নিজেকে আয়নায় তুলে দিলাম,
থমকে যাওয়া শরীরটাকে উদভ্রান্তের মত দেখাচ্ছে,
যুদ্ধবন্দী আধিপত্যবাদের শিকার অথবা সর্বদিগ্ব্যাপী
কোন উড়াল চণ্ডী বাউলের মত, চোখ ঘুরতে গিয়ে চোখ থেমেছে চোখে।

একটা কৃষ্ণ কালো চোখের মনিতে,
চোখ রাখি যতটা গভীরে গেলে সম্পূর্ণ হারিয়ে যাওয়া যায়।
অতল গহ্বরে তলিয়ে যেতেই চারিদিকে অন্ধকার নেমে আসে,
নিকষ কালো আঁধারে মনোনিবেশ করি,
বিক্ষিপ্ত চিন্তাকে কেন্দ্রীভূত করার চেষ্টা চলে, এই তো !

একটা শান্ত নদী দেখা যাচ্ছে, নদীর পাশে কাশবন,
ভেজা চুল থেকে দীঘল কালো মেঘ উড়ে যাচ্ছে,
এক ঝাঁক সাদা বক, ফেলে যাওয়া পালক থেকে বিষণ্ণতা,
তারপর একটা সবুজ বৃক্ষের কাছে আমরা মাথা নত করি,
কারণ সেখানেই আমাদের চিন্তার রেখা থেমে গেছে,
সীমাবদ্ধতা থেকে দৃষ্টিপাত রাখি সম্ভাব্যতার দিকে
কিংবা ভরসা রাখি বিবিধ প্রশ্নের প্রতি,
দ্বিখণ্ডিত করতে গিয়ে নিজেকে নিজে ভেঙে চুরে চুরমার করি,
মিশে যাওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তর্কের দামামা বাজাই,
সংজ্ঞায়িত করি আত্মসন্তুষ্টির নাম করে,

অবশেষে সমস্ত প্রলাপ নিভে গেলে মহাকালের ক্লান্তি এসে ভর করে,
তসবি পড়ার মত করে বলি- শেষ সিদ্ধান্ত বিভ্রম ! নাকি সর্বোচ্চ পজিটিভ !
.
লেখক: সাফায়েতুল ইসলাম