আমরা যদি মোট ঋণ ব্যবহারের দিন সংখ্যা ৩৬৫ দিনই ধরি তাহলেও হিসাবটা হবে এরকম,
সুদ = [{(১০০০ + ২০)/২}*৩৬৫/৩৬৫]*২০/১০০ = ১০২ টাকা।
তাহলে ২০% রেটে ক্রমহ্রাসমান পদ্ধতিতে কী দাঁড়ালো ? সুদ হার প্রায় ১০% ফ্ল্যাট রেটে নেমে এলো। গ্রামীণ ব্যাংকের জন্য এটাই প্রকৃত বাস্তবতা। কেউ যদি বছরের মাঝখানে ধরা যাক ২৫ সপ্তাহ পরে ঋণ একবারে পরিশোধ করে দিতে চায় সেক্ষেত্রে একই ব্যাংকিং রীতিতে হিসবটা হবে এরকম,
সুদ = [{(১০০০ + ৫০০)/২}*১৭৫/৩৬৫]*২০/১০০ = ৭২ টাকা।
এখানে গ্রামীণের অন্যান্য ঋণ যা ৮% বা ৫% বা অন্য কোন রেট, সবগুলোর জন্য সুদচার্জের এই স্বীকৃত নিয়ম প্রযোজ্য। সারা দেশে আড়াই হাজারের উপর গ্রামীণ ব্যাংকের শাখায় কোথাও এই নিয়মের বাইরে কেউ যদি ঋণের সুদচার্জের অন্য কোন নিয়মের চর্চা দেখাতে পারেন, চ্যালেঞ্জ থাকলো। গ্রামীণ এখানে ১০% ফ্ল্যাট রেটের ভণ্ডামো না করে ২০% ডিক্লাইনড রেটের কথা বলে বিশ্বস্ততার পরিচয় দিয়েছে। যা বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন সময়ে চুরচেরা হিসাব করে দেখেছে এই সত্যটা তাদের বক্তব্যে উল্লেখও করেছে।
এবার আসেন আমরা ফ্ল্যাট রেটের মহিমাটা একটু দেখি যা অনেক প্রতিষ্ঠান সুকৌশলে করে থাকে। কোন কোন প্রতিষ্ঠান বলে থাকে ওরা মূলঋণের উপর ১৫% সুদ নেয় ফ্ল্যাট রেটে। এক্ষেত্রে সুদকষার খুব স্বাভাবিক নিয়মে মুল ঋণ ১০০০টাকার জন্য সুদ হবে = ১০০০ *১৫/১০০ = ১৫০ টাকা। অর্থাৎ সুদের হার কম দেখিয়েও প্রতি হাজার টাকার জন্য এরা গ্রামীণ থেকে ৫০ টাকা করে বছরে সুদ বেশি নিচ্ছে।
যদি কোন ঋণ গ্রহীতা যদি এই ১৫% সুদহার্ই বছরের মাঝামাঝি সময় অর্থাৎ ২৫ সপ্তাহ পর ঋণ পূর্ণ পরিশোধ করতে আগ্রহী হয়, সেক্ষেত্রে খুব স্বাভাবিক সরল সুদের ফ্ল্যাট নিয়মে সুদ হওয়ার কথা অর্ধেক, অর্থাৎ ৭৫ টাকা। এটাও গ্রামীণের ২০% ডিক্লাইড রেট থেকে সুদ নিচ্ছে বেশি। আরো ভয়ঙ্কর আশংকার কথা হচ্ছে, ঋণ যখনই পরিশোধ করুক না কেন সুদ সেই মূলঋণের উপর ফ্ল্যাট রেটে গোটা বছরের সুদটা নিয়ে নিচ্ছে। যারা অংক ও ব্যাংকিংয়ে পারদর্শী, দয়া করে এই সুদের হিসাবটা কেউ বের করে দেখুন তো তা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় !!
এবার সুদ আদায়ের ব্যাপারে আরেকটু কথা বাকি রয়ে গেলো। সেটা হলো গ্রামীণে সুদ আদায় প্রক্রিয়া নিয়ে। এক্ষেত্রে গ্রামীণের সিস্টেম অনুযায়ী তারা গোটা বছরের সম্ভাব্য সুদের পরিমাণ ১০০০টাকা ঋণের জন্যে ১০০ টাকাকে সাপ্তাহিক কিস্তিতে ভাগ করে শুরু থেকেই আদায়ের উদ্যোগ নেয়া। তবে সুদের পূর্বোক্ত গড় পদ্ধতির হিসাব অনুযায় প্রথম সপ্তাহেই যে টাকা চার্জ হয় সেটাও আনেন না। বা বলা যায় প্রথম অন্তত ২৫ সপ্তাহ পর্যন্ত যে টাকা সুদ চার্জ হতে পারতো সুদ আদায়ের পরিমাণ বাস্তবে অবশ্যই তার চেয়ে কম হয়ে থাকে।
এখানেও কথা থাকে। নিয়ম অনুযায়ী যদি ঋণ পরিশোধের পর সুদ আদায় করা হতো এককালীন, তাহলে উপরোক্ত হিসাবে সুদের হার নিয়ে কোন বিতর্ক থাকার সুযোগই হতো না। যেহেতু শুরু থেকে আংশিক সুদ আদায় হয়, তাই ধরে নেয়া যায় আদায়কৃত সুদের চূড়ান্ত হারে কিছুটা বিচ্যুতি ঘটে। সেটা কতো ? অনেকে বিভিন্নভাবে বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন। কেউ বলেন চূড়ান্ত হিসাব দাঁড়ায় ২২%, কেউ বলেন ২১%, কেউ আবার ফ্র্যাকশন যোগ করে বলেন ২১ দশমিক সামথিং। এ ব্যাপারেও দক্ষ গণিতবিদরা হিসাব করে দেখে সঠিক রেটটা জানালে বাধিত হবো। তবে আমার ধারণায় এটা সম্ভবত ২১ দশমিক ২৫ পারসেন্ট। মানে ২১.২৫%।
এবার স্মরণ করে দেখুন তো পিকেএসএফ কেন সর্বোচ্চ ২৭% এর মধ্যে রাখতে বলছে ? সম্ভবত উপরে উল্লিখিত ফ্ল্যাট রেটের হিসাবধারীদের সুদহিসাবের মাহাত্ম্যটা নিশ্চয়ই তাদের নজরে এসেছে। গ্রামীণের রেট সুনিশ্চিতভাবেই এ থেকে অনেক কম। এটাই জ্বলন্ত বাস্তবতা।
বিস্ময়ের কথা হলো, অনেকেই সরেজমিনে যাচাই না করে, আমি আবারো বলি সরেজমিনে যাচাই না করে অবিবেচকের মতো গ্রামীণকে উচ্চসুদ হারের জন্য দোষী সাব্যস্ত করে রীতিমতো কটুবাক্য বর্ষণ করে যাচ্ছেন। কেন করেন তা তাঁরাই ভালো বলতে পারবেন। তবে যারা এই অবিবেচনা প্রসূত সুদের বিষয়ে গ্রামীণের প্রতি কাল্পনিক অভিযোগ আনছেন, তাঁদের প্রতি, তিনি যদি বদরুদ্দিন উমর বা অন্য কেউও হন, আমার নিবেদন এবার অন্তত একবারের জন্যে হলেও সরেজমিন যাচাই করে সত্যটুকু বলুন।
এখানে এতো ব্যাখ্যা করে সুদের হিসাবটা দেয়ার কারণ হলো পাঠককে প্রকৃত বাস্তবতার দিকে দৃষ্টিনিবদ্ধ করা। কেননা ইতোমধ্যেই এই পোস্টের লেখক বিভিন্ন মন্তব্যে ব্যক্তি আমার প্রতি এবং অন্য সহব্লগারের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অবিবেচকের মতো অশোভবভাবে যে অভিযোগগুলো এনেছেন (মডারেটরদের দৃষ্টিতে পড়েছে কিনা কে জানে), তার জবাব দিতে যাওয়াও আমার কাছেই অরুচিকর ঠেকছে। তার চেয়ে আগামীতে সামগ্রিক বিষয়ের উপর একটা পোস্ট লিখে পাঠকবিভ্রান্তি দূর করার চেষ্টা করাই সুরুচির পরিচায়ক হবে মনে করি।
অনেক ধন্যবাদ নৃপেনদা, আপনার মন্তব্যের জবাবে এতো দীর্ঘ মন্তব্য করতে বাধ্য হওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আশা করি মনে কিছু নেবেন না। ভালো থাকবেন। আমার বক্তব্য পরিষ্কার করতে না পারলে অন্য সময় আবারো চেষ্টা করবো জবাব দিতে।
@রণদীপম বসু,
উপরের হিসেব থেকে মনে হচ্ছে আমার মনে হচ্ছে আপনার সাথে একমত হব। পুরোটা এখনও পড়তে পারিনি।
আপনার নীচের হিসেবটা আমাকে ভাল করে দেখতে হবে এবং বুঝতে হবে।
তার আগে বলুন ২০০০ টাকা ধার নিয়ে আপনার সাপ্তাহিক কিস্তি হিসেবে সর্ব সাকুল্যে ঋণ গ্রহীতাকে কত টাকা সুদ হিসেবে দিতে হয়।
@রণদীপম বসু,
যাক আপনাকে পেয়ে ভাল হল। আমি একটি শিক্ষা ঋন নিয়েছিলাম। এখন তার টাকা পরিশোধ করছি।৫৭০০০টাকা তিন বছরে নিয়েছি।৫% হারে সুদ দিতে হবে।৩৬মাসে পরিশোধ করতে হলে প্রতি কিস্তি কত করে দিতে হবে?
দয়া করে জানালে কৃতজ্ঞ হবো।
@আসরাফ,
হা হা হা ! আসরাফ, আপনিও সম্ভবত আমার সম্পর্কে নিশ্চিত না জেনেই প্রশ্নগুলো করলেন !
যাক, আপনার প্রশ্নের পরিষ্কার উত্তর মনে হয় আপনি আপনার সংশ্লিষ্ট গ্রামীণ ব্যাংক শাখায় গেলেই পেয়ে যাবেন।
তবে ভাই আপনাকে একটা অনুরোধ করি। বুঝাই যাচ্ছে আপনি গ্রামীণ ব্যাংকের সাথে কোন না কোনভাবে জড়িত। আপনি তো আপনার আশেপাশে গ্রামীণের কার্যক্রম নিয়ে স্বচ্ছ একটা ধারণা দিতে পারেন সবাইকে। চারদিকে এতএত বিভ্রান্তি, তথাকথিত জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিদের অবিশ্বাস্য মিথ্যাচার দেখে এদেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে খুব অসহায় লাগে মাঝেমাঝে। অসহনীয় সব তথ্যবিকৃতি দেখলে মাঝেমধ্যে প্রতিবাদ করি। তবে যেটুকু করি তা জেনে বুঝে নিশ্চিত হয়েই করার চেষ্টা করি। লেখালেখি করতে গিয়ে এ দোষটুকু অর্জন করে ফেলেছি, এটুকুই।
ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।
@রণদীপম বসু,
চমৎকার বিশ্লেষণ। এই আলোচনাটাই শুরু থেকে প্রয়োজন ছিল।
আমার দুই একটা প্রশ্ন আছে আপনার কাছে। আমি অর্থনীতিবিদ নই, কাজেই হাস্যকর মনে হলে উত্তর না দিলেও চলবে।
প্রথমতঃ আপনি ১০০০ টাকা ঋণের যে হিসাবটা দিলেন, এর থেকে কত পার্সেন্ট গ্রামীণ ব্যাংক ফোর্সড ডিপোজিট হিসাবে কেটে রাখে? যদি ১০% হয়, তবে ঋণগ্রহীতা কিস্তির সমুদয় অর্থ পরিশোধের আগে পাচ্ছে মাত্র ৯০০ টাকা। এই ৯০০ টাকাকে হিসাবে নিলে আপনার প্রদত্ত সুদের হার কি একই থাকবে নাকি পালটে যাবে?
দ্বিতীয়তঃ গ্রামীণ ব্যাংক কি তার সব ঋণই এক বছর মেয়াদে দেয়? যদি না দিয়ে থাকে, তবে এই একহাজার টাকা কেউ যদি ৫ বছর বা ১০বছরের জন্য নিয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে ডিকলাইনিং ব্যাসিস মেথডে তার সুদের হার কি ভিন্নতর হবে? হলে সেটা কত হবে?
আপনার এই আলোচনা থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার হলো যে, গ্রামীণ ব্যাংক আর আট-দশটা ব্যাংকের মতই একটা ব্যাংক, যার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে ব্যবসা করা। এতে আমি কোনো দোষ দেখি না। কিন্তু ইউনূস ভক্তদের কথা শুনলে মনে হয় যেন, এই ব্যাংক এবং এর প্রতিষ্ঠাতাকে সাক্ষাৎ ঈশ্বরের কাছ থেকে প্রেরণ করা হয়েছে বাংলাদেশের দারিদ্রকে জাদুঘরে পাঠানোর জন্য। ডঃ মুশফিক দাবী করেছেন যে, আপনি গ্রামীণ ব্যাংক এ কর্মরত। এর কোনো প্রতিবাদ আপনি করেন নি। কাজেই, আমি ধরে নিচ্ছি যে, এটা সত্যি। গ্রামীণ ব্যাংক এর একজন কর্মকর্তা হিসাবে আপনি আমাকে বলুনতো এই ব্যাংক এর মহাত্মটা কী? বাংলাদেশের দারিদ্র দূরীকরণে এই ব্যাংক এর ভূমিকা কতখানি? নোবেল কমিটি ডঃ ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংককে শান্তিতে অবদানের জন্য পুরস্কার দিয়েছে, এতে একজন বাংলাদেশি হিসাবে আমি গর্বিত। বাংলাদেশের যদু মধু যে কেউ পুরস্কার পেলেও আমার আনন্দের কোনো ঘাটতি হবে না। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংক এ কর্মরত একজন ব্যক্তি হিসাবে এ বিষয়ে আপনাদের নিজস্ব মূল্যায়নটা কী? আপনারা কি সত্যি সত্যিই বিশ্বাস করেন যে, শান্তিতে আপনাদের বা প্রফেসর ইউনূসের অবদান নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য ছিল?
@ফরিদ আহমেদ,
আমি যতদুর জানি।৪৫ কিস্তিতে তা পরিশোধ করতে হয়। তাহলে দাঁড়ায় ১০ মাসের মতো।
@ফরিদ আহমেদ,
ফরিদ ভাই, প্রথমেই আমি গ্রামীণ ব্যাংকার কি না তার ব্যাপারে আমার বক্তব্য হচ্ছে আমি ডঃ মুশফিকের দাবীর পক্ষে বা বিপক্ষে কোন মন্তব্য থেকে যতটুকু সম্ভব বিরত থাকার চেষ্টা করেছি আমার ব্যক্তিগত রুচিবোধের দায় থেকে। কেননা তিনি যেভাবে আপত্তিকরভাবে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছেন, তাতে করে তাঁর জবাব দেয়াটাই আমার কাছে আপত্তিকর মনে হয়েছে। অতএব এই জবাব দেয়া না দেয়ার সাপেক্ষে আমার কর্ম অবস্থানের কিছু প্রমাণিত হয় না। মুক্তমনায় আমি একজন মুক্তমনা লেখক ও পাঠক হিসেবেই আলোচনায় অংশগ্রহণ করি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত দায় নিয়ে। অতএব আমার বক্তব্য কোনভাবেই গ্রামীণ ব্যাংকের বক্তব্য বলে চাপিয়ে দেয়ার বিন্দুমাত্র অবকাশ নেই। আর এ মুহূর্তে আমি আমার কর্মস্থল বা পেশার ফিরিস্তি দিতেও আগ্রহী নই। যদি আমার ব্যক্তিগত কৌতুহল ও অভিজ্ঞতার সাপেক্ষে আমার বক্তব্য জানতে আগ্রহী হন তাহলে আমার মতো করে উত্তর দিতে পারি। তবে ডঃ মুশফিকের ভাষায় অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করি প্রবাদটা সম্পর্কে যেমন অবগত, তেমনি আমি আমার না-জানা বিষয় সম্পর্কে খুবই সচেতন থাকি বলে যা বলি বা যেটুকু বলি জেনেশুনেই বলার চেষ্টা করি।
এবার আপনার জিজ্ঞাস্য বিষয়ে আসি।
আমার জানামতে ঋণ প্রদানের সময় ঋণ থেকে কোন টাকাই তারা ফোর্স হিসেবে কেটে রাখে না। তবে সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা আগ্রহী হলে তাঁর ব্যক্তিগত সঞ্চয়ী আমানত থেকে অনুমোদিত ঋণের ৩% সমপরিমাণের টাকা দিয়ে তাঁর নামে একটা ঋণবীমা সঞ্চয় হিসাব খোলা হয়, কেবল মৃত্যুজনিত কারণ ছাড়া তা ঋণপরিশোধের পরপরই ফেরতযোগ্য। দুর্ভাগ্যক্রমে ঋণগ্রহিতার মৃত্যু হলে সেই বীমার কারণে তাঁর আদায়যোগ্য ঋণ যে পরিমাণই থাক না কেন তা মওকুফ হয়ে যায়। সম্ভবত বাংলাদেশে খুব কম গ্রামই আছে যেখানে গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণগ্রহীতা গরীব সদস্য নাই। অতএব আমার জ্ঞাত তথ্য সহজেই যাচাই করে নিতে পারেন যে কেউ। ফলে আপনার পরবর্তী সম্ভাব্য সুদ চার্জের ধারণাটা বোধ করি প্রযোজ্য হবে না।
আমার জানামতে গ্রামীণ ব্যাংকের উৎপাদনমুখী ঋণগুলোই কেবল এক বছর মেয়াদী। এছাড়া গৃহঋণ আছে যা দীর্ঘমেয়াদী। একইভাবে সদস্যের ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষাঋণ আছে যা শিক্ষা চলাকালীন ০%, শিক্ষাসমাপ্তির এক বছর পর থেকে ঋণ পরিশোধ শুরু করতে হয় শিক্ষাসমাপনের পর থেকে ৫% সুদের হারে। আপনার মন্তব্যের ঠিক উপরেই ব্লগার আসরাফের মন্তব্যটি খেয়াল করেন। এই ঋণ সম্ভবত যত বছরের শিক্ষাকোর্সের জন্য নেয়া হয় শিক্ষাসমাপনের এক বছর পর থেকে তত বছরে পরিশোধ করতে হয়। তবে যতবছর মেয়াদী ঋণই হোক তা ঘোষিত সুদ হারের ডিক্লাইন মেথডেই চার্জ করা হয়।
আর সর্বশেষ নোবেল পুরস্কার নিয়ে যে প্রশ্ন করলেন তার উত্তরে মনে হয় নোবেল কমিটির সাইটেশনই ভালো জবাব দিতে পারে। এছাড়া প্রথম আলোর আলোচিত গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষজ্ঞ অর্থনীতিবিদদের বক্তব্য থেকেও কোন ধারণা পাওয়া যেতে পারে। এ পর্যায়ে এটা এমনই এক ব্যাপক বিষয় যে প্রত্যেকেই যার যার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই পক্ষাবলম্বন করবে। সেক্ষেত্রে এই হাইপোথিটিক (আমার দৃষ্টিতে) আলোচনাটা অন্য সময় ও সুযোগের জন্য তুলে রাখি ?
তবে আবারো বলে রাখি আমার উপরোক্ত বক্তব্য দিয়ে আমার পেশা সংক্রান্ত কিছুই প্রমাণ হয় না। কেননা গ্রামীণের ওয়েবসাইট, বিভিন্ন সময়ে তাদের পত্রিকার রিজয়েন্ডার বা বিভিন্ন প্রকাশনা পুস্তক থেকে যে কেউ এই ধারণাগুলো অনায়াসে পেতে পারে। অনুসন্ধানী হিসেবে আমার ব্যক্তিগত কৌতুহল এই তথ্যগত ধারণা পরিষ্কার হতে সহায়তা করেছে। তবে আমার কথায় নির্ভর করার আগে যথাযথ যাচাই করে নিশ্চিত হওয়ার অনুরোধ করবো সবাইকে। ধন্যবাদ আপনার চমৎকার আলোচনাটা উত্থাপনের জন্য।
@রণদীপম বসু,
বুঝতে পেরেছি। আপনাকে করা আমার আগের মন্তব্যের শেষ অংশটার জন্য দুঃখপ্রকাশ করছি। প্রত্যাহার করে নিচ্ছি ওইটুকু আমি।
@রণদীপম বসু,
কথাটি বলেই আপনি সকলের মধ্যে আমার দাবিটিকে এবং অন্যদের সন্দেহকে আরো জোরালো করে তুললেন, অন্যরা না জানলেও আমি তো জানি, গ্রামীণব্যাংকের মধ্যেই আমার নির্ভরযোগ্য সূত্র রয়েছে, সুতরাং………………
আর গ্রামীণের ওয়েবসাইট, তাদের পত্রিকার রিজয়েন্ডার আর বিভিন্ন প্রকাশনা পুস্তকের নাম/লিংক উল্লেখ করে দেবেন, এভাবে কমন নাউন ব্যবহার করলে তো হবে না, স্পেসিফিক্যালি বলতে হবে তো ।
@রণদীপম বসু,
উপরে সুদের হিসাবের মধ্যে কীবোর্ডের ভুল টেপায় এক বছরের ১০০০টাকার ২০% রেটে চার্জকৃত সুদ শুধু ৯৯ টাকার স্থলে ৪৯৯ টাকা হয়ে গেছে বলে দুঃখিত । আশা করি পড়ার সময় সংশোধিত রূপেই পড়বেন। ধন্যবাদ।
@রণদীপম বসু,
অনেক অনেক ধন্যবাদ, রণদীপম।
এবারে আমার দুঃখ প্রকাশ করার পালা।
(১০০০ + ২০)/৫২ করে যা হবে তার উপরই প্রতি মাসের কিস্তি। যোগ করে ২ দিয়ে ভাগ করা নিয়ে বাজারে দ্বায়িত্ব সম্পন্ন লোকদের মধ্যে একটা বিভ্রান্তি বিদ্যমান। আমি যাচাই-বাছাই না করে বিশ্বাস করে ২০%কে 38.2% এর হিসেব দেখিয়ে ভুল করেছি। আসলে কিস্তির যে হিসেব আমি দেখিয়েছি তাই standard. সহজ পদ্ধতি ব্যবহার করে গ্রামীণ ব্যাংক { প্রথম কিস্তির বেলায় (১০০০ + ৯৮০)/২ ভাগ করে যা হ্য় তার উপর ৭ দিনের সুদ} আসলে গ্রহীতাদের কাছে থেকে কমই নিচ্ছে।
standard হিসেব অনুযায়ী প্রথম ও দ্বিতীয় মাসে 3.85 এবং 3.78 হবে। কিন্তু রণদীপমের হিসেব মোতাবেক গ্রামীন ব্যাংক নিচ্ছে 3.80 এবং 3.72
হ্যাটস অফ, রণদীপম। আমি আগেও মুক্তমনায় আমার জানা তথ্যের উপর ভিত্তি করে ভুল হিসেব দেখিয়েছি। আপনি কেন আগে লক্ষ্য করেন নি!
আমার ভুল হয়েছে। বুঝতেই পারছেন, এটা আমার অনিচ্ছাকৃত ভুল। তবু আমি আমার ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। ভুল শুধরাতে পেরে আমার ভালই লাগছে ।
@রণদীপম বসু,
প্রথম আলোতে ঠিক যেভাবে লেখা হয়েছে, ঠিক সেভাবেই একদম অবিকৃতভাবে তাদের উদ্ধৃতি আমার লেখায় উদ্ধৃত করা হয়েছে। সুতরাং আপনিই হীন কৌশল অবলম্বন করছেন মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য।
আমিও বলছি, প্রথম আলোর লিংকে পাঠকেরা যাক, এবং বলুক কোন উদ্ধৃতি কে টেম্পারিং করা হয়েছে !
শেয়ার হোল্ডার শব্দটি আমার লেখার কোথাও নেই। উনি কোত্থেকে এটি বের করলেন পাঠকের কাছে আমার প্রশ্ন রইল ।
আমি এমন কোন কথাই বলিনি, যেহেতু ‘শেয়ার হোল্ডার’ শব্দটি আমার লেখার কোথাও উপস্থিত নেই, সেহেতু রণদীপম বসু যে নির্লজ্জ মিথ্যাবাদী তা বলাই বাহুল্য।
আর আপনি যদি ডিরেক্টরের কথা বলেন ( উল্লেখ্য, ‘শেয়ার হোল্ডার আর ডিরেক্টর সমার্থক নয়) তাহলে অবশ্যই অশিক্ষিত ব্যক্তি ডিরেক্টর হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না কারণঃ
ডিরেক্টর হতে গেলে সংস্থা/ব্যাংকের অর্থনৈতিক কাজকর্মের ব্যাপার সম্পর্কে সম্যক জানতে হয়, যার জন্য কমার্স লাইনের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রয়োজন যেটা অশিক্ষিত ব্যক্তিদের নেই।তারা সংস্থা/ব্যাংকের প্রশাসনিক কাজকর্ম চালাবেন কি করে যদি ঐ বিষয়ে তাদের কোন প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান না থাকে ?
হায়রে নির্বোধ মন্তব্যকারী, এই সহজ বিষয়টিও আপনার মাথায় ঢোকেনা !
এই লোকটা যে ইউনূসের মতই লোভী কুমীর তার প্রমাণ পাওয়া গেল তার কথাতেই।
১) উনি অধিকতর সুযোগ ও সুবিধা প্রত্যাশী ।
২) ইউনূসের মত এনারও নোবেলের প্রতি লোভ রয়েছে ।
আপনার আর ইউনূসের মত তো সবাই লোভী কুমীর না, বিল গেটসের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার রয়েছে, কোন পুরস্কারই তার দরকার নেই। টেড টার্নার বড়লোক হয়েছেন থিকই, কিন্তু ইউনূসের মত এধরনের কোন প্রক্রিয়ায় জড়িত নন বলে এনিয়ে এগোনই নি।
লি ডাক থো নোবেল পেয়েও প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, জিন পল সারত্রে, বরিস প্যাস্তারনাক ও প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, বলি, সবাইকে নিজের মত করে মাপেন কেন ? বাংলাতে একটি কথা আছেঃ
“তুমি অধ্ম, তাই বলে আমি উত্তম হবো না কেন ?”
তেমনি, আপনি লোভী, তাই বলে আমি লোভী হবো কেন ?
চরম মিথ্যাবাদী ইউনূস-চাটুকার রণদীপম বসু যে আবার পাঠককে তার নির্লজ্জ মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছেন তার প্রমাণ গ্রামীণ ব্যাংকের নিজেদের দাবী করা ব্যাখ্যা ও অন্যান্য নামকরা লেখক ( বদরুদ্দিন উমর, রাহাত খান) এর জ্ঞানগর্ভ লেখনীঃ
১) গ্রামীণ ব্যাংকের নিজস্ব ব্যাখ্যাঃ ৪০%
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/12/05/56550
২) ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা নন – রাহাত খান ৩৫-৪০%
http://blog.priyo.com/rahat-khan/2011/03/19/2033.html?page=3
৩) ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে বৃহৎ বিতর্ক – সাইদ সিদ্দিকী – ৪০% পর্যন্ত
http://sonarbangladesh.com/article.php?ID=5123
৪) নিরক্ষর নারী নিয়োগ ভালো উদ্দেশ্যে নয়: হানিফ ৩৭-৪০%
http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?id=153515&cid=2
৫) গরিবদের ‘পরিত্রাতা’ মুহাম্মদ ইউনূসের উন্মোচিত স্বরূপ বদরুদ্দীন উমর
http://www.sonarbangladesh.com/article.php?ID=4206
বাড়তি মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন । :hahahee:
খ্যাতির বিচারে রেহমান সোবহান বেশি বড় নাকি বদরুদ্দিন উমর ? বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের বিষয়ে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য গবেষণাগ্রন্থের প্রনেতা তথা খ্যাতিমান বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দিন উমরের লেখার কিছু অংশ পাঠক দের জন্য পেস্ট করছিঃ
http://www.sonarbangladesh.com/article.php?ID=4323
তাই প্রথম আলো/ডেইলি স্তার/গ্রামীণব্যাংক এগুলো কি বলছে তা কোন ব্যাপারই নয়।
প্রথম আলোর মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের কারণে কদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদপত্র দুটি পোড়ানো হয়েছে স্বতঃস্ফূর্তভাবে।
[img]http://www.dailykalerkantho.com/admin/news_images/476/thumbnails/image_476_141909.jpg[/img]
http://www.dailykalerkantho.com/?view=details&type=gold&data=Internet&pub_no=476&cat_id=1&menu_id=13&news_type_id=1&news_id=141909&archiev=yes&arch_date=31-03-2011
আবার বলি, স্বপক্ষের প্রমাণগুলোঃ
১) ৪০% সুদ খাওয়াই তো দুর্নীতি আর এভাবেই তো উনি টাকার কুমীর হয়েছেন
২) গ্রামীণ ব্যাংকে ১০ বছর ধরে অবৈধভাবে শাসন করে যাচ্ছেন, এটা দুর্নীতি না ?
৩) কর ফাঁকি দেওয়ার নিমিত্তে ৭০০ কোটি টাকা স্থানান্তর দুর্নীতি না ?
৪) বিভিন্ন কর্মকর্তাদের চাকরি থেকে ছাটাই/নিজের পছন্দমত লোকজনদের বসানো দুর্নীতি না ?
৫) বাংলাদেশ ব্যাংককে তোয়াক্কা না করে খেয়ালখুশিমত সংশোধন আইন প্রণয়ন দুর্নীতি না ?
কুরুচিপূর্ণ/রুচিহীন/একপেশে সহ যেই বিকৃতভাবে অনল বর্ষণ করেছেন, তাতে আপনাকে কূটবুদ্ধির মানুষ হিসেবেই সচেতন পাঠকেরা দেখবেন।
একটা কথা মনে রাখবেন, অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী যেটা আপনার জন্য একদম পারফেক্টলি প্রযোজ্য ।
@ডঃ মুশফিক,
“গ্রামীণ ব্যাংকের নিজস্ব ব্যাখ্যাঃ ৪০%” এই লিংকটিতে সুদের ব্যাপারটা কোথাও দেখলাম না। একজায়গায় ৪০% করের একটা উল্লেখ আছে। বিষয়টিকি একটু পরিষ্কার করবেন?
@রৌরব,
এই পোস্টের লেখকের দেয়া লিংকগুলোর মহিমা হচ্ছে, ওখানের বক্তা বা লেখকদের বক্তব্যের পুরোটাই রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিসুলভ লেখা বলে মনে হয়েছে। প্রত্যেকটা লেখার জবাব দিতে গেলে যে সময়ের প্রয়োজন তা সম্ভবত কুলিয়ে ওঠা যাবে না। আর রাজনৈতিক লেখার জবার দেয়ার প্রয়োজন আছে বলেও মনে করি না। তারপরেও তথ্যবিকৃতি ধরিয়ে না দিলে এরা আগামী প্রজন্মকেও কলুষিত করে ফেলবে বলে মনে হয়। সে প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যেই রাহাত খানের লেখাটির জবাব দেয়া হয়েছে। কোন লেখা কতোটা ইতিহাস বিকৃতি আর হীন উদ্দেশ্যমূলক হতে পারে তার নমুনা দেখুন এখানে।
এদের রেফারেন্স দিয়েই এই পোস্টের লেখক তাঁর বক্তব্যকে ধ্রুবসত্য হিসেবে প্রমাণ করতে চাইছেন। আগেভাগে আপনার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এজন্যেই যে আমার প্রতি পোস্ট লেখকের আপত্তিকর মন্তব্যগুলোর জবাব দিতে আমার রুচিতে বাঁধছে বলে আপনার মন্তব্যের জবাবে কথাগুলো উল্লেখ করলাম।
@রণদীপম বসু, ইউনুস বিতর্ক নিয়ে এখানে এবং সচলায়তনে আপনার বক্তব্যগুলি ভালো লেগেছে। আপনি কষ্ট করে সময় নিয়ে লেখার জন্যে ধন্যবাদ। ড: ইউনুসের প্রতি কুৎসিত, মিথ্যা এবং নিম্নরূচির এসব আক্রমন থেকেই বোঝা যায় আক্রমনকারীদের আপত্তির উৎসটা কোথায়।
@রণদীপম বসু,
ডঃ হুমায়ূন আজাদ বলেছেন,
ডঃ ইউনূসের প্রশংসাকারী ব্যক্তিবর্গ যে এত স্তবস্তুতি করতে নেমেছেন তাতে ডঃ হুমায়ূন আজাদের এই প্রবচনটির কথাই মনে পড়ে।
স্তবস্তুতি মানুষকে নষ্ট করে, ভাবছি, ডঃ ইউনূস সাহেবের কাছে যেয়ে বলবো,
” স্যার, আমি পাকিস্তানের হরপ্পার লেখক, আমারে একটি চাকুরি দিয়া বাচান স্যার, মুক্তমনায় ল্যাখালিখি কইরা এক টাকাও পাই নাই স্যার, আপনার গ্যারামিন ব্যাংকে চাকুরি দিয়া আমার অন্নসংস্থান করেন স্যার, নাইলে না খেতে পেয়ে মারা পরবো, স্যার। গরীব মায়ের সন্তান, দুবেলা দুমুঠা খাইতে পাইনা, আপনে চাকুরি দিলে আপনে যেমনে কইবেন তেমনে আপনার পক্ষে লিক্ষ্যা আপনারে মসিহা বানায় দিমু স্যার। লোকে কইবো, মুজিব আবার কেডা, আপনেরে করুম আমাগো গরিবের রাজা ইউনূস। “
@রণদীপম বসু,
স্বনামখ্যাত সাহিত্যিক সাংবাদিক শ্রদ্ধেয় রাহাত খানের মুহূর্তের অসাবধানতাকে পুঁজি করে লেখক তার হীন-কূটপ্রবৃত্তি চরিতার্থ করেছেন, রাহাত খান বলতে চেয়েছেন,
ডঃ ইউনূস ১৯৫২-২০১১ পর্যন্ত একটি ২১ শে ফেব্রুয়ারীর দিনেও শহীদ মিনারে যাননি পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে
লেখাটি উনি ঠিকমত লিখতে পারেননি, বিস্তারিত লেখা উচিত ছিল। সেটাকেই পুঁজি করে আপনি দাবি করছেন, ডঃ ইউনূস শহীদ মিনারে গিয়েছিলেন।
হ্যা, উনি গিয়েছিলেন, তবে ১৪ই অক্টোবর, ২০০৬ সালে, ২১শে ফেব্রুয়ারী কিংবা ১৬ ডিসেম্বরে নয়।
আপনার ব্লগেই দেখা যাক, কথাটা সত্যি কিনা ?
[img]http://i1127.photobucket.com/albums/l621/dr_mushfique/e.jpg[/img]
[img]http://i1127.photobucket.com/albums/l621/dr_mushfique/w.jpg[/img]
[img]http://i1127.photobucket.com/albums/l621/dr_mushfique/e.jpg[/img]
দেখুন ছবিগুলো ২১শে ফেব্রুয়ারী কিংবা ১৬ ডিসেম্বর তোলা নয়, তোলা ১৪ই অক্টোবরে ।
লিংকঃ রণদীপম বসুর সূক্ষ্ম চাতুরি দেখুন
http://www.sachalayatan.com/ranadipam_basu/38164
কথাটা ভাল করে খেয়াল করুন, রাহাত খান বলেছেন, বিশেষায়িত ব্যাংক হিশেবে প্রতিষ্ঠার কথা, এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবিধান ছাড়া কি বৈধভাবে এটি সম্ভব ?
ফরাসউদ্দিন আহমেদ বা আতিউর রহমানরা কি বাংলাদেশ ব্যাংকের মালিক/প্রতিষ্ঠাতা নাকি শুধু গভর্নর ?
আর স্বাধীন ব্যাংক (কিন্তু বিশেষায়িত নয়) হিশেবে গ্রামীণব্যাংকের প্রতিষ্ঠা ১৯৮৩ সালে, এখানেও কিন্তু ইউনূস প্রতিষ্ঠাতা নন, গ্রামীণ তথ্য সাইট অনুসারে,
In October 1983, the Grameen Bank Project was transformed into an independent bank by government legislation. Today Grameen Bank is owned by the rural poor whom it serves.
লিংকঃ http://www.grameen-info.org/index.php?option=com_content&task=view&id=19&Itemid=114
(স্ক্রিন শট রেখে দেওয়া হয়েছে যাতে পরবর্তীতে সাইটটি তথ্য পরিবর্তনের মাধ্যমে তথ্যসন্ত্রাস করতে না পারে।)
এখানে কোথাও প্রতিষ্ঠাতা হিশেবে ইউনূসের নাম নেই, এবং লেখা আছে ‘by government legislation’, অর্থাৎ সরকারই এর প্রতিষ্ঠাতা । গ্রামীণব্যাংকের মালিক হিশেবে বলা আছে গরীব লোকদের কথা।
সাধারণ পাঠককে ধোঁকা দিতে পারলেও ডঃ মুশফিককে ধোঁকা দেওয়া সম্ভব নয়, ঈগল দৃষ্টি আমার, পারবেন না কোনদিনও, তাই এসব বাদ দিন, আপনি ভাবছেন আপনি ওস্তাদ, কিন্তু জানেন তো , ওস্তাদেরও ওস্তাদ থাকে। :lotpot:
@রণদীপম বসু,
প্রথম আলোর লিংকটির জন্য ভীষণ ভাবে ধন্যবাদ। এই একটা লেখা পড়লাম যেটা নিয়ে শিক্ষিত আলোচনা করা সম্ভব।
এই বই পড়েছেন কেউ? আরেকটু জানতে পারলে ভাল হত এই দাবী সম্পর্কে।
এই কথাটা খুব স্ট্রাইক করল। এর সমাধান কি?
নৃপেন্দ্র সরকারের হিসেবের সাথে মিলে যাচ্ছে।
এখানেই সেই হিসেবে গণ্ডগোল। ২৩ শতাংশ কি ডিকলাইনিং ব্যালান্স মেথডে, না ফ্ল্যাট রেটে?
ওই প্রতিবেদনে আরো অনেক চমৎকার পর্যবেক্ষণ রয়েছে।
@রৌরব,
নিশ্চিতভাবেই ডিকলাইনিং মেথডে। গ্রামীণ ব্যাংক এর দাবী অনুযায়ী তাদের ফ্লাট রেট হচ্ছে ১১%, কিন্তু ডিকলাইনিং মেথডে গিয়ে তা দাঁড়ায় ২২% এ।
গ্রামীণ ব্যাংক এর বক্তব্য অনুযায়ী তাদের সুদের হিসাব এরকমঃ
Government of Bangladesh has fixed interest rate for government-run microcredit programmes at 11 per cent at flat rate. It amounts to about 22 per cent at declining basis. Grameen Bank’s interest rate is lower than government rate.
There are four interest rates for loans from Grameen Bank : 20% for income generating loans, 8% for housing loans, 5% for student loans, and 0% (interest-free) loans for Struggling Members (beggars). All interests are simple interest, calculated on declining balance method. This means, if a borrower takes an income-generating loan of say, Tk 1,000, and pays back the entire amount within a year in weekly instalments, she’ll pay a total amount of Tk 1,100, i.e. Tk 1,000 as principal, plus Tk 100 as interest for the year, equivalent to 10% flat rate.
তবে এই হিসাব যে এত সোজা নয়, বরং বহু জটিল, তার একটা ধারণা পাবেন ডেভিড রুডম্যানের এই ব্লগটা পড়লে।
@ফরিদ আহমেদ,
আপনি আলোচনায় জড়িত হওয়া মানেরই আলোচনার মান লাফ দিয়ে উচ্চমানে পৌঁছে যাওয়া। ব্লগটিতে চোখ বুলিয়েছি। কাগজ-কলম নিয়ে বসব কাল। দেখি কোন মন্তব্য বেরোয় কিনা।
@রৌরব,
আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে আপনার আগের মন্তব্যের জবাবে ঢুকে গেছে। যাক্, সুদের হিসাবের বিষয়ে ইতোমধ্যে নৃপেন দা’র মন্তব্যের জবাবে আমার বক্তব্যে হয়তো একটু খোলাশা হতে পারবেন।
@রণদীপম বসু,
ধন্যবাদ আপনাকে ও ফরিদ আহমেদকে অত্যন্ত তথ্যবহুল মন্তব্যের জন্য। মন্তব্যগুলি পড়ে হজম করতে একটু সময় লাগবে। তারপর হয়ত আরো প্রশ্ন করব।
সোনারবাংলাদেশ ব্লগে ৩১ মার্চ ২০১১, দুপুর ০৩:৩২-এ প্রকাশিত।
@রূপম (ধ্রুব),
দুঃখিত, আমি ব্লগে নতুন বিধায় এই নিয়মটি জানতাম না। 🙂
মন্তব্যগুলো পড়ে ব্যাপক বিরক্ত হলাম। একজন মন্তব্যকারীও লেখাটির বস্তুনিষ্ট সমালোচনা করলেন না। মুহাম্মদ ইউনুস একজন নোবেল বিজয়ী, তাই তার সমালোচনা তারা পছন্দ করছেন না। মুহাম্মদ ইউনুসের দুনিয়া জুরে প্রচুর ভক্ত, প্রচুর বন্ধু, প্রচুর প্রশংসাকারী, তাই মুহাম্মদ ইউনুস ভাল না হয়ে যান না। বেশ! মুক্তমনার মন্তব্যকারীদের থেকে কি এর চাইতে বেশি আশা করা যায় না? একই হিসাবে মুহাম্মদের সমালোচনাটাও কিন্তু খারাপ কাজ বলে বিবেচিত হতে পারে। অন্যান্য ব্লগে মুহাম্মদের সমালোচনা করলে যেভাবে তোপের মুখে পরতে হয়, এখানে ইউনুসের সমালোচনাতেও তোপের মুখে পরতে হচ্ছে।
ইউনুস সাহেব দারিদ্র বিমোচন করেছেন!!
বেশ ভাল কথা, তাহলে তো তিনি বাংলার দরিদ্র মানুষের মসিহা হয়ে যাবার কথা ছিল। তাকে অপদস্থ হতে দেখলাম, কই কোন মিছিল মিটিং সরকার বিরোধী আন্দোলন, দরিদ্র মানুষের ক্ষোভ রাগ কিছুই তো দেখছি না। দরিদ্র মানুষ সাধারণত কৃতজ্ঞ হয়, তাকে পাচ টাকা দিলে সে আপনার জন্য জীবন দিয়ে দেবে। আর ইউনুস সাহেব তাদের দারিদ্র বিমোচন করে তাদের সোনার পাল্কিতে চড়িয়ে ইউরোপ আমেরিকা ঘুরালেন, আর একজন দরিদ্র মানুষও তার পক্ষ হয়ে আন্দোলনে নামলো না? কি আশ্চর্য ব্যাপার। নামতে হল হিলারী আর সোফিকে?
ইউনুস সাহেব অর্থনীতিতে নোবেল পান নি। অর্থনীতিতে তাকে নোবেল দেয়া সম্ভব ছিল না। অমর্ত্য সেন দেখিয়েছেন পুজিবাদী সমাজের কংকাল, শুষে নিতে নিতে একটা সময়ে শোষণের মত আর কাউকে পাওয়া যাবে না। পুজিবাদের জন্য সতর্কবানী উচ্চারণের জন্য অমর্ত্যসেন নোবেল পেয়েছেন। অমর্থ্য সেন গুনী মানুষ, তিনি পুজিবাদকে দেখিয়ে দিয়েছেন এক ভয়াবহ ভবিষ্যত।
আর ইউনুস সাহেব করেছেন তার ঠিক উল্টো কাজ। তিনি বাজার সম্প্রসারণ করেছেন। আগে বাজার শুধু মধ্যবিত্তকে লক্ষ্য করতো, তাদের বিভিন্ন ধরণের মূলো দেখিয়ে লুটে নিতো, তাদের বোঝাতো রং ফর্সাকারী ক্রিম ছাড়া বেঁচে থাকাটাই নিরর্থক। মধ্যবিত্ত লাফিয়ে পরে রং ফর্সাকারী ক্রিম কিনে মাখতে থাকতো।
আর ইউনুস সাহেব নিম্নবিত্তের হাতে একথোকা টাকা ধরিয়ে দিয়ে বাজারে ছেড়ে দিয়েছেন। বাজারের বিক্রেতাদের টানাটানিতে অশিক্ষিত নিম্নবিত্ত মানুষটি টাকার থলেটি বেশিক্ষণ আকড়ে ধরে রাখতে পারে নি। ভুলিয়ে ভালিয়ে ঠিকই তার টাকার থলেটি আবার তারা ফেরত নিয়ে গেছে। আর তার ভাগ্যে জুটেছে ঋণের বোঝা।
ইউনুস সাহেব সফল, তিনি পুজিবাদের আধুনিক মসিহা। তিনি দেখিয়েছেন গরীবলোককেও লূট করতে হবে। ভয়াবহ প্রতিযোগিতার বাজারে কাউকেই ছেড়ে দেয়া যাবে না।
আর তার ভক্ত শ্রেণী হচ্ছে পীর পুজারী হাভাতে বাঙ্গালী। কোনদিন নোবেল পুরষ্কারের নামও শোনেনি, আজকে শুনে আনন্দের আর তাদের সীমা নাই। আর সাদা চামড়ার লোকেরা সার্টিফিকেট দিয়েছে, তার মানে তো সে মহামানব না হয়ে যাচ্ছেই না।
@আসিফ মহিউদ্দীন, @আসিফ মহিউদ্দীন, “অমর্ত্য সেন দেখিয়েছেন পুজিবাদী সমাজের কংকাল, শুষে নিতে নিতে একটা সময়ে শোষণের মত আর কাউকে পাওয়া যাবে না ” দারুন কথা তো। একটু রেফারেন্স দেবেন উনি কোথায় এধরনের কথা বলেছেন। উনি যে একজন সমাজতান্ত্রিক তা তো জানতাম না। এতোকাল তার লেখা পড়ে তো তাকে ক্লাসিকাল পুজিবাদ আর বাজার অর্থনীতির একনিষ্ঠ ভক্তই মনে হয়েছে। এমনকি তিনি বিভিন্ন খানে দরি্দ্রদের বাজার অর্থনীতির সাথে সম্পৃক্ত করার জন্যে মাইক্রোক্রেডিটের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
@আসিফ মহিউদ্দীন,
লেখা যদি বস্তুনিষ্ঠ হতো তবে আলোচনাও বস্তুনিষ্ঠ হতো। কে কোথায় কয়বার ছেলে বদলায় আর কি ধরনের কাপড় পড়ে সেটা যদি বস্তুনিষ্ঠ বিষয় হয় তবে আলোচনা করতে আগ্রহী নই।
নিজে কারো পূঁজারী নই, তাই বলে লেখার সমালোচনা করা যাবে না এমন কথা কি কোথাও বলা আছে?
আর কথায় কথায় মুক্তমনাদের প্রতি আপনার ঢালাও বিদ্বেষ চোখে পড়লো। এমন বিদ্বেষের কোন হেতু আছে কি? জানামতে মুক্তমনার আদর্শের সাথে আপনার আদর্শ সাংঘর্ষিক নয়। তারপরেও দু’একজন দ্বিমত পোষণ করলেই সকল মুক্তমনা ধরে ঢালাও দোষারুপ করা কি ঠিক? প্রশ্ন রেখে গেলাম।
ইউনূস সাহেবের পক্ষে বিপক্ষে বহু লেখাই ব্লগে পত্রিকায় এসেছে। আমার দেখা মতে সবচেয়ে নিম্নমানের লেখা এই লেখাটি। লেখায় কোন তথ্য নেই, রেফারেন্স নেই, আছে শুধু ব্যক্তিগত এক গাদা বিদ্বেষ। ইউনূসের অপকর্মের লিষ্টির কথা শুধু না বলে লিষ্টিটা দিতে পারতেন। ইউনূস সাহেব নিজের সিন্দুকে কত টাকা জমিয়েছেন সে ব্যাপারে কিছু রেফারেন্স দিলে পারতেন। সেগুলো না দিয়ে ঢালাও ভাবে লিখে গেলেই তো মানুষ উনার কথায় লাফাবে না। এর সাথে ধর্ম, মুহাম্মদ, পুঁজিবাদ, নিয়ে পানি ঘোলা করে লাভ নেই।
@স্বাধীন,
মূল লেখার কোথাও ছেলে বদলানোর কথা লেখা হয়নি, একজনের প্রশ্নের কারণে মন্তব্যে কিছু হিন্ট দেওয়া হয়েছে। আপনি মূল লেখা নিয়ে কিছু বলতে পারেন না, আর মন্তব্য নিয়ে টানাহেঁচড়া করেন।
সাধে কি আসিফ মহিউদ্দিন বলেছেনঃ
দোষারোপ কে ইনি লেখেন দোষারুপ 😀
আসিফ মহিউদ্দিন মুক্তমনা ডট কমের দীর্ঘদিনের বন্ধু, উনি একজন নাস্তিক, মুক্তমনা ডট কমের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গও সমমনা। আমিও বিশ্বাসী নই। আপনি আপনার হীন কূটচালের মাধ্যমে আভ্যন্তরীণ সংঘাত লাগানোর ব্যর্থ চেষ্টা করবেন না। মুক্তমনা ডট কম কিংবা আসিফ মহিউদ্দিন আপনার চেয়ে অনেক বেশি জ্ঞানবুদ্ধি রাখেন।তাই ওভারস্মার্ট-গিরি ফলাবেন না।
তাতো হবেই, উপরে ওনার ভিত্তিহীন কমেন্টটি রেফেরেন্স প্রদানের মাধ্যমে মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়েছি বিধায় উনি আমার উপর যারপরনাই ক্ষেপে গেছেন।
তাই আমার রেফারেন্সমূলক লেখাটিতে রেফারেন্স থাকা সত্ত্বেও উনি নির্জলা মিথ্যাচার করছেন যে, এতে নাকি রেফারেন্স নেই ! আরে ২০০৬ সালের আজকের কাগজ পত্রিকারও রেফারেন্স দেওয়া হয়েছে, প্লাস কেউ কোন প্রশ্ন উত্থাপন করলে ৫ টা করে রেফারেন্স ছবিসহ দেওয়া হচ্ছে, তারপরও এমন নির্লজ্জ মিথ্যাচার দেখে হতবাক হলাম।
@আসিফ মহিউদ্দীন,
আমারও সেই কথা, বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনা না করে অপ্রাসঙ্গিক এবং ব্যক্তিগত আক্রমণ করলেন আমাকে, কাঁদা ছোড়াছুড়ি তে এদের চেয়ে দক্ষ আর কেউ নেই !
একটু পড়ে একটু জেনেই এরা এমন ভাব দেখান যেন সবজান্তা হয়ে গেছেন।
আপনি চমৎকার লিখেছেন, অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। 🙂
@আসিফ মহিউদ্দীন,
অর্থনীতির নোবেল প্রাইজের প্রতি আপনার অকৃত্রিম ভালবাসা দেখে প্রীত হলাম। পুঁজিবাদের বিরূদ্ধে এই প্রাইজের অবিনশ্বর যুদ্ধে অন্য যাদেরকে এই প্রাইজ পুরস্কৃত করেছে — মানে ধরুন ফ্রিডম্যান, হায়েক, রবার্ট মের্টন — এদের প্রতি আপনার মনোভাবটা জানতে পারলে ভাল লাগত।
@আফরোজা আলম,
অন্তসার বলে কিছু নেই, এটি অন্তঃসার। বানানও সঠিক জানেন না দেখছি !
ফেসবুকে লেখাটি নিয়ে ১৭ টি LIKE পড়েছে, খেয়াল করেছেন কি ?
জি না, এত সহজ না, নোবেল শান্তি পুরস্কার পেতে হলে মনিকা লিউনস্কি কিংবা পলা জোন্সের সঙ্গে লুচ্চামি করা চরিত্রহীন ক্লিনটন মামা-র সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হয়।
১৯৭৩ সালে হেনরি কিসিঞ্জারের মত কুখ্যাত কূটনীতিক কে শান্তিতে নোবেল দেওয়া হয়।
যেই লোকটা বাংলাদেশ আর ভিয়েতনামে মানুষ মারার প্ল্যান করে বেড়াল, অশান্তি সৃষ্টিতে যার অনেক অবদান সে পেল নোবেল শান্তি পুরষ্কার।
১৯৯৪ সালে আইজ্যাক রবিন, শিমন পেরেজ আর ইয়াসির আরাফাত – তিনজনকেই সন্তুষ্ট করার জন্য দেওয়া হলো নোবেল শান্তি পুরষ্কার।
২০০৬ সালে অশান্তির আর দারিদ্রের দেশ বাংলাদেশের ইউনূস মহাজনকে দেওয়া হলো, পেছনে ছিল চরিত্রহীন ক্লিনটন।
২০০৯ সালে দেওয়া হলো বারাক ওবামা কে, যিনি এখন লিবিয়া ধবংস করতে বদ্ধপরিকর।
২০১০ সালে দেওয়া হলো, আমেরিকাপন্থী ও চীনবিরোধী লিউ জিয়াবো কে।
এছাড়াও আছেন আনোয়ার সাদাত, আল গোর, লি ডাক থো এর মত বিতর্কিত ব্যক্তিরা।
এ নিয়ে পরের আর্টিকেলে বিশদ বলবো আর সেই আর্টিকেল পড়ার পরে সচেতন ও যুক্তিবাদী কারোরই নোবেল শান্তি পুরস্কার সম্পর্কে বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধাবোধ থাকবে না।
( শুধুই শান্তি, অন্য বিষয়ে দেয় নোবেল প্রাইজ সম্পর্কে বলছি না)
কন্যা হোক পুত্র হোক, ঐ কন্যা/পুত্র কে কুৎসিত কাজ করতে বারণ করুন এবং নিশ্চিত করুন, তখন আর মন্তব্য করবো না। চোর চুরি করলে তো বলবোই।
রবীন্দ্রনাথ নিয়ে আমি একটি কথাও এখানে বলিনি, আপনি কোত্থেকে ওনাকে নিয়ে আসলেন সেটাই সচেতন মানসের জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন।
শান্তি বাদে বাকি সকল বিষয়ে পুরস্কার দেয় সুইডিশ নোবেল কমিটি, শান্তিতে দেয় নরওয়ের নোবেল কমিটি যার ৫ জন সদস্যই অখ্যাত রাজনীতিক। এই কমিটি একটি পলিটিক্যাল মেক-আপ।
লিংকঃ http://en.wikipedia.org/wiki/Norwegian_Nobel_Committee
“Its five members are appointed by the Norwegian Parliament and roughly represent the political makeup of that body.”
তাই বিতর্কিত পুরষ্কারের ফুলঝুরি শান্তি বিষয়ে, সুইডিশ নোবেল কমিতির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নেই।
এই মহিলা নিশ্চয়ই ডঃ ইউনূসের কোন আত্মীয় না হলে এভাবে আক্রমনাত্মক হয়ে উঠতেন না তিনি।
@ডঃ মুশফিক,
কমিটি আর চেষ্টা বানান গুলো ঠিক করে দিলাম, বলা তো যায়না কে কিভাবে আক্রমণ করেন ! 🙁
@ডঃ মুশফিক,
ফেইসবুকে ১৭ টি লাইক পড়লেই আপনার লেখা উত্তম হয়ে যায়? আপনার যুক্তিবোধ দেখে চমকে উঠলাম।
@সৈকত চৌধুরী,
এখন এটিতে ৪২ টি Like পড়েছে, তাও দুদিনে। মেইলের পর মেইল আসছে, আমাকে আরো লেখার জন্য অনুরোধ করছেন অনেকে।
[img]http://i1127.photobucket.com/albums/l621/dr_mushfique/Mail.jpg[/img]
অসামাজিক বলেছেনঃ
ফরিদ আহমেদ বলেছেনঃ
এছাড়াও গীতা দাস, আসিফ মহিউদ্দিন বলেছেন।
এরপরেও কি বুঝতে অসুবিধা হয় আপনার ?
ফালতু অন্তসারহীন একটা এক পেশে লেখা। যাতে দুনিয়ার মন গড়া কুৎসিত
চিত্র তুলে ধরার অপপ্রয়াস ছাড়া আর কিছুই পেলাম না লেখাটায়।
নোবেল পুরষ্কার পাওয়ায় এতো গাত্র জ্বালা জীবনে দেখি কারো বাপু।
এতো যদি সহজ হয় তবে অনেক টাকা ওয়ালা লোক-জন কেন যে নোবেল কিনে আনে না কে জানে। কি কমপ্লেক্স থেকে এতো ক্ষোভ কে জানে। কারো কন্যা নিয়ে কুতৎসিত মন্তব্য আরো আপত্তিকর। (N)
তার মানে কদিন পরে বলবেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পেয়েছিলেন,তা এমন পাওয়া কোন ব্যাপারই না।
ক্ষুদ্র একটি প্রশ্ন ছিল – আপনি কি ডঃ মুশফিক নাকি
ডাঃ মুশফিক। দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য আছে কিন্তু 😛 ।
লেখাটিতে ইউনূস তনয়ার বিষয়টি একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। ইউনূস কন্যার জন্ম এবং বেড়ে উঠা পাশ্চাত্যে। সেই হিসেবে তিনি কি ড্রেস পড়েন বা কি করেন একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। পারলে বিষয়টি বাদ দিয়ে দিয়েন।
@স্বাধীন,
ডঃ এবং ডাঃ সমার্থক, Doctor of Philosophy এর জায়গায় Medicine বসিয়ে দিন। দুটোই ব্যবহৃত হয়। 🙂
ডঃ ইউনূসের ২ কন্যা, প্রথম স্ত্রীর (রাশিয়ান) গর্ভে জন্ম নেওয়া মনিকা ইউনূসের জন্ম চট্টগ্রামে , যেই কন্যার কোন খোঁজখবর তিনি ১৯৯৬ পর্যন্ত নেননি, কেমন পিতা তিনি ? তারপর যখন মেয়ে opera soprano হিশেবে খ্যাতি লাভ করে, তখন তিনি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক পাতাতে যান।
লিংকঃ http://en.wikipedia.org/wiki/Monica_Yunus
দ্বিতীয় স্ত্রী (বাঙালি) আফরোজী ইউনূসের গর্ভে জন্ম দীনা ইউনূসের, তার জন্মও বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশেই ছিলেন, পরবর্তীতে ডঃ ইউনূস তাকে বিদেশে পাঠিয়ে দেন।
সুতরাং আপনার কথাটি ঠিক নয়।
কি ড্রেস পরেন বা কি করেন তা অবশ্যই একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার, তবে গ্রামীণব্যাংকে আমার এক বন্ধু মারফত তার সঙ্গে আমার পরিচয়, এই মেয়েটি দুই দিন পর পর পেশাদার খেলোয়াড়ের মত ছেলে-বদল করেন আর এটাও মানা যায়, কিন্তু যেভাবে উনি বাপের টাকা (গরীব জনতার টাঁকা) উড়িয়ে বেড়ান, তা কোনভাবেই সমর্থন করা যায়না। আপনারা কয়জন ভেতরের খবর জানেন ? একটু খুঁজে দেখুন নেট ঘেঁটে, ছবিগুলো দেখার পর তারপর বলুন আমি বেঠিক কিছু বলেছি কিনা।
ধন্যবাদ। 🙂
ধনী দেশগুলোতেও ঋণগ্রহীতা আছে এবং ক্ষুদ্রঋণ দেবার নিয়ম আছে। লেখাটি বড়ই একপেশে এবং পক্ষপাতদুষ্ট মনে হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দুনিয়ার কেউ চেনেনা এটা ভুল কথা। বাংলাদেশকে যখন লোক চিনতে চায়, তখন বঙ্গবন্ধুকে না চিনে কোন উপায় থাকেনা। যে যাঁর অবস্থানে ঠিক আছেন। কিন্তু সন্দেহ হয় বেশীরভাগ ক্ষোভটা কি এই কমপ্লেক্স থেকে?
@ব্রাইট স্মাইল্,
কথার মানে বোঝেন না নাকি ? সকল দেশেই তো ঋণগ্রহীতা আছেন, কিন্তু দারিদ্র বিমোচন করলে ডঃ ইউনূস উল্লেখিত ১ কোটি ঋণগ্রহীতা কোনভাবেই থাকতে পারেন না ।
এটি আক্ষেপ করে বলা, আশ্চর্যবোধক চিহ্ন দেওয়া আছে, খেয়াল করেছেন তো ?
শেখ মুজিব কে বিদেশে অনেকেই চেনেন, শেখ মুজিব বাংলাদেশের মহাস্থপতি, শেখ মুজিব সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, ওনার কিছু দুর্বলতা ছিল, উনি শাসনকার্য পরিচালনায় দূরদর্শী ছিলেন না, তাজউদ্দিনের মত সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তিকে মন্ত্রীসভা থেকে বের করে দিয়েছিলেন, চাটুকার নিয়ন্ত্রনে/দমনে ব্যর্থ ছিলেন, তার পরেও ইউনূস মহাজন, শেখ মুজিবের পায়ের নখেরও যোগ্য নন। আমি বলতে চেয়েছি ইউনূস বন্দনাকারীদের মনের কথা টা, যারা মনে করেন শেখ মুজিব কে বিদেশে কেউ চেনেন না (যা একেবারেই ভুল)। শেখ মুজিব না থাকলে বাংলাদেশের অস্তিত্বই থাকতো না। ডঃ ইউনূস যে বাংলাদেশে বসবাস করেন আর নিজেকে বাংলাদেশের নাগরিক বলে দাবি করেন, টা এই শেখ মুজিবের জন্যই করতে পারেন।
তাই, এটাই বলবো যে, আপনি ভুল বুঝেছেন । ধন্যবাদ। 🙂
@ডঃ মুশফিক,
ঋণগ্রহনের পরিমানের সাথে দারিদ্রতার কি সম্পর্ক আছে? একজন লোক ঋণ নিয়ে ধনী হওয়ার পরেও সে আরও ঋণ গ্রহন করে নিজের অবস্থা আরও উন্নত করতে পারে, বরং বলা যায় অর্থনৈতিক অবস্থা যত উন্নত হয় ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা তত বাড়তে থাকে এবং সে কারনে ঋণগ্রহনের পরিমানও বেড়ে যেতে পারে।
দারিদ্র বিমোচন হয়েছে কিনা সেটাতো নির্ভর করবে দেশের পোভার্টি লেভেল কোন সীমায় অবস্থান করছে তার তুলনামুলক বিশ্লেষনের উপর।
@ব্রাইট স্মাইল্,
ধরুন একটি দেশের ১০০ জন জনসংখ্যা । ১০০ জনের মধ্যে যদি ৭০ জন ক্ষুদ্রঋণ নেয়, তাহলে বোঝা যায় যে এই দেশের ৭০% জনসংখ্যা দরিদ্র কারণ ঋণ-টি ‘ক্ষুদ্র’, বড় আকারের ঋণ হলে আলাদা কথা, কিন্তু এই ক্ষুদ্র পরিমাণও যদি ৭০% এর না থাকে তাহলে এই ৭০% নিঃসন্দেহে গরীব।
আর গ্রামীণ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী ধনীদের কে এই ক্ষুদ্রঋণ সুবিধা দেওয়া হয়না, দেওয়া হয় দারিদ্রপীড়িত নারীদের । সুতরাং আপনার কথার বিসমিল্লাতেই গলদ।
৩৫ বছরেও যদি ১ কোটি জনসংখ্যার ক্ষুদ্র পরিমাণের মূলধন না থাকে, তাহলে তারা কি গরীব নয় ? আর না থাকলে গ্রামীণব্যাংক এতদিন কি ঘাস কাটলো ?
তাই ভেবেচিন্তে মন্তব্য করুন। লোক হাঁসাবেন না । :hahahee:
@ডঃ মুশফিক,
গ্রামীণব্যাংককে মনে হয় না এমন কোন শর্ত দেয়া হয়েছিল যে ৩৫ বছরে বাংলাদেশকে আমেরিকার মতো একটা ধনী দেশে রুপান্তরিত করে দিতে হবে। যাই হউক, আপনার লেখা ও মন্তব্য পড়ে মনে হয় না এই পোষ্টে মন্তব্য করা আর বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
@ব্রাইট স্মাইল্,
৩৫ বছর কেন, ডঃ ইউনূস সাহেব যেভাবে আত্মবন্দনা করে থাকেন, তাতে ১০ বছরের বেশি তো লাগার কথা না। ডঃ মাহাথির মোহাম্মদ ১৯৮১-২০০৩ পর্যন্ত মাত্র ২২ বছরের মাথায় মালয়েশিয়ার প্রভূত উন্নয়ন এনেছেন, ডঃ ইউনূস নাকি এত বড়, উনি ২২ কেন, ৩৫ বছরেও তো কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারলেন না ! তাই, আপনার কথা ধোপে টেকে না।
@ডঃ মুশফিক,
আশা করি কিছু মনে করবেন না, এই ধরনের টোন কিন্তু মুক্তমনায় আমরা পাঠ করতে অভ্যস্ত নই। 🙂
উপরের টেকি সাফির উত্তরে “বাচ্চাছেলে আপনি, বয়স কম, জ্ঞানবুদ্ধি এখনো টনটনে হয়নি”, “আপনার বাবা আর্মি নাকি ফার্মি” – এসবও কেমন যেন শ্রুতিকটু লাগে। 🙁
@শ্রাবণ আকাশ, এ ক ম ত। (Y)
@ব্রাইট স্মাইল্,
এটা ত ঘটনা -বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হওয়ার পেছনে উনার হাতই সব থেকে বেশী লম্বা। প্রশাসক হিসবে তিনি বেশ অপদার্থই ছিলেন।
আমার মনে হয়েছে তাজউদ্দিন বাংলাদেশের প্রকৃত বড় নেতা ছিলেন। যিনি বাংলাদেশকে ‘৭১ এর পরে ঠিক ঠাক নেতৃত্ব দিতে পারতেন।
@বিপ্লব পাল,
আসলে আমি এটি Assertive হিসেবে বলিনি, Exclamatory Tone এ বলেছি। বঙ্গবন্ধুকে অনেকেই চেনেন, কিন্তু ইউনূস সমর্থকেরা মনে করেন ইউনূসকেই চেনে দুনিয়া, বঙ্গবন্ধু কে চেনে না, যা সত্যি নয়।
সেটাই আমি বলেছি। সহমত। (Y)
আসলেই, ইনিই ছিলেন আওয়ামী লীগের নিউক্লিয়াস, তবে আন্দোলন পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর যে অসাধারণ বাগ্মিতা আর ক্যারিশমা ছিল, তা ওনার ছিল না। তাজউদ্দিন ছিলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে সৎ এবং নীতিবান রাজনৈতিক নেতা।
লিংকদুটি ঠিকমত আসেনি, তাই এখানে দিলামঃ
১)
http://www.grameen-info.org/index.php?option=com_content&task=view&id=371&Itemid=462
২)
http://edailystar.com/?opt=view&page=1&date=2011-03-04
@ডঃ মুশফিক,
ও আচ্ছা। পেয়েছি।
প্রবাসী বানান টা ভুল করেছেন। হাহা।
লিংকদুটি দেখুনঃ
[img]http://edailystar.com/contents/2011/2011_03_04/content_zoom/2011_03_04_1_3_b.jpg[/img]
বাচ্চাছেলে আপনি, বয়স কম, জ্ঞানবুদ্ধি এখনো টনটনে হয়নি, আপনার জানা যে একদম ভুল তা প্রমাণ হয়ে গেল। বাড়তি মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।
আপনার সন্দেহ দূরীকরণের জন্য বলছি, আমি পাকিস্তান সরকার প্রদত্ত প্রেসিডেন্ট পদক ২০০৫ প্রাপ্ত একজন চিকিৎসক। পাকিস্তান দেখে এখন ‘এই রাজাকার ঐ রাজাকার’ করে উঠবেন না। বাঙ্গালি হয়ে আপনার মত বাংলা বানান ভুল করিনা।
এটা আমার আগে আরো একজন বলে গিয়েছেন, ডঃ হুমায়ূন আজাদের বই পড়ে খুঁজে বের করুন কোথায় উনি ডঃ ইউনূস সম্পর্কে বলেছেন। আত্মপ্রচারের জন্য আজকাল অনেকেই এসব করেন, আসলে আপনার বয়স কম তো, তাই অভিজ্ঞতার অভাব।
সরি, আমি আওয়ামী করিনা, শেখ মুজিব/শেখ হাসিনা নিয়ে যথাযথ সমালোচনা করি। তাই আপনার বক্তব্য ভিত্তিহীন। গরীবের ঈমান পয়সা দিয়ে কিনে নেওয়া হয় বাংলাদেশ/পাকিস্তান/ভারতের মত দেশে। এটা দুঃখজনক, কিন্তু বাস্তব সত্য।
আপনার বাবা আর্মি নাকি ফার্মি, এখানে এ প্রসঙ্গ অবান্তর। বিগত সরকারগুলো উপজাতিদেরকে তাদের যথাযথ অধিকার দেয়নি বলেই শান্তি বাহিনীর উদ্ভব। উপজাতিদেরকে দমন করার জন্য আর্মি ব্যবহার করা হয়েছে, দোষ আমাদের বাঙ্গালিদের,সংখ্যালঘুদের নয়। আমি বাঙালি বলে আমার দেশের মানুষের অন্যায় আচরণ সমর্থন করে যেতে হবে ? পাকিস্তানী বাহিনী আমাদের দেশের মানুষের ওপর যে নৃশংস অত্যাচার চালিয়েছে, সেই পরিসরের না হলেও একি ধরনের অত্যাচার আমাদের দেশের আর্মিও চালিয়েছে সংখ্যালঘু উপজাতিদের ওপর। তাহলে পাকিস্তানীদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য থাকলো কোথায় ?
আপনার পরিবার চরম ভারত এবং আওয়ামী বিদ্বেষী, আপনার কথা শুনে তা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। বিদ্বেষী মানুষ তো পক্ষপাতদুষ্ট কথা বলবেই, আপনিও সেটাই করেছেন। আপনি মানলে না মানলে কিছু যায় আসেনা। শেখ হাসিনার ১০ টা সমালোচনা আমি করতে পারি, কিন্তু ডঃ ইউনূস এবং সাম্প্রতিক চিকিৎসকদের ব্যাপারে শেখ হাসিনা যৌক্তিক কথা বলেছেন, তাছাড়া উনি জাতিসংঘ শান্তি পুরস্কার, ভারত সরকারের ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরষ্কার, মাদার তেরেসা পুরস্কার পেয়েছেন।
জাতিসংঘ ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কারে বিতর্কিত ব্যক্তিত্বদের সংখ্যা নোবেল শান্তি পুরস্কার থেকে অনেক কম, জাতিসংঘ নোবেল থেকে বড় প্রতিষ্ঠান। নোবেল পুরস্কার শুধু নামে চলে, আলফ্রেড নোবেলের নাম আর পুরস্কারমূল্যের কারণে চলে। আর আমার পরবর্তী লেখাটি নোবেল শান্তি পুরস্কার সম্পর্কিত, অপেক্ষায় থাকুন, এই লেখাটি প্রকাশিত হওয়ার পরে নোবেল প্রাইজ নিয়ে মানুষের বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধাবোধ থাকবে না।
আবারো বলছি, আপনার বয়স কম, ‘আমার পরিবার ভাল, তারা যা বলে, যা মানে তাই ভাল, আর অন্যরা খারাপ’ -এই মন মানসিকতা ছেড়ে নিরপেক্ষ দৃষ্টি দিয়ে সবকিছুকে দেখতে চেষ্টা করুন।
ধন্যবাদ।
@ডঃ মুশফিক,
বালসূলভ (হ্রস্ব ও-কার নাকি দীর্ঘ ও-কার) মন্তব্য হয়ে গেল নাকি?
@ডঃ মুশফিক,
আসলেই আর্মি ফার্মি টেনে আনা ঠিক হয়নি।
বয়স আসলেই কম কিন্তু আপনি যে দেশে থাকেন না বোঝা যাচ্ছিল। আমি বলিনা, বলব না গ্রামীন ব্যাংক ধোয়া তুলসী পাতা আমি যেটা বলতে চাচ্ছি সেটা হলো আপনার লেখাটায় বেশ কিছু তথ্য আংশিক ভুল আছে। সেটাই বলতে চেয়েছিলাম।
ডিরেক্টর আর গ্রুপলীডার, কর্মী যা ইচ্ছা বলুন। আমি বলছি উনাদের সাথে ইউনুসের প্রতিদন্ধিতার সম্প্রর্কটা আমার হাস্যকর মনে হয়েছে। আপনি খুজে বের করতে পারতেন বোর্ড অব ডিরেক্টর প্যানেলে কারা আছে… তাদের কিভাবে উনি হাতের পুতুল বানিয়েছেন এসব। আশা করি এবার ঠিক ভাবে বুঝাতে পেরেছি।
লিঙ্কটা ঠিক করে দিন দয়া করে।
যাইহোকগে মন্তব্য করে ফেলেছি বলে আবার উত্তর দিতে হচ্ছে না হলে আসলেই এ ধরনের লেখার উপর প্যাচাল পারতে আর মোটেও ভাল লাগছে না, আপনাকে ছোট করছি না। আমার ব্যক্তিগত রুচি… সায়েন্সের বিষয়গুলোর জন্য মূলত মুক্তমনায় আসা।
আর ও হ্যা,আমি ব্যকরন নাজী নয়। বানান জানি হয়ত ঠিক করে লিখতে পারি না। দোষ দিতে পারেন বাংলা ফন্ট ও লেখনী প্রক্রিয়াকে। যদিও আজকে এটা অনেকটায় উন্নত।
ভাল থাকবেন।
@টেকি সাফি,
বারবার ভুল করছেন, আমি দেশেই আছি এবং মুক্তমনার কতিপয় ব্যক্তি/লেখক-লেখিকা এটি জানেন, যাদের সঙ্গে আমার টেলি যোগাযোগ হচ্ছে।
যা ইচ্ছে বলবো না, ডিরেক্টরদের ডিরেক্টর বলবো এবং গ্রুপ লিডারদের গ্রুপ লিডার বলবো, কর্মীদের কর্মীই বলবো।
ভাল থাকবেন । 🙂
আপনাকেও কিন্তু আমার প্রবাশী মনে হচ্ছে, ভুল ধারণা হলে ক্ষমা করবেন।
বারবার মহিলাদের ডিরেক্টর বানানোর কথায় এসেছেন। এটা বলতে কী বুঝিয়েছেন? এমনভাবে বলেছেন যেন যারা একটু গ্রামীনব্যাংক সম্পর্কে কম জানে তারা ধারণা করে বসবে ওহ বাবা ইউনুস সাহেব ঐ মুর্খ মহিলাদের ডিরেক্টর পদে বসিয়েছেন? ব্যাপারটা আমার হাস্যকর মনে হয়েছে, আমি যতদুর জানি উনাদের গ্রুপ-লীডার বলা হয়, গ্রুপের সদস্যদের হাজির করা,গ্রুপের লোন নেওয়া ও রি-পেয় করার তদারকি করার বাইরে তাদের কোনো কাজ আমার জানামতে নেই। ঐ মহিলাদের সাথে ইঊনুসের পদের সাথে সম্পর্ক টেনে আনা দেখে প্রথমেই একচোট হাসি দিসি :lotpot:
আরেকচোট হাসি 😀
কারন দুটো আপনি কি কোনো বিদেশী সাংবাদিক? আপনাকেও কি উনি কোনো দিন অনুরোধ করেছিলেন?
সাংবাদিকরা কারো অনুরোধকে সম্মান দিয়ে বড় বড় কভারেজ দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করার থিউরিটা হাস্যকর হয়ে গেলো না? বলতে চান সেলিব্রিটি,নেতাপুতারা ধরে ধরে সাংবাদিক আনেন? আমিতো জানি পাঠক খাবে ভাল বলে সাংবাদিক মশায়রা নিজেই দৌড়ান।
কেমন জানি রাজনৈতিক বক্তৃতা বক্তৃতা মনে হলো। যা মনে হলো বলে দিলেন। কোন ফেলানি আর কোন রহিমা বেগম এ ভিতরের খবরটা আপনাকে দিল? আমি বলছিনা আপনি ভুল কারন সেটাও হাস্যকর ও একপেশে হয়ে যাবে। আমি শুধু বলছি এই কথাগুলো অবান্তর আর একপেশে হয়ে গেছে।
পুরো লেখাটায় যতটুকু পজেটিভ স্কোর করলেন, এই লাইটা লিখে সব দিলেন ধুলোয় মিশিয়ে। আমার বাবা এক্স-আর্মি, ৩৮-ই বেঙ্গল, এক রাত দুরাত পরেই শান্তি বাহিনী গ্রেফতার অপারেশনে গেছেন। মার মুখে শুনেছি, মা সারারাত দুয়া করে কাটিয়েছেন। অমন এক খুনিকে আপনি নোবেল দিবেন? আমি মানবো না। বাবার মুখে শুনেছি সান্তু লারমার কীর্তি, তৎকালীন ভারত সরকারের পোষা…………।
যাইহোক লেখাটা আরো অনেক সুন্দর হতে পারত পুরোপুরি নিরপেক্ষ হতে পারলে।
ধন্যবাদ।
@টেকি সাফি,
পাহাড়ের অস্থির রাজনীতি শুধু শুনেই বিশ্বাস না করার বিনীত অনুরোধ। মুক্তমনায় পাহাড়ের ওপর বেশ কিছু লেখা লিখেছি। এখানে একই বিষয়ে আমার ই-বুকটিও প্রকাশিত। আগ্রহী হলে সে সব লেখা পড়ে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ।
@বিপ্লব রহমান,
এই অংশটার জন্য দুঃখিত। ব্যাক্তিগত ব্যাপার স্যাপার থেকে খানিক এক পেশে মন্তব্যই হয়ে গেছে মনে হচ্ছে।
যাইহোক, তবে উনাকে ঠিক কী কারনে নোবেল মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে বুঝিনি, ইচ্ছে থাকলে বুঝিয়ে দিন কৃতজ্ঞ থাকব! 🙂
বিষয়টি এখানে ডঃ ইউনূসের নোবেল প্রাইজ বিজয় নয়,বিষয়টি হলো ডঃ ইউনূস গ্রামীনব্যাংক নীতিমালা ১৯৮৩ এর ১৪ (১) ধারা ভঙ্গ করেছেন কিনা, যে ধারায় উল্লেখ আছে,”There shall be a managing director of the bank who shall be appointed by the board with the prior approval of the Bangladesh Bank”, যা তিনি সুস্পষ্টভাবেই ভঙ্গ করেছেন পূর্বানুমতি না নিয়ে।
উপরন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক কে তোয়াক্কা না করে নিজের খেয়ালখুশী মত আইন বানিয়েছেন যার নাম দিয়েছেন, গ্রামীণব্যাংক ১৯৯৯ সংশোধিত নীতিমালা, যা পূর্বানুমোদনের অভাবে অবৈধ।
এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংক অধ্যাদেশ ১৯৯৩ এর ২৬ (১) ধারায় রয়েছে, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এ মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান বা কোনো পরিচালক বা প্রধান নির্বাহীকে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বা উহার আমানতকারীদের ক্ষতিকর কার্যকলাপ রোধকল্পে,বা জনস্বার্থে উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে,অপসারণ করা প্রয়োজন,তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক,কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া,আদেশের মাধ্যমে উক্ত চেয়ারম্যান,পরিচালক বা প্রধান নির্বাহীকে তাহার পদ হইতে অপসারণ করিতে পারিবে’।
তিনভাবেই ডঃ ইউনুসকে আইনসংগতভাবে অপসারিত করা যায়।
আইন সকলের জন্য সমান, ডঃ ইউনূস ঈশ্বর নন যে, উনি আইনের ঊর্ধ্বে ।
১০০ বার নোবেল প্রাইজ পেলেও, আইন আইন-ই, নোবেল প্রাইজের জন্য আইন বদলাবে না।
অবশ্যই। তবে দোষ বেশি থাকলে খারাপ মানুষ।
অবশ্যই কম। কেননা, ১ জন মানুষের উপকারের বিপরীতে ইউনূস সাহেব অনেক অনেক টাকা মুনাফা লুটেছেন। নিঃস্বার্থ হলেই তা প্রকৃত উপকার, প্রচুর মুনাফা লুটে ১-২ জনের উপকারের দরকার নেই।
আমি বদনাম করিনি, যা সত্যি তাই বলেছি। মিথ্যা কিছু বললে কোট করে জানাবেন।
ডঃ ইউনূস আপনাদেরকে কি কি দিয়েছেন সেটা বলিঃ
১) আপনাদের সেন্টিমেন্ট কে কাজে লাগিয়ে নিজে বিত্তবান হয়েছেন, আপনাদের জন্য কি করেছেন ?
২) গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে আপনাদের থেকে ৪০% হারে সুদ লুটেছেন
৩) গ্রামীণ ফোনের মাধ্যমে উচ্চ কলরেট আরোপ করে আপনাদের লুটেছেন।
৪) গ্রামীণ চেকের পাতলা কাপড়ের উচ্চমূল্য আরোপ করে আপনাদের লুটেছেন।
যে কোন গ্রামীণ সামগ্রীর বাজারমূল্য আর অন্য কোম্পানির পণ্যমূল্য তুলনা করে দেখুন, কেন সবক্ষেত্রেই গ্রামীণ পণ্যের তুলনামূলক উচ্চমূল্য।
গ্রীক দেবতাদের মানুষ পুজো করতো, কিন্ত গ্রীক দেবতারা স্বৈরশাসকের মত মানুষের সঙ্গে আচরণ করতো।
আপনারা ইউনূসের জন্য এত করলেন, ইউনূস আপনাদের জন্য কি করলো ?
লাভ আর খ্যাতি ছাড়া ইউনূস আর কিছু বোঝেন কি ?
@ডঃ মুশফিক,
এই ক্রাইটিরিয়াটি আমি বুঝলাম না। ইউনুসের কি মুনাফা হল না হল তাতে কি এসে যায় গরীব মানুষের? মূল কথা কজনের উপকার হয়েছে, কজনের অপকার হয়েছে, এতে গড় উপকার/অপকার কত, এর পারিসংখ্যানিক বৈশিষ্ট্য কি, অপারচুনিটি কস্ট কি হয়েছে না হয়েছে ইত্যাদি। একবারের জন্য যদি কোন আলোচককে এসব ব্যাপারে hard data দিতে দেখতাম তাহলে ধন্য মনে করতাম নিজেকে।
@রৌরব,
একটু মাথা খাটান, তাহলেই বুঝতে পারবেন। ১৯৭৬-২০১১ পর্যন্ত ৩৫ বছর গ্রামীনব্যাংক নাকি কাজ করে চলেছে, এর মধ্যে কি তাদেরই উচিত ছিল না হার্ড ডাটা দেওয়া ? তারা এই ডাটা না দিয়ে চুপ থেকেছে, কারণ প্রকৃতপক্ষে গ্রামীনব্যাংক দিয়ে দারিদ্র বিমোচনের বলার মত কিছুই হয়নি। আর সেই ডাটা দেওয়ার ক্ষমতা অশিক্ষিত মহিলা ডিরেক্টরদের নেই। মাথায় প্রাতিষ্ঠানিক কিছু বিদ্যা থাকা লাগে যা তাদের এবং সাধারণ জনসাধারণের নেই ! তারা হুজুগে নাচে !
আর আমরা অপকারের অনেক রিপোর্টই দিয়েছি, টিম হেইনম্যান, পীর হাবিবুর রহমান, মজুমদার বাবু, ফখরে আলম, বদরুদ্দিন উমর সহ অনেকেই এরকম বহু অনিয়মের তত্থ্য তুলে ধরেছেন।
লিংকগুলো দেখুনঃ
১)
http://www.dailykalerkantho.com/?view=details&type=gold&data=Games&pub_no=452&cat_id=1&menu_id=13&news_type_id=1&index=1&archiev=yes&arch_date=07-03-2011
২)
http://blog.priyo.com/fakhre-alam/2011/03/04/1882.html
৩)
http://www.bd-pratidin.com/?view=details&type=gold&data=International&pub_no=318&cat_id=1&menu_id=1&news_type_id=1&index=5
8)
http://www.youtube.com/watch?v=IH3THwVJ0Q8
5)
http://www.youtube.com/watch?v=XylNNiIq7ZM&feature=related
ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে এদিক অদিক করে আর কত চেষ্টা করবেন ডঃ ইউনুসকে বাচাতে, সেটা বলুন ?
@ডঃ মুশফিক,
😀
এই জিরো-সাম তর্কগুলি খুব ক্লান্তিকর। আমি কি বলেছি, ইউনুসের সপক্ষীয়রা হার্ড ডাটা দিয়েছেন? পড়ুন আমার মন্তব্যটি ভাল করে। নিজের দ্বিদর্শীয় মনোভাব অন্যদের উপর চাপানোর চেষ্টা করবেন না।
@ডঃ মুশফিক,
আপনার লিংক গুলির জন্য ধন্যবাদ কিন্তু। যদিও এর মধ্যে দুটি লেখাই পলেমিক। পলেমিকে আমার সমস্যা নেই, কিন্তু যে লেখার শিরোনাম “হিলারি, আসুন রাবেয়ার কবর দেখাতে নিয়ে যাব” — সে লেখা হার্ড ডাটা ধারণ করে না, কি বলেন?
কালের কণ্ঠের প্রতিবেদনটি ভিন্ন ধরণের, সেটার জন্য বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ। ওখানে যে প্রতিবেদনগুলি উল্লেখ আছে সেগুলি কি অনলাইনে লভ্য?
ভিডিওদুটি দেখে উঠিনি এখনও।
@রৌরব,
ডঃ ইউনূসের নিজেরই দায়িত্ব তার এবং তার প্রতিষ্ঠানের অভ্রান্ততা প্রমাণের, হার্ড কপি আমাদের রাখার বাধ্যবাধকতা নেই, ওনাকে হার্ড কপি দিতে হবে, তারপর আমরা দেখাব উনি সেখানে কি কি জোচ্চুরি করেছেন।
৩৫ বছর ধরে একটি প্রতিষ্ঠান চলছে অথচ হার্ড কপি রাখেনা, সে আবার কেম্ন প্রতিষ্ঠান ? সচেতন জনমানসে প্রশ্ন থেকে যায় !
আর তার প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু দুর্নীতি জোচ্চুরির উদাহরণ তো লিংক গুলো তে দিলাম, সুতরাং এখান থেকেই প্রমাণিত হয়, এই যদি হয় কিছু ঋণগ্রহীতার অবস্থা তাহলে বাকি ঋণগ্রহীতা রা কেমন আছেন টা সহজেই অনুমেয়।
@ডঃ মুশফিক,
একমত। ওই প্রতিষ্ঠানেরই প্রাথমিক দায়িত্ব তাদের রেকর্ড পরিষ্কার করা। তা না করে “আমরা দায়িত্ব বিমোচন করছি” — এ জাতীয় দাবি তারা করতে পারেন না। অতএব, এধরনের তথ্যে অভাবে “গ্রামীন ব্যাংক দারিদ্র বিমোচন করে, ইহা আমি বিশ্বাস করি বা” — এই দাবি আপনি সংগত ভাবেই করতে পারেন।
কিন্তু আপনার দাবি তো শুধু সেটুকুই নয়। আপনার দাবি “গ্রামীণ ব্যাংক গরিবের রক্ত শোষন করে চলেছে”। ঠিক গ্রামীণ ব্যাংকের মতই, এ দাবির প্রমাণের দায় আপনার। এর সপক্ষে প্রমাণ হিসেবে আপনি কিছু উদাহরণ দেখিয়েছেন যা অবশ্যই indicative, কিন্তু মোটেও যথেষ্ট নয়।
না, “সহজেই অনুমেয়” নয়। অত সহজে যদি কোন কিছু “প্রমাণিত” করা যেত, তাহলে অর্থনীতি, বা অন্য যেকোন বিজ্ঞান, এত কঠিন হত না।
@রৌরব,
ধন্যবাদ। এটুকু বলতে পারি, আমাকে যদি এধরণের কোন তদন্ত কমিটিতে রাখা হয়, তবে ডঃ ইউনূসের থলের বেড়াল গুলো একে একে বের হতে শুরু করবে।
আমি বর্তমানে ঢাকা থেকে দূরে একটি বিভাগীয় শহরে বাস করছি, আমার ঢাকার বাসভবনের লাইব্রেরী সুবিধা এখানে পাইনা, স্পিডি ইন্টারনেট পাইনা, তীব্র লোডশেডিং-এ জর্জরিত, তারপরেও চেষ্টা করেছি বস্তুনিষ্ঠ কিছু লেখার।
ধন্যবাদ।
দোষে গুনেই মানুষ। একজন মানুষ ও যদি ডঃ ইউনূসের ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়ে থাকে , সেটাই বা কম কিসে?
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের একটা গল্প মনে পড়ল।
একদিন একজন এসে বলল – “পন্ডিত মশাই , অমুকে আপনার খুব বদনাম করে বেড়াচ্ছে।”
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বললেন- ” কই আমার তো মনে পড়েনা , ওর কোন উপকার কখনো করেছি কী না?”
একটা প্রশ্ন করি। পারলে সত্য উত্তর দিয়েন। আপনাকে কি কখনো ডঃ ইউনূস কোনভাবে উপকার করেছেন?
@রৌরব,
ইউনূস তনয়া প্রসঙ্গ একেবারেই সঙ্গতিপূর্ণ, গরীব মানুষের রক্ত জল করা পয়সায় বিত্তবান হওয়া ডঃ ইউনূস সাহেবের মত লোকদের নষ্ট ছেলেমেয়েরা যেই বিলাসব্যসনে তাদের জীবন অতিবাহিত করে, তা দেখে বুক কষ্টে ভরে যায়, শুধু ডঃ ইউনূস কেন, এইরকম আরো অনেক রাঘব বোয়াল আছে, তাদের অধঃপতিত ছেলেমেয়েরা আছে, সরকারের উচিত ডঃ ইউনূসের মত ভণ্ড লোকদের কান ধরে শ্রীঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া।
এই সকল তন্য-তনয়ারা যা খুশি তাই করে বেড়াবে, আর আমাদের নির্বাক দর্শক হয়ে দেখে যেতে হবে ? বাবা মা সচেতন হলে দীনা ইউনূসেরা নষ্ট হতোনা, বাংলাদেশের সামনে অনেক বিপদ, জ্ঞানবুদ্ধিহীন একটি গর্দভ প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে, যারা দেশকে শুধু লুটতে পারবে, দেশের জন্য কোন অবদান রাখতে পারবে না !
@ডঃ মুশফিক,
এই যা খুশী যদি আইন-বিরোধি না হয়, তাহলে “আমাদের” নির্বাক থাকাই উচিত হবে। আর যদি আইনবিরোধি হয়, তাহলে আইন তার কাজ করবে, সেই ব্যক্তি যারই কন্যা বা যারই পুত্র হোক না কেন।
সরকারের শ্রীঘরে ঢোকাবার অধিকার আছে নাকি, তাও আবার কান ধরে? জানতাম না। কিন্তু সেকথা বাদই দিলাম। ধরে নিলাম দেশের আইনী ব্যবস্থার উচিত ইউনুসকে জেলে ঢোকানো। তো? তার সাথে মেয়েটির সম্পর্ক কি? ইউনুসের মেয়ে যা খুশি না করে বেড়িয়ে আপনার কথা মত চললে কি ইউনুসের শাস্তি কি একটু লাঘব করা যেতে পারে?
উপরের কথাগুলোর সঙ্গে নীচের কথাটির একটি যোগসূত্র আছে। আমি ঢাকা থেকে বর্তমানে দূরে অবস্থান করছি বিধায় বইটির নাম উল্লেখ করতে পারছি না। তবে হিন্ট দিয়ে রাখি,ডঃ আজাদের যেই বইগুলোতে ইন্টার্ভিউ বেশি, সেই বইগুলোর কোন একটিতেই পাবেন, খুব সম্ভবতঃ ‘নির্বাচিত প্রবন্ধ’ অথবা ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’র ওপর নামকরণে লিখিত বইয়ে পাবেন।
আসলেই শেখ হাসিনা নিয়ে এত স্তবস্তুতিমূলক গীত গাওয়া ঠিক নয়। তবে শেখ হাসিনা ইদানীং কিছু বক্তব্য দিচ্ছেন, চিকিৎসক/ডঃ ইউনূস/আরো কিছু বিষয়াদি নিয়ে, বক্তব্যগুলোর মধ্যে যুক্তি আছে।
আমাদের দেশের লোকজন গুণের কদর করতে জানে কি ? ডঃ ইউনুসকে হঠাৎ নোবেল প্রাইজ দেওয়া হলো, আর নিজের দেশের কেউ নোবেল পেয়েছে দেখে অন্ধ দেশপ্রেমিক জনতাও খুশিতে নাচতে শুরু করে দিল।ডঃ ইউনূসের গুণ অবশ্যই আছে। কিভাবে যে উনি দুনিয়ার রাঘব বোয়ালদের ম্যানেজ করে ফেলেন ! এটি ওনার বড় একটি গুণ। আর আরো বড় গুণ হলো, ব্যবসা ওনার চেয়ে কেউ ভালো বোঝেন না। ইদানীং সামাজিক ব্যবসাতত্ত্ব নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছেন। নিঃসন্দেহে এগুলো ওনার গুণ।
ইউনুস সাহেবকে বরখাস্ত করার ব্যাপারটা একটা আইনী বিষয়, এখানে উনি কি চুষলেন না চুষলেন সেটা অবান্তর মনে হয়েছে আমার কাছে। আপনার বিবরণ পড়ে মনে হল, বৈধ ভাবেই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তা হয়ে থাকলে আমার নিজের আর কোন প্রশ্ন নেই।
সরকারের এত বরখাস্ত করে বেড়াবার ক্ষমতা বরদাস্ত করতে আমার একটু সমস্যা আছে, কিন্তু সেটা মেটা-প্রশ্ন, ইউনুসের ক্ষেত্রে সেটি আইন-সম্মত হয়ে থাকলে লেঠা চুকে গেল।
তবে আপনার প্রবন্ধ এত ad hominem কণ্টকিত না হলে মুক্তমনার সাথে আরো সাযুজ্যপূর্ণ হত। ইউনুসের মেয়ের অংশটা পড়তেই পারিনি, এত অবান্তর মনে হয়েছে।
ভাল লাগল। (Y) তবে কিছু প্রশ্ন থেকেই যায়।
এটাকি একটু বেশি আবগী হয়ে গেলনা। এই ব্যপারে কি কোন তথ্য দেয়া যাবে?
এ ব্যপারেও একটি সূত্র থাকলে ভাল হয়।
লেখাটিতে আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, বাঙ্গালীর আজীবনের গর্ব, ধান কন্যা, সুবচনা, অত্যন্ত জনদরদী শেখ হাসিনার কথারই প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি।
দোষ-গুণ নিয়েই মানুষ কিন্তু ডঃ ইউনুসের মত লোক যার তিল পরিমান কোন গুণ লেখক পাননি। সুৎরাং এত খারাপ একজন লোককে দেশে থাকতে দেয়াও ক্ষতিকর।
@হেলাল,
http://blog.mukto-mona.com/?p=15388
এই লেখাটাতে ঠিক তার বিপরীত হয়েছে।
তো দুজন মানুষ দই দিক থেকে দেখতেই পারেন। একজন যেহেতু অনেক গুন গেয়েছেন তাই একই গুনের পুনরাবৃত্তি না করাই কি ভাল নায়??