সম্প্রতি দুটি ঘটনা দুনিয়াতে বেশ সাড়া ফেলেছে আর বলা বাহুল্য দুটোই শান্তির ধর্ম ইসলামকে নিয়ে। একটা হলো – পাকিস্তানে এক খৃষ্টান বালিকার কথিত কোরান পোড়ানোর ঘটনা ও তা নিয়ে তুল কালাম কান্ড এবং মোহাম্মদকে নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রকে কেন্দ্র করে লিবিয়াতে মার্কিন দুতাবাস আক্রমন ও তাতে একজন মার্কিন কুটনীতিক ও আরও কয় জন কর্মচারীর হত্যাকান্ড।এ ছাড়াও মিশর ও ইয়েমেনে মার্কিন দুতাবাস আক্রমনের খবর পাওয়া গেছে। সামনে হয়ত বিভিন্ন দেশে এ ধরনের আক্রমনের আরও খবর পাওয়া যাবে। বলা বাহুল্য দুটো ঘটনাই ইসলামি বিধান অনুযায়ী অমার্জনীয় অপরাধ- প্রথমটি কোরান পোড়ানো ও দ্বিতীয়টি মোহাম্মদের কথিত চরিত্র হনন।
কোরান পোড়ানো কিভাবে অপরাধ হতে পারে তা ঠিক বোধ গম্য নয়। কারন আল্লাহ নিজেই ঘোষণা দিয়েছে-

আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক । কোরান, আল হিজর- ১৫:০৯

যেখানে আল্লাহ নিজেই কোরান নাজিল করে তা সংরক্ষণ করার ঘোষণা দিয়েছে সেখানে দুনিয়াতে দু’চারজন এমন কি হাজার হাজার লাখ লাখ কাফির মুশরিক যদি লক্ষ লক্ষ কোরান গাটের পয়সা খরচ করে পুড়িয়ে ফেলে, তাহলে কোরান তো দুনিয়া থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার কথা নয় কারন যা স্বয়ং আল্লাহ সংরক্ষন করবে তা কিভাবে কিছু কাফের মুশরিক নিশ্চিহ্ন করতে পারে। তাছাড়া কিভাবে তা অপরাধ হয় তাও বোঝা মুশকিল।কেউ যদি ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে কোরান পোড়ায় তাহলে মুসলমানরাই বা উন্মত্ত হয়ে কেন হত্যা খুন লুট তরাজ রাহাজানিতে লিপ্ত হয়ে পড়বে ? মুসলমানরা যদি খৃষ্টানদের বাইবেল পোড়ায় তাহলে খৃষ্টানরা কি এভাবে মুসলমানদেরকে খুন করার জন্য পাগল হয়ে যাবে ? প্রশ্নটা একারনে যে – যেহেতু কোরান সংরক্ষনের দায় দায়িত্ব পুরোটাই আল্লাহর হাতে তাহলে মুসলমানরা কেন সে কোরান রক্ষার জন্য খুন খারাবিতে লিপ্ত হবে ? আল্লাহ কি তাহলে কোরান সংরক্ষন করতে অক্ষম ? আর সেকারনেই মুসলমানরা এ ধরনের কোরান পোড়ানোর ঘটনায় ভীত এই ভেবে যে কোন একদিন দুনিয়ার সব কাফির এক জোট হয়ে দুনিয়ার সব কোরান পুড়িয়ে শেষ করে কোরানকে দুনিয়া থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে ?

এবার আসা যাক, দ্বিতীয় ঘটনায়।আমেরিকাতে কোন এক কপ্টিক খৃষ্টাণ একটা চলচ্চিত্র তৈরী করেছে যাতে মোহাম্মদের চরিত্র হনন করা হয়েছে।উক্ত চলচ্চিত্রে দেখানো হয়েছে মোহাম্মদ নারী আসক্ত ছিলেন। তো এ চলচ্চিত্র দেখে লিবিয়ার কিছু ধর্মপ্রান মুসলমান প্রচন্ড খেপে গিয়ে মার্কিন দুতাবাস আক্রমন করে তাতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে এবং একজন কুটনীতিককে হত্যা ছাড়াও কয়েকজন কর্মচারীকে হত্যা করেছে। এখন বিষয় হলো মোহাম্মদ কি সত্যি নারী আসক্ত ছিলেন? দেখা যাক হাদিস কি বলে।

কাতাদা বর্ণিত: আনাস বিন মালিক বলেছিলেন., “ রাত ও দিন ব্যপী নবী তাঁর সকল স্ত্রীর সাথে মিলিত হতেন আর তাদের সংখ্যা ছিল এগার। আমি আনাস কে জিজ্ঞেস করলাম, “ নবীর কি এত শক্তি ছিল ?” আনাস উত্তর দিলেন, “ আমাদেরকে বলা হয়েছিল ত্রিশ জন পুরুষের সমান শক্তি ছিল নবীর”।সহি বুখারি, ভলিউম-১,বই-৫, হাদিস-২৬৮

উক্ত হাদিস থেকে পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে যে দিন ও রাতে মোহাম্মদ যে তাঁর সকল স্ত্রীর সাথে দেখা সাক্ষাত করতেন বিষয়টি মোটেও সৌজন্যমূলক দেখা সাক্ষাতের বিষয় ছিল না। তাহলে এ প্রশ্ন আসত না যে তার সে শক্তি ছিল কি না। সৌজন্যমূলক দেখা সাক্ষাত করার জন্য নিশ্চয়ই ত্রিশ জন পুরুষের সমান শক্তি দরকার পড়ে না। যে লোক তার এগারজন স্ত্রীর সাথে নিত্যদিন দেখা করে তাদের সাথে মিলিত হতেন , প্রশ্ন হলো, তাকে নারী আসক্ত বলা যায়, কি যায় না।

সুন্দরী নারী দেখলে মোহাম্মদের শরীরে কি প্রতিক্রিয়া হতো তা দেখা যায় নীচের হাদিসে-

জাবির বর্ণিত:আল্লাহর নবী রাস্তায় একজন নারী দেখলেন এবং তাকে দেখেই তাড়াতাড়ি তার স্ত্রী জয়নাবের ঘরে চলে গেলেন যে তখন একটা চামড়া রং করছিল এবং নবী তার সাথে যৌন ক্রিড়া করলেন।তারপর তিনি তার সাহাবীদের কাছে গেলেন এবং তাদেরকে বললেন: স্ত্রীলোকটি অগ্রসর হয়ে একটা শয়তানের রূপ ধারন করল, তাই তোমরা যখন কোন নারীকে দেখবে তখন তোমাদের উচিত তোমাদের স্ত্রীদের কাছে যাওয়া, তাহলে তার মনে যে কামনার উদ্রেক করেছিল তার প্রশমন হবে। সহি মুসলিম, বই-৮ হাদিস-৩২৪০

ইসলামে যাকে বলা হচ্ছে শ্রেষ্ট আদর্শ মানুষ যাকে দুনিয়ার শেষ দিন পর্যন্ত অনুসরণ করতে হবে, তিনি রাস্তায় একটা সুন্দরী নারী দেখে সাথে সাথে দৌড়ে তার স্ত্রী জয়নাবের কাছে গেলেন ও তার সাথে যৌন ক্রিড়া করলেন।দৃশ্য কল্পটা কি অদ্ভুত! তাহলে রাস্তায় নারী দেখার পর তার দেহ ও মনে কি প্রতিক্রিয়া হয়েছিল যে কারনে তাকে দৌড়ে গিয়ে তার স্ত্রীর সাথে যৌন ক্রিড়া করতে হলো? একজন আদর্শ মানবের সাথে এ দৃশ্য কল্পটা কি মানানসই ? ঠিক একই আচরন যদি এখন কেউ করে তাকে কি বলে আখ্যায়িত করা হবে ? তাকে কি সবাই নারী লিপ্সু বলবে না ? যুক্তি হিসাবে বলা যেতে পারে যে- যৌন কাজটা তো স্ত্রীর সাথেই করা হয়েছে তাই সেটা খারাপ কিছু নয়। কিন্তু বিষয়টা হলো একজন আদর্শ মানুষের মানসিকতা ও সংযমের। একজন আদর্শ মানুষ রাস্তায় বেরুলে যদি কোন নারীর সাথে তার দেখা হয়ে যায়, তাহলেই সে উত্তেজিত হয়ে পড়বে? তার কি কোন রকম সংযম নেই ? যদি সংযম না-ই থাকে তাহলে সে কিভাবে আদর্শ মানুষ? আর তা ছাড়া নারী দেখলেই উত্তেজিত হয়ে পড়তে হবে, এটা কোন্ ধরনের সভ্য আচরন? আর যে লোক নারী দেখলেই উত্তেজিত হয়ে পড়ে তাকে কি নারী আসক্ত বলা যায় না ?

এখন একজন কোরান পুড়িয়েছে বলে তার বিরুদ্ধে ধর্ম দ্রোহের অপরাধ আনা হয়েছে, ধরে জেলে পোরা হয়েছে, বর্তমানে জামিনে আছে, কিন্তু আশ পাশের মুসলমানরা তাদের পরিবার শুদ্ধ পুড়িয়ে মারার হুমকি দিচ্ছে। অন্য একজন মোহাম্মদের জীবনের সত্য ঘটনাকে নিয়ে একটা চলচ্চিত্র তৈরী করেছে কিন্তু তাকে হাতের কাছে না পাওয়াতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুতাবাস আক্রমন করে তাতে আগুন লাগানো হচ্ছে ও মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। অপরাধ হলো – ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলা হয়েছে, ইসলামকে অপমান করা হয়েছে, মোহাম্মদের চরিত্র হনন করা হয়েছে।কিন্তু আসলেই কি ইসলামকে অপমান করা হয়েছে , মোহাম্মদের চরিত্র হনন করা হয়েছে? উপরে কোরান ও হাদিস থেকে যে উদাহরণ দেয়া হলো তা কি প্রমান করে যে সত্যি সত্যি ইসলাম ও মোহাম্মদকে অবমাননা করা হয়েছে? কোন ব্যক্তি সম্পর্কে সত্য ঘটনা জানা বা প্রকাশ করা কি তাকে অবমাননা করা ?

এখন ইসলাম বা মোহাম্মদকে অবমাননা করার কি শাস্তি সেগুলো দেখা যাক।

ঐ ব্যক্তির চাইতে বড় জালেম কে হবে, যে আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে অথবা বলেঃ আমার প্রতি ওহী অবতীর্ণ হয়েছে। অথচ তার প্রতি কোন ওহী আসেনি এবং যে দাবী করে যে, আমিও নাযিল করে দেখাচ্ছি যেমন আল্লাহ নাযিল করেছেন। যদি আপনি দেখেন যখন জালেমরা মৃত্যু যন্ত্রণায় থাকে এবং ফেরেশতারা স্বীয় হস্ত প্রসারিত করে বলে, বের কর স্বীয় আত্মা! অদ্য তোমাদেরকে অবমাননাকর শাস্তি প্রদান করা হবে। কারণ, তোমরা আল্লাহর উপর অসত্য বলতে এবং তাঁর আয়াত সমূহ থেকে অহংকার করতে।কোরান, সূরা- আল আনাম ০৬:৯৩ ( মক্কায় অবতীর্ণ)
যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাদের প্রতি ইহকালে ও পরকালে অভিসম্পাত করেন এবং তাদের জন্যে প্রস্তুত রেখেছেন অবমাননাকর শাস্তি।কোরান, সূরা আহযাব-৩৩:৫৭
মুনাফিকরা এবং যাদের অন্তরে রোগ আছে এবং মদীনায় গুজব রটনাকারীরা যদি বিরত না হয়, তবে আমি অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আপনাকে উত্তেজিত করব। অতঃপর এই শহরে আপনার প্রতিবেশী অল্পই থাকবে।কোরান, সূরা আহযাব-৩৩:৬০
অভিশপ্ত অবস্থায় তাদেরকে যেখানেই পাওয়া যাবে, ধরা হবে এবং প্রাণে বধ করা হবে।কোরান, সূরা আহযাব-৩৩:৬১

উপরের আয়াত সমূহ থেকে দেখা যাচ্ছে যে যারাই আল্লাহ ও তার রসুল মোহাম্মদকে কষ্ট দেবে, তার বিরুদ্ধে গুজব রটনা করবে তাদেরকে যেখানেই পাওয়া যাবে ধরতে হবে ও হত্যা করে ফেলতে হবে। বলা বাহুল্য, মোহাম্মদকে অবমাননা করা আল্লাহকে কষ্ট দেয়ার শামিল। কারন মোহাম্মদ তো আর বর্তমানে জীবিত নেই, তাই তাকে অবমাননা করে তাকে কষ্ট দেয়া সম্ভব নয়। আর তাই এমতাবস্থায় মুমিন মুসলমানদের কর্তব্য হলো জিহাদী জোস নিয়ে বেরিয়ে পড়ে অবমাননাকারীদেরকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে ছারখার করে দেয়া।আর ঠিক সেটাই করছে লিবিয়া, মিশর, ইয়েমেনের মুমিন মুসলমানরা যা বস্তুত তাদের পবিত্র ইমানি দায়িত্ব।কিন্তু কথা হলো- সত্য কথা বলাটা কিভাবে অবমাননা করা হয়, সত্য কথা বললে কেন মোহাম্মদের আল্লাহ কষ্ট পাবে ও রাগান্বিত হবে ? মোহাম্মদের নারী প্রীতি ছিল সেই আরব সমাজে সর্বজন বিদিত।আর তার নারী প্রীতিকে বৈধ করতে তিনি তার ওহীর নামে নিচের আয়াত পর্যন্ত নাজিল করে নেন-

কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। কোরান, সূরা আল আহযাব-৩৩:৫০

উক্ত আয়াত দ্বারা তো এটাই বুঝায় যে নবীর নারী প্রীতিকে বৈধ করাই ছিল এর নাজিলের একমাত্র উদ্দেশ্য।তাই কোন রাখ ঢাক ছাড়াই বলা হচ্ছে- অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশ্যে।যদি ধরা হয় যে নীচের আয়াত দ্বারা সেটা রদ করা হয়েছে-

এরপর আপনার জন্যে কোন নারী হালাল নয় এবং তাদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করাও হালাল নয় যদিও তাদের রূপলাবণ্য আপনাকে মুগ্ধ করে, তবে দাসীর ব্যাপার ভিন্ন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ের উপর সজাগ নজর রাখেন। কোরান, সূরা আল আহযাব-৩৩:৫১

তাহলেও দেখা যাচ্ছে যে যেমন ইচ্ছা খুশী বৈচিত্রপূর্ণ নারী সঙ্গ যাতে মোহাম্মদ পেতে পারেন তার জন্য তার আল্লাহ বিশেষ সুবিধা বলবত রেখেছে এই বলে যে- তবে দাসীর ব্যাপার ভিন্ন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে মোহাম্মদ মূলত: আল্লাহর এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে খায়বার বিজয়ের পর সাফিয়াকে বিয়ে করেন, আর সেটা করেন শুধুমাত্র সাফিয়ার রূপ গুণের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যা সুন্দরভাবে বর্ণিত আছে হাদিসে।অর্থাৎ দরকার বোধে মোহাম্মদ উক্ত নিষেধাজ্ঞার আয়াত নাজিল করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু যখন তার বিরুদ্ধে টু শব্দ করার কেউ ছিল না ( মদিনা জীবনের শেষ দিকে )তখন তিনি আর উক্ত নিষেধাজ্ঞা মানার দরকার মনে করেন নি। এত ঘটনার পর যদি কোন লোক মোহাম্মদকে নারী লোলুপ বলে তাহলে সেটা কি ভুল বা অসত্য বলা হয় ? আর সত্য কথা বললে তা অবমাননাকর হয় কিভাবে? তবে তার চাইতে বড় প্রশ্ন হলো- সত্য বলার অপরাধে কিভাবে মানুষকে খুন করতে বলে আল্লাহ? কোরানের বানী ছাড়াও হাদিসে আছে কিভাবে মোহাম্মদের সমালোচনাকারীদের সাথে আচরণ করতে হবে। যেমন-

বুখারি, বই-৫৯, হাদিস-৩৬৯
জাবির বিন আব্দুল্লাহ বর্ণিত: আল্লাহর রসুল বললেন, “ কে কা’ব বিন আল আশরাফকে হত্যা করতে পারবে যে আল্লাহ ও তার রসুলকে কষ্ট দিয়েছে? মোহাম্মদ বিন মুসায়লামা উঠে দাড়িয়ে বলল, “ হে রসুল, আপনি কি তাকে হত্যা করার জন্য আমাকে পছন্দ করেন ?” নবী বললেন, “ হ্যা”। মুসায়লামা বলল, “ তাহলে আমাকে প্রতারনা করার জন্য কিছু বলার অনুমতি দিন”।———————–এর পরের কাহিনী হলো ছল চাতুরির কথা বলে মাসায়লামা রাতের বেলা কা’ব বিন আল- আশরাফকে ঘর থেকে বের করে হত্যা করে।
পূরো ঘটনা নিচে দেয়া হলো-
Bukhari,Volume 5, Book 59, Number 369: Narrated Jabir bin ‘Abdullah:Allah’s Apostle said, “Who is willing to kill Ka’b bin Al-Ashraf who has hurt Allah and His Apostle?” Thereupon Muhammad bin Maslama got up saying, “O Allah’s Apostle! Would you like that I kill him?” The Prophet said, “Yes,” Muhammad bin Maslama said, “Then allow me to say a (false) thing (i.e. to deceive Kab). “The Prophet said, “You may say it.” Then Muhammad bin Maslama went to Kab and said, “That man (i.e. Muhammad demands Sadaqa (i.e. Zakat) from us, and he has troubled us, and I have come to borrow something from you.” On that, Kab said, “By Allah, you will get tired of him!” Muhammad bin Maslama said, “Now as we have followed him, we do not want to leave him unless and until we see how his end is going to be. Now we want you to lend us a camel load or two of food.” (Some difference between narrators about a camel load or two.) Kab said, “Yes, (I will lend you), but you should mortgage something to me.” Muhammad bin Mas-lama and his companion said, “What do you want?” Ka’b replied, “Mortgage your women to me.” They said, “How can we mortgage our women to you and you are the most handsome of the ‘Arabs?” Ka’b said, “Then mortgage your sons to me.” They said, “How can we mortgage our sons to you? Later they would be abused by the people’s saying that so-and-so has been mortgaged for a camel load of food. That would cause us great disgrace, but we will mortgage our arms to you.” Muhammad bin Maslama and his companion promised Kab that Muhammad would return to him. He came to Kab at night along with Kab’s foster brother, Abu Na’ila. Kab invited them to come into his fort, and then he went down to them. His wife asked him, “Where are you going at this time?” Kab replied, “None but Muhammad bin Maslama and my (foster) brother Abu Na’ila have come.” His wife said, “I hear a voice as if dropping blood is from him, Ka’b said. “They are none but my brother Muhammad bin Maslama and my foster brother Abu Naila. A generous man should respond to a call at night even if invited to be killed.” Muhammad bin Maslama went with two men. (Some narrators mention the men as ‘Abu bin Jabr. Al Harith bin Aus and Abbad bin Bishr). So Muhammad bin Maslama went in together with two men, and sail to them, “When Ka’b comes, I will touch his hair and smell it, and when you see that I have got hold of his head, strip him. I will let you smell his head.” Kab bin Al-Ashraf came down to them wrapped in his clothes, and diffusing perfume. Muhammad bin Maslama said. ” have never smelt a better scent than this. Ka’b replied. “I have got the best ‘Arab women who know how to use the high class of perfume.” Muhammad bin Maslama requested Ka’b “Will you allow me to smell your head?” Ka’b said, “Yes.” Muhammad smelt it and made his companions smell it as well. Then he requested Ka’b again, “Will you let me (smell your head)?” Ka’b said, “Yes.” When Muhammad got a strong hold of him, he said (to his companions), “Get at him!” So they killed him and went to the Prophet and informed him. (Abu Rafi) was killed after Ka’b bin Al-Ashraf.”
প্রশ্ন হলো- কা’ব বিন আশরাফ কিভাবে আল্লাহ ও তার রসুলকে কষ্ট দিল? আসলে কা’ব ছিল একজন কবি ও মোহাম্মদের আল্লাহর ওহী নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করত, কারন সে বুঝতে পেরেছিল যে মোহাম্মদের এসব ওহী আসলে সব বোগাস। আর তাই তাকে হত্যা করা। কা’বের কর্তিত মুন্ডু নিয়ে কি উল্লাস মোহাম্মদ প্রকাশ করেছিলেন তার নমূনা নিচে-

আমরা কা’ব এর কর্তিত মাথা রাতের বেলা মোহাম্মদের নিকট উপস্থিত করলাম। আমরা তাকে স্যলুট করলাম যখন তিনি নামাজের জন্য দাড়িয়ে ছিলেন ও বললাম যে আল্লাহর শত্রুকে আমরা হত্যা করেছি।যখন তিনি বের হলেন আমরা তার সামনে কা’ব আশরাফের কাটা মুন্ডু তার সামনে পেশ করলাম। নবী আল্লাহর নিকট এই বলে প্রশংসা করলেন যে কবিকে কতল করা হয়েছে ও আমরা আল্লাহর নিমিত্তে একটা ভাল কাজ করেছি। আল্লাহর শত্রুদের ওপর আমাদের আক্রমন ইহুদিদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি করেছে এবং মদিনায় এমন কোন ইহুদি নেই যারা তার জীবনের ভয়ে ভীত নয়।Al-Tabari, Vol. 7, p. 97
একই বর্ণনা পাওয়া যায় ইবনে ইসহাকের বর্ণনায়।
তখন তারা সা’দ এর কর্তিত মাথা এনে মোহাম্মদের সামনে রাখল। মোহাম্মদ তাকে হত্যা করার জন্য আল্লাহর নিকট প্রশংসা করলেন। Ibn Sa’d, Vol. 1, P. 37

আল্লাহর নবীর সামনে একজন কবির কাটা মুন্ডু রাখা হয়েছে, আর নবী মহা আনন্দে তার আল্লাহর নিকট তার প্রশংসা করছেন। দৃশ্যকল্পটা কল্পনা করলেও গায়ে কাটা দিয়ে ওঠে।

বুখারি, বই-৮৪, হাদিস-৫৭
ইকরিমা বর্ণিত:কতিপয় নাস্তিককে আলির নিকট আনা হলো এবং আলি তাদেরকে পুড়িয়ে মেরে ফেললেন।এ ঘটনা ইবনে আব্বাসের কাছে পৌছলে তিনি বললেন, “ যদি আমি উক্ত যায়গায় থাকতাম তাহলে আমি তাদেরকে পোড়াতাম না কারন আল্লাহর নবী এটা নিষেধ করেছেন ও বলেছেন, ‘ আল্লাহর শাস্তির দ্বারা কাউকে শাস্তি দিও না’ ও ‘আল্লাহর নবীর বিধান অনুযায়ী আমি শাস্তি দিতাম, ‘ যে কেউ ইসলাম ত্যাগ করবে তাকে হত্যা কর”।

বুখারি,বই-২৯, হাদিস-৭২
আনাস বিন মালিক বর্ণিত: মক্কা বিজয়ের বছর আল্লাহর রসুল মাথায় হেলমেট পরিহিত অবস্থায় মক্কায় উপস্থিত হলেন। যখন তিনি তার হেলমেট খুলে ফেললেন এক লোক তার কাছে এসে বলল- ইবনে খাতাল কাবা ঘরের গিলাফ ধরে দাড়িয়ে আছে। নবী বললেন- তাকে হত্যা কর।

একই হাদিস সহি মুসলিম বই-৭, হাদিস-৩১৪৫ এ বর্ণিত আছে। মক্কা তখন মোহাম্মদের ১০,০০০ সৈন্য দখল করে ফেলেছে। একটা মাত্র লোক খাতাল কাবা ঘরের গিলাফ ( পর্দা ) ধরে দাড়িয়ে আছে। তাকে হত্যা করার তো কোন কারনই দেখা যায় না। তবে হ্যা একটা কারন আছে। তা হলো – এ ঘটনা দিয়ে মক্কাবাসীদের মধ্যে আতংক সৃষ্টি করা যাতে তারা বুঝতে পারে, মোহাম্মদের বিরুদ্ধাচরনের শাস্তি কি ভয়াবহ হতে পারে। মক্কা বিজয়ের দিন অন্তত: দশ জন নিরস্ত্র মানুষকে মোহাম্মদের নির্দেশে খুন করা হয়, যেমন-
The apostle of Allah entered through Adhakhir, [into Mecca], and prohibited fighting. He ordered six men and four women to be killed, they were (1) Ikrimah Ibn Abi Jahl, (2) Habbar Ibn al-Aswad, (3) Abd Allah Ibn Sa`d In Abi Sarh, (4) Miqyas Ibn Sababah al-Laythi, (5) al-Huwayrith Ibn Nuqaydh, (6) Abd Abbah Ibn Hilal Ibn Khatal al-Adrami, (7) Hind Bint Utbah, (8) Sarah, the mawlat (enfranchised girl) of Amr Ibn Hashim, (9) Fartana and (10) Qaribah. Ibn Sa`d, Vol. 2, p. 168

মোহাম্মদ তার জীবনে নিরস্ত্র মানুষদেরকে যত খুন করেছেন তার বিস্তারিত তালিকা পাওয়া যাবে এখানে- নিহতের তালিকা

প্রচার করা হয় মক্কা বিজয়ের সময় নবী মক্কাবাসীদের কিছুই বলেন নি। আর এটা তার অতুলনীয় ক্ষমার উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরা হয়। কিন্তু বিষয়টি কি আসলে তাই ? উক্ত ১০ জনকে নিরস্ত্র অবস্থায় নির্মমভাবে খুন করা হয় শুধুমাত্র আতংক সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে যাতে মক্কাবাসীরা মনের ভুলেও মোহাম্মদের বিরুদ্ধাচরন না করে। আর বলা বাহুল্য, এরা কেউই মোহাম্মদের নবুয়ত্ব বিশ্বাস করে নি। আর এর ঠিক মাস ছয়েক পরেই মোহাম্মদ মক্কা ও তার আশ পাশ থেকে সকল ইহুদি ও খৃষ্টানদেরকে তাদের শত শত বছরের বসত ভিটা থেকে বিতাড়িত করেন। অর্থাৎ মক্কা বিজয় করার পর যে মহানুভবতার পরিচয় তুলে ধরেছিলেন তা টিকে ছিল মাত্র ছয়মাস।

শুধু তাই নয়, যদি কেউ নামাজ পড়তে না আসে তাদের জন্য কি হুকুম তিনি জারী করেছিলেন তা দেখা যায় নিচের হাদিসে-

বুখারি, বই-১১, হাদিস-৬২৬
আবু হুরায়রা বর্ণিত: নবী বলেছেন-ভন্ডদের জন্য ফজর ও এশার নামাজের চেয়ে অধিক কঠিন নামাজ আর নেই এবং যদি তারা সঠিক সময়ে এ দুটি নামাজ পড়ার পুরস্কার কি তা জানত, তারা এমন কি হামা গুড়ি দিয়ে হলেও মসজিদে নামাজ পড়তে আসত। নবী আরও যোগ করলেন- আমি নিশ্চিতভাবেই একজনকে আযান দেয়ার ও একজন কে ইমামতি করার হুকুম দিচ্ছি এবং হুকুম দিচ্ছি একটা আগুনের শিখা নিয়ে তাদের ঘরে আগুন দিতে যারা নামাজ পড়ার জন্য তাদের ঘর ত্যাগ করে নি।

উক্ত হাদিসের বর্ণনাকে আমরা উপমা হিসাবে গ্রহণ করলেও এটা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে – মোহাম্মদ তার অনুসারীদের জন্য ন্যুনতম কোন স্বাধীনতা রেখে যান নি। শয়নে স্বপনে জাগরনে একটাই নাম জপ করতে হবে মোহাম্মদ ও তার আল্লাহকে। এ ছাড়া আর কিছু করা যাবে না। আর কেউ কোথাও মোহাম্মদ ও তার আল্লাহকে অবমাননা করলে মরন পণ লড়াই শুরু করে হয় শহিদ হতে হবে, না হয় হতে হবে গাজী। এ ছাড়া একজন মুসলমানের আর কোন আদর্শ জীবন নেই। আর সেই মোহাম্মদ তাঁর নিজ জীবনে কি আদর্শ তুলে ধরেছেনে মানুষের কাছে?

মোহাম্মদ ও তাঁর আল্লাহকে অবমাননা করলে তার শাস্তি হলো মৃত্যুদন্ড কিন্তু মোহাম্মদ ও তার অনুসারীরা যদি অন্যদের ধর্মকে অবমাননা করে , তার শাস্তি কি ? না, তার কোন শাস্তি নেই। এটা মোহাম্মদ ও তার অনুসারীদের একক এক্তিয়ার যে তারা যেমন খুশী অন্য ধর্ম ও তার অনুসারীদেরকে অপমান, গালি ও অসম্মান করতে পারবে এবং এজন্য তাদেরকে কিছুই বলা যাবে না। বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে দেখা যাক কোরান কি বলছে-

তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যানের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে। আর আহলে-কিতাবরা যদি ঈমান আনতো, তাহলে তা তাদের জন্য মঙ্গলকর হতো। তাদের মধ্যে কিছু তো রয়েছে ঈমানদার আর অধিকাংশই হলো পাপাচারী।সূরা আল ইমরান, ০৩:১১০(মদিনায় অবতীর্ণ)

যারা অমুসলিম তারা সবাই পাপাচারী , যারা মোহাম্মদকে অনুসরণ করবে তারা সবাই পূণ্যবান।

আহলে-কিতাব ও মুশরেকদের মধ্যে যারা কাফের, তারা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে থাকবে। তারাই সৃষ্টির অধম।সূরা, বাইয়িনাহ,৯৮:০৬ (মক্কায় অবতীর্ণ)

সমস্ত জীবের মাঝে আল্লাহর নিকট তারাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট, যারা অস্বীকারকারী হয়েছে অতঃপর আর ঈমান আনেনি।সূরা আনফাল, ৮:৫৫(মদিনায় অবতীর্ণ)

অবশ্য আমি ইচ্ছা করলে তার মর্যাদা বাড়িয়ে দিতাম সে সকল নিদর্শনসমূহের দৌলতে। কিন্তু সে যে অধঃপতিত এবং নিজের রিপুর অনুগামী হয়ে রইল। সুতরাং তার অবস্থা হল কুকুরের মত; যদি তাকে তাড়া কর তবুও হাঁপাবে আর যদি ছেড়ে দাও তবুও হাঁপাবে। এ হল সেসব লোকের উদাহরণ; যারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে আমার নিদর্শনসমূহকে। অতএব, আপনি বিবৃত করুন এসব কাহিনী, যাতে তারা চিন্তা করে।সূরা আল আরাফ, ০৭:১৭৬

অমুসলিমরা সব সৃষ্টির অধম অর্থাৎ নীচ সম্প্রদায়, মোহাম্মদের অনুসারীরা হলো শ্রেষ্ট সম্প্রদায়।মোহাম্মদের মত শিশু বিয়ে না করলে, কাবা ঘরের পাথরের কাছে মাথা নত না করলে বা চুমু না খেলে, দাসী বা বন্দী নারীদের সাথে সেক্স না করলে সবাই নিকৃষ্ট মানুষ আর সেসব করলে তারা হলো শ্রেষ্ট মানুষ।শুধু তাই নয়, তারা কুকুর সদৃশ।

বলুনঃ আমি তোমাদেরকে বলি, তাদের মধ্যে কার মন্দ প্রতিফল রয়েছে আল্লাহর কাছে? যাদের প্রতি আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন, যাদের প্রতি তিনি ক্রোধাম্বিত হয়েছেন, যাদের কতককে বানর ও শুকরে রূপান্তরিত করে দিয়েছেন এবং যারা শয়তানের আরাধনা করেছে, তারাই মর্যাদার দিক দিয়ে নিকৃষ্টতর এবং সত্যপথ থেকেও অনেক দূরে।সূরা মায়দাহ, ০৫:৬০

এখানে বলা হচ্ছে- ইহুদিদেরকে মোহাম্মদের আল্লাহ বানর ও শুকরে পরিণত করেছে। এছাড়া যারা মোহাম্মদের অনুসারী নয় তারা শয়তানের অনুসারী ও তারা নিকৃষ্টতর প্রজাতির মানুষ।

বুখারি, বই-৫৪, হাদিস-৫২৪
আবু হুরায়রা বর্ণিত: নবী বললেন, “ ইসরাইলিদের একটা গোত্র হারিয়ে গেছিল, কেউ জানে না তারা কি করেছিল। তাদেরকে অভিসম্পাত করা হয়েছিল আর এর ফলে তারা ইদুরে পরিণত হয়ে গেছিল।

অর্থাৎ বর্তমানে যে ইদুর আমরা দেখি তাদের অনেকেই সেই ইসরাইলি তথা ইহুদিদের বংশধর।

তারা কাফের, যারা বলে যে, মরিময়-তনয় মসীহ-ই আল্লাহ; অথচ মসীহ বলেন, হে বণী-ইসরাঈল, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর, যিনি আমার পালন কর্তা এবং তোমাদেরও পালনকর্তা। নিশ্চয় যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থির করে, আল্লাহ তার জন্যে জান্নাত হারাম করে দেন। এবং তার বাসস্থান হয় জাহান্নাম। অত্যাচারীদের কোন সাহায্যকারী নেই।সূরা মায়েদা-৫:৭২
নিশ্চয় তারা কাফের, যারা বলেঃ আল্লাহ তিনের এক; অথচ এক উপাস্য ছাড়া কোন উপাস্য নেই। যদি তারা স্বীয় উক্তি থেকে নিবৃত্ত না হয়, তবে তাদের মধ্যে যারা কুফরে অটল থাকবে, তাদের উপর যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি পতিত হবে।নেই।সূরা মায়েদা-৫:৭৩

সুতরাং খৃষ্টানরা হলো কাফের আর তাই তারা সবাই জাহান্নামে যাবে মরার পর আর বেঁচে থাকতে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে, তাদেরকে বশ্যতা স্বীকার করিয়ে তাদের কাছ থেকে জিজিয়া কর নিতে হবে ও তাদের মর্যাদা হবে মুসলমানদের নীচে।তারা করজোড়ে জিজিয়া কর প্রদান করে মুসলমানদের বশ্যতা স্বীকার করবে। যা দেখা যায় নিচের আয়াতে-

তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।সূরা আত তাওবা-৯:২৯

যেহেতু খৃষ্টান ও ইহুদিরা মুসলমানদের অধীনে মর্যাদাহীন হয়ে থাকবে তাই তাদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করা যাবে না কারন তারা বন্ধু হওয়ার মত যোগ্যতা রাখে না, যেমন-

হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।সূরা আল মায়েদা-৫:৫১

এ পর্যন্ত হলেও চলত মোহাম্মদ ঘোষণা করছেন যদি কোন লোক ইসলাম অনুসরণ না করে , সে যদি পিতা, মাতা, ভাই, বোন , পূত্র , কন্যাও হয় তাদের সাথে কোন সম্পর্ক রাখা চলবে না, যেমন-

যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাদেরকে আপনি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণকারীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবেন না, যদিও তারা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়। তাদের অন্তরে আল্লাহ ঈমান লিখে দিয়েছেন এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন তাঁর অদৃশ্য শক্তি দ্বারা। তিনি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। তারা তথায় চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আল্লাহর দল। জেনে রাখ, আল্লাহর দলই সফলকাম হবে।সূরা আল মুজাদালাহ, ৫৮:২২

আর বলা বাহুল্য, তাদেরকে মোহাম্মদের হুকুম মতো হত্যা করতে হবে ,যা দেখা যাচ্ছে নীচে-

অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।সূরা আত তাওবা-৯:৫

সেই প্রাথমিক যুগে মোহাম্মদের অনেক অনুসারীরই আত্মীয় স্বজন ভাই বোন পিতা মাতা ছিল তথাকথিক মুশরিক বা খৃষ্টান বা ইহুদি। আর এসব ক্ষেত্রে কোন মায়া দয়া দেখানো চলবে না, তাদেরকে অকাতরে হত্যা করতে হবে।সেটাই মোহাম্মদের হুকুম।এছাড়াও মোহাম্মদের হুকুম-কুরাইশরা আর শত শত বছর ধরে তাদের অধিকারে থাকা মন্দির কাবা ঘরে ঢুকতে পারবে না। কারন সেটা নাকি মোহাম্মদের আল্লাহর প্রথম ঘর যা ইব্রাহিম ও ইসমাইল সংস্কার করেছিল। অথচ নিরপেক্ষ কোন ঐতিহাসিক সূত্র নেই যা মোহাম্মদের এ দাবী সমর্থন করে। দুনিয়ার সকল প্রাচীন মন্দির বা স্থাপনার একটা নিরপেক্ষ ঐতিহাসিক সূত্র আছে কাদের দ্বারা সেসব তৈরী হয়েছিল।কাবা ঘরের যে ঐতিহাসিক সূত্র পাওয়া যায় তাতে অন্তত কোন কালে কথিত ইব্রাহিম নবী আর তার পূত্র ইসমাইল কোন কালে মক্কায় এসে কাবা ঘর সংস্কার করেছিল তার কোন সাক্ষ্য প্রমান নেই। একমাত্র সাক্ষ্য হলো মোহাম্মদ আর তার কথিত কিচ্ছা। আর সেটার ওপর ভিত্তি করেই মোহাম্মদ হুংকার দিয়ে ঘোষণা দিচ্ছেন অত:পর সেখানে কুরাইশরা আর আসতে পারবে না।যদি আসে তাহলে তাদেরকে কচু কাটা করে হত্যা করা হবে।

অর্থাৎ খোদ কোরান অমুসলিমদেরকে চরমভাবে অপমান করেছে, অসম্মান করেছে অথচ এ ব্যপারে টু শব্দটি করা যাবে না। কিন্তু কেউ যদি মোহাম্মদ ও তার ইসলামকে সমালোচনা করে তাহলে আর রক্ষা নেই, বিচার সোজা- তার কল্লা কাটা চাই।

বর্তমান কালের নিরিখে বিচার করলে, মোহাম্মদ অসংখ্য সভ্যতা, নৈতিকতা, মানবতা বহির্ভুত কাজ করেছেন , এমনকি অপরাধ মূলক কাজও করেছেন, যেমন-

-তিনি ১৩ টা বিয়ে করা ছাড়াও অসংখ্য দাসীদের সাথে সেক্স করেছেন অথচ তাকে নারী লোলুপ বলা যাবে না,বলতে হবে সংযমী এক মহান আদর্শ পুরুষ,
-তিনি ৬ বছরের আয়শাকে বিয়ে করেছেন ৫১ বছর বয়েসে আর তার বয়স যখন ৯ তখন ৫৪ বছরের প্রৌড় মোহাম্মদ সেক্স করেছেন আয়শার সাথে অথচ তাকে শিশু নির্যাতনকারী বলা যাবে না,বলতে হবে তিনি শিশুদেরকে খুব ভালবাসতেন,
– তিনি তার পালিত পূত্র বধু যয়নবকে বিয়ে করেছেন অথচ তাকে অসামাজিক বা অনৈতিক কাজ বলা যাবে না,বলতে হবে বৈপ্লবিক এক সমাজ সংস্কার
– তিনি নিজের কন্যা ফাতিমাকে তার আপন চাচাত ভাই আলীর সাথে বিয়ে দিয়েছেন( অর্থাৎ আলী তার ভাইঝিকে বিয়ে করেছে) অথচ এটাকেও কোন অসামাজিক অনৈতিক কাজ বলা যাবে না , বলতে হবে সমাজ সংস্কার
-মোহাম্মদ ও তার দল বল মদিনার পাশ দিয়ে চলে যাওয়া নিরাপরাধ বানিজ্য কাফেলা আক্রমন করে তাদের মালামাল লুট পাট করেছে, অথচ তাকে ডাকাতি বলা যাবে না , বলতে হবে আত্মরক্ষামূলক আক্রমন,
– মোহাম্মদ আগ বাড়িয়ে একের পর এক ইহুদি বসতি আক্রমন করে তাদেরকে মেরে কেটে সাফ করে , তাদের ধন সম্পদ ও নারীদেরকে গণিমতের মাল হিসাবে ভাগ ভাগি করে নিয়েছেন কিন্তু তাকে আক্রমনাত্মক যুদ্ধ বলা যাবে না , বলতে হবে আত্ম রক্ষামূলক যুদ্ধ,
-মোহাম্মদ বিয়ে করা ছাড়াই দাসী ও বন্দী নারীদের সাথে সেক্স করার জন্য অনুমতি দিচ্ছেন আল্লাহর বানীর নামে অথচ এটাকে অমানবিক বলা যাবে না, বলতে হবে আল্লাহর অশেষ রহমতের বিধান (সূরা নিসা-০৪:২৪)
-মোহাম্মদ নারীকে টাকা বা সম্পদ দিয়ে সাময়িক বিয়ে করে সেক্স করে তার পর তাদেরকে তালাক দিতে বলছেন , অথচ এটাকে বলা যাবে বেশ্যাবৃত্তি, বলতে হবে আল্লাহর রহমতের বিধান( সূরা নিসা,০৪:২৪)

উপরোক্ত ঘটনার প্রতিটি সত্য ঘটনা যা কোরান, হাদিস ও মোহাম্মদের জীবনী দ্বারা সমর্থিত, সেসব কোন ইহুদি বা কাফেরের লেখা বিকৃত বক্তব্য নয়, কিন্তু এত কিছুর পরও মোহাম্মদের সমালোচনা করা যাবে না , যাবে না তার চরিত্র বিচার। যদি কেউ করে সাথে সাথে তার মাথা কাটা যাবে। অথচ মোহাম্মদের অনুসারীরা সারা দুনিয়াতে যখন কোরান পাঠ করে , নামাজ পড়ে, হাদিস পড়ে তখন তারা চরমভাবে অমুসলিমদেরকে অপমান করে , অসম্মান করে, শুকর , বানর , ইদুর,নিকৃষ্ট জীব বলে গালি দেয়, অভিশাপ দেয় ধ্বংস হয়ে যাওয়ার , অথচ তাদেরকে কিছুই বলা যাবে না। কিছু বললেই মাথা কাটা যাবে। মোহাম্মদের আদর্শ অনুসারীরা ঠিক সেটাই করে যাচ্ছে বর্তমানে দেশে দেশে। চলচ্চিত্র বানাল এক কপ্টিক খৃষ্টান, নিশ্চয়ই মার্কিন সরকার তাকে বলেনি সেটা বানাতে। তাছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হলো ব্যক্তি স্বাধীনতা ও বাক স্বাধীনতার দেশ। যে কেউ যে কোন কিছু বলতে পারে , করতে পারে তাদের মত প্রকাশ। ঠিক সেটাই করেছে এক কপ্টিক খৃষ্টাণ আর সেটা করতে যেয়ে সে যে কোন মনগড়া বা বানান তথ্য পরিবেশন করেছে তাও নয়, তার প্রতিটি তথ্যই কোরান, হাদিস ও সিরাত দ্বারা সমর্থিত। হতে পারে তারা চলচ্চিত্রটা কাঁচা হাতের হয়েছে।কিন্তু তার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার দায়ী নয়। অথচ সেটার জন্য প্রান দিতে হচ্ছে মার্কিন কুটনীতিককে, মুসলিম অধ্যুষিত দেশে দেশে মার্কিন দুতাবাস হচ্ছে আক্রান্ত। আর বলা বাহুল্য, এটাও মহানবী মোহাম্মদের নির্দেশ ও শিক্ষা, তাঁর অনুসারীদের জন্য। তাঁর আদর্শ অনুসারীরা ঠিক সেটাই অক্ষরে অক্ষরে পালন করে যাচ্ছে।

মনে রাখতে হবে এ মোহাম্মদ হলেন আল্লাহ প্রেরিত একজন সর্বশেষ নবী যার শিক্ষা চলবে দুনিয়ার শেষ দিন পর্যন্ত যার আদর্শ অনুসরণীয় হবে কেয়ামত পর্যন্ত। আর তার প্রধান শিক্ষাই হলো- যে তার সমালোচনা করবে তাকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই কতল করতে হবে। কি মহান শিক্ষা! তার আল্লাহ এতটাই অসহায় যে- খুন খারাবি ছাড়া সে তার বানী মানুষের কাছে প্রচার ও প্রসার করতে অক্ষম। অসহায় আল্লাহর কাজটাই বর্তমানে মোহাম্মদের আদর্শ অনুসারীরা পালন করে যাচ্ছে দেশে দেশে। এখন দেখার বিষয় কখন তথাকথিত ইসলামি পন্ডিতরা বলে যে এসব হলো কিছু উচ্ছৃংখল ও বিপথগামী মুসলমানদের কাজ, প্রকৃত মুসলমানের কাজ নয়। আমরা অপেক্ষায় থাকলাম।