[এই ব্লগে, মোল্লাদের বিরুদ্ধে আসন্ন যুদ্ধের জন্য আপনি কিভাবে একজন সৈনিক হয়ে উঠবেন, সেই নিয়ে আলোচনা আছে। এটি মোটেও বুদ্ধি চর্চার জন্য লিখা না । বাস্তবে, আপনি মোল্লাতন্ত্রের বিরুদ্ধে কিভাবে লড়বেন, সেই নিয়ে বিশদে আলোচনার জন্য এটা প্রথম ব্লগ ]

প্রিয় বন্ধু এবং সমমনোভাবাপন্ন সদস্যবৃন্ধ

আপনারা কি মনে করেন, অভিজিত হত্যার পরে , এটা শুধু লেখা লেখা ব্লগ যুদ্ধ?

আপনারা কি মনে করেন বাংলাদেশের সরকার আদৌ অভিজিত হত্যার খুনীদের ধরতে পারবে যেখানে বাংলাদেশ পুলিশ এবং ইন্টালিজেন্সের মধ্যেই ইসলামিক জঙ্গী গ্রুপের লোকে ভর্তি? অন্তত সিম্প্যাথাইজার প্রচুর?

আপনি কি মনে করেন এরপরে বাংলাদেশ থেকে কেউ ইসলাম নিয়ে সমালোচনা করতে সাহস পাবে যেখানে ইসলামপন্থীরা প্রকাশ্যে কল্লাকাটার হুমকি দিচ্ছে ফেসবুকে?

মূর্খের স্বর্গে বাস করে যুদ্ধে জেতা যায় না । ইতিহাসে কি কোন নজির আছে যে “উন্নত লিব্যারাল চেতনার যুক্তিবাদিরা” রাষ্ট্রের ক্ষমতা দখল করেছে বা সমাজ কে নিয়ন্ত্রন করেছে?

বাস্তব ভিন্ন।   আপনারা এক রোম্যান্টিক জগতে বাস করছেন। ইতিহাস বলছে যার হাতে মিলিটারি শক্তি, অর্থনীতির শক্তি সমাজ এবং সংস্কৃতি পৃথিবীতেই তারাই নিয়ন্ত্রন করে।

আমরা এক অদ্ভুত পৃথিবীর বাসিন্দা এখন। ইসলামের হাতে মিলিটারি বা অর্থনৈতিক ক্ষমতা নেই । কিন্ত তারা মানুষের সংস্কৃতিকে নিয়ন্ত্রন করতে চাইছে। ফলে এই সব কল্লাকাটা জঙ্গি যাদের আবার অধিকাংশ ছাত্র, তাদের মিলিটান্সি হচ্ছে ইসলামের হাতে এখন একমাত্র ক্ষমতা ।

ফারাবি কে? অভিজিতের খুনী কারা?  এরা সবাই ড্রপ আউট স্টুডেন্ট। ইসলামিজ জঙ্গিবাদের ভাইরাসে এরা আক্রান্ত। কি করে এরা টাকা পাচ্ছে? কারা দিচ্ছে এদের টাকা? কিভাবে বাংলাদেশের সরকার , হিন্দু এবং নাস্তিকদের বিরুদ্ধে গজিয়ে উঠেছে হাজার হাজার ফেসবুক পেজ, অসংখ্য ওয়েব সাইট? কোন প্রবাসী বাংলাদেশীরা টাকা যোগাচ্ছে এসবের পেছনে ?

এদের এক বিশাল নেটোয়ার্ক তৈরী হয়েছে। শোকেসে আছে তাত্ত্বিক পন্ডিত, সদালাপী লেখক। অসংখ্য লুজ স্লীপার সেল। অসংখ্য জঙ্গি ফেসবুক পেজ। এগুলোকে ধ্বংস করতে আপনাকে এখন নামতে হবে এই যুদ্ধে।

এটা খুব কঠিন যুদ্ধ না । অভিজিতের মৃত্যু এই যুদ্ধকে সহজ করেছে। তার মৃত্যুর জন্যে আজ আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা, ভারতীয় এবং ইংল্যান্ডের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি উঠে বসে বাংলাদেশের জঙ্গীদের খোঁজ চালাচ্ছে। বিশেষত কোন কোন প্রবাসী বাংলাদেশী জঙ্গীদের অর্থ জোগাচ্ছে এবং ফেসবুকে জিহাদ চালাচ্ছে।

কিভাবে সাহায্য করবেন ?

খুব সহজ। আপাতত সেইসব ফেসবুক পেজ, গ্রুপে জয়েন করুন, যেখানে জিহাদি এক্টিভিটি চলছে। সেই সব প্রোফাইলদের সনাক্ত করুন, যারা ঘৃণা ছড়াচ্ছে বা হুমকি দিচ্ছে। বা ফারাবির সমর্থনে প্রচার করছে। বা অভিজিত রায়ের মৃত্যুতে উল্লাসিত। এদের অনেক প্রফাইল ফেক। তাতে কিছু যায় আসে না । আমরা যাদের সাথে কাজ করছি, তারা ফেসবুকের ফেক প্রোফাইলের পেছেনে থাকা আই পি আড্রেস সব কিছু সনাক্ত করতে সক্ষম। শুধু তাই না , ফেক আই পি এডেস হলে, সেটা কে কিনেছে সব কিছু বার করা যাবে। মোদ্দা কথা, কারা এই সব প্রোফাইল, তারা কিভাবে ভয় দেখাচ্ছে, বা কিভাবে ইসলামিক জঙ্গী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত, আপনারা সব সেভ করুন একটা ডাইরেক্টরীতে। আমরা পরের ব্লগে আপনাকে নির্দেশ দেব কিভাবে সেই ডাইরেক্টরি আমাদের কাছে তুলে দেবেন গোপনে।

প্রতিটা বাংলাদেশী যারা প্রবাসে থেকে ফারাবী এন্ড গংকে অর্থ সাহায্য দিয়েছে বা এই সব ফেসবুক পেজ চালাচ্ছে –সবার আইডেন্টিটি সেই দেশের ল এনফোর্স্মেন্টের কাছে পৌছে দেওয়া আমাদের লক্ষ্য। শুধু তাই না –তারা যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বা কোম্পানীতে কাজ করে, সেসব কোম্পানী কতৃপক্ষের কাছেও জানানো হবে এদের জঙ্গী কার্যকলাপ। প্রমান সহ। সেই কোম্পানী এই সব জঙ্গীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে, সেই কোম্পানীর খরিদ্দারদের জানানো হবে, যে তারা এমন এক কোম্পানীর কাছ থেকে সার্ভিস কিনছে, যারা জঙ্গিবাদের আঁতুরঘর ।

শিবিরের ছাত্রদের কেসটা জটিল হবে। কারন এরা জামাতের নানান সংগঠন থেকে টাকা পায়।সাথে অস্ত্র নিয়ে ঘোরে। কিন্ত ইদানিং এদের অনেক বন্ধু দেখা যাচ্ছে ভারতের জামাতি সংগঠন থেকে। কোন কোন ভারতীয় জামাতি সংগঠন এদের পেছনে আছে সেগুলো সনাক্ত করতে হবে। আপনাকেই করতে হবে এই কাজ।

আপাতত আপনারা প্রমান জোগার করুন। চিহ্নিত করুন এইসব প্রোফাইলকে। এরা পৃথিবীর যেদেশেই থাকুক না কেন, সেই দেশের পুলিশ এদের কাছে পৌছবে। আপনার কাজ পুলিশকে সাহায্য করতে ইন্টেল জোগানো।

বাংলাদেশ সরকার অভিজিত হত্যার জন্য কিছু করতে পারবে, এই মুর্খের স্বর্গে বাস করবেন না । মাত্র এক বছরের মধ্যেই আমরা জঙ্গীদের সম্পূর্ন থামিয়ে দিতে পারব। জঙ্গীদের ভাতে মারার সম্পূর্ন ব্যবস্থা করতে হবে।

লেখালেখিতে চালিয়ে যান। কিন্ত শুধু লিখে কি হবে সেটা দেখতেই পাচ্ছেন। এটা যুদ্ধ। আপনিও এই যুদ্ধে একজন সৈনিক।

আমার পরবর্তী ব্লগের জন্য অপেক্ষা করুন। এখন শুধু সব তথ্য, নিজের ব্যক্তিগত ডাইরেক্টরীটে সেভ করে রাখুন।