ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি বাম রাজনীতি করা লোকজন সাধারণত নিরীশ্বরবাদী হয়ে থাকেন। আর ইসলামের অনুসারীগণ এক আল্লাহর উপাসক। সুতরাং আপাত দৃষ্টিতে বাম রাজনৈতিক মতাদর্শের সাথে ইসলামের শত্রু ভাবাপন্ন দা-কুমড়া সম্পর্ক মনে হলেও বামের সাথে ইসলামের অন্তরঙ্গ অবৈধ পীরিত বিদ্যমান। কম্যুনিস্টদের মতে কমিউনিজম হলো সর্বশ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা, সকলের সাম্যতা নিশ্চিত করে এবং দলের নেতারা হলেন সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী এবং কর্তৃপক্ষ। কম্যুনিজম ধর্মের জন্ম হয়েছে কার্ল মার্ক্সের হাত ধরে, তার চিন্তার বিশ্বস্ত সহচর ছিলেন ফ্রেডরিখ এঙ্গেলস। দীর্ঘদিন দুজন গবেষণা করেছেন ব্রিটিশ মিউজিয়ামের রিডিং রুমে। ১৮৪৮ সালে দুজন মিলে বের করেন কম্যুনিস্ট পার্টির ম্যানিফেস্টো এবং ইংল্যান্ডের মত পুঁজিবাদী দেশে জন্ম দেন ‘কম্যুনিস্ট লীগ’ নামের রাজনৈতিক ধর্মের ম্যানুয়াল। ১৮৬৭ থেকে ১৮৯৪ সালের মধ্যে তিন-খণ্ডে প্রকাশিত ‘দ্য ক্যাপিটাল’ নামের পবিত্র গ্রন্থেই নিহিত আছে কম্যুনিস্ট পার্টি তথা ধর্মের প্রাণ ভোমরা। তারপর মার্ক্সের সমাজতান্ত্রিক সাম্যবাদী ধর্মকে বিকশিত শাখায় পল্লবে শিকড়ে বিকশিত করেছে ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন, ফিডেল ক্যাস্ট্রো, চে গুয়েভারা, মাও সেতুং, জোসেফ স্ট্যালিন আরও অনেক। ‘দ্য ক্যাপিটাল’ গ্রন্থেও বলা হয়েছে মানুষের বঞ্চনার ইতিহাস দ্রুত শেষ হয়ে আসছে এবং প্রলেতারিয়েত শ্রেণি ক্ষমতাসীন বুর্জোয়াদের হারিয়ে ক্ষমতা দখল করবে। অপরদিকে ইসলাম ধর্মেরও একজন প্রবর্তক ছিলেন এবং তিনিও ধর্ম প্রচারের আগে দীর্ঘদিন হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন ছিলেন এবং তারপর তার উপর নাজিল হলো পবিত্র কোরআন শরিফ এবং তার সাথেও অনেক সঙ্গী ছিলেন। দ্য ক্যাপিটাল এবং কোরআন দুইটা পবিত্র গ্রন্থেরই পঠন পাঠন, প্রচার সারা পৃথিবীব্যাপী এখনো জোরেশোরে চলছে এবং নিকট ভবিষ্যতে থামার কোন সম্ভাবনা নাই। কমিউনিস্ট পার্টির উচ্চ পর্যায়ের কমিটিকে পলিট ব্যুরো বলে অন্যদিকে ইসলামের তাত্ত্বিক আলোচনার জন্য রয়েছেন মুফতি, মুহাদ্দিস।

কম্যুনিজমে সকল নাগরিককে রাষ্ট্রের কাছে নিঃশর্ত-ভাবে আত্মসমর্পণ করতে হয়। ইসলামেও সব মুসলিমকে আল্লাহর কাছে নিঃশর্ত-ভাবে আত্মসমর্পণ বাধ্যতামূলক। কম্যুনিস্ট পার্টিতে নেতারাই ঠিক করে দেন রাষ্ট্রের নাগরিকদের চাওয়া পাওয়া এবং নির্ধারণ করেন দেশের আইনকানুন, বিচার ব্যবস্থা। ইসলামের আছে শরিয়া আইন। কম্যুনিস্ট পার্টির নেতারা নিজেদের খেয়ালখুশি মত আইন বানায়, পরিবর্তন করে, ব্যবহার করে তেমনি ইসলামের চিন্তাবিদ, ইমাম, মুফতি, মাওলানা নিজেদের উপযোগী ও সুবিধামত কোরআন, হাদিসের ব্যাখ্যা দাঁড় করান যাকে বলে ফতোয়া। একজন খাঁটি কম্যুনিস্ট বা একজন সত্যিকারের মুসলিমের মনে এসব অসামঞ্জস্যতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিলেও মেনে চলতে বাধ্য কারণ প্রশ্ন করলে ধড়ে মাথা থাকার নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না।

কম্যুনিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থা বিরোধী-পক্ষের অনুপস্থিতিতেই প্রকৃত শান্তি ও সাম্য খুঁজে পায়। কম্যুনিস্টরা মনে করে কম্যুনিজম হলো দুনিয়ার সবথেকে শ্রেষ্ঠ শাসনব্যবস্থা এবং সবদেশের উচিৎ কম্যুনিজমের কাছে নিজেদের সঁপে দেয়া আর সারা পৃথিবীর এই শাসনব্যবস্থার ছায়াতলে চলে আসা উচিৎ। যদি না আসে তাহলে বিপ্লব করে সেখানে কম্যুনিজম প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিপ্লবের পথে বাঁধা আসলে সেই বাঁধার বিন্ধ্যাচল বার্লিন দেয়ালের মত চূর্ণ করে দিতে হবে। কম্যুনিজমে দুইটা পক্ষ আছে যথা বুর্জোয়া আর প্রলেতারিয়েত। প্রলিতারিয়েত লোকজন হলো হ্যাভনট শ্রেণি যারা সংগ্রাম ও সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে বুর্জোয়া গোষ্ঠীর কাছ থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়ে রাষ্ট্রে কম্যুনিজম শাসন প্রতিষ্ঠা করবে। ইসলামের বিশ্বাসও ঠিক একই রকম। ইসলামই হলো একমাত্র সত্য এবং সঠিক পথ। ইসলামই দিচ্ছে একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। কম্যুনিজমের মত ইসলামকেও পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হবে। এমনকি সেক্ষেত্রে যদি তরোয়ালের সাহায্য নিতে হয় তাতেও কোন নিষেধ নাই। প্রতিটি ব্যক্তি আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ না করা পর্যন্ত জিহাদ চালিয়ে যাওয়া প্রতিটি মুসলমানের ঈমানি দায়িত্ব। ইসলামও কম্যুনিস্ট কায়দায় পৃথিবীকে দুইটা অঞ্চলে ভাগ করেছে ‘দারুল ইসলাম’ শান্তিপূর্ণ অঞ্চল এবং ‘দারুল হার্ব’ কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাক্রান্ত অঞ্চল। পুরো পৃথিবীর সব মানুষ যতদিন ইসলাম গ্রহণ করে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ না করবে ততদিন পর্যন্ত চূড়ান্ত শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে না।

কম্যুনিজম তার প্রচার প্রসারের জন্য প্রোপাগান্ডা ব্যবহার করে থাকে এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তথ্য বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে। কম্যুনিস্ট রাষ্ট্রের নাগরিকদেরকে মিথ্যে আশ্বাস ও ভরসা দিয়ে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে এমন অবস্থা করে যেন তারা গ্যাস বেলুনের মত উড়ে যেতে পারবে। প্রায় সময় বিদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির সময় তথ্যের বিকৃতি ঘটিয়ে কার্য উদ্ধারের চেষ্টায় নিয়োজিত থাকতে দেখা যায় কিন্তু কার্যসিদ্ধির পরে চুক্তি ভেঙে ফেলতে দ্বিধা করে না। একইভাবে ইসলামেও তাকিয়া নামে এক অদ্ভুত কূটকৌশল আছে। তাকিয়া রাজনৈতিক ইসলামের একটা গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র এবং বৈশিষ্ট্য। কোন অঞ্চলের দখল নিতে বা প্রভাব বিস্তার করতে অন্তঃসারশূন্য প্রচারণা, তথ্যের বিকৃত উপস্থাপনা, বিপথগামী করা রাজনৈতিক ইসলামের তাকিয়াবাজির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ইসলাম কখনো শান্তি চুক্তি সমর্থন করে না; বড়জোর যুদ্ধ বিরতি (হুদনা) চুক্তি হতে পারে। হুদনা চুক্তি বিষয়টা এরকম যেন সাময়িক অস্ত্র বিরতি যেটা কখনোই দশ বছর অতিক্রম করতে পারবে না। মুসলিমরা অস্ত্র এবং সেনাবাহিনী জোগাড় করে যুদ্ধ জয়ের সম্ভাবনাময় অবস্থায় আসলেই যেকোনো সময় যেকোনো দিন হুদনা চুক্তি ভেঙে দিয়ে নতুন করে যুদ্ধ ঘোষণা দিতে পারে।

কম্যুনিস্ট দেশে পার্টি নেতারা কখনো ভুল করেন না এবং তাদের শাসন সর্ব উৎকৃষ্ট। পার্টির নেতারা যেকোনো সময় যেকোনো আইন পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংকোচন, বিয়োজনযা খুশি তাই ইচ্ছা মতো করতে পারে কারণ তাদের বাধা দেয়ার কেউ নাই। যদি কেউ মাথাচাড়া উঠে, প্রশ্ন করে তবে সে প্রতিবিপ্লবী, সে শ্রেণি শত্রু খতমের অন্তরায় সুতরাং তাকেই গ্রেফতার করে সংশোধনের জন্য লেবার ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেয়া হয়, বেশি ঝামেলাপূর্ণ মনে হলে খতম করে দেয়াও বাড়াবাড়ি কিছু নয়। কমিউনিস্ট শাসন প্রয়োজনে পূর্বের ইতিহাস মুছে দিয়ে নতুন ইতিহাস নতুন করে লেখায়। ইসলামেও একই অবস্থা। ইসলামের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে পারবে না বললেই সে কাফের, মুরতাদ, মুনাফেক, মুশরিক এবং তাকে হত্যা করা জায়েজ। কম্যুনিজম এবং ইসলাম দুই পক্ষই গণতন্ত্র, পশ্চিমা চিন্তা, আধুনিকতাকে শত্রু মনে করে এবং ঘৃণা করে। তাদের ধারণা গণতন্ত্র, আধুনিকতা সব সময় ইসলাম এবং কম্যুনিজমের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কম্যুনিজম গণতন্ত্র, পুঁজিবাদকে সাম্রাজ্যবাদ হিসেবে অভিহিত করে আর ইসলাম গণতন্ত্রকে বলছে কুফুরি তাগুদি আইন।

ইসলাম এবং অন্যান্য ধর্মের মতই কম্যুনিজমেরও পবিত্র দিন এবং উৎসবের দিন আছে। ১ মে হলো কম্যুনিজমের পবিত্র দিন আর অক্টোবর বিপ্লব হলো বাৎসরিক উৎসবের দিন। এছাড়াও কিউবাতে ফিডেল ক্যাস্ট্রো যেদিন বুর্জোয়া শ্রেণিকে উৎখাত করে সেদিনও অন্যতম পার্বনের দিন। চে গুয়েভারার জন্মদিন হলো কম্যুনিজমের জন্মাষ্টমী। কম্যুনিজম এবং ইসলাম দুই ধর্মেই রিক্রুটের জন্য কিঞ্চিত ব্রেইন ওয়াশের দরকার হয়। সেজন্য ছোটবেলা থেকেই পাঠচক্রের ব্যবস্থা আছে। ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা অনেক সময় ধর্মের নিগূঢ় তত্ত্ব, তথ্য, উপাখ্যান বুঝতে পারে না তখন দরকার হয় তাত্ত্বিক গুরু যেমন ইবনে বিন বাজ, আয়মান আল-জাওয়াহিরি, মাওলানা মাসুদ আজহার, শিবদাস ঘোষ, চারু মজুমদার এরকম নামের তালিকা অসংখ্য আছে। কম্যুনিজম প্রচারকদেরকে কমরেড বলে আর ইসলাম প্রচারকদেরকে হুজুর বলা যেতে পারে। দুই ধর্মের সাংগঠনিক প্রক্রিয়া একই রকম। কম্যুনিজম ধর্মের স্বর্ণযুগে রাশিয়াতে সোভিয়েত আর্মির একজন কমিশার থাকত যাদের কাজ হলো কম্যুনিজমের প্রতি প্রত্যেক নাগরিকের আনুগত্য নিশ্চিত করা। ইসলামেও সবার ঈমান রক্ষার জন্য মসজিদে মসজিদে আছে ইমাম যারা নিয়মিত বয়ান দিয়ে থাকেন। কম্যুনিজম এবং ইসলাম দুই ধর্মকেই প্রতিষ্ঠার জন্য বিপ্লব বা যুদ্ধ করতে হয়েছে। ফলে বিপ্লব বা যুদ্ধে কিছু বিপ্লবী বা মুজাহিদ নিহত বা শহিদ হয়েছে। এই দুই ধর্ম থেকেই কেউ বেরোতে পারে না। ধর্মত্যাগীদেরকে হত্যা করা নির্দেশ আছে। সোভিয়েত যুগে কম্যুনিজম ধর্ম অনেক উগ্র এবং মিশনারি ছিল। দেশে দেশে কম্যুনিজম প্রচারের জন্য কমরেড পাঠাত। কম্যুনিজম ধর্মান্ধ বিশ্বাসীও নিজের সর্বস্ব দিয়ে কার্ল মার্ক্সের গসপেল প্রচার করে (ভার্সিটিতে এক দাদা নিজের বাড়ির টিনের চাল, গোলার ধান, গোয়ালের গরু বেচে কাউন্সিল করেছিলেন) এবং নিজের প্রাণ তুচ্ছ করে মার্ক্সের গসপেল প্রচার করার উদাহরণ ভুরি ভুরি। ইসলামও প্রচারমুখি ধর্ম, তাবলীগ, জামাত, মারকাজের মাধ্যমে সর্বদা মুসলিম সম্প্রদায় ইসলাম প্রচারে নিয়োজিত।

যেকোনো মতবাদ, তত্ত্ব, বিশ্বাস যদি একমাত্র সত্যপথ হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠা পেয়ে যায় তাহলে তার থেকে ভয়ানক, ধ্বংসাত্মক এবং সর্বগ্রাসী আর কিছু আর হয় না। কম্যুনিজম এবং ইসলাম দুই ধর্মই প্রচার প্রসার করতে গিয়ে মৃত্যু ঘটেছে লাখ লাখ মানুষের। এই দুই ধর্মেই মানুষের বাক-স্বাধীনতা বলে কিছু নেই, শুধু আছে চূড়ান্ত আত্মসমর্পণ। এতসব কারণেই হয়ত এই উপমহাদেশের কম্যুনিস্ট কমরেডরা একটু বয়স্ক হয়ে গেলে সালাফিস্টদের সাথে মিলেমিশে হজ্ব করে আসে। পুঁজিবাদ জিনিসটা কী সেটা বামেরা ডানদের থেকেও ভাল বোঝে ঠিক এই কারণেই সব এনজিওগুলোতে বামদের একচ্ছত্র আধিপত্য। প্রাক্তন বা বর্তমান বামদের সাথে তাই ইসলামের গোপন অভিসার লক্ষ্য করা যায় যেমন ফরহাদ মাজহার, পিনাকী, অরুন্ধতী রায় টাইপের বাম বর্তমানে ইসলামের ধামাধরা এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এই মুহূর্তে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন কাজ করছে বিপুল সংখ্যক বাম। এই উপমহাদেশের কম্যুনিস্ট কমরেডরা চীন এবং রাশিয়া দুই ব্লকে বিভক্ত। চীনাবাদামপন্থী কমরেডরা সাধারণত বামৈস্লামিক হয়ে থাকেন এবং তাদের মধ্যে ভারত বিদ্বেষ প্রচণ্ড এবং মনেপ্রাণে ভারতের বিভাজন চায়। তবে রাশান ভদকাপন্থী কমরেডদের মাঝে এই বিদ্বেষ এতটা তীব্র নয়। কম্যুনিস্ট পার্টির পতাকার কাস্তে মার্কা আর ইসলামের চান তারার মধ্যে অদ্ভুত মিল দেখতে পাবেন, দুটোই প্রায় ক্রিসেন্ট। বাম এবং ইসলামের রোমান্টিক আলো আঁধারি অভিসারকে কেন্দ্র করে কবি লুসিফেরাস কাফের লিখেছেন-

কাস্তে ও চানতারা

মস্কো বৃষ্টি হলে ঢাকাতে মাথায় ছাতা,
বন্যা নিয়ন্ত্রণে বানাই বালির বাঁধ,
চীনা ভাইরাস মোদের ভাইরাস দাদা,
কাস্তে হয়ে গেছে অর্ধ আকৃতির চাঁদ।
শ্রমিকের হাতুড়ি, শাসকের কৌশল,
নজরদারি ক্যামেরা, ছদ্ম স্বাধীনতা,
শাসকের হাতে মুষল, শ্রম ফসল,
ডাইনে বায়ে, দাবার ছকে একনেতা।
আমাদের গিলে খায় রাশান ভদকা,
চীনাবাদামে মানুষরা চিড়েচ্যাপটা।
ইন্দুরকলে আটকা মানব সমাজ,
মতের অন্তরে সাম্য অসাম্য বিরাজ।
কাস্তে ও চানতারা, সুখের বিজ্ঞাপন,
সর্বহারার নাই যে মুক্তির লক্ষণ।