১২ মে, ২০১৫ সালের এই দিনে সিলেট নগরীর সুবিদ বাজারে নিজ বাড়ির অদূরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল মুক্তমনা লেখক ও গণজাগরণ মঞ্চ, সিলেটের অন্যতম সংগঠক অনন্ত বিজয় দাসকে। প্রতি বছরের মতো এবারও এই দিনে ‘অনন্ত স্মরণ’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন সিলেটের প্রগতিশীল আন্দোলনের কর্মীরা।

রোববার দুপুর ২টায় হত্যাকাণ্ডের স্থানে নির্মিত অনন্ত বিজয়ের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর মাধ্যমে শুরু হয় তাঁকে স্মরণের আয়োজন। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় গণজাগরণ মঞ্চ, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, নগরনাট, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ও অনন্ত বিজয়ের বন্ধু-সহকর্মীরা।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গণজাগরণ মঞ্চ, সিলেটের মুখপাত্র দেবাশীষ দেবুর সঞ্চালনায় অনন্ত বিজয়কে স্মরণ করে বক্তব্য দেন, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি মিশফাক আহমদ চৌধুরী মিশু, সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সুমন, বাসদের জেলা সমন্বয়ক আবু জাফর, কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ, নারী নেত্রী ইন্দ্রানী সেন ও ছাত্রনেতা নাবিল এইচ।

বক্তারা হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অনন্ত বিজয় হত্যাকাণ্ডের চার বছর অতিবাহিত হলেও এখনো শেষ হয়নি এর বিচার। সরকারের সদিচ্ছা এবং প্রশাসনের তৎপরতার অভাবে ঝুলে আছে বিচার কাজ। একজন লেখক হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে যতটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত, ততটা গুরুত্ব দিলে এই বিচার প্রক্রিয়া এতটা দীর্ঘ হতো না।

তারা অবিলম্বে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার কাজ শেষ করার জন্য এবং হত্যায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক উজ্জ্বল মেহেদী, সৈয়দ রাসেল, প্রণব পাল, ডা. এনামুল হক, সংস্কৃতিকর্মী ও সংগঠক অরূপ বাউল, রুবাইয়াৎ আহমেদ, দেবজ্যোতি দেবু, উত্তরা সেন, সোনিয়া সুভদ্রা, দেবপ্রিয়া পাল, সপ্তর্ষি দাস, অচ্ছুৎ চক্রবর্তী বর্ষণ, তাহমিনা আহমেদ, সঞ্জয় শর্মা, শ্রাবণী, রাজীব রাসেল প্রমুখ।

এখান থেকে নেয়া, পাঠিয়েছেন: রাজীব রাসেল