লিখেছেনঃ অরুণাভ বিলে

বাংলাদেশের খুবই পরিচিত নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী রওশন জামিল বড় হয়ে উঠেছিলেন এমন একটা সময়ে যখন মেয়েদের বিশেষ করে মুসলিম মেয়েদের বাইরে নাচগান বা অভিনয় করা কথা চিন্তাও করা যেত না । ৫০-এর দশকে যখন মেয়েদের চরিত্রে ছেলেদের মেয়ে সেজে অভিনয়ের চল ছিল তখন রওশন জামিল জগন্নাথ কলেজে শরৎচন্দ্রের দেবদাসে অভিনয় করেন । তাঁর পেশাদার অভিনয় জীবন শুরু হয় ৬০এর দশকে টেলিভিশন নাটক ‘রক্ত দিয়ে লেখা’য় ।

রওশন জামিল জন্ম নিয়েছিলেন একটি রক্ষনশীল পরিবারে । কিন্তু ভাই-বোন দের মধ্যে ছিল শিল্প চর্চার প্রতি তীব্র অনুরাগ । সেকালের এমন একটি পরিবারে বেড়ে ওঠার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল তা রওশন জামিল নিজেই বলেছেন বিবিসি বাংলাকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে । সেটি আগে তুলে ধরছি । “আমার বাবা তিনটে বিয়ে করেছিলেন, আমরা তিন মায়ের ভাইবোনই এক বাড়িতেই বড় হয়েছি । সেজন্য বাড়িটা আনন্দভুবনের মত হয়ে গেছিল । এক এক ভাই এক এক টাইপের, এক এক জন এক একটা পছন্দ করছে । কেউ খেলাধুলা করছে, কেউ বাগান করছে, ব্যাডমিন্টন কোর্ট বানাচ্ছে, এমন কি আমাদের বোন দের জন্যও আলাদা কোর্ট তৈরি করেছিল । রাতে খেলা হচ্ছে, সেই মজার ব্যাপার । হৈহুল্লুর হত, বাসায় অনেক রকম লোক আসত । আমার বড় যে ভাই বাগান করতেন তিনি একটু বেপরোয়া ছিলেন, তিনি বাগান করতেন, ভায়োলিনও শিখতেন । ছোটভাই গিটার আর বড় ভাই সেতার শিখতেন । অন্য বোনকে গানের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন ।”

তিনি ছিলেন তার বাবার ছোট ঘরের মেয়ে । সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি যেহেতু ছোট মায়ের মেয়ে তাই আমাকে অন্য মায়েদের ভাইবোনদের কাছ থেকে দূরে রাখা হত । আমার মা ধর্মভীরু লোক ছিলেন, তিনি ভাবতেন ওরা করছে করুক কিন্তু আমার মেয়ে পাক্কা মুসলিম ফ্যামিলির মেয়ের মত মাথেয় ঘোমটা থাকবে সবসময়, নামায পড়বে, কুরান শরীফ পড়বে । জোরে কথা বলবে না, জোরে হাসবে না এভাবে আমার মেয়ে একজন খামদানি মুসলমান হবে । এবং উর্দুতে কথা বলতে হবে, বাংলায় কথা বললে তো ঠিক মুসলমান হওয়া যায় না ।

আমাদের ভাইবোনদের ভাল লাগত বাংলা, ভাল লাগত গান বাজনা । চুপিচুপি করে মায়ের চোখ থেকে এড়িয়ে গিয়ে, বাবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে সবার সাথে খেলাধুলা করতাম । আমাদের বাড়ি ছিল বিশাল বড়, এক কিনারে কি হচ্ছে আরেক কিনারের মানুষ জানে না । তাই অন্যদিকে গিয়ে সবার সাথে মিশে আমরা ওগুলো শিখতাম, অন্তত আমি শিখতাম, আমার ভাল লাগত । আমার ইচ্ছে হলে আমি দৌড়ে চলে যেতাম নদীর তীরে- সদরঘাটে । নৌকায় উঠে বসতাম, মাঝি বলত কোথায় যাবেন ?? আমি বলতাম যেখানে খুশি সেখানে নিয়ে যাও । সেখানেই নিয়ে যেত, সেখানে নামতাম, গ্রাম দেখতাম, ঘুরতাম, ওরা আমাকে বলত আপনি এখানে নামবেন ?? দেখতাম ঘুরে আবার ফিরে আসতাম, কোন ভয় করত না । কিন্তু ওরা আমার কাছ থেকে টাকাপয়সা নিত না কোন । বিরাট একটা মজা ছিল, কত আনন্দ !! কেউ কিছু বলছে না, কেউ কিছু ধরছে না । পাখির মত ঘুরতাম, পাখিও এত নিরাপদে ঘোরে না ।

নৃত্যশিল্পী হিসাবেই তিনি প্রথমে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন । ৬০ এর দশকে তিনি আস্তে আস্তে অভিনয়শিল্পের দিকে ঝুকে যান । এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ছবির সাথে যখন বেশি জড়িত হয়ে গেলাম, তখন ছবি করব না সংসার করবো ! না বাগান করবো ! না নাচবো ! তা তো আর হল না, কাজেই তখন আমার নাচ গ্যাপ পরে গেল । আর প্রায়ই দেখতাম যে এখানে ভীষণ বয়স হিসাবে কাউন্ট করে, কে কতোটা বয়সী কিন্তু কে কতোটা ভাল নাচছে কেউ সেটাকে পাত্তা দিত না । সোজা কথা যে ভাল নাচানাচির ব্যাপার না, ব্যাপার হল গিয়ে আপনার বয়স হয়ে গেছে, আপনি সংসার করছেন, বাচ্চাকাচ্চার মা হয়ে গেছেন, ফিগার যতোই ভাল রাখেন না কেন আপনি এখন আর নাচবেন না । আপনি পথ ছাড়েন, নতুন মেয়েরা যারা আসছে তারা নাচবে, তারা বাইরে যাবে কিন্তু আপনি কেন যাবেন ? আপনি গেলে দেশের একটা লজ্জ্বা । কিন্তু আমার স্বামী গেলে লজ্জ্বা না, আমার স্বামীর বয়স বাড়ে না । বয়স বাড়ে খালি আমার, মানে মেয়েদের বয়স বেড়ে যাইতেছে কিন্তু ছেলেদের বয়স বাড়ে না ।

এরপর ষাটের দশকে তিনি অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন । অনেক টিভি নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এই গুণী অভিনেত্রী । তিনি নিজ মুখেই বলেছেন তিনি অভিনয় আর নৃত্যের মধ্যে নৃত্যের প্রতিই বেশি দুর্বল ছিলেন । তিনি নাচের জন্য সাধনা করেছিলেন, গানের জন্য সাধনা করেছিলেন । অভিনয় ব্যাপারটাকে তেমন বড় কিছু মনে করেন নি তিনি । তার মতে অভিনয়ের চেয়ে নাচ বা গান অনেক সাধনার ব্যাপার এবং সেটা করেই তিনি বেশি আনন্দ পেতেন । নাচ বা গানের মাধ্যমে দর্শকদের হৃদয় জয় কয়াকেই তার বড় পাওয়া মনে হত । নৃত্য ব্যাপারটা যে তার কাছে সাধনার মত ছিল সেটা বোঝা যায় তার ছোট বেলার এই ঘটনায় । বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “ছোটবেলায় মাঝ রাতে ঘুম থেকে উঠেও তিনি নাচতেন, বড় বোনকে বলতেন নাচ তুলে দিতে । তার বাড়িতে কোন নাচের মাস্টার ছিল না, বড় বোন স্কুলে যা যা শিখতেন তাই ওনাকে শিখিয়ে দিতেন । বাড়িতে তার মা অনেক কন্সারভেটিভ ছিলেন বলে লুকিয়ে লুকিয়ে করতে হত । কিন্তু নাচ আর গান তার খুব ভাল লাগত । মাঝে নাচ, গান না করতে পেরে তিনি কাঁদতেন লুকিয়ে লুকিয়ে । একদিন তার মা দেখে ফেলেন এবং কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, পেট ব্যথা তাই । তার আশে পাশের তৎকালীন অন্যান্য অনেক মেয়েরা নাচ গান করতে পারতেছে কিন্তু তিনি পারতেছেন না । এজন্য তিনি কান্নাকাটি করেন । পুরাণ ঢাকায় বাড়ি হওয়ার জন্য তিনি পরিচিত ছিলেন হিন্দুদের পূজার সাথে । দুর্গাপূজা, কালীপূজায় ইত্যাদি অনুষ্ঠানের সময় ঢাকের তালে তিনি নাচতেন । প্রায়ই বাড়ি থেকে বের হয়ে মন্দিরে চলে যেতেন, এরপর মনেহত রাত তো অনেক হয়ে গেছে- বাসায় খোঁজাখুঁজি করবে ।

সেকালের রক্ষণশীল পরিবার আর সমাজ তার নৃত্য প্রতিভার বিকাশে সৃষ্টি করেছিল নানানরকম বাঁধা । সেসকল বাঁধা অতিক্রম করে তার সংস্কৃতিচর্চা, নৃত্য সাধনা করা কোন সহজ কাজ ছিল না । তৎকালীন সময়ে কোন মুসলমান ঘরের মেয়ে নাচবে এটা চিন্তাই করা যেত না । আশেপাশের লোক লোকজন তাকে নিয়ে নানারকম কটুকথা বলত । কেউকেউ বলত তিনি বেলল্লাপনা করতেছেন । “সে যে এতগুলো ব্যাটাছেলের সামনে হেলেদুলে নাচে এটা কি কোন প্রংশার ব্যাপার ?? আমরা এরকম টাকাপয়সার মুখে থুথু ফেলি । এদিয়ে যদি জীবন চলতে হয় তারচেয়ে মরণও ভাল ।” তখনকার দিনে এসব সমাজের লোকেদের কটুকথা গ্রাহ্য না করে কতোখানি মানসিক শক্তি থাকলে একজন নারী সামনে দিকে এগিয়ে যেতে পারেন তার উদাহরণ হলেন শ্রদ্ধেয় রশন জামিল । নৃত্যকলায় তার অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৫ সালে তাকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদকে ভূষিত করেন ।

অভিনয় জীবন-
রওশন জামিল বাংলাদেশ টেলিভিশনে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন । তার প্রথম অভিনীত নাটক রক্ত দিয়ে লেখা ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হয় । বাংলাদেশ টেলিভিশনের ঢাকায় থাকি ও সকাল সন্ধ্যা ধারাবাহিক নাটক তাকে আরও জনপ্রিয় করে তুলে । তিনি ১৯৬৭ সালে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন আরব্য রূপকথা আলিবাবা চল্লিশ চোর ছায়াছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে । ১৯৭০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান পরিচালিত জীবন থেকে নেয়া চলচ্চিত্রে আপা চরিত্র তাকে সাফল্যের শীর্ষে নিয়ে আসে । তাছাড়া আমজাদ হোসেনের রচনা ও পরিচালনায় নয়নমনি, আবু ইসহাকের উপন্যাস অবলম্বনে শেখ নিয়ামত আলী ও মসিহউদ্দিন শাকের পরিচালিত সূর্য দীঘল বাড়ী চলচ্চিত্রে তার অভিনয় দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে ।

জীবন থেকে নেয়া (১৯৭০) পরিচালক- জহির রায়হান, ছবির দৃশ্যে খান আতাউর রহমানের সাথে রওশন জামিল

জীবন থেকে নেয়া (১৯৭০) পরিচালক- জহির রায়হান, ছবির দৃশ্যে
খান আতাউর রহমানের সাথে রওশন জামিল

‘নয়নমণি’, ‘সূর্যগ্রহণ’, ‘মাটির ঘর’, ‘বউ শাশুড়ি’, ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’সহ প্রায় তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি । এছাড়া টেলিভিশন, রেডিও এমন কি মঞ্চ নাটকেও তার উপস্থিত ছিলো লক্ষণীয় । দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী – নয়নমনি (১৯৭৬); শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী – সূর্য দীঘল বাড়ী (১৯৭৯) এছাড়াও টেনাশিনাস পদক, সিকোয়েন্স অ্যাওয়ার্ড, বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কার, তারকালোক পুরস্কারসহ বহু পদক ও পুরস্কারে ভূষিত হন ।

তার অভিনীত কিছু বিখ্যাত চলচ্চিত্র-
• চিত্রা নদীর পারে (১৯৯৯) • ওরা ১১ জন (১৯৭২) • সূর্য দীঘল বাড়ি (১৯৭৯) • শ্রাবণ মেঘের দিন (১৯৯৯) • জীবন থেকে নেয়া (১৯৭০) • শঙ্খনীল কারাগার (১৯৯২) • তিতাস একটি নদীর নাম (২০০২) • রামের সুমতি (১৯৮৫) • দেবদাস (১৯৮২) • শ্রাবণ মেঘের দিন (১৯৯৯)

ব্যক্তিগত জীবন-
রওশন জামিলের জন্ম ১৯৩১ সালের ৮ মে, ঢাকার রোকনপুরে। শিক্ষা জীবন শুরু করেন লক্ষ্মীপুর সেন্ট ফ্রান্সিস মিশনারি স্কুলে । পরবর্তীতে ইডেন কলেজে পড়াশুনা করেন । অভিনেত্রী হিসেবে সুপরিচিত হলেও, শুরুতে নৃত্যের প্রতিই তার ঝোঁক ছিলো সেটা উপরের লেখাতেই স্পষ্ট এবং তিনি নিজের মুখেই সেটা বলেছেন । এ কারণে গহর জামিলের কাছে নাচের তালিম নিতে যান । কিন্তু ঘটনাচক্রে দুজনের মধ্যে মন দেয়া নেয়া হয়ে যায় । অবশেষ ১৯৫২ দুজনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন । এই দম্পতির দুই ছেলে ও তিন কন্যা । ১৯৫৯ সালে স্বামী গওহর জামিলের সঙ্গে ঢাকায় নৃত্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ‘জাগো আর্ট সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করেন রওশন জামিল । ১৯৮০ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর তিনিই এই সংগঠনের দেখাশুনা করতেন । জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সোমা মুমতাজ উনার ভাগ্নি, এবং বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী আলপনা মুমতাজ তার বোন এবং সোমা মুমতাজের মা ।

স্বামী বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী গহর জামিলের সাথে রওশন জামিল

স্বামী বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী
গহর জামিলের সাথে রওশন জামিল

রওশন জামিল ২০০২ সালের ১৪ মে বাংলাদেশের ঢাকায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন । বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার (এফডিসি) প্রবেশদ্বারে ‘নয়ন সম্মুখে তুমি নাই’ শিরোনামের ফলকে প্রয়াত চলচ্চিত্রকারদের সাথে তার নাম খোদাই করা আছে ।

নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার মৃত্যুর একবছর আগেই জন্মেছিলেন রওশন জামিল । ব্রিটিশ বাংলার তৎকালীন রক্ষণশীল মুসলমান পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন, এরপরে ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ স্বাধীন হল জন্ম নিল ভারত- পাকিস্তান নামক দুটি রাষ্ট্র । বঙ্গদেশের নাম হল পূর্ব পাকিস্তান । পরাধীন দেশের রক্ষণশীল মুসলমান পরিবারে জন্ম নিয়ে তিনি অতিক্রম করেছিলেন সকল বাঁধা বিপত্তি । তৎকালীন বাঙ্গালী সমাজের মানুষের কটু কথা উপেক্ষা করতে কতখানি সাহস লাগে আর তা কিভাবে করতে হয় সেটা করে দেখিয়েছিলন রওশন জামিল । এই মহীয়সী নারীর জীবন থেকে আমাদের বর্তমান সমাজের মেয়েদের অনেক কিছুই শেখার আছে । কিন্তু আমি খুব একটা কেউকে রওশন জামিল নিয়ে কথা বলতে দেখি নি । নারী জাগরণে বেগম রোকেয়ার মত ভূমিকা না রাখলেও নিজের কর্মজীবনের মধ্যে তিনি দেখিয়ে গিয়েছেন প্রবল ইচ্ছাশক্তি আর প্রচেষ্টা থাকলে যেকোন বিপদ, বাঁধা বিপত্তি অতিক্রম করা সম্ভব । কার কাছে কি জানি না, কিন্তু আমার কাছে তিনিও নারী জাগরণের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়েই থাকবেন । আপনাকে শ্রদ্ধা ।