কার দেখা যেন পেয়েছিলে তখন পথে!
কার মুখটা যেন আবছা দেখেছিলে তুমি!
নুয়ে থাকা মাথার পরে আধখানি আঁচল।
কেমন যেন ফ্যাকাশে ভীত চোখে তাকানো পলক।
তাকে ঘিরে আবর্তন ছিলো কিছু উসকোখুসকো মানুষের।
মানুষ! তোমার চোখে তারা মানুষই বটে।

তুমি সভ্যতার অবতার, ভদ্রতার ছাঁচের গঠন।
মুর্খ হলেই মিছে কেউ অন্যের ব্যাপারে মাথা গলায়!

তোমার নিজের নানা ব্যস্ততা ছিলো।
অফিসের ঘড়িটাও তড়িঘড়ি করে চলে,
বিকেলে বন্ধুর নিমন্ত্রণ পুরনো আড্ডার কফিশপে,
আনমনা হতে না হতেই স্টপেজে অফিস বাস থামলো।

অতঃপর তুমি গন্তব্যের খোঁজে বেরিয়ে গেলে।

কার যেন দেখা পেয়েছিলে পথে আজ!

ভীরু অদ্ভুত ফ্যাকাশে মুখটা!
আবছা মুখটা তার গন্তব্যে পৌছে গেছে।

সে এখন ঠাণ্ডা অন্ধকার ঘরে, তার মতোই কিছু নিথরের সাথে।
সেখানে কেউ চেনা অচেনা নেই, কারো মুখে কোন শব্দ নেই।
শান্ত নিশ্চুপতায় ছেয়ে আছে চারিদিক।
আঁতকে উঠোনা যেন! তার কিছু হয়নি।
সে জনমের তরে বেঁচে গেছে।

পথিক, তুমি বরং ভুলেই যেও সেই আবছা মুখখানি।
পথিক হয়েই থেকে যেও সর্বকালের পথচলায়।

-সামিয়া জামান