শিরোনামে মূলত দুটি বিষয়ের কথা বলা আছে। প্রথমটি নিয়ে কি বলবো তা বেশ সহজোনুমেয় হলেও এর সাথে ‘বিএনপির জনপ্রিয়তা’ কোত্থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসলো তা নিয়ে বেশ ভ্রু কোচকানোর জোগাড় হতে পারে। পুরো লেখাটি পড়লে আশা করি এদের মধ্যে সম্পর্কটি পরিষ্কার হয়ে উঠবে।

বাঙ্গালির দ্বিচারিতাঃ
ফেসবুকের এই যুগে তারকাদের ব্যক্তিগত জীবনের আপডেট বেশ সহজেই পাওয়া যায়।এই রমজানের শুরুতে হোম ফিডে দেখলাম আমার বন্ধুতালিকার একজন এক জনপ্রিয় নারী মডেলের একটা স্ট্যাটাস দিয়েছে। আবেদনময়ী নারী মডেলটির স্ট্যাটাসটি অনেকটা এরকমঃ ‘এই রমজান মাসে কোন ফটোশুটের কাজ করবো না। ওপরওলার এবাদতে নিজেকে নিয়োজিত রাখবো’; কমেন্ট বক্সে দেখলাম অনেকেই আলহামদুলিল্লা,সুভান আল্লাহ ইত্যাদি কমেন্ট করছে। আবার আরেক নারী মডেলের স্ট্যাটাস দেখলাম এরকমঃ ‘আজকে দুটি ম্যাগাজিনের অফার পেয়েছি। রোজার মাসে এ তো মহান আল্লাতালার কুদরত’; ঈদের পর পূজা আসলে আবার দেখা যাবে অনেক হিন্দুধর্মাবলম্বী বন্ধুরা কলকাতার নায়ক-নায়িকাদের মধ্যে কে মন্দিরে গিয়ে উলুধ্বণি দিচ্ছে কিংবা গড় করে প্রণাম করছে দেবী দুর্গাকে এরকম ছবি শেয়ার করছে আর ঈশ্বরের কৃপার প্রশংসায় মেতে উঠেছে।

উপরের প্যারা থেকে আমরা কতগুলো কনট্রাডিকশন লক্ষ্য করতে পারি। ১)মডেলিং (ধর্মপ্রচারকদের ভাষায় শরীর প্রদর্শন) কি ধর্ম দ্বারা স্বীকৃত? একজন রমজান মাসে শরীর প্রদর্শন করবেন না,ফলে কি বাকি ১১ মাস তার জন্য তার ধর্মমতে শরীর দেখানো জায়েজ হয়ে গেল?
২)যে সেলিব্রেটির জীবনাচরণে হিন্দু ধর্মের অন্য নিয়ম মানার কোন পায়তারা নেই তিনি একদিন গিয়ে মা দুর্গাকে গড় করে প্রণাম করলেই কি সে ধর্মের পথে আসলো? সে ধর্মাচারণের মডেল হয়ে গেল?
৩) রোজার মাস আসলে কি শুধু শোবিজের নারী তারকাদেরই ধর্মের পথে সাময়িকভাবে অবস্থান নিতে হবে? কোন পুরুষ সেলিব্রেটিকে বলতে শুনিনা এই রমজানে সিনেমার দৃশ্যে কাউকে চুমু খাবো না কিংবা জড়িয়ে ধরবো না। অর্থাৎ ছেলেদের ক্ষেত্রে ধর্ম মানার ক্ষেত্রে সমাজ বেশ ছাড় দিয়েছে বলা যায়। যেমন অনেকেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়-সারাদিন রোজা রেখে ইফতারির পর সিগারেটে টান দেয়ার অনুভূতিই আলাদা। কথা হচ্ছে,সিগারেটে টান দেয়াটা কতটা ধর্মসম্মত?
৪)উপরোক্ত আলোচনার মধ্যে সবচেয়ে বড় কনট্রাডিকশন হচ্ছে,যারা নিয়মিত এই ধর্মের কুদরতের কথা ফেসবুকে শেয়ার করে তাদের অধিকাংশই আবার ভার্সিটিতে প্রেম করে,মাঝে মধ্যে বন্ধুদের সাথে পানাহারেও যায়,কেউবা আবার রোজা রেখে সারাদিনটা পাড় করে দেয় হলিউডি মুভি দেখে।তার চেয়েও বড় কন্ট্রাডিকশন-রোজা রেখে সোয়াব আদায় করে সন্ধ্যায় ইফতার পার্টি করে ফেসবুকে রাতে বসে বন্ধু-বান্ধবীর জড়াজড়ি পার্টি ফটো আপ্লোড করে।

সবগুলো কন্ট্রাডিকশনকে একত্রিত করলে এক বাক্যে বলা যায়, বাঙ্গালিদের ধর্মাচরণ কতটুকু মৌখিক আর কতটুকু বাস্তবিক? কেউ যদি নিজের কাছে সৎ থেকে ধর্ম পালন করতে চায় তাহলে সে যে সেলিব্রেটির ধর্মপালনকে মাশাল্লাহ,ঈশ্বরের কৃপা বলে প্রচার করছে তাকে তো তার চেনারই কথা না!!!!! কিন্তু আপনি এই কন্ট্রাডিকশনকে এড্রেস করতে যদি সরাসরি কোন প্রশ্ন করেন তবে সেটিকে ইনিয়ে বিনিয়ে কিংবা সরাসরিই ‘ধর্মানুভূতি’তে আঘাত হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়! নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলি। এক ফেবু বন্ধু জার্মানির তারকা ফুটবলার মেসুত ওজিলের প্রার্থনারত একটি ছবি শেয়ার করেছিল ফেসবুকে,ক্যাপশন অনেকটা এরকম-‘আল্লাহর ইবাদতরত অবস্থায় বিশ্ব কাপানো ফুটবলার-আমাদের ভাই-বল সুভানাল্লাহ’; আমি সেখানে মেসুত ওজিলের তৎকালীন গার্লফ্রেন্ড,যিনি কিনা জনপ্রিয় জার্মান মডেল,তার একটি নগ্নবক্ষা ছবির লিঙ্ক দিয়ে বলেছিলাম-এই হচ্ছে তোমাদের মুমিন ভাইএর গার্লফ্রেন্ড। ব্যাস। বাড়া ভাতে ছাই বলে কথা।এরপর মালাউন,ডান্ডি,মালুর ব্যাটা ইত্যাদি ইত্যাদি গালি বর্ষণ শুরু হয়ে গেল। ৯০% মুসলমানের দেশে থেকে কিভাবে আমি এক মুমিন মুসলমানের ঈমান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারলাম-সেইটাই হয়ে গেল ঐখানকার প্রধান আলোচ্য বিষয়। অথচ কি করে একজন মুমিন মুসলমানের একজন টপলেস মডেল গার্লফ্রেন্ড থাকতে পারে সে নিয়ে তাদের কোন ভাবান্তর হতে দেখা গেল না।

উপরোক্ত আলোচনা থেকে একটা স্ট্রেটলাইন উপসংহারে আসা যেতে পারে।সেটি হচ্ছে,ধর্ম হচ্ছে বাঙ্গালির ফ্যাশন। ফ্যাশন আমরা করি মানুষকে দেখানোর জন্য,ইউনিকভাবে সমাজে নিজেকে উপস্থাপন করার জন্য।বাঙ্গালির ধর্মকর্মও পুরোটা না হলেও অনেকটাই তাই। যেমন ধরা যাক-হিন্দুদের পরিবারের কেউ মারা গেলে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মাছ-মাংস বর্জনের নিয়ম। আমার দাদু মারা যাওয়ার পর আমি পরিবারে বিদ্রোহ করে বসলাম।আমার লজিক হচ্ছে,দাদু মারা গিয়েছে এই জন্য আমার ‘শোক প্রমাণ’-এর জন্য কেন আমাকে খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মানে আমি কতটুকু শোকগ্রস্ত সেটার মানদন্ড কি আমি মাছ-মাংস না খেয়ে আছি সেটা প্রদর্শন করা? আমার লজিকে পেরে উঠতে না পেরে মা বললেন-‘বাবা,এরকম করলে লোকে কি বলবে?’ হ্যা! এইখানেই হচ্ছে আসল কথা। লোকে কি বলবে।অর্থাৎ অন্তর্নিহিত ধর্মবিশ্বাস নয়,লোকে কি বলবে,সমাজ কিভাবে নেবে-এটাই রিচুয়াল পালনের প্রধান দায়বদ্ধতা!! অথচ,বিষয়টা শুধুই ‘বিশ্বাস’-এর উপর নির্ভর করলে লোকের বলাবলি কোন ফ্যাক্টরই হওয়া উচিত না। লোকে ভাল বললেও করবো-খারাপ বললেও করব-এই হওয়া উচিত বিশ্বাসের শক্তি। কিন্তু বাস্তবতাটা হচ্ছে উলটো!!!

তাহলে দেখা যাচ্ছে,লোকে কি বলবে সেটাই ধর্মপালনের ফ্যাক্টর। আর এ কারণেই লুকিয়ে লুকিয়ে পর্ণ দেখাটা আমাদের ধার্মিকদের কাছে হারাম না কারণ লোকে তো দেখছে না; পার্কের চিপায় গিয়ে প্রেম করাটাও অধর্ম না কারণ লোকে তো দেখছে না(কিংবা অন্য লোক দেখলেও পরিচিত কেউ তো দেখছে না); সিগারেট খাওয়াও পাপ নয় কারণ এটা লোকে দেখলেও লোকে এটাকে গ্রহণযোগ্য হিসেবে ধরে নিয়েছে! তবে মদ-গাজা খেতে গেলে আবার একটু লোকচক্ষুর অন্তরালে যেতে হবে কারণ লোকে এখনও এটা মেনে নিতে পারে নি। প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া আস্তিকদের এই দেশে পাপ কারণ লোকে মেনে নেয়নি কিন্তু ঘুষ খাওয়া তেমন কোন গুণাহ নয় কারণ লোকে ধরেই নিয়েছে এক আধটু উপরি খাওয়া যেতেই পারে। কাজেই ধর্ম হচ্ছে এখানে Coating বা বর্ম ,সময়ে সময়ে অস্ত্র।নিজেদের এই দ্বিচারী অবস্থানকে বাঙালি খুব পরিতৃপ্তির সাথে মেনে নিয়েছে এবং ‘মডারেট’ নামে বেশ গর্বের সাথে জীবনে প্র্যাকটিস করে যাচ্ছে।সচলের চরম উদাসের ব্লগের রেফারেন্স এনে বলা যায়,আমরা সময়ে সময়ে টুপি পড়ি আবার প্রয়োজন মিটে গেলেই খুলে পকেটে রাখি। অত্যন্ত কার্যকর একটা ফ্যাশন। ধর্মও বাঁচে আবার নিজের আকাংক্ষাও বাস্তবায়িত হয়!!!!

বিএনপির জনপ্রিয়তাঃ
এবারে আসি আমার এই লেখার সবচেয়ে বিতর্কিত অংশে।জানি এটা নিয়ে কমেন্ট বক্সে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়ে যাবে,কারণ এই তত্ত্বের বিপরীত তত্ত্বও থাকবে নিশ্চিত।কাজেই কিছুটা সাহস করেই এবং এক অর্থে এই বিষয়ে অন্যদের মতামত কেমন সেটা জানার কৌতুহল থেকেই এই লেখার আবির্ভাব। এই তত্ত্বের মালিকানা পুরোপুরি আমার না। আমার বাবার কৃতিত্ব আছে এখানে। আমি একটা হিসাব মেলাতে পারতাম না কখনও যে, বিএনপি আমাদের দেশে এতো অল্প সময়ে কিভাবে এতো জনপ্রিয় হল। একটা রাজনৈতিক দল জন্মানোর পেছনে একটা শক্ত আদর্শিক অবস্থান থাকতে হয়,জনসম্পৃক্ততা থাকতে হয়। বিএনপি জন্ম নিয়েছে ক্যান্টনমেন্ট থেকে,সেই দলকে জনগণের সাথে পুরোপুরি সম্পৃক্ত করার আগেই ১৯টি বুলেটের আঘাতে শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে মৃত্যবরণ করেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও তৎকালীন স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান। প্রতিষ্ঠা এবং প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যু,সময়ের ব্যবধান সাকুল্যে ৫ বছর। এই সময়ের মধ্যে ক্যান্টনমেন্ট থেকে উৎপন্ন একটা দল কি এক মহীরুহ অতিক্রম করে ফেললো যে দেশের স্বাধীনতার নেতৃত্ব দেয়া একটি দলের সমান্তরালে চলে গেল তারা! হ্যা,এখানে আওয়ামীলীগের অগণতান্ত্রিক আচরণ,স্বজনপ্রীতি, এডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে আওয়ামীলীগের নেতাদের ব্যার্থতা,দুর্নীতি এইসব ঘটনা আওয়ামীলীগের প্রতি মানুষকে বীতশ্রদ্ধ করতে বাধ্য।কিন্তু এর বিপরীতে বিএনপি কি এমন গণতান্ত্রিক আচরণ (দলের উৎপত্তি কিন্তু সংবিধান স্থগিত রেখে ক্যান্টনমেন্টে),সমতা,এডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে সফলতা,সুনীতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো যে দেশের জনগণের মধ্যে বিপুল সংখ্যক বিএনপির Core ভোটার তৈরি হল? এখন অবস্থা এরকম যে যেকোন আসন থেকে ধানের শীষ মার্কায় যদু মধু রহিম করিম দাঁড়ালেও ওই এলাকার একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোট পাবেই সে।অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট অংশ(অংশের পরিমাণটা অবশ্যই বড়)-এর ভোটারের মাঝে বিএনপির একটি চিরস্থায়ী আসন তৈরি হয়ে গেছে খুব অল্প সময়েই। অথচ এই রাজনৈতিক দলটির উৎপত্তি,ক্রমবিকাশ,কার্যকলাপ এবং ইতিহাস পর্যালোচনা করলে এতো কম সময়ে এতো বিপুল core জনপ্রিয়তা অর্জন করাটা বিষ্ময়কর বৈকি। আমি আবারও বলছি,এখানে আওয়ামীলীগের অবশ্যই ব্যর্থতা আছে।দুর্নীতি,স্বজনপ্রীতি,আদর্শচ্যুতি ইত্যাদি।কিন্তু এর বিপরীতে বিএনপি এমন কোন সুনীতি বা আদর্শিক অবস্থান দেখাতে পারে নি যে এরকম বিপুল সংখ্যক core ভোটার তৈরি করে ফেলবে।

তো এই বিষয় নিয়ে আলোচনাকালে আমার বাবা একটা ইন্টারেস্টিং ফ্যাক্ট এর কথা বললেন যা apparently আমার কাছে বেশ গ্রহণযোগ্য মনে হল। আর এখানেই কাজে লাগছে পূর্বোক্ত আলোচনার সেই দ্বিচারী বাঙ্গালির ভূমিকা। এই লেখার প্রথম অংশে খুব ভালোভাবে বাঙ্গালির ধর্মকেন্দ্রিক দ্বিচারিতার কথা তুলে ধরেছি। হাফপ্যান্ট পরা লুলপুরুষ আর নাইট পার্টি করা মেয়েরাও ফেসবুকে ধর্মপ্রচার করে।আগের স্ট্যাটাসে দীপিকা পাডুকোনকে নিয়ে লেখে,পরের স্ট্যাটাসে ইসলাম প্রচার করে। বিএনপি জন্মগতভাবে এই দ্বিচারিতা ধারণ করে রাজনীতি করছে।ফলে দেখা গেছে বাঙ্গালির কমন চরিত্রের সাথে বিএনপির একটা মজ্জাগত সাদৃশ্য আছে।মানে নিজে ব্যক্তিজীবনে ধর্ম অনুসরণ করব না কিন্তু নিজেকে ধার্মিক হিসেবে জাহির করব বা ধর্মকে ব্যবহার করব বা ঢাল হিসেবে ব্যবহার করব। এইজন্য কোন আদর্শগত ভিত্তিভূমি না থাকা সত্ত্বেও বিএনপি বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে গেছে। এইকারণে চুলের ফ্যাশন করা আর শিফনের শাড়ি পড়া খালেদা জিয়া ইসলাম গেল বলে চিৎকার দিলেই লক্ষ লক্ষ মানুষ সেখানে জরো হয়,ভোটের রাজনীতিতে তার প্রত্যক্ষ প্রতিফলনও দেখা যায়। একারণেই আল্লামা শফির ভক্তকুল হয় ঢাকা শহরের শিক্ষিত জেনারেশন,ঢাবি-বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। যে ছেলেটিকে সন্ধ্যার সময় ক্যাম্পাসের চিপায় গার্লফ্রেন্ডের সাথে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় প্রেম বিনিময় করতে দেখি রাতের তাকেই দেখি ১৩ দফার পক্ষে ফেসবুকিং করতে। এই অবিশ্বাস্য দ্বিচারিতার প্র্যাকটিস বাঙালি খুব ভালোভাবে পারে। আর এই ব্যাপারটির জন্যই বিএনপি বাঙ্গালির জন্য একটি সুবিধাজনক রাজনৈতিক দল। কারণ এই দল অসাম্প্র্দায়িকতার নাপাক চর্চার কথা বলে না,ধর্মকে সর্বাগ্রে স্থান দিয়ে বাংলাদেশকে একটা সেমি-ইসলামিক দেশে রূপান্তরিত করার কথা বলে আবার ব্যক্তিজীবনে বা আচরণে পুরোপুরি ধর্ম ফলো করে না,বা নিজের সুবিধামত ফলো করে।বাঙ্গালির জন্য এর চেয়ে আরামদায়ক ও সুবিধাজনক দল তো আর হতে পারে না!!!!!!

লেখাটা বেশ বড় হয়ে যাওয়ার জন্য দুঃখিত।শেষাংশ নিয়ে সহমত-বিপরীতমত কমেন্টে দেখতে পাবো আশা করছি। অনেকের কাছ থেকেই বিপরীতমত আসবে সেটাই স্বাভাবিক,সেক্ষেত্রে বিপরীত তত্ত্বগুলো কি সেটা দেখার জন্য কৌতুহল আছে আমার,কারণ আসলেই আমি এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছি-বিএনপি কেন এতো জনপ্রিয়? কি তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড আর কি তাদের এচিভমেন্ট? বিতর্কের দ্বার উন্মুক্ত রইল। সবাইকে ধন্যবাদ। 🙂