শিরোনামে দুইটি ছবির কথা বলেছি যা অনলাইনে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে সাম্প্রতিক সময়ে ভাইরাল হয়ে উঠেছিলো। আমি এই লেখায় ছবি দুটি ব্যবহার করতে চাইনা।

একদিকে এই দুটি ছবি যেমন হাজার শেয়ার হয়ে ভাইরাল হয়ে উঠেছে, তেমনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষ এই ছবি দুটির তীব্র সমালোচনাও করেছেন। কোনও কোনও তাত্ত্বিক ব্লগার বলছেন – এই ছবি প্রচার করার পর ভারতীয় ও বৈশ্বিক মিডিয়া তা লুফে নিয়েছে এবং তা “ভাইরাল” করে দিয়েছে সারা দুনিয়াতে। যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ছবিগুলান না ছড়ানো হতো, তাহলে নাকি এই সব বিষয় ওই মিডিয়া পর্যন্ত পৌঁছুত না।

এই ব্লগার-তাত্ত্বিকদের একজন লিখেছেন এভাবে –

“এই গ্লোবাল দুনিয়ার গ্লোবাল মিডিয়ায় একটা ধারনা, ডিসকোরস, প্রোপাগান্ডা অথবা অনলাইন মিম আসলে শক্তিশালী হয় সকল পক্ষের প্রচারনা আর প্রচেস্টাতেই।“সহী ইসলামের” একটি গ্লোবাল ডিসকোর্স তৈরীতে যেমন ইসলামিস্ট সেকুলারিস্ট সকল পক্ষের লোকজন ভুমিকা রেখে যাচ্ছেন তেমন”।

যাক অবশেষে বাঙ্গালী ব্লগ তাত্ত্বিকেরা “ভাইরাল” শব্দটা শিখে উঠতে শুরু করেছেন, কিন্তু “ভাইরাস” শব্দটিতে তাদের যাবতীয় আপত্তি। “মিম” শব্দটা শিখে উঠতে শুরু করেছেন, যদিও তারা মনে করেন “মিম” একটি “কাল্পনিক” বিষয়। তবুও অন্তত শব্দ গুলো শিখে উঠছেন, এটা ভালো লক্ষন।

উপরের কোটেশনটিতে ভারী ভারী শব্দ আছে, কিন্তু মোদ্দা কথাটা সহজ এবং সত্যি। তা হচ্ছে এই দুনিয়ায় যেকোনো ধারনাকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে আধুনিক মিডিয়ার ভুমিকার কথা। এইটা নিয়ে আমেরিকার চমস্কি মহাশয় ব্যাপক কালি খরচ করেছেন এবং একটু অনুসন্ধিৎসু মানুষ মাত্রই জানেন মিডিয়ার এই ভুমিকাটা মিথ্যা না। এটা বাস্তব, মিডিয়া প্রায়শই সত্যকে মিথ্যা এবং মিথ্যাকে সত্য হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। সুতরাং এই তাত্ত্বিক বলছেন – মিডিয়ার হাতে এমন কিছু তুলে দেয়া উচিৎ নয় যা মুহূর্তের মাঝে ভাইরাল হয়ে উঠতে পারে। বেশ বেশ, দারুন ভালো কথা কোনও সন্দেহ নেই।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে, এই তাত্তিক ব্লগার যে বিষয়টি চেপে গেছেন অথবা বিষয়টি তাঁর মগজে খেলেনি, তাহলো – তাসকিনের হাতে ধোনীর মুন্ডু ধরিয়ে দেয়া কিম্বা ভিরাট কোহলির হাতে ধরে রাখা তাঁর পাঁচটা কুকুরের মাথায় মাশরাফী সহ আরো চারজন বাংলাদেশী ক্রিকেটারের মুন্ডু লাগিয়ে দেয়া কি কেবলই দুচারজন বিকৃত মস্তিস্ক মানুষের কাজ? আর যারা এই ছবি গুলো অনলাইনে ভাইরাল করলেন তারা কি সকলেই বুদ্ধিহীন বিকৃত মানসিকতার মানুষ? যদি আমাদের বিচারবোধ এর ধরণ – “ধরি মাছ না ছুই পানি” টাইপের হয়, তাহলে এটা হয়তো ঠিক, এই ধরনের আজেবাজে ছবি ফোটশপ করাটা এবং তা ছড়িয়ে দেয়াটা কেবলই কিছু ব্যক্তি মানুষের বদমাইশি। কিন্তু মাথাটা আরেকটু খাটালে এই ধরনের প্রবনতার পেছনের কারণটি কে খুজে পাওয়া যেতে পারে। তাসকিনের হাতে ধোনীর মুন্ডু বা কোহলির কুকুরের ঘাড়ে মাশরাফির মুন্ডু বসানোর আদর্শিক ধারনাটির নাম “জাতিয়তাবাদ”। কিছু মানুষের বিকৃতির কথা বলে হয়তো “জাতিয়তাবাদ” নামের আসল ভুতটিকে চেপে যাওয়া যায়, কিন্তু সত্যটিকে মেরে ফেলা যায়না।

যদি আমাদের বিচারবোধ এর ধরণ – “ধরি মাছ না ছুই পানি” টাইপের হয়, তাহলে এটা হয়তো ঠিক, এই ধরনের আজেবাজে ছবি ফোটশপ করাটা এবং তা ছড়িয়ে দেয়াটা কেবলই কিছু ব্যক্তি মানুষের বদমাইশি। কিন্তু মাথাটা আরেকটু খাটালে এই ধরনের প্রবনতার পেছনের কারণটি কে খুজে পাওয়া যেতে পারে। তাসকিনের হাতে ধোনীর মুন্ডু বা কোহলির কুকুরের ঘাড়ে মাশরাফির মুন্ডু বসানোর আদর্শিক ধারনাটির নাম “জাতিয়তাবাদ”। কিছু মানুষের বিকৃতির কথা বলে হয়তো “জাতিয়তাবাদ” নামের আসল ভুতটিকে চেপে যাওয়া যায়, কিন্তু সত্যটিকে মেরে ফেলা যায়না।

উপরে যে তাত্ত্বিক ভদ্রলোকের লেখা উল্লেখ করেছি, সেই একই ভদ্রলোক ড অভিজিৎ রায়কে – প্রশ্ন করেছিলেন, তাহলে কি জাতীয়তাবাদও ভাইরাস হয়ে উঠতে পারে? কারন জাতিয়তাবাদ ও তো একটা বিশ্বাস। জাতিয়তাবাদ যে ভাইরাস হয়ে উঠতে পারে তার সবচাইতে উপযুক্ত উদাহরন হচ্ছে এই মুন্ডুপাতের ছবি সমুহ।

বিশ্বাস বা আদর্শ কখন ভাইরাস হয়ে ওঠে? ভাইরাস মেটাফোরটির উপযুক্ততা বা যথার্থতা হচ্ছে – ভাইরাস যখন কোনও কোষ বা হোস্ট এর ভেতরে বসবাস (সংক্রমন) শুরু করে, তা তখন সেই হোস্ট বা আশ্রয়দাতার ভাইটাল মেকানিজম বা মৌলিক কার্যপদ্ধতিকে ধংস করে দেয় এবং ভাইরাসের নিজের নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করে। যখন একটি কোষ বা হোস্টের নিজের স্বাভাবিক কার্যপদ্ধতি ধ্বংস হয়ে যায় তখন অবধারিত পরিনতি হয়ে ওঠে মৃত্যু। আর ভাইরাস একটি কোষ বা হোস্টকে ব্যবহার করে ভাইরাসের প্রজননের আধার হিসাবে যেনো আরো লক্ষ লক্ষ কোষ বা হোস্ট কে সে সংক্রমিত করতে পারে। ঠিক যেভাবে বিশ্বাস লক্ষ লক্ষ মগজকে সংক্রমিত করে খুব দ্রুততার সাথে।

যখন কোনও বিশ্বাস মানুষের স্বাভাবিক – প্রাকৃতিক বিবেচনাবোধ কে ধংস করে দিয়ে তার স্থানে সেই বিশ্বাসের নিজস্ব “বিবেচনাবোধ” কে মানুষের মগজে বসিয়ে দেয় আর তা যখন সেই মানুষ বা তাঁর স্বজাতির ধ্বংস ডেকে আনে তখন সেই আদর্শটি বা বিশ্বাসটি হয়ে ওঠে ভাইরাসের মতই। তাসকিনের হাতে ধোনীর মুন্ডু বা কোহলির কুকুরের ঘাড়ে মাশরাফির মাথা হচ্ছে জাতিয়তাবাদ নামের ভাইরাস এর সংক্রমিত মগজের প্রকাশ যা জাতিতে জাতিতে ঘৃণা জাগিয়ে তোলে, এক জাতির উপরে আরেক জাতির শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষনা করে, অন্য জাতির প্রতি অবমাননা কে উস্কে দেয়। এই সকল কিছুই একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের নিজস্ব বিবেচনাবোধ প্রসুত নয়, বরং একজন সুস্থ – স্বাভাবিক মানুষের বিবেচনাবোধ কে ধ্বংস করেই এই ধরনের ঘৃণাসূচক ধারনাকে গেঁথে দেয়া হয়। এভাবেই জাতিয়তাবাদ কিম্বা আরো অনেক রাজনৈতিক, ধর্মীয়, আঞ্চলিক বিশ্বাস ভাইরাস হয়ে উঠতে পারে।

তাসকিনের হাতে ধোনীর মুন্ডু বা কোহলির কুকুরের ঘাড়ে মাশরাফির মাথা হচ্ছে জাতিয়তাবাদ নামের ভাইরাস এর সংক্রমিত মগজের প্রকাশ যা জাতিতে জাতিতে ঘৃণা জাগিয়ে তোলে, এক জাতির উপরে আরেক জাতির শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষনা করে, অন্য জাতির প্রতি অবমাননা কে উস্কে দেয়। এই সকল কিছুই একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের নিজস্ব বিবেচনাবোধ প্রসুত নয়, বরং একজন সুস্থ – স্বাভাবিক মানুষের বিবেচনাবোধ কে ধ্বংস করেই এই ধরনের ঘৃণাসূচক ধারনাকে গেঁথে দেয়া হয়। এভাবেই জাতিয়তাবাদ কিম্বা আরো অনেক রাজনৈতিক, ধর্মীয়, আঞ্চলিক বিশ্বাস ভাইরাস হয়ে উঠতে পারে।


তাহলে জাতিয়তাবাদ কি ভাইরাস? পৃথিবীতে এই যে জাতিয়তাবাদের চেতনায় এতো খুনাখুনি হয়ে গেলো, এতো এতো জাতি রাষ্ট্র তৈরি হয়ে গেলো এই সকল কি তাহলে ভাইরাসের মহামারী? উপরে উল্লেখিত তাত্ত্বিক এভাবেই প্রশ্ন করেছিলেন ড অভিজিৎ রায়কে। প্রশ্নটির মাঝে এক ধরনের ফ্যালাসী আছে, এক ধরনের বাঙ্গালী বুদ্ধিবৃত্তিক চালাকি আছে। কিভাবে বলছি –

ধরুন বাংলাদেশের সৃষ্টিতে জাতিয়তাবাদের ভুমিকার কথা। বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র গঠিত হবার সংগ্রামটি কি কেবলই একটা আলাদা দেশ হবার সংগ্রাম ছিলো নাকি আসলে এটি ছিলো বাঙ্গালী ও বাংলাদেশের উপরে পাকিস্থানী শাসক গোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধের সংগ্রাম? শেখ মুজিব কি নিরেট কিছু খুনোখুনী করার জন্যেই জাতিয়তাবাদ কে ব্যবহার করেছিলেন নাকি বাঙ্গালী জাতিকে তাদের দাবীর সপক্ষে, পাকিস্থানী শোষণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করতে চেয়েছিলেন? আমাদের মুক্তিযুদ্ধটি কি আসলে শেখ মুজিব, তাজুদ্দিন আহমদ দের মত কিছু উচ্চাভিলাষী জাতিয়তাবাদী নেতার “খুনাখুনীর” খেলা ছিলো নাকি এটা বাঙ্গালীর অন্তত পক্ষে তিন দশকের সাংস্কৃতিক – রাজনৈতিক অধিকার লাভের সংগ্রাম ছিলো? একাত্তরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ যুদ্ধ ছিলো তাকি পাকিস্থানী জনগনকে খুন করার জন্যে ছিলো নাকি নিজেদের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম ছিলো? সুতরাং পৃথিবীর বিভিন্ন জাতির মাঝে বিদ্যমান বঞ্চনার বিরুদ্ধে অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে বা স্বাধিকার আদায়ের সংগ্রাম কে “খুনোখুনী” বলে এক ধরনের ফ্যালাসী তৈরী করা যায় এবং তা দিয়ে বিশ্বাসের ভাইরাস বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করা যায়। কিন্তু মানুষের স্বাধীনতার আন্দোলন নিছক খুনোখুনী নয়, মৃত্যু সেখানে একটা দুর্ভাগ্যজনক ফলাফল কিন্তু বৃহত্তর মানুষের মুক্তি সেখানে মুখ্য। জাতীয়তাবাদ সন্দেহাতীত ভাবে মহান যতক্ষণ তা মানুষের নৈতিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামে ব্যবহৃত হয় বা জতিগত বঞ্চনার বিরুদ্ধে জাতীয় মুক্তির কথা বলে। আবার এই জাতীয়তাবাদই পাকিস্থানীদের শেখায় ভারতীয়দের ঘৃণা করতে, বাংলাদেশিদের শেখায় পাকিস্থানীদের ঘৃণা করতে আর ভারতীয়দের শেখায় পাকিস্থানীদের ঘৃণা করতে। জাতীয়তাবাদ যখন ঘৃণার কারখানা হয়ে ওঠে, তখন তা মানুষের স্বাভাবিক বিবেচনাবোধ কে ধ্বংস করে দেয়। যদিও মুম্বাইয়ের একজন ঠ্যালাগাড়ী চালক, লাহোরের একজন রিক্সা চালক কিম্বা ঢাকার একজন রিক্সা চালক এর জীবন সংগ্রাম আক্ষরিক অর্থেই এক এবং তাদের মুক্তির প্রশ্নটিও অভিন্ন, কিন্তু জাতীয়তাবাদ এদের শেখায় পরস্পরকে ঘৃণা করতে। জাতিয়তাবাদের এই স্বরূপটি তাই গভীর বিশ্লেষণে বিশ্বাসের ভাইরাস ধারনাটিকেই সমর্থন করে।

আবার এই জাতীয়তাবাদই পাকিস্থানীদের শেখায় ভারতীয়দের ঘৃণা করতে, বাংলাদেশিদের শেখায় পাকিস্থানীদের ঘৃণা করতে আর ভারতীয়দের শেখায় পাকিস্থানীদের ঘৃণা করতে। জাতীয়তাবাদ যখন ঘৃণার কারখানা হয়ে ওঠে, তখন তা মানুষের স্বাভাবিক বিবেচনাবোধ কে ধ্বংস করে দেয়। যদিও মুম্বাইয়ের একজন ঠ্যালাগাড়ী চালক, লাহোরের একজন রিক্সা চালক কিম্বা ঢাকার একজন রিক্সা চালক এর জীবন সংগ্রাম আক্ষরিক অর্থেই এক এবং তাদের মুক্তির প্রশ্নটিও অভিন্ন, কিন্তু জাতীয়তাবাদ এদের শেখায় পরস্পরকে ঘৃণা করতে। জাতিয়তাবাদের এই স্বরূপটি তাই গভীর বিশ্লেষণে বিশ্বাসের ভাইরাস ধারনাটিকেই সমর্থন করে।


আমার ধারনা, বোলার তাসকিন ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনীকে ঘৃণা করেন না, তাসকিন একজন বোলার, ধোনী হয়তো তার আদর্শ ক্রিকেটার নন, কিন্তু একজন ক্রিকেটার হিসাবে ধোনী যেকোনো তরুন ক্রিকেটারের শ্রদ্ধার পাত্র। তাসকিন বা যেকোনো ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনীর কাছ থেকে শিখতে পারেন। একই ভাবে ভিরাট কোহলীর কাছে সদ্য কৈশোর পেরুনো মুস্তাফিজের প্রতি এক ধরনের সমীহ নিশ্চয়ই আছে। কিম্বা আমার ধারনা যদি সত্যিই ভুল হয়, যদি তাসকিন – ধোনী – কোহলী – মুস্তাফিজ এরা সবাই পরস্পরকে ঘৃণা করেন, তার মুল কারন টি কি ক্রিকেট? নাকি বাংলাদেশী ক্রিকেটার বনাম ভারতীয় ক্রিকেটার? এখানে ক্রিকেট না জাতীয়তাবাদ কোনটি ঘৃণার উৎস? একজন বাংলাদেশী ক্রিকেটার কি খুব স্বাভাবিক ভাবেই একজন অস্ট্রেলিয়ান বা সাউথ আফ্রিকান ক্রিকেটারকে ঘৃণা করেন ? তাহলে বাংলাদেশ -ভারত বা ভারত – পাকিস্তানের মাঝে এই ধরনের ঘৃণার উৎস কি ?


বিশ্বাস কত বিচিত্র ভাবে মানুষের বিবেচনাবোধ কে ধ্বংস করে তার একটা ক্ষুদ্র উদাহরন হচ্ছে এই ঘৃণাসূচক ছবি গুলো। উপরের কোটেশনে উল্লেখিত তাত্ত্বিক ব্লগার লিখেছেন “অনলাইন মিম” এর কথা। “মিম” প্রসঙ্গে আজকের এই লেখায় আলোচনা করলাম না। কিন্তু ভারত – পাকিস্থান – বাংলাদেশে এই তিনটি দেশের মধ্যে যে বিদ্যমান জাতিগত ঘৃণা তা গড়ে উঠেছে বিগত চার বা পাচ দশক ধরে। এই সকল স্থায়ী ঘৃণা সাধারন জনগনের জন্যে কোনও পজিটিভ পরিবর্তন নিয়ে আসেনি, এগুলো কেবলই সাহায্য করেছে শোষক – শাসক শ্রেনীকে তাদের ক্ষমতার লড়াইয়ে জয়ী হবার জন্যে। এই সকল স্থায়ী ঘৃণার পেছনে রয়েছে শাসক গোষ্ঠীর অতি যত্নে গড়ে তোলা কিছু সফল “মিম”। পরবর্তী একটি লেখায় আলোচনা করবো একটি “মীম” কিভাবে সফল হয়ে ওঠে।