অনেকদিন আগে এক গ্রাম্য হিন্দু মেয়ের সঙ্গে কথা বলছিলাম, আমি তখন যে এলাকায় থাকি তার নাম ছিল “পানির ট্যাঙ্কি”, মেয়েটি আমাকে জানালো সে “জলের ট্যাঙ্কি” এলাকায় একবার বেড়াতে গিয়েছিল…! আমি বললাম ওটা “জলের ট্যাঙ্কি” না, “পানির ট্যাঙ্কি”। “জলের ট্যাঙ্কি” ঠিকানায় চিঠি দিলে পিয়ন চিঠি নিয়ে ঘুরবে জায়গা মত পৌঁছাবে না…। কিন্তু মেয়েটি কিছুতে “পানির ট্যাঙ্কি” বলবে না। তার জিভ যেন জলকে পানি বলতে অপারগ!

যারা এই মেয়েটির “গ্রাম্য” পরিচয়ের উপর জোর দিতে চান তাদের বলি, খুবই উচ্চ শিক্ষিত ও কয়েক পুরুষের শহুরে এক ভদ্রলোককে একজন সম্বোধন করেছিল “আরিফদা”বলে, ভদ্রলোক আমার সামনে সম্বোধনকারীকে বলেছিলেন, শুনুন, আমাকে দাদা’ বা দা ‘এরকম কিছু বলবেন না, এসব হিন্দু কালচার আমি পছন্দ করি না…।

যে মেয়েটির কথা বললাম তার পিশতুত ভাই আমার বন্ধু। মেয়েটির নাম অপর্না। যেদিন চলে আসবো তাদের বাড়ি থেকে সে বলল, দাদা, আপনি একদম অন্যরকম, মুসলমান ছেলেদের আমি পছন্দ করি না। …মুসলমান ছেলেরা ভাল হয় না। আপনি তাদের থেকে আলাদা…।

বললাম, কি করে বুঝলে মুসলমান ছেলেরা সবাই খারাপ?

সে বলল, বুঝি দাদা, আমাদের স্কুলটা যে গ্রামে, সেটা তো মুসলমান গ্রাম, আসতে যাইতে যা শুনতে হয়…।

-বললাম, তোমার বয়েসে কোন মেয়েরই ছেলেদের সম্পর্কে ভাল ধারনা থাকার কথা না। বখাটেগুলো রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকে এসব করার জন্যই…।

-কিন্তু দাদা আমরা হিন্দু বলে জাত তুলে যা বলে তা আপনাকে বলা যাবে না! ভাবে হিন্দু তো, ওদের বললে কে কি বলতে আসবো? আমার বান্ধবীকে একটা মুসলমান ছেলে খুব জ্বালাতো, এ জন্য ও ওর বাবাকে নিয়া তখন স্কুলে যাইতো, একদিন করছে কি, ওরে ওর বাবার সামনেই গিয়া হাত ধরছে পোলাটা!

মেয়ে মাত্রই এই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে কম-বেশি যেতে হয়।কত মেয়ে আত্মহূতি দিলো, তাদের বেশির ভাগই তো মুসলিম ঘরের। অর্পনা একচোখাভাবে ব্যাপারটা দেখছে বটে, তবে এটাও ঠিক শুধু হিন্দু হওয়ার জন্য সেরের উপর সোয়া সের হয়। হিন্দু হলে সাহসটা বেশি পাওয়া যায়। “হিন্দু অভিভাবকদের” পাত্তা না দিলেও চলে।…

পরস্পর ঘৃণাগুলো এভাবেই জন্মায়। চরম বিদ্বেষ আর অবিশ্বাস। কিন্তু আপাত শহুরে তিক্ত সাম্প্রদায়িক অভিজ্ঞতাবিহীন সমাজে গোপন, চাপা অবিশ্বাস, বিদ্বেষ, ঘৃণা তৈরি হয় কিভাবে? অখিল সাহা আর জিন্নাত আলী, এই দুইজন মুরুব্বিকে আমি ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি। দুজন পরস্পর বাল্য বন্ধু। একই রাস্তার এপাড় ওপাড় দুজনের দোকান। অখিল সাহার দর্জির দোকান, জিন্নাত আলী এ্যালুমিনিয়ামের হাড়ি-পাতিলের। দুজনেরই অবস্থা ভাল। জিন্নাত আলী পাক্কা হাজি মানুষ। অখিল সাহাও ঠাকুরের নাম নিয়েছেন, সন্ধ্যার পর জপতপ করেন । দুজনরেই বয়স হয়েছে, তবু এখনো এক সঙ্গে বসে দুই বন্ধুতে চায়ের দোকানে হা হা করতে করতে আড্ডা মারেন। একজন আরেকজনের পাত থেকে খাবার তুলে খান। হিন্দু-মুসলমানের এমন বন্ধুত্ব অসাম্প্রদায়িকতার একটা চমৎকার নজির হয়ে ছিল আমার কাছে। সাম্প্রদায়িকতা দেখতে দেখতে যখন বিষাক্ত হয়ে যেতো মন, বিশ্বাস হারাতো মানুষের উপর, তখন এই দুই বুড়োর বন্ধুত্ব আমাকে দক্ষিণা বাতাসের পরশ দিতো মনে। এই দুজনের ছেলে আবার আমার বন্ধু। এই সুবাদে এদের কাছ থেকে দেখেছি। দুজনের ছেলেই এক সময় আমার ঘনিষ্ঠ সহচর ছিল।

অখিল সাহা আর জিন্নাত আলীর বন্ধুত্বের মার্বেল পাথরের ফলকটা মাটিতে গেঁড়ে বসেছিল গভীর আর অনেক পুরোনো স্থায়ীত্বের জন্য। এই ফলক দেখেই আমি আকৃষ্ট হয়েছিলাম। সবাই এই ফলকটাই দেখে। কিন্তু এই চকচকে ফলকটা একদিন সামান্য আলগা হতেই দেখি মাটির গভীরে অন্ধকারে লুকানো কুৎসিত পোকাগুলো কিলবিল করছে! এই সুন্দর ফলকটির অভ্যন্তরে এরা বাসা করে ছিল আপত সবার অলক্ষ্যে। কোন একদিন হয়ত এরা বেরিয়ে আসতো ফলকটি ভেঙ্গে। মনে আছে একদিন সৈকত ওদের দোকানে আমাকে বসিয়ে রেখে বাইরে গেছে, জিন্নাত কাকা আর অখিল কাকা কথা বলছিলেন। একটু পরে অখিল কাকা চলে যেতেই জিন্নাত কাকা নিচু গলায় এতক্ষণ তাদের সঙ্গে বসে থাকা তৃতীয় একজনকে বললেন, এই মালুগুলি হারামির একশেষ! আমরা মুসলমানরা তো বলদ! অরা ঠিক পয়সা চিপ দিয়া রাখে। হিন্দু কোনদিন মুসলমানের বন্ধু হইতে পারে না ভাই! জীবনে কম তো আর দেখলাম না…।

ঘটনাটা হলো, অখিল কাকার কাছ থেকে টাকা ধার চেয়েছিলেন জিন্নাত কাকা। অখিল কাকা হাতে টাকা নেই বলেও পনোরো দিনের মাথায় জানায় তিনি ইন্ডিয়া যাবেন বিশেষ দরকারে। জিন্নাত কাকার প্রশ্ন, এখন টাকা আসলো কোত্থেকে?

-মালুরা সব টাকায়-পায়সা ইন্ডিয়ায় নিয়া গিয়া রাখে। বুঝেন না এখন ইন্ডিয়ায় যাইতাছে ক্যান?

ব্যস, আমার যা বুঝার বুঝে গেলাম। আবীরের কাছেই একবার শুনেছিলাম, ওর বাবা সব সময় হিন্দুদের সঙ্গে চলতে বলতো ওকে। মুসলমান ছেলেদের সঙ্গে চলতে মানা করতো। আমার সঙ্গে চলার প্রথম দিকে ওকে জিজ্ঞেস করেছিল, ছেলেটা কেমন? ওর সাথে এত মাখামাখি করিস কেন? কোন মুসলমানকে তিনি বিশ্বাস করতেন না। একটাই ছেলে তো, ভয় পেতেন খুব…।

এত ঘৃণা, অবিশ্বাস আর সন্দেহ নিয়ে এই দুই বৃদ্ধ সারা জীবন তাহলে বন্ধুত্বের অভিনয় করে গেছেন? আমার এখনো বিশ্বাস হতে চায় না…।

কিন্তু সৈকতের বড় ভাই যখন স্থানীয় নির্বাচনে নামলেন প্রতিদ্বন্দিতা করতে আমার জীবনে সাম্প্রদায়িকতার কুসিৎত চেহারাটা আরো একবার সামনে থেকে দেখার দুর্ভাগ্য হলো। অনিচ্ছা স্বত্ত্বেও নির্বাচনে আমাকে জড়াতে হলো। বন্ধুর ভাই, সৈকতের মুখের দিকে তাকিয়ে আমাকে কথা দিতে হলো এই নির্বাচনে আমি সাধ্যমত খাটার চেষ্টা করবো।

৮০ ভাগ ভোটারই হিন্দু।হিন্দু অধ্যিষুত এলাকা, মূল যে দুজন প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হবে তাদের একজন সৈকতের বড় ভাই খুরশিদ আলম। এই লোক যে কি পরিমাণ হিন্দু বিদ্বেষী তার সাক্ষি আমি। কিন্তু হিন্দুদের প্রতি ঘৃণা যতই থাকুক নির্বাচনে তাকে হিন্দু ভোট পেয়েই জিততে হবে। সমিকরণ খুব পরিস্কার, এখানে হিন্দুদের ভোট যে একচেটিয়া পাবে সে-ই জিতবে।খুরশিদ ভাই রানিং কমিশনার। এবার তিনি শক্ত লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন।তার মূল প্রতিদ্বন্দি একজন হিন্দু, নিতাই চন্দ্র পাল। খুরশিদ ভাই আগেভাগে স্থানীয় শীতলা মায়ের মন্দিরে মায়ের হাতে একটা রুপার পাখা বানিয়ে দিয়ে এলেন।ঘটা করে সেটা দেয়া হলো। মন্দির পুরোহিতদের সঙ্গে নমস্কার বিনিময় করলেন, খোঁজ-খবর নিলেন। আশ্বাস দিলেন, তিনি জিতলে মন্দিরের একটা অংশ দোতালা করে দিবেন…।

প্রতীক বরাদ্দের দিন বিড়াট ঝামেলা হলো। খুরশিদ ভাই আর তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী নিতাই চন্দ্র পাল দুজনই “হাতি” প্রতীক চান। হাতি হিন্দুদের কাছে পূজনীয় প্রাণী। স্বয়ং ইন্দ্রের বাহন সে। এই আসনে পর পর চারবার নির্বাচিত হয়েছিলেন উমেষ রায় নামের একজন যিনি হাতি প্রতীক নিয়ে লড়তেন। উমেষ রায় মারা গেছেন অনেককাল আগে।খুরশিদ ভাই বললেন, হাতি পেলে আমি অর্ধেক নির্বাচন জিতে যাবো…।

আমার মাথায় আসলো না “হাতি” মার্কাটা এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? এটা কি “পয়া” মার্কা? একজন বলল, তা তো আছেই, তবে হাতি হিন্দুদের কাছে বড় পবিত্র প্রাণী কিনা!

দুদিন পরেই চাক্ষুস দেখলাম সে দৃশ্য। খুরশিদ ভাই হাতি পাননি, আরো একাধিক প্রার্থী হাতি প্রতীক চাওয়ায় লটারীতে নিতাই চন্দ্র হাতি পেয়ে যান।প্রতীক পেয়েই তার লোকজন বিশাল এক হাতি ভাড়া করে আনে নির্বাচনী প্রচারণায়।হাতি বাড়ি বাড়ি যেয়ে সুর তুলে ভোট চায়, আর হিন্দু রমনীরা দলে দলে কুলায় করে ধান-দুব্বা আর সিদুর দিয়ে হাতিকে বরণ করে নেয়! তখন উলু ধব্নিতে মুখরিত হয়ে যায় পুরো এলাকাটা…।

দিনকে দিন খুরশিদ ভাইয়ের মেজাজ চড়তে থাকে। আসন্ন পরাজয়কে তিনি চাক্ষুস দেখতে পান। একদিন শুনি নিতাই চন্দ্রর সমর্থকদের মিছিলে হামলা হয়েছে। এই প্রথম আমার মনে হলো, যথেষ্ঠ হয়েছে! আমি জানি এরপর যে নোংরামীগুলো শুরু হবে তা সহ্য করা আমার পক্ষে সম্ভব না। সেদিনই আমাকে সেমরক একটা নোংরামী চাক্ষুস করতে হলো। আমাদের দলের একটা ছেলেকে কারা যেন মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। সে মাথায় হাত চাপা দিয়ে দৌড়ে কেম্পে এসে আছড়ে পড়ল। আমি আর কয়েকজন চিৎকার করে বললাম, এই রিকশা ডাক, ওকে হাসপাতালে নিতে হবে…।স্বয়ং খুরশিদ ভাই ছিল সেখানে, তিনি থামিয়ে দিয়ে আগে একজন ফটোগ্রাফারকে তাড়াতাড়ি স্টুডিও থেকে ডেকে আনতে বললেন ওর রক্তত্ব ছবিগুলো ভাল মত তোলার জন্য!…

কিন্তু সবচেয়ে বড় আঘাতটা পেলাম সৈকতের কাছ থেকে। ওকে আমি এতকাল যা জেনে এসেছিলাম তা এক মুহূর্তে মিথ্যে হয়ে গেলো! ওর মনের ভেতরে এত বিষ জমা ছিল কে জানতো? সৈকত একদিন বলল, আমার ভাই এতকিছু করছে তবু শালার মালাউনগুলি একটা মালাউনরেই ভোট দিবো!…

আমি একটা চপেটাঘাত খেলাম যেন! সৈকতের মুখ দিয়ে এইরকম সাম্প্রদায়িক উক্তি বের হতে পারে আমার ধারনাই ছিল না। রাজনীতি, ক্ষমতা কি মানুষকে এতটা নিচ নামায়? নাকি খোলস থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে?

আবীর নিয়মিত আসছিল না বলে সৈকত আবীরের প্রতি ক্ষোভ আর সন্দেহ পোষন করছিল। আমাকে বলল, ও নিতাইয়ের পক্ষে কাজ করছে! বুঝলি না, “হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই”!

আমি হেসে বললাম, যেমন আমি তোর ভাইয়ের জন্য করছি, “মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই”!

ভুরু কপালে তুলে সৈকত জিজ্ঞেস করলো, মানে?

এমন সময় আবীর এসে উপস্থিত হলো।

সৈকত বলল, শালা, ভোটটা তো নিতাইকেই দিবি!

আবীর অবাক হয়ে বলল, ওই শালাকে দিমু ক্যা, ওরে তো চিনিই না।আমাগো বড় ভাই থাকতে নিতাই-ফিতাইরে দিমু কোন দু:খে?

সৈকত আমার দিকে বিশেষ ভঙ্গিতে চোরা চাহনিতে হাসে। যার মানে, আহারে আমি বুঝি না তুমি কাকে ভোট দিবা…!

এই বিশ্রী পরিবেশটা আমার আর সহ্য হচ্ছিল না।আমি কোনদিন ভাবিনি আমার বন্ধুদের মধ্যে এই বিষবাস্পটা আসবে। একদিন সকালবেলা গিয়ে শুনি আবীরকে সৈকত কেম্প থেকে বের করে দিয়েছে। আবীরকে সৈকত নিতাইয়ের চর বলে মনে করে। ওদের মিটিং চলছিল, আবীর গিযে বসে থাকায় সমস্যা হচ্ছিল, সৈকত আবীরকে খুবই রুঢ়ভাবে বের হয়ে যেতে বলে…। আবীর আর সৈকতের সম্পর্কটা এভাবেই পুরোপুরি ভেঙ্গে যায়।আমিও মনে মনে বলছিলাম, “এবার ফিরাও মোরে”!ইলেকশানটা একবার শেষ হোক, আর এ মুখোই হবো না…।

খুরশিদ ভাই খুবই অল্প ভোট পেয়ে হেরে গেলেন।নিতাই যে খুব ভাল লোক তা না।খুরশিদ আর নিতাই কার্বন কপি। তবু হিন্দু বলেই হিন্দুরা তাকে বেছে নিয়েছে! খুরশিদ ভাইকে এই হিন্দুরাই সবচেয়ে বেশি ভোট দিয়ে জিতিয়ে ছিল আগেরবার। খুরশিদ ভাই বেমালুক সে কথা ভুলে গেলেন। আমাকে একজন ফোন করে বলল, হিন্দুপাড়ায় বাড়ি-ঘর আর কিছু রাখে নাই! একবার গিয়া দেখ…

তখনই দেখতে ছুটে গেলাম।দূর্গা ঠাকুরের একটা মন্দির আছে, সেখানে হামলা হয়েছে।গরীব হিন্দুদের উপরই হামলাটা হয়েছে। এসব দেখে আমার কি হবে? আমি কারুর জন্য তো কিছু করতে পারব না। কিন্তু আমিও যে এই ঘটনার একজন ভিলেন, নেপথ্য ইন্দনকারী দলের একজন, তা একটু পরেই জানতে পারলাম। চলে আসবো এমন সময় পিছন থেকে খপ্ করে আমার হাতটা কেউ চেপে ধরলো। চেয়ে দেখি আবীরের বাবা!

আমাকে টেনে আড়ালে নিয়ে গিয়ে বলল, কি করছ দেখো!আমাদের তোমরা চেনো না? আমার বাড়িতে ঢুকে যেভাবে গালাগালি করছে সেটা শিখায় না দিলে বাইরের লোক জানবো ক্যামনে? আমার পোলার লগে তোমরা চলো নাই? তার গায়ে হাত উঠলো ক্যামনে তোমাগো!…

-আমি এর কিছুই জানি না কাকা!

-কেউ-ই এখন কিছু জানে না। খুরশিদও বলে সে কিছু জানে না।… কন্ঠ ভিজে এলো অখিল কাকার।হাত ছেড়ে দিলেন আমার। ঘুরে চলে গেলেন অন্য একটা গলি ধরে।

আসলেই আমরা কেউ কিছু জানি না।এসবের শেষ কোথায়? মানুষের মানুষ হবার গল্প কবে লেখা হবে?

অখিল কাকা আর জিন্নাত কাকা এখনো চায়ের দোকানে বসে একইরকম করে আড্ডা জমান কিনা জানি না। হয়ত জমান। কিন্তু চকচকে মসৃন ফলকের নিচে অন্ধকারে লুকিয়ে থাকা কুৎসিত প্রাণীগুলো প্লেগের জীবাণুর মত হয়ত অপেক্ষায় থাকে কোন একটা উপলক্ষ্যের আশায়… স্রেফ একটা উপলক্ষ্য…