সংবিধীবিদ্ধ সতর্কীকরনঃ প্রচন্ড গালিযুক্ত পোস্ট। সুশীলদের গাত্রদাহের কারন হতে পারে।

ভারত দেশটির সাথে আমাদের থেকে বহু দূরে অবস্থিত ইজরাইল নামে আরেকটি দেশের তুলনা টেনে আমি এই লেখার সূচনা করতে চাই। আমাদের লেখার মূল বক্ত্যবের সাথে এ উদাহরন শুধু সামঞ্জস্যপূর্ণই নয়, প্রয়োজনীয়ও বটে। ভারত এবং ইজরাইল নামে এই দুটো দেশের মধ্যে একটি কমন বৈশিষ্ট আছে। সেটি হল, এই দুটি দেশই মূলত দারোয়ানের কাজ করছে। কার দারোয়ানি? কীসের দারোয়ানি? মহাজনের দারোয়ানি। তাহলে কে সেই দারোয়ান? আমরা সবাই জানি, আম্রিকা। ইজরাইল দারোয়ানি করে মধ্যপ্রাচ্যে এবং ভারত দারোয়ানি করে দক্ষিন এশিয়ায়। মধ্যপ্রাচ্যে আম্রিকার স্বার্থ দেখতে ইজরাইলকে আম্রিকা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার দিয়ে সাহায্য করে আসছে ইজরাইল জন্মের পর থেকেই। এই কথা আমরা মোটামুটি মগজসম্পন্ন যে কেউই জানি। আমি বাড়তি যে কাজটি এখানে করছি সেটি হল, ইজরাইলের সাথে ভারতের যে মিলটুকু আছে সেটুকু দেখানোর জন্য। উদ্দেশ্য? উদ্দেশ্যে পরিষ্কার। বাঙলাদেশ এবং ভারতের সীমান্তে যেভাবে বাঙলাদেশিদের হত্যা করা হচ্ছে তার কারন বোঝা বা অন্তত বুঝতে চেষ্টা করা।

রাষ্ট্রতত্ত্বের জায়গায় দাঁড়িয়ে একটি কথা মনে করিয়ে দেয়া আবশ্যক এখানে। একটি রাষ্ট্র গঠিত হয়ে যাওয়া মানে বাই ডিফল্ট ঐ রাষ্ট্রে বাইরের যে কেউ সেই রাষ্ট্রের শত্রু। এখানে এই কথা বলছি এ কারনেই যে, দারোয়ানি করা রাষ্ট্রগুলোর নিজেরও কিছু স্বার্থ আছে যেটা মহাজনি করা রাষ্ট্রের স্বার্থের বাইরে। অর্থাৎ আমাদের আলোচ্য মহাজন রাষ্ট্র আম্রিকার স্বার্থের বাইরে যে দুটো দারোয়ানি করা রাষ্ট্রের কথা বলছি তাদেরও নিজস্ব কিছু স্বার্থ আছে যেটা আম্রিকার স্বার্থ নাও হতে পারে। একটা উদাহরন দিয়ে এই রাষ্ট্রতত্ত্বের টিকাটুকু আমি শেষ করে দেব। সিরিয়াতে আম্রিকা হামলা করবে কি করবে না সেই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বারেক ভাইর ১০ মিনিটের যে বক্তৃতা মিডিয়াতে এসেছিল, সেখানে দ্বিতীয় যে সিদ্ধান্ত ও নিয়েছিল অর্থাৎ হামলার আগে কংগ্রেসে ভোটাভুটি কথা বলেছিল, সেই কথার পরে ইজরাইলের পত্রিকা The Times of Iseal একটা খবর প্রকাশ করেছিল। তার বাঙলা করলে অনেকটা এমন দাড়ায়ঃ

ওবামার বক্তব্যে কেঁপে উঠল ইজরাইল।

আবার ইন্ডিয়া আম্রিকার হামলাকে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের অনুমোদন ছাড়া করতে দিতে রাজি না। এই ছোট্ট উদাহরন দিয়ে বুঝতে পারা যায়, ইজরাইল এবং ভারত আম্রিকার দারোয়ান হওয়া সত্ত্বেও তাদের নিজস্ব স্বার্থের সাথে বিরোধী যে কোন সিদ্ধান্ত তাদের উপরে ছায়া দেয়া মহাজনের চাওয়া সত্ত্বেও করবে না। যাই হউক, এই টিকাটুকু মাথায় রেখে আমরা এই লেখার সামনে এগিয়ে যাব।

ইজরাইল রাষ্ট্রের নিরাপত্তা এবং আম্রিকার মধ্যপ্রাচ্য স্বার্থের যে মিথোজীবিতা অত্যন্ত খালি চোখে দেখা যায় ভারত এবং আম্রিকার স্বার্থগত কমন প্ল্যাটফর্ম ততটা সচ্ছ নয়। সেটা বোঝার জন্য আমাদের একটু শক্তিশালী চশমা পড়তে হবে। আসুন, আমরা সেই চশমাটা পড়ি।

ফোর্বস ম্যাগাজিনের দেয়া একটি তথ্য মতে(কয়েক বছরের জোগাড় করা তথ্যের উপর ভিত্তি করে করা গবেষনার ফল এটি, সম্ভবত ২০০৫ সালের), ২০২৫ সালের মধ্যে ওস্তাদ আম্রিকার সাথে গ্লোবাল রাজনীতি, অর্থনীতিতে টেক্কা দেয়ার মত কয়েকটা শক্তি গজিয়ে উঠবে। তাদের মধ্যে দুটো অন্যতম দেশ হল, ভারত এবং চায়না। চায়না ইতিমধ্যেই পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। সুতরাং আম্রিকার পররাষ্ট্রগত কৌশলনীতিতে কিছু পরিবর্তন আনতে হচ্ছে। আনা হয়েছে। এবং সে নীতিটি হল, চীন ঠেকাও। চীন ঠেকাতে গেলে আম্রিকার এমন একটি প্রেসার পাম্প দরকার যেটি অত্যন্ত কার্যকর। পাঠক আপনারা জানেন, চায়নার সাথে আমাদের এইদিকের যে দেশটির সবচাইতে বেশি বৈরীতা আছে সেটি হল ভারত। তাছাড়া দক্ষিন এশিয়াতে আম্রিকার কৌশলগত বিভিন্ন কারনে বাঙলাদেশে, ভারত, মায়ানমার অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। তাহলে আম্রিকার যদি চীন ঠেকাও নীতি বাস্তবায়ন করতে হয় এবং কৌশলগত কারনে দক্ষিন এশিয়ায় প্রভাব বজায় রাখতে হয় তাহলে ভারতের চাইতে প্রভাবশালী এবং কার্যকরী অন্য কেউ হতে পারে না। এবং একই সাথে আমাদের মনে রাখতে হবে আগের টিকাটুকুকে। আম্রিকা চাইবে আর ভারত দারোয়ান হয়ে যাবে সেটা হতে পারে না। তারমানে হল, ভারতেরও এমন কোন স্বার্থ আছে যেটা আম্রিকার সাথে কমন এবং যেটা কার্যকর করতে আম্রিকার আশীর্বাদ তার দরকার। সুতরাং আম্রিকার জোরে যদি সেই স্বার্থ হাসিল করা যায় তাহলে ভারতের না করার কোন কারন থাকে না। এই হল, দক্ষিন এশিয়ায় আম্রিকার দারোয়ান হিসাবে ভারতের রেক্রুটমেন্টের ইতিহাস। তাছাড়া আম্রিকার “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধের” বয়ান তো আছেই। কিন্তু সেটা আম্রিকার নিজস্ব কৌশল হবার কারনে এখানে আলোচ্য বিষয় নয়। আমরা শুধু সেটুকুই জানব যেটুকু আমাদের নিজ দেশের সাথে সংশ্লিষ্ট।

তাহলে ভারতের কী স্বার্থ আছে যেটা আম্রিকার স্বার্থের সাথে মিলে যায় অর্থাৎ আম্রিকা এবং ভারত দুটো রাষ্ট্রই কোন মেওয়া চাচ্ছে? সেটি হল চায়না। ভারত জানে আজকে হোক, কালকে হোক, চায়নার সাথে সে যুদ্ধে জড়াচ্ছে। সেই যুদ্ধের দিনক্ষন সে না জানলেও কৌশল সে আগে থেকেই ঠিক করে রাখছে। এবং সেটাই স্বাভাবিক। তাহলে ভারতের যুদ্ধের কৌশলগত কারনেই এমন অবস্থানে থাকতে হবে যেটা তার আশু যুদ্ধে কিছু অতিরিক্ত সুবিধা দেবে।

ফখরু মইনুদ্দিনের ১/১১ নামক মামদোবাজীর ঘটনায় এই প্রথম ভারত আম্রিকার আশীর্বাদকে নিজের স্বার্থে কাজে লাগানোর সুযোগটা পেল। প্রথমে আম্রিকা যখন ইনুস ভাইকে দিয়ে নাগরিক শক্তিকে মাঠে নামালো, জনগনের থুথুর নীচে চাপা পরে সেটি ভেসে গিয়েছিল। আর ঠিক তখনই ক্ষমতার স্টিয়ারিং হাতে নেয় ভারত এবং বাঙলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম দূভাগ্যজনক ঘটনার মঞ্চায়ন শুরু হয়। হাসিনার সরকার হাটু নামিয়ে মাথা পেতে নাকে খত দিয়ে ভারতের ডিমান্ড পূরনে সমস্ত কিছু করার দাসখত দিয়ে ক্ষমতা হাতে নেয়। অন্যভাবে বলা যায়, ক্ষমতার এজেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেয়। যারা চিন্তা করতে কিছুটা অসুবিধা বোধ করেন তাদের জন্য রয়েছে ছাক্কা উদাহরন, টিপাইমূখ, ট্রানজিট, রামপালে বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মান, তিস্তার পানি চুক্তি নিয়ে গড়িমসি ইত্যাদি ইত্যাদি এবং সীমান্তে হত্যা বিষয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নে বিশিষ্ট মওদুদী সৈয়দ আশরাফ বলেন সীমান্তে হত্যা নিয়ে সরকার চিন্তিত নয়। আশা করছি পাঠক এখন বুঝতে পারছেন কেন সরকার চিন্তিত নয়। জেলের ঘানির থেকে টেনে তুলে যে হাসিনাকে সরকার প্রধান করেছে ভারত, তার করা কিছু ফাজলামো মেনে নিতেই হয়। তাই না?

এখন ট্রানজিট নিয়ে দুটো লাইন আমি খরচ করতে চাই যাতে করে আমরা বুঝতে পারি যে ভারত কতটা মরিয়া ট্রানজিট পেতে এবং এটা পেতে ভারত কী করতে পারে।
বাঙলাদেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট ভারতের যে “সাত বোন” বা সেভেন সিস্টার্স খ্যাত যে সাতটি রাজ্য আছে সেখানের বাজার ধরার জন্য অত্যন্ত গুরত্বপূর্ন। এটি কমবেশি আমরা অনেকেই জানি। আরেকটি যে ব্যাপার আমরা গোনায় ধরি না, অথচ যেটিই সবচাইতে বেশি গূরুত্বপূর্ন সেটি হল, বাঙলাদেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট পেলে সেটা চীনের সাথে দ্বন্দ্বে জড়ালে ভারতকে কৌশলগত সুবিধা যেবে। এই উদাহরন আমি দিতে চাই ভারতের একটি পত্রিকা থেকেইঃ

“New Delhi, September 24
In major development, India’s eastern neighbour Bangladesh has finally agreed to start the construction of a highway that will not only provide transit facilities, ensuring easy movement of goods, but also drastically shorten the circuitous route — crucial from the military point of view — between northeastern states and the port city of Kolkata.”

লিঙ্ক এখানে দেখুন।

তারমানে হল, ইন্ডিয়া দরকার হলে পাহার সরিয়ে দেবে কিন্তু ট্রানজিট তার লাগবেই। ১/১১ সরকার কি অনেকটা পাহার ঠেলে সরিয়ে দেয়াই নয় পাঠক? তাছাড়া ভারতের অভ্যন্তরিন জঙ্গী সমস্যা সমাধানের নৌকাতে বাঙলাদেশকে তুলে নেয়াটাও ভারতের আরেকটা উদ্দেশ্য যেটা অনেকটাই বাঙলাদেশ বহন করে চলেছে। সুতরাং বাঙলাদেশের কাছে ভারতের চাওয়া পাওয়া অনেক অনেক এবং অনেক। শুধুমাত্র এইটুকু বোঝানোর জন্যই ধান বানতে শীবের গীত গাইছি এতক্ষন ধরে।
এতক্ষন ধরে গাওয়া শীবের গীত যদি আমরা বুঝতে পারি তাহলে এখন আমরা আমাদের লেখার মূল উদ্দেশ্য সীমান্তে বাঙলাদেশী নাগরিক হত্যার কারন অনুসন্ধান করতে চেষ্টা করব।

যেকোন কেউই কারো কাছ থেকে যখন কিছু আদায় করতে চায় তখন অত্যন্ত স্বাভাবিক ভাবেই সে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। আর যদি সেই চাওয়া অন্যায় হয় তাহলে তো কথাই নেই।। সেটা হতে পারে বাবা মা বলে লুতুর পুতুর ভাষায় পটানোর কৌশল। আবার সেটা হতে পারে, ওঠ ছেমরি তোর বিয়া ধরনের ধর তক্তা মার পেরেক পদ্ধতিতে যাতা দিয়ে কাজ আদায় করে নেয়া। কিন্তু প্রভু যখন দাসকে কিছু করতে বলবে সে কখনোই পটানোর লাইনে থাকবে না, সে চলে যাবে নির্দেশের লাইনে। সে চলে যাবে নির্যাতনের লাইনে। ভারত সেই কাজটি করছে। যেটাকে আমি শুয়োরের বাচ্চাদের পররাষ্ট্রনীতি বলতে চাই। আজকের বর্তমান বাঙলাদেশের জন্মের পর থেকেই এই ভারত রাষ্ট্রটির ধর্ষকামী ইচ্ছা আমাদের সরকার প্রধানরা পূরণ করে যাচ্ছে নিরন্তর। এতে করে তারা নিজেরা বেশ পোটলাপাটলি গুছিয়ে নিতে পারলেও আমরা সাধারন জনগন ভারতের চোখে পরিনত হয়েছি পোঁদ সর্বস্ব জাতি হিসাবে যাদের কাছে যা চাওয়া যায় তাই পাওয়া যায়।

ভারত যখন আম্রিকার লোকাল এজেন্ট হিসাবে চাকরী পেল, তখন সে উপলব্ধি করল, বাহ! ব্যাপারটা তো বেশ মজার! যা চাচ্ছি তাই পাচ্ছি, বিনিময়ে কিচ্ছু দিতে হচ্ছে না। এমন মজা কে না লুটবে? সুতরাং ভারতও লুটছে।

কিছুদিন আগে একজন বাঙলাদেশি নারীকে বিএসএফ নাম্নী একজন উর্দি পরিহিত বাঞ্চোত স্বামী সন্তানের সামনে ধর্ষন করেছে এবং পরবর্তীতে জেলে প্রেরন করেছে। এই ঘটনার পরে মধ্যবিত্ত উত্তেজিত সন্তানেরা যেটা করে, আমিও সেটা করেছি। ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জাতে উঠেছি। সেটির প্রাসঙ্গিক অংশটু আমি এখানে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাইঃ

“ইন্ডিয়ার বর্ডার নাটকের সবচাইতে বড় কারন হল, বাঙলাদেশীদের বোঝানো, যে তোমরা ক্ষুদ্র। তোমরা অসহায়। একটা চমৎকার মাইন্ড গেইম। সো, আমাদের সাথে কথা বলার সময় হিসাব করে বলবে। আমরা যখন তোমাদের প্রকৃতি ধ্বংস করে বিদ্যুতকেন্দ্র বানাবো, তোমাদের দেশের পুটু মেরে অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করব তখন তোমরা আমাদের বানানো আলোচনার অযোগ্য মুভি দেখে নাচবে। আমরা যখন আলু পিয়াজ নিয়ে রাজনীতি করব তখন তোমরা সানি লিওনি, ক্যাটরীনা প্রভৃতি নামে আমরা যে চোখে সঙ্গমযোগ্য মাগীদের বানিয়েছি সেগুলোর আলু, পটল, লিচু এবং পিয়াজের ঝাঝ নিয়ে কথা বলবে। এবং বলা বাহুল্য, সেই নাটকের সফল মঞ্চায়ন তারা করতে পেরেছে”

সীমান্তে কোন হত্যাকান্ডকে বিএসএফ তথা ভারতের শুয়োরের বাচ্চাদের জন্য যে বাহিনী তৈরী করা হয়েছে তারা অস্বীকার করে নাই। অর্থাৎ আমাদের করা দাবী ভিত্তিহীন নয়। তাহলে এই শুকর শাবকদের তথা এদের পয়দা করে হাটে ঘাটে মাঠে লেলিয়ে দেয়া ভারতের শুকোর সরকারের বক্তব্য কী? তাদের বক্তব্য আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে যা জানতে পেরেছি তা হল, এই হত্যাকরা মানুষগুলো নাকি “চোরাচালানকারী”। বেশ ভালো কথা চোরাচালানকারী। আমরা বেশ বুঝলাম। কিন্তু তার প্রমান? কেউ যদি চোরাচলানী কাজে যুক্ত থাকে সেটা প্রমান এবং প্রমানিত হলে শাস্তি দেয়ার জন্য আদালত নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ভারত আদালত বোঝার মতন শিক্ষিত হয়ে ওঠে নি। আজ পর্যন্ত হত্যা করা কেউ কি আদালতে প্রমানিত “চোরাচালানকারী”? হবে কী করে? আদালতে নিতে হলে যে তাকে জীবিত হতে হবে! তাহলে মানেটা কী দাঁড়াল?

মানেটা দাঁড়াল এই যে, আজ পর্যন্ত যে কয়জন মানুষকে সীমানার ঐ পারের উর্দি পরা শুয়োরের বাচ্চারা হত্যা করেছে তাদের একজনও চোরাচালানকারী নয়। অর্থাৎ সীমান্তে প্রতিদিন নির্দোষ মানুষজনকে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। দাঁড়ান দাঁড়ান, তারা আদালত বলে প্রতিষ্ঠানটি চেনে না বলে যে তথ্য আমরা জেনেছিলাম সেটা সম্পূর্ন ঠিক নয়। কারন আমরা জানতে পেরেছি ফেলানিকে হত্যা করা শুয়োরের বাচ্চাটি নাকি “নির্দোষ”। তারমানে হল ভারতের সরকার আদালত বোঝার মতন শিক্ষা অর্জন করতে পারলেও, আদালতের কর্মকান্ড সম্পর্কে এখনও অশিক্ষিতই রয়ে গ্যাছে। এবং এর আরো মানে দাঁড়ায় ফেলানিকে হত্যা নাজায়েজ কিছু হয় নি! তাকে হত্যা করা ঠিকই আছে। আজকে আমরা ফেলানির দ্বিতীয় মৃত্যু উদযাপন করছি ভারতের বদৌলতে।

এবং আমাদের সরকার প্রধানরা যেহেতু বলেইছেন, সরকার সীমান্তে হত্যা নিয়ে চিন্তিত নয় সুতরাং এটা ভাবনার কিছু নয়।

ভারতের এই আন্তর্জাতিক আইন লংঘন করে হত্যা করার একটিই মাত্র কারন, সেটি হল, সীমান্তে সবসময় একটা উত্তেজনা বজায় রেখে নিজের ফায়দা হাসিল করা। সরকার যেহেতু নিজের পকেটেই আছে সুতরাং জনগনকে বোঝাতে হবে, চোওওওওপ! কোন কথা নাই। আমি যা বলব তাই। এর বাইরে কিছু হবে না। একেই আধিপত্তবাদ বলতে পারি আমরা।

একদম শেষে এসে আমি ফেইসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসের বাকি অংশ এখানে দিতে চাইঃ

আমরা যখন জীবন মানে জি বাঙলার কুৎসিত লম্ফঝম্ফ দেখছি তখন তারা সীমান্তে আমাদের ভাই, আমাদের বাবা, আমাদের মায়েদের হত্যা করে কাটাতারে ঝুলিয়ে রাখছে। আমরা যখন স্টার প্লাসে শতাব্দী প্রাচীন সিরিয়ালে অর্গ্যাজম করছি তখন তারা সীমান্তে আমাদের ভাইদের পিটিয়ে ভিডিও করে দেখিয়ে দিচ্ছে। আমরা যখন বলিউড বলে পরিচিত একটি মূর্খের খামারে, (বস্তুত বলিউডি বিনোদন মূর্খ এবং অশিক্ষিতরাই দেখে থাকে) ডুবিয়ে রাখছি আমাদের এই পচে যাওয়া দূর্গন্ধযুক্ত মুখমগজমন, তখন ওরা আমাদের দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে রাখছে শোচনীয়ভাবে উল্লেখযোগ্য অবদান। কারন ওরা জানে, এই বাঙলাদেশিরা একটু অমনই। নাম জিজ্ঞেস করলেই ওরা পোঁদ পেতে দেয় তার স্বদব্যাবহার করার জন্য। আমাদের পোঁদ সর্বদা উচুই থাকে মূলত। আমরা মুখে যতই সংগ্রাম, সংগ্রামী চেতনা চোদাই না কেন, ব্যাবহারিক দৃষ্টিকোন থেকে আমরা এক একজন উচুদরের আপোসে পোঁদমারা দেওয়া জৈবিক সত্ত্বা।

যারা নিজেদের বাঙালদেশী দাবী করেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, দেশের একজন অসহায় নারী, একজন স্ত্রী একজন মমতাময়ী মা’কে তার স্বামী এবং সন্তানের সামনে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ধর্ষন করেছে। এর পরেও সেই দেশেরই অনুল্লেখযোগ্য বিনোদনের চর্চা যারা করবেন, তাদের আমি আজকে থেকে শুয়োরের বাচ্চা বলে অভিহিত করতে চাই। আমি তাদের তুলনা করতে চাই বেজন্মা বলে। আমি তাদের অভিহিত করতে চাই জারজ বলে।

আরেকটি অনুরোধ আমি তাদের করতে চাই, মুখে চেতনা না চুদিয়ে, স্বাধীনতার বীর্জ কথায় কথায় না ফেলে সীমানা পেড়িয়ে ওপারে চলে যান। এই দেশটাতে পোঁদবালক এবং বালিকাদের সংখ্যা স্যাচুরেশনের পর্যায়ে পৌছে গ্যাছে। আপাতত আর না হলেও আমাদের চলবে। ধন্যবাদ