সারা গাঁয়ে দগদগে ঘা-
কুতসিত কুষ্ঠ, কদাকার ঘ্রাণ।
এ তোমার বিকার।
এই নিয়ে করতে চাও সেবা,
করতে চাও কুষ্ঠ নিবারণ!
খাদে-গর্তে শরীরে সবার?
কি করে ভাবো তবে-
সহসা উবে যাবে দগদগে ঘা।
এ যাত্রা বেঁচে যাবে জাতির মানস।

এ কেমন স্বপ্ন-আশা তোমার দেহে,
মাথার কোটরে গাংচিল-সাধ?
সাদা কুয়াশার অমল চাদর,
আর পাখীর পালক একদা এক হলে-
শূন্যে মিলাবে তুমি,
মিশে যাবে কুম্ভকর্ণ ঘুমে।
এ জাতির সাধ-আশা মিশে যাবে
তোমার পালকে?
কদাচ উঠবে না জেগে তারা
মৈথুন পিয়াসে, মিলনের তরে?
প্রাণে প্রাণে জাগবে না সাধ-
একরঙা সঙ্খচিল-সাধ?

ভুলে যাও, ভোল সেসব।
এক হও নিজের সাথে।
দেহ মনে নিয়ে এসো
মাছরাঙা মন।
তাতে পাবে প্রাণ,
প্রাণ পাবে তোমার জীবন

কদাকার ঘা তবে,
শবযাত্রার সাথি হবে।
বিবর্ণ ইতিহাস ফিরে যাবে
অন্য কোন ঠিকানার রাতে।
এ জাতি জেগে যাবে-
ঠিক মত পেয়ে যাবে
তোমার পরশ।
কুষ্ঠহীন সে হাতে-
পাবে তারা এক সাথে
জীবন সরস।