গতকাল রাতে উত্তরায় মুক্তমনা ব্লগার এবং অনলাইন এক্টিভিস্ট আসিফ মহিউদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। আর কোন উদ্দেশ্য ছিল না। কমপক্ষে ৭ টা গভীর স্টেপ, যার ২ টা ঘাড়ে। বুকে আঘাত করেছে, গলায়ও একটা কোপ দেয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু কোনক্রমে তেমন গভীরভাবে লাগেনি। কোন কিছু নেয়ার চেষ্টা করেনি, মোবাইলও না। ছিনতাই উদ্দেশ্য ছিল না। খুব অল্প সময়ের মধ্যে ছুরিকাঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যাওয়া, ছুরিকাঘাতের ধরণ- সব কিছু মিলে বুঝা যায়- এটা প্রফেশনালদের কাজ। এবং এদেরকে আনাই হয়েছিল আসিফকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে।
আসিফ মহিউদ্দিন ছুরিকাহত অবস্থায়, নিজেই প্রথমে উত্তরার ১১ নং সেক্টরের মনসুর আলী হাসপাতালে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা ওখানেই দেয়া হয়। খবর পেয়ে আসিফ মহিউদ্দিনের আত্মীয়রা এবং বাকি বিল্লাহ, সেলিম আনয়ারসহ আরও ব্লগার, আনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা পৌঁছে যায়। পরে রাতেই তাকে নিয়ে আসা হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। গভীর রাতে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয় এবং আজ ভোর পর্যন্ত, ৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অস্ত্রোপচার করা হয়। ডাক্তারদের ভাষ্যমতে এখন আসিফ মহিউদ্দিন আশংকামুক্ত।
কারা মেরেছে? কেন মেরেছে? কোন কিছুই জানা যায়নি। আসিফ মহিউদ্দিন কাউকে চিনতে পারেনি। প্রফেশনাল খুনি ভাড়া করা হয়ে থাকলে – আসল হোতাদের আসিফের চেনার কথাও না। মোটা দাগে দাবী তুলি, সবাই তুলছেও- ঘৃণ্য এই হত্যা প্রচেষ্টার দ্রুত বিহিত হোক, হামলাকারীদের দ্রুত সানাক্তকরণ, গ্রেফতার ও বিচার হোক।
আসিফ মহিউদ্দিনের উপর কার/ কাদের এত রাগ? কেন এই রাগ? ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল কারো সাথে? স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন বিরোধ? নাকি ব্লগে, ফেসবুকে আসিফের সরব উপস্থিতি ওদেরকে এমন খেপিয়েছে? জানা দরকার। এমন কোন ব্যক্তিগত শত্রুতা বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিরোধের কথা আসিফের জানা নেই, আসিফের বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় স্বজন পরিচিতজনেরা জানে না। কিন্তু আসিফ মহিউদ্দিনকে নিয়ে তার কাছের লোকেরা ভয়ে থেকেছে বরাবরই। ফেসবুকে, ব্লগে আসিফের সমর্থক / ভক্তদের চেয়ে আসিফ বিরোধী গ্রুপ কম শক্তিশালী নয়। অসংখ্যবার প্রকাশ্য হুমকি ধামকি খেতে দেখেছি আমরা। ধর্মান্ধদের চক্ষুশূল সে। জামাতি- আওয়ামি পেইড গ্রুপেরও সমান গাত্রদাহের কারণ আসিফ মহিউদ্দিন। তাদের কারো টার্গেট এই আসিফ? জানি না, কিন্তু জানা দরকার। আসিফের পরিবারের লোকেরা কিন্তু ভয়ে থেকেছে। এর আগেও ২০১১ সালের অক্টোবরে আসিফ মহিউদ্দীনের বাসায় ডিবি পুলিশ খুঁজতে যায় ও থানায় রিপোর্ট করতে বলে, পরে থানায় রিপোর্ট করতে গেলে তাকে আটক করে রাখে, ফেসবুক/ব্লগে সরকারবিরোধী ও ধর্মবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত না থাকার ব্যাপারে অঙ্গীকার করতে বলা হয়, এতে রাজী না হলে তাকে দীর্ঘ সময় আটক করে রাখা হয়। কোন যোগসূত্র আছে কি? জানি না। কিন্তু, এটা তো অস্বীকার করার জো নেই যে- এই আসিফকে আটক রেখে মানসিক নির্যাতন করা হয়, এই আসিফকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করা হয়। সরকারের উদ্দেশ্যে বলছি- হামলাকারীদের অবিলম্বে সনাক্ত, গ্রেফতার ও বিচার করতে না পারলে- এর দায় তার ঘাড়েই বর্তাবে বৈকি। অবশ্য সরকাররে নতুন করে আর কি দায় দেয়ার আছে- মুক্তিযুদ্ধের সোল এজেন্সি নেয়া, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রেতা ও ভন্ড এই সরকার – জান মালের নিরাপত্তা দিতে অপারগ তো বটেই- সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ধর্মীয় ফ্যানাটিকদের আরও উসকে দিতেও সিদ্ধহস্ত। (রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম, ধর্ম নিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র কিংবা এই সংবিধানের কোন বিধান সম্পর্কে নাগরিকের মনে অনাস্থা সৃষ্টি করলে তা রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ হিসেবে গণ্য হবেঃ সংবিধানের ৭-ক অনুচ্ছেদ)।
আমরা যারা সহব্লগার, আমাদের কি করণীয়? ভয় পেয়ে যাব? আজই একজন চায়ের দোকানে ধর্ম নিয়ে আলোচনা ওঠায় আমাদের থামিয়ে একটু আড়ালে যেতে বলল- আসিফ মহিউদ্দিনের মত দশা যাতে আমাদের না হয়- তার জন্য কিছুটা বাড়তি সতর্কতা নিতে চাইল। আমি নিশ্চিত আন্দাজ করতে পারি- আমাদের কেউ কেউ তার পরিবার থেকে, বন্ধু বান্ধব, পরিচিত জন থেকে, প্রেমিক/প্রেমিকা থেকে সাবধানবানী উপহার এর মধ্যেই পেয়ে গেছে। আমি বলছি না যে, এই কাজ ধর্মান্ধরাই করেছে- ধর্মান্ধদের অন্যতম সম্ভাবনা হিসাবে রাখি যদিও, আমি জানি না- কারা কোন উদ্দেশ্যে এ জঘন্য কাজটি করেছে- আমি জানতে চাই; কিন্তু এটা জানি যে- এই কাজে কেউ কেউ খুশি হয়েছে, যারা হুমায়ূন আজাদের উপর একি রকম আক্রমণে উল্লাস করেছিল, যারা তসলিমার মাথার দাম ঘোষণা করে তাকে দেশ ছাড়া করেছে, যারা আমাদেরকে বিভিন্ন সময়ে যুক্তিতে না পেরে উঠে এইরকম পরিণতি বরণ করার হুমকি-ধামকি দেয়। তাদের অট্টহাসিতে কি আমরা কি ভয় পেয়ে যাব তাহলে? কুঁকড়ে যাব, ইদুরের গর্তে লুকিয়ে যাব? নিশ্চয়ই না। ভয় পেলে আরও আগেই আমরা পেতাম। হুমায়ুন আজাদের উপর নির্মম হামলার পরেও তো আমরা সংখ্যায় কমিনি, মুক্তমনা ব্লগ সহ বাঙলা বিভিন্ন ব্লগে আজ আমাদের সচল পদচারনা, ফেসবুকে ও এর নানা গ্রুপে আমাদের কার্যকলাপ প্রমাণ করে- আমরা ভয় পাইনি। ফলে, নতুন করে গর্তে ঢুকার প্রশ্নই আসে না। বরং, এখন দরকার- সামনে বের হবার, আমাদের কণ্ঠস্বর জানান দেবার।
ব্লগে, ফেসবুকে- অনলাইনেই কেবল সীমাবদ্ধ থাকার আর কোন অপশন খোলা নেই বলে মনে করি। চলুন বেরিয়ে পড়ি। আসিফের পাশে ফিজিকালি দাঁড়াই- তাকে জানান দেই যে, সে একা নয়; প্রতিবাদে- প্রতিরোধে রাজপথে সমবেত হয়ে আওয়াজ তুলি- অবিলম্বে হামলাকারীদের সনাক্ত- গ্রেফতার-বিচার কর; আওয়াজ তুলি – আমাদের কণ্ঠস্বর রুদ্ধ করার আয়োজন বন্ধ কর।
কিছু প্রগতিশীলরা এই আক্রমনে খুব খুশি হয়েছেন বলে তাদের ফেসবুক স্টাটাসে জাহির করছেন। অথবা এই আক্রমণকে অন্য ভাবে দেখার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এটা তো মানতে হবে আজ আসিফ তার পরে কে?
আসিফ মহিউদ্দীন উপর ছুরি দিয়ে যে বা যারাই হামলা করে থাকুক, এর তীব্র নিন্দা জানাই। ব্লগে আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষের মধ্যে তিনি একজন । মতপ্রকাশের কারনে একজন ব্লগারকে মুখে কাপড় বেঁধে পেছন থেকে আক্রমণ নিঃসন্দেহে ঘৃণ্য, কাপুরুষোচিত এবং ন্যাক্কারজনক ঘটনা। আসিফ মহিউদ্দিনকে যথাযত চিকিৎসা প্রদান করা হোক এবং তার নিরাপত্তা ব্যক্তিগত বাড়ানো হোক। সেই সাথে সকল ব্লগার-অনলাইন এক্টিভিস্টদের কাছ থেকে শক্ত প্রতিবাদ আশা করছি। বাংলাদেশেকে আমরা পাকিস্তানের পরিণতির দিকে যেতে দিতে পারি না। ভয় নেই আসিফ ভাই, বিপ্লবীদের ক্ষয় নেই। আপনাকে ফিরতেই হবে ……………… 🙁 🙁
বাংলাদেশে বাকস্বাধীনতা আছে, ধর্মনিরপেক্ষতা আছে, সর্বোপরি, আমাদের ধর্ম সহনশীলতার ধর্ম, এসব ভ্রান্ত ধারণাগুলো একে একে পরিত্যাগ করে, আমার মনে হয়, জামাতীদের মত দেশের অল্পসংখ্যক মুক্তমনা মানুষগুলোকে সংঘবদ্ধ হয়ে একটা যৌথ শক্তি দাঁড় করানোর চেষ্টা করতে হবে। একত্র হয়ে একটা বলিষ্ঠ কন্ঠ সৃষ্টি করতে পারলে, দেশের অপশক্তিগুলো না হলেও অন্তত সরকারের দিক থেকে খানিক দৃষ্টি আকৃষ্ট হতে পারে। আমাদের সরকার যে সত্যি সত্যি কোন পক্ষের সমর্থক সেবিষয়ে আমি সবসময় নিঃসন্দেহ হতে পারিনা, অতএব তাদের কাছে ” দ্রুত বিচার”, “সমুচিত শিক্ষা” এসব ভারি ভারি শব্দ আওড়ালে কতখানি লাভ হবে জানি না।
আস্তিকদের কাছ থেকে এর বেশি কিছু আশা করা যায় না। আশার আলো এই বিরাট প্রতিবাদ মিছিল।[img]http://www.gophoto.it/view.php?i=http://blog.mukto-mona.com/wp-content/uploads/2013/01/asifM_shomabesh.jpg#.UPw1TCfUmTs[/img][img]http://www.gophoto.it/view.php?i=http://blog.mukto-mona.com/wp-content/uploads/2013/01/asifM_shomabesh.jpg#.UPw1TCfUmTs[/img]
আসিফ মহিউদ্দীনের করা মামলার অভিযোগ পত্রঃ
দু:খজনক এবং শংকার বিষয়।
দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক এই কামনা রইল।
আসিফ মহিউদ্দিনের উপর হামলার প্রেক্ষিতে আমার কাছে মনে হয়েছে মুক্তমনা ব্লগে বাংলাদেশে অবস্থানরত যাঁরা লিখেন তাঁদের ব্লগে ছবি পোস্ট করাটা ঠিক নয় । কারণ মৌলবাদীদের হাতে যুগে যুগে মুক্তমনারা এভাবে আক্রান্ত হয়েছেন,নিহত হয়েছেন । তাই যতটুকু সম্ভব সাবধানে থাকা ভাল । বাংলাদেশে একজন ফ্রি থিঙ্কারের এমন তিরোধান মানে অপুরণীয় ক্ষতি । এটা ভীত হবার বিষয় নয়, লড়াইয়ের কৌশল । নতুন পাঠক লেখার ভিতর দিয়েই না হয় দেখুক তার মুখ ।
সিলেটের মুক্তমনা বন্ধুরা আসিফ মহিউদ্দিনের উপর হামলার প্রতিবাদে সমাবেশের আয়োজন করেছেন। আমি অনন্ত বিজয় সহ অন্যান্য মুক্তমনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি সমাবেশটি সফল করে তুলার জন্য। রিপোর্ট এখানে –
আসিফ মহিউদ্দিন এখন বরং দেশে ও বিদেশে আরো অধিক জনপ্রীয় ও পরিচিত হয়ে গেলেন। তার লেখা মানুষের কাছে আরো বেশী প্রীয় হবে। জনগণ তারপ্রতি আরো বেশী সহানুভূতিশীল হইবে।
কারন প্রতিপক্ষকে তার আঘাত ছিল কলমের, আর সেখানে প্রতিপক্ষের আঘাত কলমের দ্বারা না হয়ে তার পরিবর্তে হয়েছে জীবনের উপর বর্বরোচিত ও জঘন্যতম ছুরির আঘাত। যা একটা সভ্য সমাজে নিতান্ত অনাকাঙ্খিত।
এর সঠিক তদন্ত ও বিচার একান্ত কাম্য।
বিবিসি বাংলা তেও, আসিফ মহিউদ্দিন কে নিয়ে প্রতিবেদ হয়েছে…
http://www.bbc.co.uk/bengali/multimedia/2013/01/130117_mk_bangla_blogger.shtml
একটা মানুষকে কিছু লোক হত্যার চেষ্টা করেছিল, অতএব তাদের শাস্তি মৃত্যু দন্ড ই হওয়াই উচিৎ বলে আমি মনে করি।
আপনাকে ধন্যবাদ।
আসিফ মহিউদ্দিনের উপর বর্বরোচিত আমলার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি ! যারা তাঁর প্রাণনাশের চেষ্টা করেছিল তারা আর এর পিছনের ষড়যন্ত্রকারীরা মানবতার শত্রু, তারা মানুষ নামের কলঙ্ক ! তাদের যথোচিত ভাবে ধীক্কার জানানোর মত ভাষা আমার জানা নেই ! আসিফ আমাদের মাঝে আরো বহুগুন শক্তশালী এক প্রতিবাদের ভাষা হয়ে শতাব্দীব্যাপী বেঁচে থাকবে তার জন্য আমার এই প্রার্থনা !
মামদোবাজি পেয়েছ?যাকে খুশি তাকে মারবে?তা ভাই ঈশ্বর এখনতো আমরা নাস্তিকরা প্রায় গোটা বিশ্বে ৫০%।তো আমাদের ৫০% জমি দিয়ে দাও।আমরা ৫০% নিয়ে থাকি।না হয় অন্ধকার পাশের ভাগই দিও।যদি না দাও তাহলে………।।আর যদি একটা চাপাতি ওঠে…………তোমাদের উপর আমার দাবি …………
“অবিলম্বে হামলাকারীদের সনাক্ত- গ্রেফতার-বিচার কর; আওয়াজ তুলি – আমাদের কণ্ঠস্বর রুদ্ধ করার আয়োজন বন্ধ কর।”
বিবিসি বাংলার প্রবাহ অনুষ্ঠানে খবরটি এই মুহূর্তে প্রচার করতেছে। কেহ শুনতে চাইলে এখনি
শুনতে পারেন এখানে বা নীচের লিংকে।
http://www.bbc.co.uk/bengali/audio_console.shtml?programme=benlive
[img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/ASIF.jpg[/img]
হাসপাতাল থেকে ডয়চে ভেলেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আসিফ মহিউদ্দীন ও তার বোন-
আসিফ মহিউদ্দীনের ব্যাপারটা সত্যিই বিষাদময়। আসিফের উপরে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। দেশ বরেন্য সাহিত্যিক হুমায়ুন আজাদ কেও ঠিক এভাবেই শেষ করে দেওয়া হয়েছিল। এদেশের মানুষের যে কবে চেতনার উন্মেষ ঘটবে। সভ্যতার এই যুগে মানুষ এতটা বর্বর কিভাবে হতে পারে, এরা সত্যিই মানুষ তো? নাকি মানুষ রুপের কোন হিংস্র প্রানী!
একটা মানুষের কথার উপযুক্ত জবাব না দিতে পেরে তাকে অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার মানে যে আসলে তার কাছে সত্যিকার অর্থেই হার স্বীকার করা সেটা এদের কে বুঝাবে।
অবিলম্বে এই হামলাকারীদের বিচার চাই।
আক্রমনকারীদের চিহ্নিত করণ ও উপযুক্ত বিচার চাই।
প্রাকৃতিকগতভাবে মানুষ পেয়েছে স্বাধীন চিন্তাশক্তি নির্বাচনী ক্ষমতা। কিন্তু মুক্তচিন্তাবুদ্ধির নেই কেন স্বাধীনতা? পরমত সহিষ্ণতার কেন বড়ই অভাব??? যুগে-যুগে বোকা মূর্খ ইতর শ্রেণীরা ভাবে, মুক্তচিন্তারবুদ্ধির ধারককে মেরে ফেললেই কেল্লা ফতে! কিন্তু না তা হয়ার নয়, কোন কালে তা সম্ভব হয়ে ওঠে নাই। যুগে-যুগে অনেক মুক্তবুদ্ধির চিন্তার ধারককে মেরে ফেলা হয়েছে কিন্তু তাঁর চিন্তাচেতনাকে কখনই মেরে ফেলা সম্ভব হয়ে ওঠে নাই।
মুক্তচিন্তা শুভ বুদ্ধির উদয় হোক এবং তার জয় হোক,(Y)
যাবতীয় অশুভ শক্তি নিপাত যাক! (N)
আসিফ মহিউদ্দীনের ওপর হামলার তদন্ত হওয়া দরকার কিন্তু প্রশাসন সেটা যথাবিহীত গুরুত্বের সাথে নেবে কিনা সেটাই প্রশ্ন। ২০১১ তে এ্যারেস্ট হলে ডিবির অফিসাররাও যে তার মুখে ফুলচন্দন দিয়ে উলুধ্বনি দিয়েছে তা তো নয় বরং অনেকেরই খার ছিল তার ওপর। এখন প্রতিবাদ সমাবেশ ইত্যাদি ঘটনাপ্রবাহের আকস্মিকতায় হয়তো কিছু হচ্ছে। কিন্তু রাজনৈতিক/ধর্মীয়/সামাজিক প্রতিপক্ষ দ্বারা বড় আকারে শক্তভাবে আক্রান্ত হলে প্রতিরোধের মুখে কতক্ষণ অনলাইন এ্যাকটিভিস্টরা টিকবে সেটাও বলা মুশকিল। সত্যি বলতে কি মনে হয় এখনো ভোর হয় নি। এমনকি ভোরের হাওয়ারও কোন আভাস পাওয়া যাচ্ছে না। এখনো ঘনঘোর অমানিশায় ঢাকা চরাচর। হা হতোস্মি …
প্রবাদ আছে “what can’t kill you makes you stronger”, আমার মনে হয় এটাই ঘটবে এখন, আসিফের কথাগুলো আগে ১ হাজার মানুষের কানে পৌছালে এখন ৫ হাজার মানুষের কানে পৌছাবে। বাংলাদেশের মনে হয় পাকিস্তান হতে বেশি দেরি নাই 🙁 ।
দ্বিতীয় জন্ম হয়ে উঠুক আরো উত্তপ্ত।
তীব্র নিন্দা জানাই। তীব্র নিন্দা জানাতে থাকবো যদি সরকার এই হত্যা চেষ্টাকারীদের খুঁজে পেতে গড়িমসি করে।
ফেসবুক থেকে জানলাম, আজ বিকেলে শাহবাগ জাদুঘরের সামনে ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন এর উপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে সমাবেশটি একটি প্রতিবাদ মিছিলে রূপান্তরিত হয়ে শাহবাগ থেকে টিএসসি’তে যেয়ে শেষ হয়।
[img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/uploads/2013/01/asifM_shomabesh.jpg[/img]
ধন্যবাদ জানাচ্ছি যারা সমাবেশে গিয়েছিলেন এবং মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন।
আসিফ মহিউদ্দিনের উপরে হামলার সবচাইতে উল্লেখযোগ্য দিক হল ছাগু, আম্লীগ নির্বিশেষে স্বমেহনের শীৎকার তোলাটা। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি প্যাদানীর উপরে কোন ওষুধ নাই। ডাক্তার আইজুদ্দিন নামের শাখামৃগ সহ যারা যারা শীৎকারে ফেসবুক ব্লগ কোলাহলময় করে তুলছে এদেরকে যথেষ্ট পরিমানে মৌলিক প্যাদানী দিতে পারলে অনেক কিছুই বের হয়ে আসবে। এদের ফেসবুক/ব্লগ পোস্ট দেখলে এটা খুব সহজে বোঝা যায়। সেখানে মন্তব্যকারীদের এই হামলাকে ভিন্ন দিকে নেওয়ার চেষ্টা দৈনিক প্রথম আলোর মতই পরিষ্কার, উজ্জ্বল।
@সাইফুল ইসলাম,
প্যাদানীটা দিবে কে ভাই? প্যাঁদানি দিতে গেলেতো উল্টা আমি আর আপনি প্যাঁদানি খেয়ে যাব, বলা যায় না খুনও হয়ে যেতে পারেন।ওরাইতো সংখ্যাগুরু, আর মুক্তমনে মানুষরা একেবারেই সংখ্যালঘু।মুক্ত মনারা সংখ্যাগুরু হলে তো এই বর্বর হামলার আশংকাই অনেক কমে যেত।আর হামলা হলেও সুবিচারের আশায় আমাদের এইরকম হাহাকার করতেও হত না।
মুক্তচিন্তা আমরা যারা ফেসবুক ও ব্লগে নিয়মিত করি তারা প্রায় সকলেই ‘আসিফ মহিউদ্দিন’ কে জানি। উনার এহেন অবস্থা জন্য আমরা সকলেই কম বেশী অনুমান করতে পারি কেন উনাকে ছুরিকাঘাত করা হলো।
একটা কথা অনেক আগে থেকেই মনের মধ্যে বাজে আসতেছিল ‘United we stand, Divided we fall’ । মুক্তচিন্তার চর্চা করতে করতে এটাও বুঝে গেছি যে মুক্তচিন্তার মানুষেরা একাই স্ক্রিমিং করতেই ভালবাসে তার নিজের জায়গা থেকে, সে কাউকেই লিডার হিসেবে মানতে চায় না।
ধার্মিকদের বিষয়টা পুরোপুরি উল্টো দেখি।
বর্তমান বাস্তবতা দেখে তো এটাই ঠিক মনে হচ্ছে ‘United we stand, Divided we fall’।
চলার জন্যে আমাদের শরীর আছে, আমরা তাই নিরাপদ নই। চিন্তার জন্যে আমাদের মন আছে, আমরা তাই নিরাপদ নই।
চিন্তার সাথে চিন্তার লড়াই হয় যুক্তিতে। আর চিন্তাকেই নাশ করে দিতে গোঁড়ার অস্ত্র হয় ছুরি।
যারা সমাজের মুক্তিকামী মানুষের শত্রু তাদের হাতেই রয়েছে অস্ত্র, ক্ষমতা, বিচার ব্যবস্থা, মিডিয়া। আমরা কথা বলতে চাই তাতেই মার খাই। আমরা প্রতিবাদ করতে চাই, তাতেও মার খাই। মার খাই মানবতার শ্ত্রুদের হাতে; মার খাই জনগণের রক্ষকদের হাতে! হাতের কাছে ইটের টুকরোর মত অক্ষমতার ঘৃণা ছুঁড়ে মেরে তাদের নাগাল পাই না। এখন আমি কি করব? আমি যে আর যুদ্ধে যেতে চাই না। চাই কাউকে আঘাত না করার শান্তি। কিন্তু শান্তির জন্য যুদ্ধ আমাকে বার বার কেন ডাকে? এর থেকে কি কোন মুক্তি নেই?
আসিফ মহিউদ্দিন! তোমার মতো সাহস আমার নেই!
ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীন’র দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি এবং এই জঘন্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
আমরা এদেশে কেউই নিরাপদ নই…আপনি তুমি অথবা তুই।তারপরেও এদেশের এমন কিছু লেখক/ব্লগার আছে মুক্তচিন্তা প্রকাশে যাদের নিরাপত্তা খুবি জরুরী।বিচার চাই, বিচার চাই বলতে বলতে হাপিয়ে উঠেছি, এশব্দগুলো উচ্চারন মাত্রই নিজের প্রতি করুনা জেগে উঠে।
আসিফ মহিউদ্দিন একজন দুঃসাহসী ব্লগার, নিজের উপর যেকোনো সময় আঘাত আসতে পেরে জেনেও স্বনামে লিখে গেছেন ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে , প্রতিক্রিয়াশিলতা এবং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাশের বিরুদ্ধে । আসিফ সুঃস্থ হয়ে আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসুন, এটাই আমরা কামনা করছি । বাংলাদেশে অনেক ব্লগার ছদ্ম নামে লেখার এটাও একটা কারণ, ঘাতকের ছুরি যেকোনো সময় কেরে নিতে পারে যে কারও জীবন। মাঝে মাঝে মনে হয় সাহসী ব্লগারদের আত্মরক্ষার জন্যে আগ্নেয়াস্ত্র থাকলে ভাল হত । আঘাত করার আগেই দুএকটিকে অন্তত ফেলে দেয়া যেত , নিজের নিরাপত্তা খানিকটা নিশ্চিত করা যেত ।
আসিফ ভাইয়ের উপর ভয়াবহ এই হামলার প্রতিবাদে আজ ১৬ই জানুয়ারি বিকাল সাড়ে ৩ টায় শাহবাগ মোড়ে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ হচ্ছে … বিস্তারিত ফেসবুকের এই ইভেন্টে জানতে পারবেন https://www.facebook.com/events/273996089393944/274236946036525/?ref=notif¬if_t=plan_mall_activity
আশা করছি যারা যারা পারবেন চলে আসবেন।
জনাব “নাস্তিকের ধর্মকথা” এর অনুরোধে ফেইসবুকে তৈরী করা ইভেন্টের লিন্ক এখানে দেয়া হলো।
আসিফ মহিউদ্দীনের উপর হামলার প্রতিবাদে সমাবেশ
আসিফের উপর হামলার প্রতিবাদে একটা ব্যানার করার চেষ্টা করলাম আমার অক্ষম হাতে –
[img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/themes/neobox/headers_backup/asif_mohiuddin/asif_banner.jpg[/img]
@অভিজিৎ দাদা, চমৎকার ব্যানার নিঃসন্দেহে। আপনার তথা মুক্তমনার প্রতিবাদের এই ধরনকে আমি সাধুবাদ জানাই। আসিফ মহিউদ্দিনের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি; সেই সাথে আমি অপরাধীদের বিচার প্রার্থনা করছি।
@অভিজিৎদা, অসাধারণ হয়েছে ব্যানার।আবারো তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আসিফ মহীউদ্দিনের উপর হামলার আর সেই সাথে অপরাধীদের বিচার দাবী করছি।
@অভিজিৎ,
সমর্থন রইল । (Y)
অনলাইন অফলাইন সবখানে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা চাই ।
@অভিজিৎ, ব্যানারটি চমৎকার হয়েছে দাদা। প্রতিবাদ হোক রাজপথে, আনাচে-কানাচে, অনলাইনে।
(Y) (Y) (Y)
@অভিজিৎ,
দারুন হয়েছে। (Y)
@অভিজিৎ, (Y)
আসিফ মহিউদ্দিন এর অনেক লেখা পড়েছি, পক্ষে- বিপক্ষে। অনেক কথার সাথে হয়তো মতের মিল ছিল না, কিছু লেখার পদ্ধতিতে আপত্তি ছিল। কিন্তু সে প্রায়শয়ই যেকোন গোড়ামি, স্থুলতা নিয়ে নিজের মতো লিখে গেছে। শুধু মাত্র ভিন্ন ধারার লেখার জন্য আজ তার এই হাল! আশা করি এরকম বড় ঘটনা তাকে না দমাক। সুস্থ হয়ে নতুন আঙ্গিকে লিখুক। মুক্তমনাতে মুক্তমনে আবার লিখুক। বৃথা বিচারের দাবী করি না, কিন্তু যেই সকল কুব্লগাররা তার এরকম অবস্থায় তার বিরুদ্ধে বাজে মন্তব্য করছে তাদের প্রতি নিন্দা জানাচ্ছি।
ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীন’র দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি এবং এই জঘন্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
আসিফ মহিউদ্দিনকে সবচেয়ে বেশী ঘৃণা করে ইসলামিস্ট ও আওমিলীগ। এই দুই পক্ষ হতেই সে ব্লগে ফেইসবুকের প্রোফাইলে, ম্যাসেজে, মোবাইল ফোনে ও বাস্তবে সবচেয়ে বেশী ঘৃণা ও হুমকী কুড়িয়েছে। বস্তুত আসিফের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে করে বহত বহত বড়ো ও বিখ্যাত ফেইসবুকারও জন্ম নিয়ে ফেলছে বিগত ছয় মাসে, হাস্যকর হলেও সত্যি এই কথা! একটা বড়সর পিটুনী সে খেয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কা করা হচ্ছিলো বহুদিন থেকেই; অতপর এইটা সত্য প্রমানিত হলো। এবং সত্য প্রমানিত হওয়াও বগল বাজিয়ে নাচগান শুরু করলো কারা? ওয়েল, ছাগু এবং আওমিলীগ! তারা পরস্পরের শত্রুতা ভুলে বগল বাজিয়ে নেমে পড়লো মিস্টি বিতরণে। এর মধ্যকার ছাগুকুল সম্পর্কে বিশেষ কিছু বলা অপ্রয়োজনীয়, বগল এরা বাজাবে এইটাই বরং আকাঙ্ক্ষিত। কিন্তু আওমিলীগ যারা মিস্টি বিলিয়েছে এরা কিন্তু প্রগতিশীল নাস্তিক হিসেবে সুপরিতিচ। এরা ঈশ্বরে অবিশ্বাস করে করে বিবর্তনতত্বে বিশ্বাস, যুদ্ধাপরাধীর বিচার চায়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের হত্যাকারীদের কবর থেকে তুলে এনে পাছায় কষিয়ে দিতে চায় ছপাং ছপাং করে দুই ঘা বেতের বাড়ি, মালালা ইউসুফযাই গুলি খেলে এডভোকেসীতে নামে যে প্রবাব্লি ইট ইস নট এ ভেরি বিগ ডিল, বিশ্বজিতের হত্যাকারীদের জামাত-শিবির প্রমান করতে ব্যয় করে বহু মানবঘন্টা ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি আরও বহু উদারতাবাদী সুকর্ম সম্পাদনের স্বপ্ন এরা দেখে। সাম্প্রতিক বেশ কিছু ঘটনায় এটা প্রতিয়মান হয়েছে যে প্রগতিশীল বাঙ্গালী আওমি সমর্থকেরা নিছকই নিজের পেটি রাজনৈতিক মতাদর্শের জাঙ্গিয়া ফুলানোর লক্ষ্যে নির্দোষ ও নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু ফ্যান্টাসাইজ করে, সমুন্নত করে ইমপ্রফেশনাল শত্রুতাবোধের সংস্কৃতি- এদেরকে আমি ইস্লামিস্ট শুকরছানাদের চেয়ে আলাদা কোন ট্রিটমেন্ট দিতে নারাজ।
আসিফ এখন আশঙ্কামুক্ত, তার ক্ষত সার্জিকালি ট্রিট করা হয়েছে, ড্রেনেজের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং নেওয়া হয়েছে যথাযথ পোস্টঅপারেটিভ ব্যাবস্থা যাতে সে সংক্রমিত না হয় ইত্যাদি ইত্যাদি- মোটকথা হচ্ছে মরে টরে যাবে না আর এখন। এই অবস্থায় আমার আকাঙ্খা তার হামলাকারিরা সনাক্ত হোক এবং হোক তাদের বিচার, আওমি ইনফেস্টেড বাঙ্গালী প্রগতিশীলতাকে ক্রিটিকালি দেখতে শিখুক মানুষ এবং আসিফ ক্যাপিটালাইস করতে সক্ষম হোক তার এই আঘাতের উপর থেকে। আসিফের প্রতি আমি সর্বদাই ১০০% সমর্থনশীল তার ইম্প্যাক্ট ও আউটরিচের কারণে। হাজার হাজার মানুষের কাছে পৌছেছে সে, গ্রহন করেছে প্রত্যক্ষ ঝুঁকি এজ অপোজিং টু হরিদাসপালগিরি, প্রচুর প্রচুর সময় দিয়েছে। সে বুলশীট বলে থাকতে পারে, তবে এমন কথাও প্রপোর্শনালি বলেছে বেশী যেই কথাগুলো একজন মানুষ কিনলে সে কিনা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নির্ধারিত করতে সক্ষম হবে কখন বুলশীট বলা হচ্ছে, বুলশীটের কথক যেই-ই হোক না কেনো নির্বিশেষে। ডিবি পুলিশে ধরে নেওয়াটার প্রভাব তার আউটরিচের উপর হয়েছিলো ইতিবাচক, আরও হাজার হাজার মানুষের কাছে পৌছিয়েছিলো এইটা তাকে; এইবারের এটেম্পটেড মার্ডারকেও এইভাবে ক্যাপিটালাইস করে সে সক্ষম হোক আরও হাজারো হাজারো মানুষের কাছে পৌছুনোর এই কামনাই করছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে শতশত নিরাপদে অবস্থানকারী হরিদাসপালের চেয়ে ভ্যালু করি একজন ঝুঁকিগ্রহনকারী আসিফকেই বেশী।।
@আল্লাচালাইনা,
যথার্থই বলেছেন। আসিফকে বামপন্থী হিসেবে দেখে আওয়ামী লীগ। জন্ম লগ্ন থেকেই বামপন্থীদের আওয়ামী লীগ শত্রু হিসেবে দেখেছে। মুজিব্ বাহিনী গঠনের অন্যতম কারণ ছিল বামপন্থী দমন। বামপন্থীদের নাস্তিকতার জন্য ইসলামিস্টদের শত্রু তারা চিরকালই। কিন্তু আসিফ ইসলামের কড়া সমালোচকের চেয়ে সরকারী বিরোধী অধিকার আদায়ের বামপন্থী আন্দোলনকারী হিসেবেই বেশি পরিচিত। বীশেষ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আন্দোলনের জন্য ছাত্র/আওয়ামী লীগারদের বিরাগ ভাজন হয়। আসিফের লেখাতেও এর উল্লেখ ছিল। কাজেই এ সবই ইসলামী মোল্লাদের কাজ বলে সরলীকরণ করা বড় ভুল হবে।
@অনায়ক, ওয়েল আমি বলছি না যে এইটা আওমিলোগের কাজ। সম্ভাবনা অনুসারে বিচার করলে আওমিলীগের চেয়ে ইস্লামিস্টদের কাজ হবারই সম্ভাবনা বেশী। আফটার অল আক্রমনকারিরা কিছুটা সময় আসিফকে ফলো করেছে, কোথায় যায় না যায় হিসেব করেছে, অতপর দেখেছে রাতের বেলায় কোথায় যায়, যেখানে যেখানে যায় এর মধ্যে কোন জায়গাটা জনশুণ্য ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি, অতপর তারা চালিয়েছে হামলা। অর্থাৎ এই এটেম্পটেড হত্যাকারীরা ফান্ডেড খুব সম্ভবত। কে প্রদান করবে ফান্ড আসিফকে হত্যা করার জন্য? মনে তো হচ্ছে ইস্লামিস্টদেরই সম্ভাবনা বেশী। কিন্তু আমার কনসার্ন হচ্ছে আসিফ আক্রান্ত হবার পর আওমি সমর্থকদের ছাগুদের সাথে গলাগলি হয়ে মিষ্টি বিতরণ করতে দেখে। বলাই বাহুল্য এদের ক্ষেত্রে লিমিটিং ফ্যাক্টর হচ্ছে ক্ষমতা। তাদের ক্ষমতা নেই বলে আসিফের মৃত্যু তারা ফ্যান্টাসাইজ করছে ফেইসবুকে। ক্ষমতা যদি থাকতো তাহলে সেই ফ্যান্টাসীকে বলাই বাহুল্য তারা বাস্তবতায় রুপ দিতো বৈকি! এরা ইন্টার্নেটে ঘুরে ফিরে জনমত ভিখ মাগে, জনে জনে চর পাঠায় শুনেছি। চর দুই একটা মুক্তমনায় পেলে আমি ব্যক্তিগতভাবে উষ্টিয়ে অন্ডকোষের ঘুটুলি পুটুলি ছুটিয়ে ফেলবো বলে ওত পেতে আছি আপাতত 🙂
@আল্লাচালাইনা,
আমারতো ধারনাযে এই কাপুরুষ গুলোর,অন্ডকোষই নেই।ধর্ম অথবা অন্যকোন আদর্শবাদ এদের অণ্ডকোষকে কেটে ফেলে পুরো খাসি বানিয়ে ফেলেছে।কারন এরা যদি অণ্ডকোষ ধারী পাঁঠা অথবা ষাঁড় হত, তবে একজনের বিরুদ্ধে এতজন লাগতে আসত না।
@আল্লাচালাইনা,
আপনার কমেন্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন। আসিফ মহিউদ্দিনের এই হামলার খবরটিতে এই মুহুর্তে এই দুটো গ্রুপই উল্লসিত, এই দুইটা গ্রুপই সেলিব্রেট করছে এবং এই দুইটা গ্রুপই আসিফের কোনক্রমে বেঁচে যাওয়ার জন্য আফসোস করছে।
@আল্লাচালাইনা,
(Y) (Y)
অনেকেই দেখি আসিফ মহিউদ্দিনের লেখার সাথে একমত না, এতে যারা আসিফ মহিউদ্দিনের লেখার সাথে একেবারেই পরিচিত না, তারা হয়তো ভাবতে পারে লোকটা হয়তো সুবিধার না। লেখার সাথে একমত না হলেও লেখার মুল সুরের সাথে একমত হওয়া যায়। আসিফ মহিউদ্দিনের কোন লেখা কোন বিচারেই মানবতা বিরোধী বা রাষ্ট্র বিরোধী ছিলনা। কোন লেখাতেই সে সমাজের ক্ষতি হোক এমন কোন উপাদান ছিলনা। কোন লেখাতেই সে কাউকে হুমকি দেয়নি।
মুক্তচিন্তা চর্চার উপর এভাবে হামলা হলে দেশ পাকিস্তান হতে বেশী সময় লাগবেনা। আর কেউ আক্রান্ত হওয়ার আগে এখনই আমাদের সোচ্চার হতে হবে। আমার জন্মভূমিতে আমি স্বাধীনভাবে কথা বলতে চায়, আমার সন্তান যেন এই দেশে কারো ভয়ে তার মুখের কথা বলতে যেয়ে আটকে না ফেলে। সবাই যেন যার যার অবস্থান থেকে যে যেভাবে পারে এই হামলার প্রতিবাদ করে। মুক্তমনা যেন এই হামলার প্রতিবাদের অগ্রগামীতে থাকে এই আশা করছি।
আমাদের শুধু প্রতিবাদ জানানো ছাড়া কিছুই করার নেই। হুমায়ুন আজাদের উপর হামলার বিচার হয়নি আসিফের উপর হামলারও বিচার হবেনা। এটা জেনেই হামলাকারীরা হামলা করেছে।
বাংলাদেশের সরকারকে দেখলে মনে হয় এরা দেশের ভিন্ন মতের নাস্তিককূলকে গুনার ভিতরে ধরতে নারাজ। তেনারা ভোটের মাথা গুণেন। যেদিন নাস্তিকদের সংখ্যা ভোটবাক্সে সাংখ্যিক প্রভাব ফেলতে পারবে সেদিন আমাদের কদর এমনিতেই বেড়ে যাবে। সুশীল-অশ্লীল সবাই তখন আমাদের নিয়ে ভাববে। তবে সেটা হতে দিলে সমাজের কতিপয়ের সমস্যা। সংখ্যাগরিষ্ঠের মৌন সম্মতি নিয়ে তাইতো ওরা তলে তলে এক হয়েছে আমাদের নিশ্চিহ্ন করতে। এরকম চুপচাপ থেকেই কি আমরা হারিয়ে যাবো? দেশে আমাদের নিরাপত্তা নেই, তাই বলে মানুষজন তো দুনিয়া থেকে হারিয়ে যায় নি..।
আমি আর ভার্চুয়াল জগতে সীমাবদ্ধ থাকতে রাজী নই। মাঠে ডাক দিন, চলে আসবো। মারলে মাঠেই মড়বো। ডকিন্সরা ল্যাব ছেড়ে কিছুটা সময়ের জন্য বাইরে না বেড়িয়ে আসলে আজ আমরা এমন করে সংখ্যায় বাড়ার সুযোগ পেতাম না।
সময় হয়েছে বেরিয়ে আসার, আলোয় আসার। আসবেন না?
আসিফের উপরে হামলা’র তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আসিফের মতামত ও লেখনী যেরকমই হোক, তার উপরে শারীরিক আক্রমন কোনোভাবেই অগ্রাহ্য করা যায় না। বিশেষ করে বাংলাদেশে বসে, নিজনামে লেখালাখি, বিতর্ক, আন্দোলনে অংশ নেয়ার মতো সাহস করার জন্যে সকল মুক্তচিন্তক এর অকুন্ঠ সমর্থন তার প্রাপ্য।
আমি জানি না কে বা কারা তার উপরে হামলায় আনন্দ প্রকাশ করেছে। যারা করেছে, তারা মুক্তচিন্তার সরাসরি শত্রু এব্যাপারে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।
ছদ্মনামে ব্লগিং যারা পছন্দ করেন না তারা কি বলেন? পরিসংখ্যানের বিচারে এ জাতীয় ঘটনার সংখ্যা একেবারেই নগন্য?
আসিফের লেখা বা তার সাথে তেমন পরিচয় নেই। তবে তার নামে বহু বাদানুবাদ দেখেছি, ধর্ম ওয়ালা, ছাগুকুল, জামাতি/আওয়ামী সব পক্ষ থেকেই গাল খাওয়ার বিরল সৌভাগ্য মনে হয় খুব কম লোকেরই হয়। নিরপেক্ষ গোছের কিছু মতামতও দেখেছি প্ল্যাগিয়ারিজমের অভিযোগে।
এসব এখানে কোন কথা না, ঘটনার বর্ননায় যা মনে হয় এটা ছিনতাই গোছের কিছু নয়, পরিকল্পিতভাবেই হামলা। মোটিভ কি তা হয়ত এখনো পরিষ্কার নয়, লেখালেখি বাদে ব্যাক্তিগত অন্য কিছুও হতে পারে? যাইই হোক, এ ধরনের হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।
কারন যাইই হোক, আশা করি মুক্তচিন্তার কেউ এ ঘটনায় ভড়কে যাবেন না। মুক্তকন্ঠের বিকল্প নেই।
অসাধারণ লিখেছেন। সাথে আছি সবসময়। http://www.facebook.com/faisalsunny99
আসিফ মহিউদ্দিনের উপর হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাই
তবে, চরমপন্থীদের এহেন ঘৃণ্য আচরণে যেমন মর্মাহত তেমন কতিপয় বাঙ্গালীর অত্যন্ত নীচ মানসিকতার জন্য রাগান্বিত। কারও মতের সাথে মিল না হলে যুক্তি দিয়ে তার বিরোধিতা করা যায় কিংবা অ্যাভোয়েড করা যায়। আসিফ মহিউদ্দিনের উপর এহেন ঘৃণ্য হামলায় যেসব অসুস্থ মানসিকতার “সাধারণ মানুষ” উল্লাস প্রকাশ করছে তাদের ধিক। এসব অসুস্থ মানসিকতার লোকজনের ধারনাই নেই এই সব ফ্রাঙ্কেসটাইন হয়ে একদিন তাদেরকেই ধাওয়া করবে।
আসিফ মহিউদ্দিনের উপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনা হউক এবং তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হউক যেন এমন আর কেউ করার সাহস না পায়। আসিফ মহিউদ্দিন যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন।
ছাগুরা তাদের ছাগলামীর আড়ালে লুকিয়ে রাখা বিষদাঁত বের করতে শুরু করেছে। তারা হায়েনা হয়ে উঠতে চাইছে। এই দেশকে হায়েনাদের অভয়ারণ্য হতে দেব না।
ধিক্কার।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে না কেন? আল বদর স্টাইলে এই অত্যাচার, খুন গায়েব আর কতকাল?
আসিফের সব লেখার সঙ্গে একমত নই।
কিন্তু আমরা মুক্তচিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। আমরা এ-ও বিশ্বাস করি, “বক্তব্যকে আক্রমণ করুন, বক্তাকে নয়”।
এ কারণে ব্লগার আসিফের ওপর হামলার প্রতিবাদে [আদিবাসী বাংলা ব্লগ] ২৪ ঘন্টার ব্লগ বিরতি/ব্লগ ব্ল্যাক আউট ঘোষণা করেছে।
http://w4study.com/
আমাদের ফেবু পাতা “আদিবাসী ভয়েজ” এ-ও প্রতিবাদ চলছে।
https://www.facebook.com/Adivasi.bd
জয় হোক মুক্তিচিন্তার, শুভবুদ্ধির। সকল সন্ত্রাস, মৌলবাদীতা ও কুপমণ্ডুকতা নিপাত যাক।। (Y)
@বিপ্লব রহমান,
সহমত
@কাজী রহমান,
এই ব্যপারে পুলিশ কি বলে কেউ জানেন কি?
[img]https://fbcdn-sphotos-b-a.akamaihd.net/hphotos-ak-snc7/c0.0.843.403/p843x403/394816_511819498840524_1222464517_n.png[/img]
আসিফ দুর্দান্ত সাহসী একজন ব্লগার এবং একটিভিস্ট। তার এই বিরল গুনাবলীকে সেলুট না করে পারা যায় না। কারা তাকে আঘাত করেছে তা সবার কাছে পরিস্কার। হুমায়ুন আজাদ আর তার বিষয়টা একই ধাচের। ঐ সমস্ত চতুষ্পদীরা ভিন্নমতালম্বীদের সহ্য করতে পারে না- এরা তাদের সরিয়ে দিতে চায়। আর বসে থাকার উপায় নেই। প্রত্যেক ক্রীয়ার একটা সমান ও বিপরীত প্রতিকৃয়া থাকতে হবে তা না হলে সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট হবে। এইসব প্রতিবাদী লোক যদি দেশে না থাকে তাহলে সমাজ মানুষ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাবে। তাদের নিরাপত্তা রাস্ট্র দিবে না- আমাদেরই দিতে হবে। অসুবিধের সময় তাদের পাশে আসে দাড়াতে হবে। শুনলাম প্রিন্ট মিডিয়ায় নাকি এই আক্রমনের খবর আসে নাই। আমার মনে হয় রাস্ট্র ও মিডিয়াগুলোর ভূমিকা নেতিবাচক এবং রহস্যময়।
আহমদ শরীফ, কবি শামসুর রাহমান ও তসলিমা নাসরিনের উদাহরণ আমাদের সামনে। হুমায়ুন আজাদকে যেভাবে খুন করা হয়,সেও আমাদের সামনে। বেঁচে থাকার ( গার্মেন্টস শ্রমিক আগুনে পুড়ে হত্যা) কথা বলার ( অগ্রসর চিন্তক-লেখক-কর্মী) দায়ে, আমাদের দায়ী করে, হত্যা করা হবে।
কলম দিয়ে শুরু, এখানে থেমে না-গিয়ে, ন্যূনতম ঐক্যের ভিত্তিতে প্রগতিশীল লেখক ও কর্মীদের এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে, অসংখ্য কণ্ঠে, আসুন একসাথে আওয়াজ তুলি।
যে রাষ্ট্রে তসলিমা নাসরিনের প্রবেশ নিষেধ, জানি না, বিচার চেয়ে চেয়ে আর কতকাল মিউ মিউ করবো?
Afis ke nirapod rakhte koronio ja korar sobay ke korte hobe, noyle agamikal ami onirapod hoea jabo. luna shirin.
খুব খারাপ লাগছে আসিফ ভাই এর কথা মনে পড়লে।এ রকম সাহসী ব্লগার খুব কমই দেখা যায়।আমি তার প্রায় প্রতিটি কলাম/লেখা পড়েছি।আমি ঢাকা থেকে অনেক দূরে থাকি,তা না হলে আসিফ ভাইকে দেখতে যেতাম।মাঝে মাঝে মনে হয় “সব কিছু যেন নষ্টদের অধিকারে চলে যাবে”।হুমায়ুন আজাদের কথা মনে পড়ছে।কি অদ্ভুদ মিল হামলাকারিদের। হায়েনার হাত থেকে কোন প্রগতিশীল মানুষ ই যেন রেহাই পাচ্ছে না।নিজের বিবেক কে মাঝে মাঝে ধিক্কার দিতে ইছা করে।
কারা আসিফকে হত্যা করতে চায় তা তো কার্যকলাপ দেখলেই স্পষ্ট। কারা হুমায়ূন আজাদকে রক্তাক্ত করেছিল? কারা সহ্য করতে চায়না ধর্মের একবিন্দু সমালোচনা?
গতকাল হুমায়ুন আজাদকে কোপানো হয়েছে, আজ আসিফকে, পরশু দিন আঘাতটা আসবে হয়তো আমার বা আপনার উপরেই। আসিফের ঘটনা আবারো প্রমাণ করে মুক্তচিন্তার মানুষেরা বাংলাদেশে কতটা অরক্ষিত। যেখানে সাইদী, নিজামী গোআজমদের মতো খুনিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে নিরাপত্তা দেয়া হয়, সেখানে মুক্তবুদ্ধির মানুষেরা জীবন হাতে নিয়ে লেখালেখি করেন, ঘোরাঘুরি করেন।
না, রাষ্ট্র, সমাজ কেউই আসিফদের নিরাপত্তা দেবে না। মুক্তমনাদের পাশে দাঁড়াতে হবে শেষ পর্যন্ত একজন মুক্তমনাকেই। আপনি ঠিকই বলেছেন, ফেসবুকে- অনলাইনেই কেবল সীমাবদ্ধ থাকার আর কোন অপশন খোলা নেই । দেশে থাকলে সত্যই আসিফের পাশে গিয়ে দাঁড়াতাম। মুক্তমনার সাথে সম্পৃক্ত সকলকে আসিফের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানাচ্ছি।
আসিফের খবরটা গতকাল পাবার পরই আমি লিখেছিলাম –
লেখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
@অভিজিৎদা,
:guru: :guru:
রুশো বলেছিলেন, আমি তোমার সাথে একমত না হতে পারি, কিন্তু তোমার মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য জীবন দিতে পারি। আর আমার মতে, কেউ নিজেকে মুক্তমনা দাবী করতে পারে না, যতক্ষন না এমন বিশ্বাস তার অন্তরে ধারণ করে।
@কাজি মামুন,
“I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it
Evelyn Beatrice Hall-
হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই…
হামলাকারীদের শাস্তি চাই!
খুব সাঙ্ঘাতিক কথা।অপরাধীদের সাজা হোক খুব দ্রুত এই প্রত্যাশা করি।
খুবই বাজে সংশোধনী কোনই সন্দেহ নেই।একই সাথে রাষ্ট্র ধর্ম আর ধর্ম নিরপেক্ষতা থাকা মানে, শেয়ালের কাছে মুরগী বর্গা দেয়া ছাড়া কিছুই না।
বি.দ্র. নাস্তিকের ধর্ম কথা, আপনি আজকাল এতো কম লেখেন কেন ভাই? আপনার লেখাগুলো খুব মিস করি।এই ব্লগে আমি প্রথম যে লেখাটি পড়ি তা হল আপনার এই লেখা http://blog.mukto-mona.com/?p=1701. আপনার কাছ থেকে এই ধরনের আরো লেখা আশা করি। ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।
অবিলম্বে হামলাকারীদের সনাক্ত- গ্রেফতার ও শাস্তির দাবী জানাই।