ঈশ্বর যখন বিজ্ঞানী

১। তার মুখ্য গবেষনাপত্রের সংখ্যা হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি।
২। মূল গবেষণার ভাষা কখনই ইংরেজী নয়।
৩। কোন রেফারেন্স নেই।
৪। কোন পিয়ার রিভ্যুড জার্নালে তার গবেষনা প্রকাশিত হয়নি।
৫। গবেষণাপত্রগুলি ঈশ্বরের নিজের মস্তিষ্কপ্রসূত – একথায় অনেকের সন্দেহ আছে।
৬। তিনি হয়তো মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন কিন্তু এরপর থেকে তিনি কিছুই করেন না।
৭। তার গবেষণার ফলাফল পূনঃপরীক্ষনযোগ্য নয়।
৮। পরীক্ষা ব্যর্থ হলে তিনি বিষয়বস্তুকে বন্যার জলে লুকিয়ে ফেলেন অথবা গবেষণাপত্রে যথেচ্ছা অদলবদল করেন।
৯। তিনি নিজে শ্রেনীকক্ষে কখনও আসেন না। শুধু ছাত্রদের তার বই পড়তে বলেন।
১০। শেখার অপরাধে তিনি তার প্রথম দুই ছাত্রকে বহিষ্কার করেছেন।
১১। সহকর্মীদের সাথে ঠিকমত কাজের রেকর্ড খুঁজে পাওয়া যায় না।
১২। অবৈধভাবে তিনি মানুষ এবং অন্যান্য জীবদের উপর মনমত গবেষণা চালান।
১৩। ঈশ্বরের নামের পেছনে সঙ্গত কারণেই পিএইচডি লেখা হয় না ।

বাতি
প্রশ্ন: একটা বিজলী বাতি বদলানোর জন্য ন্যুনতম কতজন নাস্তিকের প্রয়োজন ?
উত্তর : দুই জন । প্রথমজন বাতিটা বদলাবেন এবং দ্বিতীয়জন সেটার ভিডিওচিত্র ধারণ করবেন যাতে করে ধার্মিকেরা দাবী করতে না পারে যে ঈশ্বর বাতিটা বদলে দিয়েছেন।

জ্বীনের বাদশাহ

এক নাস্তিক নিলামে একটা প্রাচীন চেরাগ কিনে সেটা বাসায় নিয়ে আসলেন। হঠাৎ , তার ইচ্ছে হল চেরাগটায় হাত ঘসে দেখতে। বলা তো যায় না , কি হয় ? চেরাগটায় হাত ঘসতেই অমনি জ্বীনের বাদশাহ এসে হাজির , ” আজ্ঞা করুন হুজুর , যে কোন তিনটি ইচ্ছে !” নাস্তিক বললেন, ” প্রথম ইচ্ছে- আমি যেন তোমায় বিশ্বাস করি।” অমনি জীনের বাদশার উপর নাস্তিকের বিশ্বাস এসে গেল। তা দেখে নাস্তিক বলে উঠলেন, ” ওয়াও ! আমি চাই পৃথিবীর সকল নাস্তিক যেন তোমায় বিশ্বাস করে।” সাথে সাথে পৃথিবীর সব নাস্তিক জীনের বাদশার উপর বিশ্বাস করতে শুরু করলো। ” এবার হুজুর , তৃতীয় ইচ্ছাটার কথা যদি বলতেন …।” ” ঠিক আছে । আমাকে এবার একশ কোটি টাকা এনে দাও।” নাস্তিক বললেন। কিন্তু এবার কিছুই হলোনা। নাস্তিক বললেন , “কি ব্যপার আমার টাকা কই ? ” জ্বীনের বাদশাহ এবার একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন , ” হুজুর, আমাকে আপনি বিশ্বাস করেছেন- এর মানে এই নয় যে, আমার অস্তিত্ব আছে !”

পাশের বাড়ির ধার্মিক

এক নাস্তিকের পাশের বাড়ীতে এক ধার্মিক নারী থাকেন। প্রতি রাতে সেই ধার্মিক নারীর উচ্চ স্বরের প্রার্থনা নাস্তিক ব্যক্তির কানে এসে বাঁজে। নাস্তিক ব্যক্তি মনে মনে ভাবেন, “মহিলাটার মাথাই আসলে খারাপ। এভাবে কেউ প্রার্থনা করে ? তার কি জানা নেই যে ঈশ্বর বলে কিছু নেই ? ” তিনি তাই প্রায়ই প্রার্থনা শোনামাত্র সেই নারীর বাসায় গিয়ে হাজির হয়ে বলেন , ” এই নারী , তুমি সব সময় কেন এসব ফালতু প্রার্থনা কর ? তুমি কি জাননা যে ঈশ্বর টিশ্বর বলে কিছু নেই ?” কিন্তু তাতে কাজ হয় না। ধার্মিক নারীটির প্রার্থনা চলতেই থাকে।
একদিন রাতে , নাস্তিক যথারীতি প্রার্থনা শুনতে পেলেন কিন্তু এবার তাতে কিছু নতুনত্ব আছে, ” ঈশ্বর , বাজার যা করেছিলাম , সব তো শেষ! এবার দয়া করে আমার বাজারের ব্যবস্থাটা করে দিন !”
একথা শুনে নাস্তিক মনে মনে একটা ফন্দী আঁটলেন।
পরের দিন সকালে সেই নাস্তিক এক গাদা বাজার সেই ধার্মিক নারীর দরজার সামনে রেখে কলিং বেল টিপে দৌড়ে পাশের ঝোপের আড়ালে গা ঢাকা দিলেন। তার উদ্দেশ্য এটা দেখা যে ধার্মিক নারীটি এখন কি করে ! ধার্মিক নারীটি এবার দরজা খুলে সামনে এক গাদা বাজার দেখে চিৎকার করে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিতে থাকলেন। তখনি ঝোপের আড়াল থেকে নাস্তিক ব্যক্তিটি এক লাফে নারীটির সামনে এসে বললেন, ” এই নারী , তুমি কি পাগল ? ঈশ্বর তোমাকে বাজার করে দেয় নি । আমি দিয়েছি পকেটের পয়সা খরচ করে !” শোনামাত্র নারীটি অমনি দিল ভোঁ দৌড় এবং নাস্তিকও দৌড় দিলেন তাকে ধরার জন্য। বেশ খানিক ক্ষন দৌড়ানোর পর নাস্তিক নারীটিকে অবশেষে ধরতে পারলেন । তিনি এভাবে দৌড়ানোর কারণ জিজ্ঞেস করলেন । ধার্মিক নারীটি আকাশের পানে চেয়ে বললেন, ” হায় ঈশ্বর ! আমি নিশ্চিত জানতাম যে আপনি আমাকে বাজার করে দেবেন। কিন্তু আমি কি জানতাম যে শয়তানই শেষ পর্যন্ত সেই বাজারের পয়সা দেবে ? ”

ঈশ্বরের মিনিট

মানুষ : আপনার কাছে এক কোটি বছর কতটুকু মনে হয় ?
ঈশ্বর : এক মিনিট মাত্র ।
মানুষ: তাহলে এক কোটি টাকা কতটুকু মনে হবে আপনার কাছে ?
ঈশ্বর : এক পয়সা !
মানুষ : তাহলে সেই এক পয়সাই দিন না আমাকে !
ঈশ্বর: এক মিনিটের মধ্যে দিচ্ছি।

মূলভাব: ইন্টারনেট