বাঙ্গালীর লেজ লাঙ্গুল বা লেঙ্গুড় চর্চার ঐতিহ্য অনেক পুরনো। প্রাণীর লেজ দেখে দেখেই বাঙ্গালী অনেক প্রাচীন প্রবাদ প্রবচনের সৃষ্টি করেছে আর এর মাধ্যমেই ব্যক্তি বা বিশেষ অবস্থাকে রূপকার্থে প্রকাশ করেছে।যেমন বেহায়াপনায় অনড় বুঝাতে বলা হয় ‘কুত্তার লেজ ঘি দিয়ে মাজলেও সোজা হয়না।যে ব্যক্তির মান সম্মাণ ভূলুন্ঠিত হয়েছে তাকে ‘লেজকাটা শিয়াল’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। আকষ্মিক বিত্তবান এবং অহংকারী হয়ে ওঠা বুঝাতে বলা হয় ‘লেজ ভারী হওয়া। আবার যুদ্ধ প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা প্রতিযোগিতায় কাপুরুষোচিত ভাবে হটে যাওয়াকে বলা হয় ‘লেজ গুটিয়ে পলায়ন’একই ভাবে সমঝোতা করা বুঝাতে বলা হয় ‘লেঙ্গুর ভাইল’ ভাইল মানে ভাটিয়াল অর্থাৎ লেজকে নীচে নামানো। হযবরল অবস্থা বুঝাতে বলা হয় ‘লেজে গোবরে’ অবস্থা। আবার স্বেচ্ছায় বিপজ্জনক অবস্থা ডেকে আনাকে বলা হয় ‘সাপের লেজে পা দেয়া’। ছায়া সঙ্গীকে বলা হয় লেজ বা লেঙ্গুড় আর তার অনুশীলণকে বলা হয় ‘লেজ ধরে’ চলা। ভালোভাবে যাচাই বাছাই করা বুঝাতে বলা হয় ‘লেজ উল্টে দেখা। আবার কারোর সাথে ক্রমাগত চতুরতা প্রদর্শণ বুঝাতে ‘লেজে খেলানো’ বাগধারাটি ব্যবহৃত হয়। লোকায়ত জীবনে লেজের এই বিচিত্র ব্যবহারই প্রমাণ করে বাঙ্গালী কত গভীর নিরীক্ষায় প্রাণী বা সরিসৃপকুলের লেজকে পর্যবেক্ষণ করেছে। বর্তমানেতো এই লেজ ব্যাপারটি আমাদের জাতীয় জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের দিকে তাকালেই এই লেজপ্রীতির প্রমাণ স্পষ্ট ধরা পড়ে।প্রাণী জগতে একাধিক লেজ বিশিষ্ট প্রাণী বিরল তবে আওয়ামীলীগ এবং বিএনপিকে যদি দুই অতিকায় জন্তু হিসেবে কল্পনা করা যায় তবে আমাদের বহুলেজ বিশিষ্ট দুই বিরলদর্শন প্রাণী দেখার সাধ মিটে যাবে।এই দুই দলই আপাদমস্তক লেজময় এবং সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে এই লেজের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।এই লেজগুলি আবার স্বয়ম্বু। এগুলি নিজের গরজে নিজ থেকেই জন্ম নেয় এবং দুই দলের বিশাল শরীরের সাথে অবলীলায় সেঁটে যায়। আওয়ামীলীগ এবং বিএনপি যেন মানুষের বিবর্তন ধারার বিপরীত স্রোতের দুই মূর্তিমান প্রতীক।আমাদের সুদূর পূর্বপুরুষেরা মিলিয়ন মিলিয়ন বছরের নিরন্তর অনুশীলণে তাদের পশ্চাদ্দেশ থেকে লেজকে খসিয়েছিলেন অথচ আমাদের দুই দল ক্রমাগত তাদের লেজের সংখ্যা বাড়িয়েই চলেছে। লাঙ্গুলায়নের সর্বশেষ সংযোজন হলো ‘আওয়ামী পরিবার লীগ’ নামের চিত্তাকর্ষক আইডিয়ার একটি দল। যারা এর উদ্ভাবক তারা সৃষ্টিশীলতায় নিঃসন্দেহে অতিশয় বিচক্ষণ। এটি সম্ভবতঃ লেজদলের ক্ষুদ্রতম ইউনিট।এরচেয়ে ক্ষুদ্রতমে যেতে হলে এক ব্যক্তি এক দলে চলে যেতে হবে যদিও বাংলাদেশে এর দৃষ্টান্তও বিরল নয় কিন্তু ব্যাপকভাবে এর চাষ অসম্ভব। সে যাই হোক আমরা অধীর আগ্রহে বসে আছি ‘জাতীয়তাবাদী পরিবার দল’ গঠনের ঘোষণাটি শুনার জন্য। সাকা চৌধুরী এখন পরপারে তবে তার ‘লেজে কুকুর নাড়া’র তত্ত্বটি অমরত্ব লাভ করেছে।শুধু নড়া ই নয় দুই দলকেই প্রায়শঃ লেজাঘাতে সংকোচিত বিব্রত অথবা ক্ষুব্ধ সংক্ষুব্ধ হতেও দেখা যায়। অতি সম্প্রতি সর্ব কনিষ্ঠ লেজটির কারণেই সম্ভবতঃ বিশাল আওয়ামী শরীর একটুখানি ঝাঁকুনী খেয়েছে নইলে লেজ নিয়ে যে নেতা নেত্রীদের এত তোষামোদি আদর আহলাদ তারাই কেন হঠাৎ লেজের ব্যাপারে এমন বৈরাগী হয়ে গেলেন। আমরা বুঝতে পারিনা কোন মনোযাতনায় কাতর হয়ে তারা সাত আটটি বাদ দিয়ে সব লেঙ্গুড় ছেঁটে ফেলার চিন্তা ভাবনা করছেন। আমরা বিশ্বাস এবং প্রত্যাশা করি সিদ্ধান্তটি শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবেনা কেননা আমরা চাইনা আমাদের যে মহান রাজনৈতিক দলটির মান সম্মাণ ক্ষমতা প্রতিপত্তি এখন হিমালয়ের উচ্চতায় তার পেছনে কোনোভাবে ‘লেজকাটা’ অপবাদটি যুক্ত হোক।তাছাড়া এই লেজগুলির উপকারিতা কার্যকারিতা এবং অপরিহার্যতার কথা চিন্তা করেও এই মানহানীকর সিদ্ধান্ত থেকে তাদের সরে আসা উচিৎ।নীচে লেজের কিছু উপকারিতার কথা অতি সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলো।

১।শরীরকে মশা মাছি জাতীয় উৎপাত থেকে রক্ষা করতে কুকুর বেড়াল হাতি ঘোড়ার একটি লেজই যথেষ্ট কিন্তু ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল আয়তন বিশিষ্ট দুই বিশাল শরীরকে এসব উটকো আপদ থেকে রক্ষা করতে একটি লেজ যথেষ্ট নয় লেজটি যতই লম্বা হোকনা কেন। তাছাড়া একলেজ বিশিষ্ট হলে লেজটির দৈর্ঘ্য এত বিশাল হতে হবে যে তা ঘুরাতে গেলে পার্শ্ববর্তী দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। সুতরাং পা থেকে মাথা পর্যন্ত যতই ছোট ছোট লেজ গজাবে ততই নিরাপত্তার ব্যাপারটি গ্যারান্টেড থাকবে।

 

২।পাতা যেমন প্রকৃতি থেকে কার্বন-ডাই অক্সাইড শোষণ করে নিয়ে শিরায় শিরায় প্রবাহিত করে গাছের পুষ্টি জোগায় এবং সেই বিষাক্ত গ্যাসকে অক্সিজেনে পরিনত করে আমাদের প্রকৃতিকে নির্মল বাতাসের জোগান দেয় আমাদের দুই দলের লেজগুলিও প্রকারান্তরে একই ব্রতে ক্রিয়াশীল।এই লেজগুলি ফুটপাত বালুমহাল পরিবহন ব্যক্তিগত ব্যবসা-বাণিজ্য টিকাধারী প্রতিষ্টান বেশ্যালয় খাবিখা (কাবিখার প্রায়োগিক রূপ) লুটেখা জাতীয় গৌরীসেনীয় প্রজেক্ট থেকে কোটি কোটি কালোটাকা আহরতণ করে দলের পুষ্টি জোগাচ্ছে তাতে নেতা নেত্রীদের শরীরের জেল্লা বাড়ছে বিদেশে তাদের নতুন নতুন বাড়িঘর ব্যবসা বাণিজ্য গজাচ্ছে আর বছর শেষে অর্থ মন্ত্রনালয়ের পিউরিফাইং মেশিনে অবশিষ্ট কালোটাকা গুলি সাদা হয়ে বেরিয়ে আমাদের জিডিপিকে মোটাতাজাকরণে মহামূল্যবান অবদান রাখছে। পাতা বিহীন গাছ যেমন কল্পনা করা যায়না তেমনি আমরা আমাদের শাসক দলগুলিকেও লেজকাটা বা লেঙ্গুড়বিহীন কল্পনা করতে পারিনা।

 

৩।দুই দলের লেজগুলি দারীদ্র বিমোচনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখলেও আবুল বারাকাত সাহেবদের পক্ষপাতদুষ্ট মূল্যায়নে জাতীয় উন্নয়নের এই সেক্টরটা প্রায় উপেক্ষিতই থেকে গেছে। ধরুন দেশের কয়েকজন ধোপা মিলে দেশ ও দশের খেদমতের মানসে একটি ‘আওয়ামী ধোপালীগ’ বা ‘আওয়ামী রজকলীগে’র জন্ম দিল। সে লীগে কিছু নেতা থাকবে কর্মী থাকবে ক্যাডার থাকবে। কিছুদিনের মাঝেই দেখা যাবে যে লোকগুলি প্রায় ন্যাংটা অবস্থায় শুরু করেছিল তাদের অবস্থা রাতারাতি বদলে গেছে। তাদের পরনে ব্র্যান্ড নেইম সার্ট পেন্ট। পকেট ভর্তি টাকা। কুঁড়েঘর ফুঁড়ে দালান উঠে যাচ্ছে এবং শতভাগ নিশ্চয়তা সহকারে বলা যায় ধোপা বা রজকলীগ গঠনের এক সপ্তাহর মাঝে ‘জাতীয়তাবাদী ধোপাদল’ বা ‘রজক দলে’র শুভ জন্ম হবে এবং আরো কিছু তরুণ যুবা তাদের উপরে ওঠার সিঁড়ি পেয়ে যাবে। তারপর যথারিতি নেতায় নেতায় টক্কর লেগে ‘আসল বা তৃণমূল ধোপালীগ’ বা দল নামে নতুন নতুন বিদ্রোহী দল জন্মাবে নতুন নেতা কর্মী ক্যাডার জন্মাবে এভাবে অসংখ্য লেজে যদি পুরো ষোলো বিশ কোটি মানুষকেই লোম হিসেবে গেঁথে ফেলা যায় তবে বড় লোকরা লিল্লাহ সদকা দেবার মানুষও দেশে খুঁজে পাবেনা।দেশকে টেনে হিঁচড়ে মধ্যম আয়ে উন্নীত করতে এই রাজনীতি শিল্পই একেবারে মোক্ষম দাওয়াই।

যে লেজ বা লাঙ্গুলের এত মহিমা এত কারিশমা তার সম্বন্ধে কোনো রকম নেতিবাচক প্রচারনা চালানো অনুচিৎতো বটেই উল্টো দুই দলের নতুন নতুন লেজ গজানোর স্বার্থে চমকপ্রদ নামের আইডিয়া এবং গবেষণার জন্য দেশে ‘বাংলা একাডেমীর’ অনুকরণে একাধিক ‘লাঙ্গুল একাডেমী’ গড়ে তোলা উচিৎ। তবে ‘লাঙ্গুল একাডেমী’ প্রতিষ্টা সময় সাপেক্ষ তাই লেঞ্জাদলের নামকরণের আপাতসংকট কাটানোর জন্য ব্যক্তিগত গবেষণা প্রসূত কিছু প্রস্তাবনা পেশ করা হলো সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীরা তা বিবেচনা করে দেখতে পারেন।
১।দেশের জনগোষ্টির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হচ্ছে টিন এজ।এই বিপুল সংখ্যক জনগোষ্টিকে রাজনীতি শিল্পের বাইরে রাখা অনুচিৎ। তাই এদেরকে উন্নয়নের আওতায় আনতে ‘আওয়ামী শিশুলীগ’ ‘জাতীয়তাবাদী শিশুদল’ ‘আওয়ামী কিশোরলীগ’ ‘জাতীয়তাবাদী কিশোরদল’ গঠন করা যেতে পারে।নারী নেতৃত্ব বিকাশে ‘কিশোরী লীগ’ বা ‘কিশোরী দল’ করার চিন্তা করা যেতে পারে।
২।দেশের মোট জন সংখ্যার একটি বড় অংশ ভিক্ষা শিল্পে নিয়োজিত যদিও দেশের হুজুরদের বৃহৎ অংশটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জঙ্গী সংগঠনে যোগ দেয়ায় এবং ইরাক সিরিয়ায় হিজরত করায় দেশে ভিক্ষাজীবীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যহারে হ্রাস পেয়েছে তবু এ খাতে এখনো যে পরিমান জনসংখ্যা রয়ে গেছে তাদের দিয়ে অনায়াসে ‘আওয়ামী ভিক্ষুকলীগ’ ও ‘জাতীয়তাবাদী ভিক্ষুক দল’ নামে দুইটি বৃহৎ লেঞ্জাদল গঠন করা যেতে পারে। এ পেশার মহিলারাও ‘আওয়ামী ফকিন্নীলীগ’ ও জাতীয়তাবাদী ফকিন্নীদল’ গঠন করতে পারে।
৩।দেশের সবচেয়ে বড় পেশাজীবী সম্প্রদায় হলো চোর বা তস্কর। লাউচোর উড়িচোর থেকে শুরু করে রাষ্টের শীর্ষ কাঠামো পর্যন্ত হাই প্রোফাইল পুকুরচোর সাগরচোরগণ কিলবিল করলেও কেউ সাহস করে নিজ পেশার কথা স্বীকার করেনা এজন্য এই সম্প্রদায়ের সংখাটি চোখে পড়েনা। তবে একেবারে স্বীকার করেনা এটাও ঠিক নয়। গেল আদমশুমারীতে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার তিন গ্রামের মানুষ তাদের পেশা লিখিয়েছে চুরি। শাল্লার সেই সাহসী ও অকপট চোরগণ তাদের পেশাকে বৈধ ও সাদা করতে এবং নিজেদের পেশাগতহীনতা থেকে উত্তরণ ঘটাতে ‘আওয়ামী তস্করলীগ’ ও জাতীয়তাবাদী তস্করদল গঠন করতে পারেন সেসাথে ‘আওয়ামী চুন্নীলীগ’ বা জাতীয়তাবাদী চুন্নীদল গঠণেরও সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। শাল্লার তিনগ্রামের স্বঘোষিত চোর সম্প্রদায়ের একটা বড় এডভ্যান্টেইজ হলো উপর বা মধ্য কাঠামোর কোনো চোর কর্তৃকই তাদের দলীয় নেতৃত্ব ছিনতাইয়ের আশংকা একেবারেই নেই।
৪।অজ্ঞান পার্টি মলম পার্টি ইত্যাদিতে আবার জাতীয় পার্টির আনুগত্য প্রশ্নাতীত। এ ক্ষেত্রে এরশাদ নিরংকুশ। আওয়ামীলীগ বিএনপি এই দুই সম্ভাবনাময় দলের উপর জাপার একাধিপত্য মেনে নিয়ে এতদিন তাদের মহানুভবতা দেখিয়ে এসেছে কিন্তু এই সেক্টরগুলিকে শক্তিশালী করতে ও পুলিশের সাথে অধিকততর সংযোগ সাধনের উদ্দেশ্যে অচিরেই ‘আওয়ামী মলমলীগ’ ‘জাতীয়তাবাদী মলমদল’ ও ‘আওয়ামী অজ্ঞান লীগ’ এবং ‘জাতীয়তাবাদী অজ্ঞান দল’ গঠন এখন সময়ের দাবি মাত্র।

৫।তরুণ লেখক ওয়াশিকুর রহমান বাবুর এক হত্যাকারীকে ঝাপটে ধরেছিলেন লাবণ্য নামের তৃতীয়লিঙ্গের একজন প্রকৃত পৌরষদীপ্ত মানুষ।বহু আগে পড়েছিলাম লাবণ্য প্রাণভয়ে ঢাকা ছেড়ে পালিয়েছেন।এই হিজড়াগণ যদি ‘আওয়ামী হিজড়ালীগ’ বা ‘জাতীয়তাবাদী হিজড়া দলে’ সংঘটিত থাকতেন তবে লাবণ্যকে প্রাণভয়ে পালিয়ে যেতে হতোনা। তবে লাবণ্যরা আওয়ামী বা জাতীয়তাবাদী লেঞ্জাদলের অন্তর্ভুক্ত হলে হত্যাকারীকে ঝাপটে ধরার মতো নৈতিক সাহস ও বিবেকবোধটুকু অবশিষ্ট থাকবে কি না তা গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায়না।
এভাবে নামের আগে কেবল আওয়ামী বা জাতীয়তাবাদী শব্দ যোগ করে ঘটকলীগ, ঘটকদল, নাপিতলীগ, নাপিতদল হাজামলীগ হাজামদল ইমামলীগ ইমামদল মোয়াজ্জিনলীগ মোয়াজ্জিনদল বয়াতিলীগ বয়াতিদল কামারলীগ কামার দল চর্মকারলীগ চর্মকারদল কুমারলীগ কুমার দল স্বর্ণকারলীগ স্বর্ণকারদল ধাঙ্গরলীগ ধাঙ্গরদল ভাঙ্গারীলীগ ভাঙ্গারীদল টুকাইলীগ টুকাইদল ইত্যাদি অভিনব সব দল গঠন করা যেতে পারে। জনস্বার্থে জনসমুদ্রে এই নামাবলী সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে অবমুক্ত করা হলো। নিজ নিজ প্রয়োজন মতো নামগুলি ব্যবহার করতে পারেন তাতে পূর্বানুমতি নিষ্প্রয়োজন।

বিঃদ্রঃ লেখাটি শেষ করার পর এক ফেসবুক বন্ধুর পোষ্ট থেকে জানতে পারলাম ভৈরব না কোথাকার এক শিশু নাকি ইতোমধ্যে নিজেকে ‘আওয়ামী শিশুলীগে’র সভাপতি বলে ঘোষণা করে ফেলেছে।সেই খুঁদে পুঙ্গবকে আমার অভিনন্দন সে সাথে দিব্যি খেয়ে বলছি শিশুলীগের নামটি আমি সেই শিশুবীরের দল ঘোষণার আগেই লিখেছিলাম। শিশু বাহাদুর আমার লেপটপে ঢুকে নামটি হ্যাক করে নিয়ে গেছে এমন অপবাদও তাকে দিতে পারিনা । তাহলে “কেমনে বেটা পেরেছে সেটা জানতে ? তবে কি সেই মহাজনী বাক্যটিই ঠিক ‘অল গ্রেট মাইন্ডস থিংক এলাইক’ ?