খৃস্টান পরিবারে জন্ম ও দাদু চার্চের পাদ্রী হবার সুবাদে যীশুর প্রতি ভালোবাসা আর ঈশ্বরের আগুনের ভয় ছোটবেলায় বেশ প্রকট ছিল আমার। একটু বড় হতে না হতেই যীশু ঈশ্বর ও বাইবেলের প্রতি প্রচণ্ড ভালবাসাই কিনা শেষপর্যন্ত সেই ভালবাসার কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলো ক্লাস ৮-৯এ থাকতেই। সময় পেলেই বাইবেল নিয়ে শুয়ে যেতাম; দাগাতে দাগাতে কখন যে বাইবেলের এ মাথা টুঁ ও মাথা চষে ফেলতাম টেরটাও পেতাম না।

কোন কিছু অবিশ্বাস করতে হলে জানতে হয় অনেক বেশি। জানার ফলে প্রশ্নের উদ্ভব হয়। আর প্রশ্নের সঠিক উত্তর না পেলে জন্ম নেয় অবিশ্বাস।
অবিশ্বাস জিনিসটা খারাপ কিছু না। অবিশ্বাসেই জন্ম নেয় জানার আগ্রহ, অবিশ্বাসই খুলে দেয় মনের গোপন সব দরজা।

পরিবার আর চার্চে সবসময় শুনে এসেছি যীশু ঈশ্বরপুত্র বিশুদ্ধতম মানব। মুসলিম সাথে ইসলামের নবী লম্পট; যাদের বাইবেলে “বন গর্দভ বা বন্য গাধার বংশধর” বলা হয়েছে (আদিপুস্তক ১৬ অধ্যায় ১২ পদ “ইশ্মায়েল স্বাধীন এবং উদ্দাম হবে যেমন উদ্দাম হয় বন্য গাধা। সে সবার বিরুদ্ধে দাঁড়াবে এবং সবাই হবে তার প্রতিপক্ষ। সে স্থান থেকে স্থানান্তরে ঘুরে বেড়াবে এবং ভাইদের বসতির কাছে তাঁবু গাড়বে।”)। আমার দাদু বেশ মজা করে বলতেন “বাইবেল যে সত্য তার প্রমান খুব সহজে কিভাবে প্রমান করা যায় জানো দাদু??? বাইবেলে মুসলমানদের বন্য গাধার সাথে তুলনা করা হয়েছে। এই যে পৃথিবীতে যত অশান্তি সব তো করছে এই গাধারাই। বন্য গাধার সাথে মুসলমানদের চরিত্রের কোন পার্থক্য আছে কি ??? এটাই প্রমান করে বাইবেল সত্য। যীশু দেখো কত শান্ত; মহম্মদের মতন বন্য জংলী গাধার মতন মেজাজ ছিলনা তার। তিনি ছিলেন শান্ত মেষের মতন। কারন তিনি ঈশ্বরের পুত্র। দুনিয়ার সব অশান্তি করে শুধু মুসলিমরা; পৃথিবীতে যত ভালো কাজ হয় করে সব খৃস্টানরা; তারা মিশনারি করে, অনাথ আশ্রম বানায় হাসপাতাল বানায়। গরীব দেশকে সাহায্য করে। খৃস্টান ধর্মই ঈশ্বরের মনোনীত ধর্ম; মানব সেবার ধর্ম”।

কথাগুলোয় তখন বেশ মজা পেতাম।
আজ দাদু বেঁচে নেই; থাকলে তার করা ২ টি দাবী নিয়ে এই লেখাটা অবশ্যই তাকে পড়তে দিতাম।

খৃস্টানদের করা ২ টি দাবী নিয়ে একটু আলোচনা করি।
১। যীশু নিষ্পাপ এবং রাগহীন; তিনি শ্রেষ্ঠ মানব।
২। বাইবেল একটি মানবতার বই; মানবতার জন্য বই।

বাইবেলে যীশুর জীবনের সে ক্ষুদ্রাটিক্ষুদ্র সময়ের বর্ণনা পাওয়া যায়; তা কখনোই একজন মানুষের সম্পর্কে সব কিছু ধারনা করার জন্য যথেষ্ট নয় সেটা বুঝতে বেশী বড় হতে হয়নি আমাকে।
বাইবেলে যীশুর ২ টি কাজ যা আমার কাছে মনে হয়েছে দুধে গরুর ২ ফোঁটা প্রসাবের মতন যীশুর প্রতি সম্মান বোধকে চুরচুর করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। তার সারা জীবনের ইতিহাস জানতে পারলে হয়তো আরও অনেক কিছুই বের হত কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে।

*** সংশয় ১। মার্ক ৫ অধ্যায় ১-১৩ পদঃ

“এরপর যীশু এবং তাঁর শিষ্যরা হ্রদের ওপারে গেরাসেনীদের দেশে এলেন। তিনি নৌকা থেকে নামার সাথে সাথে একটি লোক কবরস্থান থেকে তাঁর সামনে এল, তাকে অশুচি আত্মায় পেয়েছিল। সে কবরস্থানে বাস করত, কেউ তাকে শেকল দিয়েও বেঁধে রাখতে পারত না। লোকে বারবার তাকে বেড়ী ও শেকল দিয়ে বাঁধত; কিন্তু সে শেকল ছিঁড়ে ফেলত এবং বেড়ী ভেঙ্গে টুকরো করত, কেউ তাকে বশ করতে পারত না। সে রাত দিন সব সময় কবরখানা ও পাহাড়ি জায়গায় থাকত এবং চিৎকার করে লোকদের ভয় দেখাত এবং ধারালো পাথর দিয়ে নিজেকে ক্ষত-বিক্ষত করত। সে দূর থেকে যীশুকে দেখে ছুটে এসে প্রণাম করল। আর খুব জোরে চেঁচিয়ে বলল, ‘হে ঈশ্বরের সবচেয়ে মহান পুত্র যীশু, আপনি আমায় নিয়ে কি করতে চান? আমি আপনাকে ঈশ্বরের দিব্যি দিচ্ছি, আমাকে যন্ত্রণা দেবেন না!’ কারণ তিনি তাকে বলেছিলেন, ‘ওহে অশুচি আত্মা, এই লোকটি থেকে বেরিয়ে যাও।’ তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার নাম কি?’ সে তাঁকে বলল, ‘আমার নাম বাহিনী, কারণ আমরা অনেকগুলো আছি।’ তখন সে যীশুর কাছে মিনতি করতে লাগল, যেন তিনি তাদের সেই অঞ্চল থেকে তাড়িয়ে না দেন। সেখানে পর্বতের পাশে একদল শুঁয়োর চড়ছিল, আর তারা (অশুচি আত্মারা) যীশুকে অনুনয় করে বলল, ‘আমাদের এই শুয়োরের পালের মধ্যে ঢুকতে হুকুম দিন।’ তিনি তাদের অনুমতি দিলে সেই অশুচি আত্মারা বের হয়ে শুয়োরদের মধ্যে ঢুকে পড়ল। তাতে সেই শুয়োরের পাল, কমবেশী দুহাজার শুয়োর দৌড়ে ঢালু পাড় দিয়ে হ্রদে গিয়ে পড়ল এবং ডুবে মরল।”

একই ঘটনার বিবরন বাইবেলের মথি ৮ অধ্যায় ২৮-৩২ পদ এবং লুক ৮ অধ্যায় ২৬-৩৩ পদে লিপিবদ্ধ রয়েছে।

# যীশু কেন নিস্পাপ শুঁয়োর গুলোকে মন্দ আত্মা ধুঁকিয়ে সমুদ্রে ডুবিয়ে মাড়লো (প্রায় ২ হাজার শুঁয়োর) সেটা তখনের সেই ছোট্ট মাথায় ঢুকলো না; তিনিতো মন্দ আত্মা গুলোকে শুয়োরে না ভড়ে বাতাসে খোলা প্রকৃতিতে ছেড়ে দিতে পারতেন যা তিনি করছেন অন্য সময়। তবে শুধু শুধু নিস্পাপ শুঁয়োর গুলোকে হত্যা করার দরকার কি ছিল ??? এটা কি অযথা প্রাণী হত্যা নয়??? যে অযথা প্রাণী হত্যা করতে পারে সে পবিত্র হয় কিভাবে ???

*** সংশয় ২। মার্ক ১১ অধ্যায় ১২-১৪ এবং ১৯-২১ পদঃ

“পরের দিন বৈথনিযা ছেড়ে আসার সময় তাঁর খিদে পেল। দূর থেকে তিনি একটি পাতায় ভরা ডুমুর গাছ দেখে তাতে কিছু ফল পাবেন ভেবে তার কাছে গেলেন, কিন্তু গাছটির কাছে গেলে পাতা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেলেন না; কারণ তখন ডুমুর ফলের মরশুম নয়। তখন তিনি গাছটিকে বললেন, ‘এখন থেকে তোমার ফল আর কেউ কোন দিন খাবে না!’ এই কথা তাঁর শিষ্যেরা শুনতে পেলেন। সেই দিন সন্ধ্যে হলেই যীশু ও তাঁর শিষ্যরা মহানগরীর বাইরে গেলেন। পরের দিন সকালে যেতে যেতে তাঁরা দেখলেন, সেই ডুমুর গাছটি মূল থেকে শুকিয়ে গেছে। পিতর আগের দিনের কথা মনে করে তাঁকে বললেন, ‘হে গুরু, দেখুন, আপনি যে ডুমুর গাছটিকে অভিশাপ দিয়েছিলেন সেটি শুকিয়ে গেছে।’

একই ঘটনা বাইবেলে মথি তার ২১ অধ্যায় ১৮-২০ পদে লিপিবদ্ধ করে রেখে গিয়েছেন।
(যদিও ২ টি বর্ণনায় বিপরীত কথা বলা হচ্ছে; এক জায়গায় বলা হচ্ছে পরদিন তারা দেখলো গাছটি মড়ে গেছে আরেক জায়গায় বলা হচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে গাছটি মড়ে গিয়েছিল সেটা তারা দেখেছিল। যদিও আজকের টপিক বাইবেলের বিপরীত বাক্য নিয়ে নয় তাই সে আলোচনা ভবিষ্যতের জন্য তোলা রইলো)।
# অসময়ে ডুমুর গাছে ডুমুর না পেয়ে সেই ডুমুর গাছকে অভিশাপ দিয়ে মেড়ে ফেলার যুক্তি টা কি??? অসময়ে ডুমুর হবে কেন??? অসময়ে ডুমুর না ফলিয়ে ডুমুর গাছের দোষ টা কি??? এই যদি হয় বিচারের নমুনা তবে যীশুর কাছে পুনুরুত্থানের দিনে সঠিক বিচার কিভাবে কাম্য??? গাছের তো প্রান আছে। যীশু কি অকারনে গাছটিকে হত্যা করলেন না ???

যীশু নিষ্পাপ আর রাগহীন সেই বিশ্বাস তখনি ঘুচে গিয়েছিল। বেশ মনে আছে একদিন পারিবারিক প্রার্থনা সভায় যীশু নিষ্পাপ রাগহীন এই কথার প্রতিবাদ করায় এক বেলা না খাইয়ে রাখা হয়েছিলো আমাকে। যীশুকে অবিশ্বাস পাপ সেটাও শতবার শুনতে হয়েছিলো।

উপরের অংশটুকু লিখতে গিয়ে হঠাৎ করে বাইবেলের আরেক নবীর কথা মনে পড়ে গেল।
২য় রাজাবলি ২ অধ্যায় ২৩-২৪ পদঃ

“সেখান থেকে ইলীশায় বৈথেল শহরে গেলেন। তিনি যখন শহরে যাবার জন্য পর্বত পার হচ্ছিলেন তখন শহর থেকে একদল বালক বেরিয়ে এসে তাঁকে নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা শুরু করলো। তারা ইলীশায়কে বিদ্রূপ করল এবং বললো, “এই য়ে টাকমাথা, তাড়াতাড়ি কর! তাড়াতাড়ি পর্বতে ওঠ! টেকো!!”। ইলীশায় মাথা ঘুরিযে তাদের দিকে দেখলেন, তারপর প্রভুর নামে তাদের অভিশাপ দিলেন। তখন জঙ্গল থেকে হঠাৎ দুটো বিশাল ভাল্লুক বেরিয়ে এসে সেই ৪২ জন বালককে তীব্র ভাবে ক্ষত-বিক্ষত করে দিল।”

বাহ!!! কত্ত সুন্দর ঘটনা। ক্ষুদ্র কারনে যাদের মেজাজ এমন আগ্নেয়গিরি হয়ে যেতে পারে যে বাচ্চাদের অভিশাপ দিয়ে ভালুক দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করতে পারে; যুগে যুগে এদেরকেই কিনা শ্রেষ্ঠ মানব বা নিষ্পাপ মানব (ইসলাম মতে সকল নবী নিষ্পাপ ছিলেন) হিসেবে আস্তিকেরা ভক্তি করে আসছে।

নবীরা যদি নিষ্পাপ হন তবে “আকামের ঢেঁকি” কারা???
ইতিহাসে নবী ভং ধরা মানুষ গুলোর চাইতে বেশী কলঙ্কিত মনমানসিকতার অধিকারী আর কেউ আছে কি ইতিহাসে???

এখন আসুন মানবতার প্রশ্নে আসি।
মানবতা বললেই সবার আগে আমার মনে কি আসে জানেন ??? আমার মনেহয় অনেকেই আমার সাথে একমত হবেন; সেটা হল রক্ত দান।
প্রতিদিন ফেসবুকে রক্তের আবেদন চোখে পড়ে। যারা আমাকে চেনে তারা ভালোই জানে যে আমি একজন নিয়মিত রক্তদাতা। আমার রক্ত যদিও খুব কমন একটু গ্রুপের (B+) তবুও আমি রক্ত দেই। মানুষকে ভালোবেসেই দেই।
আমার অনেক বাইবেলে বিশ্বাসী বন্ধুও এমন আবেদন শেয়ার করে; কিন্তু খৃস্টানদের কি আদৌ রক্ত দেয়ার অধিকার আছে ??? রক্ত দেয়া কি মানবতা নাকি ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যাওয়া ???

আসুন খুজে দেখি।

এই বিষয়ে কোন সরাসরি পদ খোঁজা কিছুটা বোকামি হবে। রক্ত দেয়ার বা নেয়ার সুবিধা বাইবেলীয় পিরিয়ডে সম্ভব ছিলনা।

আসুন দেখি বাইবেল রক্ত সম্পর্কে কি বলে।
প্রেরিত ২১ অধ্যায় ২৫ পদ, আদি পুস্তক ৯ অধ্যায় ৩-৪ পদ, লেবীয় ১৭ অধ্যায় ১৩-১৪ পদ ও প্রেরিত ১৫ অধ্যায় ২৮-২৯ পদ গুলো দেখুন।
রক্ত ঈশ্বরের কাছে পবিত্র। তাই এটা খাওয়া জায়না; রক্ত নিষিদ্ধ। বলির রক্ত ঈশ্বরের কাছে পাপের বদল। তাই তিনি তার পুত্রর রক্তে যীশুর রক্তে বিশ্বাসী সবার পাপ মুছে দিয়েছেন।
এখন আসুন দেখি খৃস্ট ধর্মের স্কলাররা এই বিষয়ে কি বলেন।
# What Does God Require Of Us (Watch Tower Bible and Trect Society Of Pennsylania থেকে প্রকাশিত ব্রোশার যা আমাকে চার্চ থেকে দেয়া হয়েছিলো) নামের বইয়ে লেখক বলেছেন “শরীরে রক্তগ্রহন কি অন্যায়? স্মরণ করুন, যিহোবা আবশ্যক বলেন যে আমরা রক্ত থেকে বিরত থাকি। এর অর্থ এই যে আমরা কখনোই কোন উপায়েই অন্য বেক্তির রক্ত এমনকি আমাদের নিজেদের রক্তও যা সঞ্চিত করা হয়েছে আমাদের শরীরে অবশ্যই গ্রহন করবো না”।
# New Apostolic Church International, Zurich থেকে প্রকাশিত বইটির অনুবাদ “জীবন বাক্য” বইয়ের ১০ম খণ্ডের “রক্ত” সম্পর্কিত অধ্যায়টিতে বলা হয়েছে “সত্য খৃস্টানেরা শরীরে রক্তগ্রহন সমর্থন করবে না। তারা অন্যান্য প্রকার চিকিৎসার বাবস্থাকে সমর্থন করবে, যেমন শরীরে রক্তবিহীন দ্রব্যাদি গ্রহন। তারা বাঁচতে চায়, কিন্তু ঈশ্বরের আইন ভঙ্গ করে তারা নিজের বা অন্যের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করবে না। যার মড়ার সে এমনিই মড়বে ঈশ্বরের ইচ্ছায়। ঈশ্বরের বিপক্ষে গিয়ে বাঁচার চেষ্টা তাই পাপ।-মথি ১৬ অধ্যায় ২৫ পদ”।

একই রকম কথা পড়তে থমাস হোয়াং এর লেখা “খৃস্টিয়ান জীবনের ভিত্তি” নামের এমি পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত বইটি এবং বাইবেল ডিকশনারির “রক্ত” অধ্যায়টি পড়ে নিতে পাড়েন।

এখন বলুনতো; রক্ত দেয়ার মতন মানবিক একটি পন্থাকে যে বই নিষিদ্ধ করে দেয় সেই বই কি কোন ভাবে মানবতার বই মানবতার জন্য বই হতে পারে?
যীশুর রক্ত যীশুর রক্ত চিৎকার করে গলায় রক্ত উঠিয়ে ফেলেও মানবতার জন্য ১ ফোঁটা রক্ত দেয়া যাবেনা মৃত্যু পথযাত্রী কোন মানুষকে; অন্যদিকে যীশুর রক্ত দিয়ে মানবতার কি লাভ হয়েছে???

খুজলে হয়তো আরও অনেক পয়েন্ট মনে পড়তে পারে; কিন্তু খটকা লাগার জন্য বিন্দুই যথেষ্ট। যাদের মনে “বিন্দু” খটকার জন্ম দিতে পারে না; নিশ্চিত থাকুন সমুদ্র সম খটকাও তাদের মনে খটকার সৃষ্টি করবে না।

অন্ধকারে যাদের জন্ম তারা অন্ধকারকেই আলো বলে মনে করে। আলো তাদের কাছে পাপ।
বাইবেলের প্রথম “দীপ্তি হোক”।
কিন্তু বাইবেলের সেই লেখকেরা এই দীপ্তি (!!!) দিয়ে বিশ্বকে যে অন্ধকারে নিমজ্জিত করে দিয়ে গিয়েছেন তা আজ যদি তারা দেখতে পেতেন; তবে নির্ঘাত “দীপ্তি হোক” না লিখে “অন্ধকার হোক” বাক্য দিয়ে বাইবেল লেখা শুরু করতেন।

জয় হোক কলমের; জয় হোক আলোর।
জয় হোক মানবতার; ধ্বংস হোক ভণ্ডদের ভণ্ডামির।