সমকামীদের বিয়ের পক্ষে কথা বলেছেন, তো সেরেছে। বেশ কিছু কমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে। সেই প্রশ্নগুলো এবং সেগুলোর সহজ “বাংলা” উত্তর নিয়ে একটা পোস্ট লেখার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলাম। এটা মূলত আমার ফেসবুকের পোস্টগুলোর কমেন্ট সেকশনে “জ্ঞানপিপাসু”-দের করা প্রশ্নগুলোতে আমার উত্তরগুলো নিয়ে সাজানো। আমাকে নতুন করে কোনো প্রশ্ন করার আগে এখান থেকে প্রশ্নোত্তরগুলো দেখে নেবেন দয়া করে। নতুন প্রশ্ন এলে ক্যাটাগরি অনুযায়ী সাজিয়ে দেবো।

ব্যক্তিগত আক্রমণকারী/ad hominem প্রশ্নকর্তাগণ

প্রশ্নঃ আপনি কি সমকামী?
উত্তরঃ আরে না রে ভাই, সমকামীদের পক্ষে কথা বললেই কাউকে সমকামী হইতে হয় না। ভোট দিচ্ছি, নির্বাচনে দাঁড়াই নাই। সমকামিতাকে ভোট দিতে গিয়ে বিষমকামিতাকে আবার বন্ধ করতে বলছি না। আমি দুটোকেই সমান চোখে দেখতে বলছি।

প্রশ্নঃ আপনার সন্তান যদি সমকামী হয়, মেনে নিতে পারবেন?
উত্তরঃ যারা সমকামিতাকে সমর্থন করে, তারা এটা জেনেবুঝেই করে যে – আমার আশেপাশে বন্ধু-বান্ধব, সন্তান, ভাই-বোন, এমনকি বাবা-মা’ও যদি কোনোদিন সমকামী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, তাহলে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াবো। যে এখন হুজুগে সমর্থন করে পরে পাশে দাঁড়াতে পারবে না, সে একটা হিপোক্রেট।

প্রশ্নঃ আপনার কাছে ভালোবাসা আর যৌন আকাংক্ষা পূরণ সমার্থক।
উত্তরঃ এখানে প্রশ্ন ভালোবাসা আর যৌন আকাংক্ষার না। প্রশ্ন হচ্ছে, অধিকারের। আপনার যদি নিজের সংগী খুঁজে নেয়ার অধিকার থাকে, ওদেরও আছে।

প্রশ্নঃ আপ্নারে আমার বন্ধুর খুব পসন্দ হইসে! আইজ রাইতে আইসেন!
উত্তরঃ আমারো তো আপনার বন্ধুকে পছন্দ হইতে হবে, নইলে ক্যামনে? মেয়ে বন্ধুদেরকে যোগাযোগ করতে বলেন।
বিঃদ্রঃ সমকামী না হইলে সমকামীদের পক্ষে কথা বলে না কেউ – এই ধরনের হীন মানসিকতা পরিত্যাগ করুন।

ন্যাচারালিটির ভার রক্ষাকারী প্রশ্নসমূহ

প্রশ্নঃ সমকামিতা স্বাভাবিক না। এটা একটা বিকৃতি। এটাকে কিভাবে সমর্থন করা যায়?
উত্তরঃ বিকৃতি কী জিনিস? স্বাভাবিক কী জিনিস? এগুলো কে ডিসাইড করে? এগুলো একেক সমাজে একেকরকম। যেটা বিবেচনা করতে হবে (যে কোনো ক্ষেত্রেই), সেটা হলো – এতে কি কারো কোনো ক্ষতি হচ্ছে? যদি ক্ষতি না হয়, তাহলে এতে সমস্যা কোথায়? মনে রাখতে হবে, প্রকৃতি শুধু একরকম না। স্বাভাবিকতাও একরকম না। চেয়ারেও বসা যায়, সোফাতেও বসা যায় – দুইটাই স্বাভাবিক।

অনেক কিছুই আগে স্বাভাবিক ছিলো না। আগে বাধা ছিলো – এই বর্ণের ছেলে ঐ বর্ণের মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে না। এরপর এই ধর্মের মেয়ে ঐ ধর্মের ছেলেকে বিয়ে করতে পারবে না। অমুক জাতির ছেলে তমুক রেইসের মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে না। এগুলো অনেকটাই সমাধান হয়েছে। অনেকটা বলতে কী বোঝাচ্ছি, ভালোই বুঝেছেন। আইনত বাধা নেই অন্তত।.তারপরেও ওপরের পুরো প্যারাগ্রাফটার মধ্যে একটা জিনিস স্পষ্ট। যেন ধরেই নিয়েছি – বিয়ে শুধু ছেলে আর মেয়ের মাঝেই হয়। এটা আমাদের অনেকের দৃষ্টির সীমাবদ্ধতা। আমরা বিয়ে বলতে ছেলে আর মেয়ের মধ্যেই বিয়ে বুঝি। ভালোবাসা এই সীমাবদ্ধতা মানে না। দুজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ (নারী-পুরুষ, নারী-নারী, পুরুষ-পুরুষ) নিজেদের ইচ্ছায় একে অপরের জীবনসঙ্গী হতে চাইতেই পারে। এতে কারো কোনো ক্ষতি হচ্ছে না।

প্রশ্নঃ ঠিক করে বলেন, সমকামিতা কি ন্যাচারাল?
উত্তরঃ Yes, it is, perfectly natural. সব ন্যাচারাল জিনিসই যে ভালো, তা কিন্তু বলছি না। ন্যাচারাল কিনা সেই প্রশ্নটা অবান্তর – ন্যাচারাল হলে কী, না হলেই বা কী। অনেক কৃত্রিম জিনিসও তো ভালো হতে পারে। But to conclude the answer, yes, it is natural. বেশি জরুরি প্রশ্ন হচ্ছে – Is it harmful? যদি হার্মলেস হয়, তাহলে কেন এটাতে সমস্যা হবে?

প্রশ্নঃ সমকামীতা মানুষের মনের তৈরি ফ্যান্টাসী । তাছাড়া আর কিছু না । তাছাড়া এই ব্যাপারটা ভালবাসাও না । এটা শুদ্ধ ভাষায় বলতে গেলে সমলিঙ্গের প্রতি মানুষের মনের তৈরী ফ্যান্টাসী থেকে সৃষ্ট শারীরিক আকর্ষণ।
উত্তরঃ শারীরিক আকর্ষণ শুধু বিপরীত লিঙ্গের প্রতি হয় – এটা একটা সংকীর্ণ চিন্তা। ওরকম হলে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণও ফ্যান্টাসী। এক ফ্যান্টাসি খারাপ না হলে একইরকম অন্য ফ্যান্টাসিটা খারাপ হবে কেন?

প্রশ্নঃ সমকামিতা ব্যতিক্রম। এটা মেনে নেয়া যায় না।
উত্তরঃ ব্যতিক্রম মানে হচ্ছে এরা সংখ্যায় কম। সংখ্যায় কম বলে এদেরকে দমন-পীড়ন করতে হবে, এদের অধিকার আদায় করতে দেয়া যাবে না। এটা কেমন কথা? আপনি সংখ্যায় বেশি বলে আপনার কথামত ওর সেক্স লাইফ পালন করতে হবে? সমকামিতা সংখ্যায় কম, কিন্তু এটা অস্বাভাবিকও না, মানসিক রোগও না। রাদারফোর্ডিয়াম নামক মৌলটা সংখ্যায় কম, কিন্তু অস্বাভাবিকও না, কোনো মৌলের বিকৃত রুপও না।

প্রশ্নঃ এটা জঘন্য একটা চিন্তা!
উত্তরঃ ১৮৬৪ সালে যখন আমেরিকাতে দাসপ্রথা রদ হয়, তখনও অনেকেই ফুঁসে উঠেছিলো। অথচ, আজ সবাই দাসত্ব প্রথার সত্যটা বোঝে। ১৯৬৫ তেও কৃষ্ণাঙ্গদেরকে ভোটাধিকার নিশ্চিত করায় অনেকেই রেগে গিয়েছিলো। বলেছিলো, “কেন নিগ্রোদেরকে ভোট দিতে দেয়া হবে?” অথচ আজ সেই যুক্তরাষ্ট্রেই, একজন কৃষ্ণাঙ্গ আজ প্রেসিডেন্ট। আজ থেকে ৫০ বছর পরে মুক্তচিন্তকরা মানুষকে মানুষ হিসেবে সম্মান দেখানোর জন্য আরেকটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেবে। তখনও অনেক সংকীর্ণমনা ফুঁসে উঠবে। ওদেরকে ১৮৬৪, ১৯৬৫ এর পাশাপাশি ২০১৫ এর উদাহরণও দেখানো হবে।

আজ সমকামিতা, কাল পশুকামিতা – এই Slippery Slope ফ্যালাসিতে আক্রান্ত প্রশ্নকর্তাগণ

প্রশ্নঃ আজকে সমকামিতাকে সমর্থন করলে কালকে পশুকামিতা শুরু হবে। এই ব্যাপারে কী বলবেন? সেটাও সমর্থন করবেন?
উত্তরঃ একটা পশু যদি স্বজ্ঞানে সুস্থ মস্তিষ্কে আপনার সাথে যৌন সঙ্গম করতে রাজি হয়, করুন গিয়ে। আমার আপত্তি নাই। তবে হ্যাঁ, পশুকে এটা বুঝতে হবে যে আপনি কী চাইছেন, এবং তাকে রাজি থাকতে হবে। পশুকেও ধর্ষণ করা যাবে না, যেমনটা করা যাবে না মানুষকেও।

প্রশ্নঃ পশুপাখিরাও সমকামী হয় না। সমকামীরা পশুর চেয়েও অধম।
উত্তরঃ ওরে ভাই, বায়োলজি পড়েন গিয়ে ঠিকমত। অনেক অনেক প্রাণীর মধ্যেই সমকামিতা দেখা যায়। ছোটো প্রাণী থেকে শুরু করে বড় প্রাণী – অনেক প্রাণীর মধ্যেই এই উদাহরণ আছে।

ধর্ম গেলো, ধর্ম গেলো

প্রশ্নঃ সমকামিতা পাপ। এটা যে কত বড় পাপ মুসলিম ধর্মে, তা তো নিশ্চয় জানেন। হোক হাজার রিজন!
উত্তরঃ পাপ মানে কী? কারো ক্ষতি করা হচ্ছে পাপ। যাতে কারো ক্ষতি হচ্ছে না, সেটা পাপ না। আপনি ওদের অধিকার ক্ষুণ্ণ করে ওদের ক্ষতি করলেই বরং আপনি পাপী হবেন। কোনো কিছু ধর্মে আছে বলে সেটাকে সারাজীবন মেনে যেতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। পরিবর্তনশীল বাস্তবতার সাথে আমাদেরকে বারবার মানুষকে মানুষ হিসেবে সনাক্ত করতে পারতে হবে।

প্রশ্নঃ সমকামীদের ওপরে আল্লাহর অভিশাপ নাজিল হবে। ওদেরকে সমর্থন দিলে আমাদের ওপরেও আযাব নেমে আসবে।
উত্তরঃ আল্লাহর বুঝি আর খেয়েদেয়ে কাজ নাই? ওর বান্দা সমকামী হইলে ওর সমস্যাটা কোথায়? ওর বান্দারা খুন করে, ধর্ষণ করে, রাহাজানি করে, এজন্য তো আযাব নেমে আসে না। কারো ক্ষতি না করে নিজেদের ভালোবাসা বা কাম চরিতার্থ করলে আল্লাহর সমস্যা কেন হবে?

প্রশ্নঃ আল্লাহ বলেছেন, সমকামিতা খারাপ। আমি সেটাতে বিশ্বাস করি।
উত্তরঃ কে কী বিশ্বাস করলো, সেটা দিয়ে তো নৈতিকতা যাচাই করা যায় না। আপনার, আমার – কারো বিশ্বাসেরই কোনো মূল্য নেই। এগুলো যাচাই করতে হবে ঐ এক রুল দিয়ে – এটা কারো কোনো ক্ষতি করছে কি না। বিশ্বাস তো কিছুরই মাপকাঠি হতে পারে না।

প্রশ্নঃ বিশ্বাস দিয়ে যদি কোনো লাভ না হয়, তাহলে এটা কেন বিশ্বাস করেন যে, জন্মের পর যাকে বাবা বলে দেখানো হয়েছে সেই আপনার বাবা? ডিএনএ টেস্ট করাইসেন?
উত্তরঃ আমার বাবা আসলেই আমার বাবা কিনা, সেটা সত্যি বলে ধরে নিলেই কী, মিথ্যা বলে ধরে নিলেই কী? তাতে মহাবিশ্বের কী এসে যায়? আর জন্ম দিলেই কেউ পিতা হয় না। আমি তো দেখেছি, তাকে সারাজীবন আমাকে খাওয়ানো পরানোর জন্য কষ্ট করতে। সেটা একটা শুক্রাণু দানের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্নঃ এত কথা বলে সমকামিতাকে হালাল করা যাবে? এটা পুরাই অনৈতিক।
উত্তরঃ হালাল কী? হারাম কী? নৈতিকতা কী? এগুলো না বুঝে প্রশ্ন করতে এলে হবে? যাতে কারো ক্ষতি হয় না, তাই হালাল। যাতে কারো কিছু নষ্ট হয় না, তাই নৈতিক। আপনি ওদের অধিকার হরণ করে ওদের ক্ষতি করেন, আপনিই অনৈতিক!

প্রশ্নঃ ভাই, নীতি একটার কথা বলেন। হয় বিষমকামী, নইলে সমকামী!
উত্তরঃ আরে আলামত! কেন এক নীতিতে থাকতে হবে? দুনিয়ার সবাইকে ভাত খাইতে হবে – এটা কি এক নীতি? কেউ রুটি খাইতে পারবে না? আর আসলে আমি এক নীতির কথাই বলছি – যদি নারী+পুরুষের বিয়ের অধিকার থাকে, সমকামীদেরও বিয়ের অধিকার থাকা দরকার। নীতি একটাই, সবার অধিকার আছে নিজের সংগী খুঁজে নেয়ার। সেই নীতি লিঙ্গের ওপর ডিপেন্ড করবে না।

প্রশ্নঃ আল্লাহর বানানো দুনিয়াতে বসে এতো বড় বড় কথা বলতে লজ্জা লাগে না?
উত্তরঃ oops……. সমকামী এলান ট্যুরিং এর বানানো প্রথম মডার্ন কম্পিউটারের বংশধর ডেস্কটপ বা ল্যাপটপে বসে, সার্নের নাস্তিক বিজ্ঞানীদের বানানো ইন্টারনেট লাগিয়ে, নাস্তিকের ফেসবুকে এসে সমকামী আর নাস্তিকদের বিরুদ্ধে কথা বলতে লজ্জা লাগে না?

জনসংখ্যা নিয়ে চিন্তিত চিন্তাবিদ

প্রশ্নঃ একটা স্বাভাবিক ছেলের পক্ষে আজীবনেও একটা সন্তান প্রসব করা সম্ভব নয়। তাহলে সমকামী হয়ে লাভ কী? অথবা সমকামী পুরুষদের জন্য দুঃসংবাদ ___ তারা জীবনেও মা হতে পারবে না।
উত্তরঃ বাচ্চা পয়দা করতেই হবে; না করলে ভালোবাসা সার্থক হবে না – এটা কী ধরনের যুক্তি? তাহলে যে দম্পতি বাচ্চা চেয়েও নিতে পারছে না কোনো সমস্যার কারণে, ওদের ভালোবাসা কি ব্যর্থ বা অপ্রয়োজনীয়?

প্রশ্নঃ সবাই যদি এই রীতিতে আকৃষ্ট হয়ে এই পদ্ধতি গ্রহণ করে তাহলে জনসংখ্যা কই যাবে ভেবেছেন?
উত্তরঃ সবাই এই পদ্ধতিতে আকৃষ্ট হবে না। আপনি সমকামী নন, আপনি কি আকৃষ্ট হচ্ছেন সমকামী হবার জন্য? ব্যস, খেল খতম। যদি কেউ আকৃষ্ট হয়, তাহলে বুঝতে হবে – তার ভেতরে আগে থেকেই সমকামিতার বীজ ছিলো। নিজেকে ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছিলো এতোদিন।

প্রশ্নঃ একবারও কি ভেবেছেন সবাই যদি এই রীতিতে চলে তাহলে পৃথিবী মনুষ্যবিহীন হয়ে যেতে কত সময় লাগবে?
উত্তরঃ আরে কী আশ্চর্য! আপনাকে কি কেউ সমকামী হতে বাধ্য করছে? যার যেটা ইচ্ছা, সে সেটা করবে। মানবসভ্যতা বিলুপ্তির প্রশ্ন আসছে কেন? আপনি সমকামী নন, আপনাকে কেউ সমকামী হতে বলছে না। আপনি কেন আপনার প্রেফারেন্স ওদের ওপর চাপিয়ে দেবেন? আপনি ফুলকপি খান না, বাঁধাকপি পছন্দ। কেন আপনাকে ফুলকপি খেতেই হবে? পৃথিবীর সবাই কেন আকৃষ্ট হবে বলে ধরে নিচ্ছেন। এই এজাম্পশনের ভিত্তি কী?

প্রশ্নঃ এখন আমেরিকার সরকার এটার বৈধতা দিয়েছে। এর ফলে জনসংখ্যা ক্রমাগত কমতে থাকলে আপনি কি মনে করেন না যে তখন আইনীভাবে এটা নিষিদ্ধ করবে না? আর তখন যদি আইনিভাবে নিষিদ্ধ করার দরকার হয় তাহলে এটাকে এখন আইনি বৈধতা দেওয়ার কী দরকার?
উত্তরঃ এখন যেহেতু জনসংখ্যার বৃদ্ধির কথা চিন্তা করে এই রায় দেয়া হয়নি, জনসংখ্যা কমতে থাকলে এটাকে বাতিল করা হবে না। এই রায় দেয়া হয়েছে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে। কারো ক্ষতি না করে নিজের সুখ আর ভালোবাসার অন্বেষণ চালিয়ে যাওয়া দোষের কিছু নয় – সেই দৃষ্টিকোণ থেকে – দৃষ্টিভঙ্গি বড় করার প্রেক্ষাপট থেকে।

প্রশ্নঃ বলতে চাইছেন – kill the baby before they are born?
উত্তরঃ কত মানুষ হস্তমৈথুন করে নালায় বীর্য ফেলে দিলো, তখন বেবি আনবর্ন কিনা সমস্যা হয় না। এখন এই প্রশ্ন কেন আসে? ব্যাপারটা বুঝতে পারছেন? আপত্তি আসলে ছোটোবেলা থেকে দেখে আসা কালচারের সাথে মিলছে না বলে আসছে