হাটে মাঠে কর্মক্ষেত্রে আপনারা প্রায়শই এক জাতের লোকের দেখা পাবেন যাদের ভেতরে কিছু নাই সারবস্তু। কিন্তু তারা সফলতার একটা আলখাল্লা গায়ে জড়িয়ে ঘুরে বেড়ায়, ঘোঁত ঘোঁত শব্দ সমেত।

এই লোকগুলির সফলতার উৎস হলো মামুর জোর। এই মামু বিবিধ প্রজাতির হতে পারে, ক্ষেত্র বিশেষে বাপ, চাচা, কিংবা বড় ভাই। কখনো বা বস্‌ কিংবা বড় কর্তা। উচ্চপদে আসীন ক্ষমতাধরদের চামচামি করেই উপরোক্ত লোকগুলি দিন গুজরান করে থাকে।

আপনি আশ্চর্য হয়ে যাবেন এরা কোন প্রকার ‘কাজ’ না করেও কিভাবে যেন টিকে যায়, মাঝে মাঝে উন্নতিও করে। উপরিওয়ালার পা চেটে, তার কলাটা মুলোটা টেনে দিয়ে এই পরজীবি লোকগুলি সমাজের এক ধরনের বোঝা, এক প্রজাতির আপদ।

এবার আসুন বিশ্ব দরবারে এই ধরনের দেশ ক’টা আছে খুঁজে দেখি। খুব বেশি দুর যেতে হবে না। আমাদের প্রাক্তন অঙ্গরাজ্য ফইচ্চিম পাকিস্তান ঠিক এমই চরিত্রের একটি রাষ্ট্র।

ভাবছেন এসব কথার আগামাথা কোথায়?

আসুন পাকিস্তানের এই ‘টিকে’ থাকবার সুলুক সন্ধান করি।

আমাদের বর্ডারের পারে ইন্ডিয়া, তার বর্ডারে যে বিশাল রাষ্ট্রটি অবস্থিত, তার নাম চায়না, ওরফে চীন। স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারের ছুতো ধরে পাকিস্তান নামক চামচা রাষ্ট্রটিকে লাই দিয়ে মাথায় উঠিয়ে রেখেছে এই চায়না/চীন। পুরো বিশ্বের অহরহ পেটোয়া খেয়েও পাকিস্তান টিকে যাবার একটি গুরুত্বপূর্ন কারন চায়নার শিশ্নচোষায় পাকিস্তানের জুড়ি মেলা ভার। চায়নাও বিনিময়ে পাকিস্তানকে মায়াভরে একটা দু’টো নিউক্লিয়ার আর্সেনাল, কি নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো দিয়ে পাকিস্তানকে বাঁচিয়ে দেয় বাকি বিশ্বের কষানো লাত্থি থেকে। স্ট্র্যাটেজিক ফরেন পলিসি এমনই এক বিষাক্ত পদার্থ।

এবার আসুন আরো একটু ভেতরে যাই। আমার আগের পোস্টটিতে (OIC), মানে ইসলামিক রাষ্ট্রগুলির (পড়ুন সউদি সাম্রাজ্য) মাঝে পাকিস্তানের গুরুত্ব একটু ব্যাখ্যা করে দেখিয়েছি, যে বাংলাদেশ যতো যাই হৌক সউদি পোঁ ধরার রস (অথবা সর) কখনোই ছাড়বে না, কাজেই পাকিস্তানের সাথে জোটও ঘুচাবে না।

আপনারা কি এটা জানেন এই চাইনা/চীন সেই তিন বছর আগেই সউদি সাম্রাজ্যবাদে গ্যালারি আসনের জন্য আবেদন করে বসে আছে? মানে সউদি সাম্রাজ্যের ভেতরে ঢোকবার জন্য চীনের আগ্রহ আছে। যতোদিন না পারছে, ততোদিন পাকিস্তান হচ্ছে চীনের প্রতিনিধি।

আর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানের প্রতিনিধি কে সেটা কি আন্দাজ করতে পারেন?

বাংলাদেশে চায়নাপন্থীদের এই আপাতঃ ‘অকারন’ পাকিস্তান প্রীতির ব্যাপারে কি আরো খোলাসা করতে হবে?

কাজেই বাংলাদেশে শুধু পাকিপন্থী ছাগু নয়, চায়নাপন্থী ভাম এবং সউদিপন্থী আওয়ামী লীগকেও দৌড়ের ওপরে রাখতে হবে। এই তিনপক্ষের মাঝে একমাত্র আওয়ামী লীগেরই সুযোগ আছে আবারও বাংলার জনগনের কাছে ফেরৎ আসবার।

বাকি দুই পক্ষ যারা যার মক্কায় ফেরৎ যেতে পারে। এক দল না-পাকিস্তানে, আরেকদল চায়নাতে, কারন বাংলাদেশ এই দুই পক্ষের কাউকেই চায়না।