বন্যা আহমেদের TEDx উপস্থাপনা

[উপস্থাপনাটিতে বাংলা সাবটাইটেল রয়েছে। বাংলা সাবটাইটেল দেখতে হলে ভিডিও শুরু হবার পরে ভিডিওর নিচে গিয়ারের মত দেখতে ‘সেটিংস’ বোতামে ক্লিক করে subtitles/cc তে ক্লিক করে ভাষা ‘বাংলা’ নির্বাচন করে নিতে হবে। তবে মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে ছবির একটু বাইরে ক্লিক করলে ওই অপশনটি পাওয়া যাবে]

TEDx-Exeter এর বিশেষ আমন্ত্রণে এপ্রিল ২০১৮’তে ইংল্যান্ডের এক্সেটারে যুক্তিবাদী মুক্তচিন্তক ও গবেষক রাফিদা বন্যা আহমেদ শত শত দর্শকের সামনে তাঁর বক্তব্য উপস্থাপনা করেন। তাঁর এবারের উপস্থাপনার শিরোনাম ছিল – “সরল ব্যাখ্যা কেন বিপজ্জনক – সন্ত্রাসী আক্রমণ থেকে আমার সেরে ওঠার কাহিনি”।

২০১৫ সনের ২৬শে ফেব্রুয়ারি অভিজিৎ রায়কে ঢাকার একুশে বইমেলায় ধর্মীয় চরমপন্থীরা হত্যা করে। অভিজিৎ রায়ের স্ত্রী বন্যা আহমেদও সেই সময়ে হত্যাকারীদের চাপাতির আঘাত থেকে রেহাই পান নি। প্রাণ সংশয়ের মত ক্ষত নিয়ে বন্যা আহমেদ এই আঘাত উত্তরণ করেন। তাঁকে নিয়ে TEDx এর এই আয়োজন।

যেই মানুষগুলো তাঁদের অসামান্য ভাবনা বা কাজগুলো দিয়ে আজকের সভ্যতার ভিত্তি কাঁপাচ্ছে তাঁদেরকে উপস্থাপন করছে TED এবং TEDx যাতে তাঁদের গল্পগুলো বিশ্বময় ছড়িয়ে দেয়া যায়। জীবনের দুর্বলতম সময়গুলোতে আমাদের চিরন্তন সেই প্রশ্ন ‘আমিই কেন’? বা ‘আমারই জীবনে এমন হল কেন’ র মত প্রশ্নগুলোর উর্দ্ধে গিয়ে স্বভাবতই ব্যতিক্রমী প্রশ্ন তুলেছেন বন্যা আহমেদ। এত মানুষ থাকতেও মৌলবাদীরা কেন তাদেরকেই খুন করতে চাপাতির আঘাত করলো, কেনই বা তার প্রিয় জীবনসঙ্গী অভিজিৎ রায়’কে খুন করলো এই সব প্রশ্নের চেয়ে বরং প্রশ্ন করেছেন ‘কেন নয়’? ধর্মবাদী মৌলবাদী ভ্রান্ত অথবা বিভ্রান্ত খুনি যারা, তাদেরকে লেলিয়ে দেবার পেছেনে কি, কে বা কারা রয়েছে সেই জটিল প্রশ্নটাকেই গুরুত্বপূর্ণ ভেবেছেন বন্যা।

ব্লগার ও প্রকাশকদের ওপর ইসলামী চরমপন্থীদের আক্রমণকে ইসলাম বা বাংলাদেশের ক্ষুদ্র পরিসরে সরলভাবে বিশ্লেষণ করার প্রবণতাকে ক্ষতিকর বলে বর্ণনা করেছেন বন্যা আহমেদ । শুধুমাত্র ধর্মীয় সূত্র ধরে চরম মৌলবাদীদের উত্থান, অথবা এই সঙ্কটের জন্য শুধুমাত্র সাম্রাজ্যবাদী প্রক্রিয়াকে দায়ী করলে প্রকৃত কার্যকারণগুলোকে বুঝতে আমরা সক্ষম হব না। বন্যা আহমেদ বলেন, এরকম জটিল উদ্ভূত পরিস্থিতিকে অনুধাবন ও তার প্রকৃত সমাধানের জন্য একদিকে ধর্ম ও সমাজ, এবং অন্যদিকে স্থানীয় এবং বৈশ্বিক রাজনীতি ও অর্থনীতির মিথষ্ক্রিয়াকে যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে।

আপনাদের সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছি বন্যা আহমেদের যৌক্তিক, বাস্তব, অত্যন্ত ব্যক্তিগত অথচ প্রচন্ড শক্তিশালী উপস্থাপনাটি শুনে দেখতে।