এ কবিতাটি যাঁকে নিয়ে লেখা, সেই মহান শিল্পীর চরণকমলে এটি উৎসর্গ করলাম।

হে প্রিয়, প্রিয়, অতি প্রিয় আসাদুজ্জামান নূর;
আপনার কণ্ঠস্বর কেন এতো সুমধুর!
আপনার আবৃত্তি আমার কাছে
সুধার অপার সমুদ্দুর।
আমি মন্ত্রমুগ্ধের মত শুনি
আমি তন্ময় হয়ে শুনি,
শুনি মধ্যাহ্ন-নিশি-ভোর।
মম মনের গহনে বাজে যখন তখন
সেই সুমধুর অমৃত সুর।

হে প্রিয় আসাদুজ্জামান নূর,
আমি বাস করি আপনা হতে
বহু বহুক্রোশ দূর।
তবুও শুনি আমি,
বাজে আমার হৃদয়ে
আপনার আবৃত্তির মধুর রিনিরিনি সুর।

আপনার তুলনায় ক্ষুদ্রাতি-ক্ষুদ্র আমি,
নগণ্য ধূলিকণা সম।
তবুও প্রকাশিতে চাহে হৃদয় মম
আপনার প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা
হে গুণী, হে সুন্দর, হে প্রিয়তম।

আপনার বিশালত্বের কাছে
আমি সমুদ্রের তুচ্ছ ফেনার মত।
তবুও মম হৃদয় অবিরত
প্রকাশিতে চাহে আপনার প্রতি
তার ভালোবাসা ও ভক্তি যত।

আমি জানিনা,
আপনার তরে
এই ক্ষুদ্রের নিখাদ সম্মান ও প্রীতি আপনার কাছে
কভু পৌঁছুবে কিনা।
আপনার ঠিকানায় পৌঁছনোর মোর
নেই সাধ্য, নেইকো স্পর্ধা।
শুধু দূর থেকে আপনাকে
নিবেদন ক’রে যাই অকৃত্রিম শ্রদ্ধা।

হে প্রিয় আসাদুজ্জামান নূর,
আপনার কবিতা শুনি যতবার
আমারও কেঁপে উঠে ওষ্ঠাধার।
আপনার উচ্চারিত প্রতিটি শব্দের সাথে
মোর অন্তর আবেশে কাঁপে থরথর।
মম চক্ষু হতে ঝরঝর
দুর্বোধ্য বারি ঝরে অনিবার।

আমি জানিনা
এই তুচ্ছ আমার দুর্নিবার
ভক্তি ও প্রীতি আপনার
কাছে গ্রহণযোগ্য হবে কিনা।
তবুও হৃদয় তার ভালোবাসা প্রকাশিতে চাহে,
তবুও হৃদয় অভিভূত হয়ে রহে,
রন্ধ্রে রন্ধ্রে বাজে অহরহ
আপনার সুধাকণ্ঠের বীণা।