নাসেক মানসুকের আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ উদাহরন হলো নীচে-

হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচাতো ভগ্নি, ফুফাতো ভগ্নি, মামাতো ভগ্নি, খালাতো ভগ্নিকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে। কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। কোরান, আল আহ যাব-৩৩:৫০

উক্ত আয়াত টি নিচের আয়াত দ্বারার বাতিল হয়ে যায়-

এরপর আপনার জন্যে কোন নারী হালাল নয় এবং তাদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করাও হালাল নয় যদিও তাদের রূপলাবণ্য আপনাকে মুগ্ধ করে, তবে দাসীর ব্যাপার ভিন্ন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ের উপর সজাগ নজর রাখেন। কোরান, আল আহযাব-৩৩: ৫২

উক্ত ৩৩: ৫০ আয়াতের একটি লাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো – কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। – তার অর্থ নবী যত খুশী তত বিয়ে করতে পারবেন। আর এটা নবীর জন্য বিশেষ আল্লাহ বিশেষ আনুকূল্য। তার কি অসুবিধা? অনেকগুলো স্ত্রী না থাকলে তার কি অসুবিধা হয় ? পাঠকের সুবিধার্থে উক্ত আয়াত সম্পর্কে ইবনে কাথিরের তফসির নিচে দেয়া হলো-

(and a believing woman if she offers herself to the Prophet, and the Prophet wishes to marry her — a privilege for you only,) means, `also lawful for you, O Prophet, is a believing woman if she offers herself to you, to marry her without a dowery, if you wish to do so.’ This Ayah includes two conditions. Imam Ahmad recorded from Sahl bin Sa`d As-Sa`idi that a woman came to the Messenger of Allah and said, “O Messenger of Allah, verily, I offer myself to you (for marriage).” She stood there for a long time, then a man stood up and said, “O Messenger of Allah, marry her to me if you do not want to marry her.” The Messenger of Allah said:

(Do you have anything that you could give to her as a dowery) He said, “I have only this garment of mine.”

The Messenger of Allah said: (If you give her your garment, you will be left with no garment. Look for something.) He said, “I do not have anything.” He said: (Look for something, even if it is only an iron ring.) So he looked, but he could not find anything. Then the Messenger of Allah said to him-“ Do you have ﴿know﴾ anything of the Qur’an) He said, “Yes, Surah such and such and Surah and such,” he named the Surahs. So, the Messenger of Allah said: (Do you have ﴿know﴾ anything of the Qur’an) He said, “Yes, Surah such and such and Surah and such,” he named the Surahs. So, the Messenger of Allah said: (I marry her to you with what you know of the Qur’an.) It was also recorded by (Al-Bukhari and Muslim) from the Hadith of Malik. Ibn Abi Hatim recorded a narration from his father that `A’ishah said: “The woman who offered herself to the Prophet was Khawlah bint Hakim.” Al-Bukhari recorded that `A’ishah said, “I used to feel jealous of those women who offered themselves to the Prophet and I said, `Would a woman offer herself’ When Allah revealed the Ayah: (You can postpone whom you will of them, and you may receive whom you will. And whomsoever you desire of those whom you have set aside, it is no sin on you-) I said, `I see that your Lord hastens to confirm your desires. ( Ibne Kathir-www.qtafsir.com)

তাফসির থেকে দেখা যাচ্ছে-যদি কোন বিশ্বাসী নারী মোহাম্মদকে বিয়ে করতে চায় তাহলে তিনি তাকে কোনরকম মোহর প্রদান ছাড়াই বিয়ে করতে পারবেন(O Prophet, is a believing woman if she offers herself to you, to marry her without a dowery, if you wish to do so) ।শুধু এটাই নয়, উক্ত তাফসির থেকে দেখা যাচ্ছে- নবীর বালিকাবধূ আয়েশা বলছে- আমি খুবই ঈর্ষা বোধ করতাম যখন কোন নারী স্বেচ্ছায় নবীর কাছে আত্মসমর্পন করত। বলা বাহুল্য নবীও তাদেরকে উদার ভাবে গ্রহণ করতেন তাঁর বাহুডোরে, সেকারনেই আয়শার এরকম ঈর্ষাবোধ। কোন আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন নারীই তার স্বামীর এ ধরনের বহু নারী প্রীতি মেনে নিতে পারে না।হাদিস থেকে দেখা যায়, মোহাম্মদের বাল্যবন্ধু আবু বকরের কন্যা অত্যন্ত আত্ম সম্মানবোধ সম্পন্ন ছিল। যাহোক আয়েশার উক্ত বক্তব্যের কারনে আল্লাহ অতিশয় দয়া পরবশ হয়ে অতি দ্রুত এ আয়াত নাজিল করে-

আপনি তাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা দূরে রাখতে পারেন এবং যাকে ইচ্ছা কাছে রাখতে পারেন। আপনি যাকে দূরে রেখেছেন, তাকে কামনা করলে তাতে আপনার কোন দোষ নেই। এতে অধিক সম্ভাবনা আছে যে, তাদের চক্ষু শীতল থাকবে; তারা দুঃখ পাবে না এবং আপনি যা দেন, তাতে তারা সকলেই সন্তুষ্ট থাকবে। তোমাদের অন্তরে যা আছে, আল্লাহ জানেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল। কোরান, 33: 51

মোহাম্মদের বহু নারী প্রীতি জনিত কষ্ট আল্লাহ যে একেবারেই সহ্য করতে পারত না এটা তার উজ্ব্বল নমুনা।শুধু তাই নয় যত ইচ্ছা বিয়ে করার জন্য মোহাম্মদকে কোন টাকা পয়সা যাতে খরচ করতে না হয় সে ব্যবস্থাও আল্লাহ করে দিল । বিষয়টি আয়শার মনে সন্দেহের উদ্রেক করে। এটা কিভাবে সম্ভব যে আল্লাহ তার নবীর বহু নারী প্রীতি নিয়ে এতটা উদ্বিঘ্ন থাকতে পারে? আল্লাহর কি আর অন্য কাম কাজ নেই ? যে কারনে আয়শা আশ্চার্যন্বিত হয়ে বলছে- – I see that your Lord hastens to confirm your desires- আমি দেখছি আপনার প্রভু আপনার ইচ্ছা পূরনে মোটেই দেরী করেন না।আসলেই বড় তাজ্জব কায় কারবার এই মোহাম্মদের। বোঝা বড়ই দায়। বুঝতে অসুবিধা হয় না যে , আয়শা মূলত: ধরে ফেলেছে যে মোহাম্মদের জিব্রাইল দর্শন বা তার আল্লাহর ওহী এসব মোহাম্মদের মনগড়া বানানো কিচ্ছা ছাড়া আর কিছুই নয়।আর তাই তার এ বক্তব্য।

তবে সব সময় যে মোহাম্মদ যাকে তাকে বিয়ে করতেন তা কিন্তু নয়, আসলে নারীর রূপ সৌন্দর্য মোহাম্মদকে আকৃষ্ট করলেই মাত্র তিনি বিয়ে করতেন , নতুবা করতেন না।তাও কিন্তু উক্ত তাফসিরে দেখা যাচ্ছে।সেখানে এক মহিলা মোহাম্মদের কাছে এসে আব্দার জানায় তাকে বিয়ে করার।অনেক ক্ষন দাড়িয়ে থাকার পরেও মোহাম্মদ তার দিকে ফিরেও তাকান না।কারন নবী উক্ত নারীর প্রতি আকৃষ্ট হন নি।অত:পর এক লোক সেখানে দাড়িয়ে ছিল বিষয়টি তার নজর কাড়াতে সে নবীর কাছে উক্ত নারীকে বিয়ে করার আর্জি জানায়, সে বলে- হে নবী আপনি বিয়ে করতে না চাইলে তাকে আমার সাথে বিয়ে দিয়ে দিন।নবী তাকে জিজ্ঞেস করেন-মোহরানা দেয়ার মত তার কাছে কিছু আছে কিনা।লোকটি না সূচক উত্তর দিলে নবী বলেন সে কোরান থেকে কিছু মুখস্থ বলতে পারবে কি না। অত:পর লোকটি কয়েকটি সূরা থেকে কিছু আয়াত মুখস্থ বললে সেটাই তার মোহারানা হিসাবে ধার্য্য করে মোহাম্মদ নারীটিকে তার সাথে বিয়ে দিয়ে দিলেন। মোহাম্মদের ১২/১৩টা বিয়ে নিয়ে যখন প্রশ্ন করা হয় তখন ইসলামি পন্ডিতরা বলে- বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তাকে বিয়ে করতে হয়।এখন কারনটা নিশ্চয়ই বোঝা যাচ্ছে । সেটা হলো নারীর রূপ যৌবন তাঁকে আকৃষ্ট করলেই একমাত্র তিনি তাকে বিয়ে করতেন। যা কিন্তু পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে নিচের আয়াতে-

এরপর আপনার জন্যে কোন নারী হালাল নয় এবং তাদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করাও হালাল নয় যদিও তাদের রূপলাবণ্য আপনাকে মুগ্ধ করে, তবে দাসীর ব্যাপার ভিন্ন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ের উপর সজাগ নজর রাখেন। কোরান, ৩৩: ৫২

উক্ত আয়াতে আল্লাহই বলছে যদিও তাদের (নারী) রূপলাবণ্য আপনাকে মুগ্ধ করে। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে নবী যে অনেকগুলো বিয়ে করেছিলেন কোন কোন ক্ষেত্রে বিশেষ সামাজিক কারন বিদ্যমান থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেটা ছিল নারীর রূপ লাবন্য। তার অর্থ ইসলামি পন্ডিতরা যেসব বক্তব্য দেয় তা সত্য নয়। কোন বিশেষ উদ্দেশ্য এখানে প্রধান নয় বরং মোহাম্মদকে যে সব নারী আকৃষ্ট করত, মোহাম্মদ তাকেই বিয়ে করতে চাইতেন। এছাড়াও এটাও ভাবার বিষয় যে- আল্লাহর নবীকে কেন সামাজিক কারনেও একের পর এক বিয়ে করে যেতে হবে ?এভাবে একের পর এক বিয়ে করে যাওয়াতে সেই মদিনাতে সাধারণ লোক জন মোহাম্মদের নারী লিপ্সা নিয়ে কানা ঘুষা করতে থাকে, বিশেষ করে খৃষ্টানরা। খৃষ্টানরা বলা বলি করছিল এ কোন ধরনের নবী যে একের পর এক বিয়ে করে যাচ্ছে অথচ তাদের যীশু খৃষ্ট কোন রকম বিয়ে বা নারীর সংস্পর্শ ছাড়াই তাঁর ধর্ম প্রচার করে গেছেন। বিষয়টি তাদের কাছে খুব অদ্ভুত ও উদ্ভট মনে হচ্ছিল। মোহাম্মদ তখন চিন্তা করলেন বিষয়টিকে বেশী বাড়তে দেয়া ঠিক নয়। আর সেকারনেই আগের বিয়ে গুলো জায়েজ করার জন্য ৩৩:৫০ আয়াত নাজিলের পর পরই অথবা কিছুদিন পর উক্ত ৩৩:৫২ আয়াতের আমদানী করেন মোহাম্মদ এবং বলাবাহুল্য, ৩৩: ৫২ আয়াত দ্বারা ৩৩:৫০ আয়াত মানসুক বা রদ হয়ে যায়। তবে দাসীদের ক্ষেত্রে নবীর নারী লিপ্সার বিষয়টি বরাবর বলবত থাকে।অর্থাৎ তিনি যত ইচ্ছা খুশী দাসী রেখে তাদের সাথে যৌন সঙ্গম করতে পারবেন। শুধুমাত্র স্বাধীন নারীর ক্ষেত্রে বিষয়টি কার্যকর হয়।

এখানে একটা ব্যপার খুব কৌতুহলোদ্দীপক। তা হলো ৩৩ নং সূরার ৫০ নং আয়াতে মোহাম্মদকে আল্লাহ যত খুশী বিয়ে করার লাইসেন্স দিচ্ছে অথচ মাত্র এর এক আয়াত পরেই ৫২ নম্বর দ্বারা তা বাতিল করে দিচ্ছে। এর পর মনে হতে পারে যে বিয়ের ফ্রি লাইসেন্স দেয়ার পর পরই আল্লাহ তা বাতিল করে দিয়েছে তার অর্থ উক্ত লাইসেন্স অনুযায়ী মোহাম্মদ আর কোন বিয়ে করেন নি। কিন্তু বিষয়টি মোটেও তা নয়।

বিস্ময়কর ব্যপার হলো উক্ত বাতিলকরন আয়াত নাজিল হওয়ার পরেও মোহাম্মদ তা মেনে চলার ধার ধারেন নি।অর্থাৎ আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করেছেন। বিষয়টি শুনতে খুব আশ্চর্য মনে হচ্ছে? না মোহাম্মদ এভাবেই তার আল্লাহর নির্দেশ বার বার অমান্য করেছেন, অমান্য করার পর পরই তা আবার পাল্টা আয়াত নাজিল করে শুধরে নিয়েছেন। তবে আল্লাহর নিষেধ অমান্য করে বিয়ে করার পর মোহাম্মদ তার সংশোধনী কোন আয়াত আমদানী করেন নি। এর কারনটাও বোধগম্য, সে সময় মদিনাতে তিনি সর্ব শক্তিমান ও তাঁর বিরুদ্ধে টু শব্দ করার মত কেউ তখন আর অবশিষ্ট ছিল না। তাই তাঁর স্বেচ্ছাচারী কাজের জন্য আর কোন আয়াত নাজিলের দরকার বোধ করেন নি। উক্ত সূরা আহযাব নাজিল হয় খন্দকের যুদ্ধ বা আহযাবের যুদ্ধের পর পর। উক্ত যুদ্ধ শুরু হয় ৩১শে মার্চ, ৬২৭ সালে বা হিজরী ৫ম সালে ।

(তথ্য সূত্র: http://en.wikipedia.org/wiki/Battle_of_the_Trench)
( http://www.alim.org/library/quran/surah/introduction/33/MAL)

তার অর্থ ৬২৭ সালের এপ্রিল-মে মাসে উক্ত সূরা আহযাব নাজিল হয়। এর পর খায়বারের ইহুদিদেরকে মোহাম্মদের বাহিনী আতর্কিকে সকাল বেলা আক্রমন করেন ৬২৯ সালে এবং প্রায় নিরস্ত্র ইহুদিদেরকে কচুকাটা করেন। যদিও মুসলিম পন্ডিতরা বলে থাকেন এটাও নাকি মোহাম্মদের আত্মরক্ষার যুদ্ধ। ভোর বেলা আতর্কিতে একটা জনপদে দলবল সহ আক্রমন করা কোন ধরনের আত্মরক্ষা মূলক যুদ্ধ তা একামাত্র মোহাম্মদ আর তাঁর আল্লাই জানেন। যাহোক, খায়বারের ইহুদী সর্দার কিনানের স্ত্রীর রূপ সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ তাকে গণিমতের মাল হিসাবে গ্রহন করেন, বিয়ে করা ছাড়াই তার সাথে প্রথম রাত কাটান ও পরে তাকে বিয়ে করেন।৬২৭ সালে আল আহযাব সূরা নাজিল হয় আর তার ৫২ নং আয়াতে মোহাম্মদকে পরিষ্কার আল্লাহ বলে দেয় তিনি আর কোন বিয়ে করতে পারবেন না , অথচ ৬২৯ সালে খায়বারের যুদ্ধের পর মোহাম্মদ সে নিষেধ অমান্য করে সাফিয়াকে বিয়ে করেন।সত্যি সত্যি যদি কোন সর্ব শক্তিমান আল্লাহ মোহাম্মদের কাছে বানী পাঠাত, মোহাম্মদ কি এ ধরনের নিদের্শ অমান্য করার দু:সাহস করতেন ? এখানে মোহাম্মদের বিয়ের একটা সময়ভিত্তিক ক্রমিক নম্বর দেয়া হলো-

১ম: বিবি খাদিজা- মোহাম্মদ ৪০ বছর বয়স্কা খাদিজাকে ২৫ বছর বয়েসে বিয়ে করেন।ধনাড্য খাদিজাকে বিয়ে করার পর মোহাম্মদের দারিদ্র ঘোচে।স্ত্রীর আয়ের ওপর নির্ভর করে মোহাম্মদ তাঁর চিন্তা ভাবনাকে গুছিয়ে নিয়ে তা বাস্তবায়নের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার সুযোগ পায়।
২য়: বিবি সওদা- খাদিজা মারা যাওয়ার পর ৫৫ বছর বয়স্কা সওদাকে বিয়ে করেন। মোহাম্মদের বাচ্চা কাচ্চাদের দেখাশুনো করার জন্য তিনি সওদাকে বিয়ে করেন।
৩য়: বিবি আয়শা – ৫৩ বছর বয়েসে মোহাম্মদ ৬ বছরের আয়শাকে বিয়ে করেন। আয়শা ছিলেন মোহাম্মদের বাল্যবন্ধু আবু বকরের কন্যা। স্বপ্নে দেখে মোহাম্মদ একে বিয়ে করেন।
৪র্থ: বিবি হাফসা- হযরত ওমরের কন্যা হাফসা বিধবা হওয়ার পর মোহাম্মদ তাকে বিয়ে করেন।ওমর তার বিধবা কন্যাকে ওসমান ও আবু বকরের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেয়, তারা প্রত্যাখ্যান করার পর মোহাম্মদ বিয়ে করেন।
৫ম: বিবি জয়নাব বিনতে খুজাইমা- বদর যুদ্ধে তার স্বামী মারা যাওয়ার পর পরই মোহাম্মদ তাকে বিয়ে করেন।
৬ষ্ট: বিবি উম্মে সালামাহ- তারা ইথিওপিয়াতে প্রবাসকালে তার স্বামী মারা যাওয়ার পর মোহাম্মদ তাকে বিয়ে করেন।
৭ম: বিবি জয়নাব বিনতে জাহস- মোহাম্মদের পালক পূত্র জায়েদের স্ত্রী।একবার স্বল্প বসনা জয়নাবকে তার ঘরের মধ্যে আতর্কিতে দেখে ফেলার পর আকৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ তার প্রেমে পড়েন। মোহাম্মদ নানা কায়দায় তাকে তালাক দিয়ে পরে পূত্র বধূকে নিজেই বিয়ে করেন। এ বিয়ে করার জন্য আল্লাহকে বহু কাঠ খড় পোহাতে হয় কারন তাকে একের পর এক আয়াত নাজিল করতে হয় সাধারণ মানুষের কানা ঘুষা বন্দ করার জন্য।
৮ম: বিনি জুরাইয়া- পরাজিত বানু মুস্তালিক গোত্রের প্রধানের বিধবা স্ত্রী। এ বিয়ের পর উক্ত গোত্রের সকল বন্দীদেরকে মুক্তি দিয়ে সবাইকে মোহাম্মদ তার দলে ভিড়াতে সক্ষম হন। এটা ছিল খুবই কার্যকরী একটা বিয়ে।
৯ম: বিবি হাবিবা- স্বামীর সাথে ইথিওপিয়ার গমন করার পর তার স্বামী খৃষ্টান ধর্ম গ্রহন করে, ফলে তাদের তালাক হয়ে যায়, এর পর মোহাম্মদ তাকে বিয়ে করেন।
১০ম: বিবি সাফিয়া-খায়বার যুদ্ধে বিজয়ের পর মোহাম্মদ তাকে গণিমতের মাল হিসাবে ভাগে পান। যেদিন মোহাম্মদ সাফিয়ার স্বামী, পিতা, ভাই সহ সকল আত্মীয়কে নির্মমভাবে হত্যা করেন সেদিনই সাফিয়াকে নিয়ে রাত কাটান। পরে তাকে বিয়ে করেন।
১১শ: বিবি মায়মুনা- প্রথম স্বামী তালাক দিলে আবার বিয়ে করে, সে স্বামী মারা গেলে মোহাম্মদ বিয়ে করেন।
১২শ: মারিয়া- মিশরের একজন শাসকের কাছ থেকে পাওয়া এ কপটিক খৃষ্টান দাসী ভীষণ সুন্দরী ছিল।মোহাম্মদ তাকে বিয়ে করা ছাড়াই তার সাথে যৌন সঙ্গম করতেন ও তার গর্ভে ইব্রাহিম নামের ছেলের জন্ম দেন। ইব্রাহীম শৈশবেই মারা যায়।একে মোহাম্মদ বিয়ে করেছেন কি না এ বিষয়ে দ্বিমত আছে। কারন অন্য সকল স্ত্রীর ঘর থাকলেও মারিয়ার জন্য কোন ঘর ছিল না। বলাবাহুল্য, স্ত্রীর জন্য একটা ঘর থাকার অর্থ উক্ত নারীকে স্ত্রী হিসাবে স্বীকার করে নেয়া। এ সূত্রে দেখা যায় মারিয়া মোহাম্মদের যৌন দাসী ছাড়া আর কিছু ছিল না। এমন কি ইবনে কাথিরের তাফসিরেও তাকে স্ত্রী হিসাবে নিশ্চিতভাবে স্বীকার করা হয় নি।
(সূত্র: http://www.islamawareness.net/Muhammed/ibn_kathir_wives.html)

উক্ত ক্রমিক থেকে দেখা যায় বিয়ে না করার নির্দেশ জারি হওয়ার পরেও মোহাম্মদ আরও কমপক্ষে দুইটা নিশ্চিত বিয়ে করেন।
মারিয়াকে ধরলে সংখ্যা হবে তিন।

উপরের তালিকা থেকে এটাও বোঝা যাচ্ছে মোহাম্মদের বিয়ের মধ্যে বিবি খাদিজা ও সওদাকে বিয়ে করার যুক্তি সঙ্গত কারন বিদ্যমান। হয়ত বা একটা গোষ্ঠিকে দলে টানার জন্য জুরাইয়াকেও যুক্তির মধ্যে ফেলা যায়। কিন্তু ৬ বছরের আয়শা , ওমরের মেয়ে হাফসা, পূত্রবধূ জয়নাবকে বিয়ে করার কি কারন তা বোঝা দু:সাধ্য।যুদ্ধে শহিদ হওয়া বিধবা অসহায় নারীদের বিয়ে করে তিনি আশ্রয় দিয়েছেন বলে ইসলামী পন্ডিতরা বহুল প্রচারনা চালায়।বিরাট মহান কাজ নি:সন্দেহে।তার অর্থ তখন মোহাম্মদ ছাড়া আর কেউ ছিল না তাদেরকে বিয়ে করার।বরং তাদের ভাব হলো- মোহাম্মদ যে তখন মক্কা মদিনার তাবৎ বিধবাদের বিয়ে করেন নি এটা দিয়ে প্রমানিত হয় মোহাম্মদ নারী লিপ্সু ছিলেন না। তারা এ প্রচারনা চালাতে গিয়ে একটা বিষয় ভুলে যায় যে এই মোহাম্মদকে তারা আল্লাহর নবী, দুনিয়ার শ্রেষ্ট ও সর্ব যুগের আদর্শ মানুষ হিসাবে প্রচার চালায়।এভাবে তার একের পর এক বিয়ে যে মোহাম্মদকে শুধুমাত্র সেই ১৪০০ বছর আগেকার একটা গোষ্ঠি নেতার কাতারে ফেলে দেয় এটা বোঝার মত বুদ্ধি এদের ঘটে নেই।তা ছাড়া এতগুলো বিয়ে করে তিনি যে স্ববিরোধীতা করেছেন তা হলো- নিজে বিয়ে করেছেন অগণন, অথচ তার অনুসারীদেকে করতে বলেছেন মাত্র ৪ টা বিয়ে করতে। এটা কেমন কথা ? একজন মদখোর অন্যকে মদ খেতে নিষেধ করতে গেলে আগে তার নিজের মদ খাওয়া ছাড়া উচিত। কিন্তু মোহাম্মদ সেসবের ধার ধারেন না। ইসলামি পন্ডিতরা বলে মোহাম্মদের সব কাজ বোঝা যায় না, আল্লাহর নবী হিসাবে তার কিছু কিছু এক্সট্রা অর্ডিনারী কাজ ছিল যা সাধারণ মানুষ করতে পারে না বা পারত না। আর এটা হলো প্রত্যেক নবীর বৈশিষ্ট্য। কিন্তু একজন অসাধারণ বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন মানুষকে সাধারণ মানুষ থেকে পৃথক করা যায় কিভাবে ? মোহাম্মদের একটার পর একটা বিয়ে , দাসীর সাথে যৌন মিলন করে বাচ্চা উৎপাদন তাঁর বিশাল মহানুভবতা ও নবী হিসাবে অসাধারণ বৈশিষ্ট্যের পরিচয় বৈ কি? আহা, দ্বীনের নবী- গরীব ও অসহায় বিধবাদের কষ্ট সহ্য করতে পারেন না, তাদেরকে একটার পর একটা বিয়ে করে তার হারেমে তোলেন, এর চাইতে মহৎ কাজ দুনিয়াতে আছে ? কিন্তু প্রশ্ন হলো তার উম্মতদেরকে কেন মাত্র একসাথে ৪ টা বিয়ে করার অনুমতি দিলেন, কেন তাদেরকে নবীর আদর্শ অনুসরণ করে তাদেরকেও মহৎ হওয়ার সুযোগ দিলেন না?

এ কেমন ধরনের নবী যিনি তার আল্লাহর আদেশ লংঘন করেন? কেমন ধরনের আদর্শ শিক্ষক যিনি নিজেই নিজের দেয়া শিক্ষাকে অনুসরণ করেন না, নিজে করেন একটা অথচ অনুসারীদেরকে বলেন অন্যটা করতে ?

মদ খাওয়া, নবীর বিয়ে, জুয়া খেলা এসব বিষয়ে মানসুক তথা বাতিলকরন পদ্ধতি টি ইসলামি পন্ডিতরা খুব জোরে সোরে মেনে নেয় কিন্তু অমুসলিমদের সাথে সহাবস্থান বিষয়ে মদিনাতে নাজিল হওয়া হিংসাত্মক বা জিহাদী আয়াত সমূহ দ্বারা মক্কায় নাজিল হওয়া শান্তির আয়াতসমূহ মানসুক বা বাতিল হয়ে যাওয়াটা তারা কেন মেনে নেয় না ? এখানেই এক বিরাট গলদ বিদ্যমান। আসল ব্যপার হচ্ছে বর্তমানে মুসলমানরা দুনিয়াতে সব দিক দিয়ে হীন বল হওয়াতে তারা এটা প্রকাশ্যে মেনে নেয় না, কিন্তু মনে মনে ঠিকই মেনে নেয়। এটা মেনে নিলে দুনিয়ার সকল অমুসলিম তাদেরকে উচ্ছেদ করার পণ করে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারে।অমুসলিমদের সে রুদ্ররোষ থেকে বাঁচতেই আপাত এ অপকৌশল যাকে আমরা তাকিয়া (Taqya) বলতে পারি।

তাকিয়া সম্পর্কে উইকিপিডিয়াতে কি বলছে দেখা যাক-
Taqiyya (alternate spellings taqiya, taqiyah, tuqyah), meaning religious dissimulation,[1] This means a legal dispensation whereby a believing individual can deny his faith or commit otherwise illegal or blasphemous acts while they are under those risks.[2]( http://en.wikipedia.org/wiki/Taqiyya)

এখানে বলছে তাকিয়া হলো ধর্মীয় কপটাচার, অর্থাৎ ধর্মীয় গুঢ় উদ্দেশ্য সাধনে প্রয়োজনে মিথ্যা বলা যাবে। নাসেক মানসুকের বিষয়টা কোথাও কোথাও অস্বীকার করাটা এ তাকিয়ার পর্যায়ে পড়ে।যেমন শান্তিপূর্ণ মাক্কি আয়াতগুলো মদিনার জিহাদি আয়াত দ্বারা বাতিল হলেও (পর্ব-১৩১৪ ) বার বার অমুসলিমদের কাছে – ইসলাম শান্তির ধর্ম, দ্বীন নিয়ে বাড়াবাড়ি নাই, তোমার ধর্ম তোমার কাছে আমার ধর্ম আমার কাছে- এসব বলাটা ইসলামের সবচাইতে বেশী প্রচলিত তাকিয়া।বর্তমানে সারা দুনিয়াতে ইসলাম প্রচারকারী মিডিয়া ও তথাকথিত ইসলামী পন্ডিতরা তাকিয়া ব্যবহার করে রাত দিন ২৪ ঘন্টা মিথ্যাচার করে চলেছে।তাদের একটাই লক্ষ্য হিটলারের প্রচার মন্ত্রী গোয়েবলসের তত্ত্ব মোতাবেক একটা মিথ্যাকে হাজার বার সত্য বলে প্রচার করে মিথ্যাটাকে সত্য বলে প্রতিষ্ঠিত করা। এখন মিথ্যা প্রচারই হয়ে দাড়িয়েছে ইসলামের মূল লক্ষ্য।উক্ত বিষয়টি ছাড়াও আর যে সব বিষয় তাকিয়ার অন্তর্গত তা হলো- মোহাম্মদের শত অপকর্ম( ১৩ বিয়ে, ৬ বছরের আয়শাকে বিয়ে ও তাকে ৯ বছর বয়েসে ধর্ষণ, দাসীর সাথে যৌনকাজ, পালিত পূত্রবধূ বিয়ে, নিরীহ বানিজ্য কাফেলা ডাকাতি, নিরীহ জনপদ আক্রমন করে তাদেরকে নৃসংশভাবে হত্যা ও তাদের সম্পদ লুটপাট) সত্ত্বেও তাকে ফুলের মত পবিত্র চরিত্র ও দুনিয়ার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট আদর্শ মানুষ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা।বিগত ১৪০০ বছর ধরে এভাবে প্রকান্ড মিথ্যাচারের মাধ্যমেই মূলত: ইসলাম টিকে আছে। সেই সাথে ইসলামী সাম্রাজ্যও একটা বড় ইন্ধন হিসাবে কাজ করেছে।এবার তাকিয়ার বিষয়ে কোরানে কি বলে দেখা যাক-

যার উপর জবরদস্তি করা হয় এবং তার অন্তর বিশ্বাসে অটল থাকে সে ব্যতীত যে কেউ বিশ্বাসী হওয়ার পর আল্লাহতে অবিশ্বাসী হয় এবং কুফরীর জন্য মন উম্মুক্ত করে দেয় তাদের উপর আপতিত হবে আল্লাহর গযব এবং তাদের জন্যে রয়েছে শাস্তি।সূরা নাহল, ১৬:১০৬ (মক্কায় অবতীর্ণ)

উক্ত আয়াতে বলছে- যদি কোন ব্যক্তির অন্তরে বিশ্বাস অটুট থাকে অথচ কোন ভিন্ন পরিবেশে তার ওপর জবরদস্তি করা হচ্ছে সে ক্ষেত্রে সে অবিশ্বাসীর মত কাজ করতে পারবে, তবে স্বেচ্ছায় তা করা গুনাহ ও কঠিন শাস্তি তার জন্য রয়েছে।

মুমিনগন যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কেন কাফেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহর সাথে তাদের কেন সম্পর্ক থাকবে না। তবে যদি তোমরা তাদের পক্ষ থেকে কোন অনিষ্টের আশঙ্কা কর, তবে তাদের সাথে সাবধানতার সাথে থাকবে আল্লাহ তা’আলা তাঁর সম্পর্কে তোমাদের সতর্ক করেছেন। এবং সবাই কে তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে। সূরা আল ইমরান, ৩: ২৮ (মদিনায় অবতীর্ণ)

এ আয়াতে বলছে কোন অমুসলিমকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করা যাবে না। তবে অমুসলিমদের কাছ থেকে কোন ক্ষতির আশংকা থাকলে সাবধানে চলতে হবে ও তাদের সাথে বন্ধুত্বের ভাণ করতে হবে।

তোমাদের নিরর্থক শপথের জন্য আল্লাহ তোমাদেরকে ধরবেন না, কিন্তু সেসব কসমের ব্যাপারে ধরবেন, তোমাদের মন যার প্রতিজ্ঞা করেছে। আর আল্লাহ হচ্ছেন ক্ষমাকারী ধৈর্য্যশীল।সূরা বাক্কারা, ২:২২৫

এখানেও পরিস্কার বলছে যে মানুষ ইচ্ছে করলেই তার শপথ ভঙ্গ করতে পারবে যদি সে মনে করে তার সে শপথ নিরর্থক বা স্বার্থের পরিপন্থী। তার মানে মুসলমানরা প্রয়োজনে অমুসলিমদের সাথে নানা রকম চুক্তির শপথ করতে পারবে অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে , কিন্তু পরিস্থিতি অনুকুলে এলেই উক্ত শপথ ভঙ্গ করা যাবে, তাতে কোন দোষ নেই।

এবং কাফেরেরা চক্রান্ত করেছে আর আল্লাহও চক্রান্ত করেছেন। বস্তুতঃ আল্লাহ হচ্ছেন সর্বোত্তম চক্রান্তকারী।সূরা আল ইমরান, ৩:৫৪

কাফেররা চক্রান্ত করছে বলে আল্লাহ ও চক্রান্ত করছে।আর একারনে আল্লাহ হলো সর্বোত্তম চক্রান্তকারী। আজব কথা তো ! আল্লাহ মানুষের মত চক্রান্ত করেন ? কেন আল্লাহ নাকি সর্বশক্তি মান, এ ধরনের একজন সর্বশক্তিমানের বিরুদ্ধে সামান্য কয়জন কাফের কি এমন চক্রান্ত করতে পারে ? আল্লাহ তো একটা ফু দিলেই সব কাফির উড়ে যাবে , এখন কাফেররা চক্রান্ত করলে , আল্লাহকেও চক্রান্তকারী হতে হবে ? চক্রান্ত হলো প্রকারান্তরে প্রতারনা করা। উক্ত ৩:৫৪ আয়াতে যে আরবী শব্দটা আছে সেটা হলো – makara তার শাব্দিক অর্থ হলো প্রতারনা করা বা deceit । তাহলে বস্তুত উক্ত আয়াতটি হবে এরকম-

এবং কাফেররা প্রতারনা করেছে আর আল্লাহও প্রতারনা করেছেন। বস্তুত: আল্লাহ হচ্ছেন সর্বোত্তম প্রতারক। ৩: ৫৪

যারা বাংলা বা ইংলিশ অনুবাদ করেছেন তারা বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরে একটু ঘুরিয়ে অনুবাদ করেছে যাতে আসল অর্থ ঢাকা পড়ে যায়। সেটা করতে গিয়ে বিভিন্ন অনুবাদক কিভাবে অনুবাদ করেছেন সেটা দেখা যাক:
Sahih International: And the disbelievers planned, but Allah planned. And Allah is the best of planners.
Muhsin Khan: And they (disbelievers) plotted [to kill ‘Iesa (Jesus) ], and Allah planned too. And Allah is the Best of the planners.
Pickthall: And they (the disbelievers) schemed, and Allah schemed (against them): and Allah is the best of schemers.
Yusuf Ali: And (the unbelievers) plotted and planned, and Allah too planned, and the best of planners is Allah.
Shakir: And they planned and Allah (also) planned, and Allah is the best of planners.
Dr. Ghali: And they schemed, and Allah schemed, and Allah is The Most Charitable of schemers.
(সূত্র: www.quran.com)

উক্ত অনুবাদ গুলো লক্ষ্য করলে দেখা যাবে কি সুকৌশলে আয়াতটির আসল অর্থটির পরিবর্তন করা হয়েছে।কোথায় deceit কোথায় plan. দুটো শব্দ কি এক ?

যারা আরবী ভাষা বুঝেন তাদের সুবিধার জন্য আসল আয়াত টি দেয়া হলো –

وَمَكَرُواْ وَمَكَرَ اللّهُ وَاللّهُ خَيْرُ الْمَاكِرِينَ ( কোরান, ৩:৫৪)

যেখানে মোহাম্মদের আল্লাহ নিজেই প্রতারক সেখানে তার বানী অনুসরণ করে মোহাম্মদের অনুসারীরা প্রত্যেকেই প্রতারক হবে এটাই তো স্বাভাবিক।তবে সবচেয়ে তাজ্জব ব্যপার হলো উক্ত আয়াতে আল্লাহ কে নিতান্তই মানুষের কাতারে নামিয়ে আনা হচ্ছে। হায় রে মোহাম্মদের আল্লাহ , তুমি কতই না রঙ্গ জান । প্রশ্ন হলো – মানুষ খারাপ হলে , আল্লাহ ও কি খারাপ হবে ?

আর কাফেরেরা যখন প্রতারণা করত আপনাকে বন্দী অথবা হত্যা করার উদ্দেশ্যে কিংবা আপনাকে বের করে দেয়ার জন্য তখন তারা যেমন ছলনা করত তেমনি, আল্লাহও ছলনা করতেন। বস্তুতঃ আল্লাহর ছলনা সবচেয়ে উত্তম। সূরা আনফাল- ৮: ৩০

আর যখন আমি আস্বাদন করাই স্বীয় রহমত সে কষ্টের পর, যা তাদের ভোগ করতে হয়েছিল, তখনই তারা আমার শক্তিমত্তার মাঝে নানা রকম ছলনা তৈরী করতে আরম্ভ করবে। আপনি বলে দিন, আল্লাহ সবচেয়ে দ্রুত কলা-কৌশল তৈরী করতে পারেন। নিশ্চয়ই আমাদের ফেরেশতারা লিখে রাখে তোমাদের ছল-চাতুরী। সূরা ইউনুস- ১০:২১

উক্ত আয়াত সমূহে দেখা যাচ্ছে আল্লাহ ছল চাতুরী করেন মানুষের মতই। অর্থাৎ আল্লাহ আমাদের মতই একজন দোষ গুণে মানুষ। বোঝাই যাচ্ছে- মোহাম্মদ এখানে একজন সর্ব শক্তিমান, সর্ব জ্ঞানী, পরম ন্যয় বিচারক আল্লাহর সম্পর্কে ধারণা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি কল্পনা করেছেন আল্লাহ মানুষের মতই সমস্ত রকম দোষ ও গুনের একজন কেউ। উক্ত আয়াতগুলো থেকে কতকগুলো জিনিস ধারণা করা যায় তা হলো-

মানুষ চুরি করলে আল্লাহও চুরি করবে, মানুষ মিথ্যা বললে আল্লাহও মিথ্যা বলবে, মানুষ প্রতারনা করলে আল্লাহও প্রতারনা করবে, মানুষ খুন করলে আল্লাহও খুন করবে, মানুষ ছল চাতুরি করলে আল্লাহও ছল চাতুরী করবে।

মানুষের নেতি বাচক সব গুণ আল্লাহর ওপর আরোপ করার অর্থই হলো মোহাম্মদের আল্লাহ মানুষের মতই কেউ একজন , মোটেও সর্বজ্ঞানী, সর্ব শক্তিমান, পরম ন্যয় পরায়ন কোন সৃষ্টি কর্তা নয়।আল্লাহকে মানুষের কাতারে নামিয়ে ফেলার মাধ্যমে মোহাম্মদ পরিস্কার ভাবে প্রকাশ করছেন যে আল্লাহ আসলে মূলত: তিনি নিজে। নিজের মনের কথাকেই আল্লাহর কথা বলে চালিয়ে দিচ্ছেন। এসব থেকেই মোহাম্মদ তার অনুসারীদেরকে প্রয়োজনে মিথ্যা কথা বলতে, প্রতারনা করতে, ছলনা করতে উৎসাহিত করছেন।সুতরাং ইসলাম ও মোহাম্মদ নিয়ে আজকে সারা দুনিয়া ব্যপী যে মিথ্যার বানিজ্য মহা সমারোহে চলছে তার কারন সহজেই বোধগম্য। ইসলামের মূল ভিত্তিটাই হলো এক মহামিথ্যা। কথা নেই বার্তা নেই হঠাৎ একদিন মোহাম্মদ প্রচার শুরু করলেন হেরা গুহায় একজন ফেরেস্তা তাঁর সাথে দেখা করে আল্লাহর বানী দিয়ে গেছে। অর্থাৎ ইসলাম শুরুই হয়েছে মহা মিথ্যা দিয়ে গেছে। মোহাম্মদ নিজেও জানতেন এটা মহা মিথ্যা। যে কারনে তিনি প্রথমে এ মিথ্যা কথাটা প্রকাশ্যে বলতে সময় নিয়েছেন প্রায় তিন বছর। প্রথম সূরা আলাক নাজিলের প্রায় তিন বছর পর দ্বিতীয় সূরা কালাম নাজিল হয়।কেন তিন বছর সময় নিয়েছেন তিনি? কারন এ তিন বছর প্রাপ্ত বয়স্ক ( তখন তার বয়স ৪০+) মোহাম্মদ ভাল মতো চিন্তা ভাবনা করেছেন যে এ মহা মিথ্যা প্রচারের সম্ভাব্য ফলাফল কি হবে। তিনি জানতেন রিস্ক না নিলে কিছুই হবে না। অবশেষে তিনি মাঠে নেমে তার মহা মিথ্যা প্রচারের সিদ্ধান্ত নিলেন। যেহেতু তার শুরুটাই মহা মিথ্যা দিয়ে তাই দেখা যাচ্ছে তার আল্লাহও একটা মহামিথ্যুক, প্রতারক ও ছলকলাকারী।কথায় বলে একজন পেশাদার ক্রিমিনাল যতই কৌশলে তার অপরাধ করুক না কেন, সেটা করতে গিয়ে কিছু না কিছু আলামত সে রেখে যাবেই। তো আমরা মোহাম্মদের কোরানের পাতায় পাতায় তারই নমূনা পাই যদি মুক্ত মনে সেটা পাঠ করি।

কিভাবে মোহাম্মদের অনুসারীরা প্রতারনা করে ? তারা সব সময় মিথ্যা কথা বলে? তারা বিশ্বাস করে তাদের ধর্ম ও বিশ্বাস হলো একমাত্র সত্য ধর্ম আর এর মাধ্যমে সবচেয়ে উন্নত ও শ্রেষ্ট সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যায়- এটা তারা সব সময় প্রচারও করে। বর্তমানে পেট্রোডলারের কল্যানে শত শত স্যটেলাইট চ্যনেল ও ওয়েব সাইটে তা প্রচারও করা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে একটা মুসলমান দেশও উন্নত ও শ্রেষ্ট সমাজ প্রতিষ্ঠা গত ১৪০০ বছর ধরে করতে পারে নি। তাদের ভাষায় কাফির মুশরিকরই সবচাইতে উন্নত ও ন্যয় নিষ্ঠ সমাজ প্রতিষ্ঠা করেছে।অন্য দিকে মোহাম্মদের অনুসারীরা সেসব কাফির মুশরিকদের দেশে গিয়ে বাস করার জন্য কি রকম উন্মাদের মত আচরন করছে। নিজেদের ধর্ম বিশ্বাস দিয়ে নিজেদের দেশ ও সমাজকে উন্নত করতে না পেরে, যে যেভাবে পারে কাফিরদের দেশে যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে পড়ে। সেসব দেশে গিয়ে বৈধ বা অবৈধ যে কোন ভাবে থাকার জন্য কি নিদারুন কষ্টই তারা সেখানে করে। অথচ এর পরেও তারা মনে প্রানে সেটাই বিশ্বাস করে যা তাদের মোহাম্মদ তাদেরকে শিখিয়েছে সেই ১৪০০ বছর আগে। এর চাইতে বড় আত্ম প্রতারনা ও মিথ্যা আর কি হতে পারে ? এখানেই কি শেষ? না, ওসব দেশে এরা গিয়ে ওদেশের সমস্ত রকম নাগরিক সুবিধা ভোগ করবে, আনন্দময় স্বচ্ছল জীবন যাপন করবে যা তাদের নিজের দেশে কল্পনাতীত ছিল, অথচ সেসব দেশকে মনে প্রানে ঘৃণা করবে। মনে প্রানে চাইবে সেসব দেশের ধ্বংস বা নিপাত।সুযোগ পেলে তাদের কেউ কেউ আত্মঘাতী আক্রমন চালিয়ে নিরীহ মানুষকে হত্যা করে, ওসব দেশে বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে চায়।এর চেয়ে নিমকহারামি আর কি আছে? ব্যক্তিগত ভাবে এরকম কিছু মানুষের সাথে কথা বলার সুযোগ হয়েছে।তাদেরকে জিজ্ঞেস করেছি- তোমাদের বিশ্বাস ও আদর্শ দিয়ে নিজের দেশ ও সমাজকে উন্নত করতে পারনি , কাফিরদের দেশে গেছ অথচ তাদেরকেই ঘৃণা কর কেন। তাদের সোজা সাপ্টা জবাব- এরা কাফির , শুকর খায়, বিয়ে ছাড়া যৌনাচার করে ও বাচ্চা কাচ্চা পয়দা করে, ব্যভিচারে সারা দেশ আচ্ছন্ন। তখন প্রশ্ন করি- তাহলে ওসব দেশে গেছ কি জন্য? চলে আসলেই তো পার। তখন তাদের উত্তর হয়ে দেখার মত। তারা বলে দুনিয়াটাই আল্লাহর , তাই এখানে থাকি। এ পর্যন্ত হলেও চলত। দেখা গেছে- দরিদ্র মুসলিম দেশগুলোতে যখন কোন দুর্ভিক্ষ হয়, মহামারি হয়, দুর্যোগ আঘাত হেনে দেশকে লন্ড ভন্ড করে দেয় যাতে লক্ষ লক্ষ লোক মারা যায় , তখন ঐ সব কাফির দেশগুলোই সাহায্য করতে সর্বাগ্রে এগিয়ে যায়। আরবের ধনী মুসলিম দেশ গুলো নয়।দুর্যোগে আক্রান্ত হওয়ার পর এসব দরিদ্র মুসলিম দেশগুলো ওসব কাফিরদের দেশে গিয়ে ভিক্ষার ঝুলি পাতে। তখন এদের মনে একটুও রেখাপাত করে না যে এরা এসব কাফিরদেরকে মনে প্রানে ঘৃণা করে, এদের নিপাত চায়।দেখা যাবে কাফিরদের কাছ থেকে আনা রিলিফ খেয়েই দৌড়ে মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে সেখানেই নামাজের মধ্যে ( বিভিন্ন আয়াতের মাধ্যমে- যেমন-৯:৫ ৯:২৯, ৪:৮৯) ও নামাজের পর সবাই মিলে একসাথে আল্লাহর দরবারে আর্জি জানায়- ওসব কাফিরদের দেশকে ধ্বংস করে দিতে। নিমকহারামি ও অকৃতজ্ঞতার চুড়ান্ত নিদর্শন এর চাইতে আর কি হতে পারে ?

তবে মুসলিম দেশগুলো বিশেষ করে সৌদি আরব দরিদ্র দেশে বর্তমানে বিপুল সাহায্য দেয় আর সেটা দেয়- মসজিদ নির্মান, কওমী মাদ্রাসা নির্মান এসব খাতে। যে কারনে বাংলাদেশে দেখা যাবে- কোন একটা গ্রামের সব ঘরই কুড়ে ঘর, কিন্তু তার মধ্যে একটা সুন্দর আধুনিক স্থাপত্যে মসজিদ ঘর ঝক মক করছে। কিছু ইসলামী এন জি ও কেও সাহায্য দেয় মূলত ইসলামী মৌলবাদ প্রচারের স্বার্থে।

তাকিয়ার আরও কিছু উদাহরণ হাদিস থেকে-

Bukhari (84:64-65) – Speaking from a position of power at the time, Ali confirms that lying is permissible in order to deceive an “enemy.”
Bukhari (52:269) – “The Prophet said, ‘War is deceit.'”
Muslim (32:6303) – “…he did not hear that exemption was granted in anything what the people speak as lie but in three cases: in battle, for bringing reconciliation amongst persons and the narration of the words of the husband to his wife, and the narration of the words of a wife to her husband (in a twisted form in order to bring reconciliation between them).”
Bukhari (50:369) – Recounts the murder of a poet, Ka’b bin al-Ashraf, at Muhammad’s insistence. The men who volunteered for the assassination used dishonesty to gain Ka’b’s trust, pretending that they had turned against Muhammad. This drew the victim out of his fortress, whereupon he was brutally slaughtered despite putting up a ferocious struggle for his life.

যে বিষয়গুলো নিয়ে তাকিয়া/মিথ্যাচার তা হলো মূলত: (১) ইসলাম অর্থ শান্তি, অথচ ইসলাম অর্থ- আত্মসমর্পন, (২) ইসলাম সব ধর্মকেই সম্মান করে, অথচ প্রাথমিক যুগের (মক্কায়) শান্তিপূর্ণ আয়াত সমূহ পরবর্তীকালে(মদিনায়) জিহাদী আয়াত দ্বারা বাতিল হয়ে যায়।(৩) মোহাম্মদ সব সময় আত্ম রক্ষার জন্য যুদ্ধ করেছেন, অথচ তাঁর জীবনে তিনি ২৯/৩০ টি আক্রমনে অংশগ্রহন করেছিলেন যার মধ্যে মাত্র ৩ ছিল আত্মরক্ষা মূলক।(৪) মোহাম্মদের সকল বিয়ে ছিল মহান উদ্দেশ্যে।

যে বিষয় গুলো গোপন করতে চাওয়া হয় সুকৌশলে তা হলো: (১) মুহাম্মদ ৫১ বছর বয়েসে ৬ বছরের আয়শাকে বিয়ে করে তার ৫৪ বছর বয়েসে ৯ বছরের আয়শার সাথে যৌন কাজ করেন, (২) মোহাম্মদ তার পালিত পুত্র জায়েদের বধূ জয়নাবকে নানা ছলা কলায় বিয়ে করেন, (৩) মোহাম্মদ ক্রীতদাসী ও যুদ্ধ বন্দিনী নারীর সাথে সেক্স করতেন, (৪) মারিয়া নামের এক ক্রীতদাসীর গর্ভে বিয়ে ছাড়াই ইব্রাহীম নামের এক পূত্র সন্তানের জন্ম দেন।

যাহোক, মোহাম্মদ নিজেও অহরহ প্রতারনা করতেন নিজের সাথে , নিজের স্ত্রীদের সাথে , মক্কা ও মদিনার লোকদের সাথে।তবে তিনি এতটাই কৌশলি ছিলেন যে তার প্রতারনার সমস্ত দায়ভার তিনি তাঁর নিজের গড়া আল্লাহর ওপর চাপিয়ে দিতেন, নিজে থাকতেন সমস্ত রকম দোষ ত্রুটির উর্ধ্বে।অর্থাৎ মোহাম্মদ ছিলেন তাঁর আল্লাহর চাইতেও মহান, ত্রুটি মুক্ত ও নিস্পাপ। যেমন-

হে নবী, আল্লাহ আপনার জন্যে যা হালাল করছেন, আপনি আপনার স্ত্রীদেরকে খুশী করার জন্যে তা নিজের জন্যে হারাম করেছেন কেন? আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়াময়। আল্লাহ তোমাদের জন্যে কসম থেকে অব্যহতি লাভের উপায় নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আল্লাহ তোমাদের মালিক। তিনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।সূরা আত- তাহরিম, ৬৬: ১-২ ( মদিনায় অবতীর্ণ)

উক্ত আয়াত সম্পর্কে তাফসীরে ইবনে জারীরে রয়েছে যে , রাসূলুল্লাহ ( স: ) তাঁর কোন এক স্ত্রীর ঘরে উম্মে ইব্রাহিম(রা: ) এর সাথে কথাবার্তা বলছিলেন। তখন তাঁর ঐ স্ত্রী তাঁকে বলেন: “তোমার ঘরে ও আমার বিছানায এ কাজ কারবার ?” তখন রাসুলুল্লাহ ( স: ) বলেন: “ আমি তাকে আমার উপর হারাম করে নিলাম”। তখন তিনি বলেন: “হে আল্লাহর রাসূল(স:)! হালাল কিভাবে আপনার উপর হারাম হয়ে যাবে ?” জবাবে তিনি বলেন : “ আমি শপথ করছি যে, এখন হতে তার সাথে কোন প্রকারের কথাবার্তা বলবো না”। ঐ সময় এ আয়াত গুলো অবতীর্ণ হয়।………..তাফসীরে ইবনে জারীরে রয়েছে যে, হযরত ইবনে আব্বাস (রা) হযরত উমর(রা) কে জিজ্ঞেস করেন: “ এ দু’জন স্ত্রী কে ছিলেন? উত্তরে হযরত উমর বলেন: “ তারা হলেন হযরত আয়েশা ও হযরত হাফসা। উম্মে ইব্রাহীম কিবতিয়াহ কে কেন্দ্র করেই ঘটনাটির সূত্রপাত হয়। হযরত হাফসা এর ঘরে তাঁর পালার দিনে রাসূলুল্লাহ হযরত মারিয়াহ কিবতিয়াহর সাথে মিলিত হন। এতে হযরত হাফসা দু:খিতা হন যে , তাঁর পালার দিনে তাঁরই ঘরে ও তাঁরই বিছানায় তিনি মারিয়াহ এর সাথে মিলিত হলেন। রাসুলুল্লাহ হযরত হাফসাকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে বলে ফেলেন: “ আমি তাকে আমার উপর হারাম করে নিলাম। তুমি এই ঘটনা কারো কাছে বর্ণনা করো না” এতদ্সত্ত্বেও হযরত হাফসা ঘটনাটি হযরত আয়েশা এর নিকট প্রকাশ করে দেন।আল্লাহ তালা এই খবর নবীকে জানিয়ে দেন এবং এই আয়াত গুলো নাজিল করেন। নবী কাফফারা আদায় করে স্বীয় কসম ভেঙ্গে দেন এবং ঐ দাসীর সাথে মিলিত হন। ( তাফসীর ইবনে কাছির-১৭শ খন্ড, পৃষ্ঠা সংখ্যা-৫৫৮, অনুবাদ, ড: মূহাম্মদ মুজিবুর রহমান, প্রকাশক: তাফসীর পাবলিকেশন কমিটি)

ইবনে কাথিরের তাফসীর বাংলায় পড়তে চাইলে এখান থেকে ডাউনলোড করতে পারেন-

অর্থাৎ মোহাম্মদ একটা অন্যায় কাজ করে ধরা খাওয়ার পর নিজের স্ত্রীর কাছে পূনরায় সে অন্যায় না করার শপথ নিলেন কিন্তু প্রতারনা পূর্ণ আয়াত নাজিলের মাধ্যমে মোহাম্মদ সে শপথ থেকে সরে গেলেন।তিনি দাবী করতেন আর তার অনুসারীরাও বিশ্বাস করে যে – নবি কোন কাজ নিজ থেকে করতেন না , সব তিনি করতেন আল্লাহর নির্দেশে। তাহলে হাফসার ঘরে হাফসার পালার দিন আল্লাহই মোহাম্মদকে বলে -ক্রীতদাসি মারিয়ার সাথে যৌনমিলন করতে, আল্লাহর ইচ্ছাতেই তিনি আবার ধরা খান হাফসার হাতে, পরে আল্লাহই তা থেকে তাকে নিস্কৃতি দেন।তবে এ জন্য তাকে অনেক ছলা কলা ও অভিনয় করতে হয়।হাফসা যখন বিষয়টি অন্য সব স্ত্রীদেরকে জানিয়ে দেয়- তখন নিজ ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার আশংকায় মোহাম্মদ প্রমাদ গোনেন।তখন শুরু হয় তার অভিনয়। তিনি তার সকল স্ত্রীদেরকে তালাক দেয়ার হুমকি দেন ও নিজে নির্জন বাস করতে থাকেন। তখন ওমর এসে বিষয়টি ফয়সালা করেন।অত:পর মোহাম্মদ উক্ত ৬৬:১-২ আয়াত নাজিল করেন এবং তার স্ত্রীদের সাথে একই সাথে মারিয়া সহ অন্য দাসীদের সাথে মুক্তভাবে মিলিত হতে থাকেন।সম্পূর্ন বিষয়টির বর্ণনা পাওয়া যাবে ইবনে কাথিরের তাফসীরের ১৭শ খন্ডের ৫৫৭ থেকে ৫৬৮ নং পৃষ্ঠায়।বলা বাহুল্য এ সম্পর্কিত অনেক হাদিস আছে বুখারী ও মুসলিম শরিফে , ইবনে কাথির মূলত সেসব হাদিসের ভিত্তিতেই এ তাফসীর করেছেন, তাই হাদিসের উদ্ধৃতি দেয়ার আর দরকার বোধ করলাম না।

এখানে একটা অদ্ভুত ব্যপার দেখা যাচ্ছে কাথিরের তাফসিরের ইংরেজী তর্জমায় উক্ত ঘটনার বর্ণনা নেই। অর্থাৎ ইংরেজী অনুবাদক সেটা বেমালুম গায়েব করে দিয়েছেন। সেখানে বলা আছে মোহাম্মদ কোন এক রাতে হাফসা বা জয়নাব বিনতে জাহশ এর ঘরে মধু পান করেছিলেন।একারনে আয়শা সওদার সাথে যুক্তি করে মোহাম্মদকে একটু অপ্রস্তুত করে তোলে আর তাতেই নাকি উক্ত আয়াত নাজিল হয়। আজব কান্ড, মোহাম্মদ প্রতি রাতে তার নির্দিষ্ট স্ত্রীর সাথে রাত কাটানোর আগে প্রতি স্ত্রীর সাথে দেখা করতেন আর সে সময় যে কোন স্ত্রীর ঘরে মধু বা অন্য কিছু পান করতেই পারেন এটা অন্যায় হয় কেমনে? স্ত্রীর ঘরে গেলে সে তার স্বামীকে কিছু একটা দিয়ে আপ্যায়ন করতেই পারে। আর এজন্যে উক্ত আয়াত নাজিল হয় কেমনে ? অথচ উক্ত আয়াত থেকে দেখা যায় , মোহাম্মদ এমন কিছু করেছিলেন যা ছিল বেইমানি বা শপথ বা মোহাম্মদ কর্তৃক প্রণীত বিধি ভঙ্গের শামিল। তা করে ধরা পড়ে অত:পর তার কোন এক স্ত্রীর কাছে এ ধরনের কাজ ভবিষ্যতে আর করবেন না বলে আবারও শপথ করেন। আর তখন আল্লাহ দয়া পরবশ হয়ে মোহাম্মদকে বলে দেয় যে – কোন স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করার জন্য কোন হালাল জিনিসকে হারাম করার দরকার নেই, আর তাই তার দরকার নেই স্ত্রীর কাছে প্রদত্ত শপথ রক্ষা করার। আর এ প্রেক্ষিতে তাফসীর ইবনে জারীরের বক্তব্যই যুক্তি যুক্ত। তাহলে বাংলা তর্জমায় জারীরের বর্ণনা আসল কেমনে ? অতি সহজেই বোঝা যায়, বাংলা অনুবাদক কাথিরের তাফসীরের সঠিক অনুবাদ করেছেন।কোন কিছু বাদ দেন নি যেটা করেছেন ইংরেজী অনুবাদক। কেন সেটা করেছেন? এটাও বোঝা খুব সোজা- ইংরেজী ভাষী পশ্চিমাদের চোখে ধুলো দেয়া ও মোহাম্মদের চরিত্রের কদর্য দিককে আড়াল করা। এখানে ইবনে কাথিরের আসল আরবী টেক্সট দেয়া হলো, যারা আরবী জানেন তারা পড়ে দেখতে পারেন –
وقال ابن جرير: حدثنا سعيد بن يحيى، حدثنا أبي، حدثنا محمد بن إسحاق عن الزهري عن عبيد الله بن عبد الله عن ابن عباس قال: قلت لعمر ابن الخطاب: من المرأتان؟ قال: عائشة وحفصة. وكان بدء الحديث في شأن أم إبراهيم مارية القبطية، أصابها النبي صلى الله عليه وسلم في بيت حفصة في نوبتها، فوجدت حفصة، فقالت: يا نبي الله لقد جئت إليّ شيئاً ما جئت إلى أحد من أزواجك في يَوْمِي وفي دوري وعلى فراشي، قال: ” ألا ترضين أن أحرمها فلا أقربها ” ، قالت: بلى فحرمها، وقال لها: ” لا تذكري ذلك لأحد ” ، فذكرته لعائشة، فأظهره الله عليه، فأنزل الله تعالى: { يٰأَيُّهَا ٱلنَّبِيُّ لِمَ تُحَرِّمُ مَآ أَحَلَّ ٱللَّهُ لَكَ تَبْتَغِي مَرْضَاتَ أَزْوَٰجِكَ } الآيات كلها. [Ibn Kathir on Quran chapter 66 1-5
আর এর বঙ্গানুবাদ নিম্ন রূপ:
“আয়েসা হাফছা থেকে বর্নিত, একদা নবী ইব্রাহীমের মাতা মারিয়া কিবতিয়াকে সংগে লয়ে হাফছার গৃহে ঢুকেছিলেন। পরে হাফছা সেখানে ঢুকেছিলেন। তখন হাফসা বেশ কিছুটা অসন্তুষ্ট চিত্তে বেশ কিছু কথা বলেন।
তখন নবী বল্লেন তুমি কী সন্তুষ্ট হবে যদি আমি তাহাকে(মারিয়া কিবতীকে) আমার জন্য হারাম করিয়া দেই এবং আমি আর তাহার নিকটবর্তী না হই?আয়েসা উত্তরে বলিলেন “হ্যাঁ”
তখন নবী তাহাকে (মারিয়া কিবতীকে) তার (নবীর) জন্য হারাম করিয়া দিলেন এবং বলিলেন “এ কথা অন্য কাহাকেও বলিবেনা।কিন্তু এরপর হাফসা এ কথা আয়েসার নিকট বলিয়া দিলেন।এরপর আল্লাহ নবীর নিকট তা (হাফসার আয়েসার নিকট গোপন কথা বলে দেওয়া) প্রকাশ করিয়া দিলেন এবং পরিস্কার অহী অবতীর্ণ করিলেন: “হে নবী তুমি তোমার স্ত্রীদের সন্তুষ্ট করার জন্য কেন হারাম করিতেছ যা আল্লাহ তোমার জন্য হালাল করিয়া দিয়াছেন?( অণুবাদক: আ: হাকিম চাকলাদার)

তাহলে বাংলা অনুবাদক কেন যথার্থ অনুবাদ করলেন? কারনটা সোজা , তিনি জানেন বাংলাভাষী মানুষ তাফসীর তো দুরের কথা কোরান হাদিসই পড়ে না। কিন্তু এর পরেও বাংলা অনুবাদকের কারসাজিও চোখে পড়ার মত। বার বার তিনি বলছেন উম্মে ইব্রাহীম অর্থাৎ ইব্রাহীমের মাতা। আর এই ইব্রাহীমের মাতা যে কোন ব্যক্তি তা যেন সাধারন পাঠকের চোখে সহজে ধরা না পড়ে। যাহোক , পরিশেষে তিনিও উল্লেখ করতে বাধ্য হন যে ইব্রাহীমের মাতা হলো মারিয়া কিবতীয়া।মিশরের কোন এক শাসক থেকে পাওয়া দাসী এই মারিয়া কিবতিয়া অত্যন্ত আকর্ষণীয়া দেহ বল্লরীর অধিকারী যার আকর্ষণে মোহাম্মদ বার বার তার কাছে ছুটে যেতেন।ঠিক এভাবেই তিনি একদিন মারিয়াকে নিয়ে হাফসার অনুপস্থিতিতে হাফসার ঘরে ঢুকে তার সাথে সহবাস করছিলেন, কিন্তু বিধি বাম, সহবাস কালিন অবস্থায় হাফসা ঘরে ফিরে এসে বিষয়টি একেবারে হাতে নাতে ধরে ফেলে ও রাগান্বিত হয়ে বলে ফেলে- আমার বিছানায় এ কাজ কারবার ? দাসীকে নিয়ে বিছানায় কি কাজ কারবারে মোহাম্মদ লিপ্ত ছিলেন তা নিশ্চয়ই পাঠকদের আর খোলাসা করে বর্ণনা করার দরকার নেই। মারিয়ার সাথে সহবাসের ফলে সে এক পূত্র সন্তানের জন্ম দেয় যার নাম ইব্রাহীম আর এ কারনেই তাকে উম্মে ইব্রাহীম বলা হয়। দাসী বাদির সাথে বিয়ে বহির্ভুত যৌনকাজের এ হেন অপবাদ থেকে মোহাম্মদকে রক্ষা কল্পে পরবর্তীতে নানা ইসলামী পন্ডিত মত প্রকাশ করে থাকেন যে মোহাম্মদ এক পর্যায়ে তাকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু বিষয়টি মোটেও সত্য নয় কতকগুলি কারনে।

প্রথমত: হাফসার ঘরে মারিয়ার সাথে দেহ মিলনের অর্থ হলো মারিয়ার জন্য কোন নির্দিষ্ট ঘর ছিল না, থাকলে মোহাম্মদ সেখানে গিয়েই মনের আনন্দে যৌন মিলন করতে পারতেন।যে কারনেই তাকে হাফসার অনুপস্থিতিতে হাফসার ঘর বেছে নিতে হয়। মোহাম্মদের প্রতিটি স্ত্রীর জন্য একটি করে ঘর ছিল।

দ্বিতীয়ত: মারিয়াকে উপহার হিসাবে পাওয়ার আগেই দাসী বা বন্দিনী নারীর সাথে বিয়ে বহির্ভুত যৌন কাজ করা যাবে বলে আয়াত নাজিল হয়েছিল, যেমন –

হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন।আল আহ যাব, ৩৩:৫০ মদিনায় অবতীর্ণ।

এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তোমরা তাদেরকে স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য-ব্যভিচারের জন্য নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ হবে না যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিজ্ঞ, রহস্যবিদ। সূরা নিসা,০৪:২৪, মদিনায় অবতীর্ণ

তৃতীয়ত: মারিয়াকে উপহার পাওয়ার আগেই আবার মোহাম্মদকে আর কোন বিয়ে না করার জন্য আল্লাহ নির্দেশ দেন, তবে দাসীদের সাথে যৌন কাজ করার অনুমতি বহাল থাকে (কোরান,৪:২৪ ৩৩:৫২)। তার অর্থ বিয়ে না করেই মোহাম্মদ যে কোন দাসীর সাথে মিলিত হতে পারেন।সে হিসাবে মারিয়াকে বিয়ের কোন দরকার নেই।উক্ত ঘটনার পর একটু দুরে মারিয়ার জন্যও একটি ঘর বরাদ্দ করেন মোহাম্মদ আর এ থেকে অনেকে ধারনা করেন যে মোহাম্মদ পরবর্তীতে তাকে বিয়ে করেছিলেন কিন্তু গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখা যায়- মারিয়াকে বিয়ের কোন আবশ্যকতাই ছিল না তার, কারন ক্রীতদাসীর সাথে মেলা মেশা করার লাইসেন্স তার আল্লাহ তাকে আগেই প্রদান করেছিল। তার সব বিয়ের ঘটনা বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত আছে, কিন্তু মারিয়ার সাথে বিয়ের কোন ঘটনা কোন হাদিসে নাই। মোহাম্মদ মারিয়াকে বিয়ে করলে নিশ্চয়ই তা কোন না কোন হাদিসে বর্ণিত থাকত।

তাহলে প্রশ্ন হলো- বিয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারী হওয়ার পরেও মোহাম্মদ যে আরও দুটি বিয়ে করেন, সেটা কিভাবে করলেন? আর সেগুলোকে বিয়ে করতে পারলে মারিয়াকে বিয়ে করতে দোষ ছিল কোথায় ? বিষয় খুবই সোজা। মায়মুনাকে বিয়ে করেন মুলত: তাকে আশ্রয় দেয়ার জন্য কারন তার স্বামী একজন নিবেদিত প্রান মুসলমান ছিলেন ও এক যুদ্ধে শহিদ হয়। আর খায়বার আক্রমন ও গণহত্যা যজ্ঞ করার পর সেখানকার ইহুদি সর্দার কিনানার স্ত্রীর সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে তাকে প্রথমে গণিমতের মাল হিসাবে গ্রহণ করেন ও পরে বিয়ে করেন।অর্থাৎ সাফিয়া কোন ক্রীত দাসী ছিল না। তাহলে মারিয়াকে বিয়ে করলেন না কেন? খুব ইন্টারেস্টিং প্রশ্ন। খেয়াল করলে দেখা যাবে , মোহাম্মদ তার জীবনে বহু বিয়ে করলেও কোন স্ত্রীই কখনো ক্রীতদাসী ছিল না। তিনি তাঁর অনুসারীদেরকে ক্রীতদাসীকে মুক্ত করে বিয়ে করার পরামর্শ দিলেও নিজে কখনো কোন ক্রীতদাসীকে মুক্ত করে দিয়ে বিয়ে করেন নি।ঠিক সেকারনেই তিনি মারিয়াকে বিয়ে করেন নি।এমনিতেই আল্লাহর নিষেধাজ্ঞার পরে দুটি বিয়ে করে ফেলেছেন, সেটা নিয়েই লোকজন আড়ালে আবডালে কানাঘুষা করে, সেখানে ক্রীতদাসীদের সাথে বিয়ে ছাড়াই যৌনকাজ জায়েজ থাকলে মারিয়াকে বিয়ে করে খামোখা মানুষকে আরও বেশী কানাঘুষা করার সুযোগ দেয়ার দরকার কি ? আর ক্রীতদাসীদের গর্ভে সন্তান উৎপাদন করা সেকালে দোষনীয় কিছু ছিল না, বরং যার ঔরসে সন্তান উৎপাদন হতো সন্তানের মালিক হতো সেই। তাই মারিয়ার গর্ভে মোহাম্মদের পূত্র ইব্রাহীম জন্ম নিলেও তা কোন সমালোচনার জন্ম দেয় নি। সমালোচনা যা হচ্ছে তা বর্তমান কালে। ইসলামী পন্ডিতরা তাই মরন পণ চেষ্টা করে যাচ্ছে বিষয়টাকে চাপা দিতে আর সেকারনেই তারা নানা কায়দায় প্রচার করছে মোহাম্মদ মারিয়াকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু মারিয়াকে যে মোহাম্মদ বিয়ে করেছিলেন উক্ত তাফসীরেও কিন্তু তার কোন প্রমান নেই। সেখানে স্পষ্ট বলা হচ্ছে- নবী কাফফারা আদায় করে স্বীয় কসম ভেঙ্গে দেন এবং ঐ দাসীর সাথে মিলিত হন।এখানে বলা হলো নবী ঐ দাসীর সাথে মিলিত হন , এ মিলন কিন্তু হাফসার ঘরে ঘটা ঘটনার পরের মিলন। অর্থাৎ হাফসার ঘরে মিলিত হয়ে ধরা খেয়ে হাফসার কাছে শপথ করেন যে আর তিনি দাসীর সাথে কখনও মিলিত হবেন না। পরবর্তীতে ৬৬:১-২ আয়াত নাজিল হলে মোহাম্মদ পূনরায় উক্ত দাসী মারিয়ার সাথে মিলিত হন এটাই এখানে বলা হচ্ছে।

কিভাবে মোহাম্মদ সাফিয়াকে বিয়ে করেন তার বর্ণনা আছে নিচের হাদিসে-

আব্দুল আজিজ বর্ণিত- আনাস বলেছেন যেদিন খায়বার দখল করেছিলাম, আমরা অন্ধকার থাকতেই ফজরের নামাজ পড়লাম। নবী ও আবু তালহা ঘোড়ায় চড়লেন এবং আমি আবু তালহার পিছনে পিছনে চললাম।খায়বারের গলিপথে নবী চলতে লাগলেন ও আমার হাটু তার উরু স্পর্শ করছিল। যখন তিনি শহরে প্রবেশ করলেন, তিনি বললেন- আল্লাহু আকবর , খায়বার ধ্বংস হোক। আমরা যখন কোন জাতির দ্বারপ্রান্তে উপস্থিত হই তখন সতর্ককৃতদের দিনের সূচনা অশুভজনকই হয়ে থাকে।তিনি তিন বার এ কথা বললেন। খায়বারের লোকজন তখন কাজের জন্য বের হচ্ছিল, তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলে উঠল- মোহাম্মদ তার দল বল সহ হাজির হয়েছে। আমরা খায়বার জয় করলাম, তাদেরকে বন্দী করলাম এবং লুটপাটের মালামাল সংগ্রহ করা হলো। দাহিয়া এসে নবিকে বলল- হে নবী, বন্দিনী নারীদের থেকে আমাকে একটা নারী দিন। নবী বললেন- যাও যেটা পছন্দ হয় সেটা নিয়ে নাও। সে সাফিয়া বিনতে হুইয়াকে নিল। তখন এক লোক নবীর নিকট আসল – হে নবী, আপনি সাফিয়া বিনতে হুইয়াকে দাহিয়াকে দিলেন কিন্তু সে বানু কুরাইজা ও নাদির গোত্রের সর্দারের স্ত্রী, আর সে একমাত্র আপনারই যোগ্য। তখন নবী নির্দেশ দিলেন- দাহিয়াকে ঐ নারী সহ আমার কাছে আন।। তখন দাহিয়া সাফিয়াকে সাথে নিয়ে নবীর কাছে আসল , নবী সাফিয়াকে ভাল করে দেখলেন, অত:পর দাহিয়াকে বললেন- একে ছাড়া বাকি যে কাউকে নিয়ে নাও। আনাস আরও বলল- তখন নবী সাফিয়াকে মুক্তি দিয়ে তাকে বিয়ে করলেন। বুখারী, ভলিউম-১, বই-৮, হাদিস-৩৬৭

উক্ত হাদিস থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার, যখন সাফিয়াকে দেখেন তখন মোহাম্মদ সম্ভবত: ভুলে গেছিলেন যে তার ওপর বিয়ে করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারী আছে। সে কারনে কোন রকম চিন্তা ভাবনা ছাড়াই সাফিয়ার দিকে তাকিয়ে যখন তিনি তার রূপে আকৃষ্ট হয়ে পড়লেন তখন তাকে নিজের স্ত্রী হিসাবে গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিলেন। এটা যে শুধু মোহাম্মদ তার আল্লাহর নির্দেশ লঙ্ঘন করলেন সেটাই নয় পরন্তু তিনি যে আসলে অন্য কোন বিশেষ কারন নয় স্রেফ নারীর রূপ যৌবন দ্বারা আকৃষ্ট হয়েই তাদেরকে বাগে পেলে বিয়ে করতেন সেটাও খুবই প্রকাশ্য।অথচ ইসলামী পন্ডিতরা যে তাকিয়া বা মিথ্যাচারের আশ্রয় নেয় তা হলো- সাফিয়াকে মুক্ত করে নবী তার স্ত্রী হিসাবে মর্যাদা দিয়েছিলেন এটা হলো মোহাম্মদের অন্যতম মহানুভবতার নিদর্শন। অথচ তারা ভুলেও নিচের কথা গুলো জানায় না যে –

এক. মোহাম্মদ একটা জিনিস একজনকে দিয়ে আবার তা ফেরত নিয়েছেন

দুই. সাফিয়ার রূপ যৌবন দ্বারা আকৃষ্ট হয়েছেন অথচ তার হেরেমে তখন দু হালির(৮) মত স্ত্রী বর্তমান।এতগুলো স্ত্রী হেরেমে থাকার পরেও অন্য নারীর প্রতি আকৃষ্ট হওয়া একজন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট আদর্শ মানব মোহাম্মদের পক্ষে মানায় না। এটা মানায় নারী লোভী একজন যৌনকাতর মানুষের পক্ষে।

তিন. আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে মায়মুনা ও সাফিয়াকে বিয়ে করেছেন।অথচ তার প্রতি আল্লাহর স্পষ্ট নির্দেশ – এরপর আপনার জন্যে কোন নারী হালাল নয় এবং তাদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করাও হালাল নয় যদিও তাদের রূপলাবণ্য আপনাকে মুগ্ধ করে, তবে দাসীর ব্যাপার ভিন্ন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ের উপর সজাগ নজর রাখেন। কোরান, ৩৩: ৫২ অর্থাৎ তিনি আল্লাহর নির্দেশ মানেন না।

চার. সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট আদর্শ মানব মোহাম্মদ তার ক্রীতদাসী মারিয়াকে বিয়ে না করেই তার গর্ভে ইব্রাহীম নামক সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন।

মহানবী যে বিয়ে ছাড়াই একটা ক্রীতদাসীর গর্ভে সন্তান জন্ম দান করেছেন এটা বর্তমান মুসলমানদের ৯৯% এরও বেশী লোক জানেন না। যারা ইসলামী পন্ডিত তারা বিষয়টি জেনে এর সম্ভাব্য পরিণতির কথা চিন্তা করে আদা জল খেয়ে লেগে পড়েছে বিষয়টি গোপন করতে আ র সেকারনেই তাদের নিদারুন প্রচেষ্টা প্রমান করা যে মোহাম্মদ একটা পর্যায়ে মারিয়াকে বিয়ে করেছিলেন।বিষয়টি এতটাই স্পর্শ কাতর যে- সাধারণ মানুষ তা জানলে মোহাম্মদ সম্পর্কে এতদিনকার প্রচলিত ধারনা ভেঙ্গে খান খান হয়ে যাবে। তাই এত আয়োজন।

বাংলা কোরান
বাংলা কোরান
বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ ও মালিক মুয়াত্তার হাদিস
শুধুমাত্র বুখারী শরিফ
ইবনে কাথিরের বাংলা তাফসীর

মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-১৪
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-১৩
মোহাম্মদ ও ইসলাম , পর্ব-১২
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-১১
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-10
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-9
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-8
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-7
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-6
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-5
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-4
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-3
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-2
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-1