এক।

কামাল তুনে কামাল কিয়া ভাই

ঢাকাই ছবির রঙ্গিন হাতিম তাই।

 

দিলটা তোমার গাঙ্গের মতন  এৎনা বুকের পাটা

এক খোঁচাতেই মিটিয়ে দিলে কোটি টাকার ল্যাটা।

এই টাকাটা কারগো বদ্দা এই টাকাটা কার

পরের  ধনে সাজছ বুঝি  বনেদি পোদ্দার?

এই টাকাতে জান মিশে  কত রক্ত ঘাম

কত অশ্রুজলে লেখা লক্ষ জনের নাম?

মেঘ ডাকলে তুমি যখন দাওয়ায় পেতে চেয়ার

চুক চুক করে টান বসে  হ্যাইনিকেনের  বিয়ার

ওরা  তখন মাঠে ছুটে  কাস্তে নিয়ে  হাতে

ওদের মরণ হয় বেসুমার নিঠুর বজ্রাঘাতে।

যে বোনেরা বাহ্য-পেশাব চেপে রেখে পেঠে

বস্ত্রশিল্পের ঘুরায় চাকা  দাসের মত  খেটে।

এই টাকাতে পাওনা তুমি সেই শ্রমিকের বাস

মিডল-ইস্টের মর্গে পড়ে পঁচছে যাহার লাশ।

এদের টাকা বিলিয়ে তোষণ  করছ স্বজন জ্ঞাতি

সাজছ তুমি হাতেমতাই আর গৌরিসেনের নাতি।

আজব তোমার যুক্তি লোটাস  আজব স্বপ্ন দেখা

ডাকাত বাঁচলে সচল থাকবে ঘুরবে কলের চাকা

ডাকাত বাঁচলে দেশ বাঁচবে ওরাই দেশের বাপ

মিজান গংরা  আকবে রঙ্গিন উন্নয়নের গ্রাফ।

যে পাপেতে পাবলিকে চায় ওপেন শিরচ্ছেদ

তাদের তুমি দিচ্ছ ইনাম অপার তোমার ভেদ।

শিষ্টদেরকে  দমন করে  দুষ্টের কর  চাষ

বাংলাদেশটা হয়েই গেল নষ্টদের কৈলাশ।

কামাল তুনে কামাল,

এই তরিকায় দিচ্ছ মামা অর্থনীতির সামাল।

হা হা কামাল তুনে কামাল

ডাকাতদেরে বলছ ডেকে- ইচ্ছে মত খা-মাল।

গরুর বদলা কুরবানী দে- পূণ্যভূমির  জামাল।

হো হো কামাল তুনে কামাল।

 

দুই।

তুমি নিজে শিল্পপতি ব্যাংক ডাকুদের গুষ্টি জ্ঞাতি

চোর বাঁচানোর ঢাল,

এক বছরেই গুতো খেয়ে জনগণ কয় তোমার চেয়ে

বেটার ছিলেন- ‘মাল’।

মোদ্দা কথা শুন লোটাস ডোন্ট ট্রাই টু ক্রুলি লুট-আস

পার্মানেন্ট নয় চেয়ার,

গনেশ কাকু উল্টে যাবেন ওরা যখন হুমড়ি খাবেন

সমঝে নিতে শেয়ার।

বদ্দা তখন শরীর ঝেড়ে পালাবেন এই দেশটা ছেড়ে

সস্ত্রীক এবং বমাল।

কামাল তুনে কামাল, হো হো কামাল তুনে কামাল

তখন আপনা সামাল সামাল।