ধানক্ষেতের ঢালুতে,অনেকটা জায়গা জোড়া বুনোফুল;
ফি বছর সাদা হয়ে ফুটতো; বুড়ো কামলার যত্নে।
আচমকা একদিন; সাদা সব রঙধনু রঙে ছেয়ে গেলো।

এত রঙ, এতো আলো, ফেব্রুয়ারিতে চমকেই ফুটল।
তৃপ্ত বুড়ো অবসরের আনন্দে খুব কেঁদেছিল সেদিন।

ভেবেছিলাম অনেক আগেই পোড়বাড়ী ছেড়ে এসেছি;
হা হ্তম্মি, দিনের আলোয় দেখে ফেললাম ওদের।

বেশ কটা কুকুর কুকুরি
এবং ছড়িওয়ালা জন্তুমানবের দেখা পেলাম;
ঝকঝকে সকালে।

ব্যতিক্রমী বৃষ্টিস্নাত ঝকঝকে সকালে,
ভেজা টেরিয়ার আর পুডল গুলোর রং ঝরে গেলো,
স্রেফ লোভী সেই কুকুর কুকুরি বনে গেল ওরা।
গামলার জমা বর্জ্যে তীব্র আকর্ষণ ওদের।
নাক ডোবানোর এবং তৃপ্তির ঢেকুর শুনলাম।

অনেক দূর থেকেও বিকট দুর্গন্ধ ভেসে এলো।
ধানক্ষেতের ঢালুতে নতুন উজ্জল ফুলগুলো;
বীভৎস দুর্গন্ধের কষ্টে বিবর্ণ হয়ে গেলো,
বুড়োটার অবসর, অর্থহীন হয়ে গেলো;
এত রঙ, এতো আলো, কয়লা কালো হল।

বর্জ্যখেকো জন্তুগুলো ধূর্ত বেজায়।, গামলা চেনে শুধু;
খোলা হোক, ঢাকা হোক, পর্দা ঘেরা বা অন্ধকার,
আঁকড়ে ধরে নাক ডুবালেই মন পেশীতে শান্তি ওদের।
মালিক, মানুষ, ডান, বাম চেনে না; শুধু গামলা চেনে ওরা।
ডিগবাজি আর বর্জ্য খায়। কখনো লাতও খায় বটে।

ম্রিয়মান বিবর্ণ বুড়ো আর নতুন ফুলগুলো তবু বেঁচে রয়।
বুড়োর চোখ জ্বলে। ফুলগুলো ম্রিয়মান থেকে ফের উজ্জল হয়।
কয়লা কালো আর ব্ল্যাক পাউডার মিলেমিশে একাকার হয়।
আমরণ বুড়ো চেয়ে রয় ক্রমান্বয়ে উজ্জল নতুন ফুলগুলোর দিকে;
ঠিকাদার জন্তুমানবগুলোকে ফের কষে লাত মারবার অপেক্ষায়।