পড়ালেখা হলো গিয়ে বড় দিকদারির ব্যাপার। শুধু পড়ালেখা করেই তো দিকদারি শেষ না। আরো বড় দিকদারি হলো পরীক্ষা দেওয়া। পরীক্ষা দেওয়ার দরকারটা কী? ছোটরা এই গুরুতর ব্যাপারের গুরুত্ব অনুধাবন করলেও গুরু এবং অভিভাবক নামের বড়রা একটুও কি বোঝে?

কয়েক মাইল পথ খালি-পায়ে হেঁটে স্কুলে যেতাম। ছেঁড়া স্যান্ডেল ছিল একজোড়া। ওটা তোলা থাকত। কোথাও বেড়াতে যাবার সময় পরতাম শুধু। তাও ছিল পায়ের আকারের চেয়ে কয়েকগুণ বড়। পা বড় হবে – এ-আশায় কয়েকগুণ বড় সাইজের জুতো কেনা হতো। স্কুলে পৌঁছুলেই শুরু মুখস্ত অংক ইংরেজি বাংলা ইত্যাদি পড়া বলার যন্ত্রণা। স্যাররা বলতেন, এইযে, অংকটা মুখস্ত করে এসেছিস তো? বল দেখি। ছোট্ট ছোট্ট কচি কচি পায়ে এত দূর হেঁটে যাওয়ার পরে কি আর মুখস্ত করা অংক মনে থাকে? কয়েক লাইন মুখস্ত বলার পরে গভীর চিন্তায় মশগুল হয়ে পড়তাম। এঁ এঁ করতাম। স্যার বলতেন আদর করে, এদিকে আয় দেখি। যেতাম স্যারের টেবিলের কাছে গুটিসুটি হয়ে। স্যার অতি উল্লাসের সঙ্গে আপাদমস্তক বেতপাত করে রক্তপাত ঘটায়ে দিয়ে অট্ট হাসতে হাসতে বলতেন, পড়ালেখা করে যে গাড়িঘোড়া চড়ে সে। পড়ালেখা না করিলে এইরকম বেত পড়ে, বুইজ্জত? বুইজ্জি, সার। অন্যান্য ক্লাসেও একই ভাগ্যবিপর্যয়। শুধু আমার না। প্রায় সকলের। কিছু না বুঝলে ভয়ে ভয়ে জিগ্যেস করতাম, সার, বুঝি নাই। আরেকটু বুঝায়ে দেন। স্যার বলতেন, এতক্ষণ কি ইংরাজি কইসি নে? বুইঝলি না কা? ইংরেজি ক্লাসে বলতাম, সার একটু বুঝায়ে দেন। স্যার বলতেন, এমিক্কা আয়। চামড়া তুলি তুলি বুঝাই দিমু। আমরা এভাবে সব পড়া বুঝে যেতাম।

কয়েকদিন পর পর কেমন করে জানি পরীক্ষার সময় এসে যেত। পরীক্ষার আগে আমি এতেকাফ নিয়ে, তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে আল্লার কাছে প্রার্থনা করতাম, হে দয়াময় আল্লা, পরীক্ষার আগে যেন কেয়ামত এসে যায়। যেন পরীক্ষা দেওয়া না লাগে। কেয়ামত আসতো প্রতিবারই। পরীক্ষার চেয়ে বড় আর কোনো কেয়ামত আছে নাকি? একবার কবীরা কেয়ামত মোকাবেলা করছি, মানে অংক পরীক্ষা দিচ্ছি। আমার বেঞ্চে পড়েছিল স্কুলের এক সিনিয়র আপা। আমাকে বিশেষ স্নেহ করত সেই আপা। একটা অংক বলে দিচ্ছিল আমাকে। সব অংকই আমি মুখস্ত করে গিয়েছিলাম। অর্ধেক অর্ধেক মনে ছিল, বাকিটা ভুলে গিয়েছিলাম। এক স্যার এসে হুংকার দিয়ে বললেন, এইযে নকলবাজেরা, তোমরা আর একসাথে বসতে পারবে না। স্যার কতটা নির্দয় ছিলেন, একবার ভেবে দেখুন আপনারা। মানুষ মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করবে না? দোষটা কার ছিল, বলুন? আমাদের? নাকি সেই নির্দয় স্যারের? সেবার সেই স্যারের নিষ্ঠুরতার কারণেই অংকে পেলাম ১২। প্রগ্রেস রিপোর্ট যখন দিলো, স্যারকে বুদ্ধি দিলাম, সার, মার্কশিটে ৩৩ বানায়ে দেন। স্যার চড় মেরে আমার দাঁত নাড়ায়ে দিলেন এই সুপরামর্শে। মার্কশিটটা বাড়ি নিয়ে যাওয়ার আগে আমিই বুদ্ধি করে নিজের হাতে ১-কে ৯ বানায়ে দিলাম। অংকে পাইলাম ৯২। বাড়িতে সেবার খুশিতে মিলাদ পড়ানো হয়েছিল। মার্কশিটটা যখন স্কুলে ফেরত দিতে হবে তখন ৯-কে আবার ১ বানায়ে দিলাম। মার্কশিট ফেরত দিতে গেলাম, স্যার বললেন, এখানে ওভাররাইটিং কেন রে? আমার গায়ের উপর বেতপাত করতে করতে তিনটা বেত স্যার ভেঙে ফেললেন। শুধু তিনটে বেত ভেঙে স্যার ক্ষান্ত হলেন না। বাড়িতেও জানায়ে দিলেন আমার এই সুকীর্তির কথা। বাড়িতে কয়েকটা লাঠি আমার গায়ের উপর ভেঙে আমাকে পুকুরে ফেলে দেওয়া হলো। কিন্তু আমার অপরাধটা কী ছিল তা আজ অবধি বুঝতে পারলাম না। নিজের বুদ্ধি ও যোগ্যতাতেই আমি পরীক্ষায় বেশি নাম্বার পেয়েছিলাম। স্যার তো দেন নি! এজন্য স্কুল ও বাড়ির যৌথ প্রজোযনায় ধোলাই দিতে হবে একটা অবুঝ বাচ্চাকে?

আরেকবার দুই নাম্বার কেয়ামত মোকাবেলা করছি, মানে ইংরেজি পরীক্ষা দিচ্ছি। বাংলা থেকে ইংরেজিতে ট্রান্সলেশন করতে বলেছে, ‘তুমি কোথায় যাচ্ছ?’ চিন্তায় মগ্ন হলাম আমি। খালেদ স্যার আমার পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন আমি কী লিখছি। জিগ্যেস করছেন আমাকে, কেমন হচ্ছে রে পরীক্ষা? স্যারের মনে দয়ামায়া আছে। আমার পরীক্ষার খবর নিচ্ছেন এই ভেবে আমি স্যারকে জিগ্যেস করলাম, ‘তুমি কোথায় যাচ্ছ’ এর ইংরেজি কী হবে সার? স্যার বললেন, তুই এখন কোথায় যাচ্ছিস? আমি তো এখন কোথাও যাচ্ছি না, সার! স্যার বললেন, তো ল্যাখ, আমি কোথাও যাচ্ছি না। আমি লিখে দিলাম ‘তুমি কোথায় যাচ্ছ’ এর ইংরেজি অনুবাদ ‘ আমি এখন কোথাও যাচ্ছি না।’ সেবার ইংরেজিতে পেয়েছিলাম ০৫। ০-কে আমি বুদ্ধি করে ৭ বানায়ে দিয়েছিলাম। ধোলাই খেয়েছিলাম স্কুল ও বাড়িতে। কী পরিমাণে তা জিগ্যেস করে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটার কথা মনে করায়ে দিবেন না প্লিজ।

একবার বাংলা দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা হচ্ছে। একটা প্রশ্ন ছিল, টাকা চাহিয়া পিতার নিকট পত্র লিখ। আমার পাশে বসেছিল কদ্দুছ আলি। তার কাছ থেকে দেখে দেখে আমি পত্রটা লিখে দিলাম। জ্ঞান বুদ্ধি মেধা এগুলো বেশি মাত্রায় থাকলে তো পড়ালেখা বেশি করা লাগে না। ও লিখেছিল — ইতি আপনার একান্ত বাধ্যগত পুত্র কদ্দুছ আলি। আমিও তাই লিখেছিলাম। এজন্যই নির্দয় স্যার আমাকে অনেক মেরেছিলেন। তুই কি কদ্দুইচ্চা নে? তুই কি পুত্র নে? নকল আর কইরবি নে? হাডাই হালামু আইজ্জা। আচ্ছা আপনারাই বলুন, কদ্দুছ আর নীলাঞ্জনাতে পার্থক্য কী? নামে কী হয়? আমাদের দু’জনেরই তো একই উদ্দেশ্য ছিল, টাকা চাহিয়া পিতার নিকট পত্র! কিন্তু নিষ্ঠুর যুক্তিহীন স্যারেরা তা বুঝবে কেন? তাদের কথা হলো বেতপাতে, যুক্তিতে না।

আমরা মাঝেমাঝে নকলে সুবিধা করতে না পেরে পুরো প্রশ্নটা খাতায় লিখে দিয়ে আসতাম। কিন্তু স্যারেরা কোনো নাম্বার দিতেন না। প্রশ্নটা লিখে দিতে কি কোনোই কষ্ট নাই? এজন্য কি দয়া করে একটু নাম্বার দেওয়া উচিত না? একবার বাংলা পরীক্ষা শেষ হলো। পরের দিন অংক পরীক্ষা। খুকী নামে এক মেয়ে স্যারকে বলে সিরিয়াসলি, সার, অংক প্রশ্নটা আমাকে দেন। আমি কালকে নিয়ে আসবো। স্যার পেটাতে শুরু করলেন। খুকি বলে, স্যার, আমি নিয়ে আসবো তো কালকে। স্যার আরো জোরে মারতে থাকেন। খুকি তত জোরে কাঁদতে কাঁদতে বলে, আমি কালকে নিয়ে আসব তো, স্যার। এখনো সেই ছোট্ট খুকির আহাজারি চোখে ভেসে ওঠে, ভেসে ওঠে স্যারের নিষ্ঠুরতা। বুক এখনো ফেটে যায়। কী এমন ক্ষতি হতো প্রশ্নটা দিয়ে দিলে? পরদিনই তো খুকি তা ফেরত নিয়ে আসতো!

পরীক্ষার হল থেকে আমরা নক্ল আনার জন্য প্রতিদিনই বাথরুমের নাম দিয়ে বাইরে আসতাম। কমন রুমে বইপত্ত্র রেখে যেতাম। প্রশ্ন দেখে নিয়ে দাঁড়ায়ে গিয়ে চেহারায় বাথরুম-বাথরুম করুণ ভাব এনে বলতাম, সার, বাথরুমে যাবো। তারপর বইপত্তর সার্জারি করে নিয়ে এসে লিখতে শুরু করতাম। একদিন আক্কাছ উদ্দীনের বাথরুম ধরলো একই উদ্দেশ্যে। স্যার বললেন, এই মাত্রই তো রুমে ঢুকলি, এখনই কীসের বাথরুম? বাটপারির আর জায়গা পাস না? আক্কাছ অনেক কাকুতিমিনতি করতে লাগলো। অবশেষে বললো, সার, ফাটি গেল। স্যার বললেন, এখনো তো ফাটে নাই। এদিকে আয়, ফাটায়ে দিই। স্যার হৃদয়হীনভাবে নিরপরাধ আক্কাছকে বেতপাতে শরীরের বিভিন্ন নাজুক অঙ্গ ফাটায়ে রক্তাক্ত করে দিলেন।

কিছুকিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর আমরা অনেক ভালোভাবে মুখস্ত করতাম। কিন্তু হায়! পরীক্ষায় ওগুলো আসতো না। পরীক্ষায় না আসলে আমরা আর আমাদের বিদ্যাশিক্ষা বৃথা যেতে দিতে পারি না! আমরা খাতায় লিখে দিয়ে আসতাম আমাদের অর্জিত সব জ্ঞান বুদ্ধি। কিন্তু স্যারেরা নাম্বার দেয়ার পরিবর্তে আমাদেরকে পিটায়ে হাড্ডির সাথে মাংস মিশায়ে দিতেন। খাতায় দিতেন দুটি বড় বড় শূন্য। খাতা দেওয়ার সময় ডেকে বলতেন, নিয়ে যা, আণ্ডা পেয়েছিস দুইটা। বাড়িতে নিয়ে ভেজে খাবি। কী ইয়ার্কি! ছোট ছোট বাচ্চাদের সাথে কি এমন ইয়ার্কি করতে আছে স্যারদের? শূন্য কি ভেজে খাওয়া যায়? উনারা নিজেরা কি খেয়েছেন কখনো?

মাঝেমাঝে আমরা খাতার নিচে লিখে দিতাম, আর পারি না, সার। দয়া করে কিছু নাম্বার দিয়ে দিয়েন। মনে করতাম, এতে স্যারের মন বিগলিত হয়ে যাবে আর আমাদের নাম্বার বেশি করে দেবেন। কিন্তু স্যারেরা ছিলেন বড় দয়াহীন। খাতা দেওয়ার সময় ডেকে ডেকে আমাদের মারতেন। আর বলতেন, সার? আমি সার? আমাকে সার বানায়ে দিলি, গাধারা? আমি ইউরিয়া সার? আমাকে ইউরিয়া সারের মত লাগে?

বাংলায় ব্যাখ্যা নামে একটা বস্তু ছিল। ওগুলো মুখস্ত করতে হতো আরামের ঘুম হারাম করে। কবি এখানে কী বলতে চেয়েছেন ব্যাখ্যা করো। আমরা রাত ঝিমায়ে ঝিমায়ে মুখস্ত করতাম, আলোচ্য অংশটুকু আলোচ্য অংশটুকু ………………..। বাড়িতে এজন্য বেদমভাবে পেটানো হতো। জিগ্যেস করা হতো, খালি আলোচ্য অংশটুকু নাকি? আর কিছু নাই। মার খেতে খেতে আর ঝিমোতে ঝিমোতে পড়তে থাকতাম আরো প্রবলভাবে আলোচ্য অংশটুকু আলোচ্য অংশটুকু। পরীক্ষায়ও উত্তর দিয়ে দিতাম, আলোচ্য অংশটুকু আলোচ্য অংশটুকু। তার পরে লিখে দিতাম প্রশ্নটা।

একবার ভূগোল পরীক্ষা। আমি লিখেছিলাম, তাই তো কবি বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার জীবজন্তুরা বড় বিচিত্র। তাই তো কবি বলেছেন, জোয়ার-ভাটা ইত্যাদি। খাতা দেওয়ার সময় স্যার আমায় কাছে ডেকে জিগ্যেস করেছিলেন, ভূগোল পরীক্ষায় কবি সাহিত্যিক কীরে, গাধী? দে হাত পাত, বেত খা। হাত আমার ফাটায়ে দিয়েছিলেন স্যার। আমার দোষটা কী ছিল, বলুন! একটি ছোট্ট মেয়ের সাহিত্যপ্রেমকে স্যার একটুও পাত্তা দিলেন না! একটুও উৎসাহ দিলেন না! অস্ট্রেলিয়ায় কি কবি সাহিত্যিক নাই? জোয়ার-ভাটা নিয়ে কি কবিতা লেখা হয়নি? এজন্য একটা সাহিত্যপ্রেমী বাচ্চা মেয়েকে মেরে ফাটায়ে দিতে হবে?

একটু ভালভাবে নাম্বার দিতে ও কালকের পরীক্ষার প্রশ্নটা আজকে দিয়ে দিতে এত কার্পণ্য কেন স্যারদের? এতে কি পৃথিবীর উপকার ছাড়া কোনো ক্ষতি আছে? নাম্বার দিতে তো পয়সা লাগে না। তবুও কেন এই বৃথা ও ক্ষতিকর কার্পণ্য? নাম্বার বাড়ায়ে দিলে ও প্রশ্নটা আগে আগে দিয়ে দিলে ছেলেমেয়েরা রেজাল্ট কতো ভালো করতো আর দেশের কত উন্নতি হতো। তাই না? এই হৃদয়হীন স্যারদের তা কে বোঝাবে?

ক্লাস এইট থেকে বৃত্তি পরীক্ষা দেবো। বৃত্তি পরীক্ষার্থীদের আলাদাভাবে ক্লাস করানো হচ্ছে বিশেষ যত্ন ও মারপিটের সহিত। ‘ছাত্রজীবনের উদ্দেশ্য ও কর্তব্য’ নামে রচনা মুখস্ত করতে দেয়া হয়েছে একদিন। হেলাল নামে এক ছেলেকে স্যার রচনাটি মুখস্ত বলতে বললেন। হেলাল বলতে শুরু করলো। কিছুক্ষণ পর বলতে শুরু করলো, গরুর দুটি চোখ, দুটি কান ও একটি নাক আছে। স্যার বেতাতে বেতাতে বললেন, কি রে গরু হয়ে গেলি নাকি? ছাত্রজীবনের সাথে গরুর সম্পর্ক কী? হেলাল বলল, আমার বইতে এরকম লিখেছে, সার। সে বই খুলে দেখালো স্যারকে। সত্যিই তো। পরের পৃষ্ঠাতেই গরুর বর্ণনা। ব্যাপার কী? আরো খুঁটিয়ে দেখতে লাগলেন স্যার। দেখলেন, ওর বইতে ছাত্রজীবনের উদ্দেশ্য ও কর্তব্য রচনার এক পৃষ্ঠার পরে কয়েকটি পাতা মিসিং। আর হেলাল ওভাবেই মুখস্ত করে এসেছে। স্যার বললেন, আহারে গরু!

ইসলাম ধর্মের স্যার কানে কম শুনতেন। আমাদের জন্য খুবই সুবিধার ছিল এটা। আবার অসুবিধাও ছিল চরম মাত্রায়। ধর্মের পড়া প্রায়ই মুখস্ত করে আসতাম না। স্যার আমাদের কাছে এসে পড়া ধরতেন। আমরা অবলীলায় দ্রুততালে বলে যেতাম, সার, আজকে পড়া শিখি নাই, চুল আঁচড়ানোর সময় পাই নাই, ভাত খেয়ে আসি নাই। আপনার বাড়িতে সবাই কেমন আছে? ইত্যাদি। স্যার বলতেন, বেশ বেশ। খুব ভালো মুখস্ত করেছিস তুই। আর যেদিন পড়া মুখস্ত করে যেতাম ও বলতাম সেদিন স্যার পেটাতেন। বলতেন, পড়া না শিখে স্কুলে আসো কেন, বাছাধন? বিয়ের জন্য ক্লাস গুনতে? নাকি বাড়িতে কাজ করার ভয়ে?

স্যারদের নিয়ে তখন পেরে উঠতাম না। এখনো মনে পড়লে আর পারি না। আর পারি না, সার/ সারেরা!