(এই গল্পের সমস্ত চরিত্র কাল্পনিক। বাস্তবের সঙ্গে মিলে যাওয়া নিতান্তই কাকতালীয়।)
একদা মুসলিমদের সেক্যুলার হবার সখ হয়েছিল। সেটা ১৯৭১ সালের কথা। অবশ্য সেটাকে সেক্যুলারিজমও বলা যাবে না- কেননা তারা “বাঙালী জাতীয়তাবাদ” চাইছিল, সেটা তাহলে কেমন করে সেক্যুলারিজম হয়? আসলে হয়েছিল কি, “আমরা সবাই মুসলমান” এই ভ্রাতৃত্ববোধ একদা এই অঞ্চলের মুসলিমদের কপাল পুড়িয়েছিল। গল্পের সেই বোকা ভাই আর চতুর ভাইয়ের মত। বোকাটা গরুর সামনের অংশটা ভাগ পায়, চতুরটা বাগিয়ে নেয় গরুর পেছনের অংশ। বোকাটা গরুকে শুধু খাইয়ে যায়, চতুরটা তার ভাগের পেছনের অংশটা থেকে দুধ দুইয়ে নেয়! কথায় আছে পেটে খেলে পিঠে সয়। যখন পেটে টান পরলো তখন দেখলো আর ওদের সঙ্গে নয়। “ওরা” আর “আমরা” তখন হয়ে গেলাম- “বাঙালী” আর “পাঞ্জাবী”। সবাই মুসলমান তবু প্রত্যেকের আলাদা পরিচয় আছে আর “আমরা সবাই মুসলমান” চেতনায় সেই পরিচয়টাই বড় হয়ে দেখা দেয়!

তো, সেই বাঙালী হবার মিশনে একদা মুসলমান জাতীয়তাবাদী, পাকিস্তান আন্দোলনের কর্মী ও একনিষ্ট সমর্থক বাংলার বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেন কান্ডারী। শেখ মুজিব ব্যক্তি জীবনে উদারপন্থি মুসলমান ছিলেন। তার এই স্বরূপ তার রাজনৈতিক জীবনেও প্রতিফলিত হয়েছিল। শেখ মুজিব ভাষণ দিলেন, …হিন্দু-মুসলমান, বাঙালী-ননবাঙালী, সবাই আমাদের ভাই…। এটা বলার জন্য সেক্যুলার নেতা হওয়া লাগে না। তবে এই যে বিশাল ভূখন্ড, লোকে যাকে ভারতীয় উপমহাদেশ নামে চেনে, সেখানে অন্যের ধর্মের অধিকার আছে- এটুকু বুঝবার জন্য সেক্যুলার হওয়া লাগে! এমন কি নাস্তিক না হলে কেউ বুঝতেই পারে না শুধুমাত্র ধর্মের পরিচয়ে কাউকে অধিকারবঞ্চিত করা যায় না। ইউরোপ-আমেরিকার ধর্মবাদী লোকজনও বুঝতে পারবে না- লোকে কেন অন্যকে ধর্মীয় অধিকার দিবে না? ধর্মের কারণে কেন সে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হবে? এখানে নাস্তিক, নিদেনপক্ষে সংশয়বাদী না হলে অসাম্প্রদায়িক হওয়া যায় না! …যাই হোক, শেখ মুজিব তখনকার প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীদের সমর্থন পেয়ে গেলেন। সেই বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই নাস্তিক, সংশয়বাদী হয়ে থাকতে পারেন। “সাচ্চা মুসলমান” যে ছিলেন না সেটা বেশ বুঝা যায়। সেই বুদ্ধিজীবীদের রচনা পড়লে এমন ধারনা জন্মায়। তাদের আসলে সবচেয়ে ভাল করে চিনেছিল জামায়াতে ইসলামী ও মুসলিম লীগ নামের দুটো রাজনৈতিক দল। তারা জানতো, পাকিস্তান রাষ্ট্র ভেঙ্গে গেলেও খুব বেশি ক্ষতি নেই কিন্তু এরা বেঁচে থাকলে তাদের কোন আশা নেই। কারণ “পাকিস্তান” যেমন একটি রাষ্ট্রের নাম- এটাই পুরো সত্য নয়, “পাকিস্তান” একটি আদর্শের নাম। “পাকিস্তান” ভেঙ্গে গেলেও সেই ভাঙ্গা অংশে “পাকিস্তান” আদর্শ প্রতিষ্ঠা করার প্রধান বাধা হতে পারে এই বুদ্ধিজীবীরাই। তাদেরকে তাই লিস্ট করে, নামধাম লিখে হত্যা করা ছাড়া তাদের কোন পথ ছিল না। যেমন ছিল না শেখ মুজিবকে হত্যা না করাটা। কারণ শেখ মুজিব বেঁচে থাকলে “পাকিস্তান” আদর্শ ও এই আদর্শ বাস্তবায়নকারীরা ক্ষমতার বলয়ে কোনদিন আসতে পারবে না। শেখ মুজিব এগুচ্ছিলেন “মডারেট মুসলিম কান্ট্রি” লক্ষ্যে। তার ওআইসিতে যোগদান, মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে “ভাই” ডাকা, ইসলামী ফাউন্ডেশন গঠন- এসব একটা মধ্যপন্থা ইসলামী রাষ্ট্রেরই বাহ্যিক চেহারা। শেখ মুজিব দেশ স্বাধীন হবার পর প্রথম দেশের মাটিতে পা রেখে নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন এভাবে,- আমি বাঙালী! আমি মুসলমান!… আদীবাসী, ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বা যা-ই বলুন তাদের কাছে একটা ম্যাসেজ পৌঁছে গিয়েছিল মনে হয়। আর সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশে হিন্দুদের কাছে? খ্রিস্টান, বৌদ্ধ? শেখ মুজিব তো বলছেন তিনি মুসলমান! ইসলামী রাষ্ট্র ভেঙ্গে শেখ মুজিবের কি অবচেতন মনে কোন অস্বস্তি ছিল?

যাই হোক, দেশের বুদ্ধিজীবী বাদে গোটা দেশের মানুষের মনে তখন কি ছিল? সবাই সেক্যুলার হয়ে পড়েছিল নাকি? পাকিস্তান আন্দোলন ছিল গোটা অঞ্চলের আমজনতার আন্দোলন। কারণ সেটা মুসলমানের পৃথক দেশ হবে। “বাংলাদেশ” হবে, সেটা কেমন আদর্শে হবে- সেটা চিন্তার করার মত তখনকার পাবলিক- আজ থেকে ৪৩ বছর আগে এই দেশের মানুষকে আজকের মত রাজনৈতিক সচেতন ভাবতে পারছি না। খবরের কাগজ তখন কটা পরিবারে রাখা হতো? টেলিভিশন তো ভয়ানক ধনী লোকের বিলাশ! বেশির ভাগ মানুষ “শেখ সাবের” ভক্ত ছিল, কিন্তু অসাম্প্রদায়িক চেতনা আম জনতার মধ্যে কখনোই প্রবেশ করেনি…।

যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে দেশের আমজনতাই অবশ্য গোটা যুদ্ধে প্রধান ভূমিকা নেয়। তারা শুধু একটা কথাই জানে, নিজের দেশ আক্রান্ত হয়েছে, এখন দেশকে শত্রুমুক্ত করতে হবে। এই দেশের কৃষক, শ্রমিক কোনদিন ভেবেছে দেশ স্বাধীন হলে তাদের অমুক-তমুক হবে? ছাত্রদের হয়ত ভাবনা থাকলেও থাকতে পারে- যে দেশ স্বাধীন হলে আমরা চাকরির সর্বচ্চ শিখরে পর্যন্ত পৌঁছতে পারবো। আর্মিও হয়ত ভেবেছিল, দেশ স্বাধীন না হলে আমরা কোনদিন সেনাপ্রধান হতে পারবো না! রাজনৈতিক নেতারাও হয়ত ভেবেছিলেন, দেশ স্বাধীন না হলে আমরা কোনদিন উজির-নাজির হতে পারবো না। কিন্তু বাংলার কৃষক, শ্রমিক, দিনমুজুর ভাবেনি দেশ স্বাধীন হলে তাদের হাতি-ঘোড়া হয়ে যাবে…।

“পাকিস্তান” আদর্শের লোকেরাও কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন করতে যুদ্ধ করেছে। শেখ মুজিবের রাজনীতির সঙ্গে তাদের বিরোধ ছিল। তারা দেশ হিসেবে “পাকিস্তান” রাষ্ট্রকেই পারফেক্ট মনে করতো। মুসলিম জাতি পরিচয় ও ইসলামী বিশ্বাস, উপমহাদেশের ঐতিহ্যগত হিন্দু-মুসলিম বিরোধ, হিংসা, পরস্পর অবিশ্বাস তাদের পাকিস্তানী স্টাইলের রাষ্ট্রই আস্থা দিয়েছিল। সেখানে শেখ মুজিব একটু ভারতঘেঁষা…। ৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে যে সোলজারদের সঙ্গে ভাই ভাই হয়ে কাঁধে কাঁধ রেখে হিন্দুস্থানী কাফেরদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে- মাত্র ৫-৬ বছরের মধ্যে এমন কি ঘটে গেলো যে সব পাল্টে যাবে? পাকিস্তানী বর্বরতার একটা জবাব দেবার ব্যাপার ছিল। ছিল কিছু অবজ্ঞার জবাব দেবার। তাই যে মেজর-জেনারেলদের একসময় লক্ষ করে গুলি ছুড়েছিল, তাদের সঙ্গেই এক কেম্পে বসে সেই “ভাইদের” বিরুদ্ধে গুলির লক্ষভেদ নিয়ে পরামর্শ চলে! মেজর জলিল নামের একজন সৈনিক মুক্তিযোদ্ধার “সীমাহীন সমরে” বইটি পড়লে তাদের মানসিকতাটা বুঝতে পারি অনেকটা…।

জিয়াউর রহমান নামের একজন সৈনিককে পরবর্তীকালে পাকিস্তানী ভাবাদর্শে গা ভাসাতে, ফের পাকিস্তানী বোলচালে ফিরে যেতে দেখে যারা অবাক হয়েছিল তারা বোধহয় গোড়ার এই অবস্থাটা বিবেচনায় আনেননি।

…এদিকে পাকিস্তানে আটক থাকা বাকী সৈনিকদের অবস্থা তো ছিল আরো ভয়ংকর! তারা নাকি সেখানে প্রকাশ্যেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচরন করতো। যুদ্ধ শেষে এরাই সদ্য স্বাধীন দেশে ফিরে এক অদ্ভূত পরিস্থিতিতে গিয়ে পড়ে। যুদ্ধ করা সৈনিকরা এদের দিকে তাকায় নিজের বাড়া ভাতে ভাগ বসাতে আসা অনাহূত’র দিকে লোকে যেভাবে তাকায় সেভাবে। এই গোটা অংশ মিলে যে সেনাবাহিনী, তারাই পরবর্তীকালে হয়ে উঠে এই দেশের শাসনকর্তা। শেখ মুজিবের মত নেতা বেঁচে থাকলে মুসলমানদের মধ্যপন্থা একটা দেশ হতো। মধ্যপ্রাচ্যের “বড়ে মুসলমানরা” সেটা চাচ্ছিলেন না। একে পাকিস্তানের মত একটা “টুপি-দাড়িঅলা” রাষ্ট্রকে ভেঙ্গে দুর্বল করা হয়েছে বলে আমৃত্যু শেখ মুজিবকে তারা ক্ষমা করেননি। শেখ মুজিবকে হত্যার পর তাই একজন বিশ্বাসযোগ্য সাচ্চা মুসলমান নেতা তাদের চয়েজ করা জরুরী হয়ে পড়েছিল। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধ ফেরত হলেও তারা এনালাইস করে দেখেছে “আদর্শে সে পাকিস্তানী”। এরশাদের মধ্যেও একজন বিশ্বাসযোগ্য মুমিন নেতার সব কিছু তারা পেয়েছিল। মাধ্যপ্রাচ্যেও তাই এই সেনানায়েকের সমর্থন সব সময়ই ছিল…।

তো বাংলাদেশ একটা মুসলিম প্রধান দেশ। দেশভাগের আগে এই দেশটা ছিল হিন্দু আর মুসলিম মিলে এমন এক অনুপাত যাতে কোন বিশেষ সম্প্রদায় প্রধান বলা যেতো না। কিন্তু “মুসলমানদের জন্য পৃথক” দেশ বানানোর জন্য হিন্দুদের দেশ ছাড়া করতে হলো। যেমন হিন্দুদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র করার জন্য মুসলিমদের দেশ ছাড়া করা হয়েছিল। এই অঞ্চলে তারপর রায়ট, ৬৫ সালের যুদ্ধ, ৭১ সালের যুদ্ধ মুসলিম জনসংখ্যাকে ওয়াকাভার দিয়ে হিন্দুরা দেশান্তরীন হতে থাকে। এই মুহূর্তে হিন্দুদের সংখ্যা কত পার্সেন্ট ৩ নাকি ৪? এখন এই বাকী লোকগুলোকে আমরা নিশ্চয় সুসমাচর দিতে পারি, চিন্তার কিছু নাই, সামনে মদীনা সনদের অনুযায়ী আমরা দেশ চালাবো- তখন তাদের আর কোন দু:খ থাকবে না!

এই দেশের একটি ক্ষুদ্র অংশ (তাদের মধ্যে বুদ্ধিজীবী, প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মী, লেখকরাই বুঝায়) সেক্যুলার বাংলাদেশের কথা বলেন। এই সেক্যুলার রাষ্ট্রের কোন নজির আমাদের সামনে নেই। আমরা ৭২ সালের সংবিধানে ফেরার কথা বলি, কিন্তু সেখানে ফিরে কি পাওয়া যাবে সেটা বলি না। ৭২ সালের সংবিধান দিয়েই ওআইসির সদস্য হওয়া গিয়েছিল। ইসলামী ফাউন্ডেশন করতে ৭২ সালের সংবিধান গড়িমশি করেনি। তাহলে কিসের ৭২ সালের কিচ্ছা শুনান আমাদের আপনারা?

আমরা এখন নিরুঙ্কুশ মুসলিম মেজরিটি। হাজার বছরের এই অঞ্চলের হিন্দুত্ববাদীর অবসান ঘটিয়ে প্রথমে পাকিস্তান মুসলমানের শাসন কায়েম করেছিল। তারপর শেখ মুজিব সেটাও মুসলিম শাসন, হিন্দুরা তখন থেকেই ক্রমশ সরে যেতে থাকে নিরাপদ স্থানে।পুরোপুরি ১০০ ভাগ মুসলিম অধুষ্যিত দেশ হতে হয়ত আল্লার মর্জি ২০৫০ নাগাদ লাগতে পারে!

… তবু মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকীর জবাই করা দেহ নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতেই পারে অমৃত লালের তুলনায়! অমৃত লাল রায়টে গলাকাটা পড়েননি। ৬৫ সালের শত্রু হিসেবে চিহ্ন হলেও বেঁচেবর্তেই ছিলেন। ৭১-এ বর্ডার পার হলেও ফের ফেরত এসেছিলেন। ৯০-এ বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার সেই গনগনে দিন পর্যন্ত তিনি বেঁচেছিলেন কিনা জানি না।…

আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের “খোঁয়ারী” গল্পের সমরজিৎ আর তার বাপ অমৃতলাল একের পর এক রায়ট আর যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে যাওয়া এক ক্ষয়িষ্ণু পরিবারের দুই পুরুষ। সদ্য স্বাধীন দেশে ফিরে এসেছে পুরান ঢাকার নিজেদের বসত বাড়িতে। নয়মাস বাড়িটাকে পাকিস্তানী সৈনিকরা নরক বানিয়ে রেখেছিল। বাপ আর ছেলে ফিরে এসেছে ঘরটর সারিয়ে-টারিয়ে পরিবারের বাকী সদস্যকে ফিরিয়ে আনবে কোলকাতা থেকে। এদিকে “পার্টির” কিছু যুদ্ধ ফেরত ছেলে জাতির ভাগ্যবিধাতা হয়ে উঠেছে। দেশের সেবা করার জন্য তাদের তাই অমৃত লালের বাড়ির নিচতলাটা চাই। গোঁয়ার অমৃতলাল সেটা দিবে না। তার আছে পূর্বকালের বনেদীপনার নষ্টালজিয়া। যারা আগে তাদের গাড়ি চালাবার জন্য হাতে-পায়ে ধরতো, আজ তাদের ছেলেপুলেই বাড়ি এসে আঙ্গুল নেড়ে কথা বলে যায়! সমরজিৎ অমৃতলালের মত বাস্তববর্জিত নয়। সে জানে এই দেশে থাকলে হলে ম্যানেজ করে থাকতে হবে। সে ফারুক, জাফরদের মন খুশি করেই চলে। বিহারী ইফতেখার যেমন খুশি করে চলে অবিকল তার মত সমরজিৎও জাফরের সমস্ত কথা হজম করে ফেলে।… সমরজিৎদের বাড়ির গেটটার বড় দরজাটা বহুকাল আগে থেকে কাঠ পেরেক মেরে বন্ধ করা। ছোট খুপরি দরজা দিয়ে মাথা নামিয়ে ঢুকতে হয়। সেখান থেকে বের হতে গিয়ে জাফরের যখন মাথায় লেগে যায়, যন্ত্রণায় তার মুখ দিয়ে যে কথাক’টি বেরিয়ে পড়ে সেটা আসলে আমাদের সংখ্যাগরিষ্টের সংখ্যালঘুর দেশত্যাগ… সংখ্যালঘু নির্যাতন… হ্যানত্যানের বিরুদ্ধে এক দাঁতভাঙ্গা জবাব। জাফর বলে, “বড় গেটটা খুলে দিলেই পারেন। এসব বন্ধ করে দুর্গের মধ্যে থাকেন কেন? এখনো সবাইকে শত্রু ভাবেন নাকি?”…

অমৃত লালের নাতিপুতিদের কি অবস্থা জানি না। তবে নুরুল ইসলাম ফারুকীদের অবস্থা জানি। …আর কত বাকী হে পাঞ্জেরী?… শতভাগ মুসলিম দেশে গলাকাটা মুন্ডু নিয়ে ভাবীকালের কোন জিহাদী সেলফি তুলে সেটাই যখন অনলাইনে আপলোড করে দন্ত বিকশিত করবে- সেদিন কি কেউ খুব বেশি অবাক হবেন?…