ইসলামে কি আসলেই জঙ্গিবাদের স্থান আছে? ইসলাম কি সত্যিকার অর্থেই সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে সমর্থন করে? মডারেটগণ মনে করেন ইসলাম কোনভাবেই সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে সমর্থন করে না। তারা দাবী করেন দ্বীনের নবী মোহাম্মদ একজন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ একজন মহানুভব, মানব হিতৈষী মহামানব। তার দ্বারা কোন সন্ত্রাসী কার্যক্রম সম্পাদন ও এ ধরনের কার্যে সমর্থন করা সম্ভব নয়। আর সন্ত্রাসের নির্দেশ দেয়া তো অলীক কল্পনা। মডারেটগনের ধারনার মতই সাধারণ মুসলমানগণ বিশ্বাস করেন মোহাম্মদ কোনভাবেই সন্ত্রাসের পক্ষে থাকতে পারেন না। তারা বিশ্বাস করেন মোহাম্মদ তার ২৩ বছরের নবুয়তী জীবনে যতগুলো যুদ্ধ করেছেন তা আল্লাহর নির্দেশে ইসলামকে প্রতিষ্ঠার স্বার্থেই করেছেন। তারা বিশ্বাস করেন এ যুদ্ধগুলো কোনভাবেই সন্ত্রাসের সাথে জড়িত নয়। আবার অনেকে মুসলমান মনে করেন, মোহাম্মদ জীবনে যতগুলো যুদ্ধ করেছেন তা তিনি নিজে আগ বাড়িয়ে শুরু করেননি, শত্রুপক্ষই তাকে আগে আক্রমন করেছে। মোহাম্মদ শুধু আত্মরক্ষার খাতিরে যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছেন। এই ভাবনার দলে মডারেটদের ভীড়টাই বেশি। আর নাস্তিকদের কথা নতুন করে বলার কিছু নাই। তাদের অধিকাংশই মনে করেন, মোহাম্মদ একজন শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম। মোহাম্মদ তার নবুয়তী জীবনে কোরানের দোহাই দিয়ে অগনিত যুদ্ধ সংগঠিত করেছেন, করেছেন লুটপাট, ধর্ষনের মত যুদ্ধাপরাধে দিয়েছেন নেতৃত্ব ও নির্দেশনা। জঙ্গিরা ইসলাম ও সন্ত্রাস নিয়ে কি ভাবে সে কথা বাদ, কারণ ওরা নিজেরাই সন্ত্রাসের সাথে জড়িত। ইসলাম সন্ত্রাসকে সমর্থন করুক বা না করুক, ওরা ওদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে বৈধতাই দিচ্ছে ইসলামের জন্য কোরান হাদীসের মাধ্যমে।

এই নিবন্ধে একতরফাভাবে ইসলামকে সন্ত্রাসের ধর্ম কিংবা কোরান হাদীসকে সন্ত্রাসের দলিল হিসেবে আখ্যা দেয়ার চেষ্টা করা হবে না। মডারেট মুসলমান, নাস্তিক ও জঙ্গিদের ইসলাম নিয়ে এমন ভাবনাগুলোর কারণ ও তাদের ধারনার পেছনে কোরান হাদীসের ভূমিকা নিয়ে তুলনামূলক আলোচনার চেষ্টা চালানো হবে।
প্রথমেই শুরু করতে চাই মডারেট মুসলমানদের সর্ববহুল ব্যবহৃত বক্তব্য ইসলাম শান্তির ধর্ম কিংবা ইসলাম শব্দের অর্থই শান্তি দিয়ে। মডারেটগণ দাবী করেন, ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম, এখানে খুন হত্যা দূরে থাক, অশান্তির কোন অবকাশ নেই। তারা দাবী করেন, ইসলাম শব্দের অর্থই শান্তি। এই দাবীর পেছনে কি কারণ আছে, তা নিয়ে নতুন করে আলোচনার কিছু নাই। মডারেটগণ সভ্য পৃথিবীতে নিজেদেরকে আবিষ্কার করেছেন মুসলমান হিসেবে। কিন্তু তারা ইসলাম ও এর অনুসারী জঙ্গিদের কারনে সভ্য সমাজে যার পর নাই লজ্জিত হচ্ছেন। তাদের মুসলমান রীতির নামের কারনে বলতে বাধ্য হচ্ছেন, মাই নেম ইয খান, হেন তেন। বাট আই এম নট এ টেররিস্ট। তারা না পারছেন ইসলামকে অস্বীকার করতে, না পারছেন সভ্য সমাজে গর্ব করে মুখ দেখাতে। এই হেতু, তারা দাবী করেন ইসলাম অর্থ শান্তি।
আসুন দেখা যাক, ইসলাম শব্দের প্রকৃত অর্থ কী আর এর ব্যুৎপত্তিই বা কিভাবে হলো, কোরান হাদীস কি বলে। ইসলাম শব্দের অর্থ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অক্সফোর্ড ডিকশনারীতে বলা হয়েছে, The religion of the Muslims, a monotheistic faith regarded as revealed through Muhammad as the Prophet of Allah. এখানে শান্তি নামক কোন শব্দ ব্যবহার করেনি তারা। আর ক্যামব্রিজ ডিকশনারীতে বলা হয়েছে, the Muslim religion, and the people and countries who believe in it. এরাও শান্তির ধারে কাছেও যায় নাই। Define: Islam লিখে গুগল করলেও ক্যামব্রিজের কথাটাই পাওয়া যায়। আর ইসলাম শব্দের ব্যুৎপত্তি অনুসন্ধান করলে দেখা যায়, ইসলাম শব্দটি এসেছে আসলামা থেকে যার অর্থ সমর্পন। অর্থাৎ স্রষ্টা বা আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পন। আপাত দৃষ্টিতে কারও কাছে নিজেকে সমর্পন করাটা শান্তির মনে হয়। এই সমর্পনের কারণে যার কাছে সমর্পন করা হয়েছে তার নির্দেশ মেনে নিয়ে যদি অন্যের মতের বিরুদ্ধাচরণ করতে হয় কিংবা অন্যকে হত্যার নির্দেশ পালন করতে হয়, তাহলে তা হয়ত মালিক আর সমর্পিত ব্যক্তির কাছে শান্তিময় হতে পারে, কিন্তু তৃতীয় ব্যক্তির কাছে তা শান্তিময় থাকে কি? এ ধরনের কান্ড শিল পাটার ঘষাঘষি মরিচের কাম সাড়ার মত নয় কি?

এবার দেখা যাক, ইসলাম শব্দটি নিয়ে কোরান কি বলে। কোরানের তিন নং সুরা আলে ইমরানের ১৯ ও ২০ নং আয়াতে ইসলাম শব্দটি ব্যবহার হয়েছে আত্মসমর্পন অর্থে। এই আয়াতদ্বয়ের বাংলা হলো,
৩;১৯- নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে প্রকৃত ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। আর যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছে জ্ঞান আসবার পরই তারা পরস্পর বিদ্বেষ বশত মতানৈক্য করেছে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বীকার করে, নিশ্চয়ই আল্লাহ হিসাব গ্রহণে দ্রুত।
৩;২০- যদি তারা তোমার সাথে বিতর্ক করে তাহলে তুমি বল, ‘আমি ও আমার অনুসারীরা আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করলাম’। এবং কিতাবপ্রাপ্ত ও নিরক্ষরদেরকে বল, ‘তোমরাও আত্মসমর্পণ (ইসলাম গ্রহণ করেছ) করেছ’? তখন যদি তারা আত্মসমর্পণ করে, তাহলে তারা অবশ্যই হেদায়েতপ্রাপ্ত। আর যদি ফিরে যায়, তাহলে তোমার দায়িত্ব কেবল পৌছে দেওয়া। আর আল্লাহ বান্দাদের ব্যাপারে সম্যক দ্রষ্টা।
আয়াতদ্বয়ে ইসলাম শব্দের অর্থ কোনভাবেই শান্তি শব্দটির কোন লেশ পাওয়া যায় কি?
আবার একই সুরার ৮৪ ও ৮৫ নং আয়াতে ইসলাম শব্দটি আছে সেই আত্মসমর্পন হিসেবেই। আয়াতদ্বয়ের অর্থ হলো,
৩;৮৪- বল, ‘আমরা ইমান এনেছি আল্লাহর প্রতি এবং যা নাজিল করা হয়েছে আমাদের উপর এবং যা নাজিল করা হয়েছে ইবরাহিম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকূব ও তাঁদের সন্তানদেও উপর। আর তাঁদের রবের পক্ষ থেকে যা কিছু প্রদান করা হয়েছে মূসা, ঈসা ও অন্যান্য নবিকে। আমরা তাঁদের কারো মাঝে পার্থক্য করি না এবং আমরা তাঁরই প্রতি আত্মসমপর্ণকারী’।
৩;৮৫- আর যে ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো দীন চায়, তার কাছ থেকে তা কখনো গ্রহণ করা হবে না এবং সে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্থদের অর্ন্তভূক্ত হবে।
সুরা আলে ইমরানের আলোচিত চারটি আয়াতে ইসলাম শব্দের অর্থ শান্তি তো কোরানও দাবী করেনি। তাহলে মডারেটগনের দাবী ইসলাম শব্দের অর্থ শান্তি কোরান দ্বারা কিভাবে নিরুপণ করা যায়?
বলা হয়, শানে নুযুল অর্থাৎ সুরা কিংবা আয়াত নাজিলের প্রেক্ষাপট না জানলে সেই সুরা কিংবা আয়াতের মর্মার্থ বোঝা মুশকিল হয়ে পড়ে। তাহলে, সুরা আলে ইমরানের শানে নুযূল কী তা দেখি।
শানে নুযূল অনুসন্ধান করলে দেখা যায়, এই সুরাটি নাজিলের সময় বদর যুদ্ধের পর থেকে শুরু করে ওহুদ যুদ্ধের পর পর্যন্ত। তাফসীর কারকদের মতে এই সুরা নাজিলের মূল কারণ হলো চারটি, ১- বদর যুদ্ধের পর কোরাইশ এবং অন্যান্য বিরুধীপক্ষ দ্বারা মুসলমানদের উপর আক্রমনের আশংকা বেড়ে যাওয়ায় মুসলমানদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য, ২- বনু কাইনুকে গোত্রকে মদীনা থেকে বিতারিত করার পর এই আক্রমনের জোটে ইহুদীদের যোগ দেবার সম্ভাবনা স্পষ্ট হয়ে পড়ে। মুসলমানদের ভেতরে আতংক বেড়ে যেতে থাকে এমনকি মোহাম্মদের জীবনও হুমকীতে পড়ে যায়। ফলে মোহাম্মদকে রাতের বেলাতেও নিরাপত্তা দেবার ব্যবস্থা করা হয়। মুযাহির মুসলমানদের মনোবল বৃদ্ধি এবং তাদেরকে শুধু আল্লাহর কাছেই আত্মসমর্পনের হেতু এই সূরা নাজিল হয়। ৩- ওহুদের যুদ্ধের সময় তিনশত মুনাফিক মুসলমান যুদ্ধে অংশগ্রহন না করে মদীনায় ফেরত চলে আসে। তাদেরকে সতর্ক করা এবং মুসলমানদের ঐ মনোবল শক্ত করার জন্য এ সূরার আবির্ভাব। ৪- ওহুদের যুদ্ধে পরাজয়ে মুসলমানদের ভেঙে যাওয়া মনোবল ফিরিয়ে ঈমান শক্ত করার জন্য তাদেরকে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পনের জন্য এই সূরা কিছু আয়াত নাজিল হয়।
এই সুরার শানে নুযূল পর্যালোচনা করলেও দেখা যায়, ইসলাম নামটি কোরানে ব্যবহার করার পেছনে শান্তি নয়, বরং যুদ্ধে অংশগহনের জন্য মুসলমানদের মনোবল বৃদ্ধি এবং আল্লাহর কাছে নিজেকে আত্মসমর্পনের নির্দেশ রয়েছে। আমরা সাধারণভাবে ধরে নিই যুদ্ধ হলো শান্তির বিপরীত শব্দ। সুরাটি যুদ্ধের প্রেক্ষিতে নাজিল হলেও, যদি তাতে যুদ্ধ বিরতির নির্দেশ থাকতো তাহলে মডারেটদের দাবী ইসলাম অর্থ শান্তি মেনে নেয়ার যথেষ্ঠ কারন পাওয়া যেত। উপরন্তু, যুদ্ধে অংশগ্রহনের জন্য মনোবল বৃদ্ধির হেতু ইসলাম অর্থাৎ আত্মসমর্পনকে শান্তি বলা যায় কি!
পরিপূর্ন দ্বীন হিসেবে ইসলাম এর নাম পাওয়া যায় কোরানের ৫ নং সূরা আল মায়েদার ৩ নং আয়াতে। এই আয়াতে কোন পশু খাওয়া যাবে আর কোন পশু খাওয়া যাবে না, তার নির্দেশনা দিয়ে এগুলো নিয়ামত দাবী করে বলা হয়েছে মুসলমানদের জন্য দ্বীনকে পরিপূর্ণ করা হয়েছে। বাংলা অর্থ-
৫;৩- তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত প্রাণী, রক্ত ও শূকরের গোশত এবং যা আল্লাহ ভিন অন্য কারো নামে যবেহ করা হয়েছে; গলা চিপে মারা জন্তু,‘ প্রহারে মরা জন্তু,‘ উঁচু থেকে পড়ে মরা জন্তু ‘ অন্য প্রাণীর শিঙের আঘাতে মরা জন্তু ‘ এবং যে জন্তুকে হিংস্র প্রাণী খেয়েছে- তবে যা তোমরা যবেহ করে নিয়েছ তা ছাড়া, আর যা মূর্তির পূঁজার বেদিতে বলি দেয়া হয়েছে এবং জুয়ার তীর দ্বারা বণ্টন করা হয়, এগুলো গুনাহ। যারা কুফরী করেছে, আজ তারা তোমাদের দীনের ব্যাপারেও হতাশ হয়ে পড়েছে। সুতরাং তোমরা তাদেরকে ভয় করো না, বরং আমাকে ভয় কর। আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীনকে পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের উপর আমার নিয়ামত সম্পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের জন্য দীন হিসেবে পছন্দ করলাম ইসলামকে। তবে যে তীব্র ক্ষুধায় বাধ্য হবে, কোন পাপের প্রতি ঝুঁকে নয় (তাকে ক্ষমা করা হবে), নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
এই আয়াতটিতে ইসলাম শব্দের অর্থ শান্তি বা এ রকম কোন আভাস পাওয়া যায় কি!

এরপর কোরানের ৬ নং সূরার ১২৫ নং, ৩৯ নং সূরার ২২ নং এবং ৬১ নং সূরার ৭ নং আয়াতে ইসলাম শব্দটি পাওয়া যায়। দেখা যাক আয়াতগুলোর বাংলা অর্থ ও শানে নুযূল –
৬.১২৫ সুতরাং যাকে আল্লাহ হিদায়াত করতে চান, ইসলামের জন্য তার বুক উন্মুক্ত করে দেন। আর যাকে ভ্রষ্ট করতে চান, তার বুক সঙ্কীর্ণ-সঙ্কুচিত করে দেন, যেন সে আসমানে আরোহণ করছে। এমনিভাবে আল্লাহ অকল্যাণ দেন তাদের উপর, যারা ঈমান আনে না।
শানে নুযূলঃ ইবনে আব্বাসের বর্ণনা মতে এ সম্পূর্ণ সূরাটি একই সাথে মক্কায় নাযিল হয়েছিল, তবে মদীনায় হিজরতের আগ মুহুর্তে। অন্যান্য মাক্কী সূরার মত এই সূরাতেও কাফেরদেরকে ভয় দেখানো আর মুসলমানদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য আয়াত নাজিল হয়।
৩৯.২২ আল্লাহ ইসলামের জন্য যার বক্ষ খুলে দিয়েছেন ফলে সে তার রবের পক্ষ থেকে নূরের উপর রয়েছে, (সে কি তার সমান, যে এরূপ নয়?) অতএব ধ্বংস সে লোকদের জন্য যাদের হৃদয় কঠিন হয়ে গেছে আল্লাহর স্মরণ থেকে। তারা স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে নিপতিত।
শানে নুযূলঃ হযরত জাফর ইবনে আবী তালেব ও তার সংগী সাথীগণ হাবশায় হিজরতের সংকল্প করলে তাদের সম্পর্কে এ আয়াত নাযিল হয়েছিল। তাদের মনোবল বৃদ্ধিকল্পে এই সূরা নাযিল হয়েছে বলে একাধিক তাফসীরকারক একমত হয়েছেন।
৬১.৭ সেই ব্যক্তির চেয়ে অধিক যালিম আর কে? যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা রচনা করে, অথচ তাকে ইসলামের দিকে আহবান করা হয়। আর আল্লাহ যালিম সম্প্রদায়কে হিদায়াত করেন না।
শানে নুযূলঃ কোন নির্ভরযোগ্য বর্ণনা থেকে এর নাযিল হওয়ার সময়-কাল জানা যায় না। কিন্তু এর বিষয়বস্তু নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করলে অনুমান করা যায় যে, সূরাটি সম্ভবত ওহোদ যুদ্ধের সমসাময়িককালে নাযিল হয়ে থাকবে। কারণ এর মধ্যে যেসব পরিবেশ-পরিস্থিতির প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। তা সেই সময়ের সাথেই সংশ্লিষ্ট। তাফসীরকারকদের মতে এ সূরার বিষয়বস্তু হলো ঈমানের ব্যাপারে মুসলমানদেরকে নিষ্ঠা ঐকান্তিকতা অবলম্বন এবং আল্লাহর পথে জীবন কুরবানী করতে উদ্ধুদ্ধ করা। সমস্ত ঈমানদারদের এই মর্মে সাবধান করা হয়েছে যে, যারা বলে এক কথা কিন্তু করে অন্য রকম কাজ, তারা আল্লাহ তা’আলার দৃষ্টিতে অত্যন্ত ঘৃণিত। আর যারা ন্যায়ের পথে লড়াই করার জন্য মজবুত প্রাচীরের মত দুর্ভেদ্য হয়ে দাঁড়ায় আল্লাহ তা’আলার নিকট তারা অত্যন্ত প্রিয়। এরাই ইসলামের অন্তর্ভুক্ত।
উপরোক্ত বিষয়গুলি যদি হয় কোরানে ইসলাম শব্দটি ব্যবহারের কারণ, তাহলে ইসলাম শব্দের অর্থ শান্তি কথাটির সত্যতা কতটুকু যুক্তিযুক্ত? মডারেট মুসলমানগণ কিসের ভিত্তিতে ইসলাম শব্দের অর্থটা শান্তি হিসেবে প্রচার করেন !!

(আগামি পর্বে জংগিবাদ সম্পর্কে কোরানের আয়াতগুলো নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করা হবে)