বাংলাদেশে যে কোন বড় ঘটনার সাথে মেজর নামটা বেশ জড়িত থাকে। যেমন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন মেজর জিয়া, বঙ্গবন্ধু হত্যায়ও ছিল আর্মির মেজররা। এছাড়া ব্লগার হত্যা ও গুলশানের ‘হোলি আর্টিজান’ হামলায় মূল কারিগরের বরখাস্তকৃত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক। বাংলাদেশে প্রথম জঙ্গিবাদ বিরোধী যে বড় অভিযান হয় সেটি ছিল মেজর পীর মতিউর রহমানের আস্তানায়।

১৯৮৬ সালে ‘মুসলিম মিল্লাত’ বাহিনী গঠনের মধ্য দিয়ে এই জঙ্গি তৎপরতার সূচনা ঘটে। তৎকালীন চাকরীচ্যুত সেনা কর্মকর্তা মেজর মতিউর রহমান মধ্যপ্রাচ্য ঘুরে এসে এই বাহিনী গঠন করেন। নিজ গ্রাম কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ১১৩টি ঘর ও ৬১ টি বাঙ্কার খনন করে শুরু করে যুদ্ধবিদ্যা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম।

১৯৮৯ সালের ১২ ডিসেম্বর মতিউর রহমানের আস্তানায় অভিযান চালায় ৫ শতাধিক পুলিশ। আড়াই দিন ধরে চলা বন্দুক-যুদ্ধে পুলিশের দুই সদস্যসহ ২১ জন নিহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মর্টারের গোলাবর্ষণও করা হয়। শেষে ৪৮ জন জঙ্গি সদস্যসহ মতিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। যা দেশে ধর্মীয় জঙ্গি-গোষ্ঠীর প্রথম বহিঃপ্রকাশ। (এই ঘটনাটা প্রথম পড়ি বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায়। গুলশান হামলার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে প্রথম জঙ্গি বিরোধী অভিযানের কথাও বলা হয়।)

কে এই মেজর পীর? মেজর পীর হিসেবে পরিচিত মতিউর রহমান ওরফে হামিদ স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় সেনা বাহিনীর ক্যাপ্টেন ছিলেন এবং হামিদ কোম্পানি নামে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি বাহিনী সংগঠিত করে ১১ নং সেক্টরের আওতায় স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তার দলই ১৯৭১-এর ১৬ই ডিসেম্বর ও ১৭ই ডিসেম্বর যথাক্রমে নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জে প্রবেশ করে। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে তিনি মেজর পদে উন্নীত হন। চাকুরীরত অবস্থায় শাপলা হাউজিং সোসাইটি গড়ে তোলেন। উক্ত সোসাইটির তিন থেকে চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিনি চাকরীচ্যুত হন এবং মধ্যপ্রাচ্যের কোন এক দেশে গমন করেন। পরবর্তীতে দেশে ফিরে নিজেকে পীর হিসেবে ঘোষণা দিয়ে “মুসলিম মিল্লাত বাহিনী’’ নামে অনুসারীদের নিয়ে একটি দল গঠন করে। বিশ বছরের মধ্যে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে তিনি দেশের বিভিন্ন স্থান হতে নিজের দলের কর্মী সংগ্রহ করতে থাকেন এবং তিন বছর আগে নিজ এলাকা শিমুলিয়ায় আস্তানা গড়েন। আস্তানার চারপাশে অন্তত ২০টি বাঙ্কার তৈরি করে আস্তানাটিকে সুরক্ষিত দুর্গে পরিণত করা হয়। কোন কোন বাঙ্কারে ইটের গাঁথা। এই বাঙ্কার থেকেই পীরের অনুসারীরা পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে লিপ্ত হয়। আস্তানায় অনুসারীদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। প্রত্যেক মুরিদের নিজের কান পর্যন্ত লম্বা বিশেষভাবে তৈরি একটা বাঁশের লাঠি থাকতো। প্রত্যেক লাঠির ভেতরে প্রায় আড়াই হাত দীর্ঘ একটি কিরিচ ভরে রাখা ব্যবস্থা ছিল এবং প্রয়োজনের সময় লাঠি থেকে সেই কিরিচ বের করা যেন ব্যবহার করা যায় সেই ব্যবস্থা ছিল। লাঠিগুলোর গায়ে নম্বরও লেখা থাকতো। প্রায় পাঁচ একর জমির উপর এই আস্তানা গড়ে তোলা হয়। সেখানে কয়েকটি পুকুরও খনন করা হয়। পীরে আবার অশ্বারোহী বাহিনীও ছিল। পুলিশের সাথে যুদ্ধে চারটি ঘোড়া মারাও যায়। বাকি দুটি পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মেজর পীর নিজ এলাকায় “শিমুলিয়া ফজলে আইন মাদ্রাসা” প্রতিষ্ঠান করেন। সেই মাদ্রাসায় যুদ্ধ বিদ্যার প্রশিক্ষণও দেওয়া হতো। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় তিন’শ জন। আরও বিস্তারিত জানার জন্যে পত্রিকার ছবিগুলো পড়া যেতে পারে।

১২ ডিসেম্বর শুরু হওয়া সশস্ত্র যুদ্ধ ১৫ ডিসেম্বর শেষ হয়। মেজর পীরকে আহত অবস্থায় পুলিশ গ্রেফতার করে। এই সংঘর্ষে দুই জন পুলিশসহ ২১ জন মারা যায় আর আহত হয় শতাধিক। আর গ্রেফতার করা হয় ৪০ জনকে। আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এই সংঘর্ষে ৮ শতাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ৩ শতাধিক পরিবার হয় গৃহহারা। সুতরাং সহজে অনুমান করা যায় পুলিশের সাথে কী যুদ্ধটাই না তারা করেছে। মজার বিষয় হল; এই মেজর পীরের কোন সাজা হয় নাই!

‘সৈনিক জীবন – গৌরবের একাত্তর রক্তাক্ত পঁচাত্তর” বইয়ের লেখক মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম তার বইতে (পৃ. ১৩২) ইন্টারেস্টিং তথ্য দিলেন। স্বাধীনতার পর মেজর পীর’পলাশ হাউজিং সোসাইটি’ নামে একটি আবাসন প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করেন। প্লটের মূল্য সাশ্রয়ী, সেনা সদরে কর্মরত অফিসারদের মধ্যে এ প্রকল্পে জমি কেনার হিড়িক পড়ে যায়। জিয়াউর রহমানও বেগম জিয়ার নামে পাঁচ কাঠার একটি প্লট কিনে ফেলেন। কিন্তু পরের দিন আবার জমি ফেরত দিয়ে মতিউর রহমান থেকে টাকা ফেরত নিয়ে নেন।

২০১১ সালে কালের কণ্ঠ “পীর মতিউর রহমান ও তাঁর মুসলিম মিল্লাত বাহিনী” শিরোনামে একটা লেখা প্রকাশ করে। এখানে তা তুলে দেওয়া হল।

মুসলিম মিল্লাত বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা পীর মেজর (অব.) মতিউর রহমান সম্পর্কে এলাকার মানুষের কাছে নানা ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে। বিশেষ করে শিমুলিয়ার বেশির ভাগ মানুষ তাকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে জানে। আশপাশের গ্রামের মানুষ আবার তাকে ভালো জানে না। শিমুলিয়া গ্রামের উত্তরে পাঁচলগোটা, দক্ষিণে কলাদিয়া, পশ্চিমে চকদিগা ও পূর্বে কটিয়াদী উপজেলার মধ্যপাড়া গ্রাম। বাইরের গ্রামের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মতিউর গ্রামের মানুষকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে নিজের পক্ষে রেখেছিলেন। সে তাদের ধর্মীয় বিষয়াদি বোঝাত। তাই গ্রামের ধর্মভীরু মানুষ তার কর্মকাণ্ডকে বাঁকাচোখে দেখত না। অনেকটা সরল বিশ্বাসে তার মুসলিম মিল্লাতের সদস্য হয়েছিলেন। এ কারণে তার আদেশ-নিষেধ মেনে চলতেন তাঁরা। মতিউর সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হয়ে ১৯৭৬ সালের দিকে শিমুলিয়ায় তার নিজের বাড়িতে গিয়ে আস্তানা গাড়েন। অনেক জমিজমা কিনে ওইখানে খানকায়ে শরিফ প্রতিষ্ঠা করেন। তৈরি করেন ‘মুসলিম মিল্লাত’ বাহিনী। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৭ সালে দায়ের করা ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানার একটি মামলায় {নং-৩(২)৭৭} তার সাজা হয়েছিল। তা ছাড়া ঝিনাইদহ থানায় একটি মামলার {১৪(১)৯০} ফেরারি আসামি ছিল। তা ছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা অনুসারীদের বিরুদ্ধেও অনেক মামলা-মোকদ্দমা ছিল। ঘটনার পর তার আস্তানা থেকে সামরিক বাহিনীর বুট, পোশাক তৈরির সেলাই কল, থানে থানে খাঁকি কাপড়, গুলির টার্গেট প্র্যাকটিসের জন্য চানমারীর টার্গেট বোর্ড, ২৬টি আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট, মুসলিম মিল্লাতের মেহমানখানার হিসাব খাতা, বয়াত গ্রহণ করার ফরম, ছাত্র হাজিরা খাতা, মাইকের হর্ন, মুসলিম মিল্লাতের সাইনবোর্ড, হেলমেট, কয়েক শ খাবার প্লেট, বড় বড় হাঁড়ি-পাতিল, তীর-ধনুক, বর্শা-বল্লম, আগায় লোহা লাগানো কয়েক শ লাঠি, মাইক্রোবাস, পাইপগানসহ আরো বহু আলামত সংগ্রহ করে পুলিশ। সূত্রমতে, মতিউরের আস্তানায় নিয়মিত সামরিক ট্রেনিং দেওয়া হতো। ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জিহাদি তৈরি করাই ছিল তার মূল উদ্দেশ্য। সব মিলিয়ে এ অঞ্চলে ইসলামের নামে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড করা হতো বলে পুলিশের ধারণা। আশপাশের কয়েকটি গ্রামের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পীর মতিউর সামরিক কায়দায় পরিকল্পিতভাবে তার কর্মকাণ্ড পরিচালনা করত। এ জন্য পুরো গ্রাম জরিপ করা হতো। গ্রামবাসীকে নিয়ে নিয়মিত আয়োজন করা হতো পরামর্শ সভা। মিল্লাত বাহিনীর কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য চাঁদা সংগ্রহ, গ্রুপভিত্তিক কর্মবণ্টন করা হতো, নারীদের করণীয় নিয়েও সভা হতো। প্রতিদিন বিকেলে আস্তানা কারা পাহারা দেবে তা জানিয়ে দেওয়া হতো লিখিতভাবে। বিভিন্ন সভায় কারা অনুপস্থিত ছিল তার তালিকা করে তাদের ধরে এনে শাস্তি দেওয়া হতো। আশপাশের গ্রামগুলোতে কারা দাওয়াত নিয়ে যাবে তারও তালিকা প্রতিদিন প্রস্তুত করা হতো। মিল্লাত বাহিনীর বিভিন্ন অঞ্চলের প্রধানদের তাদের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে লিখিত প্রতিবেদন মেজর মতিউরকে জানানো বাধ্যতামূলক ছিল। নিয়মিত লাঠি ও অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। সব মিলিয়ে তিনি একটি ইসলামী জঙ্গি ধাঁচের বাহিনী গড়ে তুলেছিল বলে জানা যায়। বিভিন্ন সময় এ মামলার তদন্ত করেছেন এমন কয়েকজন তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, ধর্মীয় লেবাসে ওই ব্যক্তি তার অপকর্মগুলো করত বলে এলাকার লোকজন এগুলো বেআইনি মনে করত। পুলিশের মতে, এটিই ছিল বাংলাদেশের প্রথম ইসলামের নামে সংঘটিত জঙ্গি কর্মকাণ্ড। পুলিশ জানায়, এ আস্তানায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হত্যা মামলার আসামিরাও নিয়মিত যাতায়াত করত। তাদের মধ্যে কর্নেল রশীদ, ফারুক, বজলুল হুদা, শাহরিয়ারের সঙ্গে পীর মতিউরের ঘনিষ্ঠতা ছিল। সূত্র জানায়, তাদের মূল লক্ষ্য ছিল সশস্ত্র উপায়ে একটি অঞ্চলে তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা। পর্যায়ক্রমে দেশে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করা। তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন সিআইডির একজন কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জোর দিয়ে বলেন, মেজর (অব.) মতিউর হয়তো এলাকাবাসীর কাছে হিরো ছিল। তবে তিনি যা করেছেন বা করার ইচ্ছে ছিল তার সবই বাংলাদেশের আইনে নিষিদ্ধ।

প্রথম আলো থেকে:

সূচনায় মুসলিম মিল্লাত বাহিনী: প্রথম আলোর অনুসন্ধানে জানা যায়, আফগানিস্তান থেকে বাংলাদেশি মুজাহিদদের প্রত্যাবর্তনের আগে, ১৯৮৬ সালে ‘মুসলিম মিল্লাত বাহিনী’ গঠন করেন চাকরিচ্যুত সেনা কর্মকর্তা মতিউর রহমান। এর কয়েক বছর আগে কিছুসংখ্যক বাংলাদেশি ফিলিস্তিনে গিয়েছিলেন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে লড়াই করতে। এ জন্য তাঁরা ভাতাও পেয়েছিলেন। একই সময়কালে ফ্রিডম পার্টিও অনেককে প্রশিক্ষণের জন্য লিবিয়ায় পাঠিয়েছিল।

মুসলিম মিল্লাত বাহিনীর প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর মতিউর রহমান মধ্যপ্রাচ্য ঘুরে এসে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার শিমুলিয়ায় নিজ গ্রামে আস্তানা গড়ে তোলেন। পাঁচ একরের ওই আস্তানায় সশস্ত্র প্রশিক্ষণ শুরু করেন। কিন্তু এলাকায় তিনি পীর মতিউর নামে পরিচিতি পান।

পাকুন্দিয়ার ওই আস্তানায় সদস্যদের থাকার জন্য ১৩১টি ঘর ও বেশ কিছু তাঁবু এবং ৬১টি পরিখা (বাংকার) তৈরি করা হয়েছিল। ছিল নিজস্ব জেনারেটরে বিদ্যুতের ব্যবস্থা। একটা মাদ্রাসাও করা হয়েছিল সেখানে। নাম ‘শিমুলিয়া ফরজে আইন মাদ্রাসা’। তার ফরজে কেফায়া বিভাগে যুদ্ধবিদ্যা শিক্ষা দেওয়া হতো। ওই প্রতিষ্ঠানের তিন শতাধিক ছাত্রের সবাই ছিল কুমিল্লা, যশোর, ঝিনাইদহ, চাঁদপুর, মাগুরা, কুষ্টিয়া ও নারায়ণগঞ্জ এলাকার।

১৯৮৯ সালের ১২ ডিসেম্বরে পুলিশ পীর মেজর (অব.) মতিউর রহমানের আস্তানায় অভিযান চালাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ হয়। আড়াই দিন ধরে চলে ওই বন্দুকযুদ্ধ। এতে পুলিশের দুই সদস্যসহ ২১ জন নিহত হন। আহত হন ২০ জন। পুলিশের পাঁচ শতাধিক সদস্য ওই অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মর্টারের গোলাবর্ষণও করতে হয়েছিল। আহত অবস্থায় পালাতে গিয়ে পীর মতিউর ও তাঁর ৪৮ সঙ্গী গ্রেপ্তার হন। তাঁর আস্তানা থেকে রাইফেল, রিভলবার, বন্দুক, তির-ধনুক, বল্লম, লাঠি, তলোয়ারসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গুলি, খাকি পোশাক ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হয় ২৭টি পাসপোর্ট, যেগুলোতে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ভিসা ছিল। দেশে ধর্মীয় জঙ্গিগোষ্ঠীর সশস্ত্র তৎপরতার ওটাই ছিল প্রথম বহিঃপ্রকাশ।

পীর মতিউর রহমানের গ্রেপ্তারের পর মুসলিম মিল্লাত বাহিনীর আর কোনো তৎপরতার খবর পাওয়া যায়নি। যদিও মতিউর রহমান পরবর্তী সময়ে জামিনে বেরিয়ে যান। এরপর তাঁর গতিবিধির ওপর কোনো নজরদারি করা হয়নি। একটি গোয়েন্দা সংস্থার উচ্চপর্যায়ের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক বছর আগে সর্বশেষ জানা গিয়েছিল, মতিউর রহমান তাঁর দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্ত্রীকে নিয়ে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বসবাস করছেন। তবে গত দুই বছর চেষ্টা করেও তাঁর সম্পর্কে আর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। (টিপু সুলতান, প্রথম আলো’র সাংবাদিক)