অজয় রায়কে স্বাভাবিকভাবেই দেশের অসংখ্য মানুষ ব্যক্তিগতভাবে চিনেন, চার দশক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার সূত্রে তার ছাত্র-ছাত্রীর পরিমাণ বিশাল । অসংখ্য মানুষের সাথে তাঁর কথাবার্তা-আদানপ্রদান হয়েছে। সেভাবেই তিন বা চারবার আমারও দেখা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন অজয় রায়ের সাথে দেখা হওয়ার পর আমার প্রথম যে অনুভূতি হয়েছিল তা হচ্ছে – একজন অভিজিৎ রায়কে জন্ম দেয়ার মত যোগ্য পিতা তিনি। কী প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর! একজন বয়স্ক মানুষের মধ্যে পুরোপুরি কৈশোর বিরাজ করতে পারে তা তাঁকে না দেখলে বোঝা সম্ভব ছিল না। তাই অভিজিৎ রায় যখন তাঁর সম্পর্কে লেখলেন তিনি বৃদ্ধ হলেন তখন  খটকা লেগেছিল।

অজয় রায়ের পুত্র হারানোর মর্মান্তিক দু:খের মধ্যেও একটা গর্ব ছিল। তাঁর এত পরিচিতিকেও কখনো কখনো ছাপিয়ে গিয়েছে তিনি যে অভিজিৎ রায়ের জনক সে পরিচিতিটি। অত্যন্ত শক্তভাবে পুত্রকে সমর্থন করে  বলেছেন

অভিজিৎ তাঁর আদর্শের জন্য প্রাণ দিয়েছে। আদর্শের জন্য পৃথিবীতে প্রাণ দিতে হয়েছে। আদর্শের জন্য প্রাণ দেয়াটা কৃতিত্বের, সবাই পারে না।

 

https://www.facebook.com/photo.php?fbid=10158021010697743&set=a.10150752145307743&type=3&theater

একাত্তরের কলকাতা শহর। বাংলাদেশ তখন মুক্তিযুদ্ধরত, সেই সময়ের একটি কর্মসূচিতে বাম থেকে বসে আছেন কামরুল হাসান, জহির রায়হান এবং অজয় রায়। ছবির উৎস: সংগ্রাম থেকে স্বাধীনতা বই (অঞ্জন রায় থেকে প্রাপ্ত)

অজয় রায়  ২০১১ সালের বাংলা একাডেমী   এবং ২০১২ সালের একুশে পদক  পুরষ্কার পেয়েছিলেন। 

 

তিনি তার দেহ দান করে গিয়েছেন। এই প্রথম বাংলাদেশ এক পরিবারের তিনজনের দেহদানের মত ঘটনা ঘটল।

অজয় রায়ের একটা ছোট্ট জীবনী পাবে উইকিপিডিয়ায়

মুক্তমনায় অজয় রায়ের লেখাগুলো পাবেন এখানে এবং এখানে

 

অধ্যাপক অজয় রায়ের জীবনাবসান নিয়ে অসংখ্য খবরের মধ্যে কিছু লিংক এখানে দিচ্ছি

 

১। প্রথম আলো: অধ্যাপক অজয় রায় আর নেই

২। মানব জমিন: অজয় রায় আর নেই

৩। The daily star: অধ্যাপক অজয় রায় আর নেই

৪। যুগান্তর: অভিজিতের বাবা অজয় রায় আর নেই

৫। সমকাল: অধ্যাপক অজয় রায় আর নেই

৬। বাংলা ট্রিবিউন: অধ্যাপক অজয় রায় আর নেই

৭। Ntv: একুশে পদক পাওয়া অধ্যাপক অজয় রায় আর নেই

 

প্রিয় লেখক দীপেন ভট্টাচার্যের এই লেখাটি গুরুত্বপূর্ণ

ব্যথা মোর উঠবে জ্বলে ঊর্ধ্ব পানে: অধ্যাপক অজয় রায়ের পূর্ণ জীবন