শুরু.
মোহাম্মদ আকাশ বা আকাশ ভট্টাচার্য নয়, ওই যে মাথার উপর সার্বজনীন নীল ছাউনিটা, তার অবস্থা ভালো নয়। দেখা যাচ্ছে না। কালো মেঘে ঢেকে আছে। দু’তিন দিন ধরে একটানা ঝরছে। ঝুম বৃষ্টি। গ্রামের প্রায় সবাই ঘরবন্দী। মরহুম আবু তালেবের ছেলে পুলক বন্দী তার বড় ঘরে। পুলকদের কাজের ছেলে মহসিন বন্দী কাচারী ঘরে। পুলকের মা বাড়ি নেই। জোর করে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে একমাত্র মেয়ের বাড়ি। বেড়াতে। এক সপ্তাহ ধরে পুলককে খুব জ্বালাতন করছেন। যখন তখন বিনা নোটিশে কান্নাকাটি, বিলাপ ইত‍্যাদি করে ছেলেটার মাথা খেয়ে ফেলছে। তাই বুঝিয়ে শুনিয়ে এই বৃষ্টির মধ‍্যে মহসিনকে দিয়ে মেয়ের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে গত পরশু। তিনি সেখানে ভালো আছেন। পুলক এখানে পুলকের মত আছে।

টেবিলের উপর মাথা, মাথার উপর শূন‍্য। শূন‍্যের উপর টিনের চাল, টিনের চালে বৃষ্টি। বৃষ্টির উপর বৃষ্টি, একটানা বৃষ্টি। মাথার ভেতর মা। মায়ের চোখে জল, মনে কষ্ট। মা, মাথা, কষ্ট, জল, বৃষ্টির শব্দ বেশ ঘোরগ্রস্থ করে দিয়েছে। মনে হচ্ছে মাথা আছে বড় পুকুরের ঘাটে, আর শরীর আছে বাড়ির পেছনে চালতা বাগানের পাশের মাঠে। বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছে।

– ভাইজান, মাতবর ও আরো দুইজন মানুষ আসছে আপনার সাথে দেখা করতে।

ব‍্যস্, ঘোর কেটে গেলো। মাতবর আর ঘোর একসাথে চলতে পারে না। কিন্তু মাতবর কেন আসলো, পুলক আন্দাজ করে কিছু পায় না। কারণ এই লোক কখনো পুলকদের বাড়ি আসে না। কাজ নেইতো, তাই।

– যাও, উনাদেরকে এই ঘরে নিয়ে এসো।

পুলক না জানলেও গ্রামের কিছুলোক জানতে পেরেছে মাতবর ও সাথের দুইজন পুলকের উপর ভীষণ ক্ষ‍্যাপা। কপালে খারাবি আছে।

অপর আট দশজন মাতবরের মত এই মাতবরও বিশেষ সুবিধার না। জমির আইল ঠেলার জন‍্য এলাকায় বিশেষভাবে বিখ‍্যাত। তার জমির পাশে যাদের জমি আছে, তারা জানে মাতবরের সৃজনশীলতার খবর। মাতবরের সাথে আসছে তার দুই মিত্র। একজনের নাম নজরুল, আরেকজন মোস্তফা। নজরুল হচ্ছে মাছ চাষী। এলাকায় তার কয়েকটি মাছের প্রজেক্ট আছে। মোস্তফা পেশায় একজন ভিলেজ পলিটিশিয়ান। ছোট ভাই দুবাই থাকে। মাসে মাসে মোটা অংকের টাকা পাঠায়, আর বড় ভাই পায়ের উপর পা তুলে খায়। তিন জনের কারো সাথেই পুলকের কোন বন্ধুত্ব নেই, বিশেষ শত্রুতাও নেই। তাহলে এই বিরক্তিকর বৃষ্টি মাথায় নিয়ে তারা কেন এসেছে?

– পুলক বাবা, ছাতাটা বাইরে রাখলাম। কেউ নিয়ে যাবে নাতো?

– চাচা, স্লামালিকুম। না, না কে নিবে! ছাতা ওখানে রেখে ভেতরে আসেন।

– কিছু মনে কইরো না বাবা। অনেক ছোটমুখ নিয়ে তোমার কাছে আসলাম।

– কী বলেন মাতবর চাচা! আপনার মুখ ছোট হবে কেন?

– কেন হবে না বলো! তুমি কি কাজটা ঠিক করেছো? কী কারণে আমাদেরকে এমন অপদস্থ করলে, শুধু সেটা জানতে এসেছি। বুঝাও বাবা, আমাকে একটু বুঝাও।

– চাচা, আমিতো কিছুই বুঝতে পারছি না।

– সারা গ্রামের লোকজন বলাবলি করছে তুমি নাকি লম্বা সামচুকে তোমার সবচেয়ে বড় শত্রু বলেছো। এটা কোন কথা হলো!

– ও, এই কথা! আসলে ওভাবে বলতে চাইনি। আপনি মনে কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি খুব দুঃখিত।

– মনে কষ্ট অবশ‍্যই পেয়েছি। সামচু কিভাবে তোমার সবচেয়ে বড় শত্রু হয়! সে তোমার কী ক্ষতি করেছে?

– ক্ষতিতো একটু করেছেই। থাক চাচা। আমি আপনার কাছে আবারো দুঃখ প্রকাশ করছি। স‍্যরি, চাচা।

– সে তোমার কতটুকু ক্ষতি করেছে, আমরা তা জানি। কিন্তু আমার চেয়ে বেশি ক্ষতি কি করেছে? অথবা নজরুল ও মোস্তফার চেয়ে বেশি?

– চাচা…

– বাবারে, কারো সাথে শত্রুতা করি তার সবচেয়ে বড় শত্রু হবো, এই আশায়। এত কষ্ট করে, মাথা খাটিয়ে শত্রুতা করার পর সে যদি সবচেয়ে বড় শত্রু না ভাবে, তাহলে সম্মানে লাগে। বড় হয়েছো, ডিগ্রী পাশ দিয়েছো, এটা তুমি ঠিকই বুঝো। আমার মত মাতবরকে তুমি সবচেয়ে বড় শত্রু মনে করোনি, এখন লোকজনের ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছি না। কাছের মানুষেরা লজ্জা দিচ্ছে। মান সম্মান নিয়ে টানাটানির মধ‍্যে আছি।

পুলকদের জমির পাশে মাতবরের জমি আছে। পুলকের বাবা মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত মাতবর আইল ঠেলতে পারেনি। জমির সীমানায় পিলার বসিয়ে, সুতা বেঁধে জমি রক্ষা করতেন মরহুম আবু তালেব। কিন্তু তার মৃত‍্যুর পর এই পাঁচ বছরে মাতবর কমসে কম দুই হাত আইল ঠেলেছে। এখন মাতবরের কথা হলো, পিতৃহীন একটা ছেলেকে অসহায় পেয়ে দুই হাত জমি দখল করে নেয়ার মত জুলুম করার পরও পুলক যে তাকে সবচেয়ে বড় শত্রু ভাবছে না, এটা তার জন‍্য অপমানজনক।

পুলক বুঝানোর চেষ্টা করে। বলে আইল ঠেলা মাতবরের অভ‍্যাস, এটা শত্রুতা নয়। সামান‍্য জমি হারিয়ে পুলকের বিশেষ কোন সমস‍্যা হয়নি। এমনিতেই প্রতি বছর আশি নব্বই মন ধান বিক্রি করে দিতে হয়। তাছাড়া পুলক চাইলে যখন যখন বেদখল হওয়া জমি উদ্ধার করে নিতে পারে। এটা কোন সমস‍্যা না। পুলক আরো বলে তার জমির আইল দুই হাত ঠেলে যদি মাতবর খুশি হয়, তাহলে মাতবরের আত্মা পুলকের জন‍্য দোয়া করবে।

তবুও মাতবর বুঝ মানতে চায় না। নজরুল আর মোস্তফাও না। এই দু’জনের মধ‍্যে মোস্তফা বেশি ক্ষ‍্যাপা।

– মাতবর জমির আইল ঠেলায় না হয় তোমার বিশেষ কোন সমস‍্যা হয়নি। কিন্তু আমি যে তোমার বোনের এত ভালো একটা বিয়ের প্রস্তাব বানচাল করে দিয়েছিলাম, সেটাতেও কি ক্ষতি হয়নি?

– না মোস্তফা ভাই। আসলেই কোন ক্ষতি হয়নি।

– কী বলছো তুমি পুলক! ছেলে ইতালি থাকে। সেখানে ব‍্যবসা আছে। বিয়ের পর তোমার বোনকে ইতালি নিয়ে যেতো। তুমিও যেতে পারতে। অথচ শুধু আমার ছোট ভাইয়ের কাছে তোমার বোন পুতুলকে বিয়ে দাওনি বলে বদনাম ছড়িয়ে বিয়েটা ভেঙ্গে দিলাম। আর তুমি বলছো কোন ক্ষতি হয়নি!

– আপনিতো বিয়ে ভাঙ্গেননি। ওই বিয়ে এমনিতেই হতো না। ছেলের বয়স বেশি। প্রায় বৃদ্ধ একটা মানুষ। এত বয়স্ক লোককে আমার বোন বিয়ে করতো না। তার নিজস্ব পছন্দ ছিলো, পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করেছে। বেশ সুখে আছে। তাদের জন‍্য দোয়া করবেন।

মহসিন আবার আসে। এসে জানায় পুলকের সাথে দেখা করতে দুইজন পুলিশ এসেছে। পুলক বলে তাদেরকে কাচারী ঘরে বসিয়ে চা নাশতা খাওয়াতে।

এদিকে মাতবর, নজরুল আর মোস্তফাকে নিয়ে চলছে ঝামেলা। তারা কোনভাবেই বুঝতে পারছে না যে তারা পুলকের শত্রু নয়। আর হলেও অনেক ছোট শত্রু। সামচু হচ্ছে সবচেয়ে বড় শত্রু। কিন্তু এই কথাটি নজরুলও মানছে না। দুই বছর আগে নজরুলের দ্বারা পুলকের অনেক বড় ক্ষতি হয়েছে। পুলকের এক পুকুর মাছ বিষ ঢেলে মেরে ফেলে নজরুল। পুলক সেবারই প্রথম মাছ চাষ করে এবং বেশ ভালো অবস্থায় ছিলো। একজন মাছচাষী হিসেবে বাজারে মার খাওয়ার ভয়ে পুলকের পুকুরে বিষ ঢেলে দেয় নজরুল। সবগুলো মাছ বড় হওয়ার আগেই মরে যায়।

পুলক নজরুলকে বুঝাতে চাইছে সত‍্য‍ি সত‍্যি ওই ঘটনায় পুলকের ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু সেই ক্ষতি সামচুর করা ক্ষতির চেয়ে বেশি না।

– তাহলে বলো সামচু তোমার কত্ত বড় ক্ষতি করেছে?

তিনজনের মুখে একই প্রশ্ন।

মাঝপথ.
কিছুদিন আগে রাতের বেলা গ্রামের মন্দিরে কে বা কাহারা মূর্তি ভেঙ্গে রেখে যায়। গ্রামে কোন হিন্দু-মুসলমান ঝগড়া নেই, বিবাদ নেই, মারামারি নেই। হঠাৎ করে মূর্তি ভাংচুরের ঘটনায় হিন্দুরা ঘাবড়ে যায়। ভেতরে ভেতরে ক্ষুব্ধ হয়। ঘটনার দুই দিন পর জানাজানি হয় নজির আহম্মদের ছেলে আকাশ তার বন্ধুদের নিয়ে মূর্তি ভাঙ্গে। এই গ্রামে দু’জন আকাশ। অপর আকাশ হিন্দু। আকাশ ভট্টাচার্য। পুলকের বন্ধু। আকাশ ভট্টাচার্য ফেসবুকে একটা পোস্ট দেয়। সে লিখে “মূর্তি ভাংচুরের মাধ‍্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টাকারীদের শাস্তি চাই।” পুলক সেই পোস্টে লাইক দেয়।

এই লাইক দেয়ার ঘটনাটি পুলকের জন‍্য কাল হয়। এলাকার পাঠাগারে ধর্মের পাশাপাশি বিজ্ঞানের বই রাখা নিয়ে তর্কাতর্কির জের ধরে সহপাঠী সামচু সুযোগটা লুফে নেয়। সামচু গ্রামে ছড়িয়ে দেয় আকাশ ভট্টাচার্যের পোস্টে লাইক দিয়ে পুলক ইসলাম অবমাননা করেছে। তাকে শাস্তি পেতে হবে। এ বিষয়ে পুলকের পক্ষের শিক্ষিত লোকজনের সাথে সামচুর বাকযুদ্ধ হয়। তার কথা হচ্ছে পোস্টে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠা’ শব্দের মাধ‍্যমে ইসলামকে কটাক্ষ করা হয়েছে। কারণ ইসলাম শান্তির ধর্ম। অথচ একজন মুসলমান হয়েও পুলক এই কটাক্ষকে লাইক করেছে। কারণ পুলক নাস্তিক হয়ে গেছে। সে পাঠাগারে ধর্মীয় বই রাখতে চায় না, বিজ্ঞানের বই রাখতে চায়। …এরকম আরো অনেক কথা।

সামচু তার পুলিশ আত্মীয়কে দিয়ে পুলককে হয়রানির ফন্দি আঁটছে। তথ‍্য প্রযুক্তি আইনে মামলার চেষ্টা করছে। কোনভাবে মামলা করে বসলে পুলক বেকায়দায় পড়ে যাবে। যেহেতু ধর্মীয় ইস‍্যু, সেহেতু আইনজীবী পেতে সমস‍্যা হবে। তাছাড়া পুলক জানতে পেরেছে সারা বাংলাদেশে মাত্র একজন আইনজীবী তথ‍্য প্রযুক্তি আইনে করা মামলার বিরুদ্ধে লড়েন। তিনি থাকেন ঢাকায়। ঢাকার এত দূরে লালমনিরহাটে কি তিনি আসবেন! সবচে বড় কথা এসব মামলা মকদ্দমা নিয়ে পুলকের কোন অভিজ্ঞতা নেই। অপরদিকে সামচুদের পরিবার মামলাবাজির জন‍্য নামকরা।

– হ‍্যাঁ, আমাকে নজরুল আর মোস্তফা বলেছে ফেসবুক স্ট‍্যাটাস নিয়ে তোমাদের মাঝে কী একটা সমস‍্যা হয়েছে। আরে বাবা, ফেসবুক স্ট‍্যাটাস দিয়ে কী হবে? সামাজিক স্ট‍্যাটাস হচ্ছে আসল। তুমি অযথা আরেকজনের স্ট‍্যাটাস পছন্দ করতে গেলে কেন? তোমার স্ট‍্যাটাস কি এতই খারাপ?

– চাচা, আসলে বিষয়টা একটু জটিল।

– শোন, মিয়া। কোন জটিলতা নেই। সামচু অলরেডি আমার সাথে বেয়াদবি করে ফেলেছে। সে তোমাকে সাইজ করবে, ভালো কথা। কিন্তু মাতবরকে ডিঙ্গিয়ে কাউকে হেনস্থা করা যায় না। সে আমার সাথে এ বিষয়ে কোন পরামর্শ করেনি। করলে আমিই সব ব‍্যবস্থা করে দিতাম। এখন যেহেতু সে আমাকে সম্মান দেয়নি, তোমার কিছুই করতে পারবে না। আমি করতে দিবো না।

মহসিন আবার এসেছে। পুলিশ চলে গেছে, এই খবর নিয়ে। সাথে আরেকটা খবর আছে। অন‍্য এক লোক এসেছে। কাচারী ঘরে অপেক্ষা করছে।

পুলক খুব অবাক হচ্ছে। আজ এত মানুষ কেন আসছে তার কাছে! মহসিনের কাছে ওই লোক সম্পর্কে জানতে চায়।

– কে উনি? কেন এসেছেন?
– চিনি না। আপনাকে হত‍্যা করতে এসেছেন।
– কেন?
– উনার মা’র খুব শখ, ছেলে যেন বেহেশতে যায়।
– কী!
– হ‍্যাঁ, আপনাকে মেরেই উনি বেহেশতে রওনা দিবেন।
– আচ্ছা, বাদ দাও। পুলিশ কখন গেছে?
– বেহেশতে যেতে চাওয়া লোকটি আসার পর।
– তুমি গিয়ে একটু দেখো হত‍্যা করার জন‍্য সাথে করে কী কী অস্ত্র এনেছে।
– জ্বি, আচ্ছা।

মাতবর ও তার দুই বন্ধু কিছু বুঝতে পারছে না। একটা লোক বেহেশতে যেতে চাইলে যাবে, কিন্তু পুলককে খুন করতে হবে কেন? এটা কি দৈত‍্য মারা রূপকথার গল্প নাকি!

পুলক তাদের বুঝিয়ে বলে কেন বেহেশতে যেতে চাওয়া লোকটি পুলককে মারতে এসেছে। পুলিশইবা কেন আসে, আবার কেন চলে যায়।

অল্প কিছুক্ষণ পর কাচারী ঘর থেকে মহসিন এসে জানায় অচেনা ওই লোক একটি চাপাতি, একটি পিস্তল ও একটি বোমা নিয়ে এসেছেন। এ কথা শোনার পর মহসিনকে আবার কাচারী ঘরে পাঠিয়ে দেয় পুলক।

মাতবর, নজরুল ও মোস্তফার এখনো ঘোর কাটেনি। চাপাতির ব‍্যাপারটা স্বাভাবিক। কিন্তু পিস্তল ও বোমার কথা শুনে তিনজনই ভড়কে গেছে। মাতবরের গলায় তবুও খানিকটা জোর আছে। পুলককে সাহস দিয়ে বলার চেষ্টা করছেন কোথাকার কোন ছেলে এসে তোমাকে মেরে চলে যাবে, এটা হতে পারে না। তুমি চিন্তা করো না।

পুলক তাদেরকে শান্ত হতে বলে। সে বলে মাতবরের কথা ঠিকই আছে। কিন্তু বিষয়টা জটিল। কারণ যে লোক পুলককে মারতে এসেছে তার কাছে পিস্তল ও বোমা আছে। অর্থাৎ এই রুমে উপস্থিত বাকি তিনজনও মৃত‍্যুর ঝুঁকিতে আছেন। বোমা ফাটালে সবাই মরবে।

পুলক আরো বলে তাদের হাতে তিনটা উপায় আছে।

এক. মাতবর, নজরুল ও মোস্তফা পেছনের দরজা দিয়ে সরে যাবেন। বেহেশতগামী ওই লোক এসে পুলককে মেরে যাবে।

দুই. মাতবর, নজরুল ও মোস্তফা মিলে পুলককে মেরে ওই ছেলের আগে বেহেশতে চলে যাবেন।

তিন. মাতবর, নজরুল, মোস্তফা, মহসিন ও পুলক মিলে বুদ্ধি খাটিয়ে ওই ছেলেকে ধরে ফেলবে। তারপর পুলিশে দিয়ে দিবে।

এখন এই তিনটি উপায়ের মধ‍্যে যেকোন একটি বেছে নেয়ার দায়িত্ব মাতবর, নজরুল ও মোস্তফার।

শেষ.
পুলকের কথা শেষ হওয়ার পর মাতবরদের ছয়টি চোখ চেয়ে আছে পুলকের দিকে, আর পুলক চেয়ে আছে তাদের ছয় চোখের দিকে যারা পুলকের সবচেয়ে বড় শত্রু হতে চেয়েছে।