পদ্য রচনার সময় নহে অদ্য
এই নষ্ট অমানুষদের সময়ে সকল
অমোঘ কবিতাকেও মনে হয় রসকষহীন কেঠো গদ্য।

মানবতা অসহায় আজ অমানবদের হাতে,
সভ্য কেঁদে মরে অসভ্যের আঘাতে।
আলো ও সত্য আজ আঁধার, অসত্যের কাছে বিপন্ন
আলোকিত সৎ মানুষ হয়েছে আঁধারবাসী
অন্ধ, অসৎদের বিকৃত ঘৃণ্য উল্লাসের পণ্য।

নষ্ট শাসক, নষ্ট শোষক, নষ্ট ওদের শাসনতন্ত্র।
নষ্ট অমানুষদের ছোঁয়ায় নষ্ট হয়েছে সময়, নষ্ট হয়েছে গণতন্ত্র।
এই নষ্ট সময়ে অন্ধদের রাজত্বে
ঘোর কৃষ্ণ-গহ্বরে জন্মেছি আমরা।
আমাদের বেঁধে দেয়া চোখে
ঠিকরে পড়া আলোকের রশ্মির পথ ধরে
সত্য জগতে পৌঁছেছি আমরা।
আমরা স্বার্থপর নই, তাই
আলো পৌঁছিয়ে দিতে চাই
আঁধারের প্রতিটি গোপন কোণায়।
আমরা কঠিন, বিষাক্ত, সুপ্ত আন্ধকার ও অন্ধকে
জাগিয়ে তুলতে চাই।
এ-ই আমাদের অপরাধ!

অন্ধ হায়েনাদের কাছে
নির্বিচারে অত্যাচারিত আমরা।
ওরা আমাদের হাতে, চোখে, মুখে পট্টি বেঁধে দেয়
আমাদের কলম কেড়ে নেয়।
কলম ও কলম-সৈনিক আজ লাঞ্ছিত বেচারা।

কার কাছে চাইবো এই অবিচারের বিচার?
বিচারক নষ্ট, নষ্ট তার অবিচার।

পদ্য রচনার সময় নহে অদ্য
এ কবিতা নহে, এ নহে তো পদ্য।
এ আমার নিভৃত বেদনার নিরুপায় কিছু কথা।
এ আমার অসহায় মনুষ্যত্বের
ততোধিক অসহায় অকেজো গোঙানিগাথা।