তিনি নিয়মিত নামাজ পড়েন না, তবে জুম্মা সাধারণত মিস করেন না।… শুকরের চর্বি আছে এমন কোন প্রসাধন ব্যবহার করেন না তবে “ওকেশনে” মদ্য খান।… আধুনিকতার নামে মেয়েদের হাল ফ্যাশানের পোশাককে তিনি সাপোর্ট করেন না তবে তার মোবাইলে পর্ণ নিয়মিত আপডেট হতে থাকে।…হ্যা, তিনি এই গল্পের প্রধান চরিত্র মো: মডারেট ইসলাম। শিক্ষিত, পোশাকে-আশাকে পশ্চিমী, দাড়ি রাখেননি, গার্লফেন্ড আছে, বিয়ে বর্হিভূতভাবে তার সঙ্গে যৌন সম্পর্কও এরিমধ্যে একাধিকবার হয়েছে কিন্তু তিনি লিভটুগেদার, সমকামিতার মত “পশ্চিমা সংস্কৃতিগুলো” আমাদের মত ইসলামী কান্ট্রিতে অনুপ্রবেশে করায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। মুসলমানের আসলই হচ্ছে আখলাক, মানে চরিত্র, কিন্তু প্রকৃত ইসলামী জ্ঞানের অভাবে মুসলিমরা আজ ইহুদীনাসারাদের দেখানো খোলামেলা জীবনে আসক্ত হয়ে পড়ছে। মো: মডারেট ইসলাম তাই আরো বেশি করে ইসলামকে আকড়ে ধরছেন। ইসলামী সংস্কৃতি, আদব-কায়দার উপর বেশি করে জোর দিচ্ছেন। আকাশ সংস্কৃতির এই যুগে ইন্ডিয়ার ষড়যন্ত্রে এমনিতেই আমাদের ঘরের মেয়েরা বেয়াল্লাপনা শিখছে রাত-দিন। এটা বড়ই আফসোসের কথা গোটা মুসলিম জাহানের জন্যই।…

এমনিতে তিনি সাধারণ মোল্লা-হুজুরদের উপর খুবই বিরক্ত। কারণ তারা ধর্মকে হাস্যকর করে তোলে। এদের ওয়াজগুলোর বেশির ভাগ গ্রাম্যতায় ভুরপুর। তিনি জানেন এটা বিজ্ঞানের যুগ। এই যুগে মৌলবীগুলোর ইসলামী ব্যাখ্যা অচল! অথচ চৌদ্দশো বছর আগে নবীজির প্রতিটি কাজ, তার প্রতিটি অভ্যাস ছিল সায়েন্টিফিক। আজকের বিজ্ঞান তা-ই করছে যা নবীজি তার জীবনে করে গেছেন। এই যেমন নবীজি খাওয়ার আগে জিভের ডগায় একটু লবণ ছুঁয়ে নিতেন, এর উদ্দেশ্য ছিল খাবার হজম হতে সাহায্য করা। আজকের সায়েন্স সেই একই কাজ করেছে স্যালাইন তৈরির মাধ্যমে! লবণ-পানি পেটের অসুখের জন্য যে কার্যকর সেটা চৌদ্দশত বছর আগেই নবীজি জেনে গিয়েছিলেন! কেমিস্টির এক অধ্যাপক তাবলীগ জামাতে এলাকার মসজিদে এসে বিজ্ঞান ও ইসলাম যে এক ও অভিন্ন সেটা হাজার হাজার উদাহরণ দিয়ে এভাবেই ব্যাখ্যা করেছিলেন। তিনি নিজে নেটে বহু হাদিস পড়েছেন। তাতেই তিনি বুঝেছেন সাধারণ মানুষ কি ভুল ইসলামকেই না জেনে বসে আছে! এই যে আজকাল ইন্টারনেটে একদল নাস্তিকের উদয় হয়েছে এদের আর দোষ কি, এরা তো এইসব ভ্রান্ত ইসলামকে জেনেই তার সমালোচনা করে। হাসি-ঠাট্টা করে। অথচ আইনস্টানই বলেছেন, বিজ্ঞান ছাড়া ধর্ম অচল, আবার ধর্ম ছাড়া বিজ্ঞান অচল! এতবড় বিজ্ঞানী ধর্মকে বিজ্ঞানের সঙ্গে সংযুক্ত করেছেন অথচ কিছু পোলাপান…এক পাকনা পোলা সেদিন এ কথা শুনে বলে, আইনস্টাইন তো ছিল ইহুদী, তিনি ইসলাম ধর্মের কি জানেন? তিনি যদি এ কথা বলে থাকেন সেটা বলেছেন ইহুদী ধর্মকে মিলিয়ে নিয়ে, আপনি কি ইহুদী ধর্মকে মানবেন? … বেয়াদপ পোলাপান, কিছু জানে না, কিছু পড়ে না- না জেনে- না শুনে ঠাস করে একটা মন্তব্য করে বসে। আরে ব্যাটা সবাই-ই মুসলমান হয়ে জন্ম নেয়! আইনস্টাইনও তাই একজন মুসলমান! প্রতিটি শিশুই জন্ম নেয় মুসলমান হয়ে। ঈসা নবী, মুসা নবী সবাই ইসলাম ধর্মই প্রচার করছেন। পরে তাদের প্রচারিত বাণীকে বিকৃত করে এইসব ইহুদী-খ্রিস্টান ধর্মের জন্ম হয়েছে…।

এইসবই হচ্ছে ইসলামকে না জানার কুফল! এক নাস্তিক বন্ধু সেদিন তাকে বলল, এটা কিন্তু বন্ধু কাজটা ঠিক হয় নাই! হিন্দুদের মূর্তিগুলোকে ভেঙ্গে ফেলাটা কি ঠিক হইছে?

তিনি সব জান্তার মত মুখ ছড়িয়ে হাসলেন। তারপর বন্ধুর দিকে সোজা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তাকিয়ে বলল, তুমি কি জানো হিন্দু ধর্মের কোথাও মূর্তি পূজার কথা বলা নাই! হিন্দুদের মূর্তি পুজার বয়েস বড়জোর কয়েকশ বছর। হিন্দুরাও একেশ্বরবাদী ছিল।…

নাস্তিক বন্ধু মাথা নেড়ে অসম্মতির সঙ্গে বলে, যাই হোক, তাদের মূর্তিগুলো ভেঙ্গে কি ঠিক কাজটা হলো?

সে বাঁ হাতের তালুতে ডান হাতের তর্জনি দিয়ে ঠুকে ঠুকে জোর দিয়ে বলল, আমি তোমাকে বেদ-উপনিষদ থেকে দেখিয়ে দিবো হিন্দুরা মূর্তি পূজা করতো না- বুঝলা?…

আসলে হিন্দুরা নিজের ধর্মটাকেও ঠিক মত জানে না। কত হিন্দু পোলাপানকে জিজ্ঞেস করেছে তারা বেদ পড়েছে কিনা- না, এরা গীতাই পড়েনি! মো: মডারেট ইসলাম এ জন্য একটু গর্ব অনুভব করেন তিনি হিন্দু ধর্মের অনেক কিছু জানেন। ধর্মীয় তর্কাতর্কির সময় উদাহরণ দিতে গিয়ে হিন্দু ধর্মের পুরাণ থেকে বর্ণনা করে নিজের পান্ডিত্বকে জাহির করেন। এ জন্য সাধারণ ধার্মীকদের সঙ্গে কথা বলতেই তার সবচেয়ে বেশি ভাল লাগে। এদেরকে আধুনিক-বিজ্ঞানসম্মত ইসলামের ব্যাখ্যা করতে আত্মতৃপ্তি অনুভব করেন। মাদ্রাসার হুজুরদের ইসলাম থেকে তার ইসলাম অনেক আধুনিক-তিনি নিজে সেটা মনে করেন। কিন্তু আলাপচারিতায় সবচেয়ে বিরক্ত লাগে এক শ্রেণীর সেক্যুলারদের ভাবসাব দেখে। ইসলাম যে কত বড় সেক্যুলারিজম সেটা তাদের চোখে পড়ে না! মক্কা বিজয়ের পর নবীজি ইচ্ছা করলে সব কাফেরদের হত্যা করতে পারতেন না? পারতেন তো, তবু দেখো সবাইকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন! কিন্তু ইসলাম বিদ্বেষীরা সব সময় অভিযোগ করে ইসলাম নাকি অবিশ্বাসীদেরকে হত্যার উসকানি দেয়…

মডারেট ইসলামের সেই নাস্তিক বন্ধু মনে হয় এখন পুরাপুরি “ইসলাম বিদ্বেষী” হয়ে গেছে। সে বলেকি, মক্কায় তো ইসলামের আবির্ভাবের প্রথম দশ বছরের মধ্যেই ইচ্ছা করলে কুরাইশরা নবীজিকে খুন করে ফেলতে পারতো। তাদের বাপ-দাদার বিশ্বাসকে নিয়ে কটুক্তি, বিদ্রুপ করার পরও তারা নবীজিকে জানে মারেননি। মক্কা বিজয়ের আগে কুরাইশরা সেরেন্ডার করেছিল এই শর্তে যে, তারা সবাই ইসলামকে গ্রহণ করবে, নবীজিকে নবী হিসেবে মেনে নিবে বিনিময়ে তাদের কাউকে কিছু করা হবে না। এই শর্তেই তারা মুসলমানদের বিনা বাধায় মক্কায় প্রবেশ করতে দিয়েছিল। কাজেই শুধু শুধু হত্যাকান্ডের তো কোন প্রয়োজন নেই। কোন দুরদর্শি নেতাই অহেতুক রক্তপাত করতে চাইবেন না। কিন্তু কাবায় রাখা ৩৬০টা মূর্তি ভাঙ্গাটাকে আর যাই হোক সেক্যুলারিজম বলা যায় না দোস্ত!

এবার মো: মডারেট ইসলাম উত্তেজিত না হয়ে পারলেন না। বললেন, একটু বিবেচনা করে দেখো, যে ঘরে মুসলমানরা নামাজ পড়তো, যেটা আল্লার পবিত্র ঘর সেখানে যদি ৩৬০টা মূর্তি রেখে পূজা করে সেটা মুসলমানরা কেমন করে সহ্য করে? তখন কি করা উচিত তাদের?

-মুসলমান কোথায়? নামাজ নাই, মুহাম্মদ নাই, আবদুল মুত্তালিব ওখানে কি নামাজ পড়তো?

-নবীজির বংশ ইব্রাহিমি ধর্মের অনুসারী ছিল। তারা পূজা করতো না।

-তাই নাকি? প্রত্যেক বছর হজের মৌসুমে পৌত্তলিকরা এসে যে ট্যাক্স দিতো মূর্তিগুলারে- সেটা খেয়েই তো বাঁচতো!

-বন্ধু, তোমার জানায় কমতি আছে। ভাল করে পড়ো। ভাল করে জানো…

-আমি যা বলছি তা হাদিস, ইবনে হিশাম, ইবনে ইসহাক থেকে…

-এসব প্রকৃত ইসলাম না! এরা ইহুদীদের দালাল, শিয়া গোষ্ঠির লিখিত গল্প-কাহিনী!

-তাহলে ইসলামকে জানবো কোত্থেকে?

-কুরআন পড়ো। ভাল করে কুরআন পড়ে দেখো সব জানতে পারবে।

-শুধু কুরআন পড়ে তো সব বুঝা যাবে না।

-কে বলেছে যাবে না? কুরআনের মধ্যে দুনিয়ার এমন কোন প্রশ্ন নাই যার উত্তর বলা নাই!

-একজন তাফসিরকারকের নাম বলো তো যার তাফসির তোমার ভাল লাগছে।

-অনেকেই আছে। … এই ধরো মাওলানা হাকিমপুরী…

-তার তাফসির যে সঠিক সেটা তুমি নিশ্চিত হলে কিভাবে?

-অবশ্যই তারটাই এক নম্বর।

-আমাকে তো একজন মাওলানা সাহেব বলেছেন সে একটা কাফের!
-আসতাগফিরুল্লাহ! আল্লার ওলি উনি!

-মাওলানা সাহেব বলেছে হযরত হেকমত (র:)-এর তাফসির সবশ্রেষ্ঠ।

-ছি: ছি: সে একটা ফাসেক! সে নবীকে নিয়ে বেয়াদপি করেছে!

-তার মানে তোমরা নিজেরাই ইসলাম নিয়া একমত হতে পারলা না।

-ইসলাম নিয়ে একমত মানে? ইসলাম একটাই যেটা আল্লা আর তার নবী বলে গেছেন।

-বেশ তুমি যে ইসলামকে মান্য করো সে মোতাবেক আফগানিস্থানের বুদ্ধ মূতিগুলোরে ভাঙ্গা সঠিক ছিল না ছিল না- সেটা বলো?

-এই জন্যই বলি বন্ধু একটু পড়াশোনা করে তারপর কথা বলতে আসো। তুমি জানো, বুদ্ধ তাকে নিয়ে এইসব পুজাফুজা করতে নি্ষেধ করে গেছেন? তিনি যে শেষ নবীর আগমনের বার্তা তার শিষ্যদের জানিয়ে গেছেন- সেইটা জানো?

– এইসব তথ্য কোত্থেকে পাও তুমি? আর তাতেই অন্যের বিশ্বাসের মূর্তিকে ভাঙ্গতে হবে?

-তোমাগো মিয়া সব সময় দেখছি মূর্তি ভাঙ্গলেই খালি জ্বলে। যখন বাবরী মসজিদ ভাঙ্গছিল তখন তোমরা কই ছিলা?

-এখানেই ছিলাম বন্ধু। যখন বাবরী মসজিদ ভাঙ্গা হইছিল তখন হিন্দুদের মন্দির আর বাড়ি-ঘর পাহাড়া দিছি রাত জেগে।
-এই তো, তোমরা নিজেগো কও নাস্তিক আবার মন্দির পাহারা দেও… আসলে তোমরা নাস্তিক না, নাস্তিক মন্দির পাহাড়া দিবো কেন। এই দেশে যারা নাস্তিক সেজে ইসলামরে কটাক্ষ করে তারা আসলে এক- একটা হিন্দু- আমার কাছে তার প্রমাণ আছে!

-এইটা তুমি কি বললা বন্ধু! তুমি তো আমারে চিনো। আমার বাপ-মারেও চিনো। আমি কি হিন্দু?

-তুমি গুমরাহীর দিকে গেছো গা! ইহুদীদের লেখা বই পড়ে তুমি বিভ্রান্ত। আল্লাপাক তোমারে হেদায়ত দিক!…

…এরপর দেশে অনেক জল গড়ালো। রাজাকারদের ফাঁসির দাবীতে শুরু হওয়া আন্দোলন ঠেকাতে “ইসলামের বন্দুরা” মাঠে নামলো। নাস্তিক ব্লগারদের ফাঁসির দাবীতে আলেম-ওলামারা আকাশ কাঁপিয়ে ফেললো। আমাদের মো: মডারেট ইসলামও বেজায় ক্ষ্যাপা নাস্তিকদের উপর। আসলে এরা নাস্তিক না, এরা হচ্ছে ইসলাম বিদ্বেষী। ইহুদীচক্রের টাকা-পয়সা খেয়ে নেটে নবীকে নিয়ে কুৎসা রটায়। যদিও তিনি রাজপথে নাস্তিক কতলের আন্দোলনে সরাসরি নামেননি। ঘরে বসেই সমর্থন করে গেছেন। নাস্তিকদের যে বিচার হওয়া উচিত তাতে কোন সন্দেহ মো: মডারেট ইসলামের নেই। তারপর সেই ”ইসলামের বন্দু” আন্দোলনের সময়ে একজন নাস্তিক ব্লগারকে যখন কিছু জিহাদী খুন করলো তখন একদিন মো: মডারেট ইসলামের নাস্তিক বন্ধু ফেইসবুকের ইনবক্সে এসে জিজ্ঞেস করলো, বন্ধু, এই হত্যাকান্ড কি ইসলামসম্মত?

-আমাগো নবীরে নিয়া চরিত্রহনন করবা- পাবলিক ক্ষ্যাপবো না?

-আমি জানতে চাচ্ছি ঐ পোলাপানগুলি যা করছে তা ইসলামসম্মত কিনা?

-নবীপ্রেমিরা কি তাদের জীবন থাকতে তার অপমান সহ্য করবে বলতে চাও?

-ওকে বন্ধু, যথেষ্ঠ, বুঝতে পারছি।

মো: মডারেট ইসলামের এই নাস্তিক বন্ধুটি সেই টালমাটাল দিনে কিছুদিন আইডিটা ডিজেবল করে রেখেছিল। বহুদিন পাত্তা নেই। তারপর পরিস্থিতি শান্ত হতে হঠাৎ একদিন ফের ফেইসবুকে সাক্ষাৎ।

-বেকোহারাম যে স্কুলের মেয়েগুলোকে বেশ্যার মত ব্যবহার করছে, তাদের নিলামে তুলে বিক্রি করছে, এসব কি? তোমার ইসলাম কি বলে?

-বেকো হারাম ইসলামের কে? কোন একটা সংগঠন যা করবে তার দায় কি ইসলামের? ধরো গান্ধজীর নামে একটা সংগঠন, সেই সংগঠনের পোলাপান ডাকাতি করে, তার জন্য কি তুমি গান্ধিজীকে দায়ি করবে?

-অকাট্ট যুক্তি! বলছো, এসব ইসলামসম্মত নয়?

-তারা সহি ইসলামকে অনুসরণ করে না।…

-আইএস যে মানুষের মন্ডু কেটে উল্লাস করছে সেটা কি ইসলাম সম্মত না?

-এরা আমেরিকার সৃষ্টি!

-পাকিস্তানের যে শিশুগুলোরে হত্যা করা হলো সেটা?

-তারা সহি মুসলমানই না!

-বন্ধু, তুমি তো নাস্তিক কতলের আন্দোলনের সময় পোস্ট দিতা- নবীর সঙ্গে বেয়াদপী করা কুলাঙ্গার নাস্তিক ব্লগারদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া উচিত যাতে কেউ ভবিষ্যতে কটুক্তি করতে সাহস না করে!

-হ্যা দিছি, কি হইছে?

-বেকো হারাম, তালেবানরাও সেই একই রকম সাজা দিছে- এর জন্য তারা কেন সহি মুসলমান হবে না?

-তুমি কি বলতে চাও?

-আমি বলতে চাই শরমের কি আছে এখানে?

-কিসের শরম?

-আমিও তো তাই বলি, কিসের শরম? আল্লার নবী বলছে, স্বয়ং আল্লা বলছে- এটাই তো যথেষ্ঠ- তাই না? মিয়া মডারেট, মাথায় কাপড় তুলতে তুলতে যে পিছন উদাম হয়ে যাচ্ছে সেই খবর আছে?…

মো: মডারেট ইসলাম সঙ্গে সঙ্গে তার নাস্তিক বন্ধুকে ব্লক করে দিলো। এইসব নাস্তিক নামের ইসলাম বিদ্বেষীরা আর সব ধর্ম বাদ দিয়া শুধু ইসলামের পিছনে লাগছে বিশেষ উদ্দেশে। এরা আসলে সবক’টা হিন্দু! … ইহুদীর দালাল… সহি ইসলাম কি জিনিস এখনো চেনেনি…