থাবা বাবার (রাজীব হায়দার) সাথে আমার একটা ব্যাপারে অনেকক্ষণ ডিবেট হয়েছিল। সঠিক সময়টা আমার মনে নেই, তবে সম্ভবত শাহবাগ আন্দোলন শুরু হবার বেশ কয়েক মাস আগের ঘটনা। আর্গুমেন্ট হয়েছিল ফ্রিডম অফ স্পিচের সীমারেখা নিয়ে।

যেকোন বিষয়ে সমালোচনামূলক বক্তব্য প্রকাশ করার অধিকার আছে প্রতিটা মানুষের; সেটা প্রবন্ধ, কবিতা, গান, সিনেমা, গল্প, স্যাটায়ার, পেইন্টিংস বা কার্টুন ইত্যাদি যে মাধ্যমেই হোক না কেনও। এইটাই ফ্রিডম অফ স্পিচ। অনুভূতির কোনও সুনির্দিষ্ট মানদন্ড নেই যে ঠিক করা যাবে কোনটা কথাটা বলা যাবে আর কোনটা বলা যাবে না। তার চেয়ে বড় কথা, সমালোচনা করতে গেলে কারো না কারো অনুভূতিতে আঘাত লাগবেই সবসময়। আমরা যখন পুলিশের সমালোচনা করি তখন পুলিশের খারাপ লাগে, ডাক্তারদের খারাপ লাগে যখন আমরা নন-ডাক্তাররা পচাই। কারও অনুভূতিতে আঘাত না করে পৃথিবীতে কখনোই নতুন কিছু হয়নি, হওয়া সম্ভব না। শেখ মুজিব যখন পাকিস্তানকে দুই টুকরা করে দিয়েছিলেন রাজাকারদের অনুভূতিতে আঘাত কেমন লেগেছিল একবার ভাবুন।

‘ফ্রিডম অফ স্পিচ’ বোঝাতে এইসব বক্তব্য প্রায় সবারই জানা এবং সেদিন রাজীব হায়দারের মতামতও ছিল অনেকটা এমনই। অর্থাৎ তিনি যে স্যাটায়ারগুলো লিখেছেন সেটা লেখার তার পূর্ণ অধিকার আছে এবং ভবিষ্যতে আরও লিখবেন। আর আমার আপত্তি ছিল, বুঝলাম লেখার অধিকার আছে কিন্তু এর পাশাপাশি অধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রটাও তো বুঝতে হবে। অধিকার থাকলেই সবখানে তা প্রয়োগ করা যায় কি? কর্তব্য করার পরই তো অধিকার পাবার প্রশ্ন আসে। এক্ষেত্রে কর্তব্যটা হচ্ছে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা অনুভব করে সেলফ সেনসরশিপ আরোপ করা। কখন কোন কথা বলা যাবে কি যাবেনা, বলা উচিত কি না, জরুরি কি না সেটা বুঝতে গেলে খুব বেশী বুদ্ধিমত্তা লাগে না; শুধু অডিয়েন্সের সাইকোলজি বুঝলেই হয়।

ধর্ম ও সমাজের নানাবিধ কুসংস্কার নিয়ে যেসব স্কেপ্টিক-অজ্ঞেয়বাদি বা নাস্তিকরা বা প্রগতিশীলরা লেখালেখি করেন তাদের মোটিভ হচ্ছে মূলত দুইটাঃ

১/ মনের আনন্দঃ প্রতিটা লেখক মূলত তার নিজের ও তার নির্দিষ্ট ধরণের পাঠকের আত্মতৃপ্তির জন্য লিখেন। একটা লেখার পাঠক যে ইউনিভার্সাল হবে তা কিন্তু না। এমন হতে পারে কোনও নাস্তিক হয়ত আমজনতার উদ্দেশ্যে না, শুধু অন্য নাস্তিকদের পড়ার জন্যই লিখছেন। হতে পারে কোনও নাস্তিক ধর্ম নিয়ে সমালোচনা করেই মজা পান, নিজের মনের কষ্টগুলো লাঘব করেন; ঠিক যেমন কবি মজা পান কবিতা লিখে। যারা নিতান্তই মজা পাবার জন্য এবং সমমনাদের মজা দেয়ার জন্য আস্তিকতা-নাস্তিকতা নিয়ে লেখালেখি করেন তাদের উচিত পাসওয়ার্ড প্রটেক্টেড কমিউনিটি ব্লগ তৈরি করা। যেখানে কোনও আস্তিক ভুল করেও যেতে পারবে না, অর্থাৎ অনুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হবার অযুহাত ও তুলতে পারবে না। এতে করে যেটা হবে সেটা হল, যে আস্তিক জেনেবুঝে সেই সাইটে ঢুকবে তার অনুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হয়ও তবে সেটার দায়ভার যাবে সেই আস্তিকের নিজের উপরেই। পর্ন সাইটগুলোতে ঢুকতে গেলে যেমন আগে বলে নিতে হয় বয়স ১৮ এর বেশী। এইটা ঠিক যে, যার যার প্রোফাইল তার তার; সে তার প্রোফাইলে যা ইচ্ছা লিখতে পারে। কিন্তু এখানে যুক্তির একটা ফাঁক আছে। প্রোফাইল নিজস্ব হলেও পোস্টের প্রাইভেসি তো দেয়া থাকে “পাবলিক”। ব্যাপারটা এমন যে, নিজের বাসার বারান্দায় দাঁড়িয়ে রাস্তায় হেটে যাওয়া নাগরিকদের উদ্দেশ্যে যদি গালি দেয়াটা নিশ্চয়ই অধিকারের মাঝে পরেনা। একজন ডাক্তারের সমালোচনা করা এক জিনিশ আর তাকে কসাই বলা আরেক জিনিশ। এই উদাহরণ থেকে আপনাদের বোঝার কথা ফ্রিডম অফ স্পিচের উপর সেলফ সেন্সরশিপ বলতে ঠিক কি বোঝাতে চাচ্ছি।

২/ একটিভিজমঃ অনেকেই আছেন যারা মনে করেন লেখালেখির মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তন সম্ভব। অর্থাৎ লেখালেখির মাধ্যমে কালেক্টিভ রেজিস্ট্যান্স গড়তে চাচ্ছেন, বিরুদ্ধমতে যারা আছে তাদেরকে নিজের দলে টানতে চাচ্ছেন, জনমত গঠনের মাধ্যমে সমাজের আইন-কানুন পাল্টাতে চাচ্ছেন। যদি সত্যিই পরিবর্তন আনতে চান তবে অডিয়েন্সের সাইকোলজি বুঝে কথা বলতেই হবে। এইটাই দায়িত্বশীলতা। যারা নিজেকে এই এক্টিভিস্ট বলে মনে করেন এবং যদি মনে করেন সমাজ থেকে ধর্মান্ধতা-কুসংস্কার দূর করবেন তবে তাদেরকে এমন দায়িত্বশীল হতেই হবে। আর এই দায়িত্বশীলতা প্রকাশ পাবে কিভাবে? সবসময় রেফারেন্স হাতে নিয়ে কথা বলতে হবে, যুক্তি দিয়ে বক্তব্য পেশ করতে হবে, গালির বিপরীতেও গালি দেয়া যাবে না, অহেতুক উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়া যাবে না ইত্যাদি ইত্যাদি।

ধর্মের সমালোচনা যুক্তি দিয়েই করা যায়, সেটার জন্য ধর্মগ্রন্থের উপর চায়ের কাপ রেখে আড্ডা দেয়ার পর সেটা সবাইকে দেখাতে হয়না। আমার নিজের বুকসেলফে নিচের দিকে কোণায় অযত্নে-অবহেলায় অন্য দুইটা ধর্মের ধর্মগ্রন্থ পড়ে আছে। আমি কিভাবে সেগুলো রেখেছি তা তো কেউ দেখতে যাচ্ছেন না তথাপি সমস্যাও হচ্ছে না। কিন্তু তাই বলে আমি যদি সেগুলোর ছবি আপলোড করি সেই ধর্মগুলোর অনুসারীরা কষ্ট পাবে বৈকি। আবার এইগুলোর সাথে কিন্তু কোরান রাখিনি। কারণ মা, বাবা ধর্ম মানেন। কোরান এভাবে ফেলে রাখতে দেখলে তারা কষ্ট পাবেন। এই যে ভিন্ন আচরণ করেছি এইটা সন্তান হিসেবে দায়বদ্ধতা। এইটাকে অনেকে আপোষ করা ভাবতে পারেন। কিন্তু আপোষ করা মানেই যে সবসময় খারাপ সেটাই বা কে বলল?

“অভিজিৎ রায় খুন হওয়ার পর ইউ.কে থেকে একটা ইভেন্ট করা হয় ইভেন্টের নাম ‘নবী পু*ন সপ্তাহ’। আচ্ছা এই ইভেন্ট করে কয়জন মানুষকে ধর্মান্ধ থেকে দূর করা যাবে? কয়জন মানুষকে নাস্তিক করা যাবে? নাকি উল্টো কয়েক লক্ষ মানুষের ঘৃণাই শুধু অর্জন হবে? নাকি এই রাগের শোধ তুলবে দেশে অবস্থান করা নিরীহ কোন নাস্তিকদের কল্লার উপর দিয়ে?”

–প্রশ্ন রেখেছেন সুব্রত শুভ।

প্রতিটা সমাজে পরিবর্তন ধাপে ধাপে আসে। মার্কস বলেছিলেন বিপ্লব এমনিতে আসে না, ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হয়। লেলিন বলেছিলেন, বিপব করতে সবগুলো স্টেপ পার হতে হবে না, এক দুইটা স্টেপ জাম্প করে পার হওয়া সম্ভব। লেলিনের সেই বিপ্লবের ফলাফল আজ আমরা জানি।
অজানা অচেনা মেজর জিয়া কুমিল্লায় ড্রামের উপরে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা ‘দাবী’ করেছিল বলেই স্বাধীনতা আসেনি। মুজিবরা স্টেপ বাই স্টেপ আন্দোলন করেছিলেন। শুরুতেই দাবী দাওয়ার ঝাঁপি খুলেননি। পাকিস্তান পিরিয়ডের ২০ বছরের মাঝে ১৩ বছরই জেল খেটেছেন! আন্দোলনের মধ্য দিয়ে একটু একটু করে ক্ষমতা কেড়ে নিচ্ছিলেন পাকিস্তানীদের থেকে। ছয় দফা দিয়েছিলেন অনেক পরে ১৯৬৬ সালে এসে। ‘ধর্ম নিরপেক্ষতা’ শব্দদ্বয় শেখ মুজিব আওয়ামী লিগের ইশতেহারে ঢুকিয়েছিলেন ১৯৭০ সালে, দল গঠনের প্রায় ২০ বছর পর। শুরুতেই ধর্ম নিরপেক্ষতা নিয়ে হাজির হলে এই ভুখন্ডে শেখ মুজিব কখনও বঙ্গবন্ধু হতে পারতেন কিনা সেই সন্দেহ থেকেই যায়।

আমেরিকা বা ইউরোপে ফ্রিডম অফ স্পিচের জায়গাটা উন্মুক্ত। কিন্তু বাংলাদেশে? এখানে কিছু বললেই মুসলিম জঙ্গিরা এসে কোপায় আর সরকার গ্রেফতার করে সেই ১৮৬০ সালের আইনে। যে সমাজ ভালোবেসে নর-নারী প্রকাশ্যে হাত ধরে হাটলেও ছ্যা-ছ্যা করে সেই সমাজে সমকামীদের বিয়ের অধিকার দাবী করাটা অরণ্যে রোদন নয়কি? বাংলাদেশের মানুষের সাইকোলজি বুঝে কোন ব্যাপারগুলো নিয়ে আগে কথা বলা ও আন্দোলন করা উচিত সেটার প্রায়োরিটি লিস্ট বানানো কি খুব কঠিন? ইউরোপ বা আমেরিকা গত ৪০০ বছর ধরে মত প্রকাশের স্বাধীনতা আর নাগরিক অধিকার নিয়ে ফাইট করার পর আজকের এই জায়গাটায় এসেছে। আমাদের বাংলাদেশের সমাজ এখনো শতবর্ষ পিছিয়ে। বাংলাদেশকে আমেরিকা ভেবে কথা বলাটা ভুল নয়কি? নদীমাতৃক বাংলাদেশের বর্ষাকালে কেউ যদি ট্যাঙ্ক নামিয়ে যুদ্ধ করতে চায় তবে সেটা কতটা বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক? অথবা ক্লোজড কমব্যাটে পিস্তল না ব্যবহার করে মেশিনগান নিয়ে আসলে কি লাভ আছে কোনও? অর্থাৎ কোন জায়গাগুলোতে আগে কাজ করা দরকার বা বেশি ভয়েস রেইজ করা দরকার সেটা ভাবাটা গুরুত্বপূর্ণ।

রাজীব হায়দারের সাথে আমার দ্বিমতের সমাধান আসেনি সেদিন। উনি উনার মতেই স্থির ছিলেন, আমি আমারটায়। যাই হোক, শাহবাগের গণজাগরণের শুরুর পরপরই ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দুঃখজনকভাবে খুন হন রাজিব। এর পর “আমার দেশ” পত্রিকা উদ্দেশ্যমূলকভাবে রাজিবের কিছু লেখা ছেপে সবাইকে বোঝাতে সক্ষম হয় যে নাস্তিক মানেই ধর্মবিদ্বষী গালিবাজ ইত্যাদি ইত্যাদি।

“বাংলার সাধারণ জনগণ ভাবে নাস্তিক মানেই ধর্মবিদ্বেষী অথবা ইসলাম বিদ্বেষী। তারা এটা ভুলে যায় নাস্তিকতা কোন ধর্ম নয়। বা নাস্তিক কোন গোত্র নয় যে সবাই এক রকমভাবে তাদের নাস্তিকতা করে। বাংলাদেশে হাজারো মানুষ আছে যারা কোন কিছুতে বিশ্বাস করে না। কিন্তু এগুলো নিয়ে আলোচনা করতেও তারা আগ্রহী না। তাই নাস্তিক হলেই যে ধর্ম বিষয়ে বা সমালোচনায় আগ্রহী হবে এমনও না। আর নাস্তিক মানেই সব একগোত্রের তাও না। কারণ নাস্তিক আওয়ামীলীগারও হয়, নাস্তিক বামপন্থীরাও হয়, নাস্তিক বিএনপিও হয় আবার হেফাজতও হয়।…মানুষ তার নিজের ব্যক্তিগত দর্শনের আলোকে সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ করে তাই হয়তো অবিশ্বাসীদের সাথে অন্য বিশ্বাসীদের কিছুক্ষেত্রে বেশ মিল আছে। কিন্তু একজনের দায় আরেকজন অবশ্যই বহন করে না। কিন্তু বাংলার মুল্লুকে বেশি ভাগ মানুষ সবাইকে একই পাল্লায় বসিয়ে বিচার করে। সমস্যাটা এই খানেই। ফলে অনেকের কর্মকাণ্ডের প্রতি বিদ্বেষ ঘৃণা তারা হাতের কাছে পাওয়া কোন নাস্তিকদের উপর ঢেলে দেয়। তাই আমি নিরাপদ জায়গায় আছি কিন্তু এর মানে এই না আমি এমন কিছু করব যার জন্য দেশের অনিরাপদে থাকা আরো বিশজন মানুষ মৃত্যু ঝুকিতে পরে। আমি জানি অসংখ্য মানুষ দেশ ছাড়তে চাচ্ছে, অসংখ্য মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অফিসে যায়। এই অফিসে যাওয়ার পথেই কিন্তু খুন হলেন অনন্ত বিজয় দাশ, খুন হলেন ওয়াশিকুর বাবু! অনেকের সাথেই কথা হয় যারা নিজের আসল ফেসবুক আইডিটা অফ করে দিয়েছেন। মুক্তমনা ব্লগেও লেখালেখি বন্ধ করে দিয়েছেন। দুইটি বছর আমি দেশে ছিলাম। আমি জানি কীভাবে আমাকে থাকতে হয়েছে। পেটের তাগিদে এক পরিচিত ব্যক্তির অফিসে চাকরিও করতে হয়েছে। সেখানেও সর্বক্ষণ নিজেকে আড়াল করে রাখতাম। তাই কেউ যখন বলে ভাই বৌ ছেলে আছে তাই আইডি অফ করে দিয়েছি। তখন উপলব্ধি করতে পারি কতোটা ভয়ে তারা চলাফেরা করছে। অনলাইনের কিছু নাস্তিকদের কর্মকাণ্ডের কারণেই আসলে নাস্তিকরা মানুষ থেকে দূরে সরে গেছে। এই দূরে সরে যাওয়াটা অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই মাঝে মধ্যে প্রশ্ন জাগে আসলে যৌক্তিক শালীন লেখালেখি বাদ দিয়ে কিছু নাস্তিক এসব অশ্লিত অসভ্য কর্মকাণ্ড করে আসলে কী উদ্ধার করতে চাচ্ছে।”

হুমায়ূন আজাদ, অভিজিৎ রায় আর অনন্ত বিজয় দাসকে আমি রাজীব আর ওয়াশিকুরের চাইতে আলাদা এবং সুপিরয়র বিবেচনা করি। এর কারণ হচ্ছে আজাদ, অভিজিৎ আর অনন্তর লেখার পদ্ধতি ছিল পুরোপুরি একাডেমিক। রেফারেন্স আর যুক্তি দিয়ে তারা সমাজ, সভ্যতা ধর্ম রাজনীতি কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। অভিজিৎ আর অনন্ত গালাগাল না করার পরও মুসলিম জঙ্গিদের হাতে খুন হয়েছেন ঠিকই, তবে তারা কিন্তু শ্রদ্ধার জায়গাটা মৃত্যুর পরও ধরে রাখতে পেরেছেন। মানুষ হিসেবে এইটাই তো সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। মৃত্যুতেও তারা মহীয়ান।

শেষ করছি সুব্রত শুভর আরেকটা প্রশ্ন দিয়ে ,

কীভাবে আমরা সমাজটাকে ধর্মান্ধতা মুক্ত করতে পারি?
ক) ধার্মিকদের গালাগালি করে?
খ) ধার্মিকদের পবিত্র জিনিসগুলোকে অশ্রদ্ধা করে?
গ) ধার্মিকদের সাথে মিশে এবং যৌক্তিক আলোচনার মাধ্যমে তাদেরকে সবকিছু বোঝানোর মাধ্যমে?
ঘ) শিক্ষা ব্যবস্থায় সংস্কার ও বিজ্ঞানমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে?

উত্তর কোন দুইটা হবে তা বুঝতে গেলে ‘রকেট সায়েন্টিস্ট’ হবার প্রয়োজন পরে না।
গালাগালি করে কখনও কি গলাগলি হয়?