আজও আমি ভাসছি।
আমার একটু দূরে মেকি ঘুমে নাক ডাকছে শহর।
আমি শান্ত নই।

মানবের আজন্ম পাপের তুমি যে ঈশ্বর,
তোমার নরকের এত অন্ধকার লুকানোর
যথেষ্ট রাত আমার নেই।

ঢেউয়ের কোলে আজও ভাসছে লাশ-পোড়া গন্ধ।
আমি সুস্থ নই।

তোমার বুকের চাপে গুঁড়ো হয়েছে
আমার সব শুকনো কান্না —
তোমার কামান্ধ চোখের আগুনের তলে
আমি পুড়েই চলেছি তুমি দেখো নি।

তোমার পুজার যজ্ঞে যত লাশ স্তূপ হয়ে আছে
তাদের সনাক্ত করতে যথেষ্ট স্বজনও আর নেই।

তোমার শিশ্নে বিদ্ধ আমার শরীরে
দাগ কাটবার জায়গা নেই আর।

আজও এখনো ভাসছে মাঝির কান্না-ভরা গান —
“বিধি রে, তোমার খেয়ালের শেষ নাই
দয়া নাই তোমার মায়া নাই…”

বিধির এ খেয়ালের তুমি যে বিধাতা,
তোমার খেয়ালের জন্য যথেষ্ট দুঃস্বপ্ন আমার নেই।

আজ আমার মুখে এক পূর্নাঙ্গ নাগরিক জিভ —
নাড়লে তাতে লালা ঝরে, কথা ফোটে না।

ভাস্বতী
২৭ ডিসেম্বর, ‘১২