শাফিউর রহমান ফারাবী নামের এক ফাতরা আছে ফেসবুক-ব্লগে, যাকে মোটামুটি সবাই চেনেন। সম্প্রতি সে একটি পোস্টে অভিজিৎ’দার কয়েকটা বইকে “নাস্তিক্যবাদী” (মূলত বিজ্ঞান ও দর্শনের বই) বলে ঘোষণা করে এগুলো অনলাইন বইবিক্রির প্রতিষ্ঠান rokomari.com -এর ওয়েব সাইট থেকে সরিয়ে ফেলতে হুমকি দিয়েছে। নয়তো ওয়েব সাইটির অফিসেও আক্রমণের হুমকি দিয়েছে।

[রকমারির প্রতি ফারাবীর থ্রেট : http://bit.do/iNdE]

www.rokomari.com-এর কর্ণধারেরা ফারাবীর এক হুমকিতেই লেজগোবরে কাত হয়ে বিজ্ঞান ও দর্শনের বইগুলা তাদের সাইট থেকে সরিয়ে দিয়েছে। অথচ যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম, সাঈদীর বই বিক্রিতে কোনো আপত্তি আসে নাই ফারাবী পক্ষ থেকে, এমন কী রকমারিডটকম-এর পক্ষ থেকে। নিষিদ্ধ ঘোষিত মওদুদীর বইও বিক্রি হয় এই সাইট থেকে এতেও কোনো প্রবলেম নাই। মিথ্যা তথ্যে ভরপর ভুয়াবিজ্ঞানময় গ্রন্থ “পৃথিবী নয় সূর্য ঘোরে” অথবা জাকির নায়েকের বই বিক্রিতে কোনো অপরাধ নেই, কোনো অনুশোচনা নাই, কোনো আপত্তি নাই। যত দোষ নন্দঘোষ!

Farabi Shafiur Rahman

শাফিউর রহমান ফারাবী

বছর দুই-তিন আগে ফারাবী অনেকটা লুইচ্চা টাইপের ছিল। তার লুলামি আর মেয়েদের প্রতি কামুকতা ব্লগার আর ফেবু-ইউজারদের তীব্র বিনোদন যোগাত। বিবাহের প্রস্তাব নামের একটা ব্লগ লিখে সে প্রথম আলোচনায় আসে! তার লুলামি যখন সবার কাছে আলোচ্য হয়ে উঠে তখন সে দাঁড়ালো ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে। ফেক্সিলোডের জন্য ২০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অ্যামাউন্টের টাকা সে চাইতো। তার মোবাইল নষ্ট হয়ে গেছে, তার লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারছে না, তার সৎ মা তাকে মারধোর করে, সে ইসলামিক মাইন্ডেড ছেলে, ইসলামি দাওয়াত পৌঁছানোর জন্য টাকা দরকার, সে বিয়ে করতে চায় ইত্যাদি ইত্যাদি। ফেসবুকে খুঁজে খুঁজে সে মেয়েদের ম্যাসেজ পাঠাতো, তার নিজের চরিত্র রক্ষার জন্য বিয়ের প্রস্তাব দিতো, লুলামি করার চেষ্টা করতো। আর ছেলে হলে প্রবাসী খুঁজতো টাকার জন‌্য।

আমার এক ফ্রেন্ড দেশের বাইরে থাকে। তাকেও সে ম্যাসেজ দিয়েছিলো সাথে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার। আমার ফ্রেন্ড রিপ্লাই দিয়েছিলো ফারাবীকে, তুমি তোমার ফেবু অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড দিলে টাকা পাঠাতে রাজি আছি। এরপর ফারাবী আর কথা বাড়ায় নাই!

ফারাবী যখন পিছলার মতো লুলামি-লুইচ্চামি করে চরিত্র রক্ষা করতো আর ভিক্ষাবৃত্তিকে “ইসলামি” তকমা মাখাতে লাগলো ততক্ষণে সে বাংলার ব্লগজগতে “ছাগু দ্যা গ্রেট” উপাধি পেয়ে যায়। ফলে এই বিরাট বিনোদনের খোরাক ছাগু দ্যা গ্রেটের উম্মতের সংখ্যাও দিন দিন বাড়তে থাকে ভয়ঙ্করভাবে! ফারাবীর লুইচ্চামির কিছু হদিস পাবেন প্রথম আলো ব্লগের এই লেখা থেকে : http://bit.do/iNdJ

এখানে দেখবেন ফারাবী একজন মেয়েকে জীবনে দেখেও নাই, কথা বলেও নাই, তাকে উদ্দেশ্য করে কবিতা লিখেছে, তার মোবাইল নাম্বার দিয়ে বলছে চরিত্র রক্ষার জন্য নাকি তার বিয়ে করা প্রয়োজন! একে একে চারজন মেয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছে ফারাবীর লুইচ্চামির! লুইচ্চামিতেও সে “সুন্নত” পালন করে! বিনোদনের উপরে বিনোদনরে বাবা!! [দ্রষ্টব্য: নারী ব্লগারদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য শাফিউর রহমান ফারাবীকে প্রথম আলো ব্লগ কর্তৃপক্ষ স্থায়ীভাবে ব্যান করে দেয়।]

আরো কয়েকটা স্ক্রিনশট দেখুন। ফারাবী কিভাবে ম্যাসেজ পাঠিয়ে মেয়েদের সাথে লুইচ্চামি করে গেছে দীর্ঘদিন!

১. এই লিংকে ক্লিক করে দেখুন। পুরো একটা অ্যালবাম ফারাবির লুইচ্চামির সাক্ষ্য দিচ্ছে। http://bit.do/iNeQ


২. http://bit.do/iNeT

এরপর ফারাবী আবির্ভূত হয় ইসলামের খেদমতগার হিসেবে। হেফাজতকারী হিসেবে। আমাদের এখানে একটা কথা প্রচলিত আছে, এরশাদ যদি আমাদের গণতান্ত্রিক রাজনীতির রক্ষক হয় তবে এই রাজনীতিকে ধর্ষণ করার জন্য বাহির থেকে কোনো শত্রু আসার প্রয়োজন নেই, তেমন ফারাবীর মতো লুইচ্চা যদি হয়ে যায় ইসলামের খেদমতগার, তবে ইসলামের মুখে চুনকালি মাখাতে কোনো ইসলামবিরোধী, ইসলামবিদ্বেষীর প্রয়োজন নাই।

অনেকেই দেখেছি শুরু থেকে ফারাবীকে সাইকো, ফ্রিক, মানসিকরোগী বলে সম্বোধন করে এসেছেন, তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন, বাট আমি কখনো মনে করি না, ফারাবী কোনো ফ্রিক পার্সন! সে একটা পিউর ক্যারাক্টার। সে মানসিক রোগীও নয়। তাকে শুরু থেকেই ইগনো করাটা ভুল হয়েছে। তাকে লুইচ্চামির জন্য প্রশ্রয় দেয়াটাও ভুল হইছে। শুরুতেই ভালো করে তার কান মলে দিলে আজ এমন পর্যায়ে গিয়ে এসে পৌঁছাতো না!

ফারাবী অমাদের চোখের সামনে ক্রমেই সাচ্চা-ঈমানদার-লুইচ্চা জিহাদী হয়ে উঠেছে। একসময়ের গেলমান থেকে হুজুর হয়ে উঠেছে। বাঁশেরকেল্লা, বখতিয়ারের ঘোড়ার মুরিদানেরা তার তলে আশ্রয় নিয়েছে।

Farabi

যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগ গণজাগরণের মঞ্চের আন্দোলনের সময় রাজীব হায়দারের জানাজা পড়ানো ইমামকে হত্যার হুমকি দিয়ে ফারাবী ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
দেখুন : http://bit.do/iNam

পত্রপত্রিকায় এ নিয়ে নিউজ হয় ফলে হত্যার হুমকিদানের জন্য ফারাবীকে জেলে যেতে হয়। আদালত থেকে অস্থায়ী জামিন পেয়ে আবার শুরু করেছে তার জিহাদি কর্মকাণ্ড। অনবরত সে হত্যার হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে বাংলা ব্লগস্ফিয়ারের প্রতিষ্ঠিত সেক্যুলার ব্লগারদের। “নাস্তিক, মুরতাদ, কাফের” ফতোয়া দিয়ে সে নাম ধরে ধরে খ্যাতিমান ব্লগার, লেখকদের হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে তার নিজের মত হচ্ছে :

“আল্লাহর রাসূলকে যারা গালিগালাজ করে তাদের কে হত্যা করা জায়েজ আছে।”

ফারাবীর একটা সহজ স্বীকারোক্তি হচ্ছে এই রকম :

“ইসলাম অর্থ শান্তি নয় ইসলাম অর্থ হল আত্মসমর্পন। ইসলামের ভিতরে জিহাদ, ক্বিতাল সবই আছে। আল্লাহ্‌র রাসূলকে যারা ঠান্ডা মাথায় গালিগালাজ করবে আমরা তাদের কে হত্যা করব এতে লুকোচুরির কিছু নাই।”

[ফারাবীর উপর-নীচের দুইটা কমেন্ট লক্ষ্য করুন এখানে : http://bit.do/iNjy এবং পুরা পোস্টটি পড়ুন : http://bit.do/iNhh]

অভিজিৎদা ফেসবুকে তার লেখায় বলেছেন –

ফারাবি ঢাকা জজ কোর্টের জেলা জজ জহুরুল হককেও হত্যার হুমকিও দিয়েছিল। আসিফ মহিউদ্দীনকেও হত্যার হুমকি দিয়েছিল ফারাবী। মজার ব্যাপার হচ্ছে যাকে সে হত্যার হুমকি দেয়, দুই দিন পরে আবার তার কাছেই টাকা চায়। হত্যার হুমকি দেয়ার মতো টাকা চাওয়াটাও নাকি ওর বাতিক। অনেকেই বলে – মেয়েদের সাথে যৌনালাপ করতে করতেই সে নাকি তাদের কাছে টাকা চায়। এর মধ্যে একবার দেখলাম নাট্যব্যক্তিত্ব পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে লিখেছিল – ‘ FDC এর এই পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় যদি দেশের আলেম উ-লামাদের কাছে ক্ষমা না চায় তাইলে এই পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও থাবা বাবার মত করুন পরিনিতি বরন করতে হবে।’ কিছুদিন আগে মুক্তচিন্তার পারভেজ আলমকে হত্যার ফতোয়া দিয়েছিল এই ডিজিটাল জিহাদি। তার নোটে লিখেছিল – ‘এই পারভেজ আলম কে হত্যা করা বাংলার মুসলমানদের জন্য এখন ফরজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর আমাকে (অভিজিৎ রায়) হত্যার উস্কানি তো আছেই।

ফারাবী শুধু “নাস্তিক” ব্লগারদের হত্যার হুমকি দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও সে “নাস্তিক” বলে ফতোয়া দিয়েছে এইভাবে :

“বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উনি নিজেও একজন স্বঘোষিত নাস্তিক। তাই নাস্তিক শেখ হাসিনা তো নাস্তিক ৪ ব্লগারকে কাপড় চোপড় সরবরাহ করবেই। এটাই স্বাভাবিক। আল্লাহ সুবহানাতায়ালা নাস্তিক শেখ হাসিনাকে ধ্বংস করুক।”


[পোস্টটি পড়ুন এখান থেকে: http://bit.do/iNmw]

গত ৫ জানুয়ারি ইলেকশনের আগে ফারাবী ফেসবুকে-ব্লগে শেথ হাসিনাকে শুধু নাস্তিক ফতোয়া দিয়ে আল্লাহর কাছে ধ্বংস কামনা করে নাই, সরাসরি সেনাবাহিনী, এসএসএফ বাহিনীর সদস্যদেরকে আহ্বান জানিয়েছে শেখ হাসিনাকে যেন গুলি করে হত্যা করা হয়। ফারাবীর এই পোস্টগুলি এখনো আছে। আমি ফারাবীর যৎসামান্য কিছু পোস্টের তথ্য এখানে তুলে ধরছি। পাঠকদের কাছে অনুরোধ করবো দয়া করে এই পোস্টগুলি পড়ার সাথে সাথে মন্তব্যগুলি পাঠ করতে। বাংলাদেশের ভার্চুয়াল জগতে কী বিশাল পরিসরে মৌলবাদী জিহাদী গ্রুপ গড়ে উঠছে সে সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা পাবেন এখান থেকে।

গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর ফারাবী একটা পোস্ট দিয়েছে, সেটা পড়ুন এখান থেকে: http://bit.do/iNmL। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে ফারাবীর মন্তব্য হচ্ছে:

“আচ্ছা আপনারা কি জানেন এই যে সারা দেশে এত এত মানুষ মরছে এই লাশ গুলি কোথায় যায় ? সারাদেশের সব নিহত ব্যক্তিদের লাশ গুলি গনভবনে যায়। হলিউঠের The Twilight Saga মুভিটা যারা দেখেছেন তারা জানেন যে Vampire রুপী নেকড়ে মানব গুলি মানুষের রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে। যখন এই Vampire গুলি মানুষের রক্ত পায় না তখন তারা পাগল হয়ে যায়। বাংলাদেশের এই অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও হচ্ছে একটি Vampire। নেকড়ে মানবী, ডাইনী বুড়ি, এই Vampire শেখ হাসিনা আমাদের নিহত ভাইদের ঘাড়ে কামড় দিয়ে রক্ত শুষে খাচ্ছে। ডাইনী বুড়ি, ড্রাকুলা মানবী Vampire শেখ হাসিনার ভাত খাওয়ার সময় আমাদের ভাইদের রক্ত ভাতে মিশিয়ে খায়। বাংলার মানুষের রক্ত দিয়েই এখন ড্রাকুলা মানবী শেখ হাসিনা তার পিপাসা মিটায়। এই Vampire রুপী শেখ হাসিনার তার রক্তের পিপাসা মিটানোর জন্য আমাদের সবাইকেই হত্যা করে ফেলবে। তাই টেনে হিচড়ে এই ড্রাকুলা মানবী, Vampire শেখ হাসিনা কে ক্ষমতার মসনদ থেকে নামাতে হবে। তা না হলে আমরা সবাই এই ড্রাকুলা মানবী, Vampire শেখ হাসিনার খাদ্য হবে।”

এই পোস্টটি প্রদানের ৫ দিন আগেও আরেকটা পোস্টে সে বলেছে :

“একটা দেশের বেসামরিক প্রশাসন যখন ধ্বংস হয়ে যায়, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল টি যখন দেশের স্বার্থের চেয়ে প্রতিবেশী বৃহৎ রাষ্ট্রটির স্বার্থকেই বেশী গুরুত্ব দেয় এবং নিজ দেশ কে প্রতিবেশী বৃহৎ রাষ্ট্রটির উপনিবেশ বানানোর চেষ্টায় লিপ্ত থাকে ঠিক তখনই সেই দেশের সামরিক বাহিনীর উচিত একটা রক্তাক্ত সামরিক অভ্যুত্থান করার মাধ্যমে ক্ষমতাসীন রাজণৈতিক দলটির প্রধান নেত্রী থেকে শুরু করে সকল প্রভাবশালী মন্ত্রী এমপিদের কে ট্রিগার চেপে হত্যা করা। হ্যা বাংলাদেশে আরেকটি ১৫ আগস্টের ঘটনা ঘটা এখন সময়ের দাবী।”

[দেখুন এখান থেকে: http://bit.do/iNmZ]

“শেখ হাসিনার যারা দেহরক্ষী আছেন SSF বাহিনীর ভাইয়েরা আপনারা কি পারেন না আপনাদের রাইফেলের ট্রিগার চেপে এই জামিলের হাত থেকে আমাদের কে মুক্তি দিতে। বাংলার মানুষ আজ ছাত্রলীগ, যুবলীগের হাত থেকে তার ঘরের সম্মান রক্ষার্থে ভীত। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে কখনই ক্যু হবে না কারন ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট হচ্ছে বর্তমানে RAW এর একটি ঘাটি। এখন আমাদের আশা ভরসা হল সাভার ক্যান্টনমেন্ট, ময়মনসিং ক্যান্টনমেন্ট, কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট আর চট্রগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট। সাভার, ময়মনসিং, কুমিল্লা আর চট্রগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট এ অনেক জাতীয়তাবাদী অফিসার আছেন। এখন আপনারা যদি আপনাদের ক্যান্টনমেন্ট থেকে বিদ্রোহ করে ঢাকায় আসেন তাইলে ঠিকই ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের অনেক দেশ প্রেমিক সৈনিক ও অফিসার আপনাদের সাথে যোগ দিবে। বাংলাদেশ তখনই স্বাধীন হয়েছে যখন ডিসেম্বর মাসে সারাদেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধারা এই ঢাকা অভিমুখে রওনা হয়েছিল। লিবিয়ার গাদ্দাফীর বিরুদ্ধে প্রথম বিদ্রোহ কিন্তু ত্রিপলীতে হয় নি। তাই সাভার, ময়মনসিং, কুমিল্লা আর চট্রগ্রাম ক্যান্টনমেন্টের দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনীর অফিসার আর সৈনিকদের কে এই দেশবাসী অনুরোধ করছে আপনারা দয়া করে এই জালিম আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে ঢাকা অভিমুখে রওনা হন। আপনারা যদি আপনাদের ক্যান্টনমেন্ট এ ক্যু করে ঢাকা অভিমুখে আসেন তাইলে নিশ্চিত থাকেন ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের অনেক জাতীয়তাবাদী সৈনিক ও অফিসাররাও আপনাদের সাথে যোগ দিবে।”

[ফারাবীর পোস্টটি পড়ুন এখান থেকে: http://bit.do/iNnS]

“না আর চুপ থাকতে পারলাম না। বাংলাদেশ বর্তমানে একটা রক্তাক্ত জনপদের দেশে পরিনত হয়ে গেছে। মানুষ মারাই হচ্ছে এই আওয়ামী রাষ্ট্রযন্ত্রের কাজ। প্রতিদিন এই সরকারী পুলিশ বাহিনী ১০/১৫ জন ব্যক্তি কে পাখির মত গুলি করে হত্যা করছে। বাংলাদেশের মানুষের প্রান আজকে অতিথি পাখির চেয়েও মূল্যহীন। শেখ হাসিনা বর্তমানে একটি ড্রাকুলায় পরিনত হয়ে গেছে। ড্রাকুলা তো সেই যে মানুষের রক্ত খায়। শেখ হাসিনা শুধু ড্রাকুলার ন্যায় বাংলার নিরীহ মানুষের রক্তই খাচ্ছেন না শেখ হাসিনার ভাত খাওয়ার জন্য, শেখ হাসিনার গোসল করার জন্য আরো অনেক বাংলার নিরীহ মানুষের রক্ত দরকার। শেখ হাসিনা বর্তমানে বাংলার নিরীহ মানুষের রক্ত খেয়ে বেঁচে আছে। “রক্ত রক্ত আমি তৃষ্ণার্ত” এটাই এখন ড্রাকুলা মানবী শেখ হাসিনার নীতি।

১৯৭১ সালে আমাদের কে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীরা মারত আর এই ২০১৩ সালে আমাদের কে আওয়ামী পুলিশ বাহিনীরা হত্যা করছে। আমি সেনাবাহিনীকে বলছি আপনারা আর কতদিন আপনাদের অস্ত্রকে সাজগোজ করে রাখবেন। আপনাদের কি উচিত না এখন আপনাদের ট্যাংক নিয়ে গনভবনে আক্রমণ করে এই ড্রাকুলা রুপী শেখ হাসিনার হাত থেকে নিরীহ দেশবাসী কে বাচানো। এই শেখ হাসিনা বর্তমানে নৃশংসতার দিক থেকে জল্লাদ ইয়াহইয়া খান, টিক্কা খান কেও হার মানিয়েছে। আমাদের দরকার এখন আরেকটি ১৫ আগষ্ট, ৭ নভেম্বর যার মাধ্যমে আমরা সিকিমের পরিনতি থেকে রেহাই পাব। তাই দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী কে আমি অনুরোধ করছি আজ রাতেই আপনারা একটা রক্তাক্ত সামরিক অভ্যুত্থান করে আমাদের কে ড্রাকুলা মানবী রক্ত পিপাসু শেখ হাসিনার হাত থেকে উদ্ধার করেন।”


[মূল পোস্ট এখানে: http://bit.do/iNor]

দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে “নাস্তিক” বলে ফতোয়া দেয়া, সরাসরি হত্যার হুমকি দেয়া, ১৫ আগস্টের মত সামরিক বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে আরেকটা ক্যু ঘটনার উস্কানি দেয়ার পর আমাদের পুলিশ বাহিনী কোনো ব্যবস্থা নেয় নি। আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা প্রয়োগকারীরা এব্যাপারে নিশ্চুপ। একসময়ের মুষিক এখন হায়েনা হয়ে উঠতে চাচ্ছে, সেটা দেখেও আর কতকাল নিশ্চুপ থাকবেন আমাদের জানমালের হেফাজতকারী আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা। তারা কি সত্যি সত্যি কোনো অঘটন ঘটার অপেক্ষাতে আছেন? জঙ্গিবাদীদের দ্বারা এই দেশে কোনো অঘটন ঘটে গেলে তারপর তারা ব্যবস্থা নিতে আসবেন বাংলা সিনেমার শেষ দৃশ্যের মতো? আমি জানি না, বিশ্বের অন্য কোনো দেশে যদি ফারাবীর মত কেউ রাষ্ট্রপ্রধানদের হত্যার হুমকি দিতো তবে তার কি হতো?

অথচ সব সম্ভবের এই বাংলাদেশে এখনো ফারাবীর মতো ফাৎরা ব্যক্তিরা গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। হাউ ইজ ইট পসিবল?