গত ২৫ শে মার্চ বাংলা নিউজে কণ্ঠশিল্পী আরেফিন রুমির একটা সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয় “বাংলাদেশের আল্লাহ খোদার নাম নিয়ে খেলা উচিত” শিরোনামে। মতিকণ্ঠ স্টাইলে শিরোনাম দেখে নিউজের মধ্যে গিয়ে আরও অবাক হলাম, আল্লাহার নাম নিয়ে খেলা প্রসঙ্গে শিল্পী আরেফিন রুমি বলেছেন –

“বাংলাদেশের আর একটি সমস্যা হলো মুসলিম দেশ হওয়া সত্বেও আমরা ইবাদত করি না। অন্যান্য দেশ যেমন পাকিস্তানিরা যেমনই হোক না কেন মাঠেই তারা নামাজ পড়ে। কিন্তু বাংলাদেশ ইবাদত না করে খেলাটাকেই বেশি গুরুত্ব দেয়। আমি মনে করি মুসলমান জাতি হিসেবে বাংলাদেশের আল্লাহ খোদার নাম নিয়ে খেলা উচিৎ।”

যা বুঝলাম আরেফিন রুমি ইবাদতের দিকে গুরুত্ব আরোপ করেছেন এবং মাঠে বসেই পাকিস্তানী ক্রিকেটারদের মতো নামাজ পড়তে উৎসাহিত করছেন। রুমির ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেক গুঞ্জন আছে যেমন তার ওয়েস্টার্ন লাইফস্টাইল, বিয়ের সংখ্যা, মেয়ে ঘটিত ব্যপার প্রভৃতি। তবে কারো ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে অপযুক্তি প্রদান করতে চাই না, কিন্তু যুক্তিবাদী মনে তারপরও কিছু প্রশ্ন চলে আসে যেমন –

@ শ্রীলংকা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড বা ভারতের মতো দলগুলো মাঠে আল্লাহ খোদার উপাসনা না করেও এতো ভালো খেলে কিভাবে?

@ যদি প্রতিপক্ষ ২ দলই আল্লাহ খোদার নাম নেয় তাহলে আল্লাহ কোন পক্ষে যাবে? যেমন আফগানিস্তান ও পাকিস্তান যদি আল্লাহ খোদার নাম নিয়ে শুরু করে তাহলে আল্লাহ কি করবে??

@ বাংলাদেশ মুসলিম দেশ হবার পরেও আল্লাহ খোদার নাম না নেয়ার ফলে ভালো ফলাফল করতে পারছে না! তার মানে পাকিস্তান, আফগানিস্তান কি সব দলের সাথে ভালো ফলাফল করে?

এসব প্রশ্ন না হয় রুমির জন্য, তবে আমার মন প্রশ্নবিদ্ধ হয় মোল্লা, হুজুর ও ধার্মিকদের কিছু অংশের ক্রিকেটের প্রতি আকর্ষণ দেখে। ২০ বছর আগেও বাংলাদেশে মোল্লারা ক্রিকেট বুঝতো না বললেই চলে, জাগতিক এই সব দিকে নজর না দিয়ে তারা পরকালের উন্নয়নে ব্যস্ত থাকতো। কিন্তু ইদানীং পাকিস্তানকে সাপোর্ট করতে যেয়ে একদল নব্য মোল্লার আবির্ভাব হয়েছে যারা ক্রিকেটের মতো শয়তানী খেলায় সময় নষ্ট করছে। ক্রিকেটকে ওয়েস্ট অফ টাইম আমি বলিনি বলেছেন উপমহাদেশের প্রক্ষাত ইসলামিক ব্যক্তিত্ব জাকির নায়েক।

অধিকাংশ ইসলামী চিন্তাবিদ ক্রিকেটকে হারাম বললেও জাকির নায়েক টেকনিক্যালি ব্যপারটি এড়িয়ে যেয়ে ওয়েস্ট অফ টাইম এবং না দেখা বা খেলাই উচিত বলেছেন। জাকির নায়েকের ক্রিকেট সম্পর্কিত ১ মিনিট ৪২ সেকেন্ডের ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে

তবে জাকির নায়েক ব্যাপারটি এড়িয়ে গেলেও অনেক ইসলামিক চিন্তাবিদ এটিকে এড়িয়ে যান নি। আমরা এখন এই বিষয়টা নিয়েই আলোচনা করবো। তাহলে আমাদের প্রধান প্রশ্ন হলো ক্রিকেট খেলা বা দেখা কি হারাম? প্রশ্নটা সম্পর্কে অধিকাংশ ইসলামী চিন্তাবিদের মন্তব্য হলো অবশ্যই এটি হারাম। নিম্নে তাদের চিন্তাধারার আলোকে এই সম্পর্কিত কিছু যুক্তি উত্থাপন করা হলো –

বিধর্মীদের অনুসরণঃ কোরআনে স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে “হে মুমিনগণ, তোমরা ইসলামে পূর্ণরূপে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের জন্য স্পষ্ট শত্রু । [ সুরা বাকারা ২০৮] এখন কথা হলো, ক্রিকেটের মতো খেলাটি কিন্তু বিধর্মী শয়তানদের আবিস্কার। বিধর্মীদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে এই ধরণের খেলা একজন মুসলিমের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় কিভাবে?

বিধর্মীদের চক্রান্তঃ মুসলমানদের ঈমান-আমল নষ্ট করে কুফরীতে নিমজ্জিত করার জন্য ইহুদী-খ্রিস্টানরা নানা প্রকার হুজুগ দ্বারা মুসলমানদেরকে হারাম আনন্দে মশগুল করে দিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “ইহুদী-নাছারা তথা আহলে কিতাবদের মধ্যে অনেকেই প্রতিহিংসাবশত চায় যে, মুসলমান হওয়ার পর তোমাদের যে কোন রকমে কাফিরে পরিণত করতে।” (সূরা বাক্বারা : আয়াত শরীফ ১০৯) তাই তারা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে থাকে, মুসলমানদেরকে ঈমানহারা করার জন্য। যেমন একদিকে খেলার সাথে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে চেষ্টা করছে, অপরদিকে টেলিভিশনে খেলা ও হাজারো অশ্লীলতা দেখিয়ে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতি নষ্ট করে চরম পাপাচারে মত্ত করার কোশেশ করে যাচ্ছে। এ কারণে মাঠে গিয়ে হোক আর টিভিতে হোক সর্বাবস্থায়ই খেলা দেখা হারাম ও কবীরা গুনাহর অন্তর্ভুক্ত বলেই মনে করা হয়ে থাকে।

অপচয়ঃ ক্রিকেট একটি অপচয়ের খেলা। এটি পৃথিবীর অন্যতম ব্যয়বহুল খেলা গুলোর মধ্যে একটি। কোরানে তাবযীর বা অপব্যয় সম্পর্কে অনেকগুলো আয়াত রয়েছে। সূরা বনী ইসরাইলের ২৭ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, “নিশ্চয় অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই। শয়তান তার প্রতিপালকের প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ।” অপ্রয়োজনে এই অপচয় ইসলাম সমর্থন করে কিভাবে?

নামাজে অবহেলাঃ ক্রিকেট একটা দীর্ঘ সময়ের খেলা। বিশেষ করে টেস্ট ও ওয়ানডে খেলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ওয়াক্তের নামাজকে অবহেলা করা হয়। ইতিমধ্যেই নামাজের বিরতি বলে একটি বিরতি দেবার দাবী উঠলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলে তা ধোপে টেকে নি কারণ পাকিস্তান ব্যতিরেকে ক্রিকেটের দাদাগিরি এখনো বিধর্মীদের নিয়ন্ত্রণে। এজন্য অনেক পাকিস্তান ক্রিকেটারকে মাঝেমধ্যে পানিপানের বিরতির সময় মাঠে বসেই নামাজ আদায় করতে দেখা যায়। নামাজ রেখে ক্রিকেট খেলা বা দেখা কোনটাই কিন্তু ইসলাম অনুমোদন করে না।

ছোটকালে ইসলাম শিক্ষায় শিখেছিলাম “নামাজকে বলো না আমার কাজ আছে বরং কাজকে বলো আমার নামাজ আছে”, এই কাজ বলতে যে কোন ধরণের কাজ হতে পারে, সেটা যত গুরুত্বপূর্ণই হোক না কেন নামাজের থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোন কাজ নেই। আর এক ওয়াক্ত নামাজ ক্বাযা করলেও রয়েছে ২ কোটি অষ্টাশি লক্ষ বছর জাহান্নামে থাকার মতো শাস্তি, নিম্নে এই বিষয়ে কিছু হাদিস উল্লেখ করছি – নবী করীম সা. বলেন, “যে ব্যক্তি নামাজ এমনিভাবে ছেড়ে দেয় যে, উহার ওয়াক্ত চলে যায়। অতঃপর ক্বাজা আদায় করে দেয়। তবুও যথাসময়ে না পড়ার দরূন এক ‘হোকবা’ পর্যন্ত জাহান্নামের আগুনে তাকে শাস্তি দেয়া হবে।” (প্রতি ‘হোকবার’ পরিমাণ পৃথিবীর দুই কোটি অষ্টাশি লক্ষ বৎসর)।” [ মাজালিসুল আবরার] এছাড়া হাদীস শরীফে রয়েছে,

যে ব্যক্তি নামাজে অবহেলা প্রদর্শন করে আল্লাহ তাকে চৌদ্দ প্রকার শাস্তি প্রদান করেন। এরমধ্যে পাঁচ প্রকার শাস্তি দুনিয়াতে, তিন প্রকার মৃত্যুর সময়ে, তিন প্রকার শাস্তি কবরে এবং তিন প্রকার কিয়ামতের দিন এই মোট ১৪ প্রকার শাস্তি।

দুনিয়ায় পাঁচ প্রকার শাস্তিঃ
১. তার জীবন ও জীবিকার বরকত কেড়ে নেয়া হবে।
২. তার চেহারা হতে নূর মুছে ফেলা হবে।
৩. সে যেকোন নেক আমল করুক আল্লাহ্‌ তাতে কোন ছওয়াব দান করবেন না।
৪. তার কোন দো’য়াই কবুল হবেনা।
৫. নেককারদের দো’য়ার বরকত হতে বঞ্চিত হবে।

মৃত্যুকালিন তিন প্রকার শাস্তিঃ
৬. অপমানিত ও লাঞ্ছিত অবস্থায় তার মৃত্যু হবে।
৭. ক্ষুধার্ত অবস্থায় মৃত্যুবরন করবে।
৮. চরম তৃষ্ণার্ত অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করবে, যদি সমস্ত পৃথিবীর পানিও তাকে পান করানো হয়, তবুও তার তৃষ্ণা নিবৃত্ত হবেনা।

কবরের তিন প্রকার শাস্তিঃ
৯. তার কবর এত সংকীর্ণ করা হবে যে, তার এক পাঁজরের হাড় অন্য পাঁজরের মধ্যে ঢুকে যাবে।
১০. তার কবরে আগুন জ্বালানো হবে, সে উহার শিখার উপর দিনরাত উলট-পালট অবস্থায় দগ্ধ হতে থাকে।
১১. তার কবরে একটি ভয়ংকর বিষধর অজগর নিয়োগ করা হবে। যার চোখ দু’টি আগুনের এবং নখরগুলি লোহার তৈরী হবে। অজগরটি বজ্রের ন্যায় আওয়াজ দিবে এবং মৃত ব্যক্তিকে চব্বিশ ঘন্টা রাতদিন কিয়ামত পর্যন্ত দংশন করতে থাকবে।

কিয়ামতের তিন প্রকার শাস্তিঃ
১২. অত্যন্ত কড়াকড়ি ভাবে বেনামাজীর হিসাব নেয়া হবে।
১৩. তার উপর আল্লাহর শাস্তি হবে।
১৪. অত্যন্ত অপমানের সাথে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।

এইবার আপনারাই বলুন নামাজকে অবহেলা করে এতোবড় শাস্তিকে উপেক্ষা করে এই ধরণের বিধর্মীদের সারা দিনরাত্র ব্যাপী খেলা কি কখনো একজন মুসলমান সমর্থন করতে পারে?

ক্রিকেট নিয়ে জুয়াখেলাঃ ক্রিকেট আর নিছক খেলা নেই, এটা নিয়ে চলে এখন ভাগ্যপরীক্ষা অর্থাৎ জুয়াখেলা। টি টুয়েন্টি ফরমেট এসে সাম্প্রতিক সময়ে এই জুয়াখেলা অধিক হারে বেড়েই চলছে। প্রতি ওভারে, প্রতি প্লেয়ারে আজকাল বাজি ধরে জুয়াখেলা হচ্ছে। অবশ্যই ইসলামে জুয়াখেলা একটি হারাম ও ঘৃণিত কাজ এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।

মহিলা ক্রিকেটঃ নারীদের ক্রিকেট নামে আজকাল এক ধরণের ক্রিকেট শুরু হয়েছে যা ইসলামী অনুশাসনের মারাত্মক লঙ্ঘন। ইসলাম কোন সময় এই ভাবে বেপর্দা হয়ে নারীদের বেলাল্লাপানা খেলাধুলাকে সমর্থন করেনা। এই বিষয়ে কিছু প্রাসাঙ্গিক আয়াত ও হাদিস উল্লেখ করছি যা কোনভাবেই বেপর্দা হয়ে নারী ক্রিকেটকে সমর্থন করেনা।

“তারা যেন নিজেদের আভরণ প্রকাশ না করে তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুষ্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, আপন নারীগণ, তাদের মালিকানাধীন দাসী, পুরুষদের মধ্যে যারা যৌন কামনা-রহিত পুরুষ এবং নারীদের গোপন অঙ্গ সম্বন্ধে অজ্ঞ বালক ব্যতীত অন্য কারো নিকট।” (সূরা নূর ২৪ : ৩১)

“হে নবী! মুমিন নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে ও তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। তারা যেন সাধারণত যা প্রকাশ থাকে তা ছাড়া নিজেদের আভরণ প্রদর্শন না করে।” (সূরা নূর : ৩১)
“তারা যেন গ্রীবা ও বক্ষদেশ মাথার কাপড় দ্বারা আবৃত করে।” … (সূরা নূর : ৩১)

ক্রিকেট নাচ-গানের উৎসঃ ক্রিকেট এখন নাচ গান ও বাজনার বড় উৎস। আইপিএল এর মতো বড় বড় আসরে চিয়ার্স গার্লরা স্বল্প কাপড় পড়ে যেভাবে নাচগান করে তা কোন ভাবেই ইসলাম সম্মত নয়। টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরের চার ছক্কার হৈ হৈ ফ্ল্যাশ মব নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্কুল পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের একসাথে বেলাল্লাপানা কি ইসলাম সম্মত? মোটেও নাহ। আবার অনেকেই বিভিন্ন ধরণের বাদ্যযন্ত্র নিয়ে বাজাতে থাকে যার কোনটাই ইসলাম স্বীকার করেনা।

গ্যালারী অবাধ মিলনস্থলঃ দর্শকদের জন্য গ্যালারী নির্মাণ কখনোই ইসলাম মেনে করা হয়না। শরিয়া আইন মেনে গ্যালারী নির্মাণ হলে পুরুষ ও নারীর আলাদা বসার ব্যবস্থা থাকতো। নারীদের বসার জায়গায় অবশ্যই পর্দার ব্যবস্থা থাকতো। তাছাড়া প্রত্যেক নারী পর্দা করে আসার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হতো। কিন্তু হায়, ইদানীং গ্যালারীতে যা হয় তা এক কথায় ইসলামের আদেশের লঙ্ঘন।

নারী পুরুষের সম্মিলিত উচ্ছ্বাসঃ চার ছক্কা মারলেই বা উইকেট পড়লেই নারী পুরুষ যেভাবে একসাথে নাচানাচি শুরু করে তা ইসলামের কোথায় রয়েছে? ইসলাম কখনোই এসবকে অনুমোদন দেয়না।

উল্কি অঙ্কনঃ অনেকেই দেখি খেলার সময় রং দিয়ে শরীরে উল্কি অংকন করে যা ইসলামে হারাম। এ প্রসঙ্গে হযরত আবূ হুযাইফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন যে, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রক্ত বিক্রির বিনিময়ে মূল্য, কুকুর বিক্রয়লব্ধ মূল্য এবং ব্যভিচারের বিনিময় গ্রহণ হতে নিষেধ করেছেন। আর তিনি সুদগ্রহীতা, সুদদাতা, উল্কি অঙ্কনকারী, যে নারী উল্কি অঙ্কন করায় এবং যে ছবি উঠায় তাদের সকলকে লা’নত করেছেন।” (বুখারী শরীফ)

উপরের আলোচনা থেকে কি প্রতীয়মান হয় সেটা না হয় আপনারাই বিবেচনা করবেন। দাবা খেলার মতো অভিজাত একটি খেলাকে যদি ইসলামে হারাম করা হয় তাহলে নবীর আমলে যদি ক্রিকেটের প্রচলন থাকতো তাহলে ক্রিকেট হালাল হবার কোন সম্ভাবনা ছিল বলে আমার মনে হয় না। মোল্লারা শুধু মহিলা ক্রিকেটের বিরুদ্ধে না লেগে পুরো ক্রিকেটকেই আবার পুনর্বিবেচনা করবেন এই কামনাই করি। :-s