আমি নারী; প্রকৃতির ধারক-বাহক
সহস্র শতাব্দী সৌরবর্ষ বেঁচে থাকি প্রকৃতির করুণায়
তাই তোমরাও করুণা কর ।

শিল্পীর ক্যানভাসে ঠাঁই হয় আমার সুঢৌল স্তনের ভাঁজ
আমার উরুর গোপন খাঁজ-আমার অধরের উষণ আবেদন
তোমাদের রঙ-তুলির আঁচরে আমি ‘র’ ম্যাটেরিয়াল ।

আমি নারী; প্রকৃতির শষ্যক্ষেত্র
শত-শতাব্দী ধরে তোমার কঠিন বীর্যে কর্ষণ করেছো
আগাছা উপড়ে তৈরি করেছো তোমার নিষ্কন্টক ফসলের বীজতলা
চেয়েছো বৃষ্টিজল, খুঁজেছো উর্বরতা উৎপাদন বাড়াতে ।

আমি নারী; রমনী
রতি রমনের বাইরেও আমার আরেক পরিচয় আছে
আমি মানবী ।

শরীরের উর্বরতার মতো তুমি আমার মস্তিস্কের উর্বরতা খোঁজনি
স্তনের ভাঁজের মতো তুমি আমার মননের বন্ধুরতা বোঝনি
অধরের উষ্ণ পরশের মতো তুমি আমার হৃদয়ের উষ্নতা চাওনি
তোমার কর্ষিত ছিন্নভিন্ন বীজতলায়-
আমার মৌলিক মানবিক বিনির্মানের যে ফসল ফলেছে তাকে লালন করনি

পুরুষ! আমার উর্বর জমিতে তুমি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাওয়ার টিলার মাত্র।

(১৯৯৮, দিনাজপুর)