ডায়না আমার একজন কাছের বন্ধু। বিশ্ববিদ্যালয়ে একসাথে পড়াশুনার কারণে আমাদের বন্ধুত্ব বেশ গাঢ় হয়। ডায়না আমেরিকান। সে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়াঞ্জূ শহরে একটি কিন্ডারগার্ডেনে চাকুরী করে। উদার মানসিকতার ডায়না একজন নাস্তিক। মানে সৃষ্টি কর্তায় বিশ্বাস করে না। সে একটি নাস্তিক সংগঠনের সাংগঠনিক দায়িত্বে রয়েছে।
প্রফেসর রিচার্ড ডকিন্স ডায়নার রোল মডেল। ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে আলোচনা করলেই ডায়ানা ডকিন্সকে নিয়ে আসত। বলা যায় ডায়নার কারণেই ডকিন্স সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হই। যদিও ডকিন্সের সকল ডকট্রিনের সাথে একমত নই, তবে তার শানিত বৈজ্ঞানিক যুক্তি আমার চিন্তার জগতকে কিছুটা হলেও নাড়া দিয়েছে। আমার বিশ্বাস,ডকিন্স আপনাকেও নাড়িয়ে দিবে। যদি আপনি সচেতন হন; যদি আপনি অন্ধ না হয়ে থাকেন।
অবিশ্বাসী ডায়না অন্যের ধর্ম বিশ্বাসের প্রতি খুবই যত্নশীল এবং সচেতন। অন্যের বিশ্বাসকে সম্মান করে। তার মানবিক মূল্যবোধ গুলি সত্যিই প্রশংসা করার মত। অবিবাহিত ডায়না তার বেতনের একটি অংশ নাস্তিক সংগঠনে দান করে দেয়। সংগঠনটি আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের চ্যারিটি প্রতিষ্ঠানে প্রতি বছর অনুদান পাঠায়। ডায়ানা ভাল করেই জানে তার মত অবিশ্বাসীদের টাকায় আফ্রিকার যে সব জন গোষ্ঠী উপকৃত হচ্ছে, সামনে পেলে অবিশ্বাসী হওয়ার কারণে সেই সকল মানুষেরা তার ক্ষতি করতে পারে। এমনকি মেরেও ফেলতে পারে। তবু সে টাকা পাঠায়। কারণ সে মানবিক, চোখে দেখতে পায়। অন্ধত্ব তাকে গ্রাস করতে পারেনি।
ডায়নার তার কর্মরত কিন্ডারগার্ডেনে একজন আইরিশ শিক্ষিকার স্থলে কয়েকদিনের জন্য আমাকে কাজ করার অনুরোধ করল। লরা নামের আইরিশ মেয়েটি পরিবারের সাথে বড় দিনের ছুটি কাটাতে আয়ারল্যান্ড যাবে। ডায়না আমাকে লরার মোবাইল নম্বর দিয়ে যোগাযোগ করতে বলল।
লরার সাথে একটি ক্যাফেতে দেখা করলাম। লরা আমাকে বলল, তুমার সাথে আরেক জন এশিয়ান কয়েক দিনের জন্য কাজ করবে। অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলতে ব্যস্ত থাকায় আমি আর জানতে চাইনি, সেই এশিয়ান কোন দেশী। মনে মনে ভাবলাম, ফিলিপিনো হয়ত হবে। লরা আরও জানাল প্রতিষ্ঠানটিতে দুইশর বেশি শিশু রয়েছে। খুব বড় প্রতিষ্ঠান। লরা অনুযোগ করল, এই কিন্ডারগার্ডেনে আরও কয়েকজন ইংরেজি ভাষা ভাষীর মানুষ কাজ করে। কাজ করে বেশ মজাও পাবে।
প্রথম দিন নির্ধারিত সময়ের চল্লিশ মিনিট আগেই কিন্ডারগার্ডেনে চলে যাই। শিক্ষক রুমে প্রবেশ করেই দেখতে পেলাম, একপাশে সেই এশিয়ান শিক্ষক বসে আছে। রুমে প্রবেশ করে সবাইকেই কোরিয়ান ভাষায় হ্যালো জানালাম। হ্যালোর জবাবে তেমন একটা সাড়া পেলাম না। না পেয়ে মনে মনে কোরিয়াদেরকে বর্ণবাদী ভাবতে শুরু করলাম। মেজাজটাও গরম হয়ে পরল।
খারাপ মেজাজ নিয়ে ডায়ানার ইঙ্গিত পেয়ে শিক্ষকদের রুম থেকে বাইরে চলে আসি। ডায়না আমার সাথে কথা বলতে চায়। ওর সাথে কথা শেষ করার পরেই দেখি সেই এশিয়ার শিক্ষক দাড়িয়ে আছেন। বিশাল দেহের মানুষটিকে দেখে আমি এগিয়ে গেলাম।
আমি হাত তুলে হ্যায় জানিয়ে তার সামনে গেলাম হ্যান্ড সেক করার জন্য।
জবাবে সে আমাকে আস্লামু আলাইকুম জানাইল এবং হ্যান্ড সেক করল।
দুই জনেই একে অন্যের কাছে জানতে চাইলাম কে কোন দেশের। আবিষ্কার হইল সে পাকিস্তানের।
পাকিস্তানিরা বাংলাদেশীদের খুব অপছন্দ করে। যদি কোন পাকিস্তানির সাথে আপনার আদর্শগত মিল না থাকে, বাংলাদেশী হিসাবে পাকিস্তানিরা আপনাকে কে ঘৃণা করবে,এটাই স্বাভাবিক।
ও আমাকে দ্বিতীয় যে প্রশ্নটি করল, আর ইউ মুসলিম?
কিছুটা হেসে উত্তর দিলাম, আই’ম হিউম্যান বিং।
উত্তর পেয়ে কিছুটা হত-বম্ভ হয়ে গেল।
দুই জনেই নিজেদের নাম বললাম। তার নাম মিরাজ।
মিরাজকে পেয়ে কিছুটা ভাল লাগল। চিন্তা করলাম, সে কয়টা দিন কাজ করি অবসর সময়ে ওর সাথে গল্পগুজব করা যাবে। কারণ এই প্রতিষ্ঠানে নব্বই শতাংশই মহিলা স্টাফ। মহিলাদের আলোচনার বিষয় বস্তুর সাথে আমার ততটা যায় না। কয়েক মিনিট পরেই কথা বলার কিছু পাই না। বেকার হয়ে পরি।
মিরাজের কাছে জানতে চাইলাম, পাকিস্তানের কোন প্রদেশ থেকে সে এসেছে। মিরাজ উত্তর দিল, বেলুচিস্তান।
বেলুচিস্তান শুনে আমার মেজাজ অনেকটা নিউট্রাল অবস্থায় চলে আসল। বেলুচদেরকে আমি বহু কারণেই পছন্দ করি। একটি কারণ এরা স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করছে। দেশটি মাত্র ছয় সাত মাস স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল। বেলুচদের ইতিহাস শোষিত হওয়ার ইতিহাস।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর রিপোর্ট অনুযায়ী ১৯৭০ সাল থেকে এই পর্যন্ত ১৮,০০০ স্বাধীনতাকামী বেলুচদেরকে গুম করে হত্যা করা হয়েছে। বেলুচদের বহু নেতাকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা আইএসআই ধরে ধরে হত্যা করেছে। বেলুচদের সবচেয়ে বড় নেতা আকবর বুগতিকে সামরিক শাসক পারভেজ মোশারফের নির্দেশে আইএসআই বেলুচে গিয়েই হত্যা করে। বেলুচরা স্বাধীনতা পাচ্ছে না কারণ তাদের কোন বঙ্গবন্ধু নেই।
মিরাজের সাথে কথা শেষ করে আমি আবার অফিস রুমে যাই। কোরিয়ান টিভিতে পেশোয়ারের শিশু গণহত্যার প্রতিবেদন দেখাচ্ছে। শিক্ষকদের অনেকেই কফির মগে চুমুক দিচ্ছে আর বিশাল আকৃতির টিভির পর্দার দিকে তাকিয়ে দেখছেন। দিন চারেক আগেই পেশোয়ারে সকালে সেই গণহত্যা সংগঠিত হয়।
কোরিয়ার টিভিতে সাধারণত এশিয়ার অন্যান্য দেশের ভাল সংবাদ গুলি কম স্থান পায়। পেশোয়ারের ঘটনাটি ব্যাপক কভার পেয়েছে কোরিয়ার গনমাধ্যমে। যাই হোক, অফিসে কর্মরত কোরিয়ানদের মুখমণ্ডলগুলি বেশ কঠিন দেখাচ্ছিল। তাদের চোখে মুখে সন্দেহ আর অস্বস্তির ছাপ প্রায় স্পষ্টই ছিল।
কোরিয়ানদের এই ধরনের আচরণ দেখে নিজেও বড় ধরণের একটা অস্বস্তির মধ্যে পরে গেলাম। মনটা আবারো নিউট্রাল অবস্থা হারিয়ে ফেলল। খারাপ লাগতে শুরু করল। প্রশ্ন করতে ইচ্ছা করল, পাকিস্তানে পেশোয়ারের শিশু গণহত্যার সাথে আমার সম্পর্ক কি?
ক্লাস শুরু হওয়ার আগে শিশু ও সকল শিক্ষকদের সাথে একটি হল রুমে ওয়ার্মআপ অনুশীলনে অংশ নেই। শিশুরা লাইনে দাড়িয়ে বিভিন্ন ধরণের গান করছে। আর কিছু শিক্ষক সামনে দাড়িয়ে নির্দেশনা দিচ্ছেন। মিরাজ সহ আমি শিশুদের পিছনে দাড়িয়ে আছি।
একটা বিষয় আবারো লক্ষ্য করলাম, বেশ কয়েকজন শিক্ষক আমাদের দিকে ঘন ঘন দৃষ্টি দিচ্ছে। মিরাজের ভিতরেও একটা বড় ধরণের অস্বস্ত্বির ভাব খেয়াল করলাম। আমরা বেশ কয়েক মিনিট চুপচাপ দাড়িয়ে ছিলাম। আমার ভীষণ রাগ হচ্ছিল। ইচ্ছে করছিল, হল রুম থেকে সরাসরি বাসায় চলে আসি।
আমি নিজেও সুযোগ বুঝে একবার মিরাজের দিকে, আরেকবার এই নিষ্পাপ শিশুর দিকে তাকাচ্ছিলাম। আর পেশোয়ারের ঘটনার ইমেজগুলি চোখের সামনে আনার চেষ্টা করছিলাম।দেখার চেষ্টা করলাম কিভাবে নিষ্পাপ শিশুদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। পেশোয়ারে হল রুমেই অধিকাংশ শিশুদেরকে হত্যা করা হয়েছে। মনে মনে ভাবছি এখন যদি মিরাজ একে ৪৭ দিয়ে পেশোয়ারের জঙ্গিদের মত গুলি ছোঁড়তে থাকে তখন কি হবে।
ওয়ার্ম আপ অনুশীলনের পরে আমি ডায়ানা এবং সহকারী প্রিন্সিপ্যালের সাথে কথা বলছিলাম। কথা বলতে বলতে অফিস রুমে কাছে আসলাম। সহকারী প্রিন্সিপ্যাল বলল, তারা জানত যে আমি বাংলাদেশী। অধিকাংশ কোরিয়ানরা কারো ধর্ম নিয়ে এত মাথা ঘামায় না। তবে আস্তে আস্তে পরিবর্তন হচ্ছে। আজকাল অনেক নিয়োগ বিজ্ঞতিতে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী হওয়া বাধ্যতামূলক হিসাবে উল্লেখ করা হয়। মনে হয় কোরিয়ানরা এটি আমাদের দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে শিখেছে। বাংলাদেশেই ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে মত সচেতন সমাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানেও বিভিন্ন ফর্মে ধর্ম কি উল্লেখ করতে হয়।
যাইহোক, ভাইস প্রিন্সিপ্যাল আমাকে জিজ্ঞাস করল, আর ইউ ইসলাম (শব্দটি হবে মুসলিম)?
আমি উত্তর দিলাম, না।
তখন বলল, দ্যান হোয়াট? উত্তর দিলাম, আইম নট এ স্ট্রং বিলিভার টু রিলিজন, বাট আই বিলং টু হিন্দু ফ্যামিলি।
প্রিন্সিপ্যাল বলল, ইউ টল্ড আস দ্যাট ইউ আর ফ্রম বাংলাদেশ। নাউ সেইং ইউ আর হিন্দু। হোয়াট’স প্রবলেম?
আমি বললাম, দেয়ার আর টেন পারসেন্ট হিন্দুস লিভিং ইন বাংলাদেশ।
ভাইস প্রিন্সিপ্যাল আমাকে বলল, এনি ওয়ে, গো টু দি ক্লাস রুম।
মাথা নেড়ে নেড়ে আরও বলল, উই আর ভেরি অরিড অব টেরর লাইক পাকিস্তান।
প্রিন্সিপ্যাল চলে যাওয়ার পর আমি কৌতুক করে ডায়ানাকে বললাম “আই’ম নট ফ্রম পাকিস্তান, আই’ম নট এ টেরোরিষ্ট”। কথা শুনে ডায়না হাসতে লাগল।
দুপুরের খাবারের সময় আমি আমার নতুন খণ্ডকালিন পাকিস্তানি সহকর্মীকে ডাক দিয়ে পাশে বসার আহ্বান জানাই। বেচারেও কিছুটা স্বস্তি পেল। খাবারের মেনুতে চিকেন সহ বিভিন্ন ধরনের কিমচি ছিল।সাথে একটি করে কমলা এবং দুইশত মিলিলিটারের ছোট দুধের প্যাক ছিল। শিক্ষকদের জন্য আলাদা টেবিল দেওয়া ছিল।
আমরা সবাই একসাথে খাবার নিয়ে খেতে বসি। সবাই যার যার ইচ্ছা মত খাবার নিয়ে আসল। হালাল চিকেন না থাকায় মিরাজ শুধু দুধ, কমলা এবং অল্প ভাত নিয়ে আসল। খাবার নিয়ে কোরিয়ান শিক্ষকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে মিরাজ বেচারার এই মাইনাস তাপমাত্রাতেও ঘাম বাহির হওয়ার অবস্থা।
দুপুরের খাবারের পর মিরাজের সাথে অনেকক্ষণ কথা বলার সুযোগ পাই। দুই জন মিলে শিক্ষক রুমে না গিয়ে চার তলায় হল রুমের এক কোনায় বসে কথা বলতে শুরু করলাম। আমার আগ্রহের বিষয় ছিল পেশোয়ারের শিশু গণহত্যার বিষয়টি নিয়ে।
প্রথমেই জানতে চাই, পেশোয়ারের গণহত্যাকে সে কিভাবে দেখছে?
মিরাজ বলল, ঘটনাটি অবশ্যই নিন্দাযোগ্য। টিটিপি (তেহরিক তালেবান পাকিস্তানি) এই ধরণের বড় আকৃতির ঘটনা না ঘটালেও পারত। আরও যোগ করল, এতে দেশের ভিতরে যে অংশটি টিটিপিকে সমর্থন দিয়ে আসছে, তাদের সমর্থন দেওয়ার ক্ষেত্রটি কঠিন হয়ে গেল।
দ্বিতীয় প্রশ্নটি ছিল, তুমি কি কোনভাবে মনে কর, টিটিপির এই ধরণের অপারেশন যৌক্তিক?
উত্তর দিল, তাদের দাবির প্রতি সরকার কি কোন সাড়া দিয়েছে? দেয়নি। পাঞ্জাবি সরকার (পাঞ্জাব দ্বারা নিয়ন্ত্রিত পাকিস্তানি সরকারকে বুঝিয়েছে) আমাদের (বেলুচদের) কথাও শুনছে না। বেলুচিস্তানে বহু স্বাধীনতাকামী সংগঠন সরকারের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। অনুযোগ করল, অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে ধরে ধরে হত্যা করছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।
তৃতীয় প্রশ্নটি ছিল, তুমি কি টিটিপিকে সমর্থন কর?
মিরাজ সরাসরি বলল, আমি করি। দুটি কারণে। প্রথমত: এদেরকে দেখে বেলুচ মুক্তিযোদ্ধারা উজ্জীবিত হচ্ছে এবং দ্বিতিয়তঃ এরা একটি শরিয়া ভিত্তিক সমাজ কায়েম করতে চাচ্ছে।
জানতে চাইলাম, বেলুচিস্তান স্বাধীন হলে কি একটি শরিয়া ভিত্তিক রাষ্ট্র হবে?
মিরাজ উত্তর দিল, এটি নিয়ে আরেকটি ঝামেলায় পরবে।অনেকেই চাইবে শরিয়া, আবার অনেকেই গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা চাইবে। সে যোগ করল, বেলুচ সমাজে মোট ১৯ টি উপজাতি গোষ্ঠী আছে। স্বাধীনতার প্রশ্নে সবাই এক হলেও স্বাধীনতার উত্তর শাসন ব্যবস্থা নির্ধারণ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান আছে।
মিরাজের কথায় পাকিস্তান সমাজের মূল সমস্যার প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে।আসলেই তাই। পাকিস্তান সমাজ আজ বহুভাগে বিভক্ত।
মিরাজকে আরেকটি প্রশ্ন করতেই হল। জানতে চাইলাম, লাল মসজিদের খতিব মাওলানা আবদুল আজিজ পাকিস্তানের তালেবানের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানকে অনৈসলামিক বলেছে। সে আজিজের অবস্থানকে সমর্থন করে কি না?
মিরাজ বলল, ধর্মের দৃষ্টিতে আসলেই অনৈসলামিক, কারণ টিটিপি শরিয়া শাসন ব্যবস্থার জন্য আন্দোলন করছে।
একটি প্রশ্ন মিরাজকে করা হয় নাই। টিটিপি দাবি করেছে, পেশোয়ারের গণহত্যাটি ইসলামের রীতিনীতি মেনেই করা হয়েছে। সেটি মিরাজ সমর্থন করে কিনা?
ইতোমধ্যে ক্লাসে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। ব্রেক টাইমে আবার দেখা হবে বলে দুইজন বিদায় নিলাম।
মন্তব্য…এটা কি সত্য কাহিনি? মুসলমান যাচাই না করে কিছু বলে না সুরা হুজ্ররাত আয়াত ৬
মিরাজদের বিদেশে বসবাসের পটভূমিসহ তাদের মানসিক অবস্থা ও অবস্থানের বিশ্লেষণ ভালো লাগছে। পরর্বতী র্পবের অপেক্ষায়।
“আমার বিশ্বাস,ডকিন্স আপনাকেও নাড়িয়ে দিবে। যদি আপনি সচেতন হন; যদি আপনি অন্ধ না হয়ে থাকেন।”
চমৎকার সাবলীল একটি লেখা। পরে ভাল লাগল। ক্লাশ শেষে আবার কি কথা হয় জানার অপেক্ষায়।
@আবদুল্লাহ আল হাসান, আপনাকে ধন্যবাদ। ক্লাশের পরের কথাগুলি শেয়ার করব।
এখানেই শেষ করে দিয়েন না। আপনার পরের লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
@রায়হান আবীর, ২য় পর্বটি আসছে।
এখানেই ইসলামিক সন্ত্রাসের আসল চেহারা। তারা শরীয়া প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ মারাকেও ইসলামিক বলবে, তাতে আর আশ্চর্য কি? মিরাজকে যে প্রশ্ন করতে পারেন নি, তার উত্তর আগাম আন্দাজ করে নিন। সে মডারেট মুসলিম হলে অবশ্য মুখে অন্তত ‘সন্ত্রাসীর কোন ধর্ম নেই’ বলে দায়মুক্তি দিত টিটিপিকে, আর অন্তরে তালেবানের মত সেই একই মৌলবাদী ধারণা লালন করত।
ভাল লেগেছে আপনার লেখাটি। লিখতে থাকুন।
@আশরাফুল আলম, অতি সত্য কথা বলতে গেলে সমস্যা অনেক। চারপাশে শুধু ভয় আর ভয়।বিভিন্ন ধরণের ট্যাগ খেতে হয়।
এই পোস্ট টা পড়ে আমার খুব ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ লেখক কে।
আমাদের বর্তমান সমাজ আজও সেই জাহেলিয়াত যুগেই রয়ে গেছে। ইচ্ছা অনিচ্ছা কে বিসর্জন দিয়ে ধর্মিয় অনুশাসন কে পালন করতে আমাদের বাধ্য করা হয়। নিজের মতের কোন অধিকার নেই। যদি কেউ এই গোঁড়ামি কে রুখতে চাই বা না মানতে চাই সমাজে তার কি অবস্থান হয়ে যায় সেই অভিজ্ঞতা আমার অনেক।
তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ আমাদের নাস্তিক্য অধিকার প্রতিসঠা নিয়ে কিছু লেখেন।
@রিহানা সাবা খান, আপনার ছোট নোটটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা শিশু অবস্থা থেকেই হরণ করা হয়। শিশু অধিকার নিয়ে অনেকেই কথা বলি। কিন্তু শিশুদেরকে যে ধর্ম ছাপিয়ে দিয়ে ধর্মীয় স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে, তা নিয়ে আমরা কেউ কথা বলছিনা। আমার মনে হয়না খুব তাড়াতাড়ি সাধারন মানুষ এই বায়বীয় বিশ্বাস থেকে বাহির হতে পারবে। কারন ধর্মের রাজনৈ্তিক ডাইমেনশানটি আগের চেয়ে বেশি নির্ভরশীল এবং লাভজনক।
ডকট্রিন বলতে কি বুঝিয়েছেন একটু খোলাসা করে বলবেন নাকি?
স্বাগতম।
@কাজী রহমান, ডকিন্সের ডকট্রিন বলতে মুলত বিবর্তনবাদের উপর উনার মতবাদকেই বুঝিয়েছি। একটি লিংক শেয়ার করা হল। https://richarddawkins.net/2013/03/the-dawkins-doctrine/
মুক্তমনায় স্বাগতম। সাবলীল ভাষায় লেখা আপনার প্রবন্ধটি মন ছুঁয়ে গেল।
@অভিজিৎ, আপনাকে ধন্যবাদ। মুক্তমনায় লিখতে পেরে ভাল লাগছে।
ব্রেকের পরের আলোচনাটাতো শোনা হলো না….!
@কেশব কুমার অধিকারী, আসিতেছে…………
লেখাটি সুন্দর, সময়োচিত ও বহুমাত্রিক। ভাল লাগল। তবে যেন শেষ হইয়াও হইলনা শেষ এর মত একটু অতৃপ্তি রয়ে গেল। বিরতির পর কথপোকতন আশা করি পরে প্রকাশিত হবে। ধন্যবাদ।
@সৃষ্টিছাড়া, আশা রাখছি মিরাজকে নিলে আরও লিখব। আপনাকে ধন্যবাদ।
মুক্তমনায় স্বাগতম। লেখাটির জন্য ধন্যবাদ।
@তামান্না ঝুমু, আপনাকেও ধন্যবাদ। মুক্তমনায় লিখার সুযোগ পেয়ে খুশি।