অবশ্যম্ভাবী আগামী

আমাদের চলার চাকাগুলো কি সরে গেছে
অসংখ্য মার্বেলের উপর গড়িয়ে চলতে হয় ক্রমাগত
বিশ্বাসের বিদঘুটে স্রোত আলোয় বিষণ্ণতা ছড়ালে
এক এক করে চাপাতি রামদা ছোঁড়া কুঁড়াল এসে
জড়ো হতে থাকে হাতের কব্জির মুঠোয়
তারপর দৃশ্যপটে কালো পর্দায় ভাইরাসের ছুটোছুটি
খুশির ডিগবাজীতে উন্মত্ত দাপাদাপি

অনেকগুলো মলিন বদন হিংস্রতা মুখোশে ঢেকে দিলে
তাদের মুখাবয়বের পুরো চামড়ার আড়ালে
দাঁতগুলো লাফালাফি করে
কখন যে কাপালিক রক্ত তৃষ্ণা মেটাবে এবার
তার সাদা কাফনে মুড়িয়ে থেকে
ভূমিতে গড়াগড়ি দেবে কাটা মুন্ডু হাতের আঙ্গুল অথবা মাথার পাশের চুল

সব রক্ত ঝরে গেলেও ফোঁটা ফোঁটা রক্ত উড়বে হাওয়ায়
কারো স্পর্শ নেবে বলে রক্ত-কণিকাগুলো
তার প্রাণের লোহিত কণিকায় এসে দেবে যোগ
করে নেবে ঠাঁই আবারও
প্রশান্তির ঋজু ঢঙে দাঁড়াবে বলে
অনিবার্য আগামীর অবশ্যম্ভাবী আহবানে।

মাথায় শিং-এর জন্ম

কিভাবে কামড় দিয়ে বসে লবণাক্ত স্রোত
শিং গজাবে বলে রাত জেগে জেগে আকন্ঠ মত্ত থেকেছি
তাজা রক্তের স্বাদ চেখে চেখে
তবুও তোমার চোখের বিরল স্রোত এতটুকুও নড়লো না

নেশার জ্বরে ডুবে থেকে ভোর পেরিয়ে মধ্যাহ্ন এলে
তখনো মগজের ওজনে চাপ খুঁজে বেড়িয়েছি
কী সাবলীল মৌণ উচ্ছ্বাস হৃদয়ে তুলে বিষণ্ণ হয়েছি
মাথায় শিং-এর অস্তিত্ব বোধ করিনি বলে।

আমাকে হাতে তুলে নিতে হলো রাতারাতি
এক চাপাতি আর এক চাইনীজ চকচকে কুড়াল
মাথায় শিং-এর জন্ম হতে হলে
কোন এক মানুষের মগজ মস্তিষ্কে বিদ্যুতের ধারালো প্রবাহ
বইয়ে দিতে হয়।
আমি আনাড়ি বলে চাইনীজ কুড়ালটি সটাং বসিয়ে দিই তার মস্তিকের
প্রশস্থ পশ্চাতে।

তখনো শিং বের হয় নি
শরীর মাথায় কয়েক কোপের পর ফিনকি দিয়ে
রক্ত বেরিয়ে আমার শরীর ধুইয়ে দিলে
হঠাৎ মাথায় শিং-এর উপস্থিতি
বিস্ময়ে বিমূঢ় করে তুলে।।