সযতন অচেতনে, সমর্পনে, নেশাখোরের মতই,
ভেবেছিলাম, ভেবেছিলাম আহ, এই তো জীবন,
এই আছে, সেই আছে, আশপাশে সব আছে,
আর কি চাই? চাইবার বল কি’বা আছে আর?
অথচ; আজকাল ছায়ামত কত কিছু ছুঁতে চায়,
বেশ করে ভাবায়, ধারালো নস্টালজিক তীব্রতায়।

হতে পারে,

আজকে না’হয় পেরিয়েছে বেশ কিছুকাল
কিন্তু সমর্পণ? বুকে হাত রেখে বল,
এখনো একা রাত জাগা,
ঐচ্ছিক এক দুঃখবিলাস,
সকালের আলোতে আবার সমর্পণ!

যে সময়টা খামোখাই শুন্যতা চাইতাম,
যে সময়টাতে মনোযোগ চাইতাম শুধুশুধু,
মিথ্যে বলবো না, অদ্ভুত ভালোলাগা ছিল তখন,
শুধু চাইতাম, কেউ জানুক, দেখুক কেউ, আমায়।

অনেক দিন পর।

দেখানো ভাবখানা আর থাকলো না,
বাঁকা ঠোঁটে স্পষ্ট উপলব্ধি, দেখলাম,
সবাই আশেপাশে থাকলেও, আমি,
আমার আমি; সত্যিই একা হলাম।

ছেঁদো হয়ে যাওয়া কুয়াশায়,
চোঁয়ানো আলোয় পথ খুঁজলাম ,
তীব্র বেদনাকে উপেক্ষা করে,
এলোমেলো এগুলাম, পার্থিব ছন্দের আশায়।

তারপর,
আবার,
অনিচ্ছায়,
একা,
সাথী আমার একা রাতের তারা,
এবং; এর’ই মাঝে,প্রিয় বিস্তার।